নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখি: কবিতা, প্রবন্ধ। প্রশংসা, নিন্দা- সবই ভুলে যাই।

সরওয়ার ফারুকী

লিখি।

সরওয়ার ফারুকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশ-জাতি নিয়ে আমি আর মোটেও চিন্তিত নই!

০৯ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৪৯

"আমি এসেছি আমার উট ফেরত নিতে। আর, ঐ ঘরের মালিক যিনি তিনিই তা রক্ষা করবেন।" মহা-দুর্যোগের সময় অত্যন্ত স্পষ্ট উচ্চারণে আবরাহা'র সামনে দাঁড়িয়ে এ কথা-ই বলেছিলেন মহানবী (সঃ)-এর দাদা আবদুল মুত্তালিব।
রাসুল (সঃ)-এর জন্মের প্রায় দশ বছর পূর্বে বাদশাহ আবরাহা এসেছিল পৃথিবীর প্রথম এবাদত গৃহ পবিত্র কা'বা ধ্বংস করতে । প্রান্তরে বিচরণ করা কোরাইশদের উটপাল ধরে নিয়ে যায় আবরাহার সিপাহিরা । মহানবীর দাদা আবদুল মুত্তালিব গেলেন গ্রেফতার হয়ে যাওয়া উটগুলো ছাড়িয়ে আনতে। তখন আবরাহা বলেছিল, "আমি শুনেছিলাম তুমি জ্ঞানী লোক! আজ যখন তোমাদের উপাসনাগৃহ ধংসের মুখোমুখি তখন তুমি এসেছো তুমার উটের জন্য!"
আবদুল মুত্তালিব তখনই সে ঐতিহাসিক দীপ্ত উচ্চারণ করেছিলেন; "আমি এই উটপালের মালিক, তাই আমি এসেছি আমার উটগুলো ছাড়িয়ে নিতে, আর কা'বা-র মালিকতো আমি নই অন্য একজন! তিনিই তার রক্ষার ব্যবস্থা করবেন!'- কতো সত্য হয়েছিল তার সে কথা। সে পাওয়া যাবে সুরা ফিল পড়লে।
আজ বাংলার আকাশে যে ভয়ংকর মেঘ উন্মদ গর্জনে বর্ষেছে তার জন্য আমি মোটেও চিন্তিত নই। আমি চিন্তিত পরিপূর্ণভাবে আমাকে নিয়ে! কীভাবে আমি আমার পরিবার নিয়ে এ ফিৎনার মোকাবিলায় আত্মরক্ষা করে ঠিকে থাকবো? কিভাবে দুর্বল হয়ে যাওয়া ঈমানেরে কোনরকম বাঁচিয়ে রাখবো? অথবা এই দুর্যোগকালীন সময়ে সঠিকভাবে বেচে থাকার পদ্ধতিই বা কী? এ প্রশ্নগুলো আমায় প্রচণ্ডভাবে আলোড়িত করে।
ইসলামের উপর যে বিশ্বজনীন হামলা এসেছে এর মোকাবিলায় আমি আক্রমণ করবো, না আত্মরক্ষায় কৌশলি হবো- এ নিয়ে ভাবনায় পড়ে আছি।
রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, "শীঘ্রই মানুষের উপর এমন এক সময় উপস্থিত হবে যে, তার দ্বীনকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। দ্বীনকে রক্ষার জন্য সে একস্থান থেকে অন্যস্থানে, এক গুহা থেকে অন্যগুহায় এবং এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে শিয়ালের মতো পালিয়ে ফিরবে। প্রশ্ন করা হলো, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সঃ)! সে কোন ব্যক্তি এবং কখন তা হবে? তিনি বললেন, যখন পাপ ব্যতিরেকে জীবিকা সংগ্রহ করা যাবে না। সে সময় উপস্থিত হয়ে গেলে সে তার পিতামাতার হাতেই বিনাশপ্রাপ্ত হবে। যদি পিতামাতা না থাকে তাহলে সে তার স্ত্রী-সন্তানদের হাতে বিনাশপ্রাপ্ত হবে। আরজ করা হল, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সঃ) তা কীরূপে হবে? তিনি বললেন,অসচ্ছল অবস্থার জন্য তারা তাকে তিরস্কার করবে। যা পুত্রের পক্ষে সাধ্যাতীত তা-ই তার কাছে চেয়ে বসবে। ফলে পুত্র ধ্বংসের দারপ্রান্তে এসে পৌঁছবে।"
উমর (রঃ) হতে বর্ণিত অন্য হাদীসে আছে, "যখন তুমি লোকদেরকে তাদের ওয়াদা এবং আমানত ভঙ্গ করতে দেখবে এবং যখন তারা ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হবে। আমি বললাম, তখন আমরা কী করব? তিনি বললেন, তখন নিজ গৃহের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে থাকবে। রসনা সংযত রাখবে। যা জানবে তা গ্রহণ করবে, যা জানবে না তা থেকে বিরত থাকবে এবং সে সময় নিজের কাজেই ব্যস্ত থাকবে। জনসাধারণের কাজ ত্যাগ করবে।"
আজ আমি চোখের সম্মুখে উজ্জ্বলভাবে সেই সমস্ত নিদর্শন পরিস্কার দেখতে পারছি আর ভয় করছি "আমি আমাকে কীভাবে হেফাজত করব?
আজ আমি আর দেশ, জাতি, সমাজ, রাষ্ট্র নিয়ে আজ মোটেও চিন্তিত নই"।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



"আজ বাংলার আকাশে যে ভয়ংকর মেঘ উন্মদ গর্জনে বর্ষেছে তার জন্য আমি মোটেও চিন্তিত নই। আমি চিন্তিত পরিপূর্ণভাবে আমাকে নিয়ে! "

-প্রত্যকে আলাাভাবে 'আমাকে' নিয়ে ভাবছে; যারা আমাকে নিয়ে ভাবে, তারা ভাবতেই থাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.