নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা প্রেমী; একটু এলোমেলো; উড়নচণ্ডী; আর বই ভালবাসি। শব্দ নিয়ে খেলা আমার বড্ড প্রিয়। গল্প-কবিতা-মুক্ত গদ্য সব লিখতেই ভালো লাগে। \"কেননা লেখার চেয়ে ভালো ফক্কিকারি কিছু জানা নেই আর।\"

শিখা রহমান

পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....

শিখা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একবার বলেছি তোমাকে

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৮



পুরোনো কাঠের আলমারির পাল্লাটা খুলতেই গন্ধটা নাকে ঝাপটা মারলো। ন্যাপথলিনের গন্ধ, সেই আপন পুরোনো গন্ধ!! পাশের ঘর থেকে মা চেঁচিয়ে বললেন “একটাতো নীল রঙের সুতী কোটা শাড়ী থাকার কথা...দেখিস আলমারির সব আবার এলোমেলো করে ফেলিস না যেন!!!” বহ্নি একটা নীল শাড়ী খুজছে। আজ পরে বাইরে যাবে। সুতীর শাড়ী বহ্নির বড্ড প্রিয়। ঢাকায় বেড়াতে এলেই খুঁজে খুঁজে মায়ের সব সুতীর শাড়ীগুলো পরে।

ন্যাপথলিনের গন্ধটা বহ্নিকে হঠাৎই আনমনা করে দিল। মানুষটা সারা শীতকাল একটাই চাদর পড়তো। খয়েরী রঙের, সরু কালো পাড়; সুতো উঠে একটু আঁশটে হয়ে গেছে। যে দিন খুব ঠান্ডা পড়তো সেদিন ফুলহাতা শার্ট আর কালচে মেরুন হাতকাটা সোয়েটারের ওপরে সেই চাদর। হালকা শীত পড়তেই গায়ে চাদর; প্রথম সপ্তাহ খানেক ন্যাপথলিনের গন্ধ। বহ্নির এই গন্ধটা ভালোই লাগতো। আস্তে আস্তে শীত জাঁকিয়ে বসতো আর ন্যাপথলিনের গন্ধটাও উত্তুরে বাতাসে মিলিয়ে যেত।

বেচারার একটাই চাদর। বহ্নির ভীষণ মায়া লাগতো। খুব ঠান্ডার দিনে রিকসায় সেই চাদরে মাথা ঢেকে আসতেন। ঢাকা কলেজের কাছের মেস থেকে বনানী অনেকখানি পথ। আশির দশকের শেষে ঢাকা শহরটা এখনকার মতো যানজটের জালে বন্দী মৎস্যকন্যা ছিলো না। তাও বাস আর রিক্সা মিলিয়ে প্রায় ঘন্টাখানেক লেগে যেত। স্যার পড়াতে আসতেন সপ্তাহে তিনদিন। বাংলা আর ইংলিশ পড়াতেন। বহ্নিকে সেই ক্লাস ফাইভ থেকে পড়াচ্ছেন; ক্লাস এইট পর্যন্ত সব বিষয় পড়াতেন। নাইনে উঠতেই স্যার বিজ্ঞান আর অঙ্কের জন্য আরেকজন শিক্ষক রাখতে বললেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় মাস্টার্স করছেন; বাংলা আর ইংলিশ পড়াতেই স্যারের স্বাচ্ছন্দ্য বেশী ছিলো। স্যারই ওনার এক বন্ধুকে ঠিক করে দিলেন যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই পদার্থবিজ্ঞানে পড়ছেন।

বহ্নি পড়াশোনায় বেশ ভালো কিন্তু খুব ফাঁকিবাজ। অল্প পড়েই ভালো করতে পারে বলে ছোটবেলা থেকেই সব পড়া পরীক্ষার আগের দিনের জন্য তুলে রাখতো। মা সারাদিন অফিস করে এসে পরীক্ষার আগে যখন দেখতেন কিছুই পড়া হয়নি তখন পিঠে বেশ ভালোই কিল পড়তো। একমাত্র মেয়ে বহ্নি; মা পরে খুব অপরাধবোধে ভুগতেন। শেষে ক্লাস ফাইভে ওঠার পরপরই মার অফিসের এক কলিগ স্যারকে ঠিক করে দিলেন।

প্রথম দিন স্যার এসে ড্রয়িংরুমে বসেছিলেন; বহ্নিরা তখন সেন্ট্রাল রোডে থাকতো। “খুকী তোমার নাম কি?” “কেন? আম্মুতো এক্ষুনি আপনাকে বললো...আমার নাম বহ্নি।“ “এখন থেকে আমি তোমাকে পড়াবো...আর মায়ের কাছে পড়তে হবে না।“ বহ্নি ভীতু চোখে তাকিয়ে বলেছিলো “আপনি কি পড়া না পারলে মারবেন?” স্যার হেসে ফেলেছিলেন; সেই হাসি বহ্নিকে বলে দিয়েছিল মানুষটা খুব ভালো। স্যার আসলেই বহ্নিকে কখনো বেশী বকেনওনি। দুইজন অসমবয়সী মানুষ খুব দ্রুত ভালো বন্ধু হয়ে গিয়েছিলো। বহ্নির প্রচন্ড বই পড়ার নেশা। স্যারও বাংলার ছাত্র, অনেক বই পড়তেন। দুজনে মিলে স্কুলের পড়া বাদেও বাইরের বই নিয়েও অনেক গল্প হতো।

ওরা বনানীতে চলে এলো ক্লাস সিক্সে ওঠার পরে। স্যার ওকে সেই এত্তো দূর থেকে এসে পড়ানোতে সম্মতি দিলেন। যদিও মা বাবা স্যারের আসা যাওয়ার খরচ আর কষ্টের কথা ভেবে বেতন বাড়িয়ে দিলেন কিন্তু বহ্নি জানতো শুধু বন্ধুত্বের জন্যই এই সম্মতি। বহ্নির মতো স্যারও যে বড্ড একা মানুষ ছিলেন। দুজনের পছন্দের মানুষগুলো সব বইয়ের পাতায় ছাপার অক্ষরে থাকতো; ওরা একসাথে হলেই সেই মানুষগুলো সব জীবন্ত হতে উঠতো। স্যারের সাথে বহ্নির কোন আড়াল ছিলো না; বাবা মা যেমনটা ছিলেন বহ্নির কাছে স্যারও ছিলেন পরিবারের একজন। বয়ঃসন্ধি কালের সমস্ত কৌতুহল, আবিষ্কারের উত্তেজনা আর ভালোলাগা কি সহজেই স্যারকে বলতো ভাবতেই এখন ওর অবাক লাগে। সব নিষিদ্ধ আর অস্বস্তিকর প্রশ্ন কি অবলীলায় না বহ্নি ওনাকে জিজ্ঞাসা করেছে!!

নাইনে ওঠার কিছুদিন পরেই ওদের পাশের ফ্ল্যাটে যে নতুন পরিবার থাকতে এলো তাদের চারটা ছেলে। সেজ ছেলেটা বহ্নির সাথে একই ক্লাসে। বহ্নি পড়াশোনায় ভালো বলে ছেলেটা মাঝে মাঝেই ওর কাছে থেকে নোট আর সাজেশন ধার করে নিতো। ছেলেটাকে ওর ভালো লাগতো; বেশ দেখতে, ধারালো নাক আর চিবুক, উড়ন্ত পাখির ডানার মতো চোখ, মাইকেল অ্যাঞ্জেলোর শ্যামলা ডেভিড। মনে হয় ছেলেটারও বহ্নিকে ভালো লাগতো; বড্ড অস্বস্তি ছিলো যে দুজনের মাঝে। সম্পর্কটা সহজ ছিলো না; নোট দেয়া নেয়ার সময়ে একটু আঙ্গুলের ছোঁয়াতেই চমকে উঠতো দুজনে। অন্য সবকিছুর মতোই ওর এই অন্যরকম ভালোলাগার কথা বহ্নি অন্য কাউকে না বললেও স্যারকে বলেছিল। এই প্রথমবারের মতো স্যার বেশ রেগে গিয়েছিলেন। পড়ায় মন নেই বলে বকেছিলেন; বহ্নি খুব অবাক হয়েছিলো।

স্যার বদলে যাচ্ছিলেন; অল্পতেই খুব রেগে যেতেন; অথচ বহ্নিতো বেশ ভালো রেজাল্ট করছিলো। একদিন বাংলা একটা বাড়ীর কাজ দিয়েছিলেন স্যার; ও করেনি বলে খুব রেগে গেলেন। মাকে নালিশ করলেন যে বহ্নির ইদানীং মোটেও পড়ায় মন নেই। বহ্নি প্রচন্ড কষ্ট পেয়েছিলো কারণ স্যার মাকে বলেছিলেন যে ও পাশের বাসার ওই ছেলেকে নিয়েই সারাক্ষণ চিন্তা করে। এটাতো ওদের দুজনের কথা; স্যার কেন মাকে ওর গোপন ভালোলাগার কথা বলে দেবেন!!

বহ্নি স্যারকে ভয় পেতে শুরু করেছিলো। খুব চেষ্টা করতো সব পড়া করে রাখতে; তারপরেও বকা আর বকা। একদিন ও একটা ভাব সম্প্রসারণ করতে ভুলে গিয়েছিলো। স্যার প্রচন্ড রেগে গেলেন। উনি বেশ সুপুরুষ, দীর্ঘদেহী প্রায় ছয়ফুট লম্বা; ভালোই ফর্সা; শিশুদের মতো চোখ, দীর্ঘ পল্লবে ছায়াময় দয়ালু চোখ দুটো; হালকা লালচে ঠোঁটের ওপরে গোঁফ। ধুতি পাঞ্জাবী পড়িয়ে দিলে স্যার অনায়াসেই রবি ঠাকুরের বা শরৎচন্দ্রের গল্পের নায়ক। বহ্নি অবাক হয়ে দেখলো স্যারের ফর্সা গাল রাগে লাল হয়ে গেছে। আশ্চর্য!!! ও এত্তো রেগে যাবার মতো কি করলো? মাকে ডেকে বললেন যে ওনার পক্ষে আর বহ্নিকে পড়ানো সম্ভব নয় কারণ ও কথা শোনে না। মা যথেষ্টই অনুরোধ করলেন; কিন্তু স্যার সিদ্ধান্তে অটল। বহ্নি ঘটনার আস্মকিকতায় এত চমকে গিয়েছিলো যে বিশ্বাসই করেনি স্যারের কথা। কিন্তু স্যার বললেন যে আর একদিন আসবেন সব পড়া গুছিয়ে দিতে আর বেতন নিতে। সেদিন রাতে মায়ের কাছে বহ্নি অনেকদিন পরে খুব বকা খেলো পড়াশোনা না করার জন্য।

শেষদিন স্যার এলেন দুপুর তিনটার দিকে। মা বাবা অফিস থেকে পাঁচটায় ফেরেন। বহ্নি অনেকবার সরি বলেছিলো; স্যারকে প্রমিজ করেছিলো যে এরপরে থেকে ও ঠিক ঠিক পড়বে। এ দুদিনে বহ্নির ছোট্ট পৃথিবীর অনেকখানিই এলোমেলো হয়ে গেছে। ও বুঝতেই পারছে না স্যার না থাকলে ওর সব কথা ও কাকে বলবে। স্যার পড়া আর সাজেশন গুছিয়ে দেবার পরে হঠাৎই বললেন “বহ্নি...তুমি কি আসলেই বোঝোনি আমি কেন তোমাকে আর পড়াবো না?” পনের ছুঁই ছুঁই বহ্নি আসলেই বোঝেন.। কিন্তু স্যারের গলায় সেই বহ্নি ডাকটা কেমন যেন অন্যরকম ছিলো।

ও অবাক হয়ে তাকাতেই স্যার বললেন “আমি তোমাকে ভালোবাসতে শুরু করেছি...বোঝোনি?” উনি কেন জানি নিজের ওপরে রেগে গেলেন “যে আমাকে ইউনিভার্সিটির প্রত্যেকটা মেয়ে চেয়েছে...সেই আমি কিনা প্রেমে পড়লাম এক অবুঝ কিশোরীর, যে ভালোবাসা বোঝে না...ভালোবাসার সুখ না...ভালোবাসার দুঃখতো নয়ই...” বহ্নি অবাক হয়ে শুনছে “তুমি যে কি সুন্দর করে কথা বলো...ঠিক যেন কলকল ছলছল এক পাহাড়ী ঝরনা...এই কথার জন্যই অসংখ্য ছেলেরা তোমার প্রেমে বারবার পড়বে...তুমি যখন কথা বলো তোমার চোখ কথা বলে...কিন্তু বহ্নি তুমি...তুমি যে বেশীদিন কাউকেই ভালোবাসবে না!!” “আর...আর তোমার ঠোঁট যখন কথা বলার সময় বাঁকে...অসহ্য সুন্দর...যখন তুমি রেগে গিয়ে ছোটলোক বলো...ইচ্ছা করে ঠোঁটে চুমু দেই...তোমাকে একটা চুমু দেই?” স্যার এইসব কি বলছেন, ঠিক যেন নাটকের ডায়ালগ, আশুতোষের প্রেমের গল্পের মতো!! বহ্নির কেন যেন হাসি পেলো; ও হেসে ফেলতেই স্যারের আহত চোখজোড়া দেখে চুপ করে গেলো।

তিন দশক কেটে গেছে। স্যার কি আসলেই জানতেন না যে কিশোরীরা বড় নিষ্ঠুর হয়? সরলতা তো সবসময়ই নিষ্ঠুর!! এই যে ও নীল শাড়ী খুজঁছে যে মানুষটার জন্য তাকেতো ওই ধরা দেয়নি। পেছনে ফিরে তাকালে বহ্নি জানে যে ও আসলেই কাউকে ধরা দিতে চায়নি। কোন না কোন পুরুষহরিণ হৃদয় “পৃথিবীর সব হিংসা ভুলে গিয়ে চিতার চোখের ভয়- চমকের কথা সব পিছে ফেলে রেখে” ওর কাছে যে ধরা দিতে চায়নি তা নয়। কিন্তু পলাতক বহ্নি সারা জীবনে বা্রবার সেই মানুষগুলোকেই ভালোবেসেছে যাদেরকে পাওয়া যাবে না। ভুল করে ভালোবাসেনি, জেনে শুনেই প্রেমে পড়েছে। ও চায়নি ওর ভালোবাসা সংসারের তেলে হলুদে মেখে যাক। স্যার কি বহ্নিকে অভিশাপ দিয়েছিলেন?

আজ যদি স্যার ওকে চাইতেন বহ্নি কক্ষনো হাসতো না। এখন ওর চাইতে ভালোবাসার কষ্ট, ভালোবাসতে না পারার দুঃখ আর কে বেশী জানে!! ভালোবাসার সামনে নতজানু সেই রাজপুত্রের মতো রূপবান দুঃখী যুবকের চোখে চোখ রেখে কোমল স্বরে ও বলতো “আপনি তো জানেনই বহ্নি অধরা...তবে কেন তাকে মিছেমিছি ধরতে চাইছেন?"

© শিখা রহমান (২০১৬)

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চোখে সামান্য সমস্যা। সমস্যা চলে গেলে এসে পড়বো।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩

শিখা রহমান বলেছেন: আশাকরি চোখের সমস্যা শীঘ্রই ঠিক হয়ে যাবে। সুস্থ হলে আর সময় পেলে পড়ে জানাবেন কেমন লাগলো। আপনার সুস্থতা কামনা করছি। ভালো থাকবেন প্রিয় কবি-লেখক।

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: :(
লেখাটা ভালো লেগেছে।
আমি কেন যেন কিছু কিছু ব্যপারে খুব স্টেরিওটাইপ প্রকৃতির। আমার কাছে কেন যেন মনে হয় পৃথিবীর সবকিছু ব্যাকরন মেনে চলা উচিৎ। 'অসম বয়সের প্রেম' জিনিসটি আমার কাছে একটি ব্যাকরণ বহির্ভূত জিনিস বলে মনে হয়। আপনার এই গল্প পড়ার সময় বারবার মনে মনে কামনা করছিলাম যেন বহ্নির সাথে অসম বয়সী লোকের প্রেম না আসে। শিউরে উঠতে উঠতে শেষ লাইনে এসে উপস্থিত হলাম।
এটা নিছক আমার মতামত।

ভালো থাকবেন আপু। ব্লগে নিয়মিত হন, আপনাদের লেখা দেখতে পেলে ভালো লাগে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

শিখা রহমান বলেছেন: অচেনা হৃদি সুন্দর ও সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। 'অসম বয়সের প্রেম' জিনিসটি আমার কাছে একটি ব্যাকরণ বহির্ভূত জিনিস বলে মনে হয়। --- আমার অবশ্য 'অসম বয়সের প্রেম' নিয়ে খুব কঠিন কোন অবস্থান নেই। তবে জীবনের গল্প লিখি যেহেতু হয়তো কখনো লিখতেই পারি। তবে এখনো 'অসম বয়সের প্রেম' নিয়ে কোন গল্প লিখতে ইচ্ছে করেনি।

তুমিও ভালো থেকো সবসময়। ব্লগে নিয়মিত হওয়া আমার জন্য একটু কঠিন। প্রবাসে সংসার-কাজ সামলে সময় বের করতে হিমসিম খেয়ে যাই। তবে আজকাল চেষ্টা করি সপ্তাহে দু'একবার সময় করে ব্লগে আসতে।

শুভকামনা অফুরন্ত।

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: ন্যাপথলিনের গন্ধ থেকেই কি গল্পটা হলো, নাকি গল্পটা শুরুর জন্য ন্যাপথলিনের দরকার হয়ে পড়েছিলো.....? :)
গল্পের গাঁথুনিটা ভালো লেগেছে। তবে আশির দশকে 'বহ্নি' নামটা একটু চোখে লাগলো, আরো একটু সহজ নাম হলে বোধ হয় ভালো হতো।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৭

শিখা রহমান বলেছেন: পদ্ম পুকুর আপনিতো লেখককে বুঝে ফেলেছেন মনে হচ্ছে। ন্যাপথলিনের গন্ধ আমার খুব প্রিয়। আসলেই একদিন আলমারী পাল্লা খুলতেই ন্যাপথলিনের গন্ধ থেকেই গল্প উড়ে এলো।

"আশির দশকে 'বহ্নি' নামটা একটু চোখে লাগলো, আরো একটু সহজ নাম হলে বোধ হয় ভালো হতো।" --- হয়তো বা!! তবে আশির দশকে বড় হওয়া খুব কাছের একজন প্রিয় মানুষের নাম বহ্নি বলেই য়ামার লেখায় নামটা ঘুরেফিরে চলে আসে।

পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ নেবেন। শুভকামনা নিরন্তর!!

৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১০

সিগন্যাস বলেছেন: দুই বছর আগের লেখা বুঝি? এইজন্যই এমন প্রাচীন প্রাচীন লাগছে দেখতে?

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

শিখা রহমান বলেছেন: সিগন্যাস গল্পটা সেই আশির দশকের আর লেখিকাও প্রাচীন। :) তাই এ বছর লিখলেও গল্পটা এমন এন্টিকই দেখাতো। :(

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কিশোরীরা নিষ্ঠুর ই হয় !
অনেক সুন্দর লেখা; একদম ন্যাপথলিনের গন্ধের মত।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

শিখা রহমান বলেছেন: নীরা তোমার কথাই তোমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছি "তুমি একটা অনুপ্রেরণার ডিব্বা!!" জানতো? লেখায় তোমার মন্তব্য পেলেই মন পাখা মেলে।

ভালোবাসা কবিতার মেয়ে। ভালো থেকো, ভালোবেসো।

৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২

রাকু হাসান বলেছেন:

হুম গল্প ভালো লেগেছে । তবে বহ্নি এত বোকা সোকা কেন :( :(
নাম্বার টাম্বার রাখা যেত :P
স্যার ও বহ্নি দুই জনকেই ভালো লাগছে । তবে ঐ দিন স্যার এত ছোট মেয়ের সামনে একটু বেশিই রোমন্টিকতা দেখিয়েছে ।
বহ্নির এমন আচরণটা স্বাভাবিক লাগছে । স্যারের অপেক্ষা করা উচিত ছিলো । কেননা আমার কাছে সম্পর্কটা এত কাছের ছিল তাই সময় হলে বহ্নি প্রেমের কথা বলতো । আমি বহ্নিকে দোষ দিচ্ছি না । অনেক বুঝি দেখছি আমি #:-S
যখন পড়াতে এসে অস্বাভাবিক কিছু করছে তখনই বুঝেছিলাম । তিনি হাবুডুবু খাচ্ছেন =p~
স্যার ও বহ্নির আবারও সাক্ষাত হোক । :P

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৮

শিখা রহমান বলেছেন: রাকু হাসান সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

"তবে বহ্নি এত বোকা সোকা কেন :( :( " --- আশীর দশকের ছেলেমেয়ে গুলো একটু বোকাসোকাই ছিলো। ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট, ব্লগিং ছিলো না তো!! :(

"তবে ঐ দিন স্যার এত ছোট মেয়ের সামনে একটু বেশিই রোমন্টিকতা দেখিয়েছে ।" --- একদম ঠিক!!
"কেননা আমার কাছে সম্পর্কটা এত কাছের ছিল তাই সময় হলে বহ্নি প্রেমের কথা বলতো ।" --- মনে হয় না।
"অনেক বুঝি দেখছি আমি #:-S
যখন পড়াতে এসে অস্বাভাবিক কিছু করছে তখনই বুঝেছিলাম । তিনি হাবুডুবু খাচ্ছেন =p~ "
--- বোঝাই যাচ্ছে বিজ্ঞ পাঠক। হাবুডুবু খাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। =p~
"স্যার ও বহ্নির আবারও সাক্ষাত হোক । :P" --- শরৎচন্দ্র বেঁচে থাকলে বলতেন "মরণ!!" :)

ভালো থেকো রাকু। সবসময়ে মন্তব্যে উৎসাহ দেবার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।

৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন:
সুন্দর গল্প।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৯

শিখা রহমান বলেছেন: স্বপ্নীল ফিরোজ আমার ব্লগে স্বাগতম। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।

৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: পড়লাম।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২০

শিখা রহমান বলেছেন: মাহমুদুর রহমান ধন্যবাদ। শুভকামনা।

৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু বহ্নিরা বোধহয় চিরকালই ন্যাপথলিনের মত উদ্বায়ী। তাকে ধরতে গেলে দেয়না ধরা। তবে আশির দশকের প্রভাষক বাবা - মায়ের একমাত্র কন্যার পক্ষে এমন বহ্নির বহ্নিশিখাটা বেশ উপভোগ্য।


শুভকামনা জানবেন।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৩

শিখা রহমান বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি "বহ্নিরা বোধহয় চিরকালই ন্যাপথলিনের মত উদ্বায়ী।" --- বেশীরভাগ মানুষই কিন্তু অধরা, অন্যের কাছে আর নিজের কাছে তো অবশ্যই!!

পড়ার জন্য ও মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন প্রিয় লেখক।

১০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

বাকপ্রবাস বলেছেন: গল্পটা ভাল লেগেছে, কেবল একটা শিশুকাল থেকে যুবতি হয়ে যাওয়ার চিত্রটা আমার মনে ধারাবাহিকতা থাকতে চায়নি, প্রাইমারির শিক্ষক কলেজ ভার্সিটি অব্দি চলে আসবে প্রেমের আহ্বানও করে ফেলবে এই চিত্রটা ভাবতে গিয়ে একটু খসখসে অনুভব হল। বাদবাকিটা খুব ভাল লেগেছে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৭

শিখা রহমান বলেছেন: বাকপ্রবাস ধন্যবাদ সুচন্তিত মন্তব্যের জন্য। ব্যাপারটা অসম বয়েসী ছিলো বলেই পরিনতি পায়নি। বহ্নি কিন্তু প্রেমে পড়েনি। পিছু ফিরে তাকানোর সময়েও সে কেবল তার নিষ্ঠুরতার জন্য অপরাধবোধে আক্রান্ত হয়েছে।

"প্রাইমারির শিক্ষক কলেজ ভার্সিটি অব্দি চলে আসবে প্রেমের আহ্বানও করে ফেলবে এই চিত্রটা ভাবতে গিয়ে একটু খসখসে অনুভব হল।" --- জীবন গল্পের চাইতেও বিচিত্র!!

শুভকামনা নিরন্তর!! ভালো থাকবেন কবি।

১১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর যে-কোনো নারীর প্রতি আমার আগ্রহ আছে । মূর্তিই হোক না কেন । নারী মানেই পূজ্য ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৫৪

শিখা রহমান বলেছেন: রাজীব নুর ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা।

১২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২

আল ইফরান বলেছেন: খুব চমৎকার লিখেছেন, আপু।
অদ্ভুত সুন্দর অথচ এক অসম প্রেমের নিদারুন আখ্যান, এক বসায়ই পড়ে ফেলেছি।
এই গল্পের কি কোন পর্ব হবে না, আই মিন বহ্নি যখন কিশোরী থেকে তরুণীতে উপনীত হল অথবা পাশের বাড়ির ছেলেটার সাথে অথবা পরবর্তী সকল পুরুষদের সাথে কিভাবে বিচ্ছিন্নতার মাঝে বহ্নির জীবন কেটে গেলো?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:১০

শিখা রহমান বলেছেন: আল ইফরান আমার লেখার স্বাগতম। পরের পর্ব আসলে লেখার কথা ভাবিনি। আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। হয়তো লিখে ফেলতেও পারি। :)

আশা করি মাঝে মাঝে মন্তব্যে উৎসাহিত করবেন। শুভকামনা সতত। ভালো থাকবেন।

১৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আহারে! বেচারা স্যার......
পুরো লেখা পড়েছি।
আচ্ছা, স্যার কি পরে বিয়ে করেছিল?
বহির(বহ্নি) সাথে স্যারের জুটি তো খারাপ না। মনের মিল হলে বয়স কোন ব্যাপার হল!!!! ;)


আপু! আপু!
আমি এক মেয়েকে মাসখানেক পড়িয়েছিলাম। ওখানে তো উল্টো ঘটনা ঘটেছিল।
মেয়েটা কি খাটাশ! টেবিলের নীচে পায়ে পা দিয়ে ঠোকা দিতো। তখন কি আমার অত বুদ্ধি ছিল!!!!

ইশ!
প্রেমটা তার মাঠে মারা গিয়েছিল....:(

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:১৬

শিখা রহমান বলেছেন: নিজাম বলো কি!! তুমি পুরো লেখা পড়েছো। B:-)

আচ্ছা, স্যার কি পরে বিয়ে করেছিল? --- অবশ্যই!! প্রেম আর হলো কই? বহ্নিরও বিয়ে হয়েছে। দুজনেই সুখে শান্তিতে বসবাস করিতেছে। :)

বহির(বহ্নি) সাথে স্যারের জুটি তো খারাপ না। মনের মিল হলে বয়স কোন ব্যাপার হল!!!! ;) --- মনের মিল তুমি দেখলে কোথায়? B:-/

আমি এক মেয়েকে মাসখানেক পড়িয়েছিলাম। ওখানে তো উল্টো ঘটনা ঘটেছিল। --- তা আর হবে না। তুমি হচ্ছো হিরু আর তোমার চলাফেরা সবকিছুই যে উল্টো!! =p~

অনেকদিন পরে তোমার "আপু! আপু!" শুনে মন ভালো হয়ে গেলো। ভালো থেকো। আনন্দে থেকো সবসময়।

১৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইশশশ...
আপনি পোষ্ট মুছে ফেলেন ক্যানো?
সঙ্গম কবিতাটা আপনার পোষ্টে মন্তব্যে ছিল। ভাবলাম পরে কপি করে নেব!
অমা খুঁজতে এসে দেভি শৃ্ঙ্গারই বেমালুম গায়েব!!!!!!!!
আফসোসের শেষ রইল না!!!!!!

যাকগে! আপ্নার বাড়ী আপনার ঘর! আমি আর কি বলতে পারি :((

বহ্নিরা াধরাই হয় বনলতার মতো!
কিন্তু বহ্নি কি খুঁজে পেয়েছে সেই গভীর ভালবাসা? বাকী জীবনে?
ভাবনাই রয়ে যায়! কেউ খোঁজেনা! জানেনা!

গল্পে +++++++++++

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৪

শিখা রহমান বলেছেন: বিদ্রোহী কোন পোষ্ট মুছিনি তো!! :( দু'এক বছর আগের কয়েকটা পোষ্ট ড্রাফটে নিয়েছিলাম। আপনার মন্তব্য পড়ে তাড়াতাড়ি সেগুলো আমার বাইরের ঘরে নিয়ে এলাম।

আপনার কি খেয়াল আছে কোন লেখায় সেই কবিতা পোষ্ট করেছিলেন। খুঁজে দিচ্ছি। কোন কিছুই ডিলিট করিনি। খুব খারাপ লাগছে ভেবে যে আপনি লেখা খুঁজে পাচ্ছেন না। :((

অফিসে যাওয়ার আগেঅন্যদের মন্তব্যের আগেই আপনাকে প্রতিউত্তর দিলাম। পড়ার জন্য ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা কবি।

১৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

নীল আকাশ বলেছেন: আপু, আপনার লেখা পড়তে আসলাম। কিশোরী মনের মানবিক অনুভূতি গুলো কি চমতকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, দারুন। পৃথিবীর সব চেয়ে কঠিন ক্যারেক্টার হলো কিশোরী মেয়েরা। এরা আসলে কি চায় কিংবা কি পছন্দ করে সেটা সময় বা ব্যক্তি বা পরিস্থিতির সাথে এত দ্রুত বদলে যায় যে কথায় ফুটিয়ে তোলা কি কঠিন? পৃথিবীর কোন ভাষার শব্দই যেন কিশোরী মেয়েদের মনকে উন্মুক্ত করার উপযুক্ত নয়। ইউনিভার্সিটি তে পড়ার সময় হাত খরচ চালানোর জন্য টিউশনি করতাম। কত যে বিব্রতকর পরিস্থিতি পড়তে হয়েছে এদের কে নিয়ে! এরা কাকে কখন পছন্দ করবে সেটা নিজেরাই বলতে পারে না? কি জটিল এদের মন?

আপনার এই লেখাটা থেকে নতুন কিছু শিখলাম। প্লট টা মন কে ছুয়ে গেল।
ভালো থাকুন, সব সময়।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:২৩

শিখা রহমান বলেছেন: নীলআকা৩৯ আরেহ!! প্রিয় গল্পকার যে!! লেখা পড়তে এসেছেন শুনে মনটাই ভালো হয়ে গেলো।

কিশোরী মনের মানবিক অনুভূতি গুলো কি চমতকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, দারুন। পৃথিবীর সব চেয়ে কঠিন ক্যারেক্টার হলো কিশোরী মেয়েরা। --- ঠিক বলেছেন। তবে নিজে কখনো কিশোরী ছিলাম বলেই হয়তো লিখতে তেমন কঠিন লাগেনি। আমার যেমন নিজেকে পুরুষ চরিত্রে বসিয়ে লিখতে গেলে বেশ চিন্তাভাবনা করতে হয়।

আমার মতো সামান্য লেখিকার লেখা থেকে আপনি কিছু খুঁজে নিতে পেরেছেন শুনে লেখাটা সার্থক মনে হলো।

শুভকামনা নিরন্তর!! আপনিও ভালো থাকুন সবসময়।

১৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৭

সুমন কর বলেছেন: কমন প্লট কিন্তু গল্পের উপস্থাপন বেশ লাগল।
+।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:২৬

শিখা রহমান বলেছেন: সুমন কর আপনাকে লেখায় পেয়ে ভালো লাগলো। আসলেই খুব চেনা গল্প আর বাস্তবতাও। গল্পের উপস্থাপন ভালো লেগেছে শুনে লেখাটা সার্থক মনে হলো।

শুভকামনা কবি। ভালো থাকবেন।

১৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



অসম প্রেমের গল্পটি পড়ে ভাল লেগেছে। বেশিরভাগ সময় এসব ভাললাগায় চূড়ান্ত পরিণতি হয় না। এটা অনেকটা ভাললাগার পর্যায়ে থাকে। দীর্ঘদিন বিপরীত লিঙ্গের দুজন মানুষ যখন মনের দিক থেকে কাছাকাছি থাকে, ডিপেন্ডেন্সি থাকে তখন এরকম পরিস্থিতি তৈরী হয়। এজন্য যুবক 'স্যার' এটাকে প্রেম হিসেবে ধরে নিলেও কিশোরী ছাত্রির কাছে তা ছিল নিছক ভাল লাগা।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৭

শিখা রহমান বলেছেন: কাঊসার সবসময়ে সুন্দর মন্তব্যে উৎসাহিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা।

"এজন্য যুবক 'স্যার' এটাকে প্রেম হিসেবে ধরে নিলেও কিশোরী ছাত্রির কাছে তা ছিল নিছক ভাল লাগা।" --- ঠিক বলেছেন যে এটা শুধু অসম বয়সেরই নয়, অসম প্রেমেরও গল্প।

শুভকামনা নিরন্তর। পাশে থাকার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।

১৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪০

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৮

শিখা রহমান বলেছেন: সনেট কবি পড়ার জন্য মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা কবি।

১৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

মাহের ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ লেখার গাঁথুনি।

শুভ কামনা রইল।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫০

শিখা রহমান বলেছেন: মাহের ইসলাম আপনাকে অনেকদিন পরে লেখায় পেলাম। :) মন্তব্যে মন আলো হয়ে গেলো।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

২০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বরাবরই আপনার লিখা পড়ে মুগ্ধ হই। আজো তার ব্যাতিক্রম হয়নি। অনেক সুন্দর লিখাটি।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫২

শিখা রহমান বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সুজন আপনার মুগ্ধতা যেন বজায় রাখতে পারি সেই চেষ্টা করবো। বরাবরের মতোই অনুপ্রেরণার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা। ভালো থাকুন সবসময়।

২১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:১৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: লেখার মাঝে বাস্তবতার ঘ্রান পাচ্ছি !!
হায় সেলুকাস!!!
এদেশের মেয়েরা কি অসভ্য!
প্রেম করতে জানে না,
তাহলে কার হৃদয় জয় করব ?

........................................................................................................

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৫

শিখা রহমান বলেছেন: স্বপ্নের শঙ্খচিল "লেখার মাঝে বাস্তবতার ঘ্রান পাচ্ছি !!"---আপনার মন্তব্যটা কমপ্লিমেন্ট হিসেবেই নিলাম। লেখায় বাস্তবতা ফুটে উঠলেই লেখাটা সার্থক। :)

মজার মন্তব্যের জন্য ও সুন্দর ছবিটার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

২২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান ,



ন্যাপথালিনের গন্ধ মাখা খয়েরী রঙের, আঁশটে হয়ে যাওয়া শালটির পারার কথা নয় আগুনের ওমটাকে পরতে পরতে জড়ানো । তবুও মানুষ তো উষ্ণতা খোঁজে কোনও এক সকালে রোদ্দুরের কাছে, শালের মতো জড়িয়ে রাখতে চায় শরীরে । রোদ্দুর কি তা জানে ! সকালটা দুপুরে গড়ায়, দুপুরটা সন্ধ্যায় , শালটা খসে পরে শরীর থেকে । সূর্য্যের বহ্ণিশিখা তখন অস্তাচলের পথে । অধরা ।

গল্পের কিশোরী থেকে নারী হয়ে ওঠা এক বহ্ণিও যেন সূর্য্যের মতো অস্তাচলের পথে । সে পথে যেতে যেতে কাউকেই উষ্ণতায় বাঁধেনি সেই নারী, থেকে গেছে অনাঘ্রাতা । তবুও তার চেতনায় একজন রোদ্দুর প্রত্যাশীর ছবি আজো ঝুলে আছে ন্যাপথালিনের গন্ধ হয়ে। যে গন্ধ সূর্য্যের বুকে খয়েরী রঙ ছড়াতে চেয়েছিলো একদিন ।
সুন্দর লেখা । অপ্রাপ্তির এবং দীর্ঘশ্বাসের ।

তবে শিরোনামটির সাথে গল্পের গন্ধ মিলছেনা !

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১১

শিখা রহমান বলেছেন: আহমেদ জী এস "তার চেতনায় একজন রোদ্দুর প্রত্যাশীর ছবি আজো ঝুলে আছে ন্যাপথালিনের গন্ধ হয়ে। যে গন্ধ সূর্য্যের বুকে খয়েরী রঙ ছড়াতে চেয়েছিলো একদিন ।
সুন্দর লেখা । অপ্রাপ্তির এবং দীর্ঘশ্বাসের ।"
---- এমন সুন্দর করে আমি নিজেও বোধহয় আমার লেখাটিকে ব্যাখ্যা করতে পারতাম না যেমনটা আপনি করলেন। মুগ্ধতা আর মুগ্ধতা!!

"তবে শিরোনামটির সাথে গল্পের গন্ধ মিলছেনা ! " --- আসলে আমি লেখক হিসেবে বড় কাব্যাশ্রয়ী। লেখার সময়ে আহসান হাবীবের "একবার বলেছি তোমাকে" মাথায় ঘুরছিলো যে!!

"একবার বলেছি, তোমাকে আমি ভালোবাসি।
একবার বলেছি, তোমাকে আমি, তোমাকেই ভালোবাসি।
বল
এখন সে কথা আমি ফেরাব কেমনে !
আমি একবার বলেছি তোমাকে ...
............................
একবার বলে তবে ফেরাতে পারে না। আমি
ফেরাতে পারি না। আমি
একবার বলেছি, তোমাকে আমি ভালোবাসি।
...............................
ভালোবাসা ভালোবাসা ভালোবাসা
ভালোবাসা ! সে কেমন, কোন দীপ্র স্বর্গীয় প্রতাপ
যার মৃত্যু নেই
জন্মান্তর নেই?"

ভালো থাকবেন কথার যাদুকর। আপনার মন্তব্য পাওয়ার লোভেই মাঝে মাঝে লেখা দিতে ইচ্ছে করে জানেনতো!! শুভকামনা সতত।

২৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৪

সোহানী বলেছেন: অসাধারন............

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

শিখা রহমান বলেছেন: সোহানী আপু ধন্যবাদ। অনেক ব্যস্ততার মাঝেও যে আপনি আমার গল্পগুলো পড়ে মন্তব্য করেন সে জন্য ভালোবাসা।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

২৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

নীল আকাশ বলেছেন: শিখা আপু, শবনমের পরের পর্ব দেয়া শুরু করেছি। পড়ার জন্য অনুরোধ রেখে গেলাম। আপনি আমার খুব পছন্দের একজন ব্লগার। সবাই কে আমি এভাবে পড়ার জন্য বলি না।
ভালো থাকবেন সব সময়।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩০

শিখা রহমান বলেছেন: নীল আমাকে জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। অনেক সময়েই ভালো লেখা খেয়াল করতে পারি না। বলেছেন দেখে আসলেই আমি সম্মানিত আর অভিভূত। গল্পটা অনেক ভালো লেগেছে। মন্তব্য করেছি আর আপনার প্রতিমন্তব্যও দেখেছি।

আপনিও ভালো থাকবেন। আরো দুর্দান্ত সব গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম।

২৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

মিথী_মারজান বলেছেন: সুন্দর মনস্তাত্ত্বিক গল্প।
বহ্নিকেই সাপোর্ট করবো আমি, আবার এদিকে স্যারের অসহায়ত্বটাও মনকে আচ্ছন্ন করে দেয়।
ভালোবাসা সত্যিই এক জটিল সমীকরণ।
চমৎকার!

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

শিখা রহমান বলেছেন: মিথীমনি তোমাকে লেখায় পেলেই মনে জারুল ফুল ফোটে জানতো!! "বহ্নিকেই সাপোর্ট করবো আমি, আবার এদিকে স্যারের অসহায়ত্বটাও মনকে আচ্ছন্ন করে দেয়।" --- আমিও বহ্নির সাথেই আছি। তবে ওই যে বললে "ভালোবাসা সত্যিই এক জটিল সমীকরণ।" --- শুধু সেজন্যেই অনেক বছর পরেও বহ্নির স্যারের জন্য মনখারাপ হয়।

ভালো থেকো আর যতোই জটিল হোক, ভালোবেসো। অনেক ভালোবাসা সুন্দর মন্তব্যটার জন্য।

২৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব ভাল লাগল।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫

শিখা রহমান বলেছেন: মোস্তফা সোহেল ভালো আছেন আশাকরি। লেখায় আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।

শুভকামনা নিরন্তর!!

২৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

লাবণ্য ২ বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন আপু।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:৩৪

শিখা রহমান বলেছেন: লাবণ্য ২ অনেকদিন পরে লেখায় আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।

শুভকামনা অফুরন্ত!!

২৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: গল্পটা ভাল লাগার প্রায় অনেকগুলো কারণ রয়েছে। বেশ ভাল হয়েছে। পাঠকরা এরকমটাই প্রত্যাশা করে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:৩৫

শিখা রহমান বলেছেন: মেহেদী পাঠকের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছি জেনে ভালো লাগলো।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা সতত।

২৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: অনেক কিছু না বলেও অসম্ভব পরিমিত বর্ণনাতেও যে একটা জটিল সম্পর্ক নিয়ে এমন অনবদ্য গল্প লেখা যায় সেটা শিখলাম (সারা জীবন চেষ্টা করেও যে শেখাটা দিয়ে এমন একটা গল্প লেখা যাবে না I আফসোস নেই কিন্তু I আপনার গল্পতো পড়তে পারছিই সেজন্য) I ব্রিলিয়ান্ট ! অনেক ভালো লাগা গল্পে I

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:৩৮

শিখা রহমান বলেছেন: মলাসইলমুইনা গল্প দিলেই আপনার কথা মনে পড়ে যায়। মনে হচ্ছিলো এই গল্পটা আপনার ভালো লাগতেও পারে। আপনার ভালোলাগা আমার মতো সামান্য লেখকের জন্য অনেক বড় পাওয়া।

মন্তব্যে বরাবরের মতোই অনুপ্রাণিত হলাম। ভালো থাকবেন। পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.