নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখি: কবিতা, প্রবন্ধ। প্রশংসা, নিন্দা- সবই ভুলে যাই।

সরওয়ার ফারুকী

লিখি।

সরওয়ার ফারুকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরব অনারব ইসলাম

১৬ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩

উপমহাদেশীয় ইসলাম আর আরব-ইসলামের মধ্যে পার্থক্য অনেক। ইসলাম যখন আরবভূখণ্ড থেকে দিগ্বিদিক ছুটে এবং নানা বাঁকে নানানমিশ্রণে মিশ্রিত হয়ে আমাদের পর্যন্ত পৌঁছে, তখন থেকে আজ অবধি ইসলামের সরলতর অবস্থান আমাদের ছুঁয়ে দেখা হয় নি।
উপমহাদেশীয় ইসলামের রূপ হচ্ছে কঠিন থেকে কঠিনতর। সেখানে একজন দ্বীনদার মানুষের জীবন চরম নিরানন্দ, আবেগহীন, শক্ত আবরণে ঢাকা। সেখানে মুমিন রূহের চাইতে মুমিম মুখের প্রচণ্ড দাপট! রাসুল (সঃ)-এর উদারতা, সংযম, ক্ষমা আর বুকে জড়িয়ে ধরার শিক্ষার বিপরীতে উপমহাদেশে সংকীর্ণতা, অসংযম, প্রতিশোধ আর ঘৃণার প্রাবল্যই পরিলক্ষিত। আলখেল্লায় মোড়া একেকটি লাশের নাম সেখানে আলিম, শায়েখ, কুতুব অথবা ছাহেবে কিবলা! (যদিও এ দ্বীনে হাসিকে সাদকাহ বলে ঘোষনা হয়েছে! আল্লাহু আঁকবার)
আরবের ইসলামে ঔদার্য, উৎফুল্লতা এখনো শক্তিমান। মুসলিমজাতীর চরম অধঃপতনকালেও আরবের মানুষ আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকেই ইসলাম হিসেবে চিনে। শিক্ষিত-অশিক্ষিত, দ্বীনদার-দুনিয়াদার সকলেই তাওহীদ/শিরক, সুন্নাহ/বিদায়াত, ঈমান/কুফুরীর পার্থক্য খুব ভাল করেই জানে এবং মানে।
অথচ, উপমহাদেশে ইসলাম কেবলি আচারসর্বস্ব। সিলেট মীরাবাজার সন্ধানিটুলা মসজিদের মেহরাবে ঝলমল করে বাঁধাই করা কা'বার ছবি আমি বিগত ছুটিতে গিয়েও দেখেছি! একহাজার বছর আগে মহান দার্শনিক আলবেরুনী তার "ভারততত্ত্বে" মুর্তিপূজার কারন ব্যাখ্যা করতে মুর্খতার কথা উল্লেখ করেছেন, প্রমাণ দিয়েছেন এভাবে, "দেখবেন, কোনো মুর্খ লোক পবিত্র কা'বার ছবি পেলে তা কপালে লাগায়, চুমা দেয়, সম্মানের সাথে সংরক্ষণ করে!"- এভাবেই চিত্রকর্মে ভক্তি চলে আসে। সন্ধানিটুলার মসজিদ পুনঃনির্মানের সময় উনারা পূজার ব্যবস্থা সচল করে রেখেছেন; এটি মুর্খতার ফলাফল। ইমামও পেটের দায়ে দৈনিক পাঁচওয়াক্ত পূজাপর্ব সারছেন! (আল্লাহ ক্ষমা করুন।)
আরবের একটি শিশুর উদাহরণ দেইঃ
আমরা আতর বিক্রি করি, পাশে ওরা বিক্রি করে ডায়মন্ড বেইজড এটা-ওটা। একটি আরব শিশু মায়ের সাথে এসেছে, বয়স বড়জোর ৭/৮ হবে। মা এটা-সেটা দেখছেন! হঠাৎ শিশুটির চেঁচামেচিতে এগিয়ে গেলাম। গিয়ে যা শুনলাম-দেখলাম তা আমার সারাজীবনের শিক্ষার চেয়ে অধিক। দাঁড়িওয়ালা ইণ্ডিয়ান সেলসম্যানের দিকে তার তর্জনী তাঁক করা, চোখমুখ অগ্নিগর্ভ! আর বলছে, "ইনতা মাফি মুসলিম? হারাম, হা-জা হারাম! ওল্লাহিল আজীম হা-জা হারাম!" (তুমি মুসলিম নও? এটা হারাম, আল্লাহ মহাশক্তিশালী, এটা হারাম!)
শিশুটি একটি ব্রেসলেটের দিকে ইঙ্গিত করছে যাতে ছিল ক্রুশচিহ্ন!
একটি শিশুর সত্যমিথ্যার পার্থক্য করার ক্ষমতা দেখে আমার আত্মম্ভরিতার প্রসাধ সেদিন ভেঙে গিয়েছিল। আসলেই উপমহাদেশীয় ইসলামী-জ্ঞান এখনো আরব-শিশুর সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

কল্লোল পথিক বলেছেন:




যতার্থই বলেছেন
আমরা ইসলামের প্রেতাত্মার উপর ভর করে দাড়িয়ে আছি!

২| ১৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:০০

সরওয়ার ফারুকী বলেছেন: আপনার মন্তব্য ভুল, দুষ্টুমি ভরা। ইসলামের প্রেতাত্মা হয় না। ভুল-শুদ্ধেপূর্ণ মুসলমান হয়; যাদেরে আমরা পাশে দেখি।

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমাদের হুজুরদের কথা বার্তা এমন যে মনে হয় ইসলাম এই দেশে আরবদের আগে এসেছে...

৪| ১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:৫৩

ফজলে রাব্‌বী হৃদয় বলেছেন: ভালো লাগলো। তবে আরবে বর্বরতা দেখা যায় যা এখানে সেভাবে নেই।

৫| ১৭ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:২৭

মোস্তফা ভাই বলেছেন: আরব শিশুগুলাও গুহামানব টাইপের

৬| ১৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫

অগ্নিবেশ বলেছেন: তৈলের বিকল্প বাহির হৈতে দেন, দেখবেন সব হারাম হালাল হয়ে যাবে।

৭| ১৭ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

সরওয়ার ফারুকী বলেছেন: বেনামি মানুষগুলো চিরকালই অসভ্য।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.