নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

{♥ যদি কখনো নিজেকে একা ভাবো, তাহলে ঐ দূর আকাশের অসীম সীমান্তের দিকে তাকিয়ে থাকো! কখনো নিরাশ হয়ে যেও না! হয়তো বা একটা বাজপাখিও তোমার দিকে উড়ে আসতে পারে! ♥}

সাহসী সন্তান

আমাকে তোর ভালোবাসার দরকার নেই। শুধু পাশে থেকে একটু সাহস যোগাস, দেখবি তখন ভালোবাসাটা এমনিতেই চলে আসবে!!

সাহসী সন্তান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফটোগ্রাফির ইতিহাস, বিশ্বের প্রথম ফটোগ্রাফার এবং তৎসংশ্লিষ্ট পৃথিবী বিখ্যাত কিছু অসাধারন ছবি সহ আমার অঙ্কিত একটি মামুলী চিত্র!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৪


পৃথিবীর ইতিহাসের পাতায় এমন অনেক ঘটনাই আছে, যা প্রথমবারের মতো ঘটেছিল। বর্তমান সভ্যতায় যেগুলো ছাড়া আধুনিক জীবনযাত্রা একেবারেই অকল্পনীয়। যেমনঃ- কম্পিউটার, মোবাইল, ক্যামেরা ইত্যাদি। এগুলো যখন প্রথমবারের মত আবিষ্কৃত হয়েছিল ঠিক তখনকার মানুষের কাছে এগুলোই ছিল ইতিহাসের প্রথম এবং অত্যন্ত কৌতূহলের বিষয়! যা এখন আমাদের কাছে একেবারে খুবই সাধারণ ব্যাপার মাত্র। কিন্তু এখনো মাঝে মাঝে অনেকের মনেই কৌতূহল জাগে যে, এই সব জিনিস গুলো প্রথম কিভাবে এলো? কিভাবেই বা এই সব অত্যাবশ্যকিয় জিনিস গুলো আবিষ্কারের চিন্তা মানুষের মাথায় আসলো ইত্যাদী? মানুষের আবিষ্কৃত জিনিস গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম আবিষ্কার হলো ফটোগ্রাফ। ফটোগ্রাফির জগতেও এমন অনেক কিছুই আছে, যা ইতিহাসে প্রথমবারের মত ঘটেছিল। আজ আমি সে গুলো নিয়েই আপনাদের সামনে আলোচনা করবো।

পৃথিবীর প্রথম ফটোগ্রাফারঃ- ফটোগ্রাফির ইতিহাসে ফরাসি উদ্ভাবক 'জোসেফ নিসেফোর নিপস' (১৭৬৫-১৮৩৩) এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত। কারন তাকেই বলা হয় ফটোগ্রাফির জনক এবং বিশ্বের প্রথম সফল ফটোগ্রাফার। তিনি বিশ্বের প্রথম ফটোগ্রাফটি তৈরি করেন ১৮২২ সালে। এটি ছিল পোপ সপ্তম পিউসের একটি প্রতিকৃতির ফটোগ্রাফ। কিন্তু ফটোটির একটি কপি তৈরি করতে গিয়েই এটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাই একই পদ্ধতিতে তৈরি উপরের ফটোগ্রাফটিকেই বিশ্বে ফটোগ্রাফির প্রথম নিদর্শন হিসেবে ধরা হয়। সতের শতকের একটি খোদাই করা ফ্লেমিশ চিত্রকর্মের উপর ভিত্তি করে নীপস এটি তৈরি করেছিলেন ১৮২৫ সালে। তবে ২০০২ সালে এই ফটোগ্রাফটি আবিষ্কৃত হওয়ার আগ পর্যন্ত নীপসের তোলা নিচের ছবিটিকেই বিশ্বের প্রথম ফটোগ্রাফ বলে ভাবা হত।

‘View from the Window at Le Grass’ নামক উপরের এই ছবিটি নীপস তুলেছিলেন ১৮২৬ সালে। ফটোগ্রাফির ইতিহাসে খুবই বিখ্যাত এই ছবিটিকে বলা হয় প্রাকৃতিক দৃশ্যের প্রথম সফল এবং স্থায়ী ফটোগ্রাফ। ছবিটি ডেভেলপ হতে প্রায় আট ঘন্টা সময় লেগেছিল বলে এটি ঝাপসা এবং এই সময়ের মধ্যে সূর্যের অবস্থান পরিবর্তিত হওয়ায় ছবিটিতে অট্টালিকার উভয় পাশই আলোকিত দেখা যায়। একই দৃশ্যের ফটোগ্রাফ যদি আজকের দিনে তোলা হত, তবে তা দেখাত অনেকটা নিচের ছবিটির মত।


১৮৩৫ সাল; প্রথম নেগেটিভ থেকে পজিটিভ ছবিঃ-

প্রথম দিকের ফটোগ্রাফিতে নেগেটিভের কোন বালাই ছিল না, বরং ছবির সরাসরি পজিটিভ তৈরি করা হত। ফলে একই ফটোগ্রাফ থেকে বারবার কপি তৈরি করা যেত না। কিংবা কপি তৈরি করার চেষ্টা করলে আগের মূল ফটোগ্রাফটি নষ্ট হয়ে যেত। তবে ১৮৩৫ সালে 'হেনরি ফক্স ট্যালবট' নামের একজন ব্রিটিশ উদ্ভাবক সর্বপ্রথম নেগেটিভ থেকে পজিটিভ করে ছবি তোলার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন এবং উপরের ছবিটি হল এই পদ্ধতিতে তোলা বিশ্বের প্রথম ছবি। এতে নেটের পর্দা লাগানো একটি জানালার নেগেটিভ ও পজিটিভ ছবি পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে।


১৮৩৮ সাল; প্রথম ছবি যাতে মানুষ রয়েছেঃ-

'লুই দাগ্যায়ার' নামের একজন ফরাসি উদ্ভাবক ১৮৩৮ সালে প্যারিসের একটি রাস্তার এই ছবিটি তোলেন, যাতে প্রথমবারের মত একজন সত্যিকারের মানুষ দৃশ্যমান। এটি একটি ব্যস্ততম রাস্তার ছবি হলেও রাস্তায় কোন যানবাহন না থাকার কারন, ছবিটি ডেভেলপ হতে প্রায় দশ মিনিট সময় লেগেছিল যার কারনে রাস্তার অন্যান্য চলমান লোকজন ও গাড়িঘোড়া দৃশ্যটি থেকে মুছে যায়। তবে ছবিটিতে রয়ে গেছে শুধু রাস্তার মোড়ে সেই দশ মিনিট ধরে স্থিরভাবে দাঁড়ানো নিচের মানুষটি, যিনি সম্ভবত জুতা পালিশ করাচ্ছিলেন। এবং সৌভাগ্যক্রমে, তিনি ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছেন। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে, তাঁর পরিচয় অজ্ঞাতই রয়ে গেছে।


১৮৩৯ সাল; প্রথম পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফঃ-

যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় বসবাসরত 'রবার্ট কর্নেলিয়াস' নামের একজন ডাচ রসায়নবিদ ১৮৩৯ সালে নিজের এই ছবিটি তোলেন। এটি হল বিশ্বের প্রথম পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফ।

১৮৬০ সাল; আকাশ থেকে তোলা প্রথম ছবিঃ-

আকাশ থেকে বিশ্বের প্রথম ছবিটি তুলেছিলেন ফরাসী ফটোগ্রাফার ও বেলুনবিদ 'ফেলিক্স নাদার' ১৮৫৮ সালে। উড়ন্ত বেলুন থেকে তোলা ছবিটি ছিল একটি ফরাসি গ্রামের। কিন্তু সেই ছবিটির এখন আর কোন অস্তিত্ত্ব নেই। বরং আকাশ থেকে তোলা সবচেয়ে প্রাচীন এবং এখন পর্যন্ত টিকে থাকা উপরের ফটোগ্রাফটি তোলা হয়েছিল এর দু’বছর পর, ১৮৬০ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরের এই ছবিটি তুলেছিলেন 'জেমস ওয়ালেস ব্ল্যাক' নামের একজন ফটোগ্রাফার।


১৮৬১ সাল; প্রথম রঙিন ছবিঃ-

বিশ্বখ্যাত স্কটিশ বিজ্ঞানী 'জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল' ১৮৫৫ সালে সর্বপ্রথম তিন রঙা ফিল্টার ব্যবহার করে ত্রিবর্ণ পদ্ধতিতে (three color process) রঙিন ছবি তোলার ধারণা প্রদান করেন। এর উপর ভিত্তি করে তাঁর তত্ত্বাবধানে ১৮৬১ সালে 'টমাস সাটন' বিশ্বের প্রথম রঙিন ফটোগ্রাফটি তোলেন। এটি ছিল একটি রঙিন চেকযুক্ত ফিতার ছবি।

১৮৭৭ সাল; প্রথম রঙিন ল্যাণ্ডস্কেপ ফটোগ্রাফঃ-

উপরের ছবিটি দক্ষিণ ফ্রান্সের একটি শহরের এবং এটি বিশ্বের প্রথম রঙিন ল্যাণ্ডস্কেপ ফটোগ্রাফ। 'লুই দুকো দ্যু হারো' নামের একজন ফরাসি উদ্ভাবক তাঁর স্ব-উদ্ভাবিত ‘বর্ণ বিয়োজন’ (subtractive color) পদ্ধতিতে এই ছবিটি তোলেন। রঙিন ছবি তোলার ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত এটিই হচ্ছে মৌলিক পদ্ধতি। তবে পদ্ধতিটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের উপযোগী হতে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত সময় লেগেছিল।

১৮৭৮ সাল; প্রথম চলমান বস্তুর ছবিঃ-

ছুটন্ত ঘোড়ার চারটি পা কি একসাথে কখনও মাটি ছেড়ে শুণ্যে উঠতে পারে? কি প্রশ্নটা শুনে একটু অবাক হচ্ছেন তাই না? আসলে এটি অবাক হওয়ার মতই একটি প্রশ্ন! কারন এর আগে তো আমরা কেউই এমনভাবে ভাবিনি! তবে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে ১৮৭৮ সালে 'এডওয়ার্ড মব্রিজ' নামের একজন ইংরেজ চিত্রগ্রাহক সর্বপ্রথম পর পর কয়েকটি ক্যামেরা বসিয়ে দ্রুত ধাবমান ঘোড়ার ছবি তোলেন। বিশ্বের প্রথম চলমান বস্তুর ছবি তোলার এই পদ্ধতি থেকেই পরে জন্ম নেয় চলচ্চিত্রের ধারণা। একই সাথে সৃষ্টি হয় ফটোগ্রাফির একটি নতুন শাখা, যার নাম 'হাই স্পীড ফটোগ্রাফি'

১৮৯৩ সাল; পানির নিচে তোলা প্রথম ছবিঃ-

পানির নিচে প্রথম ছবি তোলেন 'উইলিয়াম থম্পসন' ১৮৫৬ সালে। দক্ষিণ পশ্চিম ইংল্যাণ্ডের ডরসেট উপকূলে পানির নিচে সাধারণ ক্যামেরা নামিয়ে সেই ছবিটি তোলা হয়েছিল, যার কোন অস্তিত্ত্ব এখন আর নেই। পানির নিচে ছবি তোলার উপযোগী সত্যিকারের ক্যামেরা তৈরি করেছিলেন ফরাসি উদ্ভাবক 'লুই বুটান' এবং তা দিয়েই তিনি ১৮৯৩ সালে পানির নিচের প্রথম সফল ছবিটি তুলেছিলেন, যা এখনও টিকে আছে।

১৮৯৬ সাল; প্রথম এক্সরে ছবিঃ-

বিয়ের আংটি পরা এই এক্সরে হাতটি 'অ্যানা বার্থা' নামের একজন মহিলার। তিনি ছিলেন বিশ্বখ্যাত জার্মান বিজ্ঞানী 'উইলহেলম কনরাড রান্টজেনের স্ত্রী'। ১৮৯৫ সালের শেষদিকে এই বিজ্ঞানী পরীক্ষাগারে গবেষণা করার সময় দেখতে পেলেন, ব্যারিয়াম প্লাটিনোসায়ানাইড নামের একটি রাসায়নিক পদার্থ নতুন এক ধরণের রশ্মি বিকিরণ করছে। তারপর এই রশ্মির সাহায্যে তিনি বিশ্বের প্রথম এক্সরে ছবিটি তুললেন। এর ফলে প্রথমবারের মত কাটাছেঁড়া ছাড়াই মানবদেহের অভ্যন্তরের দৃশ্য দেখা সম্ভব হল। এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য তিনি ১৯০১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে প্রথম নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

১৯২৬ সাল; পানির নিচে তোলা প্রথম রঙিন ছবিঃ-

উপরের ছবিটি পানির নিচে তোলা প্রথম রঙিন ফটোগ্রাফের। মেক্সিকো উপসাগরে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের ফটোগ্রাফার 'চার্লস মার্টিন ও ডঃ উইলিয়াম লংলি' ১৯২৬ সালে আরো কয়েকটি ছবিসহ হগ মাছের এই ছবিটি তুলেছিলেন। পানিরোধক বিশেষ ক্যামেরা ধারক ব্যবহার করে এবং শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঝলকানির সাহায্যে সাগরতল আলোকিত করে এই ছবি তোলা হয়েছিল, যা পরে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক নামক একটা ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছিল।

১৯৪৬ সাল; মহাকাশ থেকে তোলা প্রথম ছবিঃ-

এই ছবিটি কোন মানুষের তোলা নয়! বিশ্বের প্রথম মহাকাশচারী সোভিয়েত রাশিয়ার ইউরি গ্যাগারিন মহাকাশে গিয়েছিলেন ১৯৬১ সালে, অথচ এটি তোলা হয়েছে ১৯৪৬ সালে! আসলে এটি মহাকাশে প্রেরিত যুক্তরাষ্ট্রের একটি মানুষবিহীন 'ভি-২' রকেট থেকে তোলা একটি ছবি, যাতে একটি ৩৫ মিলিমিটার মোশন ক্যামেরা সংযুক্ত ছিল। ১৯৪৬ সালের ২৪ অক্টোবর তারিখে নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডস মিসাইল রেঞ্জ থেকে এই রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ছবিটি পৃথিবীর বায়ূমণ্ডলের বাইরে ভূমি থেকে ৬৫ মাইল উচ্চতায় রকেট থেকে ধারণ করা।

১৯৫৭ সাল; প্রথম ডিজিটাল ছবিঃ-

বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল ছবিটি কোন ডিজিটাল ক্যামেরার সাহায্যে তোলা হয়নি, কারণ তখন ডিজিটাল ক্যামেরাই আবিষ্কৃত হয়নি! 'রাসেল কার্শ' নামের এক আমেরিকান বিজ্ঞানী ১৯৫৭ সালে বিশ্বের প্রথম স্ক্যানারের সাহায্যে তাঁর তিন মাস বয়সী সন্তানের ফটোগ্রাফ স্ক্যান করে উপরের ডিজিটাল প্রতিচ্ছবিটি তৈরি করেন।

১৯৬৬ সাল; চাঁদ থেকে তোলা পৃথিবীর প্রথম ছবিঃ-

এটিও কোন মানুষের ধারন করা ছবি নয়! ১৯৬৬ সালের ২৩ শে আগস্ট তারিখে চাঁদ থেকে তোলা পৃথিবীর এই প্রথম ছবিটি তুলেছিল 'লুনার অরবিটার-১' নামের নভোযান। ২ লক্ষ ৩৬ হাজার মাইল দূর থেকে তোলা এই ছবিতে নাকি রাতের আঁধারে ঢাকা তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনের পূর্বাংশে অবস্থিত অর্ধেক পৃথিবী দৃশ্যমান।

১৯৬৮ সাল; চাঁদ থেকে তোলা পৃথিবীর প্রথম রঙিন ছবিঃ-

এই ছবিটির নাম 'পৃথিবীর উদয়' (Earth rise)। অ্যাপোলো-৮ নভোযানের নভোচারীরা চাঁদকে প্রদক্ষিণ করার সময় পৃথিবীর এই রঙিন ছবিটি তুলেছিলেন। তারা তখন চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে ৩৫০ মাইল উপরে অবস্থান করছিলেন। পৃথিবী থেকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার মাইল দূর থেকে তারা প্রত্যক্ষ করেছিলেন চাঁদের দিগন্তে পৃথিবীর উদয় হওয়ার এই অপার্থিব দৃশ্যটি।

১৯৭২ সাল; মহাকাশ থেকে তোলা পৃথিবীর প্রথম রঙিন পূর্ণ অবয়ব বিশিষ্ট ছবিঃ-

এই বিখ্যাত ছবিটির নাম ‘নীল মার্বেল’ (Blue Marble)। এটি আমাদের পৃথিবী নামের গ্রহটির প্রথম রঙিন পূর্ণ অবয়ব বিশিষ্ট ছবি। ১৯৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর তারিখে অ্যাপোলো-১৭ নভোযানের নভোচারীগণ পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে চাঁদের পানে যাওয়ার সময় এই ছবিটি তোলেন। সূর্য তাঁদের পেছনে থাকায় উজ্জ্বলভাবে আলোকিত নীল গ্রহটির অসাধারণ প্রতিচ্ছবি ধরা পড়েছিল তাঁদের ক্যামেরায়।

১৯৭৫ সাল; ডিজিটাল ক্যামেরায় তোলা প্রথম ছবিঃ-

উপরের ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কোডাক ল্যাবরেটরিতে ডিজিটাল ক্যামেরায় তোলা বিশ্বের প্রথম ছবি। এর এক বছর আগে, ১৯৭৪ সালে কোডাকের অ্যাপ্লাইড ইলেকট্রনিক্স রিসার্চ সেন্টারের প্রকৌশলী 'স্টিভেন স্যাসন'কে একটি ইলেক্ট্রনিক স্টিল ক্যামেরা উদ্ভাবনের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরের বছর তিনি সাড়ে আট পাউন্ড ওজনের বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরাটি তৈরি করেন, যা চালাতে ১৬টি ব্যাটারি লাগত। মজার ব্যাপার হল, এই ক্যামেরাটি ক্যাসেটের ফিতায় ছবি ধারণ করত। আর তখনও আবিষ্কৃত হয়নি কমপ্যাক্ট ডিস্ক, পার্সোনাল কম্পিউটার কিংবা ইন্টারনেট।

১৯৯২ সাল; ইন্টারনেটে প্রকাশিত প্রথম ছবিঃ-

সুইজারল্যাণ্ডের জেনেভায় অবস্থিত ইউরোপীয় আণবিক গবেষণা সংস্থা (CERN)-এ কর্মরত বিশ্বখ্যাত ব্রিটিশ বিজ্ঞানী স্যার টিম বার্নার্স লি ১৯৯২ সালে ইন্টারনেটভিত্তিক ‘World Wide Web’ উদ্ভাবন করেন। সার্নে কর্মরত মেয়েদের একটি প্যারোডি গানের দল হচ্ছে ‘Les Horrible's Cernettes’ বা ‘The Horrible CERN Girls’। ১৯৯২ সালে স্যার 'টিম বার্নার্স লি' এই গানের দলের সাথে সংশ্লিষ্ট তাঁর এক সহকর্মীকে দলটির কয়েকটি ছবি স্ক্যান করে দিতে বলেন। নিচের ছবিটি হল সেই গানের দলের একটি ছবি, যা প্রথম ছবি হিসেবে ইন্টারনেটে বিশ্বের প্রথম ওয়েব সাইট ‘info.cern.ch’-এ আপলোড করা হয়েছিল।

পৃথিবী বিখ্যাত ৬ টি অসাধারন ছবিঃ- ফটোগ্রাফ আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে আজ অবধি পৃথিবীতে যে কত নিজুত কোটি ছবি উত্তলন করা হয়েছে তার ধরা-বাঁধা কোন হিসাব নেই। তবে উত্তলন করা সব গুলো ছবিই তো আর বিখ্যাত হয়ে উঠতে পারে না? কিন্তু তার মধ্যে কিছু জিনিস তো ব্যাতিক্রম থাকেই? আর নিচের উল্লেখিত ছবি গুলোও ঠিক তেমনই কিছু ছবি! যে ছবি গুলো এতটাই বিখ্যাত যে গুগল, উইকিপিডিয়া কিংবা ইন্টারনেটে সার্চ করলেই তা সবার আগে এসে সামনে উপস্থিত হয়! নিচে সেই সব বিখ্যাত ছবি, উত্তলনকৃত ব্যক্তি এবং ছবি সংশ্লিষ্ট ইতিহাস গুলো বর্ননা করা হলো।

১. অনাহারী শিশুর হামাগুড়ি দিয়ে খাবারের খোঁজ করা (১৯৯৪); ফটোগ্রাফারঃ কেভিন কার্টার।

ছবিটি ১৯৯৪ সালে সুদানের দুর্ভিক্ষের সময় তোলা। একটি মেয়ে শিশু খাবারের খোঁজে ১ কি.মি. দূরে অবস্থিত জাতিসংঘের ক্যাম্পের দিকে হামাগুড়ি দিয়ে যাচ্ছে। বাচ্চাটি এতটাই দূর্বল ছিল যে হেঁটে যাওয়া তো দূরে থাক দাঁড়ানোর শক্তিটুকুও তার মধ্যে ছিল না। পিছনে একটি শকুন বাচ্চাটির মৃত্যুর অপেক্ষা করছিল! যাতে বাচ্চাটি মারা যাওয়ার সাথে সাথেই শকুনটি নিজের খাবারের চাহিদা মেটাতে পারে! খাবার সংগ্রহের এই যুদ্ধে কে জয়ী হয়েছিল, 'শকুন না মানবসন্তান' তা অবশ্য জানা যায়নি। কারণ ফটোগ্রাফার কেভিন কার্টার ছবিটি তোলার পর পরই ঐ স্থানটি ত্যাগ করেন।

কিন্তু অত্যন্ত আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো, ছবিটি তোলার মাত্র তিন মাসের মাথায় কেভিন কার্টার চরম হতাশায় ভুগে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এবং আত্মহত্যা করার আগে তিনি একটি সুইসাইড নোট লিখে যান! যাতে কেভিন পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ করেন যে, "ঐ দুর্ভিক্ষ কবলিত শিশুটিকে কেন সেদিন আমি উদ্ধার করে নিয়ে আসলাম না এবং কেন তাকে কোন সাহায্য করলাম না, সেই আত্মগ্লানিতে দগ্ধ হয়ে আজ আমি নিজেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছি।"

২. জ্বলন্ত বুদ্ধ ভিক্ষু (১৯৬৩); ফটোগ্রাফারঃ ম্যালকম ব্রাউনি।

১১ই জুন, ১৯৬৩। দক্ষিন ভিয়েতনামের ক্যাথলিকপন্থী সরকারের নিপীড়নের প্রতিবাদ স্বরূপ ব্যস্ত সড়কের মাঝখানে গায়ে আগুন দিয়ে বুদ্ধ ভিক্ষু 'থিচ কোয়াং ডাক' আত্মোৎসর্গ করেন। আত্মোৎসর্গ করার আগে তিনি ভিক্ষু শাসক গোষ্ঠীদেরকে বলেছিলেন, "ঐতিহ্যবাহী বুদ্ধ পতাকা উত্তোলনের উপর নিষেধাজ্ঞা যাতে তুলে নেয়া হয় এবং খ্রিষ্ট ক্যাথলিক ধর্মের মত বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারেও যাতে কোন বাধা দেয়া না হয়।"

একটা অবাক করা ব্যাপার হলো, ভিক্ষু 'থিচ কোয়াং' যখন আগুনে জ্বলছিলেন তখন তিনি মৃত্যু যন্ত্রনায় একবারের জন্যও হাত-পা ছোঁড়াছুঁড়ি করেননি!

৩. পৃথিবীর উদয়(Earth rise), মহাশূন্য থেকে তোলা পৃথিবীর প্রথম ছবি (১৯৬৮); ফটোগ্রাফারঃ অ্যাপোলো-৮এর ক্রু।

১৯৬৮ সালের বড়দিন। মহাকাশ যান অ্যাপোলো-৮ তখন চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৫০ মাইল দূরে এবং পৃথিবী থেকে ২,৪০,০০০ মাইল দূরে অবস্থান করছিল। মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর এই অপার সৌন্দর্য দেখে অ্যাপোলো-৮’এর ক্রুরা সেটা ফিল্মবন্দী করতে ভুল করেননি। নাসার মতে এই ছবিটিই মহাশূন্য থেকে তোলা পৃথিবীর প্রথম ছবি!

পৃথিবীর কবিরা সূর্যোদয়ের রূপ-সৌন্দর্য নিয়ে অনেক কবিতা লিখেছেন। কিন্তু পৃথিবীর বাইরে যদি কোন কবি থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই অন্ধকার ফুঁড়ে পৃথিবী উদিত হবার রূপ নিয়ে কবিতা লিখতে হবে।

৪. জ্বলন্ত মেয়েশিশু, যুদ্ধের বীভৎসতা (১৯৭২); ফটোগ্রাফারঃ নিক আট।

১৯৭২ সালের ৮-ই জুন। ৯ বছরের মেয়ে 'ফ্যান থি কিম ফুকের' গ্রামে নাপাম বোমা ফেলা হয়। বোমার আঘাতে সাথে সাথেই মারা যায় কিমের কয়েকজন খেলার সাথী। কিমও সেই বোমার আঘাতকে ঠেকাতে পারেনি, তার শরীরেও আগুন ধরে যায়। তাৎক্ষনিক ভাবে কাপড় খুলে ফেলে দিলেও ততোক্ষণে তার চুলে ও পিঠে আগুন ধরে যায়। সে অবস্থাতেই কাঁদতে কাঁদতে দৌড়াতে থাকে কিম। পরবর্তিতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, প্রায় ১৪ মাস হাসপাতালে থাকার সময় তার শরীরে মোট ১৭টি অস্ত্রোপচার করা হয়!

৫. বিপ্লবী বীর চে গুয়েভারা (১৯৬০); ফটোগ্রাফারঃ আলবার্ট করদা।

বিখ্যাত এই ছবিটি তোলা হয়েছে ৫ই মার্চ, ১৯৬০ সালে কিউবার হাভানায়। আমরা বর্তমানে চে’র যে ছবিটি টি শার্টসহ বিভিন্ন জায়গায় দেখি সেটি এই ছবি থেকেই ক্রপ করে করা। ছবিটিতে চে’র দৃঢ়চেতা মনোভাব অসাধারণ ভাবে ফুটে উঠেছে যা বিপ্লবের আইকন হিসেবে এখনও ব্যবহৃত হয়। ছবিটি তোলার সময় চে’র বয়স ছিল মাত্র ৩১ বছর!

০৬। সবুজ চোখের মেয়ে, ফটোগ্রাফারঃ- ডেভিড লেজার।

ছবিটি প্রথমবার দেখলে মনে হবে সাদামাটা সাজে এক কিশোরীর মুখ। এর আবার আলাদা কী? কিন্তু এই সাদামাটা মুখই দ্বিতীয়বার আপনাকে ছবিটির দিকে তাকাতে বাধ্য করবে। কারণ, সমুদ্রের গভীরতামাখা সেই চোখের রং আর দশজন বাঙালির মতো নয়, একদম ঝকমকে সবুজাভ! মেয়েটা বাংলাদেশি? নাম তুলি! অস্ট্রেলিয়ান আলোকচিত্রী ডেভিড লেজার কেমন করে খুঁজে পেলেন সবুজনয়না বাংলাদেশি এই মেয়েকে? তারই একটি বর্ননা দিয়েছেন তিনি ঠিক এভাবেঃ-
‘সারা দিন ঘোরাফেরার পর শীতের বিকেলটায় একটু শান্ত সময় কাটানোর জন্য একটা গ্রামের ছোট্ট টিলার মতো জায়গায় গিয়ে বসি। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাকে ঘিরে একটা ভিড় তৈরি হয়। কেউ কেউ ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে আমার দেশ, নাম, এবং এখানে আসার কারণ জানতে চাইছিল। সময়টা উপভোগ করতেই আমি বাচ্চাদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে শুরু করলাম। খেলতে খেলতেই আমার চোখ আটকে গেল একটি ঘরের সিঁড়িতে বসে থাকা এক কিশোরীর দিকে। সে খোলা চুলে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার টি-শার্ট পরেছে। তার চেহারা খুব সাধারণ ও অকৃত্রিম, কিন্তু তার চোখে ছিল অসাধারণ কিছু। আমি তার সঙ্গে কথা বলি। নাম জানতে চাই। নিজের পরিচয়ও দিই। তার সবুজ চোখের প্রশংসা করে জানতে চাইলাম সে আমার পোট্রে৴ট ছবির সাবজেক্ট হতে রাজি কি না। খুব সহজভাবেই মেয়েটি রাজি হয়ে যায়।’

ডেভিড বলছিলেন, ‘ছবি তোলার জন্য আমি চাইছিলাম তুলি সবুজ কোনো ওড়না বা স্কার্ফ পরুক। তাতে তার চোখের রং আরও স্পষ্ট হবে। কিন্তু সবুজ কিছু বাড়িতে নেই বলে জানায় সে। এরপর আমি সবুজের সঙ্গে অন্য কিছু খুঁজতে বললে সে লাল-সবুজে মেশানো একটা ওড়না (শাল) পরে। এটা মাথায় জড়িয়ে আমি তার কয়েকটি ছবি নিই। সেই সঙ্গে তাকে গত দিনের লাল-সবুজ টি-শার্ট পরিয়েও কিছু ছবি তৈরি করি।’

বছর দুই আগে রাজশাহীর পুঠিয়াতে তোলা সেই মেয়ের ছবি এক অর্থে মোড় ঘুরিয়ে দেয় ডেভিড লেজারের ফটোগ্রাফি ক্যারিয়ারেরও। তুলি নামের সেই মেয়ের মুখ উঠে আসে ডিজিটাল ক্যামেরা ওয়ার্ল্ড আর ফটো রিভিউ অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশ্বখ্যাত ফটোগ্রাফি বিষয়ক সাময়িকীর প্রচ্ছদেও।

সংযুক্তিঃ- সর্বপ্রথম ফটোগ্রাফি এবং এর বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে উইকিপিডিয়ার হিস্ট্রি অব ফটোগ্রাফি, টাইমলাইন অব ফটোগ্রাফি টেকনোলজি এবং দ্য ওয়াণ্ডারফুল ওয়ার্ল্ড অব আর্লি ফটোগ্রাফি ও অন্যান্য মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ফিচারটি লিখেছিলেন, শামীম ফয়সল! আমি শামীম ফয়সল ভাইকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এমন সুন্দর তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট সর্বপ্রথম আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য!

তথ্যসূত্রঃ-
০১। ছবি ব্লগ: ফটোগ্রাফির ইতিহাসে যা কিছু প্রথম
০২। বাংলাদেশ প্রতিদিন-ফটোগ্রাফির জগতে প্রথম
০৩। বিশ্বের বিখ্যাত ৫টি ফটোগ্রাফ
০৪। প্রথম আলো-সবুজ চোখের সেই মেয়েটি


পুনশ্চঃ- পরিশেষে সামান্য কিছু কথা বলবো! যদিও কথাগুলো অনেকটাই ব্যক্তিগত, তারপরেও পোস্ট সংশ্লিষ্ট বিধায় না বললেই নয়! আপনারা এই লেখার উপরে যে ছবিটি দেখছেন, সেটি অন্য কারো নয়; এই অধমেরই নিজ হস্তে অঙ্কিত একটি মামুলী ছবি মাত্র! আমি বিখ্যাত কোন চিত্রকর কিংবা কোন বড় মাপের ফটোগ্রাফার নই! সুতরাং আমার আঁকা ছবিটা হয়তো অনেকের কাছে ভাল নাও লাগতে পারে! তবে অন্যের কাছে এটি ভাল বা খারাপ যাই লাগুক না কেন, আমার কাছে কিন্তু এর মূল্য অপরিসীম। কারন এই ছবিটাই হলো আমার জীবনের প্রথম এবং একমাত্র অঙ্কন। জীবনে আমি আর কাওকে নিয়ে কখনও কোন ছবি বা কোন চিত্র অঙ্কন করিনি! আপনার হয়তো ভাবতে পারেন যে, ছবিটা হয়তো আমি নিছক কোন কল্পনার বশে এঁকেছিলাম? কিন্তু আপনি যদি তাই ভেবে থাকেন তাহলে আমি নিশ্চিত ভাবে বলবো যে আপনি ভুল ভাবছেন! কারন এটা নিছক কল্পনার বশে আঁকা কোন চিত্র নয়! এই ছবিটা আঁকার পিছনে জড়িয়ে আছে অনেক লম্বা একটা কাহিনী! যে কাহিনীটা আমাকে বাধ্য করেছিল পেন্সিল হাতে নিয়ে এই জীবন বাজি রাখা কাজটা সম্পন্ন করতে!

আজ থেকে প্রায় সাড়ে চার বছর আগে, একদিন বিকাল বেলা অনার্স প্রথম বর্ষের কিছু প্রয়োজনীয় বই কেনার জন্য আমি যশোর নিউমার্কেট থেকে সিএনজি চেপে যশোরেরই সব থেকে ব্যস্থতম যায়গা এবং যশোরের প্রাণকেন্দ্র নামে খ্যাত দড়াটানায় গিয়েছিলাম। সেখানে পৌছে আমি সিএনজি থেকে নেমে ভাড়া মিটিয়ে গেলাম আমারই এক পরিচিত লাইব্রেরিতে। আর সেই লাইব্রেরিতে গিয়েই প্রথম ঐ মেয়েটিকে আমি দেখতে পাই! মেয়েটি এসেছিল তার ইন্টারমিডিয়েট ফাস্ট ইয়ারের কিছু বই কিনতে! হালকা নীল আকাশী রংয়ের স্যালোয়ার কামিজের সাথে ধবধবে সাদা একটা উড়না গায়ে তার নেল পলিশ রাঙানো হাত দুটো লাইব্রেরির সামনের টেবিলে ছড়িয়ে সে যখন দাঁড়িয়ে ছিল। তখন আমার কাছে মনে হয়েছিল, এ যেন মেয়ে নয়! রুপকথার কোন এক নাম না জানা পরী/এ্যঞ্জেল হবে! যে পথ ভুল করে মহাকাশ থেকে এই পৃথিবীতে নেমে এসে লাইব্রেরিটাকে আলোকিত করে রেখেছে! তার নাম ঠিকানা কিংবা পরিচয় আমি কিছুই জানিনা! কারন আমি ঐ একবারই মাত্র তার দেখা পেয়েছিলাম। এ জীবনে আমি আর তাকে কোনদিনও সামনে দেখিনি। অবশ্য চেষ্টা যে করিনি তা কিন্তু নয়! ওকে এক নজর দেখার জন্য প্রায় প্রতিদিন আমি দড়াটানায় যেতাম, কিন্তু কোনদিনও তাকে আমি দেখতে পায়নি। এমনকি যে লাইব্রেরিতে আমি ওকে প্রথম দেখেছিলাম সেখানে খোঁজ নিয়েও তেমন কোন সঠিক তথ্য পায়নি। তারা যে ঠিকানা দিয়েছিল তার সবই ছিল ভুল। কারন তারাও সেই মেয়েটির সঠিক ঠিকানা কিছুই ভাল মত জানতো না! কিন্তু মেয়েটি বই নিয়ে লাইব্রেরি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কি যেন ভেবে হঠাৎ করেই এমন একটা সুন্দর হাসি দিয়েছিল, যে হাসিটা আমার কাছে মনে হয়েছিল বিখ্যাত চিত্রকর লিউনার্দো দ্যা ভিঞ্চির আঁকা বিশ্ব বিখ্যাত ছবি 'মোনালিসার' থেকে কোন অংশেই কম নয়!

বিখ্যাত কবি সাহিত্যিকেরা প্রিয়তমার হাসিকে অনেক সুন্দর সুন্দর উপমা দিয়ে বিশ্লেষন করতে পারেন। তাদের মতে, কোন প্রিয়তমা যখন হাসে তখন তার সেই হাসিতে নাকি মুক্ত ঝরে? কিন্তু আমি বিখ্যাত কেউ নই, তাই হয়তো সেই মেয়েটির হাসিটাকে সেভাবে মূল্যায়ন করতে পারবো না। তবে এতটুকু বলতে পারি যে, 'মেয়েটার হাসিতে মুক্ত নয়, যেন জোৎস্না ঝরে পড়ে'! তার সেই ভূবন ভোলানো হাসিটাকে আমি আজও ভুলতে পারিনি!

সেদিনই দোকান থেকে একটা পেন্সিল আর একটা রাবার কিনে এবং আমার পরিচিত একজন আঙ্কেলের ফার্মেসির দোকান থেকে একটা প্যাড নিয়ে দ্রুত বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে রাবারকে নিজের হস্তগত করে, টেবিল ও চেয়ারকে রনাঙ্গন হিসাবে সাঁজিয়ে; সাথে সাথে পেন্সিল এবং প্যাডের সাথে শান্ত যুদ্ধ ঘোষনা করলাম। এবং কোন রকম বিরতি ছাড়াই একটানা সাড়ে চার ঘন্টা ঘাম ছুটানো যুদ্ধের পর, রাত ১২:৫৭ মিনিটে পেন্সিল এবং প্যাডের একগুয়েমিকে পরাজিত করে অবশেষে এই ছবিটা আঁকতে আমি সমর্থ হলাম! এই সেই ছবি, যে ছবিটা আজ থেকে সাড়ে চার বছর আগে আমি নিজের মনের একান্ত মাধুরী মিশিয়ে এবং হৃদয়ের সবটুকু ভালবাসা ঢেলে দিয়ে অঙ্কন করেছিলাম!

জানিনা আমার প্রথম দর্শনেই ভাল লাগা সেই মেয়েটি এখন কোথায় আছে, কেমন আছে? তবে যেখানেই থাকুক, আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে সব সময় দোয়া করি, সে যেন ভাল থাকে! অনেক বেশি সুখে থাকে! এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে সে হয়তো এখন অন্যের বুকে নিজের আশ্রয় খুঁজে নিয়েছে। কিন্তু আজও সে আমার কাছে হয়ে আছে অনেক আপন, অনেক পরিচিত! আজও আমি চোখ বন্ধ করলে তার সেই হাসি মাখা মুখটা আমার চোখের সামনে দেখতে পাই! শুনতে পাই তার ভুবন ভুলানো সেই হৃদয় জয় করা হাসি!

উৎসর্গঃ- আমার আজকের এই পোস্টটি সাম্যহোয়্যার ইন ব্লগের সিনিয়র ব্লগার জনাব 'আমিনুর রহমান' ভাইয়াকে উৎসর্গ করছি! কারন তিনি আমার করা বিগত "বিশ্বের অন্যতম প্রধান এবং জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের জানা-অজানা মজার ইতিহাস" নামক পোস্টটাতে মন্তব্যের মাধ্যমে অনেক সাহায্য করেছিলেন। যে জন্য ভাইয়াটার কাছে আমি অনেক বেশি কৃতজ্ঞ! আর আমার আজকের এই পোস্টটা আমিনুর রহমান ভাইয়ার নামে উৎসর্গ করে উনাকে আমি বিনম্র চিত্তে স্মরণ করছি!

সেই সাথে স্মরণ করছি এই ব্লগে আমার সব থেকে প্রিয় এবং আপনজন, সাম্যহোয়্যার ইন ব্লগের আইকন খ্যাত শ্রদ্ধেয়া শায়মা আপুনি কে! কারন আমার প্রায় প্রত্যেকটা পোস্টে তার অনন্য পদচারনা, তার সুন্দর সুন্দর মন্তব্য তাকে আলাদা করে ভাবতে আমাকে বাধ্য করে!

বিঃ দ্রঃ- মানুষ মাত্রই ভুল করে। সে জন্য আমারও যে কোন ভুল হবে না এমন নয়! তবে সেই ভুল টাকে নিজেদের মনে ঠাঁই না দিয়ে, বরং আমাকে একজন নিজেদেরই মানুষ মনে করে সব দোষত্রুটি গুলোকে ক্ষমা করে দেবেন! তাছাড়া টাইপিংয়ের ভুলের কারনে হয়তো অনেক জায়গায় বানানে ভুল থাকতে পারে। সেটাকে বিবেচ্য বিষয় হিসাবে না ধরে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে কৃতার্থ হবো!

মন্তব্য ১০৭ টি রেটিং +২৮/-০

মন্তব্য (১০৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: যথেষ্ট পরিশ্রম করেছেন লেখাটার জন্য! প্রিয়তে রাখলাম :)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ প্রথম মন্তব্যের জন্য!

শুভ কামনা জানবেন!

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ এই লেখাটি সামহোয়্যারইন ব্লগে শেয়ার করার জন্য।

পাশাপাশি, যিনি এই ফিচারটির মুল লেখক, তাঁকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই ইন্টারেস্টিং এই বিষয়ের উপর লেখার জন্য।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য!

আমি এই পোস্টটি সংগ্রহ করেছি ইন্টারনেট থেকে! আর তার তথ্যসূত্র গুলোও উল্লেখ করে দিয়েছি, নিশ্চই সেটা দেখেছেন? আমি শুধুমাত্র মূল লেখাটি থেকে আমার পোস্টটিকে নিজের মনের মত করে সাঁজিয়ে তারপর আপনাদের জন্য উপস্থাপন করেছি! আসলেই পোস্টটি অনেক ইন্টরেস্টিং! তবে পোস্টটির মধ্যে কিন্তু আমার নিজেরও কিছু সংযোজন আছে? যেমন ভূমিকা, পুনশ্চ, উৎসর্গ ইত্যাদী!

পরিশেষে শুভ কামনা জানবেন!

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪

নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: সুন্দর ও তথ্য সম্বৃদ্ধ পোষ্ট, দারুন লাগল শিক্ষনীয় বটে। অনেক ধন্যবাদ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:

উইকিপিডিয়ার হিস্ট্রি অব ফটোগ্রাফি, টাইমলাইন অব ফটোগ্রাফি টেকনোলজি এবং দ্য ওয়াণ্ডারফুল ওয়ার্ল্ড অব আর্লি ফটোগ্রাফি ও অন্যান্য মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ফিচারটি লিখেছিলেন, শামীম ফয়সল

সম্ভব হলে পোস্টে এই বিষয়টি উল্লেখ্য করে দিবেন। এত কষ্ট করে যিনি লেখাটি লিখেছেন, প্রতিটি শেয়ারকৃত পোস্টে তার নাম থাকাটি বাঞ্ছনীয়।

শুভেচ্ছা রইল।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: পূন মন্তব্যে আবারও ধন্যবাদ জানবেন!

যদিও আমি ইন্টারনেটে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে উনার এমন কোন পোস্ট পায়নি! সেটা হয়তো আমার নিজেরই ব্যার্থতা, কিংবা হয়তো দেখার ভুল! কিন্তু তারপরেও আপনার মন্তব্যকৃত উক্তিটি আমি পোস্টে সংযুক্ত করে দিয়েছি!

ভাল থাকবেন, সব সময়!

৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, তা তো অবশ্যই। ভুমিকার চাইতে আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বর্ণনার শেষ অংশ বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ঐ চিত্রাংকনটিতে হৃদয়ের উষ্ণতা টের পাচ্ছি। :)

শুভেচ্ছা জানবেন।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: বাস্তব সত্য ঘটনা গুলো আসলেই হৃদয় ছুয়ে যায়! তাছাড়া আমার অঙ্কনটা যে আপনার কাছে ভাল লেগেছে সেটা জেনে অনেক খুশি হলাম!

শুভ কামনা জানবেন!

৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭

থিওরি বলেছেন: দারুণ পোস্ট! সরাসরি প্রিয়তে। শুভ কামনা রইল।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫০

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ পোস্টটি পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য!

আপনার জন্যেও শুভ কামনা!

৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

কাবিল বলেছেন: প্রথম দেখাতেই এত সুন্দর ছবি আঁকছেন! সত্যি বলছি আমার মতে ভাল হয়েছে। আর আপনার ব্যক্তিগত বিষয়টি কি বলব-----
মেয়েটির নজরে যদি এই পোস্টটি পরত----------
আপনার আঁকা ছবির কল্যাণে পৃথিবী বিখ্যাত কিছু অসাধারন ছবির শেয়ার পেলাম।



আমি কিছুদিন আগে দড়াটানা (জেস টাওয়ার) মোড় থেকে ঘুরে আসলাম।
ইস----- পোস্টটি যদি আরও আগে দিতেন, আপনার হয়ে খোঁজ করে দেখতাম।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: আসলেই ভাই! এই ছবিটা আঁকার পরে আমি নিজেই কিছুটা অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম যে, আমার মত একজন অকর্মার দ্বারা এটাও কি সম্ভব? কিন্তু তারপরেও কতটুকু পেরেছি সেটাতো নিজ চোখেই দেখতে পাচ্ছেন?

ভাই, দড়াটানায় গেছেন অথচ আমাদের বাড়িতে জাননি সেজন্য খুবই দুঃখ পেলাম! পরবর্তিতে কোনদিন গেলে আমাকে জানিয়ে যাবেন কেমন? আর মেয়েটি খোঁজার কথা বলছেন, আমি কি কম খোঁজ করেছিলাম তাকে? কিন্তু তারপরেও দেখা পায়নি! তাছাড়া এখন আর খুঁজে কোন লাভ হবে বলে আমার মনে হয় না! কারন এতদিনে সে যে একলা আছে তারইবা কি গ্যারান্টি?

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩১

অগ্নি সারথি বলেছেন: ফটোগ্রাফির আদ্যোপান্ত জানা হল। ধন্যবাদ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ!

৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার পোস্ট +++++

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদের সহিত প্লাস গৃহিত হলো!

শুভ কামনা জানবেন!

১০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৩

জেন রসি বলেছেন: আরেকটি চমৎকার পোষ্ট। অনেক কিছুই জানা ছিল না। এই পোষ্ট পড়ে জানাও হলো আবার দেখাও হলো। তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে আপনার চিত্রকর্ম।একবার দেখেই এঁকে ফেললেন!এতেই বুঝা যায় সেই মেয়েটি আপনার মনে কতটা প্রভাব বিস্তার করেছিল।

পোষ্ট প্রিয়তে নিলাম। :)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩২

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্ট যে চমৎকার হয়েছে সেটা তো আপনার মন্তব্য দেখেই বোঝা যাচ্ছে? আর কয়েক ঘন্টা পর সন্ধা হবে এবং আগামী কাল সকাল হবে- এগুলো যেমন চরম সত্য মেয়েটিকে যে আমি একবারই দেখেছিলাম এটাও তেমনি একটা সত্য! মেয়েটি আসলেই আমার মনে অনেকটাই প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছিল। কিন্তু আমার দূর্ভাগ্য তাকে আর কোনদিনও দেখিনি! এক দেখাতে মেয়েটার যে জিনিসটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভাল লেগেছিল সেটা হলো; তার ভূবন ভুলানো হাসি, আর ডান গালের ঐ কাল তিলটা!

চমৎকার মন্তব্য এবং পোস্ট প্রিয়তে রাখার জন্য আপনাকে অশংখ্য ধন্যবাদ!

১১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২২

জেন রসি বলেছেন: কেভিন কার্টার যে মর্মযাতনায় আক্রান্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন সেই মর্মযাতনায় আক্রান্ত হওয়ার মত উপকরন কিন্তু আমাদের চারপাশেও আছে।কিন্তু আমারা সবাই দিনে দিনে কেমন যেন আত্মকেন্দ্রিক এবং নির্লিপ্ত হয়ে যাচ্ছি।অর্থাৎ কেভিনের মত আমরাও দেখে ছবি তুলি কিংবা কিছু একটা লিখে ফেলি। কিন্তু পরিবর্তনের জন্য কোন পদক্ষেপ নেইনা। যাইহোক পৃথিবীর সবচেয়ে নির্মম দৃশ্যের একটি হচ্ছে ক্ষুধায় কাতর শিশুর যন্ত্রণাকাতর মুখ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: Your comment is absolutely Right! সত্যি বলতে কি, আমরা ডিজিটাল যুগে এসে এতটাই আত্মকেন্দ্রিক হয়ে গেছি যে, কোনটা ন্যায় আর কোনটা অন্যায় সেটা ভাববার মত সময় আমাদের হাতে আর নেই! আমরা চোখের সামনে কোন অন্যায় অসংগতি দেখলেও তার কোন বিরোধিতা না করে বরং ঝোলা থেকে ক্যামেরা বের করে খটাখট ছবি ধারন করি। তারপর তা ফেসবুকে আপলোড দিয়ে ঝাঁঝালো একটা বক্তব্য ঝাড়ি! যেন বিশ্বজয় করে ফেলেছি এমন একটা অবস্থা!

কবে যে আমরা এই ধরা বাঁধা গন্ডির ভিতর থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো তা আল্লাহই ভাল জানেন?

পূন মন্তব্যে আবারও ধন্যবাদ! ভাললাগা জানবেন!

১২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: খুবই ভালো পোস্ট। আরেকটা ছবির কথা মনে পরছিলো, সবুজ চোখের আফগান মেয়েটার ছবি, মেয়েটার নাম ভুলে গেছি। ওইটাও খুব বিখ্যাত একটা ছবি।

পোস্টের সবচেয়ে ছুয়ে যাওয়া অংশ ব্যক্তিগত স্মৃতিচারনটা। কত মানুষের কত গল্প যে থাকে। যশোর অনেকদিন ছিলাম, সব জায়গাই আমার চেনা, তাই হয়তো আরো ভালভাবে ভিজুয়ালাইজ করতে পারছিলাম। যদিও আমি লাভ এট ফার্স্ট সাইটে বিশ্বাস করিনা, আমার মনে হয় কাউকে ভালোবাসতে আগে তাকে বোঝারও দরকার হয়, নাহলে পরে ঝামেলা হয়। আবার এটাও বিশ্বাস করি বেশি হিসেব নিকেশ করেও ভালোবাসা হয়না। তবে বুঝে শুনে আগানোই ভালো যদি মনকে মানানো যায়।

ভালোলাগা আর শুভকামনা রইলো। :)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: নদী ভাই সবুজ চোখের আফগান মেয়েটার নাম আমিও জানি না, তবে বাংলাদেশে তুলি নামের সবুজ চোখের একটা মেয়ে যে আছে এটা জানতাম! কিন্তু পোস্ট লেখার সময় এটাও খেয়াল ছিল না! আপনার মন্তব্য পড়েই মনে হলো। এবং সাথে সাথে সেটা পোস্টে সংযুক্ত করে দিয়েছি।

আপনি লাভ এট ফার্স্ট সাইটে বিশ্বাস করেন না সেটা আপনার ব্যাপার! তবে আমার কাছে কিন্তু এটা ভালবাসা ছিল না? তার থেকেও বেশি কিছু। আজ আমার এই পোস্টটা প্রকাশ করতে যেয়ে হঠাৎ করে সাড়ে চার বছর আগে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনাটা মনে পড়ে গেল তাই আপনাদের সাথে সেটা শেয়ার করলাম। ছবিটাও সাড়ে চার বছর আগে আঁকা! এখন ঐ ছবিটাই আমার সেই ঘটনার স্মৃতি হয়ে আছে!

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভেচ্ছা জানবেন!

১৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭

জুন বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো ফটোগ্রাফি নিয়ে সাহসী সন্তান।
+


times cover er নাম শরবত গুল বা শরবত বিবি @শতদ্রু

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জুনাপু!

শুভেচ্ছা জানবেন!

১৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট। অনেক কিছু জানলাম :)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২১

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্টটার মাধ্যমে যে আমি আপনাকে অনেক কিছু জানাতে পেরেছি সেজন্য আমি অনেক বেশি খুশি!

ধন্যবাদ জানবেন! শুভ কামনা রইলো!

১৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সুমন কর বলেছেন: অনেকগুলো পোস্ট বা লেখা থেকে চমৎকার একটি পোস্ট তৈরি করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

পুনশ্চঃ -এর কাহিনী জেনে ভালো লাগল। ঐ মেয়ের দেখা পেলে আমাদের কিন্তু জানিয়ে দিয়েন..... ;)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: সুমন দাদার কমেন্টগুলোই আসলে একটু ব্যতিক্রম! পড়লে অনেক মজা লাগে! তবে ভাই আমার মনে হয় আপনি অজান্তে একটা ভুল করে ফেলেছেন? সেটা হলো, আজকের পোস্টে কিন্তু আপনার প্লাসটা পেলাম না? ;) ;) (মজা করলাম ভাই)

ভাই উল্লেখিত ছবির মেয়েটার দেখা মনেহয় এজনমে আর সম্ভব না? তাছাড়া দেখা পেলেও সেটা আমার জন্য খুব একটা সুখকর হবে বলে মনে না! তারপরেও যদি কোনদিন দেখা পাই, তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে জানাবো! :(( :((

মন্তব্য এবং পাঠে অনেক অনেক ভাল লাগা জানবেন!

১৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সাস ভায়ার পোস্টটি পড়া হয়নাই কেন সেজন্য চুল ছিঁড়তে চাইছি।
ফটোগ্রাফি নিয়ে অনেক কিছুই জানলাম। যেটা হয়ত খেয়ালই করিনি হাতের কাছেই থাকার পরেও। এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
কিছু মনে না করলে বলি বিডি প্রতিদিনে কি আপনিই লিখেছিলেন?

আপনার আঁকা ছবিটির কথা পড়বার আগেই ছবিটি দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। যদিও অসাধারণ কিছু বললে বেশি হয়তো বলা হবে। কিন্তু আমি যতই টেরাই করি ঐরকম একটা ছবি আঁকতে পারব বলে মনে হয়না।
শেষের অংশটুকু আসলেই আসলেই বেটার হয়েছে। পোস্ট পড়াটা সার্থক হয়ে গিয়েছিল আগেই তবে উপসংহারে এসে আপনার হৃদয়ের উষ্ণতাটুকু অনুভব করলাম।

পোস্টে +

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: একদম চুল ছেঁড়ার দরকার নেই ভাই? দেরিতে হলেও পড়েছেন সেটাই তো আমার জন্য অনেক কিছু! তাছাড়া সব লেখা যে সব সময় চোখে পড়বে এমন তো কোন কথা নেই? দু'একটা মিসটেক তো হতেই পারে, তাই না?

ভাই লিখিতো অনেক যায়গায় কিন্তু সব কথা কি আর মনে থাকে? :`> কিছু মনে করবেন না ভাই, আমি আসলে আড়ালে থাকতেই বেশি পছন্দ করি!

আমার অঙ্কিত ছবিটা আপনার কাছে ভাল লাগছে জেনে আমারও বেশ ভাল লাগছে! তাছাড়া আসলে পুনশ্চ লেখাটাতে আমি সর্বোচ্চ আবেগ ঢেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি, তাই হয়তো আপনার কাছে এতটা ভাল লেগেছে!

পোস্ট পড়া সুন্দর পর্যবেক্ষন এবং মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ! শুভেচ্ছা জানবেন!

১৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান ,



শুধু সমৃদ্ধ একটি পোষ্টই বলবো না , বলবো রূচিশীল একটি পোষ্ট ।

সাহসী এই ব্লগ-সন্তানটির সাহসের প্রশংশা করতেই হয় । একদিন হঠাৎ ক্ষনেকের দেখা মুক্তোঝরা হাসি ছড়িয়ে যে মুখখানি তার পৃখিবীকে থমকে দিয়েছিলো, তাকে ছবিতে ধরে রাখা কম আস্পর্ধা নয় । বুঝতেই হয় , অন্তরের ভেতর থেকে যে ভালোলাগা উৎসারিত হয় তাকে ঠেকানোর সাধ্য কারো নেই । নবীশ এই চিত্রকরের প্রথম ও শেষ এবং একমাত্র ছবিটিতে যে নিখুত আবেগ জড়িয়ে আছে তা যেন এমনিই থাকে তাকে ঘিরে .........

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই প্রথমেই আপনার সুন্দর এবং সুগঠিত মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই!

রবি ঠাকুরের একটা কথা আছে, 'বড় প্রেম শুধু কাছে টানে না, দূরেও ঠেঁলে দেয়'! এই কথাটি মনে হয় আমার জন্য পারফেক্ট! একদিন যাকে হৃদয়ের মনি কোঠাঁয় স্থান দান করেছিলাম, যাকে নিয়ে হাজারও গল্পের ঝুড়ি সাঁজিয়েছিলাম। কিন্তু দূর্ভাগ্য, এ জীবনে মাত্র একবারই তার দেখা পেয়েছিলাম। যদিও এক দেখাতে কাউকে এভাবে ভাল লেগে যাওয়াটা আমারই ভুল ছিল। কিন্তু কি করবো বলুন? মনের উপরে তো আর কোন জোর চলে না? আমিও পারিনি আমার আবেগ কে নিজের কন্ট্রোলে রাখতে!

যাহোক, ওটা অতীত! আর অতীতকে নিয়ে ভাবনা করাটা মনে হয় ঠিক হবে না। তাহলে সুখের চেয়ে হয়তো দুঃখটাই বেশি করে মনের মধ্যে এসে বাসা বাঁধবে!

শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য! ভাল থাকবেন!

১৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: খুব তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট । ভাল লেগেছে খুব ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা পড়ে হঠাৎ কেন জনি হাসি আসলো? এমনিতেই হাসির কিছু বলেন নি, তারপরেও! সেই নামটা আর বললাম না, কারন আপনি হয়তো রাগ করতে পারেন?

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভেচ্ছা জানবেন!

১৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অসাধারণ, সমৃদ্ধ লেখা এটি। অনেক অজানাকে জানলাম।
অ্যাপোলো - ১১ কি পৃথিবীর কোন ছবি তোলেনি?

আপনার প্রথম প্রেমের আঁকা ছবিটি দারূন দারূন দারূন !!!!
একরাশ শুভেচ্ছা !!!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: অ্যাপল-১১ কোন ছবি তুলেছিল কিনা জানি না আপু! তবে তুলে থাকলেও সেটা তো আর মহাকাশ থেকে তোল প্রথম ছবি হতো না? কারন অ্যাপল-০৮ এর অনেক পরে অ্যাপল-১১ এর মিশন চালানো হয়। তাছাড়া এই পোস্টটাতে শুধুমাত্র পৃথিবীর উত্তলনকৃত প্রথম ছবি গুলিরই বর্ননা দেওয়া হয়েছে। আশাকরি বিষয়টি বুঝতে পারবেন?

আপনার প্রথম প্রেমের আঁকা ছবিটি দারূন দারূন দারূন !!!!

-আপুনি ওটা কিন্তু প্রেম ছিল না? ছিল ভাললাগা! কারন একতরফা কখনও প্রেম হয় না, আর হলেও তা এতদিন পর্যন্ত মনের গহিনে লুকানো থাকতে পারে না! তবে ছবিটা আমার প্রথম এবং একমাত্র অঙ্কন!

যাহোক, আপনার শুভেচ্ছা গ্রহণ করলাম! আপনিও শুভকামনা জানবেন!

২০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হেসে দেয়া ভাল । মন ভাল হয় । তয় আপনার শেয়ার করা পোস্ট পড়তে কিন্তু আমি কাহিল হয়ে গেছি । তবে জেনেছি । জানতে মজা লেগেছে । শেষের আপনার ব্যক্তিগত মেয়েটিকে নিয়ে অযাচিত প্রেম কিন্তু ভালোই । আশা করি মেয়েটার দেখা পান আর যেন বোগলদাবা করে নিতে পারেন সেই কামনাই রইলো ।

সেই নাম আবার কী নাম !! ফিলিং আনিউজুয়াল !!!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনি যদি আমাকে এখন দেখতে পেতেন তাহলেই বুঝতে পারতেন যে আমি কি পরিমাণে হাসছি! ;) তবে সেটাতো আর এখন সম্ভব না! আমার পোস্ট পড়তে পড়তে যে আপনি কাহিল হয়ে গেছেন সেজন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত! চাইলে আমি আপনার জন্য কোল্ড ড্রিংসের ব্যবস্থা করতে পারি? :P অবশ্য আপনি খান কিনা জানি না (আমি কিন্তু ভালা পাই)? তয় পোস্ট শেষে যে আপনি অনেক কিছুই জানতে পেরেছেন, সেটাতো নিজের মুখেই স্বীকার করলেন?

আর মেয়েটার কথা বলতে গেলে বলবো, সেটা আমার অতীত! জীবনে তার দেখা আর পাবো কিনা আমি জানি না! আর দেখা পেলেও যে তাকে বগলদাবা করতে পারবো তারই বা কি গ্যারান্টি? আমি না হয় তাকে আমার মনে যায়গা দিয়েছি, কিন্তু সে যদি অন্য কাউকে তার মনে যায়গা দিয়ে ফেলে? :(( :(( সুতরাং অতীত নিয়ে ভাবনার দরকার নেই! শুধু ইচ্ছা হয়েছিল তাই আপনাদের কে একটু জানালাম এই আর কি!

সেই নাম আবার কী নাম !! ফিলিং আনিউজুয়াল !!!

-নামটা কিন্তু আপনার পোস্টেই বলে এসেছি? তারপরেও আবার যখন জানতে চাচ্ছেন তখন বলি! নামটা হলো,'কটকটি' (কথাকথিকেথিকথন উচ্চারনে সমস্যা, তাছাড়া এইটা আমার দ্বারা সম্ভবই না :P )

২১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সংগৃহীত পোষ্ট সমূহের
দারুন সংকলন;
পড়লে শুরু,করবে শেষও
লোভ হয়না সংবরন।

ফটোগ্রাফি নেশার হবি
মজার ইতিহাস;
সংগৃহীত হলেও এটাও
মৌলিক এবং খাশ।

সাহসী ভায়ার এলেম আছে
সে কি গতি লেখাতে;
প্রাঞ্জল আর সাবলীল
সোজা রাখলুম প্রিয়তে :) !:#P :-B

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই আপনার কবিতা রচনার জ্ঞানটাও কিন্তু চমৎকার! কি সুন্দর ঝরঝরে ভাষায় আপনি কবিতা রচনা করেন? সবার দ্বারা কিন্তু সব কাজ হয়না, তাছাড়া সবাই কিন্তু সব কাজ পারেনা? এই যেমন, আপনি আমার পোস্টটা নিয়ে কি সুন্দর একটা কবিতা রচনা করলেন? অথচ আমারে সারাদিন ঠেললেই পেট থেকে একছড়া কবিতা কেউ বের করতে পারবে না! :P

ছড়ার মন্তব্যে ধন্যবাদ জানবেন! শুভ কামনা আপনার জন্য!

২২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ফিলিং মন খারাপ । আমার এতো সুন্দর নিক নেইমটাকে এভাবে অবমাননা করলেন !! নাহ এ মানা যায় না !!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩২

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে আমার ফিলিংস দুইটা, (আপসেট আর কনফিউশন)! :P আপনার নিক নেমটা সুন্দর না ছাই? আমি তো দূরের কথা, এই ব্লগের কেউ যদি আপনার নিক নেমটা সঠিক ভাবে উচ্চারন করতে পারে তাহলে আপনার জন্য বিশেষ পুরষ্কার থাকবে!

কে বলেছে আপনার নিক নেম সুন্দর? কেমন যেন খটোমটো! উচ্চারন করতে গেলেই দাঁত ভাঙার সমূহ সম্ভাবনা? :P

২৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ছি, এভাবে বলে না । নিক নামটা যেহেতো আমার সো নামটা খুব সুন্দর আমার কাছে । অন্যেরা চুলোয় যাক তাতে আমার কী !!!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: শুধু নিজের দিকটা দেখলে হবে নাতো? এখানে জাতির স্বার্থ বিরাজমান! সুতরাং জাতির ক্ষতিকর কোন কিছুই এখানে চইলতো না! :P তাছাড়া আপনার নিক নেমটা উচ্চারনে যদি কারো কোন সমস্যা হয় কিংবা দাঁত ভাঙার উপক্রম হয় তাহলে কিন্তু সেটা আপনার জন্য খুব একটা সুূখকর হবে না!

আপনি হয়তো জানেন না, আমি কিন্তু মাইরালা চ্যানেলের সম্পাদক? সুতরাং এই ধরনের অনাকাঙ্খিত কোন দূর্ঘটনা ঘটলে সেটার অবস্থা কতটা ভয়াবহ হবে একবার ভেবে দেখেছেন? :P

এখানে ফিলিংস হবে #এ্যাকসাইডেট! :P

২৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ফিলিং দুঃখিত । ভয় পাইছি ! জাতিকে কিন্তু বলা হয় নাই উচ্চারণ করতে । কপি পেস্ট করার জন্যও অবাদ স্বাধীনতাও দেয়া হয়েছে । ইয়ে মানে সম্পাদক মাইরালা সাহেব বিষয়টা যদি একটু দেখতেন !!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: জাতিকে বলা না হলেও আপনি তো বাধ্য করছেন সেটাকে উচ্চারন করতে? তাছাড়া সবাইতো আর কপিপেস্ট পছন্দ করে না? দেখা গেল কেউ একজন সাহস করে নামটা উচ্চারন করতে গেল! অমনি নিখোঁজ সংবাদঃ- :P

আজ ররাত ৯:৫৩ মিনিটে কলিমদ্দি নামের একজন ব্লগার সাম্যহোয়্যার ইন ব্লগের কথাকথিকেথিকথন নামের একটা নিক নেম উচ্চারন করতে গিয়ে তার অনেক সাধের দুইটা খিলান দাঁত হারিয়েছেন! কোন স্ব-হৃদয়বান ব্যক্তি যদি এই দুইটা দাঁত খুজে পান তাহলে নিদ্রিষ্ট মালিকের কাছে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানানো যাচ্ছে!

ইয়ে মানে সম্পাদক মাইরালা সাহেব বিষয়টা যদি একটু দেখতেন !!

-শুধু দেখলেন কইলে কি দেখা যায়রে পাগলা? সাথে যে তেল খরচও পাঠানো লাগে? :P

২৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১১

আমিনুর রহমান বলেছেন:


পোষ্টটা পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম এতো চমৎকার, পরিপূর্ণ, তথ্যসমৃদ্ধ, অনেক শ্রম দেয়া পোষ্টের কমেন্টটাও দিতে হবে অন্যরকম যেনো আরো বেশী এমন পোষ্ট আপনার কাছ থেকে পাই। ব্লগ থেকে ভালো লেখকগুলো হারিয়ে যায় সাধারণত ২টি কারনে এক পোষ্টদাতা কস্ট করে পোষ্ট দিলো অথচ তার পোষ্টকে কমেন্টদাতারা সঠিকভাবে বিচার করছে না আর দ্বিতীয় কারণটা আমাদের কিছু করার নেই সেটা হলো ব্যস্ততা। যেহেতু প্রথমটা আমাদের হাতে তাই অবশ্যই তাকে কমেন্টের মাধ্যমে তার লিখার সঠিক বিচার করা এবং লিখার উৎসাহ দেয়া। কিন্তু সব গুলিয়ে ফেলেছি উৎসর্গ দেখে ! আমি অতটুকু করিনি যতটুকু আমাকে সম্মান করেছেন আপনার পোষ্টে। আমি একজন সহ-ব্লগার হিসেবে যতটুকু করা উচিৎ ততটুকুই করেছি। মোটামুটি ব্লগ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলাম কিন্তু গত ২/৩ মাসে কিছু মেধাবী ও দুরন্ত ব্লগার যেভাবে ব্লগের চেহারা পালটে দিচ্ছে তাতে নিজেকে ব্লগে ফিরিয়ে আনার উৎসাহ পেয়েছি। বলতে পারেন আমি ব্লগে আপনাদের কারণেই আবারো এক্টিভ। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি নতুন প্রজন্মকে আপনার পোষ্টের মাধ্যেমে। এই প্রজন্মটাকে দেখে মনে পড়ে নিজের অতীতটাকে দেখি।

পোষ্ট সম্পর্কে বলার জন্য আবারও ফিরবো আপতত পোষ্ট প্রিয়ার হাতে তুলে দিচ্ছি :)

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমিনুর ভাই সর্বপ্রথম আপনার বিশ্লেষন ধর্মী সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই!

আপনার মন্তব্যের ভিতরে এমন কিছু কথা ফুটে উঠেছে যে গুলো ব্লগ ইতিহাসে অনেক বেশি সত্য! আর তার মধ্যে সব থেকে গুরুত্ত্বপূর্ন কথা হলো এটা, 'ব্লগ থেকে ভালো লেখকগুলো হারিয়ে যায় সাধারণত ২টি কারনে এক পোষ্টদাতা কস্ট করে পোষ্ট দিলো অথচ তার পোষ্টকে কমেন্টদাতারা সঠিকভাবে বিচার করছে না আর দ্বিতীয় কারণটা আমাদের কিছু করার নেই সেটা হলো ব্যস্ততা। যেহেতু প্রথমটা আমাদের হাতে তাই অবশ্যই তাকে কমেন্টের মাধ্যমে তার লিখার সঠিক বিচার করা এবং লিখার উৎসাহ দেয়া।'

আপনার এমন সুগঠিত মন্তব্যকে বিশ্লেষন করে আমি হয়তো যথাযথ উত্তর দিতে পারবো না, তবুও দু'একটা কথা একেবারে না বললেই নয়! আসলে একটা লেখকের কোন লেখা তখনই স্বার্থকতা খুঁজে পায় যখন সেই লেখাকে পাঠক কর্তৃক সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করা হয়! তবে এক্ষেত্রে কিন্তু আমার কথাটা একটু ভিন্ন? কারন সত্যি বলতে কি আমি মন্তব্য পাওয়ার আশায় কোন পোস্ট লেখি না! কিন্তু তারপরেও একটা ভাল লেখাকে যখন সেভাবে মূল্যায়ন না করা হয় তখনতো তার জন্য একটু মন খারাপ হয়-ই! একটা জিনিস খেয়াল করেন, আমার এই পোস্টটার বর্তমান পঠিত সংখ্যা ৪৭৮ বার! অথচ মন্তব্য হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা। তাহলে আপনি কি বলবেন যে, এই লেখাটাকে সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে? আমি আমার কাজ করেছি, এবার পাঠকের দ্বায়িত্ত পাঠক পালন করবে! কিন্তু পাঠক যদি তার দ্বায়িত্ত্বটাকে যথাযথ ভাবে পালন না করতে পারে, তাহলে তো তার জন্য তাকে আইনের আওতায় আনা যায় না? মন্তব্য করা না করা সেটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার, এখনে লেখক বা প্রকাশকের কোন হাত নেই!

আমি অতটুকু করিনি যতটুকু আমাকে সম্মান করেছেন আপনার পোষ্টে। আমি একজন সহ-ব্লগার হিসেবে যতটুকু করা উচিৎ ততটুকুই করেছি। মোটামুটি ব্লগ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলাম কিন্তু গত ২/৩ মাসে কিছু মেধাবী ও দুরন্ত ব্লগার যেভাবে ব্লগের চেহারা পালটে দিচ্ছে তাতে নিজেকে ব্লগে ফিরিয়ে আনার উৎসাহ পেয়েছি। বলতে পারেন আমি ব্লগে আপনাদের কারণেই আবারো এক্টিভ।

-আমি আসলেই অনেক খুশি আপনাদের মত সত-ব্লগার পেয়ে! তাছাড়া আপনার কছে হয়তো আমার গত পোস্টের করা সাহায্যটাকে ততটা গুরুত্ব নাও পেতে পারে কিন্তু আমার কাছে সেটাকে অনেক কিছু মনে হয়েছে। আমি যখন কোন কিছু করি তখন তার আগাম কিছু ভেবেই করি। আপনি আমার সহ-ব্লগার হয়ে আপনার দ্বায়িত্ত্ব পালন করেছেন, এখন আমি আপনার সহ ব্লঘার হয়ে আমার দ্বায়িত্ত্ব পালন করেছি! 'আমি যদি আপনার মাধ্যমে মাত্র একটা শব্দের সঠিক উচ্চারন শিখতে পারি, তাহলে আপনি আমার শিক্ষক'! আর এটাই আমার নীতি! আপনি আমাদের মত ক্ষুদ্র লেখকের লেখায় অনুপ্রণিত হয়ে যে আবারও ব্লগে ফিরে এসেছেন জেনে খুশি হলাম! চেষ্টা করবো সারাক্ষন আপনাদের পাশে থাকতে, এবং সুন্দর সুন্দর লেখা উপহার দিয়ে আপনাদের মন জয় করতে! কিন্তু কতটুকু পারবো সেটা জানি না! তবে আপনার মত কাওকে যদি সারাক্ষন আমি পাশে পাই তাহলে আমার আর কোন ভাবনা থাকবেনা!

পরিশেষে আপনার সুস্থ এবং সুন্দর সাফল্য কামনা করছি! ভাল থাকবেন, সব সময়!

২৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই উত্তরটা মোবাইল থেকে দিচ্ছি বলে দুঃখিত! আপাতত ঘুমানোর বন্দোবস্ত করছিলাম, কিন্তু আপনার মন্তব্য দেখে ভাবলাম যদি উত্তর না করি তাহলে হয়তো অন্যায় হবে! আর সে কারনেই কিছু বলা!

আপনার মন্তব্য পড়ে নিজের কাছে এতটাই ভাল লাগলো যে মন্তব্যের উত্তর করার ভাষা হারিয়ে ফেলছি! তবে আমি এতটুকু বুঝতে পারছি যে, আপনার নামে পোস্টটা উৎসর্গ করে আমি কোন ভুল করিনি!

আমাদের মত নতুন প্রজন্মের লেখায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে যে আপনি আবারও ব্লগে নিয়মিত হয়েছেন জেনে অনেক খুশি হলাম! এবং সেই সাথে নিজেকে অনেক গর্বিত ভাবছি যে, লেখার মাধ্যমে আপনাদের মত ব্লগ রত্নকে আবারও ব্লগে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি!

পরিশেষে সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ! শুভেচ্ছা এবং শুভ কামনা জানবেন!

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: !:#P

২৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২০

এস কাজী বলেছেন: সাহসী মামা, আপনার পোস্ট মানেই এপিক তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট। এটাও সেরকম একখান।

ভাবছি আপনার নাম টা গুগল মামা রেখে দিব। কি বলেন?

ইয়ে মানে আপনার পোস্টগুলা দেখলে তো গুগল করতে হয় না তাই B-)

আপনার হাতের আঁকা ছবি খানা খুব সুন্দর। আর কেভিন কার্টার এর ছবিটা দেখলে আমার খারাপ লাগে। আসলে একটা ছবি দেখে আমাদের এই অবস্থা এবার বুঝলাম এই ছবি তুলে মানুষিক যন্ত্রণায় কেন তিনি মারা গিয়েছিলেন।

পরিশেষে আমার একমাত্র শাশুড়ির নাম খানা দেখে ভাল লাগল। আসলে আপনি যা বলেছেন আমার জন্য তিনিও তাই :)

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই বাবা-মা আকিকা দিয়ে খুব সুন্দর একটা নাম রাখছে, তাছাড়া আমিও নিজেই নিজের আকিকা দিয়ে ব্লগে এই নামটা সেট করেছি! সুতরাং আমাকে অন্যকোন নামে ডেকে দয়া করে লজ্জা দেবেন না? এছাড়া আমি গুগলের 'গ'ও ভাল মত জানি না, আর সেজন্য আপনার মন্তব্য পড়ে ভীষন ভাবে লজ্জা পাচ্ছি! 8-| নিজের ভাগ্নি জামাই হয়ে এভাবে আপনি আমাকে লজ্জা দিতে পারেন না? তাছাড়া জাতি এটা মানবে না? :P

আমার অঙ্কিত চিত্রটি আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম! আর আপনার শাড়কি :P (শাশুড়ি) আম্মাকে আসলেই আমি বহুত ভালা পাই! সে জন্য আমার এই পোস্টে উনার নামটাকে সেটাপ করে দিয়েছি! তবে সম্ভাবত তিনি এখন মেকাপ, এবং ট্যালকম পাউডার মাখায় ব্যস্ত আছেন যার জন্য এই পোস্টটা মনে হয় উনার দৃষ্টিগোচর হয়নি!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! ভাল থাকবেন!

২৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৩

কিরমানী লিটন বলেছেন: দারুণ পরিশ্রমের সুন্দর সমন্বয়,চমৎকার পোষ্ট ...
শুভাশিস সতত ...

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য! কৃতজ্ঞতা জানবেন!

২৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩৮

সিপন মিয়া বলেছেন: অব্যর্থ লেখাকা(লেখা+আঁকা)..

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!

৩০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন!!

ফটোগ্রাফির উপর অনেক ভঅবনা ছিল ! যার খৌরাক পেলাম আপনার পোষ্ট থেকে। তথ্যসূত্র হিসাবে অবশ্যই প্রিয়তে।

+++

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্টটার মাধ্যমে যে আপনার মনের খোরাক মিটাতে পেরেছি সেজন্য নিজেকে অনেক ধন্য মনে করছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই!

শুভ কামনা জানবেন!

৩১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:০০

রিকি বলেছেন: ফটোগ্রাফি নিয়ে আগ্রহ আমার অনেক কালের। বিশ্বের বিখ্যাত একটা ফটোগ্রাফি বাদ দিয়েছেন, যেটা টাইমসের কাভার ছিল, শতদ্রু ভাই এবং জুন আপি ইতিমধ্যেই তা বলে দিয়েছে। দিয়ে দিলাম সেই ছবিটা।

যখন এই মেয়েটি কেউ ছিল না--- তার পরিচিতি গ্রিন আই গার্ল নামেই হয়েছিল



যখন সে বিখ্যাত , কিন্তু কেউ নাম জানত না---সেই গ্রিন আই গার্ল অবশেষে শরবত গুল পরিচিতি নিয়ে লোকচক্ষুতে আবারও আসলো

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০০

সাহসী সন্তান বলেছেন: এত সংক্ষিপ্ত বিষয় এবং শুধু ছবি দিলে হবে না? এই ছবিটার বিস্তারিত জানালে আমি পোস্টে সংযুক্ত করে দিতে পারি? সাথে ফটোগ্রাফারের নামটাও উল্লেখ করে দিলে ভাল হয়? আমার খুঁজতে ভীষন কষ্ট হচ্ছে, :(( আর গত কাল খুঁজে পায়নি তাই দিতে পারিনি! বাংলাদেশি যে মেয়েটার কথা পেয়েছিলাম সেটা উল্লেখ করে দিয়েছি! তাছাড়া উপকার করতে হলে ভাল ভাবেই করতে হয়? এমন সংক্ষিপ্ত উপকার করার চেয়ে না করাই ভাল? /:) /:)

পোস্টটা দেওয়ার পর আপনার মন্তব্য পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম! :P কিন্তু দেরিতে হলেও পাঠ এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ!

৩২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: লেখাটা ভালো হয়েছে। তবে আরো কিছু সংযুক্তি হলে আরো ভালো হত। 'জোসেফ নিসেফোর নিপস' এর ফটোটাকে ধরা হয় খুঁজে পাওয়া প্রথম ফটোগ্রাফি হিসেবে। উইকি বলছে: The first partially successful photograph of a camera image was made in approximately 1816 by Nicéphore Niépce, using a very small camera of his own making and a piece of paper coated with silver chloride, which darkened where it was exposed to light.
http://www.hrc.utexas.edu/exhibitions/permanent/firstphotograph/ সাইট বলছে : specifically, the earliest known surviving photograph made in a camera, was taken by Joseph Nicéphore Niépce in 1826 or 1827. The image depicts the view from an upstairs window at Niépce's estate, Le Gras, in the Burgundy region of France. Learn more about the First Photograph through the links below.

তার মানে এর আগেও ফটোগ্রাফি হয়েছে। এবং সেটা একজন আরব মুসলিম বিজ্ঞানীর হাতে। দেখুন: It’s hard to imagine a world without photography. Billion dollar companies like Instagram and Canon are based on the idea of capturing light from a scene, creating an image from it, and reproducing that image. But doing so is impossible without the trailblazing work of the 11th century Muslim scientist, Ibn al-Haytham, who developed the field of optics and described how the first cameras work.
The basic principle of a pinhole camera

Working in the imperial city of Cairo in the early 1000s, Ibn al-Haytham was one of the greatest scientists of all time. To regulate scientific advancements, he developed the scientific method, the basic process by which all scientific research is conducted. When he was put under house arrest by the Fatimid ruler al-Hakim, he had the time and ability to study how light works. His research partially focused on how the pinhole camera worked. Ibn al-Haytham was the first scientist to realize that when a tiny hole is put onto the side of a lightproof box, rays of light from the outside are projected through that pinhole into the box and onto the back wall of it. He realized that the smaller the pinhole (aperture), the sharper the image quality, giving him the ability to build cameras that were incredibly accurate and sharp when capturing an image.

Ibn al-Haytham’s discoveries regarding cameras and how to project and capture images led to the modern development of cameras around the same concepts. Without his research into how light travels through apertures and is projected by them, the modern mechanisms inside everyone’s cameras would not exist. (Click This Link) (Click This Link)

তাছাড়া ফটোগ্রাফি সম্পর্কে লিখলে হেনরি কার্টিয়ের ব্রেসো'র কথাও আসা উচিৎ মনে হয়: Henri Cartier-Bresson (French: [kaʁtje bʁɛsɔ̃]; August 22, 1908 – August 3, 2004) was a French photographer considered the master of candid photography, and an early user of 35 mm film. He helped develop street photography, and approvingly cited a notion of the inevitability of a decisive moment, a term adopted as the title for his first major book. His work has influenced many photographers.
(Click This Link)

ভালো থাকবেন।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রথমে আপনার মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আপনি মন্তব্যে যে কথা গুলো উল্লেখ করেছেন তার সবই সত্যি। তবে আমি এই পোস্টটি লেখার সময় যে তথ্যগুলো পেয়েছি শুধুমাত্র তাহাই উল্লেখ করেছি। তাছাড়া আমি সার্চ করার সময় বাংলা লিখেই সার্চ করছিলাম বলেই হয়তো এই লেখাগুলো আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি! আপনার মন্তব্য এবং লিংক সবই ঠিক আছে! তবে আমি যদি এত তথ্য এই পোস্টে উল্লেখ করতে যেতাম তাহলে হয়তো পোস্টটা অনেক বড় হয়ে যেত, এবং সেটা পাঠক সঠিক ভাবে হয়তো বুঝতে পারতো না! তাছাড়া আমার উল্লেখিত পোস্ট অনেকটাই সাদামাটা ধরনের, আর আমি যে তথ্য গুলো উল্লেখ করেছি তাহার প্রাচুয্য গুগলে অনেক তাই সেটা আমার জন্য খুঁজতেও অনেক সুবিধা হয়েছিল! এছাড়াও ব্লগে লেখার একটা নিদ্রিষ্ট ক্যাটাগরি আছে। যে ক্যাটাগরি অতিক্রম করলে পোস্ট পাবলিস্ট হতে সমস্যা হয়! আশা করি বুঝতে পেরেছেন?

পরিশেষে ভাললাগা এবং শুভ কামনা জানবেন!

৩৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৩

রিকি বলেছেন: শরবত গুলের বর্ণনা গ্লুকোজ দিয়ে গুলে খান !!!!! :P

আমি ছবি দিলাম---এটা বিষয় না, ফটোগ্রাফার দিলাম না কেন, এটার বিস্তারিত বর্ণনা দিলাম না কেন---ওরে এসেছে রে !!!! ;) পোস্ট আপনার, লিখবেন আপনি, আমি সাহায্যকারী হিসেবে লিঙ্ক দিতে পারি (এরপরে লিখতে বললে, পাঁচটা সিনেমার তিনটা আপনাকে দিয়ে লেখাবো, হুমকি কিন্তু B-)) )---শতদ্রু ভাই বলল ছবিটার কথা, ওখানে তো বর্ণনা চাইলেন না, জুন আপি বলল নামটা আপিকেও বললেন না বর্ণনার কথা----আমি ছবি দিয়েই প্যারাতে পড়লাম মনে হচ্ছে!!!! :(( :(( যাই হোক্‌ উইকির পেজটাতে মেলা কিছু পেয়ে যাবেন বলে আশা রাখি। নাহলে গুগল কাকু আছে না !!!! :P :P

কালকেই পড়েছিলাম, দেখেন লাইকও মেরে গেছি কালই---আমার পোস্ট লিখে, সেটাকে আপলোড দিয়ে, এডিট করতে করতে আর শরবত গুলের ছবিটা দেয়ার মত স্কোপ পায়নি। তাই কালকে আর কিছু বলিনি। :)

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২

সাহসী সন্তান বলেছেন: নদীভাই ছবির কথা বা জুনাপু নাম বললেও তো আর আপনার মত কইনি যে, আপনি বিখ্যাত একটা ফটোগ্রাফ বাদ দিয়েছেন? আপনি বললেন এবং সাথে একটা ছবি ধরিয়ে দিলেন তাই তো আপনার কাছে জিজ্ঞাসা করলাম? এখানে আবার হুমকি দেওয়ার কি হলো? তাছাড়া আপনার হুমকিতে আমি ভয় পাই নাকি? :P জীবনে কত দেখলাম এরকম হুমকি? /:) :-*

আপাতত শরবত গুলের ইতিহাসটা পোস্টে যোগ করলাম না বলে দুঃখিত! অন্য কোন কারন নেই, আসলে এমনিতেই ভাল লাগছে না (আলসেমী)! :P আপনাকে আমি শুধু শুধু কষ্ট দিলাম, কিছু মনে করবেন না! তবে কোন পাঠকের যদি জানার ইচ্ছা থাকে, তাহলে সে আপনার ঐ লিংকটা থেকেই জেনে নেবে!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

৩৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

আব্দুল্যাহ বলেছেন: অনেক কষ্ট করেছেন

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ! B-)

৩৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: ফটোগ্রাফির অজানা সব তথ্য জানা হল, সাথে আপনি ভাল লাগা আকাশের পরীকে আপনি খুঁজে পান সেই কামনা করি৷

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য! শুভ কামনা জানবেন!

৩৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬

সোহানী বলেছেন: অসাধারন..................

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ......!

৩৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: রিকি আপুর দেয়া ছবিটা সংযুক্ত করতে পারতেন। (আফগানি মেয়েটির ছবিটি)

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১১

সাহসী সন্তান বলেছেন: ইচ্ছা করলে হয়তো পারতাম, তবে সত্যি কথা বলতে কি নিজের অলসতার কারনেই সেটা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কারন শুধু ছবি সংযুক্ত করলেতো হবে না? তার বিস্তারিতও তো লেখা লাগে? আর রিকি আপুর লিংক টা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা লেখার মত মন মানুষিকতা এখন নেই ভাই!

আমি অবশ্য নিজেই রিকি আপুকে রিকোয়েস্ট করেছিলাম মেয়েটা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে, কিন্তু পরবর্তিতে আর ভাল লাগেনি! কিছু মনে করবেন না ভাই, আমি আসলে এ রকমই! যে কাজটা করতে ভাল লাগেনা তা আমার কখনই করতে মন চায় না! তবে যাদের মন চাইবে তারা রিকি আপুর পাঠানো লিংকটা থেকেই ঐ মেয়েটা সম্পর্কে বিস্তারিত দেখে নিতে পারে!

পূন মন্তব্যে ধন্যবাদ জানবেন!

৩৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫২

চোখের কাঁটা বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট, অনেক কিছু জানলাম! ধন্যবাদ পোস্টের জন্য.................!! :P

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য.....!! :P

৩৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: ফটোগ্রাফির উপর অসাধারণ একটা লেখা আর দারুণ দুর্লভ সব ছবি। জানলুম অনেক কিছু, খুব ভাল লাগল। আমার জীবনে প্রথম ক্যামেরাটার নাম কোডাক (১৯৫৬) আর সেটা দিয়ে আটখানা ছবি উঠানো যেত। ধন্যবাদ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪১

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রথমেই আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম! অনেক ভাল লাগলো আপনার মন্তব্যটা পড়ে! এবং সেই সাথে আপনার ক্যামেরা সম্পর্কিত তথ্যটি জেনে অনেক মজা পেলাম!

আপনাকেও ধন্যবাদ এবং শুভকামনা!

৪০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০২

প্রামানিক বলেছেন: অনেক পরিশ্রমী পোষ্ট। এই পোষ্ট পড়ে ফটোগ্রাফী সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পোস্ট পড়া এবং মন্তব্যের জন্য!

কেমন আছেন ভাই? অনেক দিন পর মনে হলো?

শুভ কামনা জানবেন!

৪১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২১

জেন রসি বলেছেন: একবার নিঝুম দ্বীপ বেড়াতে গিয়েছিলাম।রোদের মধ্যে বনের পাশ দিয়ে হাঁটছিলাম। সবাই খুব ক্লান্ত ছিলাম।হঠাৎ করে সেখানে এক বালিকাকে দেখলাম মাথায় কাঠ নিয়ে হেটে যাচ্ছে। দাড়িয়ে সে আমাদের দিকে তাকাল। তার চোখে এমন কিছু ছিল যে, আমরা অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। মনে হচ্ছিল ছোট একটা বনদেবী। কিন্তু সে চলে যাওয়ার পর আমাদের মনে হল আমরা সবাই ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম। যখন সুন্দর কিংবা অসুন্দর কিছু দেখি তখন ছবি তোলার কথা মাথায় থাকেনা। পরে মনে হয় এই দৃশ্য ধারন করে রাখা উচিৎ ছিল।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই একদম ঠিক কথা বলেছেন! এই ধরনের অভিজ্ঞাতা যে জীবনে কত শত বার হয়েছে তার কোন হিসাব নেই! তবে আপনার অভিজ্ঞতার ঘটনাটা কিন্তু অনেক সুন্দর! এই সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে একটা পোস্ট লিখে ফেলেন, দেখবেন রাতা-রাতি আপনি বিখ্যাত হয়ে গেছেন? :P :P বনদেবী বলে কথা...........!! :P :P

আছেন কেমন ভাই? আজ সকাল থেকে একটা নতুন পোস্ট নিয়ে বেশ সমস্যায় আছি। সেজন্য ব্লগে এ্যাক্টিভ থাকলেও আপনাদের সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারছি না! :((

৪২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর শেয়ারে কৃতজ্ঞতা । :)

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য! আপনার প্রতিও রইলো আন্তরিক কৃতজ্ঞতা!

শুভ কামনা জানবেন!

৪৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬

মানুষ বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল লেখা। পড়ে ভালো লাগলো।

আরেকটা ছবি আছে আমার পছন্দের। ছবিটার নাম "Pale Blue Dot". ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ সালে ভয়েজার ১ আমাদের সৌরজগৎ পার হাবার আগ মুহুর্তে ছবিটা তোলে। যতবার ছবিটা দেখি ততবার মনে পড়ে যায় মহাবিশ্বের তুলানয় আমরা কতই না ক্ষুদ্র। কার্ল সেগানের কথাগুলো কানে বাজে।

“Look again at that dot. That's here. That's home. That's us. On it everyone you love, everyone you know, everyone you ever heard of, every human being who ever was, lived out their lives. The aggregate of our joy and suffering, thousands of confident religions, ideologies, and economic doctrines, every hunter and forager, every hero and coward, every creator and destroyer of civilization, every king and peasant, every young couple in love, every mother and father, hopeful child, inventor and explorer, every teacher of morals, every corrupt politician, every "superstar," every "supreme leader," every saint and sinner in the history of our species lived there-on a mote of dust suspended in a sunbeam."

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০

সাহসী সন্তান বলেছেন: কার্ল সেগানের বলা কথাগুলো আসলেই অনেক চমৎকার! তবে একটা প্রশ্ন ভাই, আপনি যে ছবিটা পাঠিয়েছেন এটাই কি সেই ছবি? কিন্তু ছবিটার মধ্যেতো তেমন কোন আশ্চার্যজনক বিষয় আমি দেখতে পাচ্ছি না? শুধু জমাট বাঁধা অন্ধকার এবং তার মধ্যে কিছু দাগ ছাড়া...??

যাহোক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভেচ্ছা জানবেন!

৪৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৬

মানুষ বলেছেন:

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

সাহসী সন্তান বলেছেন: হুম, বুঝছি!

৪৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৯

দর্পণ বলেছেন: আপনের তেরিমেরি প্রেম কাহিনী দেখি সেইরাম ভাইজান।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: দর্পন খালু, এইটা কি কন? এই তেরিমেরি প্রেম কাহানী যদি আপনার কাছে এমন লাগে তাইলে অন্য গুলা শুনলে তো ভীরমি খাইয়া যাইতে পারেন? :P

আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক হাসলাম ভাই! ভীষন ভাল লেগেছে!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৪৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৮

দর্পণ বলেছেন: হা হা আমার গুলান শুনলেও ভীমরি আপনি কম খাইবেন না চ্যালেঞ্জ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪১

সাহসী সন্তান বলেছেন: তো এখনও শুনান না ক্যারে.............?? আপনার প্রেমের যা ট্রাজেডি গতকাল পড়লাম, সেটা পড়েই তো আমার ফাঁটতে শুরু করেছে (মন)! :P

পরবর্তি পর্ব কবে পোস্টাইবেন?

৪৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

দর্পণ বলেছেন: পোস্টাইসি তো। গরীবের বাড়ি পাড়া না দিলে জানবেন কেমতে?

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫০

সাহসী সন্তান বলেছেন: ওহো হো হো.....!! খাঁড়ান দেইখা আসি! তয় আপনি জলদি কইরা জল চৌকি আর চা রেডি করেন? কারেন্ট আছে তো? না থাকলে তাল পাতার পাঙ্খা কাছে রাইখেন? আর রাতের খাওনডা কইলাম জব্বর হওন লাগবো!

৪৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অসাধারণ একটি তথ্যভিত্তিক পোস্ট । সব থেকে ভালো লেগেছে আপনার আঁকা ছবিটি আর হারিয়ে যাওয়া মেয়েটির গল্প । হালকা নীল আর সাদার কম্বিনেশনটা অসাধারণ , আমিও খুব পরতাম একসময় । :) তবে ডেফিনেটলি ওটা আমি নই , কারণ আমি কখনোই যশোর যাইনি ;)

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪০

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্টে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য! আমার লেখা পোস্ট এবং অঙ্কিত চিত্রকর্মটি আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে অনেক বেশি খুশি হলাম!

আমার কাছেও কিন্তু হালকা নীল এবং সাদার কম্বিনেশনটা অনেক বেশি ভাল লাগে। তবে আপনি হয়তো সামান্য একটু মিসটেক করে ফেলেছেন! কারন আমি কিন্তু কখনই বলিনি যে ওটা আপনি? তবে আপনি যে অনেক বেশি বুদ্ধিমতী সেটা স্বীকার করতেই হবে! আমি হয়তো আপনার মন্তব্য পড়ে একটু মজা করার জন্য হলেও আপনার কাছে বিষয়টা সম্পর্কে জানতে চাইতাম? কিন্তু কি সুন্দর সু-কৌশলে আপনি সেটাকে এড়িয়ে গেলেন? ;) অনেক ভাল লাগলো!

ভাল থাকবেন সব সময় এবং শুভ কামনা জানবেন!

৪৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ফটোগ্রাফির সাতকাহন ভাল লাগলো । আপনার আঁকা ছবিটা হয়েছে অসাধারণ !!!

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য!

ভাল থাকবেন!

৫০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

মানবী বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল পোস্ট! সেই সাথে কঠিন অধ্যাবসায় আর গভীর অণুভূতি দিয়ে আঁকা নাম না জানা মেয়েটিত ছবি ও কাহিনী ভালো চমৎকার তথ্যবহুল পোস্ট! সেই সাথে কঠিন অধ্যাবসায় আর গভীর অণুভূতি দিয়ে আঁকা নাম না জানা মেয়েটিত ছবি ও কাহিনী ভালো লেগেছে :-)

এতো সব বিখ্যাত ছবির ভীড়ে আমার প্রিয় একটি ছবি শেয়ার করতে ইচ্ছে হলো
ট্যাংক ম্যান নামে বিখ্যাত এই ছবিটি ১৯৮৯ সালে চায়নার তিয়েনমান স্কয়ারে জেফ ওয়াইডনারের তোলা।

অসাধারন এই ছবিটিতে একজন অনন্য সাধারণ অকুতোভয় দেশপ্রেমী দৈত্যসম ট্যাংকবহরের সামনে হঠাৎ দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণের জন্য হলেও থামিয়ে দিয়েছিলো এদের গতি।

কষ্ট করে সমৃদ্ধ এই পোস্টটি দেবার জন্য ধন্যবাদ সাহসী সন্তান।


১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর এবং বিশ্লেষণ ধর্মী মন্তব্যের জন্য! আপনার ছবিটা দেখে অনেক ভাল লাগলো! সেই সাথে অজানা একটা তথ্য সম্পর্কেও জানতে পারলাম। আসলেই ছবিটা অনেক সুন্দর!


শুভ কামনা জনাবেন!

৫১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০

এহসান সাবির বলেছেন: যশোর নিউমার্কেট থেকে সিএনজি চেপে যশোরেরই সব থেকে ব্যস্থতম যায়গা এবং যশোরের প্রাণকেন্দ্র নামে খ্যাত দড়াটানায় গিয়েছিলাম

সিএনজি???

আরো কিছু প্রশ্ন ছিল কিন্তু....

শুভেচ্ছা।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: কেন ভাই, সিএনজি তে কি কোন সমস্যা? অবশ্য ওটাকে আমাদের যশোরের ভাষায় ট্রেগার বলে আবার যে ব্যাটারী চালিত সেটাকে বলে অটো। তবে সবার বোঝার জন্যই সিএনজি উল্লেখ করেছি! আমি এসেছিলাম যশোর চুরামনকাটি থেকে নিউমার্কেট সেখান থেকে দড়াটানা!! এবার ক্লিয়ার......?

তো আপনার আর প্রশ্ন গুলো কি ভাই?

শুভ কামনা!

৫২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৫

ধমনী বলেছেন: দারুণ। অনেক পরিশ্রমলব্ধ পোস্ট।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৫৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

আমি মাধবীলতা বলেছেন: দারুণ পোস্ট !!

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ!

৫৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩

রাতুল_শাহ বলেছেন: কেভিন কার্টার সম্পর্কে জানার পর, সেই রাতে দুই বন্ধু বিষয়টা সারারাত গল্প করেছি।

দারুণ পোষ্ট, কোথাও প্রশ্ন আসলে বলতে পারবো: ফটোগ্রাফির জনক এবং বিশ্বের প্রথম সফল ফটোগ্রাফার: ফরাসি উদ্ভাবক 'জোসেফ নিসেফোর নিপস'।
:)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: অবশ্যই কেউ আপনাকে প্রশ্ন করলে বলতে পারবেন যে, ফটোগ্রাফির জনক এবং বিশ্বের প্রথম সফল ফটোগ্রাফার: ফরাসি উদ্ভাবক 'জোসেফ নিসেফোর নিপস'।! ইতিহাস তো তাই বলে.......!!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.