নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা প্রেমী; একটু এলোমেলো; উড়নচণ্ডী; আর বই ভালবাসি। শব্দ নিয়ে খেলা আমার বড্ড প্রিয়। গল্প-কবিতা-মুক্ত গদ্য সব লিখতেই ভালো লাগে। \"কেননা লেখার চেয়ে ভালো ফক্কিকারি কিছু জানা নেই আর।\"

শিখা রহমান

পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....

শিখা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মহত্যা

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২১



১.
অনেক ভেবেছি। অনেকবার ভেবে দেখেছি। একটাই সমাধান…আত্মহত্যা!! মাসখানেক ধরেই মনের মধ্যে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। চিন্তারা সব ওলটপালট।

মণিকাকে এড়ানো কঠিন। মেয়েটা বুদ্ধিমতী…চোখের দিকে তাকালেই বুঝতে পারে। ঘুমানোর আগে সেদিন হঠাৎ জিজ্ঞাসা করলো “তোমাকে আজকাল খুব অন্যমনস্ক দেখি? সব ঠিক আছে তো?” আত্মহত্যার চিন্তার কথা ওকে বলা যায় না। মেকি হাসি দিয়ে এড়িয়ে গিয়েছি “তেমন কিছু না…অফিসে কাজের চাপ!!”

ঘুমঘুম মণিকা আর কথা বাড়ায়নি। ঘুমের অষুধ কাজ করা শুরু করেছে। ওর ইনসমনিয়ার সমস্যা আছে। মাঝে মাঝে কড়া ঘুমের ওষুধ খায়। দিনের পর দিন না ঘুমিয়ে বিদেশে একাহাতে অফিস, সংসার সামলানো কঠিন।

অবশ্য ঘুম না এলেও মণিকা এর বেশী কিছু হয়তো জানতে চাইতো না। টের পাই ও অনেকটাই নিস্পৃহ হয়ে গেছে। পরবাসে দুজনেরই প্রচণ্ড ব্যস্ততা। গতানুগতিক কথাবার্তা বা ছুটির দিনে কাটানো দুর্লভ সময়টুকুর আঁচও মরে আসছিল ক্রমশ। মনে হয়েছিল, হয়তো এটাই স্বাভাবিক। একটা সময়ের পরে ভালোবাসা হয়তো শুধুই অভ্যেস বা রূপকথা। ভালোবাসা মানেই সংসার; বাসনকোসন, হাড়িপাতিল, চামচের টুংটাং, ফুলতোলা টিফিনবাক্স।

তাই হয়তো বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করেনি। ক্রিসমাস পার্টিতে মাইকের সাথে মণিকার শরীরের ভঙ্গীর নিষিদ্ধ কথা বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করেনি। চোখের মাতাল আমন্ত্রণ...মদের নেশা ভেবে নিয়েছিলাম। নিজেকে নিজেই ভ্রুকুটি করে বলেছি “ছি! ফরহাদ ছি! তোমার মন এতো কুটিল, এমন নীচ...ভালোবাসার ওপরে বিশ্বাস হারাতে হয় না!!”

মাসখানেক আগে তাড়াতাড়ি কাজ সেরে মণিকার অফিসে গিয়েছিলাম। নতুন একটা জাপানী রেস্তোরা খুলেছে। সারপ্রাইজ ডিনার। ও সুশি খেতে ভালোবাসে। গাড়ি পার্ক করতেই দেখি মণিকা হেঁটে আসছে; ফেব্রুয়ারীর মরে আসা গোধূলির আলোয় ওকে মোমের মূর্তির মতো দেখাচ্ছে। বাতাসে মুখের ওপরে এলোমেলো চুল...কি কোমল, কি মায়াময় একটা মুখ!! পাশে মাইক, ওর হাত মণিকার কোমর জড়িয়ে আছে। মাইক কি যেন বলতেই ও হাসলো...সেই আলো আলো হাসি যা একসময় আমার ছিলো। সন্ধ্যানামা আলোয় ওর মুখ ঠিক সেইরকম উজ্জ্বল লাগছে, যেমনটা আগে আমার দিকে তাকিয়ে থাকার সময় লাগতো ওকে। কিন্তু আজ সেই তাকিয়ে থাকা শুধুই মাইকের জন্য। গাড়িতে ওঠার আগে আবছায়ায় দু’জোড়া ঠোঁট পরষ্পরকে আটকে রেখেছিলো।

চোখ ঝাপসা হয়ে গিয়েছিলো। মণিকা চলে যাওয়ার পরেও অনেকক্ষণ পারকিং লটে চুপচাপ বসে ছিলাম। সেদিন শহরের সব ট্রাফিক সিগন্যাল লাল হয়ে গিয়েছিলো। ফেরার পথে হর্নের আওয়াজ, ব্যস্ত সড়কে ক্রুদ্ধ গাড়িচালকদের মুখ...সবকিছু ঝাপসা হয়ে জলের ধারা নেমেছিলো। বাসায় ফিরেও রাতের গভীরে কেঁদেছিলাম। শুধু সেদিন নয়...তারপরে অনেক দিনই।

মণিকা, আমার মণিকা। সেই মণিকা যাকে প্রথম দেখাতেই পাগলের মতো চেয়েছিলাম...লাল শাড়িতে একদলা আগুন! পাশের বাড়ীর মায়াবতী মেয়ে নয়। মণিকা অভিজাত, রাজকীয়। মেটেরঙ্গা ইটের টুকরো নয়; দুষ্প্রাপ্য খনিজ, বড্ড দামী চুনী পাথর।

ভালোবাসার বিয়ে নয়; প্রস্তাব পাঠিয়ে পরিবারের সম্মতিতে আমাদের বিয়ে। প্রবাসী সুযোগ্য পাত্র হিসেবে মণিকাকে সহজেই পেয়ে গিয়েছিলাম। হয়তো ও তেমনটা আমায় ভালোবাসতে পারেনি যেমনটা আমি ভালোবাসি। সবার ভালোবাসার ক্ষমতাও সমান হয় না। তারপরেও ওকে অসুখী মনে হয়নি তো...হাঁটি হাঁটি পায়ে আমার আঙ্গুল ধরে প্রবাসের নিয়মকানুন শিখে নেয়া মণিকা...ঘাড়ে মাথা রেখে সূর্যাস্ত দেখা আমার মণিকা...চিন্তা হলে ভিতু ভিতু মুখে বুকের কাছে ঘেঁষে বলা “সব ঠিক হয়ে যাবে, তাই না?”...আমার সেই মণিকা...

মণিকাকে চুমু দিতে শিখিয়েছিলাম। শিখিয়েছিলাম কিভাবে নাক এড়িয়ে ঠোঁটের ওপরে ঠোঁট রাখতে হয়। ও কি মাইককে তেমনভাবে আদর করেছে? ইদানীং চোখে জল আসে না...মাথায় আগুন জ্বলতে থাকে। আচ্ছা মাইক কি ওর বামবুকের লালচে তিলটার কথা জানে? মগজে নিরন্তর দৃশ্য তৈরী হতে থাকে..এ যন্ত্রনা থেকে মুক্তি নেই!!

মণিকাকে বলেও লাভ নেই। কেবলই কথা কাটাকাটি, তিক্ততা বাড়বে। ভালোবাসা জলের মতো। জল গড়িয়ে চলে গেলে তাকে ফিরিয়ে আনা অসম্ভব। মণিকা আমার মতো নদী হতে পারেনি...ও কেবলমাত্র পদ্মপাতা!! অনুনয়, বিনয়, চেঁচামেচি কোনকিছু দিয়েই আর মণিকাকে ধরে রাখা যাবে না। বরং সম্পর্কটা আরো বিষিয়ে উঠবে। তারচেয়ে ওকে চলে যেতে চেয়াটাই ভালো।

কিন্তু আমি? আমি যে ওদের দু’জনকে একসাথে দেখা মেনে নিতে পারবো না কখনোই। মণিকার ব্যাপারে যতোই উদার হই না কেন, নিজের ব্যাপারে এতোখানি কঠিন হতে পারবো না আমি। তাই অনেক ভেবেচিন্তে সিন্ধান্ত নিয়েছি...আত্মহত্যা। সমস্ত সমস্যার সমাধান এতেই হবে। কষ্ট হবে কিছুদিন হয়তোবা। তবে সময় সবই ভুলিয়ে দেয়।

নতুন করে নতুন জীবন শুরু হবে আবার…অনর্থক জটিলতা ছাড়াই। তবে যেখানেই থাকি, তোমাকে ছেড়ে থাকতে আমার ভালো লাগবে না মণিকা। কিন্তু উপায় নেই। উপায় নেই। আত্মহত্যাই ভালো…এতেই শান্তি!!

২.
আত্মহত্যার জন্য একটা বিশেষ দিন বেছেছি। আত্মহত্যা ব্যাপারটা একটু নাটকীয় না হলে মানায় না। আজ আমাদের বিয়ে বার্ষিকী। চার বছর একসাথে কাটালাম। মণিকার সাথে শেষবারের মতো একটু সুন্দর সময় কাটাতে চাই।

অফিস থেকে আগে বেরিয়ে ফুল কিনলাম। গোলাপ ওর পছন্দ নয়; লালরঙ্গা টিউলিপের তোড়া। ঝাল গরুর মাংস ভুনা রান্না করে ডিপফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম। মণিকার প্রিয়; সাথে খাওয়ার জন্য তন্দুরীরুটি কিনলাম। বাসায় ফিরে সালাদ কাটার সময়ে বাইরে মণিকার গাড়ির আওয়াজ। বাইরে চাবি ঝনঝন টের পেতেই ভেতর থেকে দরজা খুলে দিলাম।

“ওমা!! তুমি আজ এতো তাড়াতাড়ি বাসায়?” মণিকার অবাক প্রশ্নের উত্তরে হাসলাম। “আজ আমাদের অ্যানিভারসারি…” ওর মুখে একটু অপরাধী ভাব “শিট…কাজের ঝামেলায় ভুলে গিয়েছি…সরি!! তুমিতো জানোই আমাকে…” তা জানি…মণিকার এমনিতেই দিনতারিখ গুলিয়ে ফেলার অভ্যাস আছে। তবে এখন হয়তো অবচেতনে এই তারিখ মনে রাখার ইচ্ছেও নেই।

টেবিলের ওপরে ফুলদানিতে সাজানো টকটকে লাল টিউলিপদের দিকে তাকিয়ে ওর মুখে একটু আলো খেলে গেলো, সেই পুরোনো দিনের মতো। “সোফায় বসে একটু রেস্ট নাও… বড়জোর দশ মিনিট!! আর ফোনটা দাওতো!!” মণিকার চোখে একটু ভয়। পুলিশ এলে চোর প্রথমেই চুরির মাল লুকোনোর কথা ভাবে। আঙ্গুলগুলো একটু শক্ত করে পার্সটা এঁটে ধরলো। “আচ্ছা থাক…ফোন দিতে হবে না। শুধু ব্যাগটা শোবার ঘরে রেখে এসো। এখন থেকে এক ঘন্টা কোন ফোন না, কোন অফিসের কাজ না…তোমার পুরোপুরি মনোযোগ চাই!!”

বিয়ের সময়ে কেনা শাদার ওপরে নীল কারুকাজের ডিনার সেটে টেবিল সাজানো। পার্স রেখে ডাইনিংয়ে এসে মণিকা অবাক, একটু অভিভুতও। “ঝাল মাংস তুমি রেঁধেছো? কখন এত্তোকিছু করলে?” অনেকখানি মাংস নিয়ে খেলো ও “মজা হয়েছে। তুমি মাংস নেবে না?” “পেটটা একটু আপসেট…মশলাদার কিছু আজ না খাই। আর রান্নাতো তোমার জন্য করেছি মণিকা।“

রুটি ছিঁড়ে খেলাম সালাদ দিয়ে। কিভাবে আজ খাবো আমি? মণিকাকে আর দেখতে পাবো না। প্রশ্ন করার সময় ওর দু’ভুরুর মাঝে একটা ভাঁজ পড়ে…সেটা আর দেখতে পাবো না। খাওয়া শেষে মণিকাকে ক্লান্ত দেখাচ্ছে।

“খুব টায়ার্ড লাগছে…একটা লং শাওয়ার নিয়েই শুয়ে পড়বো। কাল খুব সকালে উঠতে হবে, মিটিং আছে। ডিনারের জন্য ধন্যবাদ ফরহাদ!“ চাতকের মতো চেয়ে থাকলাম…একটা চুমু কি পেতে পারিনা? মণিকা বুঝলেও এড়িয়ে গেলো। সম্পর্কটা এখন শুধুই কাগজে কলমে। তবে আজই তার মেয়াদ শেষ।

স্নানের ব্যাপারে মণিকা বেশ শৌখিন। বাসা কেনার সময়ে অত্যাধুনিক জ্যাকুজি বসিয়ে নিয়েছে। বিশাল জ্যাকুজি; দুজন সহজেই মুখোমুখি বসা যায়। জলের তাপমাত্রা, কাঁপুনিও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রতিরাতেই ঘুমানোর আগে বেশ কিছুক্ষণ জলে গা ডুবিয়ে বসে থাকে মণিকা…এটাই নাকি তার রিল্যাক্সেশন!!

মাংসের বাটিটা প্রায় খালি। দু’এক টুকরো মাংস বেসিনে ফেলে দিয়ে ধুয়ে মুছে বাটিটা তুলে রাখলাম। টেবিল, বাসনপত্র গুছিয়ে মিনিট পনের পরে বাথরুমে ঢুকতেই ল্যাভেন্ডারের সুগন্ধ!! মণিকার পছন্দের রং আর গন্ধ…ল্যাভেন্ডার। জ্যাকুজি্তে বসা মণিকা ঘুমাচ্ছে। সুগন্ধী মোমবাতির মায়াবী আলোতে ওকে দেখাচ্ছে জলকন্যার মতো।

বিছানার ওপরে ওর পার্স উপুর করতেই…ফোন, পেপার স্প্রে, ভাঁজ করা ধারালো পকেট নাইফ!! টিস্যু দিয়ে সাবধানে ধরে ফোনটা আনলক করলাম। মণিকার ফোনের পাসওয়ার্ড আমার জানা। মাইকের নম্বর বের করে টেক্সট পাঠালাম “Feeling extremely guilty…today was our anniversary. Have to end the affair with you. I am so sorry. Have to end all…can’t take it anymore.”

পকেট নাইফের ভাঁজ খুলতেই ধারালো চকচকে ফলা। আমিই কিনে দিয়েছিলাম ওকে…রাতেবিরাতে ফেরার সময়ে প্রোটেকশনের জন্য। নিঃসাড়ে ঘুমাচ্ছে মণিকা। ফর্সা দুটো কব্জি। বাম হাতে্র কব্জির মোলায়েম ত্বকে ধারালো ফলা টানতেই লালরক্তের ফিনকি। একটু মায়া লাগছিলো। একটা হাত কাটার পরে বামহাতে অন্যটা কাটা এলোমেলো, অশক্ত হয়। ডানহাতের কব্জিতে সেই হিসেব করেই একটু এবড়ো খেবড়ো করে কাটলাম।

কাজ শেষ…আলোড়িত গরমজলের ফেনার ভেতর ফেলে দিলাম পকেট নাইফটা… ঘুমের ওষুধের বোতলটার মুখ খুলে উপুড় করে দিলাম। চার পাঁচটা ওষুধ এমনভাবে জ্যাকুজির পাশে মেঝেতে ছড়ালাম যাতে মনে হয় খেতে গিয়ে পড়ে গেছে।
আমি পেরেছি…অবশেষে শান্তি!! বিদায় মণিকা…প্রিয়তমা আমার ভালো থেকো। আহ!! কি শান্তি…

হাতের টিস্যুটা টয়লেটে ফ্লাশ করে দিয়ে হালকা নীল জ্যাকেট চড়ালাম। মার্চের শেষ, রাত বাড়লে এখনো একটু শীত পড়ে। মাইলপাঁচেক দূরে গ্রোসারী শপ থেকে মণিকার পছন্দের ক্যারামেল ডিলাইট আইসক্রিম কিনতে হবে।

জ্যাকুজির পানির রং দ্রুত লাল হয়ে যাচ্ছে। মণিকার অচেতন শরীরটা থেকে রক্ত বেরিয়ে যাচ্ছে। কাজ করে যাচ্ছে মাংসের সাথে মেশানো ওরই ঘুমের ওষুধ…

© শিখা রহমান

(ছবি ইন্টারনেটে সংগৃহীত)

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
চমৎকার গল্প এবং বর্ণনা, যদিও শেষের টুইষ্টটা আমি অন্যরকম ভেবেছিলাম!
শুভেচ্ছা রইল-

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪০

শিখা রহমান বলেছেন: সোনালী ডানার চিল প্রথমেই আপনার মন্তব্য পেয়ে মন ভালো হয়ে গেলো।

গল্পটা বেশ আগের লেখা। ব্লগে কখনোই টাটকা লেখা দেয়া হয় না কেন যেন।
আজ পুরানো লেখা ঘাটতে গিয়ে হঠাত মনে হলো ব্লগে দেই।

আপনি কেমন ভেবেছিলেন শেষটা? সময় পেলে এসে জানাবেন।

পাঠে ও মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।
শুভকামনা নিরন্তর প্রিয় কবি।

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

ইসিয়াক বলেছেন: ইশ! আমি যদি এমন করে গল্প লিখতে পারতাম। :D
খুব ভালো লাগলো ।
শুভকামনা প্রিয় কবি ,প্রিয় গল্পকার।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭

শিখা রহমান বলেছেন: ইসিয়াক আপনিও ইচ্ছে করলেই পারবেন। :)

ব্লগে এসেই আপনাকে পেয়ে খুব ভালো লাগলো।
মন্তব্য ও লাইকের জন্য এত্তো ধন্যবাদ।

আপনাকেও শুভকামনা প্রিয় কবি।
ভালো থাকুন ভালোবাসায় ও কবিতায়।

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর। তবে এইসব আত্নহত্যা বিষয়ক গল্প হতাশা বাড়ায় । একজন মানুষ কেন মরবে । মানুষ বেচে থাকবে অপার ভালোবাসায় সাফল্যের অমরগাঁথায় । :)

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

শিখা রহমান বলেছেন: সেলিম গল্পটা কিন্তু আত্নহত্যা নিয়ে নয়। আপনি পড়েছেন কি গল্পটা? :)

পড়ে জানাবেন কেমন লেগেছে। শুভকামনা প্রিয় কবি।

৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯

শের শায়রী বলেছেন: হত্যাটা এক অর্থে গল্পের নায়কের আত্মহত্যাই বটে! শেষে এসে টুইষ্ট টা দিয়ে গল্পের নাম করনে স্বার্থকতা প্রমান করছেন। ছোট একটা ব্যাপার জানি না অযাচিত হয়ে যাবে কিনা বলা তবু ও বলি, ছোট গল্পে যখন কারো ডায়লগ আসে সেটা আলাদা আলাদা করে দেয়াই ভালো। বুজতে সুবিধা হয়। যদি আমার এই পরামর্শ অযাচিত হয় ক্ষমা করবেন।

আপনার লেখার হাত ভালো। চর্চায় আরো ভালো হবে বলেই আমার বিশ্বাস।

শুভ কামনা।।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫০

শিখা রহমান বলেছেন: শের শায়রী সুচিন্তিত মন্তব্যে ভাললাগা রইলো।
"হত্যাটা এক অর্থে গল্পের নায়কের আত্মহত্যাই বটে! " --- ভালোবাসার খুন আত্মহত্যাই বটে!!

ডায়ালগের ব্যাপারে পরামর্শের জন্য কৃতজ্ঞতা।
মোটেও কিছু মনে করিনি। নিঃসংকোচে মতামত জানাবেন।
ফিডব্যাক না পেলে লেখার মান বাড়ানো সম্ভব নয়।

আপনাকেও শুভকামনা। ভালো থাকুন সবসময়।

৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এক কথায় অনবদ্য! চমৎকার কথামালায় সাজানো
দারুন গল্প!! খুবই ইনজয় করেছি। অনেক ধন্যবাদ
চমৎকার গল্প উপহার দেবার জন্য।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১২

শিখা রহমান বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু গল্পটা আপনার এতো ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য।

শুভকামনা নিরন্তর!!
পাশে থাকার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আত্মহত্যা বলতে যে আপনে মেইক আপ সুইসাইড বুঝাইছেন, এইটা আগে কইবেন না!!
কতো আগ্রহ নিয়া পড়া শুরু করলাম, যাক, ব্যর্থ প্রেমিক......থুক্কু স্বামী অন্ততঃ একটা তো দুইন্যা থিকা কমবো! এহন দেখি খুন!!!

কি সর্বনাশের কথা!!! :(

শেষের টুইস্টটায় মনে দুঃখ পাইলেও ভালো লাগলো। তবে, খুন করার পর আইসক্রীম না খাওয়াই ভালো। নাকি এইটা একটা এ্যলেবাই তৈরী করার চেষ্টা!!!

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

শিখা রহমান বলেছেন: ভুয়া মফিজ আরেহ!! আপনি অনেকদিন পরে :) ভালো আছেন আশা করি।

আপনি সুন্দরী মেয়েদের কষ্ট একদমই সহ্য করতে পারেন না দেখছি। :P প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা আমার গল্পে অন্তত কেউ করবে না সে ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। 8-|

খুব করার পরে খুব ক্ষিধা লাগে জানেন তো? এখানে এ্যলেবাই তৈরী করার চেষ্টাই। তবে আমি হলেও আইসক্রীমই খেতাম। :)

পড়ার জন্য ও মজার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা প্রিয় ব্লগার।

৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি অনেকদিন পরে :) অনেকদিন পরে না। গল্প দিলেন দেখে আমাকে দেখলেন। আমি আছি আশেপাশেই। :)
জানেন তো আমি কবিতা পড়ি না, আর আপনি কবিতা বেশী পোষ্ট করেন!! তাই দেখেন না, আর কি!!

আমিও একটা গল্প দিয়েছিলাম, বর্ণবাদী ভুত নামে। দেখেন নাই বোধহয়। পড়ে যদি আপনার অনুভূতি ব্যক্ত করতেন, বড়ই কৃতার্থ হইতাম। :`>

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

শিখা রহমান বলেছেন: মফিজ আপনি কবিতার বিরুদ্ধে এমন বিদ্রোহ করে বসে আছেন কেন বলুনতো?
কবিরা তো কখনো গল্প পড়ে না বা পড়বে না বলে ঘোষণা দেয় না। :(

এখন থেকে একটা কবিতা আর একটা গল্প, এভাবে পোস্ট দেব। আপনাকে হারানো ঠিক হবে না।
কবিতা দিলে অন্তত এসে জানিয়ে যাবেন যে পড়েননি। তাও জানলাম আপনি আছেন আশেপাশে। :)

আমি আপনার গল্প পড়েছি অফলাইনে। মন্তব্য করে আসছি এক্ষুনি। ভুলেই গিয়েছিলাম।

৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: গল্পের নাম টা কি অন্য কিছু দেওয়া যায়?

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬

শিখা রহমান বলেছেন: রাজীব অন্য কি নাম দেব? আপনার কাছে পছন্দসই কোণ নাম থাকলে বলুন। :)

পড়ার জন্য ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
শুভকামনা সতত প্রিয় ব্লগার।

৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

নীল আকাশ বলেছেন: হুম, ট্যুইষ্ট ভালোই দিয়েছেন।
আরেকজনের অপরাধের জন্য নিজে মরার কোন কারণ থাকতে পারে না।
পড়ার সময় আমার বেশ আগে লেখা একটা গল্প "আমার সোনা জান পাখি" কথা মনে পড়ছিল তবে আমি খুনের দৃশ্য দেয়ার সময় আরও ভয়াবহ ছিলাম।
পরকীয়ার উপর অনেক দিন ধরে গল্প লেখা হয় না।
গল্প ভালো লেগেছে। পড়ার পর লোভ হচ্ছে এইরকম কিছু লেখার।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

শিখা রহমান বলেছেন: নীল এই গল্পটাও বেশ আগেই লেখা। ব্লগে টাটকা লেখা খুব কমই দেয়া হয়। সেদিন পুরানো লেখা ঘাটতে গিয়ে এই লেখাটা ব্লগে দিতে ইচ্ছা হলো। :)

আপনি আমার 'সরীসৃপ' সিরিজটা পড়েও কিন্তু বলেছিলেন যে পরকীয়া নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে। লিখলে জানাবেন অবশ্যই।

মন্তব্যে সবসময় অনুপ্রাণিত করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভকামনা নিরন্তর প্রিয় ব্লগার।

১০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মফিজ আপনি কবিতার বিরুদ্ধে এমন বিদ্রোহ করে বসে আছেন কেন বলুনতো? আমি তো ভেবেছিলাম আপনি জানেন। :) ওকে, জানেন না যখন, তখন সময় করে আমার এই লেখাটা পড়বেন, আমার কাব্যভীতিঃ কেন আমি এমন হইলাম

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬

শিখা রহমান বলেছেন: মফিজ আমি ব্লগে খুব নিয়মিত নই। অনেক লেখাই তাই মিস করে যাই।
জানতাম না আসলেই যে আপনি কবিতা এড়িয়ে যান। শুধু তাই না এই বিষয়ে যে লিখেও রেখেছেন। বাপস!!

পড়ে জানাচ্ছি ও জেনে নিচ্ছি আপনার কাব্য বিদ্বেষের নেপথ্যের ঘটনা।

শুভকামন প্রিয় ব্লগার। ভালো থাকুন গদ্যময় জীবনে। :)

১১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: হরর ছবির গল্পের মতো। ;)

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪১

শিখা রহমান বলেছেন: সাইয়িদ রফিকুল হক ধন্যবাদ। শুভকামনা নিরন্তর।

১২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: দারুণ গল্প! ভালবাসার মানুষ যদি অন্য কারো দখলে চলে যায় তাহলে তাকে ধ্বংস না করে বরং তার খুশিটাকে মেনে নেয়াই ভাল। কারণ, যাকে একবার ভালবাসা যায় তাকে ধ্বংস করা খুব কষ্টের। প্রতিশোধস্পৃহাকে দমন করে নিজের পথ বেছে নেয়াই বুদ্ধমানের কাজ। তাতে দুটি জীবন বেঁচে যাবে।

আপনার গল্পগুলোর আলাদা আকর্ষণ আছে। পড়া শুরু করলে শেষ না করে ওঠা যায় না। লিখতে থাকুন।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৫

শিখা রহমান বলেছেন: সম্রাট "ভালবাসার মানুষ যদি অন্য কারো দখলে চলে যায় তাহলে তাকে ধ্বংস না করে বরং তার খুশিটাকে মেনে নেয়াই ভাল। কারণ, যাকে একবার ভালবাসা যায় তাকে ধ্বংস করা খুব কষ্টের। প্রতিশোধস্পৃহাকে দমন করে নিজের পথ বেছে নেয়াই বুদ্ধমানের কাজ। তাতে দুটি জীবন বেঁচে যাবে।" --- অবশ্যই!! খুব সুন্দর বলেছেন।

বেশীর ভাগ মানুষ তাই করে। তবে তাদের নিয়ে কি আর এমন থ্রিলার গল্প লেখা যায়? :) গল্পের মতো এমন ঘটনাও কিন্তু বাস্তবে ঘটে।

অনেক ধন্যবাদ সুন্দর সুচিন্তিত মন্তব্যটার জন্য। আপনার মন্তব্য মানেই অনুপ্রেরণা।
শুভকামনা সতত কবিসম্রাট। ভালো থাকুন ভালোবাসায়।

১৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মাঝ পথে এসে শেষের টুইস্টাই আন্দাজ করতে ছিলাম, শেষে এসে দেখি ঠিকই মিলে গেলো। গল্প দারুন লিখেছেন।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৯

শিখা রহমান বলেছেন: নূর আলম হিরণ আমার ব্লগে স্বাগতম। মাঝপথে গল্পের ট্যুইষ্ট ধরে ফেলেছেন!! B:-)
লেখালেখি আরো শাণিত করতে হবে বুঝতেই পারছি। :)

তবে আপনি পাঠক হিসেবে আদর্শ ও কাঙ্ক্ষিত।
আশা করছি মাঝে মাঝে লেখায় আপনাকে পাবো।

গল্পটা দারুণ লেগেছে শুনে আসলেই খুব ভালো লাগলো।
ভালো থাকুন সবসময়। দেখা হবে অন্য কোন লেখায়।

১৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ফয়সাল রকি বলেছেন: আসলে এভাবে কি সমাধান হয় আপু? বলছি না যে, মেনে নেয়াটা সহজ। কিন্তু তারপরেও? তবে যদি শাস্তি পাবার কথা আসে, তাহলে মাইকও দোষী। ওরও শাস্তির ব্যাপার আছে।
যাইহোক, গল্প সুন্দর। +++

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৩

শিখা রহমান বলেছেন: ফয়সাল আপনার মন্তব্য সুচিন্তিত।
তবে জীবনে সবতো আর নিয়ম মেনে চলে না বা সমাধানের জন্যেই সব কিছু ঘটে না। Life is not fair!! :(

গল্পটা আপনাকে ভাবিয়েছে দেখে ভালো লাগলো।
প্লাসে ও মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।

ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার।
শুভকামনা নিরন্তর।



১৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালো থাকুন। আরো লিখুন। দারুণ এক অনুভুতি ,বেশ মনে লাগলো ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৫

শিখা রহমান বলেছেন: নেওয়াজ আলি আমার ব্লগে স্বাগতম।
গল্পটা দারুণ লেগেছে শুনে আসলেই খুব ভালো লাগলো।

আশা করছি মাঝে মাঝে লেখায় আপনাকে পাবো।
ভালো থাকুন সবসময়। দেখা হবে অন্য কোন লেখায়।

১৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৬

সুমন কর বলেছেন: শেষটি ভালো লাগল।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৬

শিখা রহমান বলেছেন: সুমন কর অনেকদিন পরে আপনাকে লেখায় পেলাম। আশাকরি ভালো আছেন।

পাঠে ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা সতত!!

১৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাজীব অন্য কি নাম দেব? আপনার কাছে পছন্দসই কোণ নাম থাকলে বলুন।
পড়ার জন্য ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
শুভকামনা সতত প্রিয় ব্লগার।

না না আমার কাছে কোনো নাম নেই।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

শিখা রহমান বলেছেন: রাজীব প্রতিমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার এই যে ফিরে এসে মন্তব্যের উত্তর দেখে যাওয়ার ব্যাপারটা খুব ভালো লাগে।

নাম নিয়ে ভেবে দেখবো আপনি বলেছেন তাই!!

ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার।

১৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই শিখা আপু!

ছোটকালে কিছু টিচার আমাকে আগে ১০০% দিতেন তারপরে হোমওয়ার্ক চেক করতেন, কেননা তারা জানতেন আমি ঠিকই হোমওয়ার্ক করে এসেছি। তোমার লেখা আগে লাইক দেই তারপরে পড়ি কেননা আমি জানি হতাশ হবোনা। :)

লেখাটি প্রথমে পড়ে নায়কটিকে ভিলেন মনে হয়েছিল, যেন একটা মার্ডার থ্রিলার পড়ছি। কিন্তু ব্লগার শের শায়রীর মন্তব্য পড়ে মন পরিবর্তন হয়ে গেল!
তিনি বলেছেন: হত্যাটা এক অর্থে গল্পের নায়কের আত্মহত্যাই বটে!
তখন আমার কাছে গল্পটি প্রেম - বিরহ - বিচ্ছেদের মনে হলো। অবহেলা প্রেমিকের প্রেমকে মেরে ফেলে। কারো প্রেমকে খুন করলে সে এভাবেই আত্মহত্যা করে; হয় নিজে মরে বা.....। ওনার ইন্টারপ্রিটেশনটাই বেশি এপ্রোপ্রিয়েট, ওনার মন্তব্যে লাইক।

ভালো ভালো লেখা লিখতে থাকো আপু।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৩

শিখা রহমান বলেছেন: পাগলী মেয়ে ভালো আছো আশাকরি। ব্যস্ততার কারণে মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেলো।

"তোমার লেখা আগে লাইক দেই তারপরে পড়ি কেননা আমি জানি হতাশ হবোনা। :) " --- কি আদর আর ভালোবাসা মাখা কথাগুলো!! পড়েই দিনটা আলো হয়ে গেলো।

গল্পটা আসলেই প্রেম - বিরহ - বিচ্ছেদের। শের শায়রী ঠিকই বলেছেন। ভালোবাসার গল্পকেই মার্ডার থ্রিলার স্বাদে লেখার চেস্টা করেছি।

ভালো ভালো লেখা লিখতেই পারি কারণ তুমি পড়ো। তোমার জন্যে লিখতে পারি এক পৃথিবী।

ভালো থেকো ভালোবাসায় আর ভালোবাসায় রেখো।
শুভকামনা ও ভালোবাসা পাগলী মেয়ে!!

১৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: দারুণ একটা গল্প। যেন শীতের সকালে প্রথম বাতাসের ছোঁয়া .....

টুইস্টটা আগেই বুঝতে পেরেছিলাম। কেন জানি না। বহু লেখা পড়ার ইফেক্ট বোধহয়.... ..


লোকটা এক অর্থে নিজেকেই খুন করেছে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৬

শিখা রহমান বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স সুন্দর মন্তব্যে এত্তো ভালোলাগা।

"টুইস্টটা আগেই বুঝতে পেরেছিলাম। কেন জানি না। বহু লেখা পড়ার ইফেক্ট বোধহয়.... .." --- গল্পটা খুব চেনা বা পুরোনো। আমি আমার মতো করে উপস্থাপন করেছি মাত্র!!

"লোকটা এক অর্থে নিজেকেই খুন করেছে।" -- একদম!! ভালোবাসার খুন তো নিজেকেই খুন করা।

পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রাচীন পক্ষী।
শুভকামনা নিরন্তর!!

২০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৩২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




শিখা আপা,
ট্র্যাপ মার্ডার কেস। এই ধরণের মামলা প্রচুর সময় নষ্ট হয়। স্বাক্ষী ম্যানিপুলেট হয়ে যান আর সর্বোপরি মামলা মোটিভ তদন্ত ও চার্জশীটে যে সময় ব্যয় হয় তাতে করে মামলার আসামী ছুটে যাওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায় - শুধু বাংলাদেশে নয় সব দেশেই। গল্প ভালো লেগেছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৯

শিখা রহমান বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ আমার ব্লগে স্বাগতম। মনে পড়ছে না যে আপনি আমার আর কোন লেখায় মন্তব্য করেছেন।
আশা করছি মাঝে মাঝে লেখায় আপনাকে পাবো।

"ট্র্যাপ মার্ডার কেস। এই ধরণের মামলা প্রচুর সময় নষ্ট হয়। স্বাক্ষী ম্যানিপুলেট হয়ে যান আর সর্বোপরি মামলা মোটিভ তদন্ত ও চার্জশীটে যে সময় ব্যয় হয় তাতে করে মামলার আসামী ছুটে যাওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায় - শুধু বাংলাদেশে নয় সব দেশেই। " --- একদম ঠিক বলেছেন। সবদেশেই এই ধরনের মামলায় সাক্ষী-প্রমানের অভাবে কনভিক্ট করা কঠিন হয়ে পড়ে।

গল্প ভালো লেগেছে শুনে অনুপ্রাণিত হলাম। আপনাকেও পাঠে ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা সতত!!

২১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১০

পুলহ বলেছেন: ব্লগে আপনার বেশ কয়েকটা লেখা পড়েছি, সে থেকে ধারণা হয়েছে আপনি শক্তিমান একজন লেখক। ওদিক থেকে ভাবলে আপনার অন্যান্য লেখার তুলনায় এ লেখাটা একটু দুর্বল মনে হলো আপু। আপনার অন্য লেখাগুলোয় ভাষার যে কারুকাজ, যে মন ভাসানো লিরিক থাকে- সেটা এ গল্পে পাই নি।

আমি নিজেও টুকটাক লিখি, তাই জানি- একজন লেখকের সব লেখা একই স্ট্যান্ডার্ডের হয় না। তারপরো- পাঠক হিসেবে আমরা ঐ লেখকের কাছ থেকে আশা করি। আশা করি- লেখকের নিজগুণের কারণেই!

ছোট হয়ে কিছু অপ্রিয় কথা বললাম হয়তো। আশা করি কিছু মনে করেন নি; ব্লগে আপনি আমার অন্যতম শ্রদ্ধেয় একজন।

শুভকামনা জানবেন আপু। ভালো থাকুন নিরন্তর- এই প্রার্থনা।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৫

শিখা রহমান বলেছেন: পুলহ আপনাকে কত্তো কত্তো দিন পরে ব্লগে দেখলাম। বলতেই হচ্ছে "এতোদিন কোথায় ছিলেন?" আপনি আমার খুব প্রিয় ব্লগারদের একজন। হারিয়ে গিয়েছিলেন। দেখে খুব খুব ভালো লাগছে।

"...আপনার অন্যান্য লেখার তুলনায় এ লেখাটা একটু দুর্বল মনে হলো আপু। আপনার অন্য লেখাগুলোয় ভাষার যে কারুকাজ, যে মন ভাসানো লিরিক থাকে- সেটা এ গল্পে পাই নি।" --- ঠিক বলেছেন। এই গল্পে আমি প্লটের ওপরে বেশী জোর দিয়েছি। বর্ণনা বা ভাষার কারুকাজে লেখাকে ভারাক্রান্ত করতে চাইনি।

"ছোট হয়ে কিছু অপ্রিয় কথা বললাম হয়তো। আশা করি কিছু মনে করেন নি; ব্লগে আপনি আমার অন্যতম শ্রদ্ধেয় একজন।" --- কোন কথাই আমার অপ্রিয় মনে হয়নি। প্লিজ নিঃসংকোচে মতামত দেবেন। আজকাল ব্লগে এমন গঠনমূলক মন্তব্য পাওয়াই যায় না। কথাগুলোর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। :)

আপনাকেও শুভকামনা। আশা করছি ব্লগে নিয়মিত হবেন।
ভালো থাকুন ভালোবাসায়।

২২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

ফয়সাল রকি বলেছেন: আসলেই Life is not fair বেশিরভাগ মানুষই যে যার জায়গায় অখুশি :(

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৭

শিখা রহমান বলেছেন: ফয়সাল কিছুটা অতৃপ্তি না থাকলে জীবনের পথচলা কঠিন। নিরবিচ্ছিন্ন সুখও অসুখের জন্ম দেয়।

ফিরে এসে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ও ভালোলাগা জানবেন।
শুভকামনা সতত!!

২৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫২

এম এ হানিফ বলেছেন: সুন্দর সব কথামালায় সাজানো বাক্যগুলো যেন এক একটি পুঁথির মালা। সত্যিই চমৎকার এক গল্প। দু একটি জায়গায় সংলাপ বুঝতে অসুবিধা হলেও ভালো লেগেছে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৮

শিখা রহমান বলেছেন: এম এ হানিফ আমার ব্লগে স্বাগতম। সুন্দর কাব্যিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
গল্পটা চমৎকার লেগেছে শুনে অনুপ্রাণিত হলাম।

আশা করছি মাঝে মাঝে লেখায় আপনাকে পাবো।
ভালো থাকুন সবসময়। দেখা হবে অন্য কোন লেখায়।

২৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




শিখা আপা,
আপনার পোষ্ট আমি নিয়মিত/অনিয়মিত পড়ি, কিন্তু কখনো মন্তব্য করা হয়নি এটিই আমার প্রথম মন্তব্য ছিলো। যেমন আমার পোষ্টে আপনার মন্তব্যটি আমার ব্লগিং জীবনে প্রথম মন্তব্য। গত বই মেলায় আপনার প্রকাশিত “আগুনের ফুল ও রঞ্জনের প্রেমিকারা” আমার পড়া হয়েছে। আপনি যে ধরণের লেখা লিখে থাকেন তাতে আমার মন্তব্য করতে ইচ্ছে করে, তারপরও শতেক মন্তব্যর ভীড়ে কখনো মন্তব্য করা হয়নি। এখন থেকে মন্তব্য পাবেন।

বোন রে, আপনি কি জানেন আপনার প্রতিটি গল্প দিয়ে শর্টফিল্ম তৈরি করা সম্ভব? আপনার গল্পগুলো শর্টফিল্ম তৈরির উপযুক্ত গল্প। গল্পে সেই রহস্য ও গল্পের উদ্দেশ্য তার সেই অধিকার রাখে।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

শিখা রহমান বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ আপনার এই মন্তব্যটা আমার লেখা নিয়ে খুব ভালোলাগার একটা মন্তব্য, অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

আপনি আমার বই কিনে পড়েছেন শুনে কি যে ভালো লাগলো। সামু ব্লগের কাছে আমার ঋণ অনেক। এই যে আপনার মতো সব দুর্দান্ত ব্লগারদের কাছে আমার লেখা পৌঁছে গেছে।

"বোন রে, আপনি কি জানেন আপনার প্রতিটি গল্প দিয়ে শর্টফিল্ম তৈরি করা সম্ভব? আপনার গল্পগুলো শর্টফিল্ম তৈরির উপযুক্ত গল্প। গল্পে সেই রহস্য ও গল্পের উদ্দেশ্য তার সেই অধিকার রাখে।" --- অভিভূত ও মুগ্ধ!! আপনার এই কথাগুলো আমাকে আরো ভালো লেখার অনুপ্রেরণা যোগাবে নিশ্চিত।

আশা করি ভালো আছেন, সুস্থ ও নিরাপদে আছেন প্রিয়জনদের নিয়ে।

ভালো থাকুন ভালোবাসায়। এই দুঃসময়ে ভালোবাসাই যে একমাত্র অবলম্বন!!
শুভকামনা নিরন্তর!!

২৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

বিজন রয় বলেছেন: আপনি, আপনারা ওখানে কেমন আছেন একটু জানাবেন?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪

শিখা রহমান বলেছেন: বিজন আমরা ভালো আছি। আমি ক্যালিফোর্নিয়াতে থাকি। নিউইয়র্কের অবস্থা একটু বেশীই খারাপ। :(

আপনাকে আজকের পোস্টে উত্তর দিয়েছি। আশা করি আপনি সুস্থ ও নিরাপদ আছেন আপনজনদের সাথে নিয়ে।
শুভকামনা নিরন্তর প্রিয় ব্লগার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.