নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

{♥ যদি কখনো নিজেকে একা ভাবো, তাহলে ঐ দূর আকাশের অসীম সীমান্তের দিকে তাকিয়ে থাকো! কখনো নিরাশ হয়ে যেও না! হয়তো বা একটা বাজপাখিও তোমার দিকে উড়ে আসতে পারে! ♥}

সাহসী সন্তান

আমাকে তোর ভালোবাসার দরকার নেই। শুধু পাশে থেকে একটু সাহস যোগাস, দেখবি তখন ভালোবাসাটা এমনিতেই চলে আসবে!!

সাহসী সন্তান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"তাস খেলার ইতিহাস এবং তৎসংশ্লিষ্ট কিছু মজার ম্যাজিক"

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭


ইনডোর গেম গুলোর মধ্যে বিশ্ব জোড়া জনপ্রিয় একটি খেলা হলো তাস। পৃথিবীর প্রায় সব দেশের মানুষই অন্ততপক্ষে তাস খেলা না জানলেও প্রায় সবাই তাস দেখেছেন বা এর নাম শুনেছেন। ভার্সিটিতে পড়েছেন অথচ খেলাচ্ছলে জীবনে কখনো তাস হতে নেননি এমন মানুষ বিরল। তাস মোট চার ভাগে বিভক্ত। সেগুলো হলোঃ ইস্কাপন, হরতন, রইতন এবং চিড়তন। আমরা সবাই হয়তো কম/বেশি এই নাম গুলোর সাথে পারিচিত। কিন্তু আমরা কি এই নাম গুলোর ইতিহাস কেউ জানি? তাসের এই 'ইস্কাপন, হরতন, রইতন, চিড়তন' এর প্রতীক গুলো কোথা থেকে আসলো কিংবা এর অর্থই বা কি ? অথবা এই প্রতীক গুলোর পিছনের ইতিহাসই বা কি? আমরা সবাই জানি যে ৫২ টা তাসের ৫৩ টা খেলা রয়েছে। তবে সেই ৫৩ টা খেলার সব গুলোর নাম জানা না থাকলেও, আমাদের সবার কাছেই মোটামুটি পরিচিত তাসের কিছু বিখ্যাত খেলার নাম এখানে উল্লেখ করে দেওয়া হলোঃ-

☞ ইন্টারন্যাশনাল ব্রীজ; ☞ থ্রি কার্ড; ☞ লেম্বু; ☞ টুয়েন্টি নাইন; ☞ আই বি; ☞ ব্রে/হার্টস; ☞ নাইন কার্ড; ☞ হাজারী; ☞ ফ্যাশন; ☞ পোকার; ☞ দশের ডাক; ☞ ফাইভ কার্ড; ☞ কল ব্রীজ; ☞ কাইট খেলা; ☞ জোড়া মিলানো; ☞ স্পাইডার; ☞ স্পেড টার্ম; ☞ কন্ট্রাক্ট ব্রীজ; ☞ ৯ তাস ইত্যাদি।

কিংবদন্তি আছে ইংল্যান্ডের লীডস শহরের একজন অধিবাসিনী ছিলেন 'মিসেস হচকিস'। এগারো বছর ধরে তিনি পঙ্গু হয়ে শয্যাশায়ী অবস্থায় ছিলেন। কথাবার্তা বলতে না পারলেও জ্ঞান ছিল। এগারো বছর বিছানায় শুয়ে শুয়ে তিনি একার্তে তাস খেলতেন। ১৭৯৫ সালে হঠাৎ তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগের মুহূর্তেও তাঁর হাতে ছিল রুহিতনের সাত। হাত থেকে সেই রুহিতনের সাত যখন কিছুতেই আলাদা করা গেল না তখন সেই অবস্থাতেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।

তাস খেলা একটি ভয়ংকর নেশা। অথচ শুরুতে অর্থাৎ তাসের জন্মলগ্নে কিন্তু এটি মোটেই আমজনতার খেলা ছিল না। মার্কিন ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট একবার বলেছিলেন, ‘আমি যখন ব্রীজ খেলি, তখন পাশ দিয়ে যদি একজন নগ্ন নারী হেটে যায়, আমি ফিরেও তাকাব না।’ শুধু ওয়ারেন বাফেটই না, আরেক শীর্ষ ধনী বিল গেটসসহ আমেরিকার আরও অনেক শীর্ষপর্যায়ের ব্যাক্তিই আসক্ত ইন্টারন্যাশনাল ব্রীজ নামে তাসের একটি জনপ্রিয় খেলার উপর। ১৯২৯ সালে এই ব্রীজ খেলাকে কেন্দ্রই করে ঘটে গিয়েছিল একটি ভয়াবহ খুনোখুনির ঘটনা। পছন্দসইভাবে না খেলার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের স্বামীকেই খুন করে বসেছিলেন মার্টল বেনেট নাম্নী একজন মহিলা। বিখ্যাত অভিনেতা ওমর শরিফ তাস খেলার উপরে এতটাই আসক্ত ছিলেন যে তিনি শিকাগো ট্রিবিউনে ব্রীজ নিয়ে নিয়মিত কলাম লিখতেন এবং পরবর্তীতে ওমর শরিফ ব্রীজ সার্কাস শ্লোগান নিয়ে একবার বিশ্বভ্রমণও করেন।

নিউ ইয়র্কের শীর্ষ বিনিয়োগ ব্যাংক বিয়ার স্টার্নের সাবেক প্রধান জিমি সেইন একজন জাতীয় ব্রীজ চ্যাম্পিয়ন। নিক নিকেলের সঙ্গে জুটি বেধে তিনি একবার আয়োজন করেছিলেন 'কর্পোরেট আমেরিকা বনাম কংগ্রেস’ ব্রীজ ম্যাচ। নিক নিকেল আমেরিকার ব্রিজ লিগ অঙ্গনের একজন কিংবদন্তী। কর্পোরেট আমেরিকার পক্ষে সেইন ও নিকেল দলে ভিড়িয়েছিলেন সাবেক সিবিএস নির্বাহী লরেন্স টিচ ও বিয়ার স্টার্নের তৎকালীন সভাপতি অ্যালান গ্রীনবার্গকে। তারা মুখোমুখি হয়েছিলেন কংগ্রেসের টেক্সাস সেন, কেন বেইলি হাচসন,কেন্টাকি, জিম বানিংসহ আরও অনেকের। বরাবরের মতো ব্রীজেও জয় হয়েছিল কর্পোরেট আমেরিকার।

একবার রাজা জেমস প্রসিদ্ধ বিজ্ঞানী স্যার আইজাক নিউটন এবং রয়েল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট জ্যোতির্বেত্তা হ্যালিকে রাজপ্রাসাদে নিমন্ত্রণ করেন। ডিনারের পর তাস খেলা শুরু হয়। তাসগুলি ছিল অ্যাষ্ট্রনমিক্যাল কার্ড। তাসের গায়ে বিভিন্ন নক্ষত্রপুঞ্জের ছবি আঁকা ছিল। খেলার স্মৃতি হিসাবে রুহিতনের তিরি প্রাসাদে রাখা হয়েছিল। পরে এটি অ্যাষ্ট্রনমার হাসেলকে দেখানো হয়। হাসেল তাসের কিছু জানতেন না। ছবিতে আঁকা তারাগুলি তাঁর মনঃপূত না হওয়ায় তিনি বললেন, ‘Why didn’t the artist make five points to the stars? there is no use upsetting the convention!’

তাস খেলার আবিষ্কার হয়েছে আজ থেকে প্রায় ছয়শত বছরেরও বেশি সময় আগে পঞ্চদশ শতকে। বিশ্বে প্রথম তাস খেলার প্রচলন ঘটে চীনে। খ্রিস্টীয় নবম শতকের দিকে টাং রাজার রাজত্বকালে অন্তঃপুরবাসী রানীরা তাস খেলে সময় কাটাতেন। তখন খেলার তাস হিসেবে পয়সা ও প্লেট ব্যবহার করা হতো। এ খেলা দ্রুত ভারতবর্ষেও তখন ছড়িয়ে পড়ে এবং খেলার তাস হিসেবে তখন রিং, তলোয়ার, কাপ ইত্যাদি ব্যবহার করে। তবে ৫২ তাসের খেলা প্রচলন করে প্রাচীন মিশর। তারা এই তাস চারজন মিলে খেলত। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চারজন মিলে যেভাবে তাস খেলা হয়, সেটা মিশর উদ্ভাবন করেছিল খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতকে। ঊনবিংশ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত এই খেলা রাজপরিবার এবং সৈন্য-সামন্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে জার্মানির রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাসের নামেও আসে পরিবর্তন। ক্ষমতানুযায়ী তাসের নাম দেওয়া হয় রাজা-রানী, জোকার ইত্যাদি। বর্তমানে এই খেলা এত বেশি জনপ্রিয় যে, তা মোবাইল ও কম্পিউটারের ভেতরেও ঢুকে গেছে।

চীন থেকে যারা গাধার পিঠে করে অথবা হাতিতে করে মালামাল বিভিন্ন দেশে নিয়ে যেত অথবা বাণিজ্যিক কারণে যারা চীনে আসত তাদের মাধ্যমে তাস খেলা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। মামলুক শাসকরা এ খেলার নাম দিয়েছিল ন্যাব, নাইবি অথবা নাইপ। মামলুকরা বিশেষ করে মিশরে বায়ান্ন তাস দিয়েই এ খেলার প্রচলন রেখেছিল; কিন্তু তাদের তাসের প্রতীকগুলো ছিল ভিন্ন ধরনের। তারা ১-১০ নং কার্ডকে কোর্ট কার্ড হিসেবে ধরে কিং কুইন এবং ভিজির চিহ্নিত একটি কার্ডও রাখত। ভিজির রুশ শব্দ, এর অর্থ হল উজির। মামলুক সম্রাটের কোনো এক উজিরের নাম ছিল নাইয়িব। তিনি এ খেলার পৃষ্ঠপোষকতা করতেন বলে মিশরে ন্যাব, নাইবি অথবা নাইপ নামে এই খেলার প্রসার ঘটেছিল।

পঞ্চদশ শতাব্দীতে ইউরোপের দেশগুলোতে তাস খেলা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে ইউরোপীয় শাসকরা একে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। কারণ ওই সময় এ খেলাটি বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে ব্যাপকভাবে জুয়া হিসেবে ব্যবহার হতে থাকে; কিন্তু ইউরোপীয় রাজন্যবর্গের নিষেধাজ্ঞা মোটেই কার্যকর হয়নি। জোহানবার্গের প্রিন্টিং মেশিন আবিষ্কারের ফলে বিপুল পরিমাণের তাস ছাপা হয়ে ইউরোপীয় প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গিয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় শাসকবর্গ এটাকে গ্রহণ করে নেয় সঙ্গে সঙ্গে গামবুলিংও অলিখিতভাবে স্বীকৃত হয়ে যায়। তাসের প্রতীকগুলো হল দৃশ্যমান কিছু ছবি। এতে ইশকাপন, হরতন, রুহিতন এবং চিড়িতন থাকে। এর মধ্যে প্রত্যেকটিরই রাজা, রানি এবং গোলাম আছে এবং এর সঙ্গে নির্দিষ্ট নম্বর মারা প্রত্যেকটি রঙ এবং প্রতীকের কিছু তাস রয়েছে। অবশ্য একই প্রতীক নিয়ে বা তাসগুলোর মান ও নাম একই রকমভাবে; কিন্তু বিশ্বের সব দেশে প্রচলন হয়নি। ইতালিতে রাজা ঘোড়া ও ঘোড়সওয়ার ডোনা বা রানি এবং অন্য তাসগুলোতে সৈনিক হিসেবে কল্পনা করে তাস খেলা প্রসারের প্রথম দিকে খেলা আরম্ভ হয়, পরে এর সঙ্গে যুক্ত হয় ঘোড়সওয়ারের সঙ্গে শিকারি। যে রাজহাঁস বা হরিণ শিকার করে এবং রাজহাঁস বা হরিণের ছবি সংবলিত তাসও বায়ান্ন তাসের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়; কিন্তু তাসের সংখ্যা বায়ান্নই থেকে যায়।

ফ্রান্সে ১৪৮০ সালে যখন তাস খেলার প্রচলন ঘটে, তখন তাদের তাসগুলো ছিল ইশকাপন, হরতন, রুহিতন এবং চিড়িতন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল তরবারিধারী রাজা এবং একচক্ষু রানি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যখন এই খেলা প্রথম প্রবেশ করে তখন এই খেলার মধ্যে তারা নতুন একটি নিয়ম সংযোজন করে, যাকে তারা বলত ট্রয়নকি। বর্তমানে এই শব্দটি থেকে ট্রাম শব্দটি এসেছে।

তাসের চারটি প্রতীক পঞ্চদশ শতকের সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর পরিচয় বহন করে । আবার তাসের ছবিগুলোতে উপস্থাপিত হয়েছে ঐতিহাসিক নানা ব্যক্তিত্বের। প্রথম দিকে তাসের প্যাকেটে ৭৮ টি তাস থাকত। কিন্তু এতগুলো তাস নিয়ে খেলা জটিল ও কষ্টকর হয়ে ওঠায় তাসের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। তবে হ্রাসকৃত সংখ্যার মধ্যে যে তাসটি এখনো সগৌরবে টিকে আছে সেটি হলো জোকার। খেলুড়েদের কাছে এই তাসটি সুপার ট্রাম্প কার্ড হিসেবে পরিচিত।

প্রধান চারটি তাস কিসের প্রতীক বহন করে চলেছে এবার সেটা জানা যাকঃ-

ইস্কাপন বা স্প্রেডস-এর টেক্কা।

হার্টস বা হরতন-এর টেক্কা।

ডায়মন্ডস বা রইতন-এর টেক্কা।

ক্লাবস বা চিড়িতন-এর টেক্কা।

=> ডায়মন্ডস হলো ধনী শ্রেণীর প্রতীক। তখনকার সময়ে এরা ছিলো শাসক শ্রেণী। ডায়মন্ডস দিয়ে তাদের ধনদৌলত-ঐশ্বর্য কে বোঝানো হতো।

=> স্পেডসের হলো সৈন্যের প্রতীক । স্পেড শব্দটি এসেছে স্প্যানিশ স্পাডা থেকে। যার অর্থ তরবারি।

=> হার্টস পাদ্রিদের প্রতীক। আগে প্রতীকটির আকার ছিল পান পাতার মতো। পরে অবশ্য সেটা পরিবর্তন হয়ে হার্ট বা হৃৎপিণ্ডের আকার পায়।

=> ক্লাবস বলতে বোঝানো হতো গরিব মানুষদের। ইংরেজি ক্লাবের বাংলা হলো মুগুর। গরিব শ্রেণীর মানুষের মুগুরই সম্বল এরকম একটা অর্থ বহন করে এই তাসটি।


তাসের গায়ের ছবিগুলোরও রয়েছে ঐতিহাসিক ব্যাখ্যাঃ-

ইস্কাপন বা স্প্রেডসঃ- কিং অব স্প্রেডস হলো রাজা ডেভিড, গোলিয়াথের হত্যাকারী। বাইবেল অনুযায়ী এই রাজা ইসরাইল শাসন করেছিলেন। বাইবেলে আরো বলা হয়েছে যে, তিনি ছিলেন যিশু খ্রিষ্টের পূর্বপুরুষ। এই বিখ্যাত রাজার বৈশিষ্ট হলো তিনি আবেগের বশবর্তী হয়ে কোন কাজ করেন না। এবং তিনি সব সময় বিচার-বুদ্ধি দিয়ে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করেন। এই তাসের রানী হলেন গ্রিক যুদ্ধ দেবী প্যালাস, যিনি দুই হাতে ধরে আছেন তরবারি ও ফুল।

হার্টস বা হরতনঃ- কিং অব হার্টস এর ছবি আঁকা হয়েছে বিখ্যাত রাজা শার্লেমেন বা চার্লস এর অনুকরণে যিনি ৮০০ খ্রিস্টাব্দে জয় করেন অর্ধেক ইউরোপ। তাসে দেখা যায়, এই রাজা তার তলোয়ারটি নিজের মাথায় ঠেকিয়ে নিজেকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছেন। তাই অনেকে এই রাজাকে আত্মঘাতী রাজাও বলে থাকেন। আরও একটি চমৎকার বিষয় লক্ষনীয় যে, 'তাসের রাজাদের মধ্যে একমাত্র হার্টসের রাজারই কোন গোঁফ নেই'। এটা সম্পর্কে সামু ব্লগের সিনিয়র ব্লগার শায়মা আপুকে জেন রসি ভাইয়ের করা 'নজরবন্দি বাজিকর' নামক একটা পোস্টে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে 'আপু বলেন তো কোন রাজার গোঁফ নেই?' আমার প্রশ্নের উত্তরে ঢঙ্গী (উনি নিজেই বলেন) আপু শায়মা খুব সুন্দর একটি কবিতা রচনা করে তার উত্তর দেনঃ-
সেই রাজা যেই রাজা যার নেই গোঁপ
হৃদয়ের রাজা সে যে তাই গোফ লোপ!

পোস্টটার লিংকঃ- নজরবন্দি বাজিকর
তার তাসের রানী হলেন বাইবেল উল্ল্যেখিত নায়িকা জুডিথ। যিনি রাজার তরবারির এক আঘাতে এক আসিরিয়ান সেনাপতিকে হত্যা করেছিলেন।

ডায়মন্ডস বা রইতনঃ- কিং অব ডায়মন্ডস হলেন রোমের বিখ্যাত শাসক, রাজনীতিবিদ এবং সাহিত্যিক রাজা জুলিয়াস সিজার। রোম সম্রাজ্যের উত্থানে এই প্রভাবশালী শাসকের গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রয়েছে। তিনি খুবই দক্ষতার সাথে রোমের রাজনীতি দীর্ঘ সময় ধরে নিয়ন্ত্রন করে গেছেন। আরও একটি মজার বিষয় হলো, তাসের রাজাদের মধ্যে সব রাজারই মুখ স্পষ্ট দেখা গেলেও একমাত্র রইতনের রাজারই মুখ অর্ধেক দেখা যায়। কুইন অব ডায়মন্ডস হলেন তার স্ত্রী র্যাচেল।

ক্লাবস বা চিড়িতনঃ- কিং অব ক্লাবস হলেন দিগ্বিজয়ী আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট, যিনি ৩২৩ খ্রিস্টপূর্বে পৃথিবীর প্রায় পুরোটা দখল করে নিয়েছিলেন। গ্রিসের মেসিডোনিয়ার এই সম্রাটের নাম শোনেন নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আগের চিড়িতন তাসে পৃথিবীর মানচিত্রের গোলক থাকত, কিন্তু পরে তার আলখেল্লায় গোলকটি আঁকা হয়। কুইন অব ক্লাবস হলেন একমাত্র ইংরেজ মহিলা। যিনি আর কেউ নন ব্রিটিশ রানী প্রথম এলিজাবেথ। তার গোলাম হলেন রাউন্ড টেবিলের বিখ্যাত নাইট, স্যার ল্যান্স লট।

সব চেয়ে সেরা তাস হচ্ছে ইস্কাপনের টেক্কা। একে ‘হেড অব দি প্যাক’ বলা হয়। ইংল্যাণ্ডে যখন প্রথম তাস খেলার প্রবর্তন হল তখন তাসের উপর দুর্দান্ত ট্যাক্স বসানো হয়েছিল। তাস প্রস্তুতকারক প্রত্যেক ফার্মকে এক কুড়ি ইস্কাপন টেক্কার তাস এক সঙ্গে ছাপা হয় এমন একটি প্লেট তৈরি করে সরকারকে দিতে হত। এই প্লেটের সাহায্যে ইস্কাপন টেক্কার সব তাসই সরকারি ছাপাখানা অর্থাৎ সমারসেট হাউসে ছাপা হত। কোম্পানির নিজস্ব নাম ও মার্কা এই তাসের উপর লেখা থাকত। প্রত্যেক কুড়িটি টেক্কার সিটের জন্য তাস ব্যবসায়ীকে দিতে হত এক পাউণ্ড এবং প্রতি একশো জোড়া তাসের জন্য ট্যাক্স লাগত পাঁচ পাউণ্ড। সে যুগে এক প্যাক তাসের দাম ছিল অনেক বেশি। কম করে হলেও এক প্যাক তাসের দাম এক গিনি। ফলে তাস খেলাটা অত্যন্ত ধনী ব্যাক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। পরে ব্রিটেনে ট্যাক্স কমে তিন পেন্সে এসে দাঁড়িয়েছিল। ইস্কাপনের টেক্কাকে স্প্যাডিলও বলা হত। আলেকজাণ্ডার ডুমা তাঁর লেখায় বলেছেন যে, 'শিশু নেপোলিয়নের ভাগ্য গণনার সময় কর্সিকার ডাইনি বুড়ি কড়াইতে যে ঐন্দ্রজালিক পাঁচন জ্বাল দিয়েছিল তার অন্যতম উপাদান ছিল স্প্যাডিল।'

Ace হচ্ছে টেক্কা। এই শব্দটি এসেছে ল্যাটিন AS কথা থেকে যার অর্থ একক। হরতনের টেক্কার আরেকটি নাম হচ্ছে Latimar’s Card। বিশপ ল্যাটিমার গির্জার বেদীতে বসে তাসের প্যাক হাতে দিয়ে ধর্ম বিষয়ক উপদেশ বা Sermon প্রচার করতেন। ল্যাটিমার বলতেন, 'Let us play at Triumph'। Triumph থেকে Trump কথাটা এসেছে। আবার এই হরতনের টেক্কা হচ্ছে ঐশ্বরিক এককত্বের প্রতীক। কারণ, বিশপের বক্তৃতার মর্মার্থ ছিল, 'ঈশ্বরের কাছে সবটা সমর্পণ করতে পারলেই মানুষের আত্মার মুক্তি ঘটে।'

তথ্য সূত্রঃ- অনলাইনে ছড়ানো ছিটানো বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা!


তাসের ম্যাজিকঃ- প্রচলিত খেলা গুলো ছাড়াও তাস নিয়ে কিছু মজার মজার ম্যাজিকও আছে। যে ম্যাজিক গুলো দেখিয়ে আপনি দর্শককে সম্পূর্ন বোকা বানাতে পারবেন। তাহলে চলুন এবার সেই সমস্থ মজার ম্যাজিক গুলো সম্পর্কে একটু আলোচনা করা যাকঃ-

প্রথম খেলাঃ- এ খেলায় শুধুমাত্র একজন সহযোগীর প্রয়োজন হবে। প্রথমে আপনার সহযোগীকে বলে দিন, তাসের মধ্যে 'Jack-11, Queen-12, King-13 এবং টেক্কা-1'। বাকি তাস গুলোর মান তো তাতে লেখাই আছে। এবার বন্ধুকে মনে মনে বায়ান্নটা তাসের যে কোন একটা ভাবতে বলুন। মনে মনে বন্ধুটি যে তাসটি ভাবছে তার পরবর্তি তাসের মান, মনে করা তাসটির সাথে যোগ করতে বলুন। ফলাফলটিকে দিয়ে গুন করতে বলুন । এবার বন্ধুকে তাসের গ্রুপের মান বলুনঃ 'ক্লাবস/চিড়িতন- 6, ডায়মন্ড/রইতন- 7, হার্টস/হরতন- 8, স্পেডস/ইস্কাপন- 9' (ন্যাশনাল ব্রিজ খেলার ক্ষেত্রেও তাসের মান ঐ একই থাকে)। সে যে গ্রুপের তাস ধরেছে তার মান গুনফলের সাথে যোগ করতে বলুন। ফলাফলটা জানতে চান। আপনি মনে মনে ঐ ফলাফল থেকে 5 বাদ দিন । এবার বন্ধুর মনে মনে ধরা ভাগ তাসটি কি ছিল সেটা বলে দিন। একবার আপনি নিজেই চেষ্টা করে দেখুন না...?

প্রকৃয়াঃ- ধরুন আপনার বন্ধু মনে মনে ভাবছে হার্টস এর 5 । পরবর্তি কার্ড নাম্বার যোগ করলে হয় 5+6 = 115 দিয়ে গুন করবে 11*5 = 55। কার্ড গ্রুপ মান যোগ হবে (হার্টস- 8) 55+8 = 63 । এবার '63' ফলাফলটি শোনা মাত্র আপনি তা থেকে 5 বাদ দিয়ে দিন 63-5 = 58। এই 58 এর প্রথম সংখাটি হলো আপনার বন্ধুর মনে মনে ধরা কার্ড টি, এবং দ্বিতীয় সংখাটি হলো কার্ডের গ্রুপ। অর্থাৎ আপনার বন্ধুটি হার্টস/হরতনের 5 সংখ্যার কার্ডটি ধরেছিল।

দ্বিতীয় খেলাঃ- কোন দর্শককে অনুরোধ করুন এক প্যাকেট তাস হতে ১০ এর বেশি যতগুলো ইচ্ছা তাস নিতে। তারপর আপনাকে না জানিয়ে তাস গুলো গুনতে বলুন । যে সংখ্যক তাস হল তার একক ও দশক মনে মনে যোগ করতে বলুন । যোগফলের সমান সংখ্যক তাস, দর্শকের নেয়া তাস হতে বাদ দিতে বলুন। এবার আপনি দর্শকের অবশিষ্ট তাস হাতে নিয়েই বলে দিতে পারবেন তাতে কতগুলো তাস আছে!

এখানে একটা উদহারণ দেওয়া যাক। ধরা যাক আপনাকে না দেখিয়ে দর্শক ২১ টি তাস তুলে নিল। এবার সংখ্যাটির একক ও দর্শক যোগ করলে (২ + ১) = ৩ হয়। আপনার কথামত দর্শকটি ৩ টি তাস তার নেয়া ২১ টি তাস হতে বাদ দিল। তাহলে তাঁর হাতে থাকল (২১ - ৩) = ১৮ টি তাস। এখন আপনি অবশিষ্ট তাসের গোছা হাতে নিয়ে অনায়াসেই বলে দিতে পারবেন যে, তাতে মাত্র ১৮ টি তাস আছে। আর বলার সাথে সাথে দেখবেন দর্শক হতবাক। এখন হয়তো ভাবছেন, এটা কিভাবে সম্ভব (!) কি তাই তো? আরে ভাই টেনশন নিয়েন না, ম্যাহু না! ;) শুধু মাত্র তাসের গোছার ওজন দেখে তাসের সংখ্যা নির্ভূল ভাবে বলে দেওয়াকে ম্যাজিক নয়তো আর কি বলবে, বলেন তো?

প্রকৃয়াঃ- এই ম্যাজিকটির কৌশল খুব সোজা। ম্যাজিক দেখানোর আগে আপনাকে শুধু দেখে নিতে হবে ৯টি তাস কতখানি মোটা, ১৮টি তাস কতখানি মোটা, এবং এভাবে পর্যায়ক্রমে ২৭, ৩৬, ও ৪৫ টি তাস কেমন মোটা। এটুকুই আপনাকে একটু কষ্ট করে অভ্যাস করে নিতে হবে, তাহলেই এই ম্যাজিক দেখানোটা আপনার কাছে কেবল ডাল-ভাত বলে মনে হবে। না পারলেও যে খুব বেশি অসুবিধা হবে তা কিন্তু নয়। তবে কথায় আছে না, সাবধানের মাইর নেই। সুতরাং এটা জেনে রাখা ভাল। কারণ ইচ্ছামত যত তাসই দর্শক গ্রহণ করুক, তার একক ও দশক সংখ্যার যোগফলের সংখ্যক তাস রেখে দিলে আর বাদ বাকি তাসে "৯, ১৮, ২৭, ৩৬, ৪৫" (৯ এর ঘরের নামতা)- এর যে কোন একটির সংখ্যক তাস অবশ্যই থাকবে।

আসুন আরো দু’একটি উদাহরণ দেয়া যাকঃ- ধরুন মোট তাস ১১টি। এখন ১১ সংখ্যার একক (১) এবং দশক (১), এই দুইটি সংখ্যা একত্রে যোগ করলে পাই (১+১)=২, এবার এই দুইয়ের সাথে মোট তাস ১১ বাদ দিলে থাকে আপনার কাংখিত উত্তর- । উদারণঃ- ১১ - ২ (১ + ১) = ৯;

আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে আরো কিছু উদারহণ দেওয়া হলোঃ- ১৪ - ৫ (১ + ৪) = ৯; ২০ - ২ (২ + ০) = ১৮; ৩১ - ৪ (৩ + ১) = ২৭; ৪২ - ৬ (৪ + ২) = ৩৬ এবং ৫২ - ৭ (৫ + ২) = ৪৫।

তৃতীয় খেলাঃ- প্রথমে আপনি এক প্যাকেট তাস হতে ১৩টি ইষ্কাপনের তাস বের করে নিন। অন্য যে কোন তাস নিলেও হবে। তবে শর্ত হলো তা এক কার্ডের হতে হবে। এবার তাস গুলো কে একটু সাজিয়ে নিন। মুখে বললেন ও-এন-ই অথ্যাৎ O-N-E এবং প্রতিটি বর্ণের সঙ্গে একটি করে তাস উপর থেকে নিচে রাখলেন। এবার বললেন One (ওয়ান) এবং উপরের তাসটি টেবিলে রেখে দেখালেন সেটি “ইষ্কাপনের টেক্কা”। ইস্কাপনের টেক্কাটি টেবিলেই থাকল। আবার আপনি উপর থেকে একটি তাস নিচে রেখে বললেন 'টি (T)' এর একটি তাস উপর থেকে নিচে রেখে বললেন 'ডব্লিউ (W)' এবং আর একটি তাস উপর থেকে তলায় রেখে বললেন 'ও (O)'। এবার উপরের তাসটি টেবিলে সোজা করে রাখরেন এবং বললেন 'টু (Two)'। দেখা গেল তাসটি 'ইষ্কাপনের দুই'

এভাবে আপনি "THREE, FOUR, FIVE, SIX, SEVEN, EIGHT, NINE, TEN, KING, JACK, QUEEN" প্রতিটি বানান করে করে বের করলেন অর্থাৎ T-H-R-E-E প্রতিটি বর্ণ উচ্চারণের সাথে সাথে একটি করে তাস উপর থেকে নিচে রাখলেন। Three বানান শেষ হয়ে গেলে উপরের তাসটি তলায় না রেখে টেবিলের উপর সোজা করে রাখলেন এবং দেখা গেল সেটা ইষ্কাপনের তিন। এভাবে যে তাস গুলো টেবিরে রাখা হচ্ছে সেগুলো টেবিলেই থাকবে। অবশিষ্ট তাসের উপর থেকে আবার একটি করে তাস নিচে রাখবেন এবং একটি করে বর্ণ উচ্চারণ করবেন। বানান সম্পূর্ণ হলে আপনি উপরের তাসটি টেবিলে সোজা করে দেখেন সেটি ঐ তাস যার ফোটার সংখ্যা এতক্ষণ ইংরেজিতে বানান করা হচ্ছিল। এভাবে আপনি ইষ্কাপনের ১৩টি তাস-ই বের করে দেখাতে পারবেন। কি, ম্যাজিকটি মজার; তাই না?

প্রকৃয়াঃ- এখন ঢোকা যাক ম্যাজিকটির রহস্যের ভিতর। ম্যাজিকটি একটু কঠিন মনে হলেও, একবার বুঝতে পারলে কিন্তু খুব বেশি ঝামেলার নয়। যত রহস্য সব ঐ তাস সাজানোর মধ্যে। প্রথমে এক প্যাকেট তাস হতে ১৩টি ইস্কাপনের (বা অন্য যে কোন) তাস বের করে নিন। তবে এক্ষত্রে তাস গুলো সব একই লেভেলের হতে হবে। যেমন, ইস্কাপন নিলে ১৩টা কার্ডই ইস্কাপন নিতে হবে, হরতন নিলে ১৩টা কার্ডই হরতনের নিতে হবে; এভাবে চিড়িতন এবং রইতনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এবার ১৩টি একই রঙ্গের তাস এক বিশেষ বিন্যাসে সাজাতে হবে। উপর থেকে নিচ পর্যন্ত বিন্যাসটি হল '3, 8, 7, A, Q, 6, 4, 2, J, K, 10, 9, 5' অর্থাৎ ১৩টি তাস উপুড় করে ধরলে উপরে থাকবে '3 এবং নিচে থাকবে 5' এই হলো কাজের কাজ। তারপর সব সোজা। প্রথমে ONE বানান করে পড়েন এবং প্রতিট বর্ণ উচ্চারণের সময় একটি করে তাস উপর থেকে তলায় রাখেন। তিনটি বর্ণ উচ্চারণের জন্য তিনটি তাস তলায় রেখে উপরের তাসটি টেবিলে রেখে সবাইকে দেখালেন যে সেটি ONE। এভাবে ONE থেকে JACK পর্যন্ত বের করে দেখান। শেষে একটি তাস হাতে থাকবে। বলা বাহুল্য সেটি হবে বিবি/কুইন। আশা করি ব্যাপারটি আপনাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে।

আপনারা বুঝতে পারছেন হঠাৎ করে কোথাও এই ম্যাজিকটি দেখাতে হলে সবচেয়ে দরকার বেশি হল ১৩টি তাসের ঐ সিলিয়ালটি মনে রাখা। ঐ সিরিয়ালটি অবশ্যই মুখস্ত রাখতে হবে। কিন্তু আমি আপনাদের মুখস্ত রাখার ব্যাপারে গোপনে (গোপন আর থাকল কৈ? :P ) একটু সাহায্য করতে পারি। নিচের সূত্রটি মনে রাখলেই ঐ সিরিয়ালটি খুব সহজেই বের করতে পারবেন। সূত্রটি হলঃ-

"387 এক রাজা (A) ছিল। তার একটি বিবি (Q) ছিল। ৬৪ বছর বয়সে তাদের 2 টি সন্তান হয়। একজনের নাম গোলাম (J) আর একজনের নাম সাহেব (K)। এবং 10, 9, 5 সালে তিনি মারা যান।"

খেয়াল করে দেখেন সূত্রটি একটি গল্পের অংশের মত। তাই এটি মুখস্ত বা মনে রাখা অধিকতর সহজ। এই সূত্রটি মনে মনে পড়বেন এবং সূত্রের সংখ্যাগুলোর সাথে মিল করে করে তাস সাজাবেন। যেমন 387 সালে এক রাজা এটি পড়ে প্রথমে ৩; ৮; ৭ ফোটার ইষ্কাপনের তাস টেবিলে রাখলেন। রাজার জন্য ইস্কাপণের টেক্কা (A) রেখে (তাস খেলার টেক্কাই রাজা বা ক্ষমতাশালী) এভাবে তাস সাজাবেন। এখানে লক্ষনীয় যে “গল্প-সূত্র” টি মনে রাখতে পারলেই আর কখন সিরিয়ালে ভুল হবে না।

এই খেলাটি অন্য আর এক ভাবেও খেলা যায়। সেক্ষেত্রে সূত্রটি একটু ভিন্ন ধরনের, তবে খুব মজার। সূত্রটি হলোঃ- "একদা রানী চতুর্থ তলায় একা বসিয়া অট্টোহাসি হাসিতে হাসিতে গোলাম দ্বয় সাথে নিয়া পঞ্চ দশ সহ রাজার সহিত তিন ছয় নয় খেলিতেছিল।"

তাহলে এখন ঐ সূত্র অনুসারে তাস গুলো সাজাতে হবে ঠিক এভাবেইঃ- "একদা রানী (Q) চতুর্থ (4) তলায় একা (A-টেক্কা) বসিয়া অট্টো(8) হাসি হাসিতে হাসিতে গোলাম (J) দ্বয় (2) সাথে (7) নিয়া পঞ্চ (5) দশ (10) সহ রাজার (K) সহিত তিন (3) ছয় (6) নয় (9) খেলিতেছিল।"

এখন এভাবে সাঁজালে কার্ডের সিরিয়াল গুলো হবে ঠিক এভাবেঃ- "Q, 4, A, 8, J, 2, 7, 5, 10, K, 3, 6 এবং 9।"

এবার আপনি One-Thirteen ( এক থেকে তের) পর্যন্ত ইংরেজিতে বানান করে যান এবং শেষ কার্ডটি উচ্চারন করে সেটা সামনে আনুন। কি, মজা পাইছুইন? ;)

চতুর্থ খেলাঃ- প্রথমে যাকে/যাদেরকে আপনি খেলাটা দেখাবেন তাদের সবাইকে এই মাজিক আর নিয়ম গুলো ভালো করে বোঝিয়ে নিন. এক পাকেট এর ৫২ টি তাস নিবেন। এর K, Q, J প্রত্যেকটির মান হলো ১০। A এর মান হলো ১ এবং ২ থেকে ১০ পর্যন্ত সংখা যার মান যা আছে তাই। এবার তাকে মান বোঝানোর পর তাস গুলো তার হাতে দিয়ে বলুন, তার ইচ্ছে মত ওলট-পালট করে দিতে। তারপর তাস গুলো আপনার হাতে দিলে আপনি সেখান থেকে ২৬ টি তাস (দেখে দেখে উপর থেকে নিচ, অর্থাৎ যে কার্ডটা প্রথমে তুলবেন সেটা নিচে রেখে তার পরে যেটা তুলবেন সেটা ঐ পূর্বের কার্ডটার উপরে রাখবেন) এভাবে আলাদা করে এক জায়গায় রেখে দিন। বাকি ২৬ টি তাস তাকে আবার ওলট-পালট করে দিতে বলুন এবং তার বিশ্বাস অর্জনের জন্যে, আবার আপনি সবার উপরের তাস টা দেখে টেবিল এর উপর রাখুন। দেখেন ওটার মান কত।

মনে করুন রাখা তাসটির মান হলো ৮। তাহলে আপনাকে এর পরবর্তী তাস দুটো রাখতে হবে। কারণ শর্ত হলো প্রত্যেক লাইন এ ১০ পূরণ করতে হবে (যেমন ৮ সংখ্যার তাস পড়লে তার উপরে আরো ২টি তাস রেখে দশ পূর্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে দশ সংখ্যার তাস খুঁজে বের করাটা জরুরি নয়। বরং ৮ সংখ্যা তো বের হয়েছে, এখন আর দুটো কার্ড সেখানে রাখলেই দশ হয়ে যাবে)। প্রথমে একটা তাস রাখার পর বাকি আর তাস গুলোর সব মান ১ করে। মনে করুন প্রথমে যেটা রাখলেম ওটা A . মানে হলো এর মান ১। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ৯ টি তাস রাখতে হবে। সেই ৯ টি তাসের মধ্যে Q, ৩, J , ১, ৭ যাই পরুক না কেন সবার মান ১ করে। প্রথম লাইন এ ১০ পর্যন্ত হয়ে গেলে একই ভাবে আরর একটি তাস নিয়ে দ্বিতীয় লাইন এ রাখুন। এভাবে ওই লাইন টাকেও ১০ পূর্ণ করুন। তারপর তৃতীয় লাইন।

আমাদের ৩ টি লাইন এই ১০ করে মান হয়েছে। উপরের ছবিটি খেয়াল করুন। প্রথমে ৮ পড়েছিল। তাই তারপর আরো ২ টি তাস রেখেছি। মানে ৮, ৯, ১০। তারপর পড়েছিল ৬। তাই আরো ৪ টি তাস রেখেছি। মানে ৬, ৭, ৮, ৯, ১০। এভাবে তৃতীয় লাইন এ প্রথম এই ১০ পরে গেছে। তাই আর রাখতে পারব না। কারণ আগেই বলেছি, শর্ত হলো প্রত্যেক লাইন এ ১০ পূরণ করতে হবে। এবার যে তাস গুলো আপনার হাতে বেশি থাকলো সেগুলো আগের যে ২৬ টি তাস আলাদা করে রেখেছিলেন তার উপর রাখুন। এবার তাকে বলুন ৩ লাইন এর সবার উপরের তাসের মান গুলো যোগ করতে।

সে ও আপনি যোগ করে দেখলেন যে, তিন লাইলেন প্রত্যেটার প্রথম তাসটার যোগফল ২৪ হলো (৮ + ৬ + ১০) = ২৪। এখন আপনি তাকে বলবেন, 'প্রথমে আমি ২৬ টি তাস রেখেছিলাম। কোন তাসটা কোথায় ছিল তা তুমি ওলট-পালট করে দিয়েছিলে। তাই আমার নিশ্চই অতগুলো তাস মনে রাখা সম্ভব না, কোনটার আগে পরে কোনটা আছে (আসলেই কিন্তু মনে রাখা সম্ভব না)। তাছাড়া তুমি নিশ্চই দেখেছো, তার উপরেও এবার কতগুলো তাস রেখেছি। সেখানে কতগুলো ছিল আমি তাও গুনে রাখিনি। আর আমাদের যোগ ফল হলো 24। এখন আমি বাকি যে তাস গুলো আছে তার থেকে বলে দিতে পারি 24 নাম্বার তাস টা কোন কার্ডের কত নাম্বার তাস! এই দেখ বলছি, উক্ত তাসের মধ্য থেকে ২৪ নাম্বার কার্ডটা হলো- হার্টস এর ৯।'

আপনি (তাস ) উল্টো থাকা অবস্থায়-ই গোনা শুরু করলেন। 24 নাম্বার তাস টা সত্যি-ই হার্টস এর ৯। এবার তাকে আপনি বলুন উপরের ৩ টি তাসের যোগফল যে 24 হবে সেটা তো আর আমি আগে থেকেই জানতাম না। যোগফল ২২ হলে আমি তোমাকে ২২ নাম্বার তাসটাই বলতে পারতাম। ২৮ হলেও বলতে পারতাম। এমনকি সবার উপরে যদি ১০, ১০, ১০ পড়ে ৩০ হলে সেটাও বলতে পারতাম। এবার ১, ১, ১, মোট ৩ হলে ৩ নাম্বার তাসটা কি তাই বলতাম। সে নিশ্চই অবাক হবে! এভাবে বেশ কয়েকবার করে দেখান। তাহলে সে আরো অবাক হবে! কারণ উপরের তিনটা তাসের যোগফল যা হচ্ছে আপনি সেই নাম্বারের তাসটাই বলে দিচ্ছেন! হাউ চুইট..... ;)

প্রকৃয়াঃ- সে যতই তাস উলট-পালট করে দিক আপনি যখন ২৬ টি তাস আলাদা করে রাখবেন তখন ২০ নাম্বার তাস টি কি আপনি সেটা দেখে রাখবেন। মনে করুন ২০ নাম্বার তাস টি হলো হার্টস এর ৯। তাস গোনার সময় একটু সাবধানে গুনবেন। ২০ নাম্বার তাস এ এসে কিন্ত থামবেন না। তাহলে কিন্তু সে বুঝে যেতে পারে। একই ভাবে গুনে যান। Just ২০ নাম্বার তাসটা মনে রাখুন। তারপর তাস গুলো উল্টো করে রাখুন।

এবার প্রতি লাইন এ ১০ পূরণ করার পর বাকি তাস গুলো ঐ রাখ ২৬ টা তাসের ওপরে রাখবেন. এবার সবার উপরের ৩ টা তাস যোগ করে যোগফল ১০, ১৬, ২৩, ২৭, ৩০ যাই হোক না কেন আপনার সেই দেখে রাখা হার্টস এর ৯, ঐ তাস টি-ই বের হবে। তাহলে সে নিশ্চই অবাক হবে। কারণ উপরের ৩ টি তাসের যোগফল কত হবে সেটা তো আর আপনি আগে থেকেই জানেন না। অথচ প্রতি বারেই ঠিক ঠিক তাস বলে দিচ্ছেন! এই খেলাটা আরও এক ভাবে করা যায় তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে ২০ নাম্বারের যায়গায় ০৮ নং কার্ডটাকে মনে রাখতে হবে। আর বাকি নিয়ম গুলো সবই অপরিবর্তিত থাকবে।

পরিশেষে আসুন মজার একটি গুন অংক শিখিঃ- এমন দুইটি সংখ্যা যাদের সাথে আপনার বয়স দিয়ে গুন করলে, একটি মজার গুণফল বের হয়। নীচে সংখ্যা দুইটি এবং যে ভাবে করতে হবে তার একটি ফরমেট দেয়া হল।
সংখ্যা দুইটি হলঃ- [ ২৫৯ এবং ৩৯ ]
যে ভাবে করতে হবেঃ- [ ২৫৯×আপনার বয়স×৩৯ = মজার গুণফল ]।

বিঃ দ্রঃ খেলা গুলো কোথায় পেয়েছি তার কোন তথ্যসূত্র উল্লেখ করলাম না। কারন আপনি নিজেই চেষ্টা করে দেখেন খেলা গুলোর মধ্যে কোন রকম ভুল আছে কি না? টাইপিংয়ের ভুলের কারনে হয়তো অনেক জায়গায় বানানে ভুল থাকতে পারে। সেটাকে বিবেচ্য বিষয় হিসাবে না ধরে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে কৃতার্থ হবো।

বিশেষ কৃতজ্ঞতায়ঃ- সামু ব্লগেরই সিনিয়র ব্লগার রিকি, জেন রসি এবং শায়মা আপু। কারন উনাদের উৎসাহতেই আমার আজকের এই পোস্ট করা! সুতরাং আমার পক্ষথেকে উনাদেরকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি!

মন্তব্য ১০৪ টি রেটিং +৪০/-০

মন্তব্য (১০৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

রিকি বলেছেন: বিশেষ কৃতজ্ঞতায়ঃ- সামু ব্লগেরই সিনিয়র ব্লগার রিকি, জেন রসি এবং শায়মা আপু। কারন উনাদের উৎসাহতেই আমার আজকের এই পোস্ট করা! সুতরাং আমার পক্ষথেকে উনাদেরকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি!

ভাই আমি জেন ভাই এবং আপুনির থেকে অনেককককককক জুনিয়র--- আকাউন্ট ৩ বছরের হলেও লেখা এই বছরেই শুরু করেছি। সব থেকে সিনিয়র আপুনি ;)

পোস্টে +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++ প্লাসগুলো গুণে নেন, চরম চরম ভালো লেগেছে। অনেক অনেক কিছু জানলাম।

তাসের উপর এই পোস্টের জন্য কিন্তু আপুনিকে এখন আপনাকে হাঁসের রোস্ট খাওয়াতে হবেই হবে !!! ;)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই আমি জেন ভাই এবং আপুনির থেকে অনেককককককক জুনিয়র--- আকাউন্ট ৩ বছরের হলেও লেখা এই বছরেই শুরু করেছি। সব থেকে সিনিয়র আপুন।

-রিকি আপু আমি সিনিয়র বলতে এখানে শুধুমাত্র আমার সিনিয়রকে বুঝিয়েছি। আপনাদের যে তিন জনের নাম আমি উল্লেখ করেছি আপনারা সবাই তো আমার সিনিয়র তাই না? তাছাড়া আপুনি যে সেইরাম সিনিয়র সেটা ওনার কমেন্ট দেখলেই বোঝা যায়। সম্ভাবত ব্লগে আমার দাদী আর উনি এক বয়সী হবেন! :#) যদিও ব্লগে আমার দাদীর কোন আই ডি নেই। যদি থাকতো তাইলে বোধ হয তা.....ই হতো! :P

পোস্টে +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++ প্লাসগুলো গুণে নেন, চরম চরম ভালো লেগেছে। অনেক অনেক কিছু জানলাম।

-খাড়ান গোনার জন্য একজন লোক ভাড়া করে নিয়ে আসি! :`>

তাসের উপর এই পোস্টের জন্য কিন্তু আপুনিকে এখন আপনাকে হাঁসের রোস্ট খাওয়াতে হবেই হবে !!!

-যদি না খাওয়ান তাইলে কিন্তু ঈদের পরে তিব্রো আন্দোলনের ডাক দিতে হবে?
এই পোস্টে আপুনি যদি না খাওয়াইবেন হাঁস,
তাইলে ক্যামনে জমবে বলেন মজার খেলা তাস!!

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

কাবিল বলেছেন: রিকি, জেন রসি এবং শায়মা আপুরা আসতে আসতে
আসুন আমরা এক থাবা খেলে নিই, ইন্টারন্যাশনাল (নট্রামস)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই আপনি কার্ড বাটতে থাকেন, তার ভিতরে আমি দেখে আসি শায়মা আপুর হাঁস রান্না কদ্দুর কি হলো! :P

গরম গরম হাসের মাংসের সাথে তাস খেলার মজাই আলাদা কি কন?

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০

ধুম্রজ্বাল বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম। অবসরে পড়ব।
তবে অনেক সময় নিয়ে এরকম একটা লেখা লিখেছেন আমাদের জন্য।
এজন্য আগাম শুভেচ্ছা

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: বড্ড দৌড়ের উপর আছেন মনে হচ্ছে ভাই? :) তার পরেও অসুবিধা নেই, পরে সময় করে অবশ্যই পড়ে নিয়েন কিন্তু??

আপনার জন্যেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা!

৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমারেতো পুরাই তাসের যাদুকর বানাই দিলেন!!!!

=p~ =p~ =p~

কলব্রীজে একটা দারুন চিটং শিখেছিলাম এক খালাত ভাইয়ের কাছ থেকে! প্রতি চারহাত পর পর ঘুরে নিজের হাতে এলেই বোনাস কলা দেয়া যেত!!!
অনেক দিন চর্চা নেই!! মনে হয় ভুলেই যেতে বসেছি।

প্রিয়তে রাখলাম। যাদুগুলা দেখাতো হবে না ;)
++

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: -ভাই তাইলে যাদুকর বানানোর ফি টা আমার কম্পাউন্ডারের কাছে দিয়ে দিয়েন!

-সত্যি বলতে ম্যাচে আমারে কেউ তাস খেলতে নেয় না। সেটা তাসের যে খেলাই হোক। ওদের কথা মতে, তিন জনের হাত ঘুরে যখন আমার হাতে তাসের বাট আসে তখন নাকি ওরা আর সে পাড়িতে কোন পয়েন্টই পায় না। যদিও আমি সেটা মনে করি না। আসলে তাস খেলার ভিতরে কিছু কৌশল আছে যদি সেগুলো জানা থাকে তাইলে খেলতে সুবিধাই হয়!

পোস্ট প্রিয়তে রাখছেন ভাল করছেন, পরে সময় করে পড়ে নিয়েন। আর পড়ে জানাইয়েন যাদুগুলো কেমন লাগলো!!

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: পাত্তি খেলা সংক্রান্ত আলোচনা পড়ছিলাম রসি ভাইয়ের ওইখানে। এই ব্যাপারে আমার আগ্রহ কম। এই টাইপের খেলার ব্যাপারে একমাত্র আগ্রহের জায়গা দাবা। তবে পোষ্ট পড়ে কিছু ব্যাপার জানলাম। মন্তব্যও পোষ্ট প্রসবে সাহায্য করে,এই পোষ্ট তার উদাহরন। এবং পোস্টটা এই ব্যাপারে চুমাধুমা পোস্টই হইছে। ++

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: আগ্রহ কম থাকলে আপাতত ১০০ হাত দুরে থাকুন! :(( :`> কারন আগ্রহ হইলেই কিন্তু সাড়ে সর্বনাশ!

ভাই কতদিন যে দাবা খেলি না!!!!! আমারও দাবা খেলার প্রতি খুবই আগ্রহ। বাসায় দাবা কোডও আছে কিন্তু খেলার মত লোক নাই। আসেন না ভাই আপনার লগে এক গেম খেলি! যদিও আমি একটু কম পারি, তার পরেও আপনি আসলে খুবই খুশি হইতাম।

আপনি ঠিকই বলেছেন। শুধু পোস্ট নয়, মন্তব্য গুলোও ভাল ভাবে পড়া উচিত। তাইলে আরো অনেক কিছু জানা যায়।

মন্তব্যে শুভেচ্ছা জানবেন। ধন্যবাদের সহিত প্লাস গৃহিত হইল!!

৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

শায়মা বলেছেন: আমি এই পোস্ট এখনও দেখি নাই। একটু পরে দেখবো।

কারণ

১। কমেন্টগুলো এখন দেখা যাবে না তাইলে রিপ্লাই দিতে মেতে গেলে আমার গুরুত্বপূর্ণ কর্মাবলীতে ব্যাঘাত ঘটিবেক এমনিতেই দুপুরে একটু ঘুমিয়েছিলাম ১৫ মিনিটস। স্বপ্ন দেখলাম মহা সাজুগুজু করে বিরিয়ানী পোলাও কোরমা কোপ্তা খাচ্ছি আর আমার ব্যাগ কে যেন চুরি করে নিয়েছে!:(

স্বপ্নে হলেও আমি মন দিয়ে সব কাজ করিতো তাই মন দিয়ে স্বপ্নটা দেখে মন দিয়ে ভীষণ মনে কষ্ট পেয়েছি।

২। তাস আই ডোন্ট লাইক এ্যাট অল!!! কাজেই না লাইক করা জিনিসগুলো মন দিয়ে কষ্ট করে পড়তে হয়। এত কষ্ট জীবন নষ্ট!!!!!!!!!!:( :( :(


ওকে সব কাজ শেষ করে আসি।

আপাতত ১ নং কাজ পপ আপ কার্ড বানানো!:)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: শায়মা বলেছেন: আমি এই পোস্ট এখনও দেখি নাই। একটু পরে দেখবো।

-আপু আপনার যখন ইচ্ছা তখনই দেখতে পারেন। No problem.com!

১। কমেন্টগুলো এখন দেখা যাবে না তাইলে রিপ্লাই দিতে মেতে গেলে আমার গুরুত্বপূর্ণ কর্মাবলীতে ব্যাঘাত ঘটিবেক এমনিতেই দুপুরে একটু ঘুমিয়েছিলাম ১৫ মিনিটস। স্বপ্ন দেখলাম মহা সাজুগুজু করে বিরিয়ানী পোলাও কোরমা কোপ্তা খাচ্ছি আর আমার ব্যাগ কে যেন চুরি করে নিয়েছে!

-হ, প্রিপারেশন লইয়া আহেন! :P ১৫ মিনিট আবার ক্যামনে ঘুমায়? আমার তো শুইতে শুইতে ১৫ মিনিট লাগে। তার উপর আবার স্বপ্নও দেখে ফেললেন!??? খাইছে আমারে! চোর তো আপনার মত মানুষই খোঁজে। এত পাউডার না মাইখা আপাতত চোরের খোঁজ করেন? :P

আপু আমিতো আজ দুপুরে একটু বিশ্রামও নিতে পারিনি! সেই ০২.৩০ থেকে শুরু করছি আর পোস্ট লিখতে প্রসেস করতে, প্রকাশ করতে করতেই ০৫.০০ টা। তাইলে ঘুমাই কখন কন?
এখন আমার দুঃখে তো গান গাইতে ইচ্ছা করতাছে "নাতি খাতি বেলা গেল শুতি পারলাম না, ওরে সদরদ্দির মা"

২। তাস আই ডোন্ট লাইক এ্যাট অল!!! কাজেই না লাইক করা জিনিসগুলো মন দিয়ে কষ্ট করে পড়তে হয়। এত কষ্ট জীবন নষ্ট!!!!!!!!!!

-আপনি লাইক করলেও মানুষ খেলবে না করলেও মানুষ খেলবে! সুতরাং আজ থেকেই লাইক করা শুরু করে দেন! এত কষ্ট ক্যানে.......??

ওকে সব কাজ শেষ করে আসি।


-জলদি জলদি চইলা আহেন, আপনার লাইগা ওয়েট করতাছি!! :``>>

আপাতত ১ নং কাজ পপ আপ কার্ড বানানো!


-আশার সময় আমার লাইগা কিছু লইয়া আইনেন!!!!!!!

৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২২

সুমন কর বলেছেন: ভাই, আমি কার্ড খেলতে তেমন পারি না !!

তবে পোস্টের জন্য অনেক কষ্ট করেছেন, তা দেখেই বুঝা যায়।

ভালো থাকুন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: -পারেন নাতো কি হইছে! শেখার ইচ্ছা থাকলে চলে আইসেন, শিখিয়ে দিবানে! যদিও এটা খুব বেশি ভাল খেলা নয়! B-)

-ভাই বড় পোস্ট করতে গেলেতো একটু কষ্ট করতেই হয় তাই না? তবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পড়ে সেটা আর গায়ে লাগছে না!

আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! আপনিও ভাল থাকুন, সব সময়!!!

৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

িবষন্নতা বলেছেন: খেলাইতেই পারিনা আবার জাদু দেখামু! :(( আমিও ভাই পারি না। মিলানো একটা খেল আছে না ঐযে রাম - সাম- যদু - মদু'র মতো , কল ব্রিজ মনে হয়, ওটাই পারতাম :``>> ২৯ টা শিখার খুব ইচ্ছা, যদি শেখাতেন তাইলে আপনারে খুব ভালা পাইতাম। একটা পোস্ট করেননা এরকম ২৯ র মতো কয়েকটা কমন তাসের খেলা নিয়া।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১২

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগত ভাই!

প্রথমে বলি আপনি মিলানো যে খেলাটার কথা বলছেন সেটা আমার জানা মতে কলব্রিজ না। ঐটা হলো 'দুরি ফিস'! এই খেলাতে দুই হলো জোকার। অথ্যাৎ যে কোন কার্ডের সাথে মিলাইলে দুরিটাও সেই কার্ড হয়ে যাবে। এই কার্ড দুইজন, চারজন, ছয়জন এমন কি বিজোড় ভাবেও খেলা যায়। আর কলব্রিজ হলো পয়েন্টের খেলা। কার্ড বাটার পরেও সবাই পয়েন্ট দেয়। কেউ দুই, কেও চার, ছয় এমন কি সর্বোচ্চ বোনাস পয়েন্ট আট পর্যন্ত দেওয়া যায়। কোন প্লেয়ার যদি আটটা কল দেয় সেক্ষেত্রে তার জন্য পাঁচটা বোনাস কল থাকে। তবে বাজিতে কিংবা টাকায় খেলার সময় অনেক ক্ষেত্রে এই বোনাস কল ধরা হয় না।

২৯ (Twenty Nine)-
ভাই এটা নিয়ে আপাতত কোন পোস্ট দিতে চাচ্ছি না। তবে আপনার বোঝার সুবিধার্থে কমেন্টেই বিস্তারিত বলছি। ২৯ খেলা করা হয় সাধারনত ৩২ কার্ড নিয়ে। অথ্যাৎ যে চারজন খেলবেন তাদের প্রত্যেকের কাছে ৮টা করে কার্ড থাকবে। যে প্লেয়ার বাটবে সে প্রথমে প্রত্যেককে একবারে চারখান করে কার্ড দেবে। সেই চারখান কার্ড দেখেই ডাকতে হবে। এবং ডাক বাধলে ঐচার কর্ডের মধ্য থেকেই আপনাকে রং করতে হবে। সর্বনিম্ন ১৬ থেকে সর্বোচ্চ ২৯ পর্যন্ত ডাক দেওয়া যাবে। তবে ২৯ ডাকলে বিপক্ষ প্লেয়ারকে কোন ফোটা দিলে হবে না। কারন এই খেলার এক একবার গেম হবে ২৯ পয়েন্টে।

আটটা কার্ডের মধ্যে ফোটা থাকে মাত্র চার কার্ডে। গোলাম-৩ পয়েন্ট, ৯ নং কার্ড-২ পয়েন্ট, টেক্কা-১ পয়েন্ট এবং ১০ নং কার্ড হলো ১ পয়েন্ট। মোট সাত পয়েন্ট। অথ্যাৎ সব গুলো কার্ড মিলিয়ে মোট পয়েন্ট হলো ২৮ পয়েন্ট। বাকি চারটা কার্ডের মধ্যে সাহেব এবং বিবিকে ম্যারিসও বলে আবার অনেক যায়গায় পিয়ারও বলে। তবে শর্ত হলো এই দুই কার্ড আপনার কছে একসাথে থাকতে হবে। খেলার মধ্যে আপনি যদি এই ম্যারিস দেখাতে পারেন তবে আপনার ডাক পয়েন্ট থেকে চার পয়েন্ট কমে যাবে, এবং যদি বিপক্ষ খেলোয়াড়রা দেখাতে পারে তবে তারা চার পয়েন্ট পাবে। এই চার পয়েন্ট আবার তাদের উত্তলনকৃত পয়েন্টের সাথে যোগ হবে। বাকি ৭ নং এবং ৮ নং কার্ড শুধু কার্ডই।

এই খেলার সব থেকে বড় হলো গোলাম, তারপর নয়, এভাবে পর্যায়ক্রমে টেক্কা, দশ, সাহেব, বিবি, আট এবং সাত। এই খেলায় ৬ নং যে চারটা কার্ড থাকে সেটা পয়েন্টের কাজে ব্যবহৃত হয়। একটা লাল রঙের কার্ড এবং একটা কাল রঙের কার্ড এক সাথে রাখা হয়। এর কারন হলো আপনি যদি গেম জিততে পারেন তাহলে আপনার একটা লাল ফোটা বের হবে। আর হেরে গেলে একটা কাল ফোটা বের হবে। ডাবল দিলে দুইটা বের হবে। আর রি-ডাবল দিলে চারটা ফোটা একবারে বের হবে। হাতে এক কার্ড অনেক আসলে এই খেলায় সিঙ্গেল হিসাবে খেলা যায়। আবার সব গুলো কার্ড বড় আসলে সেট কোর্ড খেলা যায়।

আশা করি আপনি এবার বুঝতে পারবেন। বুঝতে না পারলেও খুব বেশি সমস্যা নেই। শুধু মাত্র একটু ধারনা থাকলেই হবে। বাকিটা আপনার সাথের প্লেয়ার সামলে নিতে পারবে। যদি সে কোন ভাল প্লেয়ার হয়!

ভাল থাকবেন। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!!

৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

কয়েস সামী বলেছেন: এই লেখাটি বিশেষ করে ইতিহাসের অংশটি আমার ম্যাগাজিনের জন্য নিতে চাই। আপত্তি আছে কি?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রথমেই আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগত! যদিও পোস্টটি ইতোমধ্যে বেশ কিছু যায়গায় কপিপেস্ট করা হয়ে গেছে, তারপরেও আপনার অনুমতি নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ! আমার কোন আপত্তি নেই। তবে শুধুমাত্র আপনার ম্যাগাজিনের নামটা জানতে ভীষন ইচ্ছা করছে! যদি বলতেন তাহলে খুবই খুশি হইতাম।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য!!

১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ওরে আল্লা ! মাথায় চক্কর দিতেছে , তবে সময় করে ট্রাই করবো ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই মাথা চক্কর দিচ্ছে কেন? :P তাস খেলার নাম শুনে? !:#P

আসলেই তাস খুবই ব্রেনের খেলা। প্রত্যেক পাড়িতেই ৫২ টা কার্ডের হিসাব রাখতে হয়, নইলে ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অবশ্যই সময় করে ট্রাই করবেন!!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভেচ্ছা জানবেন!!

১১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুবই সমৃদ্ধ একটি পোস্ট। এইসব পোস্ট দেখে আশা করতে পারি, সামুর সুদিন আসছে।

শুভেচ্ছা।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: এখান থেকে এক বছর বা পাঁচ বছর আগে সামু কেমন ছিল জানি না। তবে অনেকেই বলে সামু নাকি তখন অনেক হিট ছিল যার এক কানা কড়িও এখন নেই! আমার যতটুকু সাধ্য ততটুকু দিয়েই চেষ্টা করি আমার লেখা গুলোকে যতটা সম্ভব তথ্যবহুল করে তুলেতে। আপনি, আমি বা আমরা সবাই যদি চেষ্টা করি তাহলে কিন্তু সামুর পুরানো সেই দিন গুলোকে আবারও ফিরিয়ে আনতে পারি। আর তার জন্য দরকার সুধু আমাদের একটু একাগ্রতা, নিষ্টা আর কিছু তথ্য বহুল লেখা। তাহলে ঘর মুখো মানুষের মত আবারও পাঠক সামুর জনপ্রিয়তার দিকে ঝুকবে!!

আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! আপনার জন্যেও শুভেচ্ছা রইল!!!

১২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৬

এহসান সাবির বলেছেন: বাড়িতে তাস নাই.... তবে আজই কিনে নিয়ে যাবো। সেই রকম সব ট্রিক্স......

দারুন।

+++++++

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: স্বাগত! ভাই শুধু তাস কিনলেই কি হবে, খেলার জন্যে লোক লাগবে না?? যদি লোক না পান, তাইলে একটু আওয়াজ দিয়েন!


আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!! মন্তব্য গৃহিত হল!

১৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪

জেন রসি বলেছেন: তাসের সেই বিখ্যাত চার রাজা জীবিত থাকলে তাদের রানীদের সম্মতিতে আপনাকে রাজপুত্র বানানোর জন্য নিশ্চিত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগাইয়া দিত।তবে নেক্সট টাইম ক্যাসিনো রয়েল মুভি বানাইলে আপনিই জেমস বন্ড হবেন!!!

পোষ্ট প্রিয়তে নিলাম। :)

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: -আহঃ ভাই আপনার অপেক্ষাতেই বসে ছিলাম! যাহোক দেরিতে হলেও আসছেন জেনে খুশিই হলাম।

আমার জন্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ!!! OMG এইটা কি কইলেন ভাই! ভাবতেও তো কেমন জানি শিহরন খেলে যাচ্ছে!! আর অসুবিধা নেই অভিনয় করার জন্য আমি তিন পায়ে খাড়া!! আপনে শুধু একটু দোয়া ঝাইড়া দিবেন!! :P

১৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৭

জেন রসি বলেছেন: শায়মা বলেছেন: আমি এই পোস্ট এখনও দেখি নাই। একটু পরে দেখবো।

কারণ

১। কমেন্টগুলো এখন দেখা যাবে না তাইলে রিপ্লাই দিতে মেতে গেলে আমার গুরুত্বপূর্ণ কর্মাবলীতে ব্যাঘাত ঘটিবেক এমনিতেই দুপুরে একটু ঘুমিয়েছিলাম ১৫ মিনিটস। স্বপ্ন দেখলাম মহা সাজুগুজু করে বিরিয়ানী পোলাও কোরমা কোপ্তা খাচ্ছি আর আমার ব্যাগ কে যেন চুরি করে নিয়েছে!:(

স্বপ্নে হলেও আমি মন দিয়ে সব কাজ করিতো তাই মন দিয়ে স্বপ্নটা দেখে মন দিয়ে ভীষণ মনে কষ্ট পেয়েছি।

২। তাস আই ডোন্ট লাইক এ্যাট অল!!! কাজেই না লাইক করা জিনিসগুলো মন দিয়ে কষ্ট করে পড়তে হয়। এত কষ্ট জীবন নষ্ট!!!!!!!!!!:( :( :(


কারো কাছে নাচার আগেই উঠান বাঁকা মনে হইতে পারে!!

এটাকে মূর্ত চোখের বিমূর্ত অজুহাত বলা যাইতে পারে!!! ;)

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: -এইটা এক্কেরে খাসা কথা কইছেন ভাই। আসি কইয়া সেই যে গেল আর আইলো না!! :P :#) B-)) :P বোধহয় ভয় পাইছে। পিচ্চি পোলাপান তো, তাস খেলার কি বুঝবে কন? তাছাড়া উনি আবার বিরিয়ানী খাইতে যাইয়া ব্যাগ হারাই ফ্যালাইছেন তো, সম্ভাবত এখন সেই ব্যাগ খোঁজার কাজে ব্যস্ত আছেন!! :P :P :P

১৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

জুন বলেছেন: একসময় পরিবারের সদস্যদের সাথে প্রচুর তাস খেলতাম । এখন পিসিতে একা একা ফ্রিসেল আর সলিটিয়ের খেলি । ভাললাগলো আপনার তাস কথা

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: এখন আমারও আপনার মত একই অবস্থা! গ্রামে থাকতে এই তাস খেলার জন্য আম্মু আব্বুর কাছে যে কত বকাবকি শুনছি তার কোন ইয়াত্তা নেই। :P পুরানো কথা মনে করিয়ে দিলেন আপু!! :(


মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!! ভাল থাকবেন!!

১৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪১

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
কি পোস্ট দিলেন ভাই :-B দারুণ হইছে।

তাসপিডিয়া।+++++++

আমি তাস খেলা পারিনা আপনার এ পোস্ট আমার জন্য সহায়ক হবে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্টটা যে দারুন হইছে সেটা তো আপনার মন্তব্য দেখেই বোঝা যাচ্ছে! :P অবশ্যই পোস্টটা যদি আপনার কাজে লাগে তাহলে মনে করবো আমার লেখা সার্থক!!

শুভেচ্ছা জানবেন! ধন্যবাদের সহিত প্লাস গ্রহণ করিলাম!!

১৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

এহসান সাবির বলেছেন: সত্যিই কিনছি ভাই। নাম আমেরিকা, ৩০ টাকা নিসে।
বল্লাম ১২ টাকা দাম ছিল..... দোকানি বল্ল তা হতে পারে আমার জন্মের আগে B-)
বল্লাম এই তোর বয়স কত? ---- ভোটার আইডি তো কয় ২৫, মা কইছে দুই তিন বছর বড় ছোট হতে পারে, তা ভাই ২৯ নাকি থ্রী খেলবেন? থ্রী হলে আমায় ডাইকেন, ৫ টাকা বোর্ড ২ টাকা সিনে, ব্লাইন্ড ১ টাকা.....

ওত্তেরি.... এই নে তোর ৩০ টাকা.....!!


শুভেচ্ছা রইল।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই তাইলে সত্যিই কিনে ফেললেন? :P যাক ভাল করছেন। তবে আমাদের এখানের ছাড়া আপনার কাছ থেকে কিন্তু ৫ টাকা কম রাখছে! B-)

দোকানদারের অবস্থাটা হইছে এমন যে এক বাবা অন্য একজন লোকের কাছে তার ছেলের প্রশংসা করে বলছে 'আমার ছেলে এখন অনেক ভাল হয়ে গেছে। আগে খেলতো ৫২ কার্ড আর এখন খেলে ৩ কার্ড!!' 8-|

পূন মন্তব্যে আবারও আপনাকে শুভেচ্ছা!!

১৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৪

জেন রসি বলেছেন: লেখক বলেছেন: -এইটা এক্কেরে খাসা কথা কইছেন ভাই। আসি কইয়া সেই যে গেল আর আইলো না!! :P :#) B-)) :P বোধহয় ভয় পাইছে। পিচ্চি পোলাপান তো, তাস খেলার কি বুঝবে কন? তাছাড়া উনি আবার বিরিয়ানী খাইতে যাইয়া ব্যাগ হারাই ফ্যালাইছেন তো, সম্ভাবত এখন সেই ব্যাগ খোঁজার কাজে ব্যস্ত আছেন!! :P :P :P

তাসের জগতে বিচরন করে মনে হয় জুয়া খেলার ইচ্ছা জাগ্রত হইছে!!!

কিন্তু নিয়ম কানুন কিছু জানেন না!!!

তাই উঠান বাঁকা বইলা পলায়ন করেছেন!!!! :P ;)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই আমি কিছু কমু না! :(( সবাই মিলে কইলে যদি কেঁদে দেয়। :P তাই সুধু আপনি কন আমি সাপোর্ট দিতে থাকি! তবে খেয়াল রাইখেন, আরো দু'পাঁচজন সাথে নিয়ে এসে আবার আমাগোরে সাড়াসী আক্রমন না করেন!! :P এমনিই গোলাপী বিবিরে নিয়ে বহুত ডরে আছি!! :( :(

১৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার একটা পোস্ট। আপনার পোস্ট পড়ে আনন্দ পেয়েছি। এই বিষয়ে আমার বেশ আগ্রহ আছে। কিছু জাদুও পারতাম। দেখি সময় করে এসে এই পোস্টে আলোচনা করব।

এই পোস্টটি যেন আরো মানুষের চোখে পড়ে, সেই লক্ষ্যে সামহোয়্যারইন ব্লগ তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে তা প্রমোট করেছে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে দারুন ভাবে অনুপ্রানিত হইলাম! পোস্টটার মাধ্যমে আপনার মনে যে আনান্দ দিতে পেরেছি তাতেই আমি খুশি। আর এই পোস্ট সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে অবশ্যই আলোচনা করবেন, যে কোন সময়!

তাছাড়া অনেক বেশি খুশি হয়েছি সামহোয়্যারইন ব্লগ আমার এই পোস্টটাকে তাদের অফিসিয়াল ফেসবুকের মাধ্যমে প্রকাশ করার জন্য। ফেসবুকে লেখাটা আমিও দেখেছি। খুবই ভাল লাগলো! অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনি সহ সামহোয়্যারইন ব্লগ টিমকে!

ভাল থাকবেন। শুভ কামনা রইল!!

২০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০২

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: স্বাগত!

২১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৩

জেন রসি বলেছেন: রিকি আপু কই???

মনে হয় কুইন নিয়া বইসা আছে!!!

নিজের কাছেই চইলা আসে এই ভয়ে চুপ আছে!!! ;)

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪০

সাহসী সন্তান বলেছেন: রিকি আপু কই???

-রিকি আপু ঠিক ঠাক আছে তয় শায়মা আপু বোধ হয় মাইন্ড খাইছে! :P কের লাইগা হেইডা জানি না, তয় মনে হইল আর কি তাই কইলাম!

শুভ সকাল ভাই! কেমন আছেন??

২২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

জেন রসি বলেছেন: কাভা ভাইয়ের জাদু দেখার অপেক্ষায় থাকলাম! :)

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০১

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার সাথে আমিও থাকলাম অপেক্ষায়! দেখি উনি কি ক্যালমা দেখাতে পারেন!!

২৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

িবষন্নতা বলেছেন: অনেক ধন্য হইলাম। ২৯ টা এত সুন্দর কইরা বুঝাইলেন যে ৮০% বুঝে আইসা পরছে । কমেন্ট দেখতে দেরি করলাম তাই দিতেও দেরি হইলো। যাই এক সেট কার্ড কিনা আনি। আর কিছু গেম পারলে শিখাইয়া দিয়েন।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্যের মাধ্যমে আপনাকে বুঝাতে পেরে আমি আনন্দিত! যান, কার্ড কিনে নিয়ে আসেন! আর যদি প্লেয়ারে কম পড়ে একটু আওয়াজ দিয়েন!!

২৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫২

রিকি বলেছেন: আমি আছি, স্পেডের রাণী আর টেক্কা হাতে নিয়ে !!!! ;)

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনি একা আসলে হবে না, কারন প্লেয়ার এখন তিন জন 'আপনি, আমি' আর জেন ভাই'! সুতরাং চতুর্থ প্লেয়ার হিসাবে নদী ভাই অথবা শায়মা আপুনি কে সাথে করে নিয়ে আসুন!! ;)

২৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮

তাহারাত আল তৌহিদ বলেছেন: যারা তাস খেলতে পছন্দ করে তাদের জন্য একটি সুন্দর পোস্ট। ভাইয়া আপনার কৌশল গুলো কাজ করছে শুধু তৃতীয় খেলার প্রথম কৌশল ছাড়া। এক্ষেত্রে এগারতম তাস টা গোলাম হওয়ার কথা থাকলেও সেটা হচ্ছে রানি।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রথমে আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগত! আপনি কৌশল গুলো দেখার চেষ্টা করেছেন যেনে খুশি হলাম। তবে হ্যাঁ তৃতীয় খেলার প্রথম সূত্রটি আসলেই একটু কঠিন। এটা সহজে বুঝতে হলে আমার ঐ খেলার প্রকৃয়াটা আপনাকে আরও ভাল ভাবে পড়তে হবে।

আপনি যে সমস্যার কথাটা বলেছেন সেটা হওয়ার কারন খুব সম্ভবত আপনার সাজানোর মধ্যে হয়তো কোন ভুল করে ফেলেছেন। সেজন্যই এমন হচ্ছে। কিংবা আপনি বানানেও হয়তো ভুল করেছেন। এখানে একটা কথা জরুরী হলো বানানে কোন রকমের ভুল করা যাবে না। কারন বানানে ভুল করলেই তাস বের হওয়ায় গলদ বেঁধে যাবে। তাই সেদিকে খুবই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। তাছাড়া দ্বিতীয় সূত্রে যে ভাবে বের করতে হয়, প্রথম সূত্রে সেভাবে বের করতে চাইলে হবে না। কারন প্রথম সূত্রে কিন্তু এগার (Eleven) এর যায়গায় King বলতে হবে। এবং বের হবে রাজা। ওখানে যদি আপনি King না বলে Eleven বলেন তাহলে কিন্তু তাস বের হবে ভুল। এভাবেই JACK তারপর QUEEN বের হবে। অথ্যাৎ এগারতে বের হবে রাজা, বারতে বের হবে গোলাম। এবং সর্ব শেষ আপনার হাতে থাকবে রানী। আশা করি আর কোন সমস্যা হবে না!

তবে তারপরেও যদি সঠিক কার্ড বের না হয় কিংবা আপনার বুঝতে কোন সমস্যা হয় তাহলে আপনি দ্বিতীয় সূত্রটি ট্রাই করতে পারেন। কারন প্রথমটির থেকে দ্বিতীয়টি তুলনামূলক অনেক সহজ।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন!!

২৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২১

শায়মা বলেছেন: আমি ম্যাজিক শিখেছিলাম বাট তাসের ম্যাজিক পঁচা!:(

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপু একটা সত্যি কথা বলি? আমি প্রথমে ভাবছিলাম আপনার প্রথম মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে করা আমার উত্তরে সম্ভাবত আপনি রাগ করেছেন। কারন আপনি পরে আসতে চেয়েও আর আসেন নি। অবশ্য এটা আমার নিজেরই ব্যক্তিগত ধারনা। সত্যি নাও হতে পারে।

আমি ম্যাজিক শিখেছিলাম বাট তাসের ম্যাজিক পঁচা!

-যেদিন ম্যাজিক দেখাইয়া আপনারে ধান্দা লাগাইয়া দিমু, সেই দিন বুঝবেন পঁচা না ভাল!! ;)

২৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪

শায়মা বলেছেন: আমি কিন্তু সহজে রাগ করিনা!!!!!!!! আর কঠিনে করলে সেই রাগ সহজেও যেতেও চায়না তবে আই ক্যান এ্যাক্ট। সে জীবনেও জানবেনা ........ ...... ....... কি ছিলো আমার মনে !!!!!!!!!!!!! হা হা হা হা কিন্তু আমার প্রিয় মানুষরা ভাবে আমি বুঝি এসব ঢং করে বলছি আসলে আমি একজন ভালোমানুষ , প্রায় মহামানবী!!!!! আবার কেউ কেউ বলে ডাইনীবুড়ির ঢং দেখো!!!!!!!!!!!!:( :( :(





হা হা হা হা হা হা


আমি কিন্তু দুইটাতেই হাসি !!!!!!!!!!! :P

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০

সাহসী সন্তান বলেছেন: এই জন্যইতো কই আমার দাদী আর আপনি সেম টু সেম!! :P ভাবতাছি আজ থেকে আপনারে আমি দাদীআফা কইয়া ডাকুম!! :P ব্লগিংয়ের বয়স হিসাব করলে বোধ হয় আপনি তাই হবেন! এইটা কিন্তু আমি কইনি, রিকি আপু কইছে!

-আসলেই আপু। সদা হাস্যজ্জ্বল মানুষ গুলো খুব বেশি খারাপ কিছু না হলে হঠাৎই রাগে না। কিন্তু রাগলে আর তাকে থামানো যায় না। তবে ছোট ভাই হিসাবে একটা অনুরোধ করবো, যদি ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে আমার কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে সাথে সাথে তা ধরিয়ে দেবেন!! রাগ করে বসে থাকবেন না। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো সেই ভুলটাকে সুধরে নেওয়ার।

২৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

শায়মা বলেছেন: আই ডোন্ট থিংক তুমি এমন কোনো কাজ করতে পারো!!!!!!!!! ইউ আর জেন্টেল আর সদা হাস্যমুখী তোমাকেও এমনই মনে হয় আমার ভাইয়ু!!!!!!


যাইহোক ভালো থেকো অনেক অনেক !!!!!!!!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু! আপনিও ভাল থাকবেন, সব সময়!!

২৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২১

জেন রসি বলেছেন: রিকি বলেছেন: আমি আছি, স্পেডের রাণী আর টেক্কা হাতে নিয়ে !!!! ;)

আমার হাতে স্পেডের কিং আছে!!!!

আর কি আছে কমু না!!!! ;)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: আর কি আছে কমু না!!!!

ভাই আমারে কইতে পারেন, আমি আপনার হাতের প্লেয়ার না!?

৩০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৬

জেন রসি বলেছেন: শায়মা বলেছেন: আই ডোন্ট থিংক তুমি এমন কোনো কাজ করতে পারো!!!!!!!!! ইউ আর জেন্টেল আর সদা হাস্যমুখী তোমাকেও এমনই মনে হয় আমার ভাইয়ু!!!!!!


যাইহোক ভালো থেকো অনেক অনেক !!!!!!!!


তাস খেলায় সবকিছুই বেসম্ভবভাবে সম্ভব!!!!! ;)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: একদম ঠিক! আসলেই ভাই তাস খেলায় সবকিছুই বেসম্ভবভাবে সম্ভব!!!!!

-শুভ সকাল! আছুইন ক্যামন ভাইয়ু...........!!!

৩১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৯

তারিক১৪২২ বলেছেন: ইরানে এক প্যাকেট তাস খোজা বেআইনি যে তা জানতাম না,আকার ইংগিতে তাস আছে নাকি জিজ্ঞেস করলেই কেমন জানি করতো বুশেহরের লোকেরা,পরে কিসম আইল্যান্ডে গিয়ে বুঝলাম ওটা বেআইনি :-D

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২০

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমিও আপনার কাছ থেকে এই প্রথম জানলাম! খেলাটা আসলেই একটু গোপনীয়তো, তাই সবার সামনে খেলা যায় না!

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য! ভাল থাকবেন!!

৩২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯

শায়মা বলেছেন: তাস খেল্লে কি একটু চোর চোর মনোবৃত্তি হয় ভাইয়া? বললে যে গোপনীয় খেলা!!!! :-/

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: ঞহু, আমি কিন্তু সেভাবে বলিনি আপু! বিষয়টা একটু অন্যরকম। যেমন, বাবা মার সামনে সন্তান সব কিছু খেতে পারে। উদাহরন স্বরুপঃ- ভাত, মাছ, পান-সুপারী, গুল, তামাক-জর্দা ইত্যাদী অনেক কিছু। কিন্তু কেউ কি বিড়ি-সিগারেট বা মদ-গাঁজা খেতে পারে? এটাও ঠিক তাই।

সব খেলা সবার সামনে খেলা যায়, কিন্তু তাস, জুয়া ইত্যাদী খেলা স্বাভাবিক ভাবে সবার সামনে খেলা যায় না!

তাছাড়া আমার প্রাক্টিক্যালি একটু দৌড়ানোর অভ্যাস আছে তো তাই ভাবলাম সবারও মনে হয় তেমনই হবে! :P

৩৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

শায়মা বলেছেন: কে বলছে ????


বাবামায়েরা যে প্রতি সন্ধ্যায় ক্লাবে গিয়ে হাউজি থেকে শুরু করে বাহান্ন তাসের তিপান্ন খেলা খেলে!!!!!!!!!

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

সাহসী সন্তান বলেছেন: মুরুব্বিরা খেললে দোষ নেই! মুরুব্বিদের কথা হলো; "আমরা যা বলি তোমরা তাই কর, আর আমরা যা করি তোমরা তা করো না!" :P


অনেক আগে আমার আব্বু ভীষন সিগারেট খেতো। তো আব্বুর দেখা দেখি আমিও একদিন সেই প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট নিয়ে ধরিয়ে খাচ্ছি। এমন সময় আব্বু এসে এমন মাইর |-) দিল যে আমার জীবনে আর সেই নামটা মুখে আনার সাহস হয়নি!! তাইলে এবার বোঝেন অবস্থা!! :P

৩৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭

শায়মা বলেছেন: অনেক আগে আমার আব্বু ভীষন সিগারেট খেতো। তো আব্বুর দেখা দেখি আমিও একদিন সেই প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট নিয়ে ধরিয়ে খাচ্ছি। এমন সময় আব্বু এসে এমন মাইর |-) দিল যে আমার জীবনে আর সেই নামটা মুখে আনার সাহস হয়নি!! তাইলে এবার বোঝেন অবস্থা!! :P



হাহাহাহাহাহাহাহাহাহহাাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহহাহাাহা










:P

ঠিক হইসে

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার হাসি লাগছে, তখন যদি আমার যায়গায় থাকতেন তাইলে বুঝতেন মাইর কি জিনিস? ;) কথায় আছে না মাইরের উপর কোন ওষৌধ নাই! এক্কেরে হাসা কথা।

৩৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩২

রুহুল সিনবাদ বলেছেন: ভাইজান, লুডু খেলার ইতিহাস টা বলবেন?? কার্ড খেলার ইচ্ছা আর নেই। বাসা থেকে বকাবকি করে B:-) B:-)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই লুডু খেলার ইতিহাস জেনে কি করবেন? যদি খেলা শিখতে চান তাইলে খেলা করার প্রকৃয়াটা বলা যায়। তবে এখন না! পরে কোন এক সময় ফ্রি হইলে বলার চেষ্টা করবো।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! ভাল থাকবেন!!

৩৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫২

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: সমৃদ্ধ পোষ্ট.. সমৃদ্ধ হলাম। অনেকদিন পর যেন একটা ভালো পোষ্ট পড়লাম।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!! ভাল থাকবেন!!

৩৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩

মুহসীন৮৬ বলেছেন: আমি শুধু টুয়েন্টি নাইন খেলতে পারি। আগে ফ্রেন্ডরা খেলতাম রাতের পর রাত আর এখন মোবাইলে খেলি। পোষ্টে প্লাস+++

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০

সাহসী সন্তান বলেছেন: তাস খেলার মধ্যে আমার কাছে সব থেকে সহজ খেলা মনে হয় টুয়েন্টি নাইন খেলাটাকে। খেলাটাকে অনেকটা ঝামেলা মুক্ত খেলাও বলা যায়। শুধুমাত্র এক প্যাকেট তাস আর চারজন জানা মানুষ হলেই যথেষ্ট।


ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!

৩৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩০

কয়েস সামী বলেছেন: ভাই আপনার নাম, ঠিকানা, পেশা জানিয়ে যদি একটা মেইল করতেন, আমার ম্যাগাজিনে কাজে লাগত।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১২

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই প্রকৃত নাম ঠিকানা প্রকাশ করার ইচ্ছা থাকলে আর ফেক আইডি দিয়ে ব্লগ চালাতাম না! যার কারনে আমি আমার নাম ঠিকানা প্রকাশ করতে পারলামনা বলে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত! তবে আপনি সত্যিই যদি আমার নাম প্রকাশ করতে চান তাহলে এই সাহসী সন্তান নামটা দিলেই যথেষ্ট হবে। আর না দিতে চাইলে কোন আপত্তি নেই।

একটা কথা, আপনার ম্যাগাজিনের নামটা কি একটু বলা যাবে?

৩৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

পুলক ঢালী বলেছেন: রানীQ চতুর্দোলায়4 চড়িয়া একদাA অট্টহাসি8 হাসিয়া গোলামJ দ্বয়ের2 সহিত7 পঞ্চ5 দশ10 সাহেবK
সহ তিন3 মাস ছয়6 দিনে নবদ্বীপ9 পৌছিলেন । আপনি বেশ কষ্টসাধ্য পোষ্ট দিয়েছেন । আমার ভান্ডারেও একটা যাদু আছে কিন্তু লিখে বোঝাতে পারবোনা । আপনার ৪নং টিও কমন পড়েছে । ১ ও ২ নং টি জানা ছিলনা । বয়সের অঙ্কটা সত্যিই মজার । আপনাকে ধন্যবাদ ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪২

সাহসী সন্তান বলেছেন: একটু দেরিতে হলেও আপনার মন্তব্যে দারুন ভাবে অনুপ্রাণীত হইলাম! সত্যি বলতে কি ভাই, এই পোস্টটা আমি আসলেই করতে চায় নি। এই ব্লগেরই কিছু প্রিয় মানুষের অনুরোধ রাখার জন্যই পোস্টটা করা!

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৪০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৮

কয়েস সামী বলেছেন: ম্যাগাজিনের নাম কলেজ রোড। ছদ্ম নামে আগের সংখ্যাগুলোয় একটা দুটা লেখা গেছে। এবার চেয়েছিলাম, লেখার সাথে লেখকের নাম ঠিকানা দিয়ে দিব। আপনি জানাতে অনিচ্ছুক থাকয় চিন্তায় পড়ে গেলাম।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: সত্যি বলতে আমি ইচ্ছা করেই নিজের নাম ঠিকানা প্রকাশ করছি না! কারন ছদ্ম নামে ব্লগ ব্যবহার করার একটা আলাদা মজা আছে। তবে আপনি ইচ্ছা করলে ম্যাগজিনে এই পোস্টটা নিজের নামেও প্রকাশ করতে পারেন। কতজনই তো করে? সুতরাং আশা করি কোন সমস্যা হবে না।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

৪১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০৮

আরেফিন সেলিম বলেছেন: ভাই কলব্রীজ খেলার কৌশলটা দয়া করে একটু জানাবেন ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২১

সাহসী সন্তান বলেছেন: হাতে একদমই সময় নেই! যদি ফ্রি হতে পারি তাহলে চেষ্টা করবো!

৪২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: +++++++

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই কুনোব্যাঙ! আপনার প্লাস গুলোকে সাদরে গ্রহণ করলাম!

ভাল থাকবেন!

৪৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: একটা কাজের কাজ করেছেন ভায়া। অনেক কিছু জানা হল। এত বড় একটা লম্বাটে পোষ্ট!! কেমনে পারেন ম্যান।


আপনার এই মানসিকতাকে সাধুবাদ জানাই।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই এই পোস্টটা একটা আলোচনা থেকেই উঠে আসে। জেন রসি ভাইয়ের নজর বন্দী বাজিকর নামক একটা পোস্টে শায়মা আপুনি, রিকি আপু এবং জেন রসি ভাইয়ের সাথে মজা করতে করতেই এই পোস্টটা করার আইডিয়া মাথায় আসে। দেরিতে হলেও পোস্টটা আপনি পড়েছেন এবং মন্তব্য করে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ!


শুভ কামনা জানবেন!

৪৪| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:১২

অগ্নি সারথি বলেছেন: বাসের ঝাকুনিতে পড়তে পারছিনা বইল্যা মেজাজ বিল্যা। বুকমার্কড।

০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: হা হা হা, নো প্রবলেম পড়া শেষ করে চইল্লা আইসেন! দেখি একগেম পোকার খেলা যায় নাকি...... ;)

ধন্যবাদ সারথি ভাই! শুভ কামনা রইলো!

৪৫| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:১৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
আমি একসময় পাগলের মতো পোকার খেলতাম।কত মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার গ্যাসে /:)

(ফেসবুকে :|)

০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: তাস আমার প্রিয় খেলার মধ্যে একটি! তবে আমি টাকা দিয়ে খেলার পক্ষপাতি নয়! হ্যাঁ এটা ঠিক যে, ছাত্র জীবনে অনেক সময় বন্ধু-বান্ধবদের সাথে বিস্কুট, মুড়ি-চানাচুর বা ইত্যাদী বিভিন্ন জিনিস নিয়ে খেলেছি। তবে টাকা দিয়ে কখনো খেলিনি!

অনেকদিন পর আমার পোস্টে আপনাকে দেখলাম মুন ভাই! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৪৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

জে.এস. সাব্বির বলেছেন: এই ঐতিহাসিক পোস্টটিতে মন্তব্য করার লোভ সামলানো বড়ই কঠিন ব্যাপার-স্যাপার! তাই এতদিন বাদে হলেও অন্তত হাজিরা দিয়ে যাচ্ছি ।।তাস নিয়ে আপনার কারুকাজ পুরাই অসাম টাইপ!! অনেক অনেক তাসবিদ্যা লাভ করলুম , থ্যাঙ্কু :)


কার্ড সাজিয়ে 1 ,2 ,3..... বের করার দ্বিতীয় সূত্র "একদা রানী (Q) চতুর্থ (4)তলায় একা (A-টেক্কা) বসিয়া অট্টো(8) হাসি হাসিতে হাসিতে গোলাম (J) দ্বয় (2) সাথে (7) নিয়া পঞ্চ (5) দশ (10) সহ রাজার (K) সহিত তিন (3) ছয় (6) নয় (9) খেলিতেছিল।" এর আপডেটেড ভার্সন বানিয়ে ফেললাম :D :) এটা বোধহয় মনে রাখা সহজ হয় ।দেখতে পারেন- "রানী(Q) চতুর্থ(4) এলিজাবেথ(A) 8 জন গোলাম (J) নিয়ে 2 দিনে 7 টি এবং 5 দিনে 10 টি রাজ্য জয় করলেন ।অপরদিকে রাজা 3 টা রাজ্য জয় করতে ৬৯ দিন খরচ করে!"

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২০

সাহসী সন্তান বলেছেন: উরেব্বাস! সাব্বির ভাই দেখি পুরান জিনিস ধইরা টান মারছেন? তবে আপনার আপডেট ভার্সনটাও অসাম! আসলেই, মনে রাখার ক্ষেত্রে আমার উল্লেখিত সূত্রটার থেকে আপনারটা অনেক সহজ। এবং শুনতেও বেশ মজার!

আজ কাল আর কার্ড খেলার সময় পাইতেছি না ভাই! দেশে গেলে যাহোক একটু খেলা হয়, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমাকে তারা নিতে চায় না! কি আর করা, একা একা বসে তাই কার্ড মিলানো খেলি! :(

ধন্যবাদ এতদিন পরে হলেও পোস্টটাতে হাজিরা দেওয়ার জন্য! খুব ভাল লাগলো আপনার উপস্থিতি! শুভ কামনা জানবেন!

৪৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: গতকাল রাতে বিষয়টা জানার জন্য আগ্রহ থেকেই পড়া । পড়ে তো আমি তাজ্জব বোনে গেলাম । এই ৫২ কার্ডের কতসব অবাক করা ইতিহাস ! তার মধ্যে খুনাখুনি আছে, ট্যাক্স আছে, সরকারী নীতিমালা আছে, প্যারোড়ি আছে, নেশা আছে, আসক্তি আছে !!!

অনেক ভাল লেগেছে মজার মজার অনেক তথ্য ও খেলাগুলো জেনে ।

আপনার ইনফোরমেটিভ লেখাগুলো ভালো হয় । সাজিয়ে লিখতে পারেন, বুঝতে সমস্যা হয় না ।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার এমন প্রেরণাদ্বায়ক কমেন্ট গুলোও খুব ভাল হয় কথা.......কথন! জেমস্ এর একটা গান আছে না, 'জীবন....বাহান্ন তাসের খেলা.....?' আসলেই কিন্তু সত্যি! আর সেই সত্যিটা লুকিয়ে আছে তাসের প্রত্যেকটা কার্ডের পরতে পরতে!

সত্যি বলতে তাসের লেখা এবং ম্যাজিক গুলো আগের থেকেই জানা থাকলেও, ইতিহাসটা জেনেছিলাম পোস্ট লেখার সময়ই। আর এটা থেকে আমিও কিন্তু কম তাজ্জব হইনি!

খেলা যখন শিখেই ফেলেছেন আই মিন জেনে গেছেন, তাইলে একটা পার্টির ব্যবস্থা করেন! সেখানে আপনার সাথে বসে আমিও একটু ঝালিয়ে নিতে পারবো, আর আপনারটাও দেখা যাবে যে; ঠিক কেমনটা শিখেছেন আপনি! ;)

চমৎকার কম্পিলিমেন্টের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা রইলো!

৪৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হা হা হা । তাস খেলায় আমি পুরাই কাঁচা, ধরে নিন আপনি জিতে গেছেন !!

ভাবছি তাস খেলা নিয়ে একটা মাইস্ট্রিক গল্প লিখবো !

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২

সাহসী সন্তান বলেছেন: কথাকথি প্রথমত আপনাকে স্পেশাল থ্যাংক্স! কেননা আপনার মন্তব্যটা পাওয়ার পরে এই পোস্টটা আপডেট করছিলাম। হয়তো আপনি মন্তব্য না করলে খেয়ালই পড়তো না! একটু পোস্টে নজর বুলিয়ে দেখেন তো অচেনা মত লাগে কিনা? ;)

আর দ্বিতীয়তো এভাবে না খেলতেই যদি কেউ হার স্বীকার করে নেয়, তাহলে ক্যামনে হবে? আগে তো দু'এক পাড়ি খেলি, তারপর না বুঝবো যে প্লেয়ার কেমন! :)

তাস নিয়ে আপনি পোস্ট লিখবেন ভাল কথা, এটা অবশ্যই জাতির জন্য একটা সু-সংবাদ! তবে পোস্টে কঠিন ভাষা ব্যবহার করলে কিন্তু ডাইরেক্ট গুলি করা হবে (হুমকি)! ;)

আসলে আপনার শেষ পোস্টটাতে মন্তব্য করি নাই কেবল এই কারণে! মানে ব্যাপারটা হলো না বুঝে কেবল ভাল লাগা রেখে আসাটা আমার কাছে কেমন জানি পানসে মত লাগে তাই আরকি! ;)

৪৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হ্যাঁ আগেই দেখে ফেলেছি, ছবিতে ছবিতে রঙ্গময় পোস্ট ।

ধরুন ২৯ খেলায় আপনি ২১ এর কল পেয়েছেন, প্রথম খেলায় আপনি ছাড়া বাকি তিনজনই সেইম কার্ড ফেললো কিন্তু আপনার কাছে সেই কার্ডটা নাই । এবং আপনার চতুর বিপক্ষ খেলোয়াড়দের একজন টার্ম হবে বুঝতে পেরে এর মধ্যে J না দিয়ে A দিলো আর A টাই খেলার ময়দানে বড় ! তাহলে আপনি কী করবেন ? (সম্ভাব্য উত্তর এক বা এক এর অধিকও হতে পারে) ।

***এই প্রশ্নের মাধ্যমে আমি খেলা কেমন পারি তা অবশ্যই বোঝায় না, প্রশ্নটা ধার করাও হতে পারে !!!

কঠিন লেখার অস্তিত্ব না থাকলে সহজ লেখার মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকে কী করে ! আর সহজ লেখা না থাকলে কী কঠিন লেখাকে কেউ ভালোবাসতো !!

বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরে লিখবো !! হা হা হা

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:০১

সাহসী সন্তান বলেছেন: সাধারণত টুয়েন্টি নাইন খেলাটা হলো পয়েন্টের খেলা! সুতরাং প্রথমত দেখতে হবে উক্ত পাড়িতে মোট পয়েন্ট কত! যদি আমার পক্ষের প্লেয়ার এখানে কোন পয়েন্ট ওয়ালা কার্ড না দেয় (যেমনঃ- জে-৩, নাইন-২, টেক্কা-১ এবং দশ-১), তাহলে অনায়াসেই আমি ট্রাম্প কার্ড না উঠিয়ে অন্য একটি কার্ড দিয়ে (রঙের কার্ড বাদে যদি বাজে কার্ড থাকে) সেটা ফাসিয়ে যেতে পারি (অবশ্যই পয়েন্ট বিহীন কার্ড দিয়ে)।

কিন্তু হাতে বাজে কার্ড না থাকলে বা দেখা গেল এমন একটা কার্ড আছে যেটা দিয়ে আমি আমার পক্ষের প্লেয়ারকে খেলা ধরিয়ে দিতে পারবো! এবং যদি আমি কার্ডটা খাওয়াই তাহলে আর আমার পক্ষের প্লেয়ারের হাতে যেতে পারবো না, এবং দেখা গেল আমার কাছে যে পরিমাণে রঙের কার্ড আছে সেটাতে আমি ম্যাচ কাভার করতে পারবো, তাহলে সেক্ষেত্রে ট্রাম করাই ভাল।

তবে ছেড়ে দিলেও মন্দ হবে না! কেননা যেখানে ২৯ পয়েন্টে গেম এবং প্রতিপক্ষ ফাও এক পয়েন্ট পাইলেও তো আর আমার কোন পয়েন্ট কাটা যাওয়ার সম্ভাবনা নাই, সুতরাং আমি হলে উক্ত পাড়িটা প্রতিপক্ষকে দিয়ে দিতাম! তবে সব কিছুই নির্ভর করবে হাতে আর অন্যান্য কার্ডের উপর!

কিন্তু কথা সেইটা না, এতবড় একটা জঠিল কইশ্চেন করছেটা কে জাতি জানতে চায়! ;)

আর বুলেট প্রুফ জ্যাকেটও কিন্তু আজকাল খুব বেশি সেফলি না! মানে কামানের গোলা নিক্ষেপ করলে তো জ্যাকেট ট্যাকেট সহ উড়ে গিয়ে পড়বেন! সো বি কেয়ারফুল! ;)

তবে আপনার গল্প পড়ার প্রতিক্ষায় রইলাম! আশাকরি নিরাস হবো না!

৫০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৩১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: প্রিয়তে রেখে দিলাম, যেন অফলাইনেও মনযোগ দিয়ে পড়তে পারি!!
অসহ্য স্লো এখন ব্লগ, জানিনা কবে এর অবসান হবে!!! :(

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমারও আপু প্রতিউত্তর করতে ভাল্লাগছে না! :(

সে যাই হোক, পোস্ট পড়ার পরে কিন্তু খেলে দেখিয়ে যেতে হবে! ঐসব বড়'পা ছোট'পা কোন ছাড় নাই..... ;)

ধন্যবাদ আপু! শুভ কামনা!

৫১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

আজমল আমীর বাপ্পি বলেছেন: আহারে কত দিন হয়ে গেল তাস খেলতে খেলতে ভোঁর দেখিনা , আপনার লেখা পড়ে আপনার সাথে টুয়েন্টি নাইন খেলতে মন চাইতেছে , হবে নাকি একদিন ??? আপনি কি ইন্টারন্যাশনাল ব্রিজ পারেন ?? শেখাতে পাড়বেন ??

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

সাহসী সন্তান বলেছেন: তাস সব সময়ের জন্য আমার প্রিয় একটা খেলা। এটা সেই স্কুল লাইফ থেকে শুরু হলেও বর্তমানে ব্যস্ততার কারণে এখন আর ততটা খেলা হয় না। আর তাসের মধ্যে আমার সব থেকে প্রিয় খেলা হলো 'ইন্টারন্যাশনাল ব্রিজ'!

খেলাটা যদিও বেশ কঠিন, তবে একবার শিখে ফেলতে পারলে আর কোন সমস্যা নেই। আর জানেন তো, তাসের মধ্যে সব থেকে ব্রেনিয়ান, ব্রিলিয়্যান্ট খেলা হলো এই ইন্টারন্যাশনাল ব্রিজ? কেননা একমাত্র ব্রিজ খেলতে গেলেই তাসের ৫২টা কার্ডের সব গুলোরই খবর রাখা লাগে। যা আর অন্য কোন খেলায় ততটা লাগে না, বা না রাখলেও খুব বেশি সমস্যা হয় না!

ব্রিজ খেলা শেখার আগে প্রথমে এর কিছু প্রাথমিক ধাপ আছে, সেগুলো শিখে রাখতে পারলে ভাল হয়। যেমন হাতে কেমন কার্ড থাকলে ডাকা যাবে, আর কেমন কার্ড থাকলে ডাকা যাবে না। কোন কার্ডের পয়েন্ট কত ইত্যাদি!

প্রথমে জানুন কোন কার্ডের পয়েন্ট কতঃ- ব্রিজ খেলায় সর্বনিম্ন পয়েন্টের কার্ড হলো চিড়িতন। এর পয়েন্ট হল-৬, রইতন-৭, হরতন-৮, এবং ইস্কাপন-৯। তবে আরো একটা পয়েন্ট আছে। যেটা হলো এই খেলার সর্বোচ্চ পয়েন্ট। আর সেটা হল 'নো ট্রাম'! যার পয়েন্ট হল-১০।

১৩ রিলে এক গেম। আর এক রিলে সর্বোচ্চ ৭টা পর্যন্ত ডাকা যাবে। তবে ডাকেরও কিছু ডেফিনিশন আছে। যেমন কোন প্লেয়ার যদি প্রথমেই বলে 'এক নো ট্রাম' তাহলে তার পরবর্তিতে আপনি আর যে কার্ডই ডাকবেন সেটা দু'টো করে ডাকতে হবে। যেমন এক নো ট্রামের বিরুদ্ধে আপনি দুইটা ইস্কাপন ডাকলেন এমন। আবার ইস্কাপন হরতনের বেলায়ও সেম ডাক। অর্থাৎ কেউ যদি প্রথমেই ইস্কাপন বা হরতনের ডাক দেয়, আর আপনি যদি চিড়িতন বা রইতনের ডাক দিতে চান তাহলে ডাবল ডাকতে হবে।

তবে কেউ প্রথমে চিড়িতন বা রইতন ডাকলে আপনিও পরবর্তিতে হরতন বা ইস্কাপন ডাকলে আর ডাবল করা লাগবে না। যেমন কেউ এক চিড়িতন বা এক রইতন ডাকলে আপনি তার বিরুদ্ধে এক হরতন বা এক ইস্কাপন বা এক নো ট্রাম ডাকতে পারবেন।

নো ট্রাম মানে যে রিলে কোন ট্রাম থাকবে না। অর্থাৎ সেই রিলে কোন রঙের কার্ড থাকবে না। আর পয়েন্ট হিসাব করারও একটা পদ্ধতি আছে। যেমন গেম বুক হওয়ার পরে প্রত্যেক চার কার্ড সমান ৫০ পয়েন্ট। তবে গেম বুক না হলে যদি চিড়ে বা রইতনের ডাকে যদি প্রতিপক্ষ ৩ রিল না পায় তাহলে গেম হয়ে যাবে। আর হরতন ইস্কাপনের বিরুদ্ধে ৪ রিল পাওয়া লাগবে নাহলে গেম হবে। তবে নো ট্রেমের বিরুদ্ধে ৫ রিল না পেলে গেম হবে। এবার নিচে একটা হিসাব দিলাম দেখেনঃ-

ধরুন আপনার প্রতিপক্ষ ৪টা হরতনের ডাক পেল। এবং খেলা শেষে আপনারা ৫ রিল পেলেন। তাহলে সেখান থেকে তিন রিল বাদ দিতে হবে। কেননা যেহেতু সাত রিলে গেম। সেহেতু ৭ রিল বুক করে আর যে ২ রিল বাকি থাকবে সেই দুই রিলের জন্য আপনারা ১০০ পয়েন্ট পাবেন। এবার দেখতে হবে প্রতিপক্ষের রঙের কার্ড কয়টি। প্রত্যেকটা রঙের কার্ড ১০ করে পয়েন্ট। তবে এক হাতে এক সাথে ৪টা অনার্স কার্ড থাকলে আর ১০ হিসাব না করে সেক্ষেত্রে সেই ৪ কার্ডের সম্মানে তার বোনাস পয়েন্ট হবে ৮০। অর্থাৎ এক হাতে ৪টা রঙের অনার্স কার্ড থাকলে তার পয়েন্ট হবে ৮০, আর ৫টা অনার্স কার্ড থাকলে পয়েন্ট হবে ১০০।

উল্লেখ্য অনার্স কার্ড হলো- দশ, গোলাম, বিবি, সাহেব এবং টেক্কা।

এখন ধরুন আপনার প্রতিপক্ষের হাতে অনার্স কার্ড আছে ৩টি। তাহলে আপনার সেই প্রাপ্ত ১০০ পয়েন্টের থেকে ৩০ বাদ দিয়ে যেটা থাকবে সেটাই হিসাবে লিখতে হবে। অর্থাৎ ১০০-৩০=৭০।

এবার ঐ ডাকে গেম কিভাবে হবে সেটা জানুনঃ- ধরুন এবার আপনারা ৫ রিল না পেয়ে পেলেন ৩ রিল। তখন হিসাবটা হবে- হরতনে পয়েন্ট হল-৮। তাহলে সাতে হল গেম বা বুক। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনার বুক করতে পারলেও পয়েন্টে পিছিয়ে আছেন। যেমন- এই হিসাবে সর্ব নিম্ন ৩০ পয়েন্টে গেম। কিন্তু ৭ এ গেম হলে আপনারা উঠিয়েছেন ৩ রিল। তাহলে বাকি থাকে- ৭-৩=৪! এবার এই চারে সাথে কার্ড পয়েন্ট গুণ করতে হবে। মানে ৪*৮= ৩২। সর্বনিম্ন গেম পয়েন্ট হল ৩০। অখচ প্রতিপক্ষ পেয়েছে ৩২, মানে গেম হয়ে গেছে।

এখন তাদের পয়েন্ট হবে- ৩২+৩০ (অনার্স কার্ডের পয়েন্ট)=৬২ পয়েন্টের গেম। তবে আপনারা যদি ডাবল দেন তাহলে সেক্ষেত্রে হিসাবটা একটু ভিন্ন। তখন প্রতি কার্ডের পয়েন্ট ডাবল হয়ে যাবে। মানে তখন পয়েন্টটা ৮ না হয়ে হবে ষোল। উদাঃ- ৮*২=১৬*৪(যেহেতু খেলা পেয়েছে ৪টির)=৬৪+৩০(অনার্স কার্ডের পয়েন্ট)= ৯৪। আর তখন পয়েন্ট হবে ৯৪ এ গেম। তবে আরো আছে, আপনারা যে ডাবল দিছেন সেজন্য তারা পাবে ৫০ আর ওটিএফসি পাবে ৫০। তবে এগুলো এক এক এলাকায় এক এক রকম। অনেকে শুধু ৫০ নেয়, আবার অনেক জায়গায় ১০০ নেয়!

এখন এই হল ব্রিজ খেলার প্রাথমিক হিসাব কিতাব এবং খেলার ধরন। তবে আরো কিছু নিয়ম কানুন আছে যেটা খেলতে না বসলে বোঝানো যায় না। তবে আপনি যাতে প্রাথমিক কিছু ধারনা পান সেজন্য এখানে একটু বিস্তারিত উল্লেখ করলাম। না বুঝলো বলবেন, চেষ্টা করবো আপনাকে বোঝানোর!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা রইলো!

৫২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৪৩

ইফতেখার আহমেদ রিয়াদ বলেছেন: কালজয়ী এই লেখায় কমেন্ট করে সাক্ষী হয়ে থাকলাম।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:২৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমিও আপনার মন্তব্যের প্রতিউত্তর করে ইতিহাসের অংশ হয়ে রইলাম..... ;)

ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.