নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

{♥ যদি কখনো নিজেকে একা ভাবো, তাহলে ঐ দূর আকাশের অসীম সীমান্তের দিকে তাকিয়ে থাকো! কখনো নিরাশ হয়ে যেও না! হয়তো বা একটা বাজপাখিও তোমার দিকে উড়ে আসতে পারে! ♥}

সাহসী সন্তান

আমাকে তোর ভালোবাসার দরকার নেই। শুধু পাশে থেকে একটু সাহস যোগাস, দেখবি তখন ভালোবাসাটা এমনিতেই চলে আসবে!!

সাহসী সন্তান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি শীত গল্পঃ মায়ের আত্মত্যাগ

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭



চমৎকার রৌদ্দজ্জল সকালে বারান্দায় মাদুর পেতে বসে আছে ওরা চার ভাই বোন। বিন্তি, পুটি, টুকটুকি এবং বাবু। গতকাল রাতে ওদের মা বিলকিস বেগম অনেক রাত জেগে চিতৈই পিঠা তৈরি করেছে সেটা ওরা সবাই জানে। পিঠা তৈরি করতে করতে অনেক রাত হওয়ার কারণে বিন্তিরা আর রাতে পিঠা খেতে পারেনি। তাছাড়া চিতৈই পিঠা শুধু-শুধু খেলে খুব বেশি মজা লাগে না। চিতৈই পিঠা রসে ভিজিয়ে খেলে সব থেকে বেশি মজা লাগে। আর সেজন্য পিঠা খাওয়ার জন্য ওরা রাতে কেউ-ই তেমন একটা গা করেনি। তাই সাত সকালে ওরা বারান্দায় মাদুর পেতে সূর্যের দিকে পিঠ করে বসেছে, চমৎকার রসে ভিজানো চিতৈই পিঠা খাবে বলে। শীতের সকালে রোদে বসে গুড় মাখানো চিড়ে এবং চিতৈই পিঠা খেতে শুধু ওদের না, সবারই অনেক মজা লাগে!

বিন্তিরা চার ভাই বোন। বিন্তি সবার বড়। ও এবার স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী। ছোট ভাই পুটি পড়ে ক্লাস থ্রিতে। আর টুকটুকি সবে মাত্র স্কুলে পা দেওয়া শুরু করেছে এবং বাবু এখনো পিচ্চি। সব সময় মায়ের পাছে পাছে লেগে থাকে। বিন্তির বাবা মন্তেজ মিয়া একজন দিন মজুর। আর মা বিলকিস বেগম গৃহিনী। শীত পড়েছে অনেক দিন। কিন্তু এতদিনের মধ্যেও বিন্তিদের এখনো শীতের পিঠা খাওয়া হয় নি। তাছাড়া খাওয়ার মন জাগলেই বিন্তিরা সব সময় সব কিছু ঠিক সময়ে খেতে পারে না। কারণ বিন্তির বাবাই ওদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাছাড়া উনি দিন মজুর হওয়ার কারণে আয়ও অনেক কম। সারাদিন হাড় ভাঙা খাটুনি খেটে যা উপার্জন করেন, তাতে দু'বেলা দু'মুঠো ভাতই অনেক সময় কপালে জোঠে না, সেখানে পিঠাতো অনেক দূর্লভ বস্তু! তার উপর যদি কখনো হঠাৎ বিন্তির বাবার বড় ধরনের কোন অসুখ-বিসুখ হয়, তাহলে তো সেই কয়দিন ওদেরকে না খেয়েই থাকতে হয়।

গত কয়েকদিন থেকে বিন্তির ছোট ভাই পুটি, পিঠা খাবো পিঠা খাবো বলে মাকে ভীষণ জ্বালাতন করছে। মা পুটিকে বুঝিয়ে শুনিয়ে এতদিন রাখলেও, গতকাল দুপুর থেকে পুটি এমন কান্নাকাটি শুরু করেছে যে, শেষে মন্তেজ মিয়াকে এত কষ্টের মধ্যেও পিঠার আনুসাঙ্গিক জিনিস পত্তর ধার দেনা করে হলেও জোগাড় করতে হয়েছে। বিন্তি ওর পরিবারের অভাব অনটনের কথাটা বুঝলেও, ওর ছোট ভাই বোন গুলো তো আর এতটা বোঝে না। ওরা যে এখনো অবুঝ। বিন্তি জানে, ওর বাবা কত কষ্ট করে সারাদিন হাড় ভাঙা খাটুনি খেটে ওদের জন্য সামান্য কিছু আয় রোজগার করে । মাঝে-মাঝে তো বাবা প্রচন্ড অসুস্থতার মধ্যেও কাজের খোঁজে বেরিয়ে যায়। কারণ একদিন কাজ না করলে যে মন্তেজ মিয়ার পরিবার অভুক্ত থাকবে। আর মন্তেজ মিয়াও চায়না সে বেঁচে থাকতে তার পরিবার অভুক্ত থাকুক। মন্তেজ মিয়া সব সময় তার পরিবারের সবার মুখে হাসি দেখতে চায়। আর সেজন্যই তো তিনি শত কষ্টের মাঝেও ছেলে মেয়েদের আবদার পূরণ করার জন্য, ধার দেনা করে হলেও আটা, ময়দা কিনে এনে স্ত্রী বিলকিস বেগমের হাতে দিয়ে পিঠা তৈরি করে সন্তানদেরকে খাওয়াতে বলেছেন!

পিঠা নিয়ে মায়ের আসতে দেরি দেখে পুঁটি বারান্দা থেকে হাক ছাড়ে.......
-'মা! ও মা, পিডা নিয়া আসিস না ক্যান......?'
বিলকিস বেগম রান্নাঘর থেকেই পুঁটির কথার উত্তর দেয়, 'এই তো বাজান আইতাছি। একটু ছবুর করস না ক্যান বাজান!'
বিলকিস বেগম আর দেরি না করে পিঠার পতিল সহ বিন্তিদের কাছে গিয়ে হাজির হয়। মায়ের হাতে পিঠার পাতিল দেখে চার ভাই বোনের চোখ চকচক করে ওঠে। সবার আগে পুঁটি প্লেট বাড়িয়ে ধরে বলে, 'আমায় আগে দিতে হবে!'
সাথে সাথে টুকটুকি প্রতিবাদ করে তার প্লেট বাড়িয়ে ধরে বলে, 'না, আমাকে আগে দিতে হবে!'
ওদের দেখা দেখি দুই বছরের বাবুও তার প্লেট মায়ের সামনে বাড়িয়ে ধরে, 'আম্মু আমালে আগে না দিলে আমি কাঁনবো!'

কাকে রেখে কাকে দেবেন, এইটা নিয়ে বিলকিস বেগম বেশ ধান্দায় পড়ে যান। কিন্তু সবার আগে ছোটটাকে তো ঠান্ডা করতে হবে! নইলে একবার যদি কান্দা শুরু করে তাহলে আর রক্ষে নেই। সব মেছাকার করে দেবে! সেজন্য বিলকিস বেগম প্রথমেই বাবুর প্লেটটা নিয়ে তাতে একটা পিঠা উঠিয়ে দিতে দিতে বলেন,
-'আমার আব্বুকে আমি সবার আগে দেবো। এই নেও আব্বু, খাও!'
বাবুর প্লেটে পিঠা দেখে পুঁটির চোখ লোভে চকচক করে ওঠে। ও কোন কিছু না ভেবেই বাবুর পিঠায় একটা আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিয়ে তা জিভ দিয়ে চাটতে চাটতে বলে,
-'আম্মু পিঠা যে খুব সুন্দর হইছে?'
বিলকিস বেগম পুঁটির কথার আর উত্তর করতে পারে না। কারণ ওদিকে পুঁটি বাবুর প্লেটে রাখা পিঠায় হাত দেওয়াতে বাবু তার মারাত্মক অস্ত্র, কান্না শুরু করে দিয়েছে। মা বিলকিস বেগম বেশ অসুবিধায় পড়ে যান। তিনি আর সন্তানদের পাতে পিঠা দেবেন, না ছোটটার কান্না থামাবেন? তার উপর বাবু কান্না শুরু করলেই, কান্নার আগে নাকে ময়লা চলে আসে। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। আর সেটা দেখে অন্য সবাই একেবারে হৈ হৈ করে উঠলো। বিলকিস বেগম কোন রকমে বিন্তির পাতে একটা পিঠা তুলে দিয়ে বললেন,
-'এই বিন্তি, বাবুর নাক টা মুছিয়ে দিয়ে তুই ওকে নিয়ে বাইরে গিয়ে বস!'

বিন্তি কিছু না বলে বাবুকে কোলে উঠিয়ে ওর প্লেটটা হাতে নিয়ে বাইরে খড়ের উপর গিয়ে বসলো। বিলকিস বেগম পুঁটির পাতে পিঠা তুলে দিতে দিতে পুঁটিকে জিজ্ঞাসা করলেন,
-'হ্যারে বাপ, তোরে না কইছিলাম তোর বাজানরে ডাইকা আনতে? ডাকছিলি?'
-হ মা, ডাকছিলাম। তয় বাজান কইলো হাতে নাকি আর অল্প একটু কাজ আছে, সেইটা শেষ কইরাই চইলা আইবো।
কথা বলতে বলতে পুঁটি বাইরের দিকে তাকিয়ে বললঃ
-ঐতো বাজান আইয়া পড়ছে!
বিলকিস বেগম তাকিয়ে দেখলেন সত্যিই উনার স্বামী চলে এসেছেন। তাড়াতাড়ি করে উনি স্বামী মন্তেজ মিয়ার দিকে একটা চাটাই এগিয়ে দিয়ে বললেন,
-'আইতে এত দেরি হইলো যে? আর একটু দেরি করলে তোমার ভাগের পিডা পোলাপান এতক্ষণে খাইয়া ফেলতো?'
মন্তেজ মিয়া চাটাইয়ে বসতে বসতে একটু হেসে বললেন,
-'ক্যান আমার পিডা পোলাপান খাইবো ক্যান? আমার পিডা পোলাপান খাইবো না পোলাপানের মা খাইবো, সেইটা তো বুঝতাছি না!'
বিলকিস বেগম একটু লজ্জা পেয়ে বললেন,
-'হ, সব সময় তো তোমার জিনিস আমিই খাই?'
তারপর স্বামীর প্লেটে একটা পিঠা এবং কিছু রস উঠিয়ে দিলেন। কিছুক্ষণ পর পুঁটি এসে আবার প্লেট এগিয়ে ধরলো-
-মা, আর একটা দাও না?
পুঁটির উপর মন্তেজ মিয়া ধমকে উঠলেন- 'ঐ, একটু আগে না খাইলি। আবার ক্যান?'
বিলকিস বেগম স্বামীকে শান্ত করার চেষ্টা করলেন- 'থাক না! অবুঝ পোলা।'
তারপর পুঁটির পাতে একটা ভাঙা পিঠা উঠিয়ে দিয়ে বললেন, 'নে বাবা খা!'
পুঁটি পিঠা নিয়ে চলে গেল। কিন্তু হঠাৎ বাইরের দিকে তাকিয়ে টুকটুকি হৈ হৈ করে উঠলো- 'ঐ যে সেই বুড়ি আইতাছে। এই বুড়ি টা যে আমাগো বাড়ি ক্যান আহে।'
বিলকিস বেগম টুকটুকির কথা শুনে বাইরের দিকে নজর দিয়ে দেখেন, পাশের বাড়ির মকবুলের মা চাচি আসছে। চাচিকে দেখে বিলকিস বেগম একটু লজ্জিত সুরে বলেন- 'চাচি কিছু মনে করবেন না! পোলাপান মানুষ তো। ভুল ভ্রান্তিতো হইবারই পারে!'
তারপর চাচির দিকে একটা পিড়ি এগিয়ে দিলেন। মকবুলের মা পিড়িতে বসতে বসতে বললেনঃ
-'নারে মা, কিছু মনে করি নাই। নাতি পুতিরা কবিনা তো কবি কেডা। তা মন্তেজ ব্যাডা আছো কেমন?'
মন্তেজ মিয়া মকবুলের মায়ের দিকে ফিরে বললেন- 'এইতো চাচি আছি ভালই। তো আপনি কেমন আছেন? শুনলাম মকবুল নাকি বৌ নিয়া আবারও শশুর বাড়ি যাইয়া উঠছে?'
-হরে বাজান। পোলাডার যে কি হইলো। বৌ ছাড়া কিচ্ছু বোঝে না। বৌ যে যুক্তি দিবো, হেই যুক্তিই সে হুনবো!

মন্তেজ মিয়া পিঠা খেতে খেতে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন- 'বিন্তির মা, পিডাকি আর বেশি আছে? থাকলে চাচিরে একটা দাও না?'
মন্তেজ মিয়ার কথা শুনে মকবুলের মা বললেন- 'নারে বাজান, পিডা লাগবো না। তোরা খা, আর আমি চাইয়া চাইয়া দেহি!'
বিলকিস বেগম প্লেটে একটা পিঠা তুলে মকবুলের মাকে দিতে দিতে বললেন- 'তাই কি হয় চাচি। সমস্যা নেই চাচি, আপনি খান। আমাগোলাই আরো আছে।'

প্রচন্ড লজ্জা লাগলেও মকবুলের মা কোন উপায়ন্তর না দেখে বৌমার দেওয়া পিঠা খেতে আর অস্বীকার করতে পারলেন না। তাছাড়া প্রথমে না না করলেও, শীতের রসালো পিঠা চোখের সামনে দেখলে কার না খেতে লোভ লাগে? মকবুলের মাও তাই এই অনুরোধকে আর প্রত্যাখ্যান করতে পারলেন না। কিছুক্ষণ পর টুকটুকি, পুঁটি আর বাবু আবারও প্লেট নিয়ে হাজির হলো। বিলকিস বেগম ছেলে-মেয়েদের এই পাগলামী দেখে চাচির সামনে বলতে লজ্জা লাগলেও, কোন রকমে সংকোচ দমন করে আস্তে আস্তে বললেনঃ
-আর যে পিডা নাই বাজান। যা ছিল সবইতো তোদের কে দিলাম! আমি আর পিডা কই পাবো ক?
স্ত্রীর কথা শুনে এবার মন্তেজ মিয়া খাওয়া বাদে স্ত্রীর মুখের দিকে কিছুক্ষণ অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন! তারপর কোন রকমে ঢোক গিলে নিয়ে বললেনঃ
-বিন্তির মা কও কি? তুমি কি পিডা খাইছো?
-ছাড়েন তো আমার খাওয়া। আপনেরা খাইলেই তাতে আমার খাওয়া হয়ে যাবে। তাছাড়া এখনো যা আছে তাতেই আমার হয়ে যাবে। আপনি শুধু শুধু চিন্তা কইরেন না!
বিলকিস বেগমের কথা শুনে মকবুলের মায়ের বুকের ভিতরটা হঠাৎ কোন এক অজানা আশঙ্কায় মোচড় দিয়ে উঠলো। তিনিও প্লেট থেকে হাত উঠিয়ে বিলকিস বেগমের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ
-কসকি বৌ? তাইলে তুই নিজে না খাইয়া আমারে খাওয়াইলি ক্যান? হায়রে পোড়া কপালী, এত কষ্ট কইরা নিজে সব কিছু তৈরি কইরাও তুই নিজে একটু খাইতে পারলি না?
মকবুলের মায়ের কথা শুনে বিলকিস বেগম একটু লজ্জিত কন্ঠে বললেনঃ
-আরে না চাচি। এহনও আছে। তয় পোলাপানের সামনে কইলে তো ওরা আবার চাইবো সেজন্যই কইতাছি না। আপনি খান চাচি!

বিলকিস বেগম পাতিল থেকে কিছু রস পুঁটি আর টুকটুকির প্লেটে ঢেলে দিলে, টুকটুকি সেটা দেখে চিৎকার করে বললঃ
-আমাগো পিডা সব এই বুড়ি খাইয়া ফেলছে তাই না মা?
টুকটুকির কথা শুনে মন্তেজ মিয়া ধমকে উঠে বললেনঃ
-চুপ থাক হারামজাদী। বুড়ি কস ক্যান? দাদী কইতে পারস না?
-ক্যান দাদী কমু ক্যান। বুড়ি সারাক্ষন আমারে কয়, আমি নাকি টুনটুনি পাখির মত হারাডা গ্রাম খালি লাফাইয়া বেড়াৃই?
টুকটুকির কথা শুনে সবাই হেসে ওঠে। হাসতে হাসতে বিলকিস বেগম টুকটুকির মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেনঃ
-ছিঃ মা, অমন করে কইতে হয় না। দাদী যে তোর লগে মজা করেরে মা! দাদীরা নাতী পুতিগো লগে সব সময় এমন একটু মজা করে, তাই বইলা কি মুরুব্বিগো এমন কইরা কইতে হয়? উনি তোমার চাইতে কত্ত বড় তুমি জানো?'
-তাইলে আর অমন কইরা কইবে নাতো?
-না মা, আর অমন কইরা কইবে না! তুমি খাও, খাইয়া ছাগলডা নিয়া মাঠে গিয়ে একটু ঘাস খাওয়াইয়া আনো তো?
-আচ্ছা ঠিক আছে!

খাওয়া দাওয়া শেষে মকবুলের মা এবার বাড়ি যাবার জন্য পা বাড়ালেন। যাওয়ার আগে তিনি বৌয়ের পাতিলের দিকে তাকিয়ে দেখলেন যে, পাতিলে আর এতটুকু পরিমাণেও পিঠা তো দূরের কথা; একটু রসও অবশিষ্ট নাই। পাতিল টা দেখেই ওনার পেটের মধ্যে হঠাৎ কিসের যেন খোঁচা দিতে থাকে। কোন রকমে চোখের পানি চেপে রেখে বিলকিস বেগমের মাথায় হাত দিয়ে মকবুলের মা বলেনঃ
-মারে, যতই আমার কাছে তুই লুকাস; আমিও যে মা! আমি তো সবই বুঝিরে মা! এত কষ্টের তৈরি করা পিডা শেষ পর্যন্ত তুই নিজের মুখে দিয়া একটু দেখতেও পারলি না যে সেটা কেমন হইছে? কি আর করবি রে মা! সবই যে নিয়তি! আচ্ছা যাইরে মা! তুই ভাল থাকিস!

মকবুলের মা কাপড়ের আঁচল দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বাইরে চলে আসলেন। মন্তেজ মিয়া এবং বিলকিস বেগম কোন কিছু না বুঝে উনার গমন পথের দিকে অবাক হয়ে চেয়ে রইলেন! মকবুলের মা পথে যেতে যেতে ভাবতে লাগলেনঃ

-হায়রে আমার সংসার! এত কষ্ট করে হাড় ভাঙা খাটুনি খেটে একটা জিনিস যে তৈরি করলো, শেষ পর্যন্ত সেই জিনিসটা সে একটু চেখেও দেখতে পারলো না। বৌ আমার কাছে গোপন করে? কিন্তু বৌ তো জানেনা যে, আমিও একজন মা। যতই সে আমার কাছে গোপন করুক, আমিতো সবই বুঝি। বৌ আজ যে সময়টা পার করছে, সেই সময়টা যে আমি আজ থেকে বিশ বছর আগে পার করে এসেছি।

তিনি একটু দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে মুূখ করে বিড়বিড় করে বলেনঃ
-ক্যান যে খোদা মানুষরে এমন গরিব আর বড়লোক কইরা তৈরি করে? এমন খেল দেহাইয়া বিধাতার মনে যে কি সুখ আহে হেইডাই মুই বুঝবার পারি না! সৃষ্টিকর্তা যদি এই পৃথিবীর কোন মানুষরে গরিব বড়লোক না রাইখা সবাইরে সমান কইরা দিতো তাইলে মনে হয় ভাল হইতো। অন্তত ক্ষুধার তাড়না থেকে তো সবাই বাঁচতো! পৃথিবীতে আর কেউ তো কখনো না খেয়ে মরতো না। ক্ষুধার যন্ত্রনা যে কত ভয়াবহ যন্ত্রনা, হেইডা যে না সহ্য করছে সে জানবো ক্যামনে? কিন্তু ক্যান যে খোদা এমনটা করে না সেইটা তিনিই ভাল জানেন? কারণ তিনি যে অনেক বড় খিলাড়ি............!!


পুনশ্চঃ- পৃথিবীতে যদি ভালবাসা পরিমাপ করা যন্ত্র থাকতো, আর সেই যন্ত্রে যদি পরিবারের সবার ভালবাসাকে পরিমাপ করা যেতো। তাহলে কোন রকম সন্দেহ ছাড়াই ঐ যন্ত্রে যার ভালবাসাটা সবার চেয়ে উপরে থাকতো তিনি আর কেউ নন, আমাদেরই গর্ভধারিণী 'মা'!!

আপনার গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড আপনাকে যতই ভালবাসার গল্প শুনাক না কেন, মায়ের নিঃস্বার্থ ভালবাসার কাছে তার ঐ স্বার্থান্বেষী ভালবাসার মূল্য "আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে এক টুকরা বরফ খন্ডের সমান"!!

আপনার মা আপনার জন্য ঠিক কি পরিমাণে কষ্ট করেছেন সেটা যদি বুঝতে চান, তাহলে আপনি আপনার স্ত্রীকে দেখতে পারেন। কারণ আপনার স্ত্রী আপনার সন্তানের জন্য যতটা কষ্ট করেন, আপনি ছোট থাকতে আপনার মা-ও আপনার জন্য ঠিক ততটাই কষ্ট করেছেন!!

"মা তখনও কাঁদে যখন সন্তান ভাত খায় না, আবার মা তখনও কাঁদে যখন সন্তান ভাত দেয় না"

"সবাইকে সপ্তম বাংলা ব্লগ দিবসের শুভেচ্ছা"

.....................................সমাপ্ত.....................................

বিঃ দ্রঃ- এই গল্পের বিষয়বস্তু সহ যাবতিয় চরিত্র সম্পূর্ন কাল্পনিক। যদি কারো ব্যক্তিগত জীবনের সাথে মিলে যায়, তাহলে সেটা একান্তই কাকতালীয় মাত্র। সেজন্য লেখক কোন অংশেই দ্বায়ী থাকবে না। তাছাড়া টাইপিংয়ের ভুলের কারনে হয়তো অনেক জায়গায় বানানে ভুল থাকতে পারে। সেটাকে বিবেচ্য বিষয় হিসাবে না ধরে, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে কৃতার্থ হবো!

মন্তব্য ৭৭ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৭৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮

নেক্সাস বলেছেন: অনেক সুন্দর গল্প। বর্ণনা সাবলীল। বাক্য চয়ন চমৎকার।

তবে আমার মত

"-হায়রে আমার সংসার! এত কষ্ট করে হাড় ভাঙা খাটুনি খেটে একটা জিনিস যে তৈরি করলো, শেষ পর্যন্ত সেই জিনিসটা সে একটু চেখেও দেখতে পারলো না। বৌ আমার কাছে গোপন করে? কিন্তু বৌ তো জানেনা যে, আমিও একজন মা। যতই সে আমার কাছে গোপন করুক, আমিতো সবই বুঝি। বৌ আজ যে সময়টা পার করছে, সেই সময়টা যে আমি আজ থেকে বিশ বছর আগে পার করে এসেছি।"

এটা না হলে চলে। আগের অংশে একি কথা এসেছে।

শুভ কামনা

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য নেক্সাস ভাইকে প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই!



আপনি মন্তব্যে যে বিষয়টা উল্লেখ করেছেন সেটা একদমই ঠিক আছে। তবে একটু খেয়াল করলে দেখবেন যে আগেরটার সাথে পরেরটা কিছুটা ব্যাতিক্রম! মানে আগের ডায়লোগের সাথে আরো কিছু কথা সংযোজন করেই পরের ডায়লোগটা তৈরি করা হয়েছে।


তবে পরবর্তিতে এ ব্যাপারে যথেষ্ট খেয়াল থাকবে! আপনার জন্যও শুভ কামনা!

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আহারে !
""মায়ের মত দরদী কেউ নাইরে !""

খুব ভাল লাগলো লিখাটি ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

সাহসী সন্তান বলেছেন: গল্পটা আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারও অনেক ভাল লাগছে প্রিয় লিটন ভাই!




শুভ কামনা জানবেন!

৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬

ধমনী বলেছেন: আঞ্চলিক ডায়ালগগুলো ভালো লেগেছে। গল্পের বর্ণনা প্রাঞ্জল। তবে আরেকটু কৌতুহল উদ্দীপক হলে ভালো লাগতো। আপনার পোস্টের বিষয়ে প্রত্যাশার মান আপনিই বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই একটু সমালোচনা করে দিলাম।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই গল্পটা খুবই সাধারন, তাই এটাতে খুব বেশি কৌতুহল রাখিনি! তাছাড়া এমন গল্পে আবার বেশি কৌতুহল যোগ করলে অনেক পাঠকের বুঝতে সমস্যা হয়।


আপনার সমালোচনা আমার আগামীর পথ চলাকে আরো বেশি সহজ করে দেবে। সেজন্য আপনার এই সমালোচনাটাই আমার কাছে সব থেকে বেশি ভাল লেগেছে!


শুভ কামনা!

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬

কাবিল বলেছেন: এই শীতের সময় এমন অভাগা শিশু অনেক আছে যারা তৃপ্তি মিটিয়ে পিঠা খেতে পারছে না, সেই সব শিশুকে সমবেদনা জানায়।
আর মায়ের কথা কি বলব, যার তুলনা কোন কিছুতে হয়না।
"মা তখনও কাঁদে যখন সন্তান ভাত খায় না, আবার মা তখনও কাঁদে যখন সন্তান ভাত দেয় না"
দারুন লিখেছেন। অনেক ভাল লাগলো।
সকল মায়ের শান্তি কামনা করি।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০২

সাহসী সন্তান বলেছেন: গল্পটা আমি সেই সমস্ত মায়েদের উদ্দেশ্য করেই লিখেছি, যারা সন্তানের সুখের কথা, পরিবারের শান্তির কথা চিন্তা করে নিজেদের সুখকে বিসর্জন দেন!




আপনার চমৎকার মন্তব্য আমার লেখার পাথেয় হয়ে থাকলো! শুভ কামনা জানবেন!

৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

প্রামানিক বলেছেন: -হায়রে আমার সংসার! এত কষ্ট করে হাড় ভাঙা খাটুনি খেটে একটা জিনিস যে তৈরি করলো, শেষ পর্যন্ত সেই জিনিসটা সে একটু চেখেও দেখতে পারলো না। বৌ আমার কাছে গোপন করে? কিন্তু বৌ তো জানেনা যে, আমিও একজন মা। যতই সে আমার কাছে গোপন করুক, আমিতো সবই বুঝি। বৌ আজ যে সময়টা পার করছে, সেই সময়টা যে আমি আজ থেকে বিশ বছর আগে পার করে এসেছি।

মায়ের ভালবাসা নয় মায়ের নাড়ির সাথে যে সন্তানের তার বিহীন সংযোগ থাকে এটার প্রমাণ আমি নিজে। অনেক ভাল লাগল মায়ের গল্প। ধন্যবাদ

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: কোন সন্তান যখন দুধ খাওয়ার জন্য কাঁদে, আর মা তার সমস্থ কাজ ফেলে রেখে যখন সন্তান কে দুধ খাওয়ানোর জন্য ছুটে আসেন! সন্তান মায়ের দুধটা মুখে নিয়ে প্রথম টানে যতটুকু দুধ তার মুখে নেয়, এর বিনিময়ে যদি সমস্থ পৃথিবী এনে মায়ের পায়ের সামনে হাজির করা হয়; তবুও ঐ এক ফোঁটা দুধের দাম শোধ হবে না!



মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই! ভাল থাকবেন!

৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬

কিরমানী লিটন বলেছেন: "মা তখনও কাঁদে যখন সন্তান ভাত খায় না, আবার মা তখনও কাঁদে যখন সন্তান ভাত দেয় না"
বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি পৃথিবীর সব মায়েদের জন্য ...

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১১

সাহসী সন্তান বলেছেন: নিজের মাতা সম্পর্কে যদি তোমার অন্তরে সামান্যতম শ্রদ্ধাও থাকে, তাহলে অন্যের মাতাকে কখনো গালি দিও না!
আলোচ্য উক্তিটি আমার নয়, মহা মণিষীদের!



মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন! শুভ কামনা!

৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: প্রতিটি মমতাময়ী মা কে হাজার সালাম। জনম দুখিনী মায়ের ভালবাসার গল্পে অনেক অনেক ভাললাগা।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: বাচ্চা বৃষ্টিতে ভিজলে সবাই বাচ্চাকে দোষারোপ করে- 'এই বৃষ্টির মধ্যে না এসে একটু পরে আসতে পারলি না?',
অথচ মা তার সন্তানকে বুকে টেনে নিয়ে বৃষ্টিকে দোষারোপ করে- 'বৃষ্টিটা একটু পরে আসতে পারলো না?'



চমৎকার মন্তব্যে ভাল লাগা জানবেন! শুভ কামনা সব সময়!

৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পৃথিবীতে যদি ভালবাসা পরিমাপ করা যন্ত্র থাকতো, আর সেই যন্ত্রে যদি পরিবারের সবার ভালবাসাকে পরিমাপ করা যেতো। তাহলে কোন রকম সন্দেহ ছাড়াই ঐ যন্ত্রে যার ভালবাসাটা সবার চেয়ে উপরে থাকতো তিনি আর কেউ নন, আমাদেরই গর্ভধারিণী 'মা'!!
...
আপনার মা আপনার জন্য ঠিক কি পরিমাণে কষ্ট করেছেন সেটা যদি বুঝতে চান, তাহলে আপনি আপনার স্ত্রীকে দেখতে পারেন। কারণ আপনার স্ত্রী আপনার সন্তানের জন্য যতটা কষ্ট করেন, আপনি ছোট থাকতে আপনার মা-ও আপনার জন্য ঠিক ততটাই কষ্ট করেছেন!!


বৈচিত্র না থাকলেও গল্প হিসেবে সাধারণ হলেও গল্পের মান অনেক ভাল। শীতের গল্পে দ্যারিদ্রের ছাপে একজন মায়ের ভেতরটা ফুটিয়ে তুলেছেন চমৎকারভাবে। সাবলীল বর্ণনা যেটা আপনার ব্লগ লেখার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য সেটা যথারীতি ধরে রাখতে পেরেছেন।
মায়ের ভূমিকা একজন সন্তানের জীবনে যে কতটা অপরিমেয় সেটা পরিমাপ করা সম্ভব নয়। এই ব্যাপারটা আসলে সব সন্তান যদি বুঝতে পারত তবে জগতে শান্তি বিরাজ করত তাতে সন্দেহ নেই। বেশিরভাগ নিম্নশ্রেণিতেই মায়ের প্রতি সন্তানের অবিচার/অত্যাচার প্রত্যক্ষ করা যায়। আর্থিক বন্দিত্বই এর মূল কারণ। যাইহোক এ বিষয়ে আর এগুচ্ছি না।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: শুধু নিম্নশ্রেনী বলছেন কেন? আমি এমন অনেক উচ্চবিত্ত পরিবারেও দেখেছি যে নিজের পালঙ্কের উপরে থেকেও মাকে ফেলে রাখে মেঝেতে! নিজেরা দামী-দামী শীত বস্ত্র ব্যবহার করলেও মায়ের জন্য রাখে একটা ছেড়া চাদর!



আমি যেহেতু অসাধারণ কেউ নই সুতরাং আমার লেখাও যে অসাধারণ কিছু হবে না সেটাই স্বাভাবিক! তাছাড়া বর্ননার ব্যাপারে এমন ভাবে বললে শরম পাই! তবে আমার লেখা গুলোকে সব সময় সাবলিল রাখার চেষ্টা করি যাতে, আমি ঠিক কি বুঝাতে চেয়েছি সেটা পাঠক এক দেখাতেই বুঝে নিতে পারে!


মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মায়েরা চিরদিন এমনি!!!

উজার করে দিয়ে যায় বিনিময়ের আশা না করেই!!!!

মায়ের জন্য অন্তহীন শ্রদ্ধা আর দোয়া।

গল্পে+

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩১

সাহসী সন্তান বলেছেন: সত্যিই বলেছেন আপনি! আসলেই মায়েরা চিরদিন এমনই হয়! মায়ের তুলনা যে এই জগতে আর নাই!



পাঠ, মন্তব্য এবং প্লাস দেওয়ার জন্য ভৃগু ভাইকে ট্রিপল ধন্যবাদ! ভাল থাকবেন!

১০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান ,



সমাজের প্রান্তিক গোষ্ঠীর দিনমানের ছবি এঁকেছেন ।

ক্যান যে খোদা মানুষরে এমন গরিব আর বড়লোক কইরা তৈরি করে? এমন খেল দেহাইয়া বিধাতার মনে যে কি সুখ আহে হেইডাই মুই বুঝবার পারি না! আসলেই কেন যে এমন হয় !!!!!!!!!

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: জী এস ভাইয়ের মন্তব্য করার স্টাইলটা আমার কাছে সত্যিই দারুন লাগে! আগেও হয়তো কথাটা অনেকবার বলেছি, আবারও না হয় বললাম!



আসলেই ভাই, সমাজের নিত্যদিনে মায়েদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেই আমার আজকের এই লেখা!

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

১১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

শায়মা বলেছেন: হায়রে আমার সংসার! এত কষ্ট করে হাড় ভাঙা খাটুনি খেটে একটা জিনিস যে তৈরি করলো, শেষ পর্যন্ত সেই জিনিসটা সে একটু চেখেও দেখতে পারলো না। বৌ আমার কাছে গোপন করে? কিন্তু বৌ তো জানেনা যে, আমিও একজন মা। যতই সে আমার কাছে গোপন করুক, আমিতো সবই বুঝি। বৌ আজ যে সময়টা পার করছে, সেই সময়টা যে আমি আজ থেকে বিশ বছর আগে পার করে এসেছি।


খুবই ভালো হয়েছে ভাইয়া। :(

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ আপুনি! আপনার উপস্থিতি বরাবরই আমার অনুপ্রেরণা......!!




শুভ কামনা জানবেন!

১২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৭

জুন বলেছেন: মা এরা মনে হয় এমনি হয় সাহসী। ব্যতিক্রম আংগুলের কড় গুনে পাওয়া যাবে। গল্পটি পড়ে মনটা আদ্র হয়ে উঠলো। অনেক অনেক ভালোলাগলো পড়ে।
আমার লেখা সত্যিকারের এক মায়ের গল্প পড়ে দেখতে পারো সময় থাকলে
এক মা এর স্মৃতিচারন

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২২

সাহসী সন্তান বলেছেন: জুনাপুর মন্তব্য আমার ব্লগের সম্পদ! আজকের মন্তব্যও তার ব্যতিক্রম নয়! অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য!




জুনাপু, আপনার পোস্টটা পড়েছি, মন্তব্যও করে এসেছি! আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি লিংকটা শেয়ার করার জন্য!
শুভ কামনা জানবেন আপু!

১৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৭

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: মা সেতো মা।

কিন্তু সন্তান বড় হয়ে মায়ের মূল্য বুঝেনা।

সময় থাকতেই আমাদের মায়ের প্রতি আরো যত্নবান হওয়া দরকার।

ভাল লেগেছে গল্পটা।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: যে সন্তান তার বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সাথে যেমন ব্যবহার করবে, পরবর্তিতে তার সন্তানের কাছ থেকেও সে ঠিক তেমনই ব্যবহার পাবে! এটাই হলো নিয়তি!



গল্প ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

১৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২২

সুলতানা রহমান বলেছেন: ভাল লেগেছে।+

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: গল্প পাঠ, মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ট্রিপল ধন্যবাদ জানবেন!



ভাল থাকুন সব সময়!

১৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৭

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: অনেক ভাল লাগল , ধন্যবাদ আপনাকে ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ দৃষ্টিসীমানা......!!




শুভ কামনা জানবেন!

১৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

আজাদ মোল্লা বলেছেন: কোন কথা না শুধু লাইক দিলাম ,
++++++++++

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আজাদ মোল্লা পাঠ, মন্তব্য এবং প্লাস দেওয়ার জন্য!





শুভ কামনা জানবেন!

১৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

আমি মাধবীলতা বলেছেন: চোখ মন দুটোই ভিজে উঠলো !!! আসলেই মায়েরা কোন কিছুরই বিনিময় আশা করে না....
সুন্দর গল্পে ভালোলাগা প্রিয় সাহসী !!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু!


আপনার নিক নেমটাও অনেক সুন্দর! শুভ কামনা জানবেন!

১৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৪

আমি মাধবীলতা বলেছেন: ধন্যবাদ !! :)
কালবেলা মনে আছে ? অনিমেষ ? আমি সেই মাধবীলতা !!!
(কেউ যেন না জানে ! :D )

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: হু, খুব মনে আছে! যে উপন্যাস লেখার জন্য লেখক সমরেশ মজুমদার বিখ্যাত আকাদেমি পুরষ্কার লাভ করেন? আহরে, আমার ব্লগে একজন বিখ্যাত ব্যক্তির পদচারণা পাওয়া গেল! ধন্য আমার ব্লগ জীবন.......!! :D




তয় আপু, বিষয়টা মনে হয় আর গোপন থাকলো না যে, আপনিই সেই মহিয়ষী রমণী! :`>

১৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১২

আমি মাধবীলতা বলেছেন: আর আপনি আমার ব্লগে গিয়ে যে আমাকে ধন্য করে আসেন তার কি হবে !!


কেন থাকবে না ? আচ্ছা আপনি গোপন রাখবেন তার জন্য আপনাকে একটা চকলেট ! এখন ঠিক আছে তো ?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: বিদায়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, কিন্তু আপনার মন্তব্য দেখে আবারও লগইন করতে হলো! :`>


আমি আপনার ব্লগে গিয়ে আপনাকে ধন্য করে আসি এই কথাটা একদমই ঠিক না! কারণ একজন ব্লগার হিসাবে আপনি আমার ব্লগে আসবেন, পোস্ট পড়বেন, মন্তব্য করবেন; আমিও অনূরুপ তাই করবো এটাইতো স্বাভাবিক!


গোপন রাখতে পারি (সত্যিই কি থাকবে?), তয় চকলেট না; চুইংগাম দিতে হবে? আর চকলেট দিলে লিচি দিবেন? অন্যতা খাই নাআআআআআআআআ......!

২০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৫

আমি মাধবীলতা বলেছেন: আমি প্রায় দুবছর ধরে ব্লগে আসি...মুগ্ধ হয়ে যাই একেকটা লেখা পড়ে..নিজের ব্লগের ইচ্ছে ছিল খুব কিন্তু কেমন যেন সাহসে কুলোয়নি :``>>
শেষমেষ চলেই আসলাম মাধবীলতা হয়ে ! আর আপনাদের মতো ব্লগাররা যখন আমার ব্লগে আসেন - অভিভূত হয়ে বসে থাকি কিছুক্ষণ !! আমার ছাইপাশ লেখায় মন্তব্য পেয়ে শুধু নাচতেই বাকি রাখি !! :``>>


আচ্ছা আপনার জন্য একটা লিচি ক্যান্ডি...আর..চুইংগাম ? তাও লিচি ?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনি দু'বছর ধরে ব্লগে আসেন (?) তার মানে আমার থেকেও সিনিয়র পারসন? আমার ব্লগিং বয়স কত জানেন? মাত্র সাত মাস! সুতরাং আমি আপনার ব্লগে যাবো সেইটা আনন্দের না, আপনি আমার ব্লগে আসেন সেটাই হলো আমার কাছে সব থেকে আনন্দের!



তারপরেও যদি এত ভাল লাগে আমরা আপনার ব্লগে গেলে, তাহলে একটা পার্টির ব্যবস্থা করেন! আপনি আনন্দে ব্রেক ড্যান্স করবেন, আর আমরা সবাই সেটা দেখে হাতে তালি বাজাবো? আহঃ, দারুণ হবে কিন্তু যদি এমন হয়......??


Atome চাবাইতে চাবাইতে আপনার মন্তব্যের প্রতি উত্তর করছি! সুতরাং এখনকার ফিলিংস- হেব্বি ভাল্লাগছে!

২১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


মন ছুঁয়ে যাওয়া একটা লেখা।

মায়ের কথা বলে আসলে বোঝানো সম্ভব না। এইটা অনুভবের বিষয়।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ব্রাদার! আপনার উপস্থিতি অনেক ভাল লাগলো......!!



গল্পটা আপনার মন ছুঁয়ে গেছে জেনে অনেক খুশি হলাম! শুভ কামনা জানবেন!

২২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: মা হচ্ছে পথিবীর সবচে প্রথম শব্দ ৷
ঈশ্বরকে সৃষ্টি করেছিল মা, তাই মায়ের পর ঈশ্বর

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: সৃষ্টি কেমন করে তার স্রষ্টাকে সৃষ্টি করে ঠিক বুঝলাম না?



ব্লগে স্বাগত! শুভ কামনা জানবেন!

২৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৬

আমি মাধবীলতা বলেছেন: বর্ষপূর্তিতে পার্টি হয়েও যেতে পারে...হাততালি যদি না পাই তখন কিন্তু আর কাউকে চকলেট দিব না !!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: কনকি আপু? ৫২ সপ্তাহে এক বছর। আর আপনার নিকের বয়স এখন মাত্র ২ সপ্তাহ ৫ দিন! তার মানে এখনো ৪৯ সপ্তাহ ২ দিন আমাকে অপেক্ষা করতে হবে, আপনার পার্টি দেখতে হলে?



পারবো না আমি এতদিন অপেক্ষা করতে! আচ্ছা এইটা কি আপনার চকলেট না দেওয়ার ফন্দি?

২৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৫

আমি মাধবীলতা বলেছেন: বেশি বুঝলে তো ঝামেলা !! :D

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: :`>

২৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

আমার আমিত্ব বলেছেন: কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


মন ছুঁয়ে যাওয়া একটা লেখা।

মায়ের কথা বলে আসলে বোঝানো সম্ভব না। এইটা অনুভবের বিষয়।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: কান্ডারি ভাইকে আগেই ধন্যবাদ জানিয়েছি! আর আপনাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি মন্তব্যের জন্য!



শুভ কামনা জানবেন!

২৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

দর্পণ বলেছেন: ভাই এই অসাধারণ পোস্টখানা আমি লগ অফ থাকা অবস্থায় পড়ছিলাম। জানান দিয়া গেলাম।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্ট পড়ে মন্তব্য না করলে আপনার লাইগা আমি ফোর্স পাঠাইতাম না?



অনেকদিন পর আপনাকে দেখছি! আপনারা সবাই হঠাৎ এমন হয়ে গেলেন কেনো? কাউরেই আর দেখি না? সবাই কেমন যেন ব্যস্ত ব্যস্ত ভাব?


যাক তারপরেও আসছেন জেনে খুশি হলাম! কেমন আছেন খালুভাই?

২৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৫

দর্পণ বলেছেন: আপনাদের মত বয়সে আমিও এমন কথাই কইতাম। আমার জায়গায় যখন আসবেন তখন আপনারাও একই কথা কইবেন।

আছি একরকম। আপনে তো আছেন মনে আনন্দ নিয়া।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: হুম, খালুরা তো সব সময় দৌঁড়ের উপরে থাকবেই! আপনার মত বয়স হইলে যদি আমার অবস্থাও আপনার মত হয়, তাইলে যাইতে চাইনা আপনার বয়সে! খালু, এমন কোন ঔষধের ফরমূলা জানা নেই যা খাইলে আজীবন এমনই থাকা যায়.....? :`>



আমি আনন্দে আছি বুঝলেন ক্যামনে?

২৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: খুব মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্পটা।

"মা তখনও কাঁদে যখন সন্তান ভাত খায় না, আবার মা তখনও কাঁদে যখন সন্তান ভাত দেয় না"- মর্মস্পর্শী একটি লাইন।
অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: তনিমা আপুর চমৎকার মন্তব্য অনেক ভাল লাগলো!



আসলে এই পৃথিবীতে মায়ের সাথে কারোরই তুলনা চলে না! মায়ের তুলনা মা নিজেই.....!!


মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

২৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৩

জেন রসি বলেছেন: চিরাচরিত গ্রাম বাংলার একটি চমৎকার পারিবারিক আবহ আছে এই গল্পতে। সকল বাবা মাই চায় সন্তানদের খুব যত্নে ভালো রাখতে। কিন্তু সেখানেই আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট চলে আসে। অর্থাৎ ইচ্ছার সাথে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব।

গল্প ভালো লেগেছে। :)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩২

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য! ঠিকই বলেছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, ক্ষমতার কাছে নিজের ইচ্ছাগুলো সব বিক্রি হয়ে গেছে! যার ক্ষমতা যত, তার ইচ্ছাগুলোও ঠিক ততটাই প্রসারিত!


মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! ব্যস্ত আছেন জানি! তবে কেমন আছেন জানতে ইচ্ছা করছে?

৩০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

জেন রসি বলেছেন: ভালো আছি। নতুন বছর থেকে আবার ব্লগে সচল হব আশা রাখি। :)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার কথা শুনে অনেক খুশি হলাম! নতুন বছর থেকে তাহলে আবার নতুন ভাবে পথ চলা শুরু হবে!



শুভ কামনা!

৩১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: রসে তৈরি করা চিতই কখনো খাইনি। নরমালি দুধচিতই ছাড়া অন্য ভেজানো চিতই খাওয়া হয়নি।
গল্পের কাহিনিতে মায়ের মমত্ববোধ, পারিবারিক আবহের ছবি পাওয়া যায়। ভালো লেগেছে।
লেখার মাঝে মাঝে ছবি ইনপুট করেছেন এটা ভালো লাগেনি। আর গল্পের ভাষা ততটা রিচ হয়নি। টুকটুকি, পুঁটিদের ভাষা যেমন বা পারিবারিক অবস্থা অনুযায়ী যে ভাষা সিলেক্ট করেছেন সেখানে শুরুতেই - আমায় আগে দিতে হবে!', না আমাকে আগে দিতে হবে -- এমন শুদ্ধ ভাষা যায় না।
এগুলো ঠিক করে নিয়েন।
শুভকামনা রইলো

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ ধর্মী মন্তব্যের জন্য অপর্ণা আপুকে প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই! গল্প লিখতে গেলে অনেক সময় এমন খুঁটি-নাটি বিষয় থাকে যেগুলো সহজে নিজের চোখে ধরা পড়ে না, কিন্তু পাঠকরা ঠিকই সেটা বুঝতে পারে। আর আমার গল্পের সেই সমস্থ বিষয়গুলোকে সামনে তুলে আনার জন্য প্রিয় আপুকে আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ!

ভাষার ব্যবহারটা বলতে গেলে, যদিও এটা আমার ব্যর্থতা তারপরেও বলতে হয় যে; আমি আসলে আপু আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহারটা খুব বেশি ভাল পারি না এটাই হলো সব থেকে বড় সত্যি কথা। আমি আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করতে গেলেই তার মধ্যে সাধু ভাষা চলে আসে। যদিও গল্পের ডায়ালোগের মধ্যে সাধু এবং চলিত ভাষার মিশ্রণ থাকলে সেটা পাঠকের কাছে পড়তে কিছুটা বিরক্তিকর মনে হয়, তবে চেষ্টা করবো পরবর্তিতে এমনটা না করার।

আর ছবির ব্যাপারটা হলো, আপু আপনি যদি একটু ভাল ভাবে গল্পটা খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন যে, আমার গল্পটা তুলনামূলক ছোট হলেও গল্পটা মোট তিনটা প্যারায় শেষ হয়েছে। আর আমি প্রথম তিনটা ছবি সেই এক একটা প্যারা শেষ করেছি আর একটা করে ছবি সংযুক্ত করেছি। যদিও এক, দুই বা তিন লিখতে পারতাম কিন্তু সেটার থেকে ছবিটাই আমার কাছে ভাল মনে হয়েছে তাই-ই দিয়েছি বলতে পারেন।
আর শেষের ছবিটাতো আপনাদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়েই দেওয়া হয়েছে সেটাতো বুঝতেই পারছেন? সুতরাং ওটাতে নিশ্চই কোন আপত্তি নেই?

দেরিতে প্রতিউত্তর করার জন্য দুঃখিত! শুভ কামনা জানবেন!

৩২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

সুমন কর বলেছেন: প্লটটা খুব ছোট এবং সাধারণ। কিন্তু বাস্তবমিশ্রিত। মায়ের জন্য গল্পটি ভালো লেগেছে।

মা'কে নিয়ে যে কোন লেখা পড়লেই মনটা ভারী হয়ে যায়। কারণ, মা এখন আর আমার পাশে নেই !!

ভালো থাকুন।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: আসলেই ভাই, মাকে নিয়ে যা কিছুই লেখা হোক না কেন সেটা আমার কাছেও অনেক ভাল লাগে! তবে আপনার দ্বিতীয় প্যারার কথাগুলো পড়ে আমারও মনটা খারাপ হয়ে গেল! :( কথায় আছে না, এই জগতে যার মা নেই তার কেউ নেই?

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! দেরিতে প্রতি উত্তর করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি! শুভ কামনা জানবেন!


বিঃদ্রঃ আপুনির পোস্টে দেখলাম আপনি ৩১শে ডিসেম্বর উপলক্ষে নাকি আড্ডা পোস্ট দিচ্ছেন? আমিও চাইছিলাম ঐ দিনে একটা ফান পোস্ট প্রকাশ করতে, কিন্তু আপনি দিবেন জানতে পেরে আমারটাকে আপাতত স্থগিত করে রাখলাম। কারণ ফান পোস্ট অনেক হয়ে গেলে আড্ডা জমে না, সে জন্যই বলতে পারেন! যাহোক, পোস্ট করেন! আড্ডা দেওয়ার জন্য অগ্রীম প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছি...........!! ;)

৩৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চমৎকার কাহিনী! পৃথিবীতে মায়ের চেয়ে অাপন কেউ নেই- গল্পে এই চিরন্তন সত্যটাই প্রতিভাত হয়েছে । ভালো লাগলো খুব!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

সাহসী সন্তান বলেছেন: অনেক সুন্দর মন্তব্য! আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই! একজন মা তার সন্তানের জন্য ঠিক কতটা আত্মত্যাগ স্বীকার করতে পারে, গল্পের মাধ্যমে আমি সেটাকেই মূলত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি.....!!



চমৎকার মন্তব্যে ভাল লাগা জানবেন! শুভ কামনা রইলো!

৩৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আদর, দরদ সবই আছে, কিন্তু বাংলার সম্পদ কিছু লোক দখল করে রেখেছে, অনেকের জন্য কিছুই নেই।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই! শুভ কামনা জানবেন.....!!

৩৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড আপনাকে যতই ভালবাসার গল্প শুনাক না কেন, মায়ের নিঃস্বার্থ ভালবাসার কাছে তার ঐ স্বার্থান্বেষী ভালবাসার মূল্য "আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে এক টুকরা বরফ খন্ডের সমান"!!..........এ ব্যাপারে আমাদের বিন্দু মাত্র সন্দেহ নাই, আপনার চমৎকার লেখনিতে মুগ্ধ আমি।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: এভাবে বলে আমাকে লজ্জা না দিলেও পারতেন ভাই সাদা মনের মানুষ! আপনার কত বড় মাপের মানুষ, যে হিসাবে আমিতো অতি ক্ষুদ্র মাত্র!


আমিও কিন্তু আপনার প্রত্যেকটা ছবি ব্লগ দেখে অনেক বেশি মুগ্ধ হই! ইচ্ছা আছে একদিন আপনার সাথে ঘুরতে যাবো, প্রকৃতির অপুরুপ লীলা দেখবো আর মুগ্ধ হয়ে বলবো, সত্যিই অসাধারন!


চমৎকার প্রেরণা দ্বায়ক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন! শুভ কামনা!

৩৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: আহরে ভাই আপনার চা টা যদি সকালে ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে দেখতে পেতাম, তাইলে কি আর পকেট খরচা করে খাওয়া লাগতো! যদিও দুধ চা খুব একটা লাইক করিনা, তারপরেও মিয়া ভাইয়ের দেওয়া চা বলে কথা! না খেয়ে কি উপায় আছে......??



অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন! আর সেই সাথে দোয়া করি, এমন ভাবে সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াবেন আর সুন্দর সুন্দর নিদর্শন সমূহ আমাদের সামনে এনে হাজির করবেন......!!

৩৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনাকে এক কাপ চা দেওয়ার জন্য অনেক কষ্ট করলাম :D

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: হেঃ হেঃ সেইটা তো ভাই আপনার ঘাম ঝরানো আগের দুইটা কমেন্ট দেইখাই বুঝবার পারছি! তয় বহুত খুশি হইছি ভাই......যে আমার জন্য আপনি এতটা কষ্ট করছেন!



শুভ কামনা সব সময়ের জন্য!

৩৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২

চ্যাং বলেছেন: সুন্দুর গপপো কইরালচুইন ভাইয়া!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫০

সাহসী সন্তান বলেছেন: চ্যাং ভাউয়ের টাকলু মস্তক আর কিম্ভুক্তিমার হাতুড়ি তো এহন আর আমাগো দিকে দেখাই যায় না? তারপরেও হুট কইরা চইলা আইছেন যাইনা বহুত খুশ হুয়া......!!



গল্প ভাল্লাগছে যাইনা তো নাচতে মুঞ্চায়! তয় ফ্লোরের ক্ষতি হবে দেইখা আপাতত খেমা দিলাম! শুভ কামনা জানবেন ভাই!

৩৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সরলভাবে বলা গল্প। বেশ লাগল।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন ভাই! শুভ কামনা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.