নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

{♥ যদি কখনো নিজেকে একা ভাবো, তাহলে ঐ দূর আকাশের অসীম সীমান্তের দিকে তাকিয়ে থাকো! কখনো নিরাশ হয়ে যেও না! হয়তো বা একটা বাজপাখিও তোমার দিকে উড়ে আসতে পারে! ♥}

সাহসী সন্তান

আমাকে তোর ভালোবাসার দরকার নেই। শুধু পাশে থেকে একটু সাহস যোগাস, দেখবি তখন ভালোবাসাটা এমনিতেই চলে আসবে!!

সাহসী সন্তান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বিজ্ঞানের এক ভয়াবহ আবিষ্কার \'পারমানবিক অস্ত্র\'; যার বিভৎসতা আজও ছড়িয়ে আছে হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে"

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪


আধুনিক বিজ্ঞানের সব আবিষ্কার যে সব সময় মানুষের কল্যানে কাজে এসেছে এমনটা নয়। বিজ্ঞান আমাদের হাতে এমনও কিছু তুলে দিয়েছে যা আমাদের নিজেদের ধংসের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কথায় বলে 'আধুনিক বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে বেগ, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আবেগ!' আজ যে বিষয়টি আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো সেটি হলো 'Atom Bomb/পারমানবিক বোমা'। পারমানবিক বোমা সম্পর্কে এর আগেও বিস্তর লেখা লেখি হয়েছে। এমনকি এই 'সাম্যহোয়্যার ইন ব্লগ'টিতেও এ সম্পর্কিত প্রচুর লেখা আছে। কিন্তু তারপরেও এই বোমা সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আমি আবারও লিখলাম কারন, অজানাকে জানার একটা প্রবল আগ্রহ আমার মধ্যে বিদ্যমান। আর যতক্ষন পর্যন্ত একটা বিষয় সম্পর্কে আমি বিস্তারিত না জানতে পারছি ততক্ষন পর্যন্ত সেটা সম্পর্কিত কৌতুহল একেবারেই কাটতে চায় না! যার ফলশ্রুতিতে আমার আজকের এই পোস্ট!

পারমানবিক বোমার ইতিকথাঃ- সর্ব প্রথমে জেনে নেওয়া দরকার যে পারমানবিক বোমাটা আসলে কি? যীশুখৃষ্টের জন্মের ৪০০ বছর আগে থেকেই এটম সম্পর্কে মানুষের ধারণা ছিলো। গ্রীক দার্শনিক 'ডেমোক্রিটাস (Democritus)' বলেছিলেনঃ- "যদি কোনো বস্তুকে ক্রমাগত বিভক্ত করা হয়, তাহলে বস্তুটি ক্রমান্বয়ে এমন এক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছবে যখন তাকে আর খন্ডিত করা যাবে না। বস্তুর এই ক্ষুদ্রতম অংশকেই গ্রীক দার্শনিকরা নাম দিয়েছিলেন পরমাণু (Atom)।"

এটি এসেছে গ্রীক শব্দ থেকে, যার বাংলা অর্থ - "অবিভেজ্য অথ্যাৎ যাকে আর ভাঙ্গা যায় না।" ডেমোক্রিটাসের মতে বিশ্বের যাবতীয় বস্তুই পরমাণু দ্বারা গঠিত আর বাকি অংশ সব শূন্য!

প্রাকৃতিক বস্তু সম্পর্কে প্রাচীন গ্রীক দার্শনিকের এই মতবাদ মানুষ প্রায় ভুলেই গিয়েছিলো। কিন্তু এর প্রায় ২,০০০ বছর পরে ১৮০৩ সালে লন্ডনের রসায়ন শাস্ত্রবিদ 'জন ডাল্টন (John Dalton)' প্রথম নতুন করে আবার এটম সম্পর্কে মতবাদ দিলেন । তিনিও বিশ্বাস করতেন- 'বিশ্বের যাবতীয় বস্তুই এটম দ্বারা গঠিত, যার কোনো ধ্বংস নেই। সে পরিবর্তিত হয় অথবা নতুন করে সৃষ্টি করে। তিনি আরো বিশ্বাস করতেন বিভিন্ন এটম দ্বারাই কোনো বস্তুর অণু গঠিত হয়।'

এরপর ১৮৯০ সালে লন্ডনের পদার্থ বিজ্ঞানী 'স্যার জোসেফ জন থমসন (Sir Joseph John Thomson)' এক পরীক্ষার দ্বারা দেখালেন যে, যদি আলোর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ তরঙ্গ প্রবাহিত করা যায় তবে তা কোনো বস্তুকে নেগেটিভ চার্জ করে। কতিপয় বিজ্ঞানী পরমাণুর এই বস্তুটির নাম দিলো 'ইলেকট্রন'। থমসন বললেন, নেগেটিভ চার্জযুক্ত ইলেকট্রন এটমের অভ্যন্তরে পজিটিভ চার্জযুক্ত অন্য কোনো বস্তুকে ঘিরে আছে।

এছাড়াও এই পারমানবিক বোমা সম্পর্কে আরও একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী সচ্ছ ধারনা লাভ করতে পেরেছিলেন। তিনি হলেন বিজ্ঞানী স্যার আলবার্ট আইনস্টাইন। বিজ্ঞানের ইতিহাসে যার নাম সারা জীবনের জন্য অবিস্মরনীয় হয়ে থাকবে। পদার্থ যে শক্তিতে রূপান্তরিত হয় তা বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের আগে কেউ ভাবতে পারেননি। ১৯০৫ খৃষ্টাব্দে তিনি মানুষের চিন্তার জগতে কয়েকটি বৈপ্লবিক ধারনার সৃষ্টি করেছিলেন। এই ধারণাগুলির মধ্যে ভর ও শক্তির বিনিময়তা ছিল অন্যতম ।

"তার সেই বিখ্যাত সমীকরণটি হল- E=mc2। এখানে E দ্বারা শক্তি, m দ্বারা ভর এবং c দ্বারা প্রতি সেকেন্ডে আলোর বেগকে বোঝান হয়েছে।"

অর্থাৎ পদার্থের ভরকে আলোর বেগের বর্গ দ্বারা গুণ করলে যে শক্তি পাওয়া যায় সেটাই হল ঐ পরিমাণ পদার্থের আবদ্ধ শক্তি। আমরা জানি যে আলোর বেগ প্রতি সেকেন্ডে ৩০ কোটি মিটার অর্থাৎ ১,৮৬০০০ মাইল । সুতরাং খুব অল্প পরিমাণ পদার্থকেও যদি ৩০ কোটির বর্গ দিয়ে গুণ করা হয় তাহলে যে বিপুল পরিমাণ শক্তি পাওয়া যাবে, সেটার হিসাব বের করা খুব একটা কঠিন ব্যাপার নয়। তখন তার মর্ম না বুঝলেও পরবর্তিতে মানুষ তার মর্ম যথাযথ ভাবে বুঝেছে। এবং পরবর্তী সময় বিজ্ঞানী 'করক্রফট এবং ওয়াগটন' তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিভাজনের উপর পরীক্ষা করে আইনস্টাইনের ভরশক্তি (E=MC2) সূত্রের সত্যতা প্রমাণ করেন।

১৯১১ সালে পদার্থ বিজ্ঞানী 'আর্নেস্ট রাদারফোর্ড (Ernest Rutherford)' এটম সম্পর্কে দিলেন তার নিজস্ব মতবাদ। রাদারফোর্ড সম্পূর্ন একক প্রচেষ্টায় পরমাণুর একটি মডেল আবিষ্কার করেন । তিনি হাতে কলমে দেখালেন যে, এটমের অভ্যন্তরে কতগুলো বস্তু কুন্ডলীকৃত হয়ে আছে। তিনি এর নাম দিলেন 'নিউক্লিয়াস'। এই ক্ষুদ্র নিউক্লিয়াসই এটমের কেন্দ্রস্থল। এর চারপাশ ঘিরে আছে ইলেকট্রন। নিউক্লিয়াসে থাকে ধনাত্মক আধান বিশিষ্ট প্রোটন, এবং চার্জ নিরপেক্ষ নিউট্রন। আর নিউক্লিয়াসের বাইরে বৃত্তাকার কক্ষ পথে থাকে ঋণাত্মক আহিত ইলেকট্রন। ইলেকট্রনগুলো সর্বদা ঘূর্ণায়মান।

পরমাণুর মোট ভরের শতকরা ৯৯.৯৭৫ অংশ অবস্থিত এই নিউক্লিয়াসে। এর গড় ঘনত্ব প্রতি ঘন সেন্টিমিটারে প্রায় ৩x১০০০০০০০০০০০০ কিলোগ্রাম। পরমাণুর উপাদান প্রোটন, নিউট্রন ও ইলেকট্রনের মোট ভরের তুলনায় পরমানুটির ভর যতটা কম তাকেই শক্তির একক কে E=mc2 প্রকাশ করলে আমরা পরমাণুর সংযোগী শক্তির সন্ধান পাই ।

১৯১৩ সালে বিজ্ঞানী 'নীলস বোর (Neils Bohr)' এটমের নিউক্লিয়াসের সঠিক কাঠামো নির্দেশ করেন। তিনি ব্যাখ্যা করে দেখান কেমন করে এটম আলোর প্রকৃতিতে শক্তির সৃষ্টি করে।

১৯৩৮ সালে জার্মানীর 'অটোহান এবং স্ট্র্যাসম্যান' নামে দুইজন রসায়নবিদ 'ইউরিনিয়াম-২৩৫' মৌলের পরমাণু ভাঙ্গতে সফল হন। এবং এর ফলে হঠাৎ করে সারা বিশ্বে হৈচৈ পড়ে যায়। ২৭ ডিসেম্বর ১৯৩৮ সালের এক অধিবেশনে বোর পরমাণুর ভাঙ্গন ও তার ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীদের কাছে ঘোষণা করলেন । বোরের ভাষণ শেষ হওয়ার আগেই শ্রোতাদের মধ্য থেকে বেশ কয়েকজন দ্রুত সভাকক্ষ ত্যাগ করে টেলিফোনে ব্যাপারটা স্ব স্ব গবেষণাগারে জানিয়ে দিলেন। কয়েকদিনের মধ্যেই ওয়াশিংটনের কারনেজ ইনস্টিটউশন এবং কলম্বিয়া বিম্ববিদ্যায়ের বিজ্ঞানীরা হান-স্ট্র্যাসম্যানের আবিষ্কারকে স্বীকৃতি জানালেন। কারণ পারমাণবিক বোমা নির্মাণের মূল চাবিকাঠি নিহিত ছিল এই আবিষ্কারটিতেই।

নির্ধারিত কোন কোন ভারী পরমাণুর একের পর এক পর্যায়ক্রমিক বিভাজন প্রক্রিয়াকে সমপ্রতিক্রিয়াধারা বলা হয়।

সহজে বিদারণীয় মৌল দ্বারা বন্দীকৃত এই নিউট্রিন পরবর্তী পর্যায়ের বিভাজন ঘটায় এবং এ ভাবেই ধারাটা চলতে থাকে। পারমাণবিক বোমায় এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়। পারমাণবিক শক্তি বা অস্ত্র উৎপাদনের জন্য দরকার এমন একটি প্রক্রিয়ার সূচনা করা যাকে বলা হয় সমপ্রতিক্রিয়াধারা। ইউরিনিয়াম নিউক্লিয়াস মোটামুটি সমান দু’ভাগে বিভক্ত হলে যদি সেই সাথে এক বা একাধিক নিউট্রন নির্গত হয় তাহলেই শুধু সমপ্রতিক্রিয়াধারা ঘটানো সম্ভব।

১৯৩৯ খ্রীষ্টাব্দে 'জোলিয়ো কুরি' ও তার সহযোগিরা দেখালেন যে ইউরিনিয়াম নিউক্লিয়াস ভাঙ্গলে নিউট্রন বের হয়ে আসে। ইহাছাড়াও ঐ একই সালে আরও অনেক বিজ্ঞানী ইউরেনিয়ামের এটমকে ভাংতে সক্ষম হন। তারা দেখলেন যে, ইউরেনিয়ামের এটম ভাংলে প্রচন্ড শক্তির সৃষ্টি করে। এই শক্তিকে সামরিক কাজে ব্যবহার করা যায় কিনা বিজ্ঞানীরা তারও সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করে দেখতে লাগলেন।

ঠিক সেই সময়েই বেজে উঠল দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের দামামা। এই যদ্ধের ভয়াবহতা যখন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে লাগল তখন ১৯৩০ সালে ইউরোপ থেকে পালিয়ে আশা তিন বিজ্ঞানী লিও শিলার্ড, এডওয়ার্ড টেলার, এবং ইউজিন একটা নতুন ফন্দি আবিষ্কার করলেন। তারা ইউরোপকে চরম শিক্ষা দিতে চাইলেন। তারা সব সময় চাইতেন যে, পারমানবিক বোমা তৈরিতে আমেরিকান প্রশাসন উদ্যোগ নেওয়া শুরু করুক। কিন্তু তাদের মধ্যে কারোরই তেমন রাজনৈতিক প্রভাব ভাল ছিল না। সুতরাং তারা বাধ্য হয়ে বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের শরণাপন্ন হলেন। এবং তাদের অনুরোধেই আইনস্টাইন ১৯৩৯ সালের ২রা আগষ্ট মার্কিন পেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট'কে একটি চিঠি লিখলেন। উক্ত চিঠিটি 'আলেক্সান্ডার স্যাকস' এর হাত ঘুরে প্রেসিডেন্টের হাতে পৌঁছালো প্রায় দুই মাস পর ১১ই অক্টোবর ১৯৩৯ সালে। যে চিঠিতে তিনি ইউরেনিয়াম-২৩৫ সমৃদ্ধকরনে জার্মানীর নাৎসী বাহিনীর অগ্রগতি সম্পর্কে প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করে দেন এবং তাকে পারমানবিক বোমা তৈরির উদ্যোগ নিতে বলেন। চিঠির প্রতি উত্তরে প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট সেনা ও নৌবাহিনীর সমন্বয়ে ইউরেনিয়াম গবেষনার জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত জানান পদার্থ বিজ্ঞানীকে।

কিন্তু শুধু আমরিকা নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালিন সময়ে যুদ্ধরত সমস্ত দেশই পারমানবিক বোমার দিকে এগুচ্ছিল। একদিকে যুদ্ধের ব্যয় মিটাতে বৃটেনের তখন অত্যন্ত করুন অবস্থা। জার্মানী ইউরেনিয়াম ফিসন গবেষনার কাজে এগিয়ে থাকলেও যুদ্ধকালিন সময়ে এদিকে নজর দেওয়ার সময় তার একেবারেই ছিলনা। রাশিয়াও ততদিনে পারমানবিক বোমার মূল সূত্র ভাল ভাবে আয়ত্ব করতে পারেনি। যুদ্ধের কারনে জাপানে তখন ঘাটতি চলছে। তাদেরও পারমানবিক গবেষনার মত টাকা নেই। ঠিক সেই সুযোগে অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিগ্রস্থ দেশ যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে গেল পারমানবিক বোমা আবিষ্কারের দিকে। এবং অবশেষে ১৯৪০ সালে আণবিক শক্তিকে সামরিক কাজে ব্যবহার করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার অনেক বড় অংকের বাজেট বরাদ্দ করলেন। গবেষণার ফল ভালোই হলো। ১৯৪২ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকার পারমাণবিক বোমা তৈরীর সরকারী অনুমোদন দান করলেন। এ বছরেরই ২রা ডিসেম্বর তারিখে বিজ্ঞানী 'ফার্মী (Fermi)' এবং তার সহকর্মীরা ইউরেনিয়াম থেকে প্লুটোনিয়াম গঠনে সক্ষম হন এবং ইউরেনিয়াম-২৩৮ থেকে ইউরেনিয়াম-২৩৫ কে আলাদা করতে সক্ষম হলেন। ১৯৩৯ সাল থেকে শুরুকরে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত বছরে ২০০ কোটি ডলারেরও বেশি খরচ করে প্রথম সাফল্যজনক ভাবে যে প্রকল্প 'পারমানবিক বোমা' তৈরি করতে পারলো, তার নাম ছিল "ম্যানহাট্রন প্রজেক্ট"। আর এর প্রধান ছিলেন পারমানবিক বোমা তৈরির জনক হিসাবে পরিচিত বিজ্ঞানী 'রবার্ট ওপেনহেইমার'

ম্যান হাট্রন প্রজেক্টে কর্মরত উল্লেখ যোগ্য বিজ্ঞানীরা হলেন- "রবার্ট ওপেনহেইমার, ডেভিড বম, লিউ শিলার্ড, ইউজিন উইগনার, অটো ফ্রিশ, রুডলফ পিয়ারলস, ফেলিক্স ব্লক, নেইল বোর, এমিলিও সেগর, জেমস ফ্রাঙ্ক, এরিকো ফারমি, ক্লাউস ফুক্স এবং এডওয়ার্ড টেলার প্রমুখ।

অবশেষে তৈরি হলো সেই বিধ্বংসী বোমাঃ- পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য যে পদার্থটি ব্যবহৃত হয় তার নাম ইউরেনিয়াম (Uranium). বিজ্ঞানীরা সংক্ষেপে পদার্থটির নাম বোঝানোর জন্য শুধু এর প্রথম অক্ষরটি (U) ব্যবহার করেন। ইউরেনিয়াম অত্যন্ত ভারী তেজস্ক্রিয় পদার্থ। ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগে এ পদার্থের পরিমাণ শতকরা ০.০০৪% ভাগ। ভূ-ত্বকের ৬.৪০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত এর মজুদের পরিমাণ প্রায় ১৩,০০,০০,০০,০০,০০,০০০ টন। আফ্রিকার বলিভিয়ান কঙ্গোতে এবং কানাডার গ্রেট বিয়ার হৃদ এলাকায় এর আকরিক পাওয়া গেছে। এছাড়াও অ্যারিজোনা, ক্যালিফোর্নিয়া, কলোরাডোতেও অল্পবিস্তর ইউরেনিয়ামের আকরিকের সন্ধান পাওয়া গেছে। আকরিক থেকে শোধন করে ইউরেনিয়াম আইসোটোপ পাওয়া যায়। যেমন-ইউরেনিয়াম-২৩৮, যার পারমাণবিক ওজন ২৩৮ অর্থাৎ এর নিউক্লিয়াসে আছে ৯২টি প্রোটন এবং ১৪৬টি নিউট্রন। প্রকৃতিতে এধরনের আইসোটোপই বেশিমাত্রায় পাওয়া যায়। এক হিসাবে দেখা গেছে শতকরা ৯৯.৩% ভাগই এ জাতীয় ইউরেনিয়াম। দ্বিতীয় আইসোটোপটির নাম ইউরেনিয়াম-২৩৫ অর্থাৎ এর নিউক্লিয়াসে আছে ৯২টি প্রোটন এবং ১৪৩টি নিউট্রন। প্রকৃতিতে এদের পরিমাণ শতকরা মাত্র ০.৭% ভাগ। তৃতীয় প্রকারের আইসোটোপের পরিমাণ একেবারেই নগণ্য, যা প্রায় হিসেবের মধ্যেই ধরা হয় না।

পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয় ইউরেনিয়াম-২৩৫। ইউরেনিয়াম-২৩৮ কে নিউট্রন কণা দ্বারা আঘাত করলে নিউট্রন এর নিউক্লিয়াসে ঢুকে পড়ে এবং সামান্য সময়ের জন্য এর পারমাণবিক ওজন দাঁড়ায়-২৩৯। ইউরেনিয়াম পরমাণুটি সাথে সাথে দুটো নিউক্লিয়ার ইলেকট্রন অর্থাৎ দুটি বীটা রশ্মি ত্যাগ করে প্লুটোনিয়াম পরমাণুতে পরিণত হয়। প্লুটোনিয়ামের পারমাণবিক ওজন হয়-২৩৯। কিন্তু ইউরেনিয়াম-২৩৫ এর বেলায় প্লুটোনিয়াম হয় না। বিজ্ঞানী অটোহ্যান ইউরেনিয়াম-২৩৫ এর উপর শক্তিশালী নিউট্রন নিক্ষিপ্ত করে ভিন্ন ব্যাপার অবলোকন করেন।

আসলে বিজ্ঞানী অটোহ্যানের এই পরীক্ষার ফলাফলই হলো পারমাণবিক বোমা তৈরির মূল তত্ত্ব। ইউরেনিয়াম-২৩৫ এর উপর নিউট্রন দ্বারা আঘাত করলে ইউরেনিয়াম পরমাণুটি দুটো পৃথক অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তার মানে ইউরেনিয়াম ধ্বংস হয়ে নতুন মৌলিক পদার্থের সৃষ্টি করে। এই নতুন পদার্থের একটির নাম বেরিয়াম পরমাণু এবং অপরটি ক্রিপটন পরমাণু। বেরিয়াম এবং ক্রিপটন পরমাণু সৃষ্টি হবার সাথে সাথে তিনটি নতুন নিউট্রন কণা এবং বিপুল পরিমাণ শক্তির সৃষ্টি করে। সৃষ্ট এই তিনটি নিউট্রন পরমাণু অন্য তিনটি অক্ষত ইউরেনিয়াম পরমাণুকে আঘাত করে এবং একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটে। ইউরেনিয়াম পরমাণুর খন্ডিত হওয়ার এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় 'বিভাজন বিক্রিয়া বা ফিউশন বিক্রিয়া'

পরমাণু বিভাজন হওয়ায় যে নতুন নিউট্রন কণার জন্ম দেয় তা আবার অন্য পরমাণুকে আঘাত করে। এভাবেই বিক্রিয়াটি চলতে থাকে ধারাবাহিক ভাবে। যাকে বলা হয় Chain Reaction. কিন্তু শক্তির সৃষ্টি হয় কেমন করে ওটাই হলো আসল কথা। যেহেতু ইউরেনিয়াম একটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ সেজন্য সে স্বতঃস্ফুর্তভাবে রশ্মি বিকিরণ করে এবং স্থায়িত্ব আনার চেষ্টা করে। কিন্তু এর স্থায়িত্ব কম বলে এর নিউক্লিয়াস অন্য পরমাণুর নিউক্লিয়াসের তুলনায় সহজে ভেঙ্গে যায়। বিভাজন প্রক্রিয়াটি ঘটে যাওয়ার পর ইউরেনিয়াম পরমাণুর অস্তিত্ব লোপ পেয়ে যায় এবং সাথে সাথে কিছু পদার্থের ক্ষয় হয়। তার মানে দুটো নতুন পদার্থ বেরিয়াম এবং এবং ক্রিপটন তৈরি হয়। তাদের মোট ওজন ইউরেনিয়ামের মোট ওজনের চেয়ে কিছু কম হয়।

পারমানবিক অস্ত্র উৎপাদনের মূল প্রতিবন্ধকতা হল, প্রকৃতিতে প্রাপ্ত মৌলের সল্পতা। প্রকৃতিতে ঠিক যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম মজুদ আছে তার ৯৯.২৯% শতাংশ হল ইউরেনিয়াম-২৩৮ আইসোটোপ, যা দিয়ে কোন মতে পারমানবিক অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব নয়। কারন ইউরেনিয়াম-২৩৮ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে নিউট্রন কণিকা নির্গমন করে ভেঙে যায়। তাই বাকি মাত্র ০.৭৯% শতাংশ প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত ইউরেনিয়ামকে পৃথক করতেই মূল বাজেটের প্রায় ৯০% শতাংশ খরচ হয়ে যায়। এই পৃথকীকরনের কাজে যে যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয় তার নাম 'সেন্ট্রিফিউজ'। আবার এই যন্ত্র দিয়ে ইউরেনিয়াম-২৩৮ কে প্লুটোনিয়াম-২৩৯ আইসোটোপে পরিনত করা সম্ভব যা ফিসাইল যোগ্য। ২০% বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম-২৩৫ আইসোটোপকে বলা হয় হাইলি এনরিচড বা (HEU) এবং ৮০% বা তার অধিক বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম-২৩৫ কে বলা হয় উইপন্স গ্রেডেড ইউরেনিয়াম।

এখন প্রশ্ন থেকে যায় যে, একটি পারমানবিক বোমা বানাতে কতটুকু ইউরেনিয়াম বা প্লুটোনিয়াম লাগবে? প্রতিটি পারমানবিক অস্ত্র তৈরিতে সর্বনিম্ন যে পরিমান ফিসাইল পদার্থের প্রয়োজন হয়, তাকে 'সংকট ভর বা ক্রিটিক্যাল মাস' বলা হয়। অথ্যাৎ এর কম পরিমান ফিসাইল পদার্থ থাকলে একটি স্থিতিশীল নিউক্লিয়ার চেইন বিক্রিয়া শুরু হয় না। এই সংকট ভর ফিসাইল পদার্থের ঘনত্ব, আকৃতি, বিশুদ্ধতা এবং পদার্থটিকে ঢেকে রাখার জন্য যে বহিরাবনের ধাতব আবরন বা শেল ব্যবহার করা হয় তার উপর নির্ভর করে। এখানে বলে রাখা ভাল যে, ফিসাইল পদার্থ তেজস্ক্রিয় বলে তারা সর্বদা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে নিউট্রন কনিকা নিঃস্বরন করে। সংকট ভরের চেয়ে কম পরিমান ফিসাইল পদার্থকে 'সাব ক্রিটিক্যাল মাস বা অসংকট ভর' এবং সংকট ভরের চেয়েও বেশি পরিমান ফিসাইল পাদার্থকে 'সুপার ক্রিটিক্যাল মাস বা অতি সংকট ভর' বলে। একটি বিশুদ্ধ ইউরেনিয়ামের সংকট ভর ৫৬ কিলোগ্রাম এবং যা প্লুটোনিয়ামের ক্ষেত্রে অনেক কম, মাত্র ১০ কিলোগ্রাম। অথ্যাৎ একটি পারমানবিক বোমা তৈরি করতে কমপক্ষে ৫৬ কিলোগ্রাম ইউরেনিয়াম অথবা ১০ কিলোগ্রাম প্লুটোনিয়াম লাগবে। এখন অবশ্য মাত্র ০৫ কিলোগ্রাম প্লুটোনিয়াম দিয়ে স্যুটকেস আকারের পারমানবিক বোমা প্রস্তুত করা সম্ভব হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো, প্লুটোনিয়ামের বিশুদ্ধতা অত্যন্ত বেশি হতে হবে।

ম্যানহাট্রন প্রজেক্টের বিস্তারিত বর্ননাঃ- "ম্যানহাট্রন প্রজেক্ট" আগেই প্রতিষ্টা লাভ করলেও মূলত এটি পূর্নাঙ্গ ভাবে কাজ শুরু করে 'লেসলি রিচার্ড গ্রোভের নেতৃত্বে ১৯৪২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে'। গ্রোভস ছিলেন সত্যিই একজন দক্ষ সংগঠক। তিনি অল্প দিনের মধ্যেই পারমানবিক বোমা তৈরির জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে ইউরেনিয়াম জোগাড় করে ফেললেন। আর এই পারমানবিক বোমা তৈরির ফ্যাক্টরি স্থাপনের জন্য নিয়োগ করলেন শিল্প কোম্পানী 'ডুপোন্ট এবং কেলগ কর্পোরেশনকে'। নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের লস আলামস এ অস্ত্র পদার্থ বিজ্ঞান নকশা এবং গবেষনার জন্য স্থাপিত হলো প্রকল্প ওয়াই (Y) । এবং ডঃ রবার্ট ওপেন হেইমারকে এর প্রধান হিসাবে নিযুক্ত করলেন যিনি ছিলেন ক্যালির্ফোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পদার্থ বিদ্যার অধ্যাপক। বিশিষ্ট পরমানু গবেষক ফার্মি তার নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর সিপি-১ এর মাধ্যমে ইউরেনিয়াম এবং গ্রাফাইট ব্যবহার করে ১৯৪২ সালের ০২রা ডিসেম্বর প্রথম উৎপাদন করলেন পারমানবিক শক্তি। জানুয়ারী ১৯৪৩ সালে গ্রোভস ওয়াশিংটনে প্রতিষ্টা করলেন প্লুটোনিয়াম গবেষনা এবং উৎপাদন কারখানা। এবং একই সালের মার্চ মাসে পূর্নউদ্দ্যোমে কাজ শুরু করা হলো লস আলমাসে। সাথে সাথে ঐ সময়েই যুদ্ধক্ষেত্রে পারমানবিক বোমা ব্যবহারের জন্য বিমানের প্রস্তুতি, বৈমানিকদের প্রশিক্ষন এবং বিমান ক্ষেত্র প্রস্তুতের জন্য গ্রহণ করা হলো অপর এক প্রকল্প যার নাম "প্রোজেক্ট আলবার্টা"

১৯৪৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ম্যানহাট্রন প্রজেক্টকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসাবে (AA-1) হিসাবে চিহ্নিত করা হলো। লেসলী গ্রোভ পারমানবিক বোমার প্রথম পরীক্ষার দিন নির্ধারন করলেন ১৯৪৫ সালের বসন্তের মাঝা-মাঝি সময়ে। এবং এই পরীক্ষার জন্য '১৭ টি বি-২৯' বোমারু বিমানকে পরমানু বোমা ফেলার অত্যন্ত উপযোগী করে গড়ে তোলা শুরু হলো।

প্রথম পারমাণবিক বোমা বিষ্ফোরণঃ- অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পরে অবশেষে ১৯৪৫ সালে পারমানবিক বোমার পরীক্ষামূলক পর্বপ্রস্তুতি চুড়ান্ত ভাবে শেষ হল। এখন প্রয়োজন শুধু সরেজমিনে পরীক্ষা। লস আলামাস থেকে ১২০ মাইল দূরে অবস্থিত আলামগোরজে বিমান বেসকে এই পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত স্থান হিসাবে চিহ্নিত করলেন জেনারেল গ্রোভস। যদিও নিরাপত্তার কারনে এই স্থানটি ছিল যথেষ্ট দূরবর্তি এবং বিচ্ছিন্ন, তথাপি মানুষের বিভ্রান্তির জন্য একটি বানোয়াট কাহিনী প্রচার করা হলো যে, এই বিমান বেস এ সংরক্ষিত সব জিনিসপত্র এক অপ্রত্যাশীত ভাবে বিষ্ফোরন ঘটে নষ্ট হয়ে গেছে।

প্রথম পারমানবিক বোমার জন্য প্রয়োজনীয় প্লুটোনিয়াম জুলাই মাসের প্রথমেই লস আলামাসে পৌছে ছিল। ১২ই জুলাই দুপুরে মহামূল্যবান এই বস্তুটিকে আলামগোরজোতে স্থানান্তর করা হল। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অপারমাণবিক অংশ সমূহ কে বহন করে এক সারি গাড়ির মিছিল গন্তব্য স্থানের দিকে রওয়ানা হলো। গন্তব্য স্থানটি হলো সেই জনমানব শূন্য মরু অঞ্চল Jornada del Muerto (The Journey of Death)। যেখানে এই বিষ্ফোরনের উদ্দেশ্যে ১০০ ফুট উচু একটি ধাতব টাওয়ার নির্মান করা হয়েছিল। ঐ স্থানটির সাংকেতিক নাম দেওয়া হলো ট্রিনিটি এবং যে পারমানবিক বোমাটি পরীক্ষার জন্য নির্ধারন করা হয়েছিল তার নাম ছিল গেজেট। সন্ধার মধ্যেই সব কিছুর প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হল, বাকি রইল শুধু বিস্ফোরক সলতেটি ঢোকানো।

পরের দিন সকালে বোমাটিকে টাওয়ারের উপর একটি প্ল্যাটফর্মে উত্তোলন করা হল । বিকাল ৫টার মধ্যে সব প্রস্ততি সমাপ্ত হল। পরীক্ষার সময় নির্ধারিত হল ১৬ জুলাই সূর্যোদয়ের সাড়ে চার ঘন্টা পূর্বে অর্থাৎ রাত আড়াইটার সময়। ১৫ জুলাই মধ্য রাত্রির কিছু পূর্বে এই সময় পরিবর্তন করা হয়। রাত তিনটার সময় গ্রোভস এবং ওপেনহাইমার লক্ষ্য করলেন যে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। যার কারণে সময় আবারও পিছিয়ে দিলেন। সময় চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হল সকাল সাড়ে পাঁচটা অর্থাৎ সূর্যোদয়ের এক ঘন্টা আগে। যে পাঁচজন লোক টাওয়ারে বসে শেষ মুহূর্তের কাজগুলি সমাধা করছিলেন তাদেরকে সকাল পাঁচটায় স্থান ত্যাগ করার জন্য আদেশ দেওয়া হল। প্রত্যেকেই তারা নেমে এসে নিজ নিজ গাড়িতে চড়ে বিপজ্জনক এলাকা ত্যাগ করলেন।

টাওয়ার এবং তার উপরে অবস্থিত বস্তুটি আলোকিত করার জন্য বিরাট ফ্লাডলাইট জ্বালানো হল । টাওয়ার থেকে মাত্র সতের হাজার গজ দূরে অবস্থিত মূল শিবির । জেনারেল গ্রোভস এই শিবিরে ফিরে আসার দশ মিনিট পর চূড়ান্ত গণনা শূরু হল । সময়ের ব্যবধান যতই কমতে লাগল মিনিট থেকে এসে সেকেন্ডে ঠেকল, আশঙ্কা-উদ্বেগের পরিমাণ সেই তালে লাফিয়ে লাফিয়ে দ্রুত লয়ে বাড়তে লাগল । নিমিষের মধ্যে যা ঘটতে যাচ্ছে তার প্রলঙ্করের সম্ভাবনা সম্বন্ধে এই শিবিরের সকলেই সচেতন ছিলেন । বিজ্ঞানীরা অনুভব করছিলেন যে তাঁদের হিসাব নিকাস সঠিক। সুতরাং বোমাটির বিস্ফোরণ একদমই অবধারিত । কিন্তু একই সাথে প্রত্যেকের মনের গহনে বেশ জোরালো সন্দেহও লুকিয়ে ছিল ।

রেডিওতে গণনা যখন ১০, ৯, ৮, ৭, ৬, ৫-এ ভাবে শূণ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তখন একটি খুঁটিতে ভর করে বিজ্ঞানী গ্রোভস কাঠের মত নিশ্চপ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। নিস্তব্ধ ঘরটিতে 'এখন' শব্দটি উচ্চারিত হওয়ার সাথে সাথেই কয়েকটি মধ্যাহ্ন সূর্যের আলোর সমান দ্বীপ্তিতে বিদ্যুৎ চমকের মত উদ্ভাসিত হয়ে উঠলো গোটা মরুভুমি, প্রায় দু’শ মাইল পর্যন্ত দেখা গেল জলন্ত বহ্নিশিখার আলো। এটার রঙ সোনালী, রক্তবর্ণ, বেগুনী, ধুসর এবং নীল। এই আলো নিকটবর্তী পর্বতমালার প্রতিটি শৃঙ্গ, শৈলশিরা এবং তুষারস্তুপের ফাটলকে এমন সুস্পষ্ট ও সুষমার সাথে প্রদীপ্ত করেছিল যা অবর্ণনীয়।

সেই বিস্ফোরনের আলো এতটাই উজ্জল ছিল যে দূর দূরান্তের মানুষ ভাবল আজ সূয্য দুই বার উঠল নাকি? মূহুর্ত্বের মধ্যে কমলা রংয়ের আলোর কুন্ডলির মেঘ সেকেন্ডে ৩৬০ ফুট থেকে উঠে গেল ৩০০০০ ফুট উচুতে। প্রত্যক্ষ দর্শনেই যা শুধু কল্পনীয় । মহান কবিরা যে সৌন্দর্যের শুধু স্বপ্ন দেখেছিলেন, এ সেই সৌন্দর্য! কিন্তু তাদের বর্ণনায় এ সৌন্দর্যের রুপ ধরা পড়ে নি। পৃথিবীর এই প্রথম পারমাণবিক বিষ্ফোরণ প্রত্যক্ষ করতে যে সব বিজ্ঞানীরা উপস্থিত ছিলেন তাদের সবারই মোটামুটি একই ধরণের প্রতিক্রিয়া হয়েছিল । ওপেনহাইমার স্মৃতিচারণ করেছেন, "উপস্থিত ব্যক্তিদের কেউ কেউ হেসেছিলেন, কয়েকজন কেঁদে ফেলেছিলেন, তবে বেশীরভাগই ছিলেন স্তব্ধ ।"

পরবর্তী কয়েক ঘন্টায় সংগৃহীত উপাত্ত থেকে জানা গেল, যে রকমটি আশা করা হয়েছিল তার চেয়ে অনেক বেশী জোড়ালো হয়েছে বিষ্ফোরণ । গ্রোভস সমরমন্ত্রী স্টিমসনকে জানালেন যে ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টন টি. এন. টি –র সমতুল্য বিষ্ফোরণ ঘটেছে । সবাই আশ্চার্য হয়ে দেখল, যে ইস্পাতের টাওয়ারটির সাথে বোমাটি বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সেটি প্রচন্ড উত্তাপে বাষ্পীভূত হয়ে গেছে ।

বিস্ফোরনের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করে বিজ্ঞানী ইসিডর রাবি প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করলেন এভাবে যে, 'প্রকৃতির সমস্থ নিয়ম আজ উল্টে গেল, মানুষ আজ থেকে পৃথিবী ধংসের বিধাতা হল'।

পারমানবিক বোমার বাস্তব প্রয়োগঃ- এরপর বিশ্বের প্রথম আণবিক বোমার বাস্তব প্রয়োগ হয় ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট তারিখে জাপানের হিরোসিমা শহরে বোমা নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে। হিরোসিমাতে যে পারমাণবিক বোমাটি নিক্ষেপ করা হয়েছিলো তার ধ্বংস ক্ষমতা ছিলো ১৩,০০০ শর্ট টন (১১,৮০০ মেট্রিক টন) টিএনটি। বোমাটির নিজের ওজন ছিলো ৯,০০০ পাউন্ড (৪,১০০ কেজি)। এতে এক মূহুত্বেই প্রাণহানি ঘটেছিলো ৭৫ হাজার লোকের। এবং ডিসেম্বরে এর মোট মৃতের সংখ্যা দাড়ায় প্রায় ১ লক্ষ ৬৬ হাজার। এর একটি সৌখিন নামও ছিলো 'ক্ষুদে বালক' (Little Boy).

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ননা মতে, ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট রাত ভোর হওয়ার আগেই ২টা ৪৫ মিনিটে 'এনোলা গে' নামের একটি বি-৫৯ বোমারু বিমান মেরিয়ানার টিনিয়ান দ্বীপ থেকে জাপান অভিমুখে রওনা দেয়। বিমানটির বিশেষভাবে নির্মিত বোমার খাঁচায় ছিল 'লিটল বয়' সাংকেতিক নামের ৯ ফুট লম্বা, ২ ফুট ব্যাসের ও ৯ হাজার পাউন্ড ওজনের একটি আণবিক বোমা। স্থানীয় সময় ৮টা ১৬ মিনিটে হিরোশিমার মাটি থেকে প্রায় ২ হাজার ফুট উপরে থাকা অবস্থায় বোমাটি বিস্ফোরিত করা হয়। বোমাটি ছিল পরিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম-২৩৫ দ্বারা তৈরি। ইউরেনিয়ামের প্রধান একটি বড় খণ্ড থেকে কয়েক ফুট দূরে বোমার অপর মাথায়, তার আরেকটি ছোট অংশ রাখা ছিল।

ছোট অংশটিকে ট্রিগারের সাহায্যে বড় অংশে প্রবেশ করানো মাত্র ইউরেনিয়ামের 'ক্রিটিক্যাল ম্যাস' অতিক্রম করায় সেখানে ১৪০ পাউন্ড ইউরেনিয়ামে পারমাণবিক ফিশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। ০.০২১ আউন্স ইউরেনিয়ামের ম্যাস মুহূর্তের মধ্যে গতি, তাপ, আলো প্রভৃতি ধরনের শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে অভাবনীয় এক বিস্ফোরণের জন্ম দেয়। বিস্ফোরণের শক্তি ছিল ১৫ হাজার টন টিএনটি-র সমান। বিশাল ব্যাঙের ছাতার মতো কুণ্ডলি হিরোশিমার আকাশকে ছেয়ে ফেলে। মুহূর্তের মধ্যে শহরের ৯০ শতাংশ মাটির সাথে মিশে যায়। নিমেষেই মৃত্যু হয় ৭৫ হাজার মানুষের। ডিসেম্বরের মধ্যে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ৬৬ হাজার।

এরই মাত্র তিনদিন পরে নিক্ষেপ করা হয়েছিলো দ্বিতীয় বোমাটি। ১৯৪৫ সালের ৯ আগস্ট তারিখে জাপানের নাগাসাকি শহরে ফেলা হয়েছিলো দ্বিতীয় বোমাটি। 'বকস্কার' নামের অপর একটি আমেরিকান বি-২৯ বোমারু বিমান দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানের কাইউসু দ্বীপের কোকুরা অভিমুখে উড়ে আসে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সে তার গতিপথ পরিবর্তন করে নাগাসাকি শহরের দিকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। সে বহন করেছিল 'ফ্যাট ম্যান' সাংকেতিক নামের আণবিক বোমা। এই বোমার 'কোর'টিতে ছিল তেজস্ক্রিয় প্লুটোনিয়াম।

সেটির চতুর্দিক ছিল তার দিয়ে সংযুক্ত শক্তিশালী বিস্ফোরক পদার্থ। এসব বিস্ফোরক একসাথে বিস্ফোরিত হওয়ার সাথে সাথে 'কোরের' প্লুটোনিয়ামে পারমাণবিক ফিশন-এর চেইন রি-এ্যাকশন শুরু হয়ে যায় এবং বৃহত্তর আণবিক বিস্ফোরণটি ঘটে। সেই বিস্ফোরণের মাত্রা দাঁড়ায় ২২ হাজার টন টিএনটির বিস্ফোরণ- শক্তির সমান। লম্বায় ১২ ফুট ও ব্যাসে ৫ ফুট আয়তনের 'ফ্যাট ম্যান' বোমাটিকে স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ০২ মিনিটে বিস্ফোরিত করা হয়। ০.০৩৫ আউন্স প্লুটোনিয়াম ম্যাস বিভিন্ন ধরনের শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

হিরোশিমার বোমার চেয়ে শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও নাগাসাকির ভৌগোলিক কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে হতাহতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম ছিল। কিন্তু তার পরেও এতে লোক নিহত হয়েছিলো ৪০,০০০ জন। এবং গুরুতর আহত হয় আরও প্রায় ৭৫,০০০ হাজার মানুষ। বোমাটির ওজন ছিলো ১০,০০০ পাউন্ড (৪,৫০০ কেজি)। হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে নিক্ষিপ্ত দুটি বোমার আঘাতে নিমেষেই প্রায় লক্ষাধিকেরও বেশি মানুষের প্রানহানী ঘটেছিল। আহত হয়েছিল আরও প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ। যাদের অনেকেই পরবর্তিতে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিল। এবং অচিরেই এই মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাড়ায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার।

হিরোশিমা-নাগাসাকির বীভৎসতার কথা বিশ্ববাসী প্রথম জানতে পারে চার সপ্তাহ পরে। আমেরিকা একথা অনেকদিন গোপন রাখে যে, এটি একটি তেজস্ক্রিয় এটম বোমা ছিল। ফলে আণবিক তেজস্ক্রিয়তা থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করার সুযোগ থেকে মৃত্যুপথযাত্রীদের বঞ্চিত করা হয়েছিল। ফলে ডাক্তাররাও সঠিক ধারায় চিকিৎসা করতে পারেনি। শুধু এ কারণেই মৃতের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। বোমার আঘাত ছিল বীভৎস, কিন্তু তার চেয়ে ভয়ঙ্কর ছিল আমেরিকান 'নীরবতার' ফলাফল।

অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিক উইলফ্রেড গ্রাহাম বুর্চেট এটম বোমা নিক্ষেপের এই ঘটনার চার সপ্তাহ পর ২ সেপ্টেম্বর টোকিও থেকে হিরোশিমা পৌঁছান। পরে তিনি তার চোখে দেখা বিবরণ পত্রিকার জন্য নিউজ ডেসপ্যাচ আকারে প্রেরণ করেন। সেই ডেসপ্যাচে বুর্চেট লিখেন, 'তিরিশতম দিনে হিরোশিমায় : যারা পালাতে পেরেছিলেন তারা মরতে শুরু করেছেন। চিকিৎসকরাও কাজ করতে করতে মারা যাচ্ছেন। বিষাক্ত গ্যাসের ভয়। মুখোশ পরে আছেন সকলেই।'

তিনি আরো লিখেন, 'হিরোশিমাকে বোমা বিধ্বস্ত শহর বলে মনে হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, দৈত্যাকৃতির একটি রোলার যেন শহরটিকে পিষে দিয়ে গেছে। পঁচিশ বা তিরিশ বর্গমাইল জুড়ে একটিও অট্টালিকা দাঁড়িয়ে নেই।'

তার ডেসপ্যাচে বুর্চেট আরো লিখেন, 'বোমায় অক্ষত থাকা মানুষগুলো দিন কয়েক পরে অসুস্থবোধ করতে শুরু করে ও হাসপাতালে যেতে থাকে। চিকিৎসকরা তাদের শরীরে ভিটামিন-এ ইনজেকশন দেয়। দেখা যায় যে, ইনজেকশনের জায়গায় মাংস পঁচতে শুরু করেছে। এমন মানুষদের একজনও বাঁচেনি।'

৫ সেপ্টেম্বর বুর্চেটের ডেসপ্যাচটি 'ডেইলি এক্সপ্রেস' পত্রিকায় ছাপা হয়। সাহসী সাংবাদিক বুর্চেট নিজেই তেজস্ক্রিয় বিকিরণে আক্রান্ত হয়ে ১৯৮৩ সালে ক্যান্সারে মারা যান। সে বছরই তার লেখা 'শ্যাডো অফ হিরোশিমা' বইটি প্রকাশিত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণের শেষ নেই। টার্গেটের কেন্দ্রে তাপমাত্রা বেড়ে কয়েক হাজার সেলসিয়াসে দাঁড়ায়। মানব দেহসহ সবকিছু মুহূর্তে সম্পূর্ণ 'নাই' হয়ে যায়। ভূ-পৃষ্ঠের পাথরে বা কংক্রিটে কেবল মানব-মানবীর দেহ অবয়বের একটি অস্পষ্ট ছায়াচিহ্ন থেকে যায়। চোখ ধাঁধানো আলো ও মহাপ্রলয়ঙ্করী ঝড় বয়ে যায়। ছাই-ভস্মসহ সবকিছু উড়ে যায় ঊর্ধ্বাকাশে—এটমবোমার বিস্ফোরণের সিম্বল, ব্যাঙের ছাতা আকৃতির ধোঁয়ার বিশাল কুন্ডলিতে। হিরোশিমা-নাগাসাকির এই কুকীর্তির বোঝা সত্তর বছর পরেও বয়ে চলেছে সেখানকার সন্তান-সন্ততিরা। প্রতিটি মাকে ভয়ে ভয়ে দিন গুনতে হয়, যে সন্তানটি তার ভূমিষ্ঠহবে সে বিকৃত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অবয়ব নিয়ে জন্মাবে না তো!

এরপর পারমাণবিক বোমার বাস্তব প্রয়োগ আর হয়নি। কিন্তু বোমা তৈরীর কাজ অব্যাহত আছে। তৈরী হয়েছে আরো উন্নত মানের পারমাণবিক বোমা হাইড্রোজেন বোমা এবং সর্বাধুনিক নিউট্রন বোমা। যার ধ্বংস ক্ষমতা আরো অনেক বেশি। এবং প্রায় অবিশ্বাস্য!!

বিশ্বে পারমাণবিক বোমা মজুদকৃত দেশের সংখ্যাঃ- বর্তমান বিশ্বে পারমানবিক বোমার বিস্ফোরন ঘটিয়েছে অথবা মজুদ আছে এমন দেশ গুলো হলো, "যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ইসরাইল, ভারত ও পাকিস্থান।" যদিও ইসরাইল কখনও তা স্বিকার করেনা। এছাড়াও এটা ব্যাপক ভাবে বিশ্বাস করা হয় যে, উত্তর কোরিয়া এবং ইরানেও পারমানবিক অস্ত্র রয়েছে। বর্তমান পৃথিবীতে যে পরিমান পারমানবিক অস্ত্র মজুদ আছে তাতে মনে করা হয় যে, উক্ত পারমানবিক অস্ত্র গুলো সব একসাথে ব্যবহার করে এই ক্ষুদ্র পৃথিবীকে কয়েকশত বার ধংস করা সম্ভব।

আজকের মত শেষ করবো, তবে তার আগে বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের একটা সুন্দর উক্তি আপনাদের জানাতে চাই! একবার আলবার্ট আইনস্টাইনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঠিক কি ধরনের অস্ত্র ব্যবহার হতে পারে? উত্তরে আইনস্টাইন বলেছিলেন, "তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে বলতে বললে সেটা আমি ঠিক বলতে পরেবো না, তবে চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধ যে লাঠি এবং পাথর দিয়ে হবে তা খুব ভাল ভাবেই বলতে পারি.........!!!"

তথ্যসূত্রঃ-
০১। পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা - উইকিপিডিয়া
০২। ম্যানহাটন প্রকল্প - উইকিপিডিয়া
০৩। এটম বোমা আবিস্কারের ইতিহাস ।
০৪। ম্যানহাঁটন প্রোজেক্ট এবং পারমাণবিক বোমার ইতিহাস ।
০৫। পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ: এক ভয়ংকর সত্য
০৬। হিরোশিমা: বয়ে চলেছে এক গভীর বেদনার ইতিহাস

বিঃ দ্রঃ- টাইপিংয়ের ভুলের কারনে হয়তো অনেক জায়গায় বানানে ভুল থাকতে পারে। সেটাকে বিবেচ্য বিষয় হিসাবে না ধরে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে কৃতার্থ হবো!

মন্তব্য ৭৫ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৭৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭

প্রডিজিয়াস বলেছেন: আমাদের সেনাবাহিনীর জন্য প্রয়োজন রয়েছে!

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: বিশ্বের বুকে প্রতিনিধিত্ত্ব করতে গেলে হয়তো পারমাণবিক বোমার দরকার আছে, তবে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশ সেটা তৈরি করতে পারবে বলে আমার মনে হয় না! কারণ একটা বোমা তৈরি করতে যে বৃহৎ খরচ, তার ব্যয় বহন করা বাংলাদেশের পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়! যেখানে নূন আনতে পান্তা ফুরায়, সেখানে এটা অবাস্তব চিন্তা ছাড়া আর কিছুই নয়!

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!

২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৯

জেন রসি বলেছেন: সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে বিজ্ঞানের অনেক আবিষ্কারের পিছনেই যুদ্ধের একটা অবদান আছে। যুদ্ধের প্রয়োজনেই মানুষ অনেক কিছু সৃষ্টি করেছে।যার একটি ভয়াবহ রুপ হচ্ছে পারমানবিক বোমা।

চমৎকার পোষ্ট। :)

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০২

সাহসী সন্তান বলেছেন: একদমই ঠিক কথা বলেছেন! খাবার আগে যেমন খাদ্যের খোঁজ হয়, ঠিক তেমনি ভাবে যুদ্ধের আগেও মারণাস্ত্রের দরকার পড়ে! আর সেই লক্ষকে সামনে রেখেই যুগে যুগে মানুষ এমন সব বৈজ্ঞানীক জিনিসকে আবিষ্কার করেছে।

পোস্ট ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ! শুভেচ্ছা জানবেন!

৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৭

রাতুল_শাহ বলেছেন: প্রথমে মনে হয়েছিলো, নবম-দশম শ্রেণী রসায়ন বই পড়ছি। পরবর্তীতে এসে খুব ভাল লাগলো। পারমাণবিক বোমা সম্পর্কে এত কিছু জানা ছিলো না।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য! পারমাণবিক বোমা সম্পর্কে আপনাকে যে অনেক অজানা তথ্য জানাতে পেরেছি সেজন্য অনেক ভাল লাগছে!

ভাল থাকবেন!

৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আমার তো মনে হয় বিজ্ঞানের ধাপে ধাপে উন্নতির জন্য যুদ্ধের প্রয়োজনের অবদানই সবচেয়ে বেশি। যুদ্ধ মানুষকে ধ্বংস দিলেও সমৃদ্ধির পথটাও উন্মুক্ত করেছে।

পোস্টটা উচ্চমাধ্যমিক পদার্থ বিজ্ঞান আর ইতিহাসের মিশ্রন হইছে। অন্যবদ্য!

ভালোলাগা রইলো। :)

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: এস.এস.সি, ইন্টারমিডিয়েট এবং অনার্সে, কোন ক্লাসেই আমি বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম না। তবে বিজ্ঞান আমার প্রিয় একটা বিষয়। ভাল লাগে বিজ্ঞান জানতে এবং জানাতে। তাছাড়া আমার ব্লগ পোস্টের বেশির ভাগই বিজ্ঞান ভিত্তিক লেখা। আর তারই ধারবাহিকতায় আমার আজকের এই পোস্টটি লেখা।

আপনি ঠিকই বলেছেন, আসলে এই ধরনের আবিষ্কারের ক্ষেত্রে যুদ্ধের অবাদান অনেক বেশি। তবে পরবর্তিতে সেই আবিষ্কার গুলোই মানুষের অকল্যাণ ডেকে এনেছে। যুদ্ধের মাধ্যমে হয়তো দেশ জয় করা যায় কিংবা অন্যের উপর প্রতিনিধিত্ত্ব করা যায়, তবে মানুষের মন জয় করা যায় না! পৃথিবীতে পরিসংখ্যান করলে আমার মনে হয় শতকরা ৯৫% ভাগ মানুষই এই যুদ্ধের বিপক্ষে কথা বলবে!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫

নতুন বলেছেন: মানুষ সমস্যায় পড়লেই সমাধান খোজে তার মাধ্যমেই নতুন আবিস্কার হয়।

যুদ্ধ যেতার জন্য অনেক কিছুরই আবিস্কার হয়েছে।

পারমানবিক অস্রে তৌরির সময় অনেক কদর ছিলো কিন্তু এখন কি অবস্তায় আছে সেটা নিয়ে মজার একটা ভিডিও দেখেন।
https://www.youtube.com/watch?v=1Y1ya-yF35g

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: শুধু পরমাণবিক অস্ত্র না, বিজ্ঞানের এমন অনেক ভয়াবহ জিনিসই প্রথম আবিষ্কারের সময় অনেক কদর ছিল। অথচ কয়েকদিনের মধ্যেই তার ভয়াবহতা পরিলক্ষিত করে মানুষ তার ভুল বুঝতে পারে। কিন্তু তখন আর কিছু করার থাকে না! এছাড়াও এমন কিছু আবিষ্কার আছে, যে গুলো মানুষের কল্যানের জন্য তৈরি করা হলেও পরবর্তিতে তা ব্যবহৃত হয়েছে সেই মানুষকে ধংস করার জন্যই। যেমন ডেনামাইটের কথাই ধরেন না? আলফ্রেড নোবেল কি চেয়েছিলেন তার আবিষ্কৃত ডেনামাইটকে মানুষের অকল্যানে ব্যবহার করতে? অথচ পরবর্তিতে তা সেই কাজেই ব্যবহৃত হলো!

আপনার ভিডিওটি দেখলাম। অনেক ভাল লাগলো! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

এস কাজী বলেছেন: অনবদ্য পোস্ট সাহসী মামা। পোস্টের প্রথম অংশ আমাকে একাদশ শ্রেণীতে নিয়ে গিয়েছিল। ফিজিক্স আমার একদম পছন্দ না। শুনতে বেকুবের মত লাগ্লেও সেই জন্য মনে হয় আর সাইন্স পড়া হয়নি।

তবে সবচেয়ে বড় আইরনি হল শেষে আপনি লিখেছেন পারমানবিক মজুদের দেশ। দুঃখজনক হলেও সত্য সেই ইউরেনিয়াম মজুদের অভিযোগ এনেই ইরাকে হামলা চালিয়েছিল আম্রিকা। অথচ কোন ধরনের ইউরেনিয়াম ছিল না ইরাকে। আম্রিকা CTBT এর স্বপ্নদ্রষ্টা। অথচ সেই CTBT রেজুলেশনে এখনো পর্যন্ত সাইন করেনি আম্রিকা। এই প্রযুক্তি আরও এগুবে বলে দিলাম। আর মানবজাতি ধ্বংসের জন্যই এগুবে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমিও প্রথম প্রথম বিজ্ঞানকে একদমই পছন্দ করতাম না। কিন্তু যখন একটু একটু করে বুঝতে শিখলাম তখন থেকে বিজ্ঞান আমার সব থেকে প্রিয় একটা বিষয়! আমি ফিজিক্সের ছাত্র ছিলাম না, তবে ফিজিক্স বইটা আমার পাঠ্যবইয়ের মত অনেক প্রিয় ছিল!

আসলেই দুঃখজনক যে আমেরিকা সামান্য অযুহাতে ইরাকের মত দেশের উপরে হামলা চালিয়েছিল। শুধু ইরাক নয় লিবিয়া, ফিলিস্থিত, সিরিয়া ইত্যাদী। এর অবশ্য অনেক যথাযথ কারণ আছে। সেটা হলো, আমেরিকা তুলনামূলক ভাবে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি দেশ হলেও তারা সব সময় প্রতিদন্দীকে ভীষণ ভাবে ভয় পায়। তারা চায় না কোন দেশই তাদের প্রতিদন্দী করে গড়ে উঠুক। আর তাইতো যে দেশটা যখনই শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করেছে, আমেরিকা যেভাবে হোক তাদের কে নিচে দাবিয়ে দিয়েছে। অথচ এমন কোন দেশ নেই যারা আমেরিকার এই অন্যায়ের বিরোধীতা করে। শুনলে আশ্চার্য লাগে, যে রাসায়নিক অস্ত্র মজুদের অভিযোগে আমেরিকা ইরাক আক্রমন করেছিল; অথচ যুদ্ধ শেষে দেখা গেলো তার সবই ছিল মিথ্যা, সাঁজানো। অথচ এমন একটা দেশ ছিলনা যে দেশটা আমেরিকার এই প্রহশনকে বাধা দেয়!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! ভাল থাকবেন!

৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

নিশাকর বলেছেন: বহুত সময় নিয়া পরলাম, এত্ত কস্ট করে তথ্যবহুল আর্টিকেল লেখার জন্য ধন্যবাদ

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ সময় নিয়ে পোস্ট পড়া এবং মন্তব্যের জণ্য!

৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৭

ক্যান্সারযোদ্ধা বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: :-/

৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭

বর্নিল বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক জানা হল।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!

১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভয়াবহ এ ব্যাপারটা প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম ভায়া। পড়ে মন্তব্য করব সময় করে। উকে?

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: ওকে! আপনার যখন ইচ্ছা হবে, তখন পড়ে মন্তব্য করবেন। কোন সমস্যা নেই!

১১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০০

কাবিল বলেছেন: পারমাণবিক বোমা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পোস্ট পড়া এবং মন্তব্যের জন্য!

১২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণের শেষ নেই। টার্গেটের কেন্দ্রে তাপমাত্রা বেড়ে কয়েক হাজার সেলসিয়াসে দাঁড়ায়। মানব দেহসহ সবকিছু মুহূর্তে সম্পূর্ণ 'নাই' হয়ে যায়। ভূ-পৃষ্ঠের পাথরে বা কংক্রিটে কেবল মানব-মানবীর দেহ অবয়বের একটি অস্পষ্ট ছায়াচিহ্ন থেকে যায়। চোখ ধাঁধানো আলো ও মহাপ্রলয়ঙ্করী ঝড় বয়ে যায়। ছাই-ভস্মসহ সবকিছু উড়ে যায় ঊর্ধ্বাকাশে—এটমবোমার বিস্ফোরণের সিম্বল, ব্যাঙের ছাতা আকৃতির ধোঁয়ার বিশাল কুন্ডলিতে। হিরোশিমা-নাগাসাকির এই কুকীর্তির বোঝা সত্তর বছর পরেও বয়ে চলেছে সেখানকার সন্তান-সন্ততিরা। প্রতিটি মাকে ভয়ে ভয়ে দিন গুনতে হয়, যে সন্তানটি তার ভূমিষ্ঠহবে সে বিকৃত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অবয়ব নিয়ে জন্মাবে না তো! ---------

এই ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টিকারী যে মারণাস্ত্র, সেটা বিজ্ঞানের আবিস্কার!
ভাবতে কষ্ট হয়, পৃথিবীতে সব কিছুরই অপব্যবহার ঠিক নয়!
অনবদ্য পোস্ট ভাই, জানার আছে অনেক কিছু!
অনেক ধন্যবাদ!!!

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

সাহসী সন্তান বলেছেন: মাঝে-মাঝে আমিও ভাবি, বিজ্ঞান আমাদেরকে যতটা দিয়েছে তার থেকে বেশিই কেড়ে নিয়ে গেছে! তবে কিছু কিছু আবিষ্কার বিজ্ঞান করেছিল মানুষের কল্যাণের জন্য, কিন্তু পরবর্তিতে সেটা আর কল্যাণকর না হয়ে অকল্যাণকর হয়ে গেছে!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

১৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: খুবই সাজানো গুছানো তথ্যবহুল পোস্ট। আমার ক্ষুদ্রজ্ঞান থেকে যতদূর জানি রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র সবচেয়ে বেশি। প্রায় ৮ হাজার। কিন্তু ইসরায়েলের রয়েছে ১৩০ টার মত। তবুও রাশিয়ার থেকে ইসরাইল বেশি ভয় করে আমার। ওরাই আমেরিকার পর ২ বারের মত পারমাণবিক আক্রমণ করতে পারে। সি আই এ ওয়াল্ড ফ্যাক্ট অনুযায়ী ইসরায়েলের র‍য়েছে কিছু আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপনাস্ত্র। যা দিয়ে তারা ইরান কে বেশ ভাল করেই আঘাত হানতে পারে। মধ্যপ্রাচ্য এলাকায় যে অস্থিরতা তা যে কোন সময় ৩rd world war এর দামামা শুরু করে দিতে পারে। তাই বিভিন্ন পারমানবিক অস্ত্র হ্রাস চুক্তির আওতায় এই ক্ষুদ্র কিন্তু ভয়াবহ হায়েনা রাষ্ট্রকে আনা উচিত। তা না হলে CTBT (comprehensive test ban treaty) চুক্তিগুলোর উদ্দেশ্য পুরন হবে না।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন! বর্তমান বিশ্বের বুকে সব থেকে বেশি পারমাণবিক বোমার মজুদ আছে রাশিয়াতে। কিন্তু আমিও মনে করি এটা বিশ্বের জন্য হুমকি নয়। তবে ইসরায়েলকে নিয়ে আসলেই ভয়! তবে ওরা এত লাফা-লাফি করতে পারতো না, যদি না আমেরিকা ওদের কে সাপোর্ট না দিতো! আমার তো মনে হয়, আমেরিকার সাপোর্ট না থাকলে এতদিন ইসরায়েলের কোন অস্তিত্বই এ পৃথিবীতে থাকতো না!

একটা জিনিস চিন্তা করেন, ইসরায়েলের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকা সত্বেও তারা কোনদিনই তা স্বীকার করেনি। এবং এটা নিয়ে উন্নত বিশ্বের কোন মাথা ব্যাথা নেই। অথচ ইরানের কাছে এই অস্ত্র না থাকার পরেও তাদেরকে নিয়ে আমেরিকা, ব্রিটেন, রাশিয়া কি নাটকটা নাই করছে?

আমিও আপনার সাথে সহমত যে, পারমাণবিক হ্রাস চুক্তিতে ইসরায়েলেরও নাম থাকা উচিত! কারণ সাপ ছোট হোক বড় হোক, তার বিষ কিন্তু সমান!

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ!

১৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩

সুমন কর বলেছেন: পোস্ট পড়িনি, দেখে গেলাম। !:#P

৩নং মন্তব্যটির প্রয়োজন ছিল না।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!

৩ নং মন্তব্যটা আমি এজন্য করেছিলাম, কারণ পারমাণবিক বোমা সম্পর্কিত অনেক পোস্টই এই ব্লগে আছে। এবং এই অস্ত্রের বিষয়টা অনেকেরই জানা একটা বিষয়। সে জন্য ভেবেছিলাম হয়তো আমার ফিচারটা নির্বাচিত পাতায় স্থান পাবে না! কিন্তু পরে যখন দেখলাম যে পোস্টটাকে নির্বাচিত পাতায় স্থান দেওয়া হয়েছে, তখন নিজের কাছেই অনেক ভাল লাগছিল, তাই ঐ মন্তব্যটা করেছিলাম।

পোস্ট পড়ার পরে ইচ্ছা হলে মন্তব্য করবেন! আপনার মন্তব্য গুলো অনেক ভাল লাগে!
শুভ কামনা জানবেন!

১৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


যারা ভেবে বের করেছেন পরমানুর শক্তি, ব্যবহার তারা করেননি; ব্যবহার করেছে পিশাচেরা

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২২

সাহসী সন্তান বলেছেন: ঠিক!

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!

১৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫১

কিরমানী লিটন বলেছেন: অনেক শিক্ষণীয় পোষ্ট - অভিবাদন জানবেন,অজানাকে চোখের সামনে তুলে ধরার জন্য...
সতত শুভকামনা ...

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য!

সব থেকে ভাল লাগে আপনার সতত শুভকামনা ... এই কথাটা! আপনার জন্যেও শুভ কামনা!

১৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
পরমাণু ও পারমাণবিক অস্ত্রের নির্মাণ ও ব্যবহার নিয়ে একটি শ্রমসাধ্য পোস্ট। এক সাথে দিয়ে অবশ্যই ভালো করেছেন।

রাজ্য জয় নয়, যেন শক্তি প্রদর্শনই পারমাণবিক শক্তিসঞ্চয়ের প্রধান কারণ।

তৃতীয় বা চতুর্থ বিশ্ব যুদ্ধ না হোক।

ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানবেন, সাহসী সন্তান :)

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমিও আপনার মত চাই তৃতীয় বা চতুর্থ বিশ্ব যুদ্ধ যেন না হোক! কিন্তু গবেষকরা তো সেটা মনে করেন না! উনাদের দাবী তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র! বিশেষ করে বর্তমান সময়ে সিরিয়াতে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া যে ভাবে বিমান হামলা করছে তাতে বিশেষজ্ঞদের ধারনা, মাত্র ত্রিশ সেকেন্ডেই ঘটে যেতে পারে অনেক বড় অঘটন! যে ভাবে আমেরিকার যুদ্ধ বিমান এবং রাশিয়ার যুদ্ধ বিমান কাছা কাছি অবস্থান থেকে বিমান হামলা করছে তাতে এমন টা ভাবাও অবান্তর নয়!

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই! আপনার জন্যেও শুভ কামনা!

১৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০১

is not available বলেছেন: দারুণ আর অনবদ্য একটা পোষ্ট! মার্কিনীদের কাজ দেখে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। এরাই না গোটা বিশ্বের সন্ত্রাস দমনের যুদ্ধে নেমেছে আর মানবতার বুলি আওড়াচ্ছে!!! চোর নেমেছে ধর্মপ্রচারের কাজে! দারুণ পোষ্ট! অনেক দোয়া থাকল!

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য! শুভ কামনা!

১৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পারমাণবিক বোমা তৈরি করাটা বিজ্ঞানীদের ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো ।

তথ্যপূর্ণ পোস্ট । অনেককিছুই জানা হলো ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য!

২০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: এইডা কি লিখলেন ভাই। পুরাই টাসকি। অজানা আর জানা সংমিশ্রন পোস্টে++

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: আসলেই জানা অজানার সংমিশ্রিত একটি পোস্ট! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

২১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট +

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদের সহিত প্লাস গৃহিত হলো সেলিম ভাই! শুভ কামনা জানবেন!

২২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০০

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: খাইছে বিশাল জ্ঞানগর্ব আলোচনা । জানার আছে অনেক কিছু । অনেক ধন্যবাদ চমৎকার বিশ্লেষণধর্মী পোস্টে ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২২

সাহসী সন্তান বলেছেন: হুম, ব্যাপক আলোচনা! শুধু পড়ে শেষ করতে পারলেই হলো! অনেক কিছু্ইতো জানার আছে, তো আপনি কতটুকু জানছেন? :P

চমৎকার মন্তব্যে ধন্যবাদ জানবেন!

২৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:১৪

চন্দ্রদ্বীপবাসী বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট! সোজা প্রিয়তে নিয়ে নিলাম।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই চন্দ্রদ্বীপবাসী, পোস্ট পড়া এবং প্রিয়তে রাখার জন্য!

২৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪০

চ্যাং বলেছেন: পড়তে পড়তে চেচ হুই না লে ভাঈঈঈঈঈঈই........ :( :((

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: একবারে শেষ করতে কইছে কে? আস্তে আস্তে পড়বেন! আজ না হয় কাল, কাল না হয় পড়শু এভাবে! পোস্টতো হারিয়ে যাচ্ছে না? :P

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! কেমন আছেন চ্যাং ভাই?

২৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৫:০৫

আমিনুর রহমান বলেছেন:



বিস্ফোরনের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করে বিজ্ঞানী ইসিডর রাবি প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করলেন এভাবে যে, 'প্রকৃতির সমস্থ নিয়ম আজ উল্টে গেল, মানুষ আজ থেকে পৃথিবী ধংসের বিধাতা হল'। - এটাই সত্য।

পোষ্টে +

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন শ্রদ্ধেয় আমিনুর ভাই!

ধন্যবাদের সহিত প্লাস গৃহিত হলো!

২৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:১৩

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: বোমাবাজি ঢের হলো
সব দেয় উড়িয়ে;
ভালোবাসা ভরে দাও
ঘৃণা যাক ফুরিয়ে।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: দারুন ছড়া! আপনার ছড়া পড়লে আমার আহসান হাবিবের কথা মনে পড়ে ভাই? অনেক ভাল লাগলো!


ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা জানবেন!

২৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২৪

জুন বলেছেন: জানা অজানা বিষয়গুলো খুটিয়ে খুটিয়ে জানা হলো সাহসী সন্তান ।
ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য ।
+

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩০

সাহসী সন্তান বলেছেন: জুনাপু, আপনাদের মত পাঠক পেলে আসলেই কোন কিছু লিখে আনন্দ পাওয়া যায়! সব কিছু একদম খুটিয়ে খুটিয়ে জানছেন যেনে অনেক ভাল লাগছে!

আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য! ভাল থাকবেন!

২৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান ,



যুদ্ধ যেমন ধ্বংস ডেকে আনে তেমনি অসংখ্য কল্যানও বয়ে আনে , নতুন নতুন আবিষ্কারের মধ্যে দিয়ে ।
যে আনবিক বোমায় হিরোশিমা , নাগাসাকি ধ্বংস হয়েছিলো সেই পারমানবিক শক্তিই আবার পৃথিবীর শিল্প -সমৃদ্ধির পেছনে দাঁড়িয়ে আছে ।

শ্রম দিয়ে লেখা পোষ্ট , সমৃদ্ধ ।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য! আপনার সাথে সহমত! তবে শিল্প-সমৃদ্ধির থেকে যে ক্ষতিটা আগেই হয়ে গেছে সেটা তো আর ফিরিয়ে আনা যাবে না?

পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

২৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: চমৎকার একটি তথ্যবহুল পোষ্ট । কিন্তু পড়ে হতভম্ভ হয়ে গেলাম মানুষ কি পরিমাণ রক্তপিপাসু হতে পারে। হিংস্রতায় সৃষ্টির সেরা জীব যে কোন হিংস্রতম মাংসাশীর চেয়েও কতটা নিচে নামতে পারে।

ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: একটা কথাকি জানেন আপু, বনে হিংস্র প্রাণীর পেট ভর্তি থাকলে তারা অন্য নিরিহ পশুদের কে আক্রমণ করতে ভুলে যায়। কিন্তু মানুষ এমন এক প্রণী, এর যত থাকে তত চায়! রবি ঠাকুরের একটা কবিতা আছে না, 'এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি, রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি'!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

৩০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: একটি তথ্যবহুল পোষ্ট।





ভালো থাকবেন নিরন্তর।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: পাঠ এবং মন্তব্যে ভাল লাগা জানবেন!
ধন্যবাদ!

৩১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

রাবার বলেছেন: কালকে পরেছি লেখাটা। কমেন্ট করতে বসছি আর কারেন্ট গেছে। ভাই সেইরাম হইছে লেখা। +++++্

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০২

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্ট পড়ার পরে মন্তব্য করতে ভোলেননি সেজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ! পোস্টটা আপনার কছে ভাল লেগেছে জেনে অনেক বেশি খুশি হইলাম!

শুভ কামনা জানবেন!

৩২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪

প্রামানিক বলেছেন: দারুণ পোষ্ট। ধন্যবাদ

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রমানিক ভাই! ভাল থাকবেন সব সময়!

৩৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

দর্পণ বলেছেন: ধ্বংসময়ী বিজ্ঞান।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: হুম!

৩৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

এহসান সাবির বলেছেন: এটা একটি চমৎকার পোস্ট।

এক গুচ্ছ ভালো লাগা।

এগিয়ে চলুক সুন্দর ব্লগিং...

শুভেচ্ছা।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: সাবির ভাই, অনেক দিন পর আপনাকে ব্লগে দেখলাম! কেমন আছেন?

আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ ব্লগিং!

৩৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৫

প্রলয়শিখা বলেছেন: খুব ভাল লেগেছে আপনার পোস্ট। বিশেষ করে একেবারে শেষের আইন্সটাইনের যে উক্তিটি দিয়ে শেষ করেছেন সেটি।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য! শুভ কামনা জানবেন!

৩৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩৭

মাহামুদ রোমেল বলেছেন: দারুন পোস্ট। প্রিয়তে নিলাম।
যদি অনুমতি দেন তো 'বাংলা জার্নাল' নামের একটি পাক্ষিকের জন্য আপনার লেখাটি নিতে চাই।
আমরা প্রতি সংখ্যায় একটি করে ব্লগ পোস্ট রাখি।
যদি অনুমতি দেন আসছে নভেম্বর সংখ্যায় স্বনামে আপনার লেখাটি ছাপতে পারি?

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই পোস্ট পড়া, মন্তব্য এবং প্রিয়তে উঠিয়ে রাখার জন্য!

অসুবিধা নেই আপনি লেখাটি ছাপাতে পারেন! শুভ কামনা!

৩৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

শায়মা বলেছেন: ভাইয়ু!!!!!!!!!!!!!!!!
কি ভয়ানক!!!!!!!!!!!!

বোমা গুলি এইসব নিয়েও বুঝি এত সৌন্দর্য্য পোস্ট লেখা যায়!!!!!!!! B:-)



কেমন আছো ভাইয়ু!!!!!! মন ভালো হয়েছে?????

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনি ছাড়া যেমন থাকার কথা ঠিক তেমনই আছি!

আপনি কেমন আছেন, আপুনি?

৩৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সাস ভাই!! সাধারণ ব্লগাররা এত ডিটেইলস বুঝবে না। আমার মাথাই কেমন যেন ভঁ ভঁ করছে। তবে আপনার পরিশ্রমের যথেষ্ট মুল্য বোধহয় সামুর ব্লগাররা দিতে পারবে না।

পারমানবিক শক্তি এমন একটি ব্যপার যে তাকে দিয়ে দুনিয়াকে আলো ঝলমলে সাজানো যায় আবার আগুন দিয়ে ঝলসেও দেয়া যায়।

পোস্টে প্লাস।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্টটা পড়তে যে আপনারও অনেক কষ্ট হয়েছে সেটা তো বুঝতে পারছি। কথা পরে হবে, বরিশাল আসেন চা খেয়ে যান? ;) আমি এই গুলো এই জন্য লিখি কারণ এই সব অজানা বিষয় গুলো আমাকে ভীষণ ভাবে টানে! তাছাড়া আমি চাই আমি যেটা জানবো, সেটা যেন অন্যকেউ জানাতে পারি! আর সেজন্য মূলত লেখা!

সব মানুষ যে সব কিছু বুঝবে এমন কোন কথা নেই? এমন অনেক কিছু আছে যেগুলো আমিও বুঝিনা। কিন্তু বুঝিনা বলে যে বোঝার চেষ্টা করবো না এমন তো নয়?

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.