নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা প্রেমী; একটু এলোমেলো; উড়নচণ্ডী; আর বই ভালবাসি। শব্দ নিয়ে খেলা আমার বড্ড প্রিয়। গল্প-কবিতা-মুক্ত গদ্য সব লিখতেই ভালো লাগে। \"কেননা লেখার চেয়ে ভালো ফক্কিকারি কিছু জানা নেই আর।\"

শিখা রহমান

পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....

শিখা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৃষ্টি চিহ্নিত ভালোবাসা (দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব)

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৩৩


বৃষ্টি চিহ্নিত ভালোবাসা (প্রথম পর্ব)
৫.
বিছানার পাশে রাখা গ্লাস থেকে কয়েক ঢোক পানি খেতেই শীলা খেয়াল করলো আসলেই বৃষ্টি নেমেছে। বিছানা থেকে কয়েক হাত দূরে প্রায় পুরো দেয়াল জোড়া জানালা। জোর বৃষ্টি নেমেছে। সব জানালাই বন্ধ অবশ্য। এসি অন তাই ঘরের ভেতরে বোঝাই যায় না। মেজাজটা একটু খারাপ হলো। এই বৃষ্টির জন্য দেশ ছেড়ে এলো কিন্তু বৃষ্টি ওর পিছু ছাড়লো না। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের এই অঙ্গরাজ্য অ্যালাবামাতে সারাবছরই দেশের মতো ঝুম বৃষ্টি হয়, এমনকি শীতের সময়টাতেও।

অথচ একসময় শীলা বৃষ্টি কি অসম্ভব ভালোবাসতো। বৃষ্টি নামলেই ছাদে গিয়ে ভেজার জন্য অস্থির হয়ে যেতো। কত্তোদিন ছাতা থাকার পরেও বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে ফুটপাতে হেঁটেছে। আর বৃষ্টিতে রিক্সায় ঘোরা; ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে হুডতোল…ও আর রঞ্জন। শীলার আবার নীল প্লাস্টিকের চাদর ছাড়া চলবে না। রঞ্জু খুব রেগে যেতো; বৃষ্টির সময় এমনিতেই রিকসা পাওয়া কঠিন; নীল চাদর খুঁজতে খুঁজতে বৃষ্টিতে ভিজে শেষ। আহ্ রঞ্জন...রঞ্জু...কত্তোদিন পরে ওর কথা ইচ্ছে করে ভাবলো।

পরের দিকে শীলার এই বৃষ্টি বিলাসে অভ্যস্ত হয়ে গেলেও প্রথমদিন রঞ্জু খুব রেগেছিলো। সেদিন ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে রিকসাতে উঠলেও যখন অঝোর বৃষ্টি নেমেছিলো শীলা আচমকা হুড নামিয়ে দিয়েছিলো। রঞ্জু মোটেও প্রস্তুত ছিলো না এই বরষাধারায় অবগাহনের জন্য। চেঁচামেচি করে রিকসা থেকে নেমে গিয়েছিলো; কথা বন্ধ করে দিয়েছিলো। সেই অভিমান ভাঙ্গানোর জন্য শীলাকে অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হয়েছিলো। রঞ্জু একটু রাগী আর অভিমানী।

- প্লিজ রঞ্জু আর এমন হবে না...এবারের মতো মাপ করে দে...
- তুই পাগল...তোর সাথে আমি থাকবো না...নিউমোনিয়া হয়ে মারা যাবো...
- আমি বুঝিনি যে তুই রাগ হবি...বৃষ্টি নামলে না আমার মাথা ঠিক থাকে না...
- মাপ করতে পারি যদি...
- যদি? কি করতে হবে বল...
- আরেকদিন বৃষ্টি নামুক উসুল করে নেবো...এখন ঘ্যান ঘ্যান বন্ধ করতো...
- রাগ কমেছে?
- রাগ মুলতুবী রাখলাম...আরেকদিন বৃষ্টির অপেক্ষায়...একটা জলরঙা বিকেলের অপেক্ষায়...

এরপরে কোন একদিন বৃষ্টি নেমেছিলো...ওরা দুজনে রিক্সায়। রঞ্জু নিজেই ঝুম বৃষ্টি নামতেই হুড নামিয়ে দিয়েছিলো। রঞ্জুর চোখ মাতাল হয়েছিল…সেই প্রথম চুমু। শীলার এখনও মনে আছে...উহহ!! ওর সমস্ত শরীর নদী হয়ে গিয়েছিলো…জোড়া ঠোঁটের মাঝে ভালোবাসা সেদিন বৃষ্টির জল হয়ে ঝরছে। সমস্ত পৃথিবী মুছে গিয়েছিলো,সমস্ত শরীরও। শীলা শুধু একজোড়া ঠোঁট হয়ে গিয়েছিলো, যারা নীল শীতল বৃষ্টিতে আরেক জোড়া জ্বর তপ্ত ঠোঁটে ডুব দিয়ে আছে। সমস্ত অনুভূতি, সব ভালোবাসা, সম্পূর্ণ অস্তিত্ব একটা চুমুতে কেন্দ্রীভুত...এমন কি হয়? কি ভাবে হয়?

ওদের সম্পর্কটা সবাই জানত...কখনোই লুকানোর চেষ্টা করেনিতো। শীলার মনে হয়েছিলো এই মানুষটার সাথে বোধহয় সারাটা জীবন কাটানো যায়। রঞ্জুর চোখগুলোর দীঘল পাপঁড়িতে বৃষ্টির জল জমে যখন ছায়া ফেলে তখন সেই জল চুমুতে চুমুতে শুষে নিতে পারবে ও সারাটা জীবন।

রঞ্জু প্রথম থেকেই একটু বেশী অধিকারপরায়ন; অল্পতেই ঈর্ষান্বিত হয়। শিলার খারাপ লাগতো না; বরং মজাই লাগতো যখন সামান্য কারনে মুখভার করতো। শীলা খুব মিশুক। বন্ধুরাতো ওকে ডাকেই “পাগলী” বলে। মেয়েদের পাশাপাশি ওর অনেক ভালো ছেলে বন্ধু। ওদের সাথে একটু বেশী কথা বলতে দেখলে বা হাসাহাসি করলে রঞ্জু মন খারাপ করতো। কিন্তু শীলার বুকে সে সময়টা সুখের মতো ব্যথা চিনচিন করতো এই ভেবে যে একটা মানুষ ওকে পাবার জন্য এত্তো ব্যাকুল হয়ে আছে।

শীলা একবার রঞ্জুকে ওর স্বপ্নের কথা লিখেছিলো। ওর স্বপ্নের গ্লাসহাউসের কথ...শহর থেকে দূরে। চারিদিকে কাঁচের দেয়াল; বাইরে শুধুই সবুজ গাছের সারি; বৃষ্টি নামলেই কাঁচের ওপাশে অ্যালুমিনিয়াম রঙা বৃষ্টির চাদর। ওরা কি তীব্রভাবেই না প্রেমে পড়েছিল...বড্ড বেশীই আবেগ ছিলো, আর ছেলেমানুষী আর পাগলামি। সমস্ত পৃথিবী থেকে আলাদা হয়ে ওরা আসলেই একটা গ্লাসহাউসে ছিলো। শীলা আর রঞ্জন পুরোপুরি ডুবে গিয়েছিলো পরষ্পরের মধ্যে, ‘শিলাবৃষ্টি’ আর ‘মেঘ’ এর নিজস্ব ভুবনে।

৬.
- এই শোন তুই কি এতোক্ষন কারো সাথে কথা বলছিলি?
- হুউউ...বলছিলাম তো রুহুলের সাথে...কেনরে?
- নাহ...মানে রঞ্জু আমাকে ফোন করেছিলো্‌...কথায় মনে হলো চেক করছে যে তুই কার সাথে কথা বলছিস...
- বীথি তোর না এখনও এই সব ফালতু চিন্তা করার অভ্যাস গেলো না...রঞ্জু বুঝি এমনি তোকে ফোন করতে পারে না?
- শীলা কিছু মনে করিস না একটা কথা বলি...রঞ্জুকে আমার ঠিক নরমাল মনে হয় না...তোকে খুব বেশী আগলে আগলে রাখে...
- ফালতু কথা বলিস নাতো!!!
- খেয়াল করে দ্যাখ তুই ওর সাথে সম্পর্কের পরে কত্তো বদলে গেছিস...আগের মতো নেই...
- হুউউ...বলেছে তোকে?
- সেদিন তানভীরের জন্মদিনে আমরা সবাই খেতে গেলাম...তুই গেলি না রঞ্জু মানা করলো বলে...ও কেন মানা করবে?
- আরে রঞ্জু না একটু জেলাস টাইপের...ওই যে তানভীর আমাকে চিঠি দিয়েছিলো তাই...
- সে তো কবেকার কথা...আর তুইতো রঞ্জুর সাথেই আছিস তাই না?
- বাদ দে তো অন্য কথা বল...

বীথির কাছে অস্বীকার করলেও শীলা টের পাচ্ছিল রঞ্জুর সাথে সম্পর্কটা বদলে যাচ্ছে। যে ব্যাপার গুলো প্রথম প্রথম ভালোবাসার স্বাভাবিক ঈর্ষা মনে হতো সে গুলো এখন ভালবাসার অত্যাচার মনে হয়। যে কথা গুলো প্রথমে ভালোবাসার অনুরোধ মনে হতো সেগুলো এখন অধিকারের অনুরনন মনে হয়। শীলা ভেবে নিয়েছিলো সম্পর্ক এগোলে সময়ের সাথে সাথে রঞ্জু আশ্বস্ত হবে, এই ব্যাপারগুলো কমে যাবে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে রঞ্জুর ইন্সিকিউরিটি বাড়ছে। কমছে কই? যতোই রঞ্জুর নজরদারী বাড়ছে ততোই শীলার দমবন্ধ ভাব বাড়ছে। রঞ্জু তো ও কেমন জেনেই কাছে এসেছে...জোছনাকে কি হাতের মুঠোয় ধরা যায়? নদীর জলকে পুকুরে বন্দী করলে সে কি আর নদী থাকে?

শীলা ভাবছিলো যে রঞ্জুর সাথে এ ব্যাপারটা নিয়ে সরাসরি কথা বলবে। কিন্তু কি ভাবে বলবে ভাবতে না ভাবতেই অঘটন ঘটে গেলো। তখন পরীক্ষার আগে প্রিপারেটরী লিভ চলছে...শেষ টার্ম।

- তুমি কি এতোক্ষন তানভীরের সাথে কথা বলছিলে?
- নাতো...কেন বলতো?
- মিথ্যা কথা বলবে না আমি তোমাদের দুজনের ফোন ঘণ্টা খানেক ধরে ট্রাই করে দেখেছি...এনগেজড ছিলো আর এখন দুটোই ফ্রি...
- আশ্চর্য!!! পড়া বাদ দিয়ে তুমি সবার ফোন চেক করে বেড়াচ্ছো নাকি?

ফোনের ওপাশে রঞ্জুর রাগান্বিত কন্ঠ বলে দিচ্ছিলো সে খুবই ক্রুদ্ধ। শীলা বুঝতে পারছিলো না যে সে যদি তানভীরের সাথে কথা বলেও থাকে সমস্যা কোথায়...রঞ্জু কেন কাউকেই লুকানোর মতো তো ওর কিছু নেই। মায়ের ফোনে চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছিলো। ছোট খালা তাই শীলার ফোনে কল দিয়ে মার সাথে অনেকক্ষণ গল্প করেছিলো। কিন্তু শীলা এই কথাটা বলার আগেই রঞ্জু ঠাস করে ফোন কেটে দিয়েছিলো। সেই প্রথম শীলা রঞ্জুকে আর ফোন ব্যাক করেনি। বড্ড বিরক্ত হয়েছিলো ও; অনুনয় করে রঞ্জুর রাগ ভাঙ্গাতে ইচ্ছে করেনি। ভীষণ ক্লান্ত লেগেছিলো; রঞ্জুর কথা না ভেবে পড়ায় মন দিয়েছিলো। আর ভেবে রেখেছিলো যে পরীক্ষা শেষ হলে রঞ্জুর সাথে কথা বলবে। পরীক্ষার মাঝে এই সব নাটকীয়তা ভাল লাগে না।

এর দুদিন পরে পরীক্ষা শেষ হতে সামনের বেঞ্চে বসা রুহুলের সাথে প্রশ্ন নিয়ে আলাপ হচ্ছিলো। হঠাৎ বীথি এসে বললো “শীলা...তাড়াতাড়ি বারান্দায় আয়...প্লিজ...একটু রঞ্জুকে থামা...” শীলা কিছু না বুঝেই রুমের বাইরে এসে দেখে রঞ্জু তানভীরের কলার ধরে আছে “তোর শীলার সাথে এতো কি কথা থাকে? শালা! খালি ছোঁক ছোঁক!!” শীলা এমন অবাক হয়ে গিয়েছিলো।

পাশে গিয়ে দাড়াতেই রঞ্জু কলার ছেড়ে দিয়েছিলো। চারপাশে মজা দেখতে জড়ো হওয়া সারি সারি মুখ। ও শুধু আস্তে করে রঞ্জুকে বলেছিলো “আমাদের মনে হয় একটু ব্রেক নেয়া উচিত...প্লিজ পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত তুমি আর আমার সাথে যোগাযোগ করো না...” চলে যেতে যেতে পিছু ফিরে বলেছিলো “আর আমার বন্ধুদের সাথেও তুমি যোগাযোগ করবে না...” শীলার কন্ঠে একটা আশ্চর্য শীতলতা ছিলো আর দৃঢ়তা। রঞ্জু ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছিলো।

৭.
“রূপালি মানবী, সন্ধ্যায় আজ শ্রাবণ ধারায়
ভিজিও না মুখ, রূপালী চক্ষু, বরং বারান্দায় উঠে এসো
ঘরের ভিতরে বেতের চেয়ার, জানলা বন্ধ দরজা বন্ধ
রূপালী মানবী, তালা খুলে নাও, দেয়ালে বোতাম আলো জ্বেলে নাও,
অথবা অন্ধকারেই বসবে, কাচের শার্সি থাকুক বন্ধ
দূর থেকে আজ বৃষ্টি দেখবে, ঘরের ভিতরে বেতের চেয়ার, তালা খুলে নাও।“

মেসেঞ্জারে টুং করতেই শীলা কবিতাটা দেখে জানালা দিয়ে বাইরে তাকালো। আসলেই বৃষ্টি নেমেছে। রঞ্জু সেদিনের পরে আর ফোন না করলেও ফেসবুকে মাঝে সাঝেই কবিতা পাঠিয়েছে। শীলা অবশ্য কোন উত্তর দেয়নি। পরীক্ষা শেষ করার আগে ও এসব নিয়ে ভাবতে চায় না; ভাবলে বড় অস্থির লাগে।

আবারো টুং... “রূপালী মানবী, আজ তুমি ঐ জানলার পাশে বেতের চেয়ারে
একলা এসব আঁধারে অথবা দেয়ালে বোতাম আলো জ্বেলে নাও
ঠান্ডা কাঁচের শার্সিতে রাখো ও রূপালী মুখ, দুই উৎসুক চোখ মেলে দাও।
বাইরে বৃষ্টি, বিষম বৃষ্টি, আজ তুমি ঐ রূপালী শরীরে
বৃষ্টি দেখবে প্রান্তরময়, আকাশ মুচড়ে বৃষ্টির ধারা…”

সুনীলের এই কবিতাটা শীলার খুব ভালো লেগেছিলো; রঞ্জু পাঠানোর আগে ও এটা পড়েনি। পড়ে বলেছিলো “আচ্ছা আমি কি তোমার রুপালী মানবী?” “হুম...তোমার জন্য আমি ঠিক ঠিক একদিন বৃষ্টির পর্দা ঘেরা একটা গ্লাসহাউস গড়ে দেবো...ঠিক তোমার স্বপ্নের মতো...বৃষ্টি ভেজা দিনে তুমি আর আমি.....সমস্ত পৃথিবী থেকে আলাদা!!” আবারো টুং শব্দে শীলার ভাবনায় ছেদ পড়ে।

“আমি দূরে এক বৃষ্টির নিচে দাঁড়িয়ে রয়েছি, একলা রয়েছি,
ভিজেছে আমার সর্ব শরীর, লোহার শরীর, ভিজুক আজকে
বাজ বিদ্যুৎ একলা দাঁড়িয়ে মানি না, সকাল বিকেল
খরচোখে আমি চেয়ে আছি ঐ জানলার দিকে, কাচের এপাশে
যতই বাতাস আঘাত করুক, তবুও তোমার রূপালী চক্ষু-
আজ আমি একা বৃষ্টিতে ভিজে, রূপালী মানবী, দেখবো তোমার
বৃষ্টি না ভেজা একা বসে থাকা।–“

মেসেজটা পড়েই কেন যেন শীলার মেরুদন্ড বেয়ে শীতল স্রোত বয়ে গেল। ওর ষষ্ঠইন্দ্রিয় বলে দিচ্ছে যে জানালার ওপাশে রঞ্জু আছে। ও জানালার পাশে গিয়ে দাড়াতেই দেখলো রঞ্জু দাঁড়িয়ে আছে বাসার সামনে রাস্তার ওপাশে। ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে এক সাঁ; জল গড়িয়ে পড়ছে ওর মুখ বেয়ে; চুলের ডগা বেয়ে টুপটাপ অবিশ্রান্ত জলের ফোঁটা ঝরছে।

ও একটুও নড়ছে না; ঠান্ডায় নীল নীল ঠোঁট। স্থির চোখে তাকিয়ে আছে ওর দিকে; পলক ফেলছে না। শীলা মনে মনে দেখতে পাচ্ছে ওর চোখের দীঘল পাপড়িতে জল জমেছে। রঞ্জু একটুও নড়ছে না; ঠিক যেন জলছবিতে আঁকা একটা অদ্ভুত সুন্দর মানুষ। কিন্তু এই দারুন সুন্দর ছবিটার দিকে তাকিয়ে শীলার ভয় লাগছে কেন? ও জানে...ও জানে খুব ভয়ঙ্কর কিছু ঘটবে...কি করবে এখন? ভীষন আতঙ্কে শীলা জমে গেছে; ওই অমানবিক চোখ থেকে চোখ ফেরাতে পারছে না...খুব ভয়ঙ্কর কিছু ঘটবে এখনি...

শীলার চোখে চোখ রেখেই রঞ্জু ডান পকেট থেকে ছুরি বের করলো; আলো আঁধারীতে ঝলসে উঠলো ইস্পাতের ফলা। বাম হাতের কব্জিতে কাটাকুটি। শীলার কথা বলতে পারছে না কেন? চোখ দুটো কি শীতল...কি অমানবিক...চোখ দুটো মরে গেছে। একি বৃষ্টির পানি রং বদলালো কেন? চারপাশ এমন রক্ত লাল!! শীলা অস্ফুট শব্দ করে উঠলো...পৃথিবীটা দুলে উঠলো।

৮.
শীলা জ্ঞান হারিয়েছিলো। তখন ভোর চারটা। পড়ে যাওয়ার শব্দে বাসার মানুষেরা জেগে গিয়েছিল। জ্ঞান ফেরার পরে ও সাথে সাথেই রঞ্জুর কথা জানতে চেয়েছিলো। বাবা মা ওদের সম্পর্কের কথা জানতেন; জানালার বাইরে রঞ্জুকে দেখে হসপিটালে ভর্তি করিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে বাবা বুয়েটে ডি এস ডাব্লিউ(ডিরেকক্টর অফ স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার) স্যারের সাথে কথা বলেছিলেন। রঞ্জু পুরোই এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলো; স্যার ওর বাবা মার সাথে কথা বলে হল থেকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।

একটাই পরীক্ষা বাকী ছিলো; শীলা কোনমতে পাশ করলো। সারা বুয়েটে ওকে নিয়ে কানাকানি। কি ভাবে যেন ওরই বদনাম হয়ে গেলো। কোন মেয়ের জন্য যখন একটা ছেলের মাথা খারাপ হয়ে যায় তখন কেউতো কিছু জানতে চায় না। মেয়েরাতো এমনিতেই ছেলেদের মাথা খারাপ করার জন্য দায়ী তাই না?

কাছের বন্ধুরা অনেক কিছু জানলেও কেন যেন দু’দলে বিভক্ত হয়ে গেলো; একদল ওর পক্ষে, আর অন্যদল রঞ্জুর পক্ষে। একসাথে হলেই প্রথমে ফিসফাস...তারপরে বাক বিতন্ডা যে কার দোষ...কেন এমন হলো তার চুলচেরা বিশ্লেষণ। শীলার এসব নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগে না; ও শুধু একটু শান্তিতে ঘুমাতে চায়। ওর স্বপ্নে যে ওই রক্তলাল বৃষ্টিতে একজোড়া মরা চোখ হানা দেয়। আস্তে আস্তে ও বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলো।

কেমন আছে রঞ্জু এখন? কোথায় আছে? অনেক অনেক দিন শীলা বৃষ্টি সহ্য করতে পারতো না। তাকালে কিছুক্ষণ পরেই মনে হতো বৃষ্টির রং রুপালী থেকে বদলে রক্ত লাল হয়ে গেছে। বৃষ্টি নামলে জানালায় ভারী পর্দা টেনে দিতো। মনে হতো শার্সির ওপাশে এক জোড়া শীতল পলকহীন চোখ ওর দিকে তাকিয়ে আছে।

সারা পৃথিবী থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলো শীলা। বাসা থেকে বের হতে ভয় করতো; যদি দেখে কোথাও রঞ্জু দাঁড়িয়ে আছে। যাকে একসময় এক পলক দেখার জন্য এমন অস্থির লাগতো তার কথা ভাবা মাত্র এমন তীব্র ভয়, এমন প্রচন্ড আতঙ্ক হতে পারে? ভালোবাসা কখনো কখনো ঘৃনায় বদলে যায় শীলা জানতো, কিন্তু ভালোবাসা কি এমন তীব্র ভয়ের জন্ম দিতে পারে?

৯.
- আমি কেন তোমার সাথে কথা বলতে চাইছি তা বোধহয় জানো…
- জানি...আমাকে বিয়ে করতে চাইছেন কিন্তু আপনি কি আমার বিষয়ে সব জানেন?
- তোমাদের বাসায় প্রোপজাল পাঠানোর আগে শাহীন আমাকে বলেছে তোমার সমস্যার কথা।
- আপনি ভাইয়ার স্কুল ফ্রেন্ড…ইন্টারমিডিয়েটর পর থেকে অনেক বছর হলো বিদেশে আছেন। জানি না ভাইয়া আপনাকে কতোখানি খুলে বলেছে।
- আমি জানি একটা ছেলে তোমাকে ভালোবেসে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছে। And after that incident you have detached yourself from the rest of the world. I can only guess how terrifying that incident must be for you.
- আপনি ঠিক বলেছেন শুধু একটা তথ্য বাদ পড়ে গেছে। আমিও ওই ছেলেটাকে ভালোবাসতাম, পাগলের মতো ভালোবাসতাম। এটা জানার পরেও কি আপনি আমাকে বিয়ে করতে চান?
- হ্যাঁ চাই...তোমাকে দেখার সাথে সাথেই আমার মনে হয়েছে তোমাকে পাশে পেলে জীবনটা সুন্দর হতো। মানুষের ভালোবাসার ক্ষমতা অসীম। ওই ছেলেটাকে ভালোবাসতে বলে আমাকে তুমি ভালোবাসবে না বলে মনে হয় না...দেখো আমি দারুন একজন মানুষ। গ্যারান্টি দিচ্ছি ভালোবাসার...

মাহীনের চোখে মুখে হাসির ঝলক; শীলার হঠাৎ করেই মানুষটাকে ভালো লেগে গেলো। সেই প্রথম শীলা কাউকে ওর দুঃস্বপ্নের কথা, ওর তন্দ্রাহীনটার কথা বলেছিলো। কেন যেন মনে হলো এই মানুষটা ওকে কখনো রঞ্জুর কথা বলে খোঁটা দেবে না; এই মানুষটার বুকেই আছে ওর “স্বর্ণচাঁপার গাছ, আকাশের মতো বড়ো নীল পোষ্টাপিস...অরণ্যের চিত্রকলা, গোপন স্টুডিও; তার বুকে আছে দেরি করে ঘরে ফিরে ডাক দিলে যে দেয় দুয়ার খুলে সেই ভালোবাসা, যে এসে ভীষণ জ্বরে মাথায় কোমল হাত রাখে সেই দুঃখবোধ...আকশের মতো সেই বড়ো নীল পোস্টাপিস, তার বুকে আছে গোপনীয় খাম হাতে সোনালি পিয়ন।“

বৃষ্টির শহর ছেড়ে শীলা রোদের তৃষ্ণা নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমালো। বিয়ে হয়েছে মাস সাতেক; শীলা অনেক দিন পরে আজ আবার ওই স্বপ্নটা দেখলো। পাশে মাহীন অঘোরে ঘুমাচ্ছে। ও পিঠে মাথা রাখতেই মাহীন ওর দিকে ঘুরে জড়িয়ে ধরলো; ঘুম ঘুম আদুরে স্বরে বললো “শীলু কি ভয় পেয়েছো?” বুকে মাথা রেখে শীলা বাইরে জানালায় চোখ রাখলো। বাইরে বৃষ্টির রং বদলাক; বজ্রপাতে ঝলসে উঠুক ইস্পাতের ফলা; শীলার আর ভয় করছে না, ওর আছে মুখ লুকানোর জায়গা, আর ভয় পেলে জড়িয়ে ধরার জন্য দুটো বলিষ্ঠ হাত।

(সমাপ্ত)

© শিখা রহমান
(ছবি ইন্টারনেটে সংগৃহীত)

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা ! খুব সুন্দর লিখেছেন আপু। শিলা -বৃষ্টির বা শিলা- রঞ্জুর অবগাহন । যদিও সে অবগাহন শিলার সুখকর হয়নি। কাজেই যা থেকে পরে মুক্ত হয়ে মহীনের ঘোড়া হয়ে আগামীতে দুরন্ত ছোটার অপেক্ষায় ছিল । রঞ্জু শিলার প্রেম দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়ে গেলেও থেমে যাওয়ার নয় , যে কারণেই মহিন এখানে শিলার মনের সেই অপূর্ণতার পরিপূর্ণতা দিতে এগিয়ে এসেছেন । সেখানে শিলা নতুন করে স্বর্ণচাঁপার সৌন্দর্যের সন্ধান পেয়েছে।

শুভকামনা প্রিয় আপু

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

শিখা রহমান বলেছেন: পদাতিক মন্তব্যে এতো সুন্দর আর কাব্যিকভাবে গল্পটার সারাংশ দিলেন যে আমি অভিভূত হলাম।

মন্তব্যে ভালোলাগা আর একরাশ মুগ্ধতা। ভালো থাকবেন প্রিয় লেখক। শুভকামনা নিরন্তর!!

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: মেয়েরাতো এমনিতেই ছেলেদের মাথা খারাপ করার জন্য দায়ী তাই না? এই গল্পটা দিয়ে সেটাই প্রমান করে দিলেন -কথাটা সত্যি। গল্পটা পরে ভালো লাগায় মাথা খারাপ না হলেও কোথায় কেন জানি খারাপ লাগলো।খুব ভালো লাগা নিয়ে পড়লাম। আরো বেশি ভালোলাগায় সুনামিতে ভেসেও গেলাম। মার্ভেলাস।সিম্পলি মার্ভেলাস।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২০

শিখা রহমান বলেছেন: মলাসইলমুইনা আপনি যে আমার খুব প্রিয় একজন লেখক তাই নয়, আপনি আমার খুব প্রিয় একজন পাঠকও। আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকি গল্প দিলেই।

গল্পের শেষটা সুন্দর হলেও আর জীবন থেমে না থাকলেও পুরো গল্পটা কিন্তু আদতেই মনখারাপ করা বিষণ্ণ একটা গল্প। বড় গল্প কেউ পড়তে চায় না আর তাই অনেক গল্পই ব্লগে দেয়া হয় না। আপনি এমন দীর্ঘ গল্প "খুব ভালো লাগা" নিয়ে পড়েছেন শুনে আসলেই মনভালো হয়ে গেলো।

মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য আর সবসময় পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা। অফুরন্ত শুভকামনা প্রিয় লেখক।

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৭

মীর সাজ্জাদ বলেছেন: দারুন একটি গল্প। জীবনে রঙের নানারুপ পরিবর্তন। পড়তে পড়তে ভাবছিলাম দু:খ নিয়েই হয়তো শেষ হবে গল্পটা। কিন্তু ইন্ডিং টা পড়ে সত্যিই খুবই ভালো লাগলো। কারো জন্য যে কারো জীবন থেমে থাকেনা তা গল্পে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করলেন।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

শিখা রহমান বলেছেন: মীর সাজ্জাদ আপনার মন্তব্যে মন খুব ভালো হয়ে গেলো, আসলেই!! "কারো জন্য যে কারো জীবন থেমে থাকেনা তা গল্পে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করলেন।" --- আমি গল্পে তাই বলতে চেয়েছিলাম।

পড়ার জন্যে আর সুচিন্তিত মন্তব্যটার জন্য ভালোলাগা রইলো। আপনাকে শুভকামনা। ভালো থাকুন সবসময়।

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৯

নীল আকাশ বলেছেন: আপু দারুন হয়েছে। ফিনিস সুপার ডুপার। কিন্তু সন্দেহ আমার মন থেকে এখনও যায় নি?
গল্পের কাহিনী কার আপু, বড়ই সন্দেহ জনক?????? মনের ভিতর খটকা খটকা লাগছে.......।?????? বড় বেশী বাস্তব মনে হচ্ছে.......
কালকে একটা নতুন লেখা দিব। পড়ার আমন্ত্রন দিয়ে গেলাম আপু।
ভালো থাকবেন আর আপনার জন্য শুভ কামনা রইল!

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৭

শিখা রহমান বলেছেন: নীল গল্পটা "বড় বেশী বাস্তব" মনে হলে সেটা আমি কমপ্লিমেন্ট হিসেবে নিচ্ছি। মনে হচ্ছে লেখাটা সার্থক!!

গল্পের শেষটা আপনার ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো। জীবনতো আসলে থেমে থাকে না।

"গল্পের কাহিনী কার আপু, বড়ই সন্দেহ জনক?????? মনের ভিতর খটকা খটকা লাগছে.......।??????" --- গল্পকে আসলে গল্প হিসেবেই নেয়া উচিত। :)

শুভকামনা আর ধন্যবাদ সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৬

নীল আকাশ বলেছেন: মলাসইলমুইনা বলেছেন: মেয়েরাতো এমনিতেই ছেলেদের মাথা খারাপ করার জন্য দায়ী তাই না?
ভালোবাসার প্রকাশ একেক জনের একেক রকম। কারো কারো একাকিত্ব সহ্য করার ক্ষমতা দেয়া হয়নি পৃথিবীতে আসার সময়। কেউ কেউ অসম্ভব ভালোবাসা বেশীদিন সহ্য করতে পারে না। বাস্তবতা এতই কঠিন, যে কখনও কখনও বুকের ভিতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালবাসাও প্রচন্ড অসহায় হয়ে পড়ে। অসহায়ত্ব মানুষ কে কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে আমি সেটার অনেক অনেক নমুনা দেখছি..........আপুর এই ঘটনা তাই আমার বাস্তবই মনে হয়েছে......। এটার জন্য অন্য কাউকে দায়ী করা ঠিক হবে না...। ভালোবাসার মানুষের কেউ কোন দিনও ক্ষতি চায় না......।
কাউকে প্রচন্ডভাবে ভালবাসার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা আছে। নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়। এই পুরো ব্যাপারটা নিজেকে ছোট করে দেয়। - হুমায়ূন আহমেদ

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

শিখা রহমান বলেছেন: নীল আপনি সম্ভবত মলাসইলমুইনার মন্তব্য বুঝতে ভুল করেছেন।

"মেয়েরাতো এমনিতেই ছেলেদের মাথা খারাপ করার জন্য দায়ী তাই না?"
--- এই লাইনটা উনি আমার গল্প থেকে তুলে মন্তব্য করেছেন। আর আমি অথবা উনি আসলে এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলেছি। এমন ঘটনা ঘটলে মেয়েটার জীবন যেমনটা থমকে যায়, উল্টোটা হলে কিন্তু তা নয়। কোন ছেলের জন্য একটা মেয়ে মানসিনক ভারসাম্য হারিয়ে ফেললে সমাজ কখনোই এমন দোষারোপ করে না বা ছেলেটার জীবনসঙ্গী বেছে নেয়ার ক্ষেত্রেও সেটা তেমন বিবেচনায় আসে না।

ভালো থাকুন। লেখার সাথে সাথে মন্তব্যগুলোও মন দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লেখা?

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫০

শিখা রহমান বলেছেন: রাজীব ঠিক বলেছেন। এই লেখাটার জন্য, আসলে সব লেখার জন্যে আমি বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের চেষ্টা করি, যাকে বলে ফিল্ড রিসার্চ।

যেমন এই লেখাটার জন্য আমি কঠিন পড়াশোনা করে প্রথমে বুয়েটে ভর্তি হয়েছিলাম। তারপরে রিক্সার পর্দা চেক করা শুরু করলাম...নীল না হলে বাদ!! পলাশীর মোড়ে বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জ্বর বাঁধিয়ে ফেললাম। :( অবশেষে রঞ্জুর দেখা পেলাম। :) তারপরে বুঝতেই পারছেন প্রেমের অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম। :`> লেখাটার জন্য আমি নিজে কয়েকবার ব্লেড দিয়ে কব্জি কেটে আত্মহত্যাও করেছি। :-&

বড় কষ্ট করে একেকটা গল্প লিখি। কল্পনাশক্তি নাই, আবার গল্প লেখার শখ!! কি করবো বলেন? :((

আপনি যে সবসময় আমার এতো কষ্টে লেখা গল্পে মন্তব্য করে পাশে থাকেন সেজন্য অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা। :)

৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৩

উম্মে সায়মা বলেছেন: দেখলেন আমি জানতাম এমনই কিছু একটা হবে। :( প্রকৃতি বেশি ভালোবাসা সহ্য করেনা৷ রঞ্জু আর শীলা দুজনের জন্যই খারাপ লাগছে৷ রঞ্জুর কি হল এরপর জানতে ইচ্ছে করছে। কোন গল্প আমার বেশি ভালো লাগলে তারপর কি হল সব জানতে ইচ্ছা করে। হ্যাপি এন্ডিং হলেও৷ মনে হয় আরেকটু যদি জানতাম পরে কি হল। মনে হয় গল্পটা চলতেই থাকুক চলতেই থাকুক।
আর মাহীনের মত ছেলেরা পৃথীবিতে আছে বলেই হয়তো শীলার মত মেয়েরা আবার নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারে।
খুব সুন্দর জীবনঘেঁষা একটা গল্প আপু। আপনার লেখার হাত সত্যিই অতুলনীয়। সেটা হোক গল্প কি কবিতা.....

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৬

শিখা রহমান বলেছেন: সায়মা মনি তোমার এত্তো ব্যস্ততার মাঝে সময় করে এই বড় গল্পটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। :)

"কোন গল্প আমার বেশি ভালো লাগলে তারপর কি হল সব জানতে ইচ্ছা করে।" --- এই বাক্যটার জন্য তোমাকে এত্তো ভালবাসা। আসলে জীবনতো থেমে থাকে না। আরো লিখলে লেখক আর মানুষ হিসেবে চাইতাম রঞ্জন মানসিক সমস্যা কাটিয়ে উঠে নতুন কাউকে খুঁজে নিয়েছে।

ধন্যবাদ মনভালো মন আলো করা মন্তব্যটার জন্য। ভালো থেকো সায়মা মনি। শুভকামনা ও এত্তোগুলো ভালোবাসা মিষ্টি কবি।

৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: প্রথম পর্বে মনে করেছিলাম ইন্ডিংটা অন্যরকম হবে, তবে শিলার শেষটা জানতে পারলাম কিন্তু রন্জুর কি হল তা গল্পই রয়ে গেল। আপনার লিখা আমার অনেক ভাল লাগে। সবসময় ব্লগে আপনার লিখা খোঁজ করে পড়ি। ভাল থাকবেন সবসময়।
আবারো নতুন লিখায় দেখা হওয়ার প্রত্যাশা রাখছি।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪

শিখা রহমান বলেছেন: সুজন আসলে গল্পটা দুই পর্বে না দিলে হয়তোবা সমাপ্তির ভাবনাটা অন্যরকম হতো। আপনার মন্তব্যে আপ্লুত হলাম ও অনুপ্রাণিত হলাম। ব্লগে এসে আপনি আমার লেখা খুঁজে পড়েন শুনে যে কি দারুণ ভালোলাগায় মন ভরে গেলো।

পাশে থাকার জন্য, মন্তব্যে অনুপ্রেরণার জন্য ভালোলাগা আর কৃতজ্ঞতা রইলো। শুভকামনা অফুরন্ত!!

আবারো দেখা হবে অবশ্যই!! পরের লেখায় আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকবো।

৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: খুব ইচ্ছে করছে সেই বাঁকের ভাইয়ের ফাঁসি ঠেকানোর মত করে রাস্তায় নামতে :(

কি করলে ? কী যে করলে !!! রঞ্জন রঞ্জন ......

তুমি এভাবে এ পর্বে শেষ করতে পারো না , কিছুতেই না ।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭

শিখা রহমান বলেছেন: নীরা :( রঞ্জনের প্রেমিকার কি আর এমন সমাপ্তি ভালো লাগে!!

নাম বদলে গল্পটা দিলেই হতো। তোমায় ভুলে গিয়েছিলাম আমার কবিতার মেয়ে।

কথা দিচ্ছি রঞ্জনকে নিয়ে মন আলো করা কবিতা দেবো খুব শীঘ্রই। :)

ভালোবাসা এত্তো নীরা। মন খারাপ পুষিয়ে দেবো কথা দিলাম। ভালো থেকো ভালোবাসায়।

১০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: একেবারে বাস্তব গল্প। শতকরা নব্বই ভাগ প্রেমের জুটির পরিণতি এটাই। আপনার সাবলীল লেখনির গুণে সবধরনের পাঠকের জন্য আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। আমি আগেও বলেছিলাম যে, আপনি বই লিখছেন কি না? আমার মনে হয় আপনার লেখা যে কোন বই পাঠকপ্রিয়তা পাবে। আপনার গল্পগুলো নিয়ে একটা সংকলন অনায়াসে তৈরী করা যায়। আর উপন্যাস লিখলে তো সোনায়সোহাগা। আশা করি ব্যাপারটা ভেবে দেখবেন!

সবশেষে দারুণ একটা গল্প উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আরও সুন্দর সুন্দর লেখা আমাদের উপহার দিন। শুভকামনা রইল!

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

শিখা রহমান বলেছেন: সম্রাট আপনাকে লেখায় দেখলেই ভালো লাগছে জানেন। আপনার মন্তব্য মানেই মন ভালোর আলো। :)

গল্পদের মলাটবন্দী করলে আপনাকে অবশ্যই জানাবো। আপনি আমাকে অনেক অনেক বার বই প্রকাশের কথা বলেছেন। উপন্যাস লেখার ধৈর্য বা সময় এখনো করে উঠতে পারিনি। তাই গল্প সংকলন প্রকাশের সম্ভাবনাই বেশী।

আপনি যে আমাকে কতোখানি উৎসাহ আর অনুপ্রেরণা যোগান সেটা বলে বোঝানো কঠিন। ভালো থাকুন কবিসম্রাট। শুভকামনা নিরন্তর!!

১১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: Give me your research gate profile
Again একরাশ মুগ্ধতা রেখে গেলাম....
চমৎকার লেখনী

#############
লেখা দিয়ে করেছেন জয়
সামু ব্লগারদের মন
লিখতে থাকুন প্রাণখুলে
ভালো থাকুন আজীবন

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৩

শিখা রহমান বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স আপনাকে আবারো লেখায় পেয়ে ভালো লাগলো। মন্তব্যে অভিভূত হলাম।

আমার মতো সামান্য লেখকের জন্য এই রকম মন্তব্য বিরাট পাওয়া। মন্তব্যে একরাশ ভালোলাগা আর মুগ্ধতা!!

ভালো থাকবেন। আশা করছি মাঝে মাঝে লেখায় আপনাকে পাবো। শুভকামনা সতত!!

১২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭

জাহিদ অনিক বলেছেন:
বাহ দারুণ!
ভালোবাসায় ভায়োলেন্স না থাকলে সেটা ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে যায়। কবিদের ভালোবাসা অনেকক্ষেত্রেই নিরীহ ও ছাপোষা। ভাগ্যিস আপনি সব্যসাচী, কবি এবং গল্পকার, তাই একই লেখায় একইসাথে কবিতা ও গল্পের ফ্লেভার পাওয়া যায়।
রঞ্জু'র ভালোবাসার প্রগাঢ়তা যেমন পাঠককে মুগ্ধ করে, তেমনি অন্য যে মানুষটি বর্তমানে আছেন তার জন্যও পাঠকের মনে ভালোলাগা কাজ করে।
রূপালী মানবীরা এরকম বৃষ্টির জল গায়ে মেখেই সব ধুয়ে মুছে আবার সব গুছিয়ে নিয়ে হাত ধরে জ্যোৎস্না বিলাস করতে জানে। তারা ভালো ও মন্দ বোঝে, বাঁচতে জানে। বাচাতে জানে এবং ভালোবাসা শিখাতে জানে।

বৃষ্টি চিহ্নিত ভালোবাসা ভালো লাগলো শিখা আপু।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১২

শিখা রহমান বলেছেন: জাহিদ মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। তুমি গল্পটাকে এতো সুন্দর করে বিশ্লেষন করেছো যে আমি অভিভূত।

"রঞ্জু'র ভালোবাসার প্রগাঢ়তা যেমন পাঠককে মুগ্ধ করে, তেমনি অন্য যে মানুষটি বর্তমানে আছেন তার জন্যও পাঠকের মনে ভালোলাগা কাজ করে।" --- এই বাক্যটার জন্যই গল্পটা সার্থক মনে হচ্ছে।

রূপালী মানবীরা বাঁচতে জানে, বাঁচাতে জানে, ভালোবাসতে জানে ও ভালোবাসা শেখাতে জানে--- তোমার বিশ্বাস দেখে ভালো লাগলো। সব মানবীরাই রূপালী মানবী, শুধু ভালোবাসার সোনার কাঠি রূপার কাঠির ছোঁয়া চাই।

পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ভালোলাগা প্রিয় কবি। ভালো থেকো কবিতায়, ভালোবাসায়।

১৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪১

টিয়া রহমান বলেছেন: আপু রঞ্জু র জন্য কষ্ট লাগছে, খুব্ই বাস্তবমুখী গল্প, অনেক সুন্দর হয়েছে।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৪

শিখা রহমান বলেছেন: টিয়া রহমান রঞ্জুর জন্য কষ্ট লাগারই কথা। গল্পটা আসলেই মনখারাপ করা গল্প।

আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। শুভকামনা ও দেখা হবে ব্লগের পথে।

১৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

মিথী_মারজান বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর একটা গল্প!
আপনার গল্প পড়লে সহজে প্লটটা থেকে বেরিয়ে আসা যায়না।
বেশ্ কিছুদিন চরিত্রগুলো আমার আশেপাশে ঘুরঘুর করে ,কথা বলে।
নাকি আমিই ওদের সাথে মিশে যাই কোন না কোনভাবে জানিনা।
এই গল্পটা থেকে বেরিয়ে আসতেও আমার কিছুটা সময় লাগবে।
এত জীবন্ত করে গল্প সাজাতে সবাই পারেনা শিখা আপু।
ইউ আর বেস্ট, বেস্ট এন্ড বেস্ট।
সামুর আকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রগুলোর মধ্যে আপনি অন্যতম।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

শিখা রহমান বলেছেন: মিথীমনি তোমার মনটাই এমন সুন্দর রে!! তুমি লেখার মানুষগুলোকে দেখতে পাও, তাদের আনন্দ বেদনার সাথে মিশে যাও। সবাই কি আর এমন পারে? অবশ্য সবাই তোমার মতো জারুল ফুলকে ভালোও বাসে না।

আমার আকাশে কিন্তু তুমিই সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র মিষ্টি কবি। ভালোবাসা আর সুন্দর মায়াভরা মন্তব্যের জন্য এত্তো আদর।

ভালো থেকো ভালোবাসায় আর এমনই ভালোবেসো।

১৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এক আকাশ ভালবাসার মাঝে এক বিন্দু সন্ধেহ প্রবেশ করলে সেই ভালবাসা বানের জলে ভেসে যায়।
কবির ভাষায় একটু বলি-

সন্ধেহ যখন মনে বাসা বাধে
ভালবাসা পালাতে চাই মন থেকে।

তবে আমার কাছে মনে হয় একবার যাকে মন থেকে ভালবাসা হয় তাকে এই এক জনমে ঘৃনা করা যায় না।যায় না মন থেকে মুছে ফেলাও।
সেই ভালবাসাটা থেকে যায় বুকের ভেতর।যেটা প্রত্যহ কাটার মত আঘাত করে।

খুব সুন্দর একটি গল্পে প্লাস না দিয়ে উপায় আছে।সামনে আপনার আরও অনেক গল্প পড়ার অপেক্ষায় থাকব শিখাপু।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৫

শিখা রহমান বলেছেন: সোহেল খুব সুন্দর ও সুচিন্তিত মন্তব্যটার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

"এক আকাশ ভালবাসার মাঝে এক বিন্দু সন্ধেহ প্রবেশ করলে সেই ভালবাসা বানের জলে ভেসে যায়।" --- আসলেই!! ভালোবাসা বিশ্বাস ছাড়া টেকে না।

"তবে আমার কাছে মনে হয় একবার যাকে মন থেকে ভালবাসা হয় তাকে এই এক জনমে ঘৃনা করা যায় না।যায় না মন থেকে মুছে ফেলাও।" ---- ভালোবাসা না থাকলে কিন্তু ঘৃণাও থাকে না।

প্লাসের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। পাশে থাকার জন্য ভালোলাগা আর শুভকামনা।

১৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৩

রাতু০১ বলেছেন: অসাধারণ ভালোলাগা আর মুগ্ধতা। শুভকামনায়।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৭

শিখা রহমান বলেছেন: রাতু০১ অনেকদিন পরে লেখায় আপনার মন্তব্য পেয়ে মন ভালো হয়ে গেলো। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত ও আপ্লুত হলাম।

পাশে থাকার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা নিরন্তর!!

১৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান,



বৃষ্টিতে ধুঁয়ে গেলো ভালোবাসা । পজেসিভ ভালোবাসা একসময় যন্ত্রনার মতোই হয়ে ওঠে । আবার ভালোবাসার কিছু মূহূর্তের স্মৃতি কখনও কখনও ভয় বা আতঙ্কের জন্মও দিতে পারে । তবে রঞ্জুর ভালোবাসা নিখাদ , এটা মানতেই হবে ।

লেখা সম্পর্কে নতুন করে এ পর্বে বলার কিছু নেই । আগের পর্বে বলে ফেলেছি ।
শুভেচ্ছান্তে ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

শিখা রহমান বলেছেন: আহমেদ জী এস সুন্দর ও সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ভালোলাগা।

"তবে রঞ্জুর ভালোবাসা নিখাদ , এটা মানতেই হবে ।" --- তাই কি? ভালোবাসা কি ভালোবাসার মানুষের ডানা ছেঁটে দেয়? ভালোবাসা তো উড়তে শেখায়। আমার মনে হয় "পজেসিভ ভালোবাসা"য় শুধু "পজেশন"ই থাকে, ভালোবাসা নয়।

ধন্যবাদ পড়ার জন্য ও বারাবরের মতোই সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা নিরন্তর মন্তব্যের যাদুকর!!

১৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান,




প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

"তবে রঞ্জুর ভালোবাসা নিখাদ , এটা মানতেই হবে ।" --- তাই কি ? প্রশ্ন রেখেছেন ।
ভালো কিম্বা মন্দ যা-ই হোকনা কেন রঞ্জুর ভালোবাসায়, যা কিনা একটা সাইকিক ভালোবাসা , তাতে খাদ নেই । পজেসিভ ভালোবাসায় ভালোবাসা না থাক শুধু পজেশন পেতে রঞ্জুর সব ক্রিয়া কলাপে কিন্তু খাদ ছিলোনা, সেটাই বোঝাতে চেয়েছি ।
ধরা যাক , "জঘণ্য" শব্দটা । খারাপের চুড়ান্ত বোঝাতেই বলা হয়ে থাকে । কিন্তু যদি কাউকে দেখে বলি ""জঘণ্য রকমের সুন্দর" তবে কিন্তু খারাপ অর্থে বলিনে , বলি সুন্দরের চুড়ান্ত অর্থে । আধুনিক কালে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই এমনটা দ্ব্যর্থক উপমা ব্যবহার করি । যেমন , তোমাকে লবনের মতো ( কিম্বা চিউয়িং গামের মতো ) মতো ভালোবাসি । :P

আর শেষের কথাটি এই - ভালোবাসার কোনও চিহ্ণ নেই !

শুভেচ্ছান্তে ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০১

শিখা রহমান বলেছেন: আহমেদ জী এস আপনি ফিরে এসে আমার প্রতিমন্তব্যের উত্তর দিয়েছেন দেখে অভিভূত হলাম।

"ভালো কিম্বা মন্দ যা-ই হোকনা কেন রঞ্জুর ভালোবাসায়, যা কিনা একটা সাইকিক ভালোবাসা , তাতে খাদ নেই । পজেসিভ ভালোবাসায় ভালোবাসা না থাক শুধু পজেশন পেতে রঞ্জুর সব ক্রিয়া কলাপে কিন্তু খাদ ছিলোনা, সেটাই বোঝাতে চেয়েছি ।" --- আমি সেটা বুঝতে পেরেছি। আসলে আমি বলতে চেয়েছি রঞ্জুর অনুভূতি, সেটা যাই হয়ে থাক না কেন, সেটাকে আমি ভালোবাসা বলতেই রাজী নই। "জঘণ্য রকমের সুন্দর" যাকে বলা হয় তার মাঝে সৌন্দর্য থাকে।

"আর শেষের কথাটি এই - ভালোবাসার কোনও চিহ্ণ নেই !" --- সহমত!!

ধন্যবাদ প্রিয় কবি-লেখক-ব্লগার ও মন্তব্যের যাদুরকর। পাশে থাকার জন্য অফুরন্ত শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.