নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

{♥ যদি কখনো নিজেকে একা ভাবো, তাহলে ঐ দূর আকাশের অসীম সীমান্তের দিকে তাকিয়ে থাকো! কখনো নিরাশ হয়ে যেও না! হয়তো বা একটা বাজপাখিও তোমার দিকে উড়ে আসতে পারে! ♥}

সাহসী সন্তান

আমাকে তোর ভালোবাসার দরকার নেই। শুধু পাশে থেকে একটু সাহস যোগাস, দেখবি তখন ভালোবাসাটা এমনিতেই চলে আসবে!!

সাহসী সন্তান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প:- ভয়ঙ্কর রাতের অভিজ্ঞতা!

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৩


১৯ শে ফেব্রুয়ারী ২০১২। অফিস থেকে ব্যক্তিগত ছুটি নিয়ে ট্রেনে করে কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ফিরছি। অবশ্য এই অসময়ে আমার কিছুতেই বাড়িতে ফেরার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য যেভাবে চাপাচাপি শুরু করেছে তাতে, বিয়ে বুঝি এবার আমাকে করতেই হয়! বেশ কয়েক বছর যাবত নানান ছল ছুতো করে বাড়ির লোকদেরকে ম্যানেজ করে আসলেও, এবার হয়তো সেটা আর সম্ভব হবে না। কারণ ইতোমধ্যে বয়স প্রায় বিপদ সীমার কাছাকাছি চলে এসেছে তাছাড়া মাথার চুলের যা অবস্থা। এরপর যদি বিয়ে করতে চাই, তাহলে মেয়ের বাবাই আমার বেল মাথা দেখে হয়তো ভয়ে আঁতকে উঠে বলবে- 'নারে বাবা; দরকার নেই আমার এমন জামাইয়ের!' সুতরাং বাড়ির লোকদের এখন একটাই কথা, 'যদি থাকে কাজ, তো সকাল করে সাঁজ'!

আমার বাড়ির লোকজন তুলনামূলক ভাবে অন্যদের থেকে একটু বেশি এ্যাডভ্যান্স। এটা বললাম এই জন্য কারণ মাঝে-মাঝে তাদের কার্যকলাপ গুলো আমাকে এতটাই অবাক করে যে এটা বলতে আমি বাধ্য। খবর পেয়েছি তারা নাকি ইতোমধ্যে মেয়ে-টেয়ে দেখে সব পছন্দ করে বিয়ে এক প্রকার ফাইনাল করে রেখেছে। পাত্রির মা-বাবাও নাকি খাপে খাপ। এখন শুধু আমি যেয়ে মত দিলেই হয়! তাই ট্রেনে বসে বসে আমি নিজের আগামী জীবনের পরিণতির কথা ভাবছি আর চিন্তা করছি, 'এবার বুঝি আমার জীবনে স্বাধীনতার বারটা বাজবে......?'

ট্রেনটি খুলনা পৌঁছানোর কথা বিকাল পাঁচটায়। কিন্তু যাচ্ছি যাবো করে অবশেষে রাত সাড়ে আটটায় সে খুলনা রেল স্টেশনে পৌঁছালো। তড়িঘড়ি করে ট্রেন থেকে নেমে একটা ইজি বাইক নিয়ে উর্ধশ্বাসে ছুটলাম খুলনা বাস টার্মিনাল। কপাল গুণে শেষ বাসটা যদি পেয়ে যাই সেই আশায়। ভাগ্য মোটামুটি সুপ্রসন্ন। কারণ বাস একটা আছে, তবে তাতে বসার যায়গা দূরে থাক দাঁড়ানোর জায়গা পর্যন্ত নেই। ভেতরে, বাইরে এবং ছাদে তার সর্বাঙ্গে মানুষ কিলবিল করছে। আমিও কাউন্টার থেকে একটা টিকিট কেটে সুযোগ বুঝে এক ফাঁকে টুপ করে বাসের ভিতরে ঢুকে পড়লাম। যতটা না নিজের চেষ্টায় তার থেকে বেশি মানুষের ধাক্কায়। কিন্তু এত মানুষ হওয়া সত্ত্বেও বাস তবুও ছাড়ে না। আরো লোক উঠায়। অবশেষে রাত সাড়ে ন'টায় ছাড়লো মুড়ির টিন মার্কা সেই বাসটি। এবং সম্ভবত গাধার মত দুলকি চালেই সে এগুতে থাকে তার গন্তব্যস্থলের দিকে।

ভিড়ের ঠেলায় নিজের হাতের ঘড়িতে সময়টাও পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছিনা। তবে আনুমানিক রাত দশটা বিশ-ত্রিশ এমন হবে। আশেপাশের নাগরিক কোলাহল একটু কমে এলে বুঝতে পারি যে শহর এলাকা পার হয়ে এলাম। আরও প্রায় ঘন্টাদেড়েক চলার পর ২/৪ জন করে লোক নামতে শুরু করে। ফলে কিছুক্ষন পর, আঙ্গুলের পরিবর্তে পায়ের পাতার উপরে দাঁড়াতে পারি। আর একটু পরে অবাক কান্ড, বসার জায়গাও পেয়ে গেলাম! যাক বাবা, এতক্ষন পর বাইরের পৃথিবীটাকে একটু দেখতে পাচ্ছি!

সাতক্ষীরা পলিটেকনিক কলেজ। প্রায় অর্ধেক পথ এলাম। আরও ঘন্টা খানেকের পথ বাকি। মনে মনে বাড়ির লোকদের উপর ভীষন রাগ হচ্ছিল। কি দরকার এই শীতে বিয়ে করার? তার চেয়ে বিয়ে না করলেই তো হতো? কি হয় বিয়ে না করলে? হঠাৎ একটা প্রচন্ড ধাক্কায় সম্ভিত ফিরে পেলাম। কি হলো কিছুই বুঝতে পারলাম না। তবে বাসটি যে আর চলছে না সেটা ঠিকই বুঝতে পারছি। একবার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে, কিছুক্ষন পর তা আবার চালু হলো। স্ট্রাট হওয়ার সময় ইঞ্জিনের শব্দটা আমার কাছে খুব একটা সুবিধার বলে মনে হলো না। নিশ্চই কোন গন্ডগোল হয়েছে! এবং হলোও ঠিক তাই। ইঞ্জিনটি বেশ কয়েকবার খক খক করে গলা পরিষ্কারের চেষ্টা করে সেই যে হাল ছেড়ে দিল তার আর ঠিক হওয়ার নামটি নেই। ড্রাইভারকে কারণটা জিজ্ঞাসা করতেই উনি যা উত্তর দিলেন তার ব্যাখ্যা করলে দাঁড়ায় যে, 'ইঞ্জিনে কি একটা সমস্য হয়েছে, তবে সে সারাবার চেষ্টা করছে। এবং তার হেল্পার কে পাঠিয়েছে শান্তির হাট। সেখান থেকে মেকানিক নিয়ে আসবে।'
এখন চিন্তার বিষয় হচ্ছে, কত দূরে সেই শান্তির হাট? আর এত রাতে কোথায় পাবে মেকানিক? আমাদের সুখ-শান্তি কি আর ফিরে আসবে তা আল্লাহই মালুম!

এই ফাঁকে জমে যাওয়া হাত-পা গুলোকে একটু সোজা করে নেওয়ার জন্য ব্যাগটি কাঁধে ঝুলিয়ে আমিও সবার সাথে রাস্তায় নেমে পড়ি। জোৎস্না রাত, সমস্থ আকাশ জুড়ে কোটি কোটি তাঁরার মেলা। যা মনের আকাশে স্মৃতির এ্যালবাম মেলে ধরে। সেই স্মৃতির পাতা উল্টাতে উল্টাতে আমি কতটা পথ হেঁটে এসেছি ঠিক খেয়ালই করিনি। হঠাৎ একটা গাড়ির হেড লাইটের তীব্র আলোয় আমার দীর্ঘ ছায়া পড়ে সামনের রাস্তায়। কি ভেবে হাত তুলে গাড়িটাকে থামার ইঙ্গিত দিই। ভেবেছিলাম সম্ভাবত আমাদের বাসটা ঠিক হয়ে গেছে এবং আমাকে ফেলে রেখে চলে যাচ্ছে। কিন্তু এতো দেখছি বাস নয়। বেশ পুরানো মডেলের একটি ফ্যামিলি কার। আমাকে অবাক করে দিয়ে ঘ্যাচ করে থেমে যায় গাড়িটা। জানালার কাঁচ নামিয়ে চালক তার অস্বাভাবিক ভারী গলায় জিজ্ঞাসা করেন- 'কি ব্যাপার?'

দুই শব্দের এই ছোট্ট বাক্যতেই বুঝতে পারি যে, মামুলী ড্রাইভার তিনি নন। সম্ভাবত গাড়ির মালিক হবেন। নিজের এই বোকামীর জন্য প্রথমে একটু বিব্রত হলেও পরক্ষনে সেটা সামলে নিয়ে আমিও যতটা সম্ভব অনুনয়ের সুরে বলে ফেলি- 'দয়াকরে একটা লিফট দেবেন?' কথাটা বললেও লিফট যে পাবো সে রকম কোন আশা আমার ছিল না। কিন্তু ভদ্রলোক আমাকে অবাক করে দিয়ে বাম হাত দিয়ে দরজাটা মেলে ধরে বললেন- 'উঠুন'!
আমিও ধন্যবাদ জানিয়ে টুপ করে বসে পড়ি। উঠার সময় আঁড় চোখে লক্ষ করি, পেছনের ছিটে একজন ভদ্রোমহিলা দুটো বাচ্চা নিয়ে বসে আছেন।

গাড়িতে উঠেই কিসের জানি একটা গন্ধ পাচ্ছিলাম! কিন্তু গন্ধটা যে কিসের সেটা ঠিক ধরতে পারছিলাম না। কিছুক্ষন পর অবশ্য গন্ধটাকে চিনতে পারি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ঘরের ভিতরে এক ধরনের গন্ধ হয়, এটাও ঠিক তেমন একটা গন্ধ। গাড়ির কাঁচ গুলো বন্ধ থাকার পরেও শীতটা যেন বাইরের থেকে ভিতরেই বেশি! কিন্তু কেন? বুঝতে পারছি না! পরিবেশটাকে সহনীয় করে তোলার জন্য ভদ্রলোককে জিজ্ঞাসা করলাম- 'আপনি কি শ্যামনগরের কোথাও থাকেন?'
উত্তরে তিনি তার পরিচয় দিলেন। 'আবিদ হাসান, সুন্দরবন ৩৯ রাইফেলস ব্যাটেলিয়নের সিনিয়র অফিসার পোস্টে চাকুরি করেন'। আমিও আমার পরিচয় দিই। কিন্তু একটা বিষয় আমাকে ভিতরে-ভিতরে বেশ তোলপাড় করতে থাকে। সেটা হলো, ভদ্রলোকের নাম ঠিকানা আমার কাছে বেশ পরিচিত বলে মনে হচ্ছে, অথচ কোথায় কিভাবে পরিচয় তা কিছুতেই ধরতে পারছি না? বন্ধুদের কাছে নিজের একটা প্রশংসা প্রায়ই শুনতাম যে, কোন মানুষের চেহারা একবার দেখলে নাকি তা আর সহজে ভুলি না। অবশ্য বন্ধুরা হয়তো কিছুটা বাড়িয়ে বলতো। কিন্তু তাই বলে এতে একটুও কি সত্যি নেই? অথচ এই আবিদ সাহেবের সাথে আমার কখন, কোথায় এবং কিভাবে পরিচয় তা মনের মধ্যে আঁতি-পাতি করে খুঁজেও স্মৃতি থেকে উদ্ধার করতে পারলাম না! পরিচয় যে হয়েছিল সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই! কারণ তিনি নিজের সম্পর্কে যতটুকু বলেছেন, তার থেকে অনেক বেশি আমি জানি। এই যেমন, 'তিনি ৩৯ রাইফেলস ব্যাটেলিয়নের চীফ হিসাবে ওখানে আছেন প্রায় সাড়ে তিন বছর যাবত। তিনি চাকরিতে জয়েন্ট করেন ১৯৯৭ সালে। বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। উনার দুইজন ছেলে-মেয়ে আছে ইত্যাদী।' তার চেহারা ভাল করে দেখলেও হয়তো চিনতে পারবো। কিন্তু এই মূহুর্ত্বে গাড়ির ভিতরের আবছা আলো আঁধারিতে তার চেহারা সঠিক ভাবে বোঝা যাচ্ছে না।

আমার ভাবনার ছেদ পড়ে গাড়ির চাকার আকস্মিক শব্দ পরিবর্তনে। বুঝতে পারছি কালিগঞ্জ ব্রিজ পার হচ্ছি। গাজীরহাট পার হয়ে দূর্ভেদ্য কুয়াশার জন্য দুই হাত দূরে কিছুই ভাল মত দেখা যাচ্ছে না। হেড লাইটের তীব্র আলো যেন ইস্পাতের দেওয়ালে প্রতিহত হয়ে ফিরে আসছে। অথচ আমাদের চালক গাড়ির গতি একটুও না কমিয়ে নির্বাক চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি একটু ভয় পেয়ে গেলাম। কারন স্প্রীডো মিটারের কাঁটা তখন ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটারের মধ্যে উঠা-নামা করছে। মনে মনে ভাবি, ভদ্রলোক জেগে আছেন তো? পরীক্ষা করার জন্য বলি- 'এ বছর বেশ শীত পড়ছে তাই না?
উত্তরে আবিদ সাহেব বললেন- 'না, আমার মনে হয় গত বছর এর থেকে বেশি শীত পড়েছিল! আপনার হয়তো মনে নেই?'
আমি ওনার কথার প্রতিবাদ করে বসি- 'আমার কাছে কিন্তু তেমন টা মনে হয় না? কারন গত বছরতো আমি এখানেই ছিলাম, কৈ শীত তো খুব একটা অনুভূত হয়নি? আপনি নিশ্চই এর আগের বছরের কথা বলতে চাচ্ছেন?'
আমার কথা শুনে আবিদ সাহেব অদ্ভুত এক দৃষ্টিতে আমাকে এক ঝলক দেখে নিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে বললেন- 'জ্বি না, আমি গত বছরের কথাই বলতে চাচ্ছি!'
তার কন্ঠে কি যেন রয়েছে, আমি ঠিক ধরতে পারছি না! তবে তার এই কথার প্রতিবাদ করার মত উৎসাহ বা সাহস অথবা দু'টোই আমি হারিয়ে ফেলি। রাস্তায় কুয়াশা কোথাও একটু কম, আবার কোথাও একটু বেশি। কুয়াশার ফাঁক ফোঁকড় দিয়ে দেখার চেষ্টা করি যে কতদূর এলাম। কখন যে মৌতলা টার্মিনাল ছাড়িয়ে এলাম তা বুঝতেই পারলাম না।

পথের এই দিকটাতে কুয়াশার পরিমাণটা যেন আরও বেশি। যেন কুয়াশার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছি। সামনের দিকে প্রাণপনে তাকিয়ে আছি রাস্তার একটু আভাস দেখার জন্য। মাঝে-মাঝে একটু আধটু যে দেখা যাচ্ছে না তা বলবো না, তবে কোন কিছুই ঠিক-ঠাক মত পরিষ্কার ভাবে বোঝা যাচ্ছে না। সময়ের আন্দাজে মনে হচ্ছে 'শ্যামনগর মেঘনা তেল পাম্প'-এর কাছে এসে পড়েছি। হঠাৎ কোন কিছু বুঝে উঠবার আগেই কুয়াশা ফুঁড়ে ঝাঁ করে কিছু একটা বেরিয়ে গেল। চিৎকার দেওয়ার জন্য মুখ খুলেছিলাম, কিন্তু তার আগেই প্রচন্ড বেগে আছড়ে পড়লাম গাড়ির 'উইন্ডো শিল্ডের' উপর। গাড়িটি শুন্যে কয়েকটি পাঁক দিয়ে রাস্তার পাশে আছড়ে পড়লো। আমার চোখের সামনে যেন অশংখ্য তাঁরকা রাজি ফ্লাড লাইটের মত জ্বলছে আর নিভছে। আশ-পাশ থেকে প্রচুর মানুষের হট্টোগোল আর চিৎকার চেচামেচির শব্দ কানে ভেসে আসছে। কিন্তু আমি কিছুতেই চোখ খুলতে পারছি না। এক সময় সব শব্দ, সব আলো যেন নিকষ অন্ধকারে বিলিন হয়ে গেল!

জ্ঞান ফিরলো সকাল বেলা। আর জ্ঞান ফেরার সাথে সাথে বুঝতে পারলাম যে আমি এখন হাসপাতালে আছি। আমার পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখি আম্মু বেডের পাশে বসে আছে, আর ঘন ঘন কাপড়ের আঁচল দিয়ে চোখ মুছছেন। বেডের পাশেই দাঁড়িয়ে আছে আমার ছোট ভাই। ওর চোখেও পানি ছলছল করছে। আমার জ্ঞান ফিরতে দেখে একজন নার্স এগিয়ে এসে বললেন- 'এইতো জ্ঞান ফিরেছে দেখছি! তো কেমন লাগছে এখন?'
আমি শুকনো এবং ভারী জিভটা নাড়িয়ে অনেক কষ্টে কোন রকমে বললাম- 'ভালই'!
নার্স হয়তো আরো কিছু বলতে চাচ্ছিলেন, কিন্তু আমি ওনাকে থামিয়ে দিয়ে বললাম- 'গাড়ি চালাচ্ছিলেন উনি কেমন আছেন? উনার স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ওরা? সবাই ভাল আছেন তো?'
আমার কথা শুনে নার্স একটু অবাক হয়ে বললেন- 'আপনি গাড়িতে আসছিলেন নাকি? কিন্তু আপনাকে যারা হাসপাতালো নিয়ে এসেছিল তারা তো বলল আপনি রাস্তার পাশে খাদে পড়েছিলেন? গাড়ি বা অন্য কারো কথা তো তারা কিছুই বলেনি?'
নার্সের কথা শুনেতো এবার আমার অবাক হওয়ার পালা! ভাবছি, 'একটা গাড়ি প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেগে কোন কিছুতে ধাক্কা খেলো এবং বড় ধরনের একটা এ্যাক্সিডেন্টও হলো, কিন্তু তারপরেও ওটার কিছুই হলো না!? অথচ ভদ্রলোক আমার প্রতি সামান্যতম করুনাও বোধ করলেন না? অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে চলে গেলেন? কথা বার্তায় কিন্তু তাকে মোটেও এরকমটা মনে হয়নি?'

ঠিক এই সময়ে রুমে ঢুকলো আমার সব থেকে প্রিয় বন্ধু সুজন, তার স্বভাব সুলভ হৈহৈ করতে করতে। আর ঢুকেই বলল- 'আরে দোস্ত তোর এই অবস্থা? কি করে হলো বলতো? নিশ্চই হাইজ্যাকাররা ধরেছিল, তাই না?
আমি কোন কথা না বলে চুপচাপ ওর মেশিন গানের বুলি গুলো শেষ হবার সময় দিয়ে শান্ত এবং ধীর কন্ঠে বলি- 'নারে দোস্ত, ওসব কিছু না! গাড়ি এ্যাক্সিডেন্ট।'
-গাড়ি এ্যাক্সিডেন্ট(!)? তার মানে বাস দূর্ঘটনা? কিন্তু গাড়িতে কি তুই একাই ছিলি? তা না হলে তুই একাই রাস্তার পাশে পড়ে থাকলি কেন?
আমি তার অসংখ্য প্রশ্ন বানের ফাঁকে বিস্তারিত ঘটনাটা ওকে খুলে বলি এবং ওকে অনুরোধ করি- 'দোস্ত, তোর তো বিজিবি/ফরেষ্টারদের সাথে বেশ জানা শোনা আছে? একটু খোঁজ খবর নিয়ে দেখতো ভদ্রলোক ঠিক-ঠাক মত পৌঁছেছেন কিনা?'
সুজন আমার কাছে ভদ্রলোকের নাম জানতে চাইলো? আমি 'আবিদ হাসান' উচ্চারন করতেই সে এমন ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো যেন, একটা বড়-সড় আস্ত হতিকে সে আকাশে উড়তে দেখছে! অবশেষে সুজন ওর স্বভাব ফিরে পেয়ে আমাকে বিদ্রুপ করে বলল- 'আরে গাধা, তুই বলিস কি? এত তাড়াতাড়ি ভুলেই বা গেলি কি করে? তোর স্মৃতি শক্তি নিয়েতো আমাদের মধ্যে একটা অন্যরকম ধারনা ছিল! গত বছর এই সময়ই তো, হ্যা ১৯ শে ফেব্রুয়ারী রাতে গাড়ি এ্যাক্সিডেন্ট করে স্ব-পরিবারে মারা গেলেন না ভদ্রলোক? আন্ত্রজাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন পত্রিকায় ছবিসহ খবরটা বের হয়েছিল? এই যাহঃ.....! গত কালই তো ছিল ১৯ শে ফেব্রুয়ারী!

সুজনের শেষ উচ্চারিত কথাটা শুনে আমার শির দাঁড়ার ভিতর দিয়ে একটা স্বরীসৃপ যেন কিলবিলিয়ে চলে গেল! সেই সাথে কাল রাতের সব অনুচ্চারিত প্রশ্নের উত্তর গুলো মনের মধ্যে এসে ভিড় করতে লাগলো। সম্ভিত ফিরে পেয়ে আমি আবারও সুজনকে জিজ্ঞাসা করি- 'আচ্ছা, আমাকে ঠিক কোন জায়গাটা থেকে হাসপাতালে আনা হয়েছে তুই কি বলতে পারিস?'
সুজন বলল- 'হ্যা পারি! তেল পাম্পের একটু পূর্বে, যেখানে মূল রাস্তাটা একটা কাঁচা রাস্তার সাথে মিলে একটু ত্রিকোনের আকৃতি নিয়েছে; তারই দুই শাখার মাঝের ডোবা থেকে। অথ্যাৎ ঠিক এক বছর আগে যেখানে আবিদ সাহেবের গাড়ি এ্যাক্সিডেন্ট করেছিল ঠিক সেখান থেকে। আর সেখান থেকে তোকে কয়েকজন লোক উদ্ধার করে হাসপাতালাতে নিয়ে আসে এবং চিনতে পেরে তারা তোদের বাসায় এবং আমার অফিসে খবর দেয়।'

সুজনের কথার দিকে এখন আর আমার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। আমার মনে মধ্যে এখন অন্য চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। চিন্তাটা ব্রেনে ঢোকার সাথে সাথে, মাথার মধ্যে সব কিছুই যেন তালগোল পাঁকিয়ে যাচ্ছে। অনেক ভেবেও আমি কিছুতেই তার সমাধান করে উঠতে পারছি না.......!

ভাবছি, এটাও কি সম্ভব? আমাদের বাস নষ্ট হয়ে গেল পলিটেকনিক্যাল কলেজের কাছে। আমাকে পাওয়া গেল তেল পাম্পের পূর্বে! আর আবিদ হাসান সাহেব যদি এক বছর আগে মারা গিয়ে থাকেন, তাহলে আমাকে এই ৪৫ কিলোমিটার রাস্তার লিফট দিল কে............?

.....................................সমাপ্ত.....................................


বিঃ দ্রঃ- এই গল্পের বিষয়বস্তু সহ যাবতিয় চরিত্র সম্পূর্ন কাল্পনিক। যদি কারো ব্যক্তিগত জীবনের সাথে মিলে যায়, তাহলে সেটা একান্তই কাকতালীয় মাত্র। সেজন্য লেখক কোন অংশেই দ্বায়ী থাকবে না। তাছাড়া টাইপিংয়ের ভুলের কারনে হয়তো অনেক জায়গায় বানানে ভুল থাকতে পারে। সেটাকে বিবেচ্য বিষয় হিসাবে না ধরে, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে কৃতার্থ হবো!

মন্তব্য ৮৭ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৮৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: ভাল লাগল........

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ গল্প ভাল লাগার জন্য!

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

সৌদি প্রবাসী আশরাফ বলেছেন: ভালোই...

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২২

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

আলোরিকা বলেছেন: প্রাঞ্জল , ঝরঝরে , সুখপাঠ্য .... ... এমন কিন্তু হতেও পারে ;)

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার প্রশংসা মূলক মন্তব্যের জন্য! তবে আমারও বিশ্বাস হয়, যে এমন হতে পারে! :P পৃথিবীতে কত কিছুইতো সম্ভব, তাহলে এটা আর অসম্ভব থাকবে কেন? ;)

৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

জেন রসি বলেছেন: গল্পটা ভালো লেগেছে। সাবলীল বর্ণনা ছিল।বিশেষ করে আমি ভেবেছিলাম গল্পটা বাসকে কেন্দ্র করেই ঘটবে! কিন্তু বাস থেকে নেমে কারের আইডিয়াটা আসলেই এই গল্পের মূল চমক ছিল। গাড়ির মধ্যে অনেক ঠাণ্ডা এই লাইনটা একটা হরর রহস্যের দিকেই পাঠককে ধাবিত করে। আপনার গল্প বলার ক্ষমতা ভালো।আরো অনেক অনেক গল্প চাই আপনার কাছে। :)

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১

সাহসী সন্তান বলেছেন: গল্প পরে হবে, তার আগে কন তো আপনি গতকাল রাত ৩ টা থেকে ৩:৩০ মিনিট পর্যন্ত জেগে ছিলেন নাকি? এত রাত জাগেন কেন?

গল্পটা অনেক আগের লেখা! সেটা তো উল্লেখ করেই দিয়েছি? তবে বর্তমানে পুরানো সেই গল্পের সাথে সামান্য একটু ঝাল-পেয়াজ-রসুন মিসিয়েছি এই যা! আমার কিন্তু গল্পটা এখানে প্রকাশ করার একদমই ইচ্ছা ছিল না! কারন ইতোমধ্যে একটা মাসিক ম্যাগাজিনে এটা প্রকাশ করার কথাবার্তা চলছে, সেজন্য! তবে হাসান মাহবুব ভাইয়ের হরর গল্প পড়েই আর লোভ সামলাতে পারলাম না! তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও প্রকাশ করতে হলো!

অবশ্য আগেই ম্যাগাজিন-এর সম্পাদকের সাথে কথা বলেছিলাম যে, গল্পটা হয়তো আপনাদের প্রকাশ করার আগেই আমি আমার ব্লগে প্রকাশ করতে পারি! ওরা সম্মতি জানিয়েছিল তাই প্রকাশ করলাম। নইলে করতাম না!

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! ভাল থাকবেন!

৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আসলেই ভয়ানক!

গল্পে +++++++

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০০

সাহসী সন্তান বলেছেন: হুম, সত্যিই ভয়ানক!

ধন্যবাদের সহিত প্লাস গৃহিত হলো! শুভেচ্ছা জানবেন!

৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

কেএসরথি বলেছেন: +++

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০১

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ!

৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: পড়ে মজা পেলাম। ধন্যবাদ।



ভালো থাকবেন নিরন্তর।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০২

সাহসী সন্তান বলেছেন: গল্পটার মাধ্যমে আপনি যে মজা পেয়েছেন তাতেই আমি খুশি!

আপনাকেও ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৩

জেন রসি বলেছেন: লেখক বলেছেন: গল্প পরে হবে, তার আগে কন তো আপনি গতকাল রাত ৩ টা থেকে ৩:৩০ মিনিট পর্যন্ত জেগে ছিলেন নাকি? এত রাত জাগেন কেন?

আমি নিশাচর প্রকৃতির মানুষ।রাত জাগতে ভালোই লাগে।তাই রাত জাগি। আগে রাত বিরাতে ঘুরাঘুরি করতাম।এখন অনেক কম করি। তবে যেদিন রাত জগাতে ভালো লাগবেনা সেদিন থেকে আবার সকাল বেলার পাখি হয়ে যাব। কিন্তু আমার রাত জাগরনের খবর আপনি জানলেন কেমনে? আপনিও কাল রাতে আমার মত ভ্যাম্পায়ার আছিলেন নাকি? :P

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: জেন ভাই, আমিও আপনার মত একজন রাত জাগা নিশাচর পাখি! তাছাড়া আমার অনিদ্রা রোগ আছে। এইটা যে রাতে ধরে সে রাতে আর ঘুম নেই! মাঝে-মাঝে তো সারা রাতও জেগে থাকতে হয়। গতকাল আমার ঠিক সেইরকমই একটা রাত গেছে। তাছাড়া সকালে ব্লগে লগইন করেই দেখি আমার পর্যবেক্ষন তালিকায় আপনার নাম! এবং সেটা রাত তিনটায় ষোল মিনিটে! সেজন্যই জিজ্ঞাসা করেছিলাম!

এছাড়াও আরও একটা কারন আছে, সেইটা কানে কানে বলি! আপনার ভাবী আবার রাতে একা থাকে তো, আর সেজন্যই যত ভয়..........!! :P

৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

রোদেলা বলেছেন: যাই বলেন,আমি কিন্তু দিন দুপুরে ভয় পাচ্ছি।দেখি এইটার কোন চিত্রনাট্য করা যায় কিনা।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: চিত্রনাট্য! OMG, এইটা আপনি কি হুনাইলেন? আইতো পুরা হাগল হই যাইয়ুম!

গল্পটার মাধ্যমে আপনাকে যে দিন দুপুরেও ভয় ধরাতে পেরেছি সেটাইতো আমি স্বার্থক! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

শুভ কামনা জানবেন!

১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২

শায়মা বলেছেন: অশংখ্য বানান ভুল হয়েছে।

আর গল্পের ভুত কই গেলো???

অমীমাংসিত রহস্য আই ডোন্ট লাইক।


ভুতকে ওঝা ডেকে ধরে আনো আবার!:(

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: মানুষ মাত্রই ভুল হওয়াটা স্বাভাকিক! সুতরাং আমারওযে ভুল হবে না এমন কোন কথা আছে নাকি? তাছাড়া বানান ভুলটা কোথায় হয়েছে সেটা দেখাচ্ছেন না কেন?

জীবনের সব রহস্যের সমাধান হয়না আপুনি? কিছু কিছু রহস্য থাকে যা আজীবনের জন্য অমীমাংসিতই থেকে যায়! আমার গল্পটাকেও আপনি তেমনই একটা অমীমাংসিত রহস্যই ধরে নিতে পারেন?

আমি ভুত দেখা লোক, ওঝা নই! সুতরাং একবার যে ভুত লোক চক্ষুর অন্তরালে চলে গেছে তাকে ডেকে আনা আমার দ্বারা সম্ভব নয়! এব্যাপারে আপনি জেন ভাইয়ের সাহায্য নিতে পারেন?

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

১১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪

শায়মা বলেছেন: অশংখ্য - হা হা বানানটাই অশংখ্য ভাইয়ু!!!!!

আরও অসংখ্য গুলা খুঁজিনি!!!!



জেন ভাইয়া ধরবে ভুত!!!!!!! তার আগে জেনভাইয়াকেই বোতলবন্দী করে সাগরে ছুড়ে ফেলা হবে!!!!!:)

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: ঠিক করে দিয়েছি আপুনি? তো এতে হাসির কি হলো? :-0 /:) :||

জেন ভাইকে বোতলেবন্দী করে সাগরে ছুড়বে কে? আপনি? তাইলে আপনি ঘটি-বাটি গোছান? কারন উনি যখনই পরাবাস্তব ঝাঁড়া শুরু করবে তখনই আপনার দফা রফা হয়ে যাবে? সুতরাং আগের থেকে আত্মসমর্পন করেন? তাছাড়া জেন ভাইয়ের সাপোর্টে আমি আছি কিন্তু? আর আমার সাপোর্ট মানে আপনি বুঝতে পারছেন সেটা কত ভয়াবহ হবে? :P

১২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: গল্পের কাহিনী সাধারন, তবে বর্ননা বা বলার ভঙ্গীর জন্য সুখপাঠ্য হইছে। সবমিলিয়ে ভালোই লাগলো।

শুভকামনা রইলো। :)

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমিও জানি গল্পটা সাধারন। তবে একটু ভিন্ন মাত্রা দিয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি এই যা! আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম!

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য! শুভেচ্ছা জানবেন!

১৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হরর হরর ভাবতে ভাবতে সারাটা ঘাঁটলাম। পাইলাম কম। তয় সাবলীলতা বেশ বলে সুখপাঠ্যই। আরো মিস্ট্রি লাগান সাস ভায়া।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২২

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনি গল্পের ভিতরে হরর খুঁজতে যাবেন তা আমার কাছ থেকে জেনে শুনে যাবেন না? গল্পের মধ্যে হরর বলতে ঐ নামটাই যতটুকু! বাদ বাকি সব ফাঁকা! তারপরেও পড়া এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!


শুভ কামনা জানবেন!

১৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: গল্প কিন্তু ভাল লেগেছে । তবে ভূত এফ এম এর কারণে এখন ভূতের গল্পকে কমেডির মত মনে হয় । খুব বেশি এক্সেপশনাল হলে ভিন্ন কথা ।

তবে আপনি যে কালে গল্প লিখেছেন সে অনুযায়ী আমি বলবো আপনার লেখার হাত খুব ভাল । গল্প লিখুন বেশি বেশি । আর বানানটা একটু খেয়াল রাখলেই চলবে । গল্প হিট, কোন কথা নেই !!!!!!

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১২

সাহসী সন্তান বলেছেন: তাইলে আজকের পরথেকে ভুত এফ.এম-এর সকল কার্যক্রম বন্ধ! যে চ্যানেলের মাধ্যমে মানুষের মনের কোণ থেকে ভয় দূরভীত হয়ে যায় তাহা আর চইলতো না! আচ্ছা আমার গল্পটাকেও কি আপনার কাছে কমেডির মত মনে হয়েছে?

গল্পটা আসলেই অনেক আগে লেখা! তখন আমি সম্ভাবত এস. এস. সি পরীক্ষার্থী ছিলাম! যাহোক, তারপরেও আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম! আর ভুল বানান গুলো যতটা সম্ভব ঠিক করেছি, দেখতে পারেন?

আপনারা থাকতে আমার গল্প হিট না হয়ে কি কোন উপায় আছে? মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

১৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২০

সাহসী সন্তান বলেছেন: আজ সবাই এত বানান নিয়ে পড়লো কেন বুঝতে পারছি না? বানান ভুলতো সবাই কমবেশি করে, তবে শুধু আমার পোস্টটাই কেন এই গ্যাড়াকলে আটকা পড়লো তা তো বুঝছি না? তাছাড়া আমার চোখেতো ভুল বানান পড়ছে না, সবইতো সঠিকই মনে হচ্ছে? তাইলে ক্যামনে কি.......???

যত দোষ মাহবুব ভাইয়ের? কি দরকার ছিল চুলকিয়ে ঘা করার? এত বানান বানান করলে কিন্তু আমি পোস্ট ড্রাফট করতে বাধ্য হবো কইলাম(হুমকি, সবার জন্য)?

মন্তব্যর জন্য কটকটি আপুকে ধন্যবাদ!

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০১

সাহসী সন্তান বলেছেন: :P

১৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার গল্প। পড়তে ভালই লাগল। শুভ্চেছা রইল।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ছড়াকার, আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য!

ভাল থাকবেন!

১৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪০

জুন বলেছেন: ভয়ংকর গল্প সাহসী তবে ভালোলাগলো। গাড়ীর মধ্যে শীত পড়েই ভেবেছি কিছু একটা হতে চলেছে :)
+

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ জুনাপু আপনার মন্তব্যের জন্য! আপনি যে ব্রিলিয়ান্ট পাঠক, সেটা স্বীকার করতেই হচ্ছে? কারণ গল্পের কিছুটা পড়েই আপনি বুঝতে পেরেছেন যে, কোন একটা রহস্য তো এখানে ওৎপেতে বসে আছে!

শুভেচ্ছা জানবেন!

১৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪১

প্রামানিক বলেছেন: আমি বানান ভুল ধরবো না কারণ আমারও হাজার হাজার বানান ভুল হয় অনেক সময় জানা বানানও ভুল হয় আমার চোখে ধরা পড়ে না অন্যের চোখে ঠিকই ধরা পড়ে। আগে লিখে জান পরে বানান শুদ্ধ করবেন।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রামানিক ভাই আপনাদের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার পর যতটা সম্ভব বানান গুলো ঠিক করার চেষ্টা করেছি? আসলেই লিখতে গেলে অনেক সময়ই জানা বানান ও ভুল হয়ে যায়?

পূন মন্তব্যে আবারও ধন্যবাদ জানবেন!

১৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: কারন < কারণ
পৌছানো < পৌঁছানো
পৌছালো < পৌঁছালো
আৎকে < আঁতকে
বারটা বাঁজবে < বারোটা বাজবে
কপাল গুনে < গুণে
দাঁড়ানোর যায়গা < জায়গা

প্রথম তিন প্যারায় এই ভুলগুলো পেলাম !! আসলে বানান ভুলের কথা গুরুত্ব দিয়ে বলার কারণ আপনার ভুলের কারণে অনেক পাঠক ভুল বানানটিই মনে আটকে ফেলবে । পরে সেও লিখতে গিয়ে ভুল বানানে লিখবে ।

আর অন্যের সুপরামর্শে রাগ করবেন কেন!!! আপনি তো জানেন তারা আপনার ভালোর জন্যই বলছে । আরেকটা কথা তারা যেহেতো আপনার লেখার অসামঞ্জস্যগুলোর কথা উল্লেখ করছে সেহেতো তারা আপনার লেখাটি মনযোগ দিয়ে পড়েছে । আপনার লেখাটিকে গুরুত্ব দিয়েছে । এটা কম কিসে !!! এতে তো আপনার খুশি হওয়া দরকার এবং সামনের লেখাগুলো আরো মানসম্মত করে লিখবেন যেন আপনার লেখাগুলো পাঠকের কাছে আরও গুরুত্ব পায় ।

অনেক শুভ কামনা রইলো সাহসী সন্তান । :) :)

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমি কিন্তু কারো মন্তব্যেই রাগ করিনি? নিজের এই ভুলের জন্য নিজেই নিজের উপরে বিরক্ত হয়েছিলাম। আমি জানি, যারা আমাকে সুধরানোর চেষ্টা করেছে তারা সবাই আমার মঙ্গল কামনা করে। সুতরাং এখানে রাগ করার কোন প্রশ্নই আসে না? আপনার ধরানো ভুল গুলো ছাড়াও পূনরায় রিভাইজ দিয়ে যে ভুল গুলো সামনে পেয়েছি, সব গুলোকে ঠিক করে দিয়েছি!

ধন্যবাদ কষ্ট করে ভুল গুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য! আপনার জন্যেও শুভ কামনা!

২০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান ,



শুরু থেকেই ট্রেন আর বাসের মতোই ধিকধিকিয়ে চলছিলো গল্পটা । শেষে ১০০ কিলোমিটার বেগে চলতে গিয়েই ৪৫ কিলোমিটারে এসে ছিটকে পড়েছেন । এখানে কোন রহস্য নেই ।

মৃত্যুকাল ১৯ শে ফেব্রুয়ারী সাল ১২ , গল্প পোষ্টের তারিখ ১২ , পোষ্টের সময় ১১টা
এবার নিউমেরোলজিতে ফেলুন ।
মৃত্যুকাল ১৯ + ১২ = ৩১
পোষ্টের তারিখ ১২ = ১২
পোষ্টের সময় ১১টা = ১ + ১ = ২
____________
............................................৪৫
এই কারনেই ৪৫ কিলোমিটারে এসে ঠেকেছেন । :P B-)







১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০২

সাহসী সন্তান বলেছেন: কোন পোস্টে আহমেদ জী এস ভাইয়ের মন্তব্য মানেই বাড়তি কিছু পাওনা থাকেই! এখানেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি? জী এস ভাই, এটা শুধুমাত্র একটা গল্প? তবে এর মধ্য থেকে রহস্য খুঁজে বের করার দ্বায়িত্ত্ব পাঠকের! আমি কিন্তু কোথাও বলিনি যে এটা একটা রহস্য গল্প? সুতরাং গল্পের ভিতরে আপনি যে রহস্য খুঁজে পাননি তার দোষ লেখকের নয়, পাঠকের? কারন তারা কেন একটা গল্পের মধ্যে রহস্য খুঁজতে গেল?

পোস্ট সংশ্লিষ্ট আপনার বিশ্লেষণ দেখে আমি অবাক না হয়ে পারছি না! কি সুন্দর ভাবে আপনি গল্পে উল্লেখিত ৪৫ সংখ্যাটিকে বিশ্লেষণ করে মিলিয়ে দিলেন? অনেক চমৎকার লাগছে! সেই সাথে নিজের অজ্ঞানতা বশত যে লেখাটা আমি লিখেছি, সেটাকে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানাচ্ছি!

শুভ কামনা জানবেন!

২১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৫

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: কারে উঠেই ডাউট হয়েছে
একটা কিছু হবে;
উঠেই বল্লে ''পুরনো গন্ধ''
যেই ঢুকেছো সবে।

একি কাল,একি স্থান
কার খেলো ধাক্কা;
এই ছিলো কাহিনীতে
পাঠকের ঝটকা।

কাহিনী কমন বেশ
আহামরী নয়তো;
পাঠকেরা হয়ে যেতো
একঘেয়ে হয়তো।

ব্যপারটা তাজ্জব
গল্পটি ম্যারম্যারা;
পাঠকেরা গোগ্রাসে তবু
গিলছে তা হড়বড়া।

ব্যপারটি হলো এই
পোষ্ট হলো সাহসীর;
প্রাঞ্জল,ঝরঝরে
পড়বেনা কে সে বীর?

লিখবে সাহসী ভায়া
পাঠক তা পড়বেনা;
এ স্রেফ অসম্ভব
লেখকের মুন্সিয়ানা।

কি বলি ভায়া তোমায়
গা আজো ছমছম;
ভয় দিয়ে লাভ কি গো
হরর লিখো কম কম।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: ওরে আমার কবি রে.............?? এত সুন্দর কবিতা রচনা করতে আপনাকে কে বলেছে শুনি? অনেক ভাল লাগলো আপনার কবিতা পড়ে!


গল্প পাঠ এবং সুন্দর কবিতা মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্যবার ধন্যবাদ! ভাল থাকবেন!

২২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:২২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: রহস্য অমীমাংসিতই রয়ে গেলো । তবে গল্পের প্রবাহমানতা, প্রকাশভঙ্গি অসাধারণ ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১১

সাহসী সন্তান বলেছেন: অমীমাংসিত রহস্যের সমাধান করার দ্বায়িত্ত্ব কিন্তু আপনাদেরকেই দেওয়া হয়েছে? কারন গল্পের শেষ প্রান্তে এসে একটা বড়-সড় জিজ্ঞাসার চিহ্ন ব্যবহার করেছি, যাতে এর সমাধানটা পাঠক খুঁজে বের করেন?

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

২৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৫

সুমন কর বলেছেন: বর্ণনা সাবলীল। পড়তে ভালো লাগল। শেষটা আন্দাজ করা যাচ্ছিল।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সুমন দাদা!

২৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

গল্প লেখার চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। আমি তো এতটুকুও লেখতে পারি না, গল্প-কবিতা আমার কর্ম না। লেখতে পারি না, কিন্তু পড়তে তো পারি ;)

তাই বলি, আরেকটু রহস্য, আরেকটু সাসপেন্স দিলে আরও ভালো হতো।
আরেকটা কথা, ভানান বুল করভেন না... তাতে মিজাজ খারাপ হয় B-)

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১০

সাহসী সন্তান বলেছেন: মইনুল ভাই, প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য! একটা কথা কি ভাই, সব কিছু পরিমাণ মত করা ভাল! দেখা গেল গল্পটাতে যদি আমি বেশি সাসপেন্স ঢালতে যেতাম তাহলে হয়তো সেটা অন্য রকম হয়ে যেত! তখন হয়তো গল্পটা পাঠকের কাছে তুলনামূলক ভাবে ভাল নাও লাগতে পারতো? তবে চেষ্টা করবো পরবর্তি কোন রহস্য গল্প প্রকাশ করার চিন্তা ভাবনা করলে, সেটাকে আরো বেশি সাসপেন্স করে তুলতে!

বানান ভুলের ব্যাপারে বলতে গেলে, আমার কোন লেখায় যদি বানান ভুল হয়ে থাকে তাহলে সেটা সম্পূর্ন আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল! শুধু আমি কেন? সবাই মনে হয় এমনই বলবে? কারণ ইচ্ছাকৃত কেউ ভুল করতে চায় না! তবে আপনি কি সবার কমেন্ট ফলো করেই কথাটা বললেন কিনা বুঝতে পারছি না? :P সবাই যখন বলল তখন আপনিও বা বাদ থাকবেন কেন, কি বলেন? ;)

ভাল থাকবেন এবং অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন!

২৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

শায়মা বলেছেন: এহ!!!!!!!!!!!!!!


তুমি আবার কি করবে??? তোমাকেও তাইলে বোতলের ভেতর ঢুকাবো!!!!!!! :) তারপর শেওড়া গাছে ঝুলাই দেবো!!!!!:)

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপুনি, আমাকে যে বোতলে ঢুকাবেন সেই বোতলটা একটু দেখবার মুঞ্চায়? মরার আগে সমাধীক্ষেত্রটা দেখতে পারলে ক্ষতি কি? এটাও তো মৃত্যু পথযাত্রীর জন্য অনেক বড় একটা পাওনা হয়ে থাকবে! :P

আর এত গাছ থাকতে শেওড়া গছে ঝুলাইবেন ক্যারে........?? :P

২৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫২

জেন রসি বলেছেন: আমি শিশুদের সাথে সব সময় খেলায় হারি!নাহলে তারা কান্না করে! :P

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০২

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনি উদর চিত্তের মানুষ, তাই এমনটা বলতে পারছেন? আমি কিন্ত কাওরে ছাড় দিবার পারুম না? তাই সে শিশু হোক আর শিশুর মা হোক! আমার কাছে জেতাটাই হলো মেন!

কার কেউ যদি কান্দাকাটা করতে চায়, তাহলে আমার থেকে ৫০০ শত হাত দূরে গিলে কান্দাকাটা করতে বলবেন! ঘ্যানর-ঘ্যানর আমার একদমই পছন্দ নয়! :P

২৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৩

ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: ধুর এইডা কিছু হইলো?? এমনেই একটা প্রিয় তারিখ দেখে পড়া শুরু করলাম আর এখন ভয় লাগাইয়া দিলে...... X(( :((

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: তার মানে আপনার শুভ সংখ্যা কি ১২ না ১৪? যাহোক, যেহেতু পাঠককে ভয় ধরানোর জন্যই পোস্টটা করা হয়েছে, সেহেতু ভয়তো একটু লাগবেই তাই না? তবে কথা দিচ্ছি, খুব তাড়াতাড়ি আপনাদেরকে নির্মল আনন্দে ভাসিয়ে দেওয়ার জন্য আমি আবারও ফিরে আসবো! নতুন কোন ভিন্ন আয়োজন নিয়ে! ততক্ষন পর্যন্ত কোত্থাও যাবেন না, সাথেই থাকুন!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভকামনা জানবেন!

২৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: শুভ সংখ্যা বা অশুভ সংখ্যা নিয়ে কোন সময় সেভাবে ভেবে দেখি নাই। তবে ১৯ ফেব্রুয়ারি জন্মদিন...। ... :#) :#) :#)

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: হুম, এইবার বুঝলাম!

২৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫০

শায়মা বলেছেন: ২৭. ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫২ ০
জেন রসি বলেছেন: আমি শিশুদের সাথে সব সময় খেলায় হারি!নাহলে তারা কান্না করে! :P


গুড গুড গুড!!!!!!!!!!!!


জানতাম আগেই তুমি যে শিশু!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

লেখক বলেছেন: আপনি উদর চিত্তের মানুষ, তাই এমনটা বলতে পারছেন? আমি কিন্ত কাওরে ছাড় দিবার পারুম না? তাই সে শিশু হোক আর শিশুর মা হোক! আমার কাছে জেতাটাই হলো মেন!

কার কেউ যদি কান্দাকাটা করতে চায়, তাহলে আমার থেকে ৫০০ শত হাত দূরে গিলে কান্দাকাটা করতে বলবেন! ঘ্যানর-ঘ্যানর আমার একদমই পছন্দ নয়! :P



এখুনি কাঁদো ভাইয়ু!!!!!!! কারণ তুমি অলরেডি হেরে গেছো!!!!!!!!:)

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: হারছি মানে? কোথায়, কখন এবং কিভাবে হারলাম তা ব্যাখ্যা করেন? না করতে পারলে কিন্তু আপনার খবর আছে? শামুক চচ্চড়ি খাওয়াইয়া আপনারে কিন্তু ভীন গ্রহে ট্রান্সফার করবাম! কথা বার্তা ভাঁজ কইরা কইবাইন! আপুনি বইলা কিন্তু কোন ছাড় হইবো না........!! :P

আপুনি কেমন আছেন? আপনাকে আমি প্রচন্ড ভাবে মিস করছি!

৩০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩

দর্পণ বলেছেন: সাহসীভাই মনডা ভালা?

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

সাহসী সন্তান বলেছেন: জ্বি খালুজান, মন পুরাই ফকফকা! তয় আপনেরডা কেমন আছে?

৩১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আসলেই মানুষ মাত্রই ভুল করে । :)

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই গল্প বাদে বিশেষ দ্রষ্টব্য নিয়ে টানাটানি করলেন কেন বুঝতে পারলাম না? যাহোক, তারপরেও কথা কিন্তু সত্য! আর আমার মনে হয় প্রত্যেকটা মানুষকে এই সত্যটাকে মেনে নিয়েই জীবন অতিবাহিত করা উচিত! দুঃখ না থাকলে আমার যেমন সুখের মর্ম বুঝতাম না, ঠিক তেমনি ভাবে ভুল না করলে সঠিকটার আনন্দও আমাদের কাছে ভাল লাগতো না!


মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

৩২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০

এহসান সাবির বলেছেন: পরে পড়ব বলে আশা করছি।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সাবির ভাই! ভাল থাকবেন!

৩৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪০

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: ওয়াও!! দুর্দান্ত! :)

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ!

৩৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭

উর্বি বলেছেন: ভালো লাগল

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমার পোস্টে সম্ভাবত এটাই আপনার প্রথম মন্তব্য? অনেক ভাল লাগলো উর্বি আপু!

শুভ কামনা জানবেন!

৩৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: দিনের বেলায় পড়লাম বলে মোটেও ভয় পাই নাই। রাতের বেলায় পড়লে অল্প একটু ভয় পাবার সম্ভাবনা ছিল। গল্পটা সেরকম হরর হয় নাই অবশ্য। সামনে আপনার অন্যান্য লেখাগুলো পড়ার ইচ্ছা রইলো।
লেখালেখিতে বানান শুধু রূপে লেখা অবশ্যই জরুরী। সুতরাং সেগুলো ঠিক করতে হবে আগে।

স্ট্রাট হওয়ার সময় ইঞ্জিনের শব্দটা আমার কাছে খুব একটা সুবিধার বলে মনে হলো না। << স্টার্ট
পেছনের ছিটে একজন ভদ্রোমহিলা দুটো বাচ্চা নিয়ে বসে আছেন।< সীটে
আঙ্গুল < আঙুল -- এভাবেও লিখতে পারেন
এরকম আরো কিছু ভুল আছে বানানের।

শুভকামনা রইলো।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রথমেই আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগত আপু!
আমি অবশ্য চেষ্টা করি যতটা সম্ভব বানান সঠিক করে লিখতে! কিন্তু তারপরেও অনিচ্ছাকৃত কিছু ভুল থেকেই যায়! তবে পরবর্তিতে লেখার ব্যাপারে আরো বেশি সতর্ক থাকার চেষ্টা করবো!

বিশ্লেষন ধর্মী মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ! আপনার জন্যেও রইলো শুভ কামনা!

৩৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬

নিমগ্ন বলেছেন: লেখালেখিতে বানান শুধু রূপে লেখা অবশ্যই জরুরী। আগে সেগুলো ঠিক করতে হবে ।

স্ট্রাট হওয়ার সময় ইঞ্জিনের শব্দটা আমার কাছে খুব একটা সুবিধার বলে মনে হলো না।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: ইঞ্জিনের শব্দ সুবিধার মনে না হলে গাড়ি কি গন্তব্যে পৌঁছাবে? মাঝ পথেই না আবার ব্রেক ফেল করে?

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য! শুভেচ্ছা রইলো!

৩৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯

নিমগ্ন বলেছেন: লেখালেখিতে বানান শুধু রূপে লেখা অবশ্যই জরুরী। আগে সেগুলো ঠিক করতে হবে ।

স্ট্রাট হওয়ার সময় ইঞ্জিনের শব্দটা আমার কাছে খুব একটা সুবিধার বলে মনে হলো না। < স্টার্ট
পেছনের ছিটে একজন ভদ্রোমহিলা দুটো বাচ্চা নিয়ে বসে আছেন।< সীটে
আঙ্গুল < আঙুল -- এভাবেও লিখতে পারেন
এরকম আরো কিছু ভুল আছে বানানের।

শুধু < শুদ্ধ
ভদ্রোমহিলা < ভদ্রমহিলা
সীটে < সিটে
ভুল < ভূল

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩২

সাহসী সন্তান বলেছেন: কপি পেস্ট মন্তব্য চইলতো না? :P

৩৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫

নিমগ্ন বলেছেন: বোল্ড করেছি। কারণটা হইলো যিনি ভূলটা ধরিয়ে দিলেন উনারও বানান ভূল হৈলো। এইডা মানা যায়?

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: ও, এইবার বুঝলাম! তয় আপনার ভুল বানানটা কিন্তু ভুল আছে! আমি ১০০% শিউর?

৩৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গল্প ভালোই ছিল, যদিও কমন প্ল্যাটফর্মে লেখা। তবে লেখনী গতিশীল এবং ঝরঝরে ছিল, কোথাও থমকে যেতে হয় নাই।

অটঃ ফুটনোটে এত্ত কথা কেন? B:-/ ;)

লেখালেখি চলতে থাকুক। শুভকামনা রইল।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি!


ফুটনোটটা আমি এমনিই লিখি। ভাল লাগে সে জন্য! তাছাড়া ব্লগে তো কেবল লেখা-লেখির শুরু, সেজন্য হয়তো অনেকেই ভুল ভ্রান্তি ধরতে পারে। তাই-ই এমন ভাবে লিখি যাতে পরবর্তিতে কেউ কিছু বলতে না পারে! এছাড়া অন্য কোন কারণ নেই!


আপনার জন্যেও রইলো প্রাণঢালা অভিনন্দন!

৪০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫

আমি মাধবীলতা বলেছেন: ভয় !! ভালো লাগলো !!

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারও ভাল লাগলো! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

৪১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্প ভাল হয়েছে। চালিয়ে যান। লিখতে লিখতে আরও ভাল হবে।

পড়তে পড়তে ভয়ে তো আমার হাত পা.....

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: ঠান্ডা?

৪২| ০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

ঈশান আহম্মেদ বলেছেন: রাতে এমন একটা গল্প পড়লাম।জানি না আজকের রাতটা কেমন কাটবে।ভয় ভয় করছে ।।বাই দ্যা রাস্তা গল্পটা কিন্তু অনেক ভালো লাগলো।আপনার গল্প লেখার হাত তো ভালো!!

০৪ ঠা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ঈশান ভাই!

গল্পটা যতটা ভৌতিক মনে করছেন ততটা কিন্তু ভৌতিক নয়! আশা করি গল্পটার মাধ্যমে আপনার রাত্রের ঘুমের কোন ব্যাঘাত ঘটে নি! ;)

শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য!

৪৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ দুপুর ১:০১

জুন বলেছেন: এমন আরো অনেক গল্পের প্রতীক্ষায় সাহসী :)

০৪ ঠা মে, ২০১৬ দুপুর ১:১০

সাহসী সন্তান বলেছেন: নো গল্প! আপনাকে আমি ব্লক করে রাখবো হু! কোন কথা নেই আপনার লগে...... :(

৪৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ দুপুর ১:২৩

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: ভয় পাই নাই। তয় গল্প ভালা পাইছি। :-B

০৪ ঠা মে, ২০১৬ দুপুর ১:৩০

সাহসী সন্তান বলেছেন: হা হা হা, আসলে ভয় পাওয়ার মত ততটা থিম গল্পটার মধ্যে নেই! তবে নামকরণটা এজন্য করেছিলাম কারণ-চাক্ষুস ভাবে এমন ঘটনা নিজের সাথে ঘটলে কিছুটা শিহরণতো লাগেই!

আপনি তো ভুত, সুতরাং ভয় না পাওয়ারই কথা! ;)

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.