নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

{♥ যদি কখনো নিজেকে একা ভাবো, তাহলে ঐ দূর আকাশের অসীম সীমান্তের দিকে তাকিয়ে থাকো! কখনো নিরাশ হয়ে যেও না! হয়তো বা একটা বাজপাখিও তোমার দিকে উড়ে আসতে পারে! ♥}

সাহসী সন্তান

আমাকে তোর ভালোবাসার দরকার নেই। শুধু পাশে থেকে একটু সাহস যোগাস, দেখবি তখন ভালোবাসাটা এমনিতেই চলে আসবে!!

সাহসী সন্তান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বিপন্ন মানবতার নৃশংসতম হত্যার আর এক নাম-গর্ভপাত"

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৬



দৃষ্টি আকর্ষণঃ- গত ০৬ ই আগষ্ট ২০১৫ ইং তারিখ, দুপুর-১২:৫৮ মিনিটে এই পোস্টটি আমি সামহোয়্যার ইন ব্লগে প্রথম প্রকাশ করি। কিন্তু পরবর্তিতে সহ ব্লগার এহসান সাবির ভাইয়ের পরামর্শ এবং অনুরোধে পোস্টটিকে আমি আবারও রিপোস্ট হিসাবে প্রকাশ করলাম। আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এহসান সাবির ভাইয়ের প্রতি, সব সময় আমার পাশে থেকে এভাবে আমাকে উৎসাহ প্রদান করার জন্য!


আমার আজকের পোস্টটি শুরু করার আগে সর্ব প্রথম আমি আপনাকে খুব ছোট এবং অতি সাধারন দুইটা প্রশ্ন করবো। আমার প্রথম প্রশ্ন, বলেনতো অন্যায় ভাবে কোন প্রানী হত্যা করাকে আপনার দৃষ্টিতে কি মনে হয়?
নিশ্চই বলবেন 'খারাপ/পাপ'! আমি জানতাম যে আপনি ঠিক এই কথাটাই বলবেন। শুধু আপনি কেন, এই পৃথিবীর সবাই বলবে 'অন্যায় ভাবে যে কোন প্রানী হত্যা করা অবশ্যই পৃথিবীর জঘন্যতম একটি কাজের মধ্যে অন্যতম।' আর সেই প্রানীটা যদি মানুষ হয় তাহলেতো তা আরও খারাপ, আরও জঘন্য!

এবার দ্বিতীয় প্রশ্ন, গর্ভপাতের মাধ্যমে মানব ভ্রুন হত্যা করাকে আপনার দৃষ্টিতে কেমন মনে হয়?
আমি জানি আমার এই প্রশ্নে স্বাভাবিক ভাবেই আপনার মনের মধ্যে দুইটা ভাগ হয়ে যাবে। যার একভাগ বলবে অবশ্যই এটাও একটা খারাপ কাজ। আর অন্য ভাগ বলবে 'মানুষতো আর ইচ্ছা করে গর্ভপাত করায় না। এটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দূর্ভাগ্যক্রমে ঘটে যায়'। হাঁ আপনার কথা ঠিক। কিন্তু যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে নিজের গর্ভের সন্তানকে মেরে ফেলছে তাদের সম্পর্কে আপনি কি বলবেন? নিশ্চই দ্বিধা-দ্বন্দের মধ্যে পড়ে যাচ্ছেন? আমিযে কেন আপনাকে এই দুইটা প্রশ্ন করলাম, সেটা জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে নিন্মোক্ত পোস্টটা ভাল ভাবে পড়তে হবে। তহলে চলুন দেরি না করে আমরা মূল আলোচনায় ফিরে যাই।

গর্ভপাত কাকে বলেঃ- সঠিক সময়ের আগে জরায়ু থেকে ভ্রুণ বেরিয়ে আসাকে গর্ভপাত বলা হয়। গর্ভপাত ইচ্ছাকৃত ভাবে ঘটানো যায়, আবার কখনও কোন আঘাত বা কারণ ছাড়াই জরায়ু থেকে ভ্রুণ বেরিয়ে আসতে পারে। তবে প্রাকৃতিক কারনের চেয়ে সেচ্ছায় গর্ভপাত ঘটানোর পরিমানটা অনেক বেশি। গর্ভপাতকে কেন্দ্র করে বিলিয়নের পর বিলিয়ন ডলার ব্যবসা গড়ে উঠেছে। ১৯৯৬ সালে আমেরিকার এক সমীক্ষায় দেখা যায় ধর্ষণ ও ইনসেস্টের কারনে মাত্র ১% ও স্বাস্থগত কারণে ৬% গর্ভপাত ঘটে। অর্থাৎ গর্ভপাতের ৯৩% হচ্ছে অপরিকল্পিত গর্ভধারণজনিত গর্ভপাত। অবাধ মেলামেশের কারণে কম বয়সে মা হওয়া, ক্যারিয়ার, পড়াশুনা, দাম্পত্য কলহ, পরকীয়া, লিভ টুগেদার ইত্যাদি কারণসমূহও ইহার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। যে সমাজ গর্ভপাতের মাধ্যমে অনাকাংখিত শিশুকে হত্যা করছে, সেই একই সমাজ আবার শিশু কামনার্থে In Vitro Fertilization-এর পসার জমিয়ে বসেছে! সমস্যা সমাধানের নামে এটা কেমন ধরনের পরিহাস?

গর্ভপাত ও মিসক্যারিজের মধ্যে অনেক বড় ধরনের পার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে। গর্ভপাত হচ্ছে ইচ্ছামূলক। অপরপক্ষে মিসক্যারিজ হচ্ছে স্বতঃস্ফুর্ত। গর্ভধারণের ২২ সপ্তাহের মধ্যে কোন দুর্ঘটনাজনিত আঘাত বা প্রাকৃতিক কারণে জরায়ু থেকে ভ্রুণের বের হয়ে আসাকে স্বতঃস্ফুর্ত গর্ভপাত বলে। ডিকশনারী অনুযায়ী- Abortion is the intentional termination of a pregnancy after conception, অন্যদিকে A miscarriage is the spontaneous loss of a fetus before the 20th week of pregnancy. গর্ভপাত নিয়ে আমাদের ধারণা তেমন একটা স্বচ্ছ নয়, এমনকি যারা গর্ভপাত করান (অথ্যাৎ জড়িত ডাক্তাররা), তাদের অনেকেই এর বীভৎসতা সম্পর্কে তেমন ওয়াকিবহল নন!

কিভাবে গর্ভপাত করানো হয়ঃ- গর্ভ থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভিন্ন উপায়ে গর্ভপাত ঘটানো যেতে পারে। উপায় সমূহ প্রধানতঃ গর্ভধারণকাল বা ভ্রুণের বয়স বা আকারের উপর নির্ভর করে। নিম্নে কৃত্রিম উপায়ে গর্ভপাতের কয়েকটি নৃশংসতম উদাহরন উল্লেখ করা হলো।

স্যাকশন ও এসপিরেশন পদ্ধতিঃ- গর্ভধারনের ১২ সপ্তাহের পর গর্ভপাত ঘটাতে চাইলে সবচেয়ে বেশী যে পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয় তা হচ্ছে Suction Aspiration পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে একটি ভ্যাকুয়াম নল মাতৃজঠরে প্রবেশ করানো হয়। প্রসংগত এটি কাজ করে ভ্যাকুয়াম ক্লীনারের মতই, তবে এখানে কমপক্ষে ২৯ গুন বেশী চাপ প্রয়োগ করা হয়। এই প্রচণ্ড চাপে শিশুটি মুহূর্তের মধ্যেই টুকরো টুকরো হয়ে যায়। এ পদ্ধতির সবচেয়ে বীভৎস অংশ হচ্ছে, যেহেতু শিশুটির মাথা অনেক বড় থাকে সেহেতু এটি নলের মাধ্যমে বের করা যায় না। সেজন্য চিমটার মতন একপ্রকার ধাতব যন্ত্র দিয়ে শিশুটির মাথা দুমড়িয়ে মুচড়িয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা হয়। তারপর উক্ত শিশুটিকে মতৃজঠর থেকে বের করে আনা হয়।

ডায়ালেশন ও ইভাকুয়েশন পদ্ধতিঃ- আরেকটু বড় শিশুর (গর্ভধারণের ১৮-২০ সপ্তাহের পর) ক্ষেত্রে, ভ্যাকুয়াম নল দিয়ে বের করা অত্যন্ত কঠিন (গর্ভস্থ ২০ সপ্তাহ বয়সের শিশু দেখতে কেমন এখানে জানা যাবে)। তাই আরেকটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় যার নাম Dilation and Evacuation (D&E) পদ্ধতি। এখানে এক জাতীয় চিমটার মাধ্যমে বাচ্চাকে মুচড়ানো হয় এবং জীবন্ত শিশুটির দেহের বিভিন্ন অংগ-প্রত্যংগগুলো টেনে টেনে আলাদা করা হয়। মাথাটিকেও প্রচন্ড চাপ দিয়ে বিচূর্ণ করা হয়। যতক্ষণ না বাচ্চাটি সম্পূর্ণভাবে টুকরো টূকরো করে সহজে বের করা যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত বারংবার এই মুচড়ানো ও বিচূর্ণ করার প্রক্রিয়াটি চলতে থাকে। অবশেষে এই নৃশংস হত্যাকান্ডের পর বিচূর্ণ অংগ-প্রত্যংগ গুলো জড়ো করে মিলানো হয় যে সম্পূর্ণ শিশু বের হয়েছে কিনা। কারণ যদি শিশুর কোন অংগ মাতৃজঠরে রয়ে যায় তবে তা মায়ের জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।

লবন পদ্ধতিঃ- গর্ভপাতের আরেকটি অতি সস্তা পদ্ধতি হচ্ছে মাতৃজঠরে লবন বা বিষ প্রয়োগে গর্ভজাত শিশুটিকে ধীরে ধীরে হত্যা করা। পরবর্তীতে শিশুটি মরে যাওয়ার সাধারণত ২৪ ঘন্টার পরে মা মৃত বাচ্চা প্রসব করে। অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চা মরে না এবং জীবিতই প্রসব হয়। সেক্ষেত্রে মাটি চাপা দিয়ে উক্ত শিশুটিকে মেরে ফেলা হয়। আরেকটি ব্যয় বহুল পদ্ধতি হলো prostaglandin নামক একটি হরমোনের ব্যবহার, যা সাধারণত গর্ভধারণের ২০ সপ্তাহ পরে প্রয়োগ করা হয়। এটির মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে প্রসব বেদনা তৈরী করে জীবিত শিশুকে প্রসব করানো হয়। পরে শিশুটিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

জীবন্ত গর্ভপাতঃ- গর্ভপাতের এমন ভয়ংকর বিবর্তন ঘটেছে যে Live abortion -এর মত নিষ্ঠুর ঘটনাও দিন দিন বাড়েই চলেছে। যেখানে শিশুটিকে (সাধারনত গর্ভধারণের ২০ সপ্তাহের পর থেকে) জীবন্ত প্রসব করিয়ে মেরে ফেলা হয়। আমেরিকাতে Live abortion-এর নিষ্ঠুরতা ও তৎসম্পর্কিত জনরোষের কারণে ২০০৩ সালে Partial-Birth Abortion Ban Act আইন পাশের মাধ্যমে তা নিষিদ্ধ করা হয়। মানবতা এতটাই নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আইন করেও কাজ হচ্ছে না, বের করা হচ্ছে নতুন নতুন ফাঁক-ফোঁকর। যেমন গাইনোকলজিস্ট শিশুটির মাথা ছাড়া দেহের বাকী অংশটুকু বের করেন; এতে করে আইনগতভাবে বলা যাবে না যে শিশুটি জীবন্ত প্রসব হয়েছে, কেননা মাথাটি এখনো বের হয়নি। তারপর ছটফট করতে থাকা শিশুটির মাথায় ফুটো করে পাইপের মাধ্যমে মস্তিষ্ককে শুষে বের করে আনা হয়। এর ফলে মাথাটিও সহজে বের করে আনা যায়। এছাড়া এই মৃত শিশুটিকে নিয়েও চলছে নানা রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। মানবতার উন্নতি সেখানে এতই চরমে পৌঁছেছে যে, জীবন্ত অবস্থায় যে শিশুটি ছিল অনাকাংখিত, মৃত্যুর পরে সেই শিশুটিই হয়ে উঠেছে বহু আকাংখিত। তবে মায়ের কাছে নয়, রিসার্চ সেন্টার ও প্রসাধন ইন্ডাষ্ট্রীর কাছে! অবহেলিত, অনাকাংখিত হত্যাকৃত শিশুদের রক্ত মাংসের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠছে Fetal Harvesting Firms । যারা ফেলে দেওয়া শিশুদের অংগ, প্রত্যংগ, মস্তিষ্ক, টিস্যু ইত্যাদি অর্ডার মাফিক সযত্নে পৌঁছে দিচ্ছে রিসার্চ সেন্টারগুলোতে। মানবতার নামে এটা কেমন ধরনের প্রহশন?

গর্ভপাতের সময় গর্ভস্থ শিশুরা ব্যথা পায় কিনাঃ- গর্ভপাত ঘটানোর সময় গর্ভস্থ শিশুরা ব্যথা পায় কিনা তা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। গর্ভস্থ শিশুরা ব্যথা পায় কিনা তা এখনও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করা যায়নি। আদৌ প্রমাণ করা যাবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। কেননা এর সাথে জড়িত রয়েছে রাজনীতি, অর্থনীতি এবং ব্যবসা ও নারীর অধিকার। একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতেঃ "গর্ভস্থ শিশুরা ৬/৭ সপ্তাহ থেকে ব্যথা অনুভব করতে পারে। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজিস্ট এবং De Veber Institute for Bioethics and Social Research এর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট Dr. Paul Ranalli এ সম্পর্কে মত পোষণ করেন যে, গর্ভপাতের সময় মাতৃ গর্ভস্থ শিশুরা অবশ্যই ব্যাথা অনুভব করে। কারন যে সময়ে গর্ভপাতের মাধ্যমে তাদের কে হত্যা করা হয়, সে সময়টাতে ব্যাথা অনুভব করার মত ক্ষমতা তাদের মধ্যে চলে আসে।"

১৯৮০ সালের আগ পর্যন্ত ‘সভ্য’ পশ্চিমা দেশেগুলোতে ভ্রূণ হত্যা নামক ইস্যুটি তেমন গুরুত্বপুর্ণ ছিল না। মাত্র ২৭ মিনিটের একটি ডকুমেন্টারী, The Silent Scream-এর কারণে গর্ভপাতের অবৈধতা নিয়ে সর্বপ্রথম আলোচনা শুরু হয়। গর্ভপাত বিশেষজ্ঞ Dr. Bernard Nathanson গর্ভপাত নিয়ে একটি ভিডিও তৈরী করেন, যিনি বিখ্যাত Center for Reproductive and Sexual Health (CRASH) এর ডিরেক্টর ছিলেন। তিনি নিজেও সারাজীবনে ৭৫ হাজারেরও বেশী গর্ভপাতের সাথে জড়িত ছিলেন।
The Silent Scream নামক হৃদয়বিদারক ডকুমেন্টারীতে দেখানো হয়েছে যে, '১২ সপ্তাহের শিশু সাকশন টিউবকে এড়ানোর জন্য প্রচণ্ডভাবে ছটফট করতে থাকে (ডকুমেন্টারীটি দেখুন)। তার মতে, গর্ভস্থ শিশুরাযে অবশ্যই ব্যাথা অনুভব করে এর মধ্যে কোন রকমের সন্দেহ নেই। এদের দাবী গর্ভপাতকে নিরুৎসাহিত করে বলে তাদের কন্ঠরোধ করার জন্য এদের গায়ে ধার্মিকের তকমা লাগিয়ে দেয়া হয়!'

প্রসংগত, ২০০৭ সালের এক সমীক্ষা অনুসারে আমেরিকার ৮৪% গর্ভপাতের ঘটনায় অবিবাহিতরা জড়িত এবং ৫০% গর্ভপাতকারীর বয়স ২৫ বছরের নিচে। যার ফলে এ গ্রুপটিও নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য গর্ভপাতের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ‘গর্ভস্থ শিশুরা ব্যথা পায় না’ গ্রুপে যোগ দেয়! আশ্চার্য্যজনক ব্যাপার হচ্ছে নারীবাদীরাও জরায়ুর স্বাধীনতার নামে গর্ভপাতের পক্ষে অবস্থান নেয়।

গর্ভপাত সম্পর্কে ইসলাম কি বলেঃ- মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআনে সুরা আল-আনআমের ১৪০ নং আয়াতে উল্লেখ করেনঃ- "নিশ্চই তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, যারা নিজ সন্তানদেরকে নির্বুদ্ধিতাবশতঃ কোন প্রমাণ ছাড়াই হত্যা করেছে এবং আল্লাহ তাদেরকে যেসব দিয়েছিলেন, সেগুলোকে আল্লাহর প্রতি ভ্রান্ত ধারনা পোষণ করে হারাম করে নিয়েছে। নিশ্চই তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং সুপথগামী হয়নি"। ইচ্ছাকৃত গর্ভপাতকে যে ইসলাম সমর্থন করেনা, তা এই আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা অত্যন্ত স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরেছেন।

বাচ্চা নষ্ট করার সব পদ্ধতিতেই এক ধরণের লম্বা নল জরায়ুতে ঢুকিয়ে গর্ভের শিশুটিকে প্রথমে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়। পরে ভ্যাকুয়াম সাকারের মাধ্যমে শিশুটিকে শুষে আনা হয়। গর্ভপাতের সময়কার শিশুটির অব্যাক্ত বেদনা হয়তো কারো কানে পৌঁছায় না। কিন্তু তাই বলেকি তাদের প্রতি আমাদের কোন মায়া-মমতা নেই? আপনার জন্ম গ্রহণকারী ছোট্ট বাবুটি যখন সামান্য একটু ব্যাথা পায় তখন আপনার কাছে কেমন লাগে? আর আপনার চোখের আড়ালে যাকে ক্ষতবিক্ষত করছেন তার ব্যাথাটা একটু বোঝার চেষ্টাও করেন না? যেসব মা ক্ষণিকের সুখের জন্য নিজ গর্ভের সন্তানকে পাশবিকভাবে হত্যা করে তাদের জন্য আমার পক্ষথেকে হৃদয় উগড়ে দেয়া সীমাহীন ঘৃণা।

গর্ভপাত পরিসংখ্যানঃ- বর্তমান বিশ্বের প্রায় প্রত্যেকটা দেশেই এখন গর্ভপাত অনেকটা আইনি পদ্ধতিতেই হয়। কিন্তু তারপরেও আফগানিস্তান, এ্যাঙ্গোলা, মিশর, সহ আরো অনেক দেশে গর্ভপাত সম্পূর্ন ভাবে নিষিদ্ধ এবং এটা করা অবৈধ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতি বছর বিশ্বের প্রায় ৫৫ মিলিয়ন নারী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গর্ভপাত ঘটিয়ে থাকেন। উক্ত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ৪০% গর্ভপাত ঘটানো হয় নারীর সম্মতিক্রমে অথ্যাৎ ইচ্ছাকৃত ভাবে, ২৫% গর্ভপাত ঘটানো হয় নারীর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থাকলে, ২৩% গর্ভপাত ঘটানো হয় সামাজিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে এবং সর্বশেষ ১২% গর্ভপাত ঘটে ভ্রুণের অস্বাভাবিকতার কারণে অথ্যাৎ এটা হয় অনেকটা প্রাকৃতিক ভাবেই! আর এর মধ্যে ১.৫ মিলিয়ন মায়ের গর্ভপাত হয় সাধারণত যাদের বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এই গর্ভপাত হওয়ার ৭৫% কারণ হলো বিবাহ বহির্ভূত যৌন ক্রিয়াকলাপ এবং যৌবন কালীন উশৃঙ্খলতা!

"পরিশেষে একজন গর্ভধারিনী মায়ের কাছে করা একটা শিশুর কাল্পনিক কিছু কথপোকথন দিয়ে আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করবো"

প্রথম মাস=> হ্যালো আম্মু…..!! কেমন আছো তুমি? জানো, আমি এখন মাত্র ৩-৪ইঞ্চি লম্বা!! কিন্তু হাত-পা সবই আছে তোমার কথা শুনতে পাই। তোমার কথা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে।

দ্বিতীয় মাস=> আম্মু, আমি এখন আমার হাতের বুড়ো আঙ্গুল চুষা শিখেছি, তুমি আমাকে দেখলে এখন বেবি বলবে! বাইরে আসার সময় এখনো হয়নি আমার, এখানেই উষ্ণ অনুভব করি খুব।

তৃতীয় মাস=> আম্মু তুমি কি জানো আমি যে একটা মেয়ে? পরী পরী লাগবে আমাকে, আমাকে দেখলে তুমি অনেক খুশি হবে, তুমি মাঝে মাঝে কাঁদো কেনো আম্মু? তুমি কাঁদলে আমারও খুব কান্না পায়…।

চতুর্থ মাস=> আমার মাথায় ছোট্ট ছোট্ট চুল গজিয়েছে আম্মু। আমি হাত-পা ভালো ভাবে নাড়াতে পারি, মাথা নাড়াতে পারি, অনেক কিছুই করতে পারি।

পঞ্চম মাস=> আম্মু তুমি ডাক্তারের কাছে কেনো গিয়েছিলে? ডাক্তার তোমাকে কি বলেছে আম্মু? আমি তার কথা শুনতে পারিনি, তোমার কথা ছাড়া আমি যে আর কারো কথা শুনতে পারিনা।

ষষ্ঠ মাস=> আম্মু আমি অনেক ব্যথা পাচ্ছি আম্মু, ডক্টর সুঁচের মতো কি যেনো আমার শরীরে ঢুকাচ্ছে, ওদের থামতে বলো আম্মু আমি তোমাকে ছেড়ে কথাও যাবোনা আম্মু…!

সপ্তম মাস=> আম্মু কেমন আছো? আমি এখন স্বর্গে আছি, একটা এঞ্জেল আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে, এঞ্জেল বলেছে আমার জন্য তোমকে নাকি এবরশন করতে হয়েছে, তুমি আমাকে কেনো চাওনি আম্মু?

পুনশ্চঃ- প্রতিটি Abortion মানে একটি হৃদস্পন্দন থেমে যাওয়া…! একটি হাসি থেমে যাওয়া…! দুটি হাত, যা কখনো কাউকে স্পর্শ করতে পারবেনা…! দুটি চোখ, যা সুন্দর এই পৃথিবীর আলো দেখবেনা…! হায়রে মানবতা! অদৃষ্টের কি নির্মম পরিহাস! যেখানে মা ব্যথানাশক (Local anesthesia) নিচ্ছে, সেখানে বাচ্চাটি ব্যথায় ধুঁকে ধুঁকে মরছে। এটি কি দূর্বলের উপর সবলের অত্যাচারের চরম দৃষ্টান্ত নয়?

বর্তমান উন্নত বিশ্বে গবেষণাগার গুলোতে ছোট্ট মাছকেও ব্যবচ্ছেদ করার আগে চেতনানাশক পদ্ধতি ব্যবহার করা বৈজ্ঞানিক নৈতিকতার অন্তর্গত। ইঁদুর কিংবা গিনিপিগের কথা না হয় বাদ-ই দিলাম। আর সে হচ্ছে নিষ্পাপ ও অসহায় মানব শিশু। শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট ভাবধারা বা জীবন পদ্ধতিকে সমর্থন করতে গিয়ে গর্ভস্থ শিশু ব্যথা পায় কিনা তা নিয়েও বিতর্ক হয় বর্তমান সভ্যজগতে! তাও আবার এটি করা হয় সেই মানবতার নামে...........!!
আমার মতে, ব্যথা পাক, বা না পাক; গর্ভপাতের মাধ্যমে অবুঝ শিশু হত্যা করা নিঃসন্দেহে একটি জঘন্যতম অন্যায় কাজ এবং গুরুতর অপরাধ। আর সেজন্য এটাকে বর্জন করা উচিত......!!!!

তথ্যসূত্রঃ- প্রত্যেকটা ছবি সহ পোস্ট সংশ্লিষ্ট যাবতিয় তথ্যাবলী সব ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত। তবে গর্ভপাত সম্পর্কে আন্ত্রর্জাতিক পরিসংখ্যান এবং এটা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে হলে নিম্নোক্ত লিংক গুলোতে প্রবেশ করতে পারেন!
০১। উইকিপিডিয়া এবং এনসাইক্লোপিডিয়ার তথ্য।
০২। আরো জানতে হলে চোখ রাখুন এখানে

"সবাইকে নতুন বছরের অগ্রীম শুভেচ্ছা; Happy New Year-2016"

বিঃ দ্রঃ- টাইপিংয়ের ভুলের কারনে হয়তো অনেক জায়গায় বানানে ভুল থাকতে পারে। সেটাকে বিবেচ্য বিষয় হিসাবে না ধরে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে কৃতার্থ হবো!

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯

লেখোয়াড়. বলেছেন:
আবার শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অসাম পোস্ট এটি!!

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখোয়াড় ভাই!




শুভ কামনা জানবেন!

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৫

মানবী বলেছেন: বাংলাদেশের গর্ভপাত আইনটা অত্যন্ত যৌক্তিক ও আধুনিক।
গর্ভের সন্তান যদি মায়ের জীবনের ঝুঁকির(বিভিন্ন শারিরিক অসুস্থতার জন্য) কারন হয় সেক্ষেত্রে গর্ভপাত অনুমোদিত। ধর্ষনের কারনে ধর্ষিতা সন্তান সম্ভাবা হলে, তিনি চাইলে গর্ভপাত ঘটাতে পারেন। এবং এসব ক্ষেত্রে গর্ভধারনের তিনমাসের মধ্যে গর্ভপাত করতে পারে।

বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কের কারনে বা অনৈতিক জীবনের কারনে গর্ভবতী হলে তারা কি গর্ভপাতের নৈতিকতা নিয়ে বিচলিত হবে! মনে হয়না!
তথ্যসমৃদ্ধ পোস্টের জন্য ধন্যবাদ সাহসী সন্তান।



ভাইয়া, গর্ভপাত নৃশংস মনে করেন সেক্ষেত্রে গর্ভপাতের উপায়গুলো এমন বিস্তারিত লেখাটা ঠিক হলো? এই পোস্ট পড়ে কেউ হয়তো লবন পদ্ধতিটা শিখে রাখবে!!!

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার সৃজনশীল মন্তব্যের জন্য মানবী আপুকে প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি!



আপু আপনি ঠিকই বলেছেন যে, এই পোস্টের মাধ্যমে আমি গর্ভপাত সম্পর্কিত যে বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি; তার মধ্যে যে বিষয়গুলো মানুষ জানেনা সেগুলো শিখে নেবে! কিন্তু পোস্টের মূল উদ্দেশ্য কিন্তু আসলে কিভাবে একটা মানব ভ্রুণকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয় তা! আর কত প্রকারে যে একজন মানুষ এই মানব ভ্রুণকে হত্যা করছে তারই একটা বর্ননা এখানে তুলে ধরেছি! আর সেক্ষেত্রে যদি আমি উক্ত পদ্ধতির যে কোন একটা হাইড করতাম তাহলে সেটা কি আমারই অন্যায় হতো না? গর্ভপাতের মাধ্যমে ভ্রুণকে হত্যা করা যে অন্যায় এবং অপরাধ সেটাই আমার এই পোস্টের মূল উদ্দেশ্য!


শুভ কামনা জানবেন আপু!

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট নিঃসন্দেহে।
তবে পড়তে পড়তে মনে হলো যেভাবে বলা হচ্ছে গর্ভপাত নৃশংস, সেটা আবেগ থেকে বলা হচ্ছে একটা পর্যায়ে এমন লাগছে। কোনো মায়ের কাম্য না গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যাক। কিন্তু আমি যে কথাটা লিখতে চেয়েছিলাম ব্লগার মানবী সেটা বলে দিয়েছেন। মাঝে মাঝে মায়ের কন্ডিশন এমন হয় ডাক্তার নিজেই এডভাইজ করেন বাচ্চাকে এবোরশান করাতে কারণ এতে মায়ের জীবনের ঝুঁকি থাকে।

আর আজকাল মেডিক্যাল সায়েন্সের কল্যাণে এখন এতো কিছুর প্রয়োজন পড়ে না ব্যথাযুক্ত পদ্ধতি গ্রহণের। কিছু ট্যাবলেট এসেছে বাজারে যার মাধ্যমে কেউ চাইলে গর্ভপাতও করায়।

সত্যি বলতে কি আমি পোস্টের ছবি গুলো দেখে শিউরে শিউরে উঠছিলাম।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপু গর্ভপাত কিন্তু মূলত দুইভাবে হয়! একটা হয় প্রাকৃতিক ভাবে, আর একটা হয় কৃত্রিম ভাবে! এখন প্রশ্ন হলো, গর্ভপাত প্রাকৃতিক ভাবে কতটা হয় আর কৃত্রিম ভাবে কতটা হয়? আপনি গর্ভপাতের পরিসংখ্যানটা পড়েছেন (?) এখন বলেন এখানে প্রাকৃতিক ভাবে কতটা গর্ভপাত হচ্ছে, আর কৃত্রিম ভাবে কতটা হচ্ছে?



মানবী আপু যে কথাটি বলেছেন সেটা যেমন ঠিক, তেমনি ভাবে পোস্টে উল্লেখিত তথ্যও কিন্তু ভুল নয়! 'একজন মা কখনো চায়না তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হোক!' আপনার এই কথাটার সাথে আমি এদিক থেকে সহমত পোষন করি, আবার একদিক থেকে করিনা! কারণ যে মা চায়না তার সন্তান নষ্ট হোক, সে মা নিঃস্বন্দেহে জেনে বুঝেই গর্ভধারন করেন (অজানাকেও হতে পারে, তবে আমার মনে হয় অধিকাংশই জানেন)! কিন্তু যারা সাময়িক ভোগ বিলাসে মত্ত হয়ে এই জঘন্য কাজ করে তাদের ব্যাপারে কি বলবেন? আর সমস্থ পৃথিবীর মধ্যে গর্ভপাতের মধ্যে ৭৫% নারীই যে ১৮-২০ বছর বয়সের, যারা ঐসব খারাপ কাজ করে গর্ভধারন করে?

চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গর্ভপাতের মধ্যে ৭৫% নারীই যে ১৮-২০ বছর বয়সের, যারা ঐসব খারাপ কাজ করে গর্ভধারন করে?

--- গর্ভপাতে নারীর ভূমিকাই কি মুখ্য ?

কিছুদিন আগে ফেসবুকে একটা পোস্ট পড়েছিলাম। কেউ কমেন্ট করায় সেটা আমার ফিউজফিডে আসায় চোখে পড়েছিল আর কি। তো সেই খানে কিছু ছবি দেয়া ছিল দুই একটা ছবির সাথে এই পোস্টেও সেসব ছবি মিলে গেলো। রেডিও সঙ্গী, মুন্না এই টাইপের কিছু পেইজ আছে সেখানের কোনো পোস্ট ছিল সম্ভবত। মূলত দায়ী করা হচ্ছিলো গর্ভপাতের মূল কারণ নারী এবং মজা লোটে নারী। যাই হোক খুব ফালতু কিছু যুক্তি সেখানে দেখানো হয়েছিলো।

বৈধ স্বামী স্ত্রীর মাঝে মাঝে কি অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে গর্ভধারন ঘটে না ? মনে করেন একজন অভাবী মানুষের ঘরে তৃতীয় বাচ্চার পর চতুর্থ বাচ্চা চলে আসছে। তাদের আর সন্তান ভরন পোষণের সঙ্গতি নাই, তারা বাচ্চাটা চাচ্ছে না। প্রেগ্ন্যান্ট হবার জন্য কি সেই স্ত্রী তার স্বামীর সাথে সহবাস করেছিলো? মনে হয় উত্তরটা - না। কারণ স্বামী স্ত্রীর মাঝে সেক্সচুয়াল ব্যাপার স্বাভাবিক ঠিক তেমনি কেউ কেউ সেইফ " টাইম " মেন্টেইন করলেও অনেক সময় ভুল হয়ে যায়। আজকাল স্বল্প মাত্রার পিল বের হয়েছে যার মূল্য বেশি হলেও অনেক সময় পিল খেলেও কেউ কেউ অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে প্রেগ্ন্যান্ট হচ্ছে। হাস্যব্যান্ড কন্ডোম ইউজ করলেও এক্সিড্যান্ট হচ্ছে। এরকম অনেক অনেক কারণ আছে যে কারণে গর্ভপাত হচ্ছে।

আর যে কথা লিখলেন সাময়িক ভোগ বিলাসে মত্ত হয়ে যারা বিবাহ বহির্ভূত ভাবে বা আনম্যারিড মেয়েরা 'খারাপ কাজ ' করে গর্ভপাত করছে --- তার দায়ভার একলা নারীর না, পুরুষেরও। সে হিসেবে পোস্টের শিরোনামে উল্লেখ করে দেয়া দরকার ছিল সেটা।

আপনাকে এটা বুঝতে হবে স্বাভাবিক সম্পর্কে থেকেও অনাকাংখিত অনেক আনএক্সপেক্টেড প্রেগ্ন্যান্সির কেস ঘটে এবং তখন ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হয়।

যতটা পারলাম আমি বললাম। আপনার কমেন্টে অনেক আবেগী বক্তব্য আছে, তাই আবার আসলাম।

ভালো থাকুন

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপু প্রথমেই বলে রাখি আমি কিন্তু ঐসব রেডিও মুন্না কিংবা রেডিও সঙ্গীর কেউ না! ফেসবুক এক সময় খুব ভালবাসতাম তবে দীর্ঘ দুই/তিন মাসের মধ্যে কোন স্ট্যাটাস দেওয়া হয় না!



নারী নির্যাতনের জন্য আসলে সব থেকে বেশি দ্বায়ী কে? নারী/পুরুষ! দেখেন এই প্রশ্নের উত্তরে কেউ বলবে নারী আবার কেউ বলবে পুরুষ! এখন যে যাই বলুক কেউ কিন্তু ভুল বলবে না! নারী নির্যাতনের জন্য পুরুষ যেমন দ্বায়ী ঠিক তেমনিভাবে নারীরাও তো কিছুটা দ্বায়ী? এখন ব্যাপারটা হলো, একহাতে যেমন তালি বাজে না, ঠিক তেমনিভাবে এককভাবে কেউ ইচ্ছা করলে অন্যায় করতে পারে না! তো দোষ নারী পুরুষ সবারই আছে! হয়তো কারো একটু কম আবার কারো বা একটু বেশি!

দেখেন আমাদের পারিবারিক ভাবে কেউ যদি ভুল করে, তাহলে কিন্তু আমরা সবাই ঐ ভুল করা ব্যক্তিটিকেই দূষি! আবার সমালোচনা কারি ব্যক্তি যখন ভুল করে তখন তাকেও দূষতে কম করি না! আমি নিজে পুরুষ বলে এমনটা কখনো ভাবি না যে, গর্ভপ্তের জন্য শুধুমাত্র নারীরাই দ্বায়ী! এখানে নারীদের মত পুরুষও সমানভাবে দ্বায়ী বলে আমি মনে করি!


আবারও ফিরে আসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ! আপনিও ভাল থাকুন সব সময়!

৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কিছু ছবি মানবজাতির সাথে যায় না। মানবজাতি এত নিষ্ঠুর কেন হবে?

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: মানবজাতি এত নিষ্ঠুর কেন হবে?

-এই প্রশ্নটা শুধু আপনার না, গোটা মানব জাতীর! কিন্তু তারপরেও ভাল কিছু হলে যেমন সবার আগে মানুষকেই বুঝানো হয়, ঠিক তেমনি ভাবে খারাপ কিছু হলেও সেই মানুষকেই বুঝানো হয়! সৃষ্টিকর্তার আঠার হাজার মাখলুকাতের মধ্যে একমাত্র মানুষের ব্যাপারেই মনে হয় এমন দ্বিমুখি নীতি বিদ্যমান! এরা ইচ্ছা করলে ভালও করতে পারে, আবার ইচ্ছা করলে খারাপও করতে পারে।

আপনার মন্তব্যের পর কিছু ছবি রিমুভ করে নতুন ছবি সংযোজন করে দিয়েছি! আগের মন্তব্যে অপর্ণা আপুও বলছিল, তাই যেগুলো দেখলে আসলে খারাপ লাগে এবং মানুষ ভয়াবহ কিছু অনুভব করে সেগুলো ডিলিট করে দিয়েছি।


মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১১

অচিন্ত্য বলেছেন: শেষের কথোপকথনটা সত্যিই আবেগময় করে তুলল। আসলে নিজে পিতা হওয়ার আগে বুঝিনি একটা শিশু কতটা মায়ার আকর। এবরশনের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন!



শুভ কামনা রইলো!

৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭

টোকাই রাজা বলেছেন: অত্যন্ত শিক্ষনীয় একটা পোষ্ট। ভাল লাগল। প্রিয়তে নিলাম।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্টটা আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম!



মন্তব্য এবং পোস্ট প্রিয়তে রাখার জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: উফফ-----------!!!!!!!!!!!!!

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ বীথিপু! শুভ কামনা!

৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০

অগ্নি সারথি বলেছেন: বিবাহ-বহির্ভূত সন্তানকে যুগে যুগে সমাজ সামাজিকতা আর ধর্মের নামে সর্বদাই বাজে ট্যাগিং করে চলেছে, আর সেখানে মা কে হতে হয়েছে কলঙ্কিনী। গর্ভপাতের সব থেকে বেশি ঘটনাগুলোই ঘটে থাকে এই সমাজের তুষ্টির জন্য। আমার মনে হয় সামাজিক সচেতনতা এবং স্বীকৃতিটা খুব জরুরী।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই অগ্নি সারথি! আপনার মন্তব্যের সাথে পূর্ন সহমত পোষণ করছি!




শুভ কামনা জানবেন!

১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪

কল্লোল পথিক বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ভাই সাহসী সন্তান।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই কল্লোল পথিক! শুভ কামনা জানবেন!

১১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: পুরুষতান্ত্রিক সমাজ এর জন্য দায়ি ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

১২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

সুমন কর বলেছেন: গ্রেট পোস্ট।

পড়তেই গা শিহরে উঠে ! বীভৎস !!

এসব বন্ধে ব্যক্তিগত আর সামাজিক সচেতনতা খুব দরকার।

+।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সুমন ভাই! আপনার মন্তব্যের সাথে পূর্ণ সমর্থন রেখেই বলতে চাই, আসলেই এই নিষ্ঠুরতা বন্ধে অবশ্যই ব্যক্তিগত এবং সামাজিক সচেতনা অনেক প্রয়োজন!



পাঠ, মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ট্রিপল শুভেচ্ছা! ভাল থাকবেন!

১৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

কিরমানী লিটন বলেছেন: হ্যাটস অব ইউ দিয়ার সাহসী সন্তান !!! হ্যাটস অব ইউ দিয়ার সাহসী সন্তান !!! হ্যাটস অব ইউ দিয়ার সাহসী সন্তান !!! হ্যাটস অব ইউ দিয়ার সাহসী সন্তান !!!

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়েতো আনন্দে আত্মহারা হওয়ার অবস্থা প্রিয় কিরমানী লিটন! মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ!



শুভ কামনা জানবেন!

১৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩০

প্রামানিক বলেছেন: বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে তথ্যসমৃদ্ধ খুবই সুন্দর একটি পোষ্ট। এত সুন্দর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইল।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪২

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই!




শুভ কামনা জানবেন!

১৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক পরিশ্রমী পোস্ট , কমেন্ট গুলি পড়লাম ।
মানবী , অপর্ণা দের কমেন্ট ভেল লেগেছে ।
আরও কমেন্ট পড়ার আশায় পোস্তটি পর্যবেক্ষণে রাখলাম ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: পাঠ, মন্তব্য এবং পোস্ট পর্যবেক্ষনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ!




শুভ কামনা জানবেন!

১৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট।


কিছু ক্ষেত্রে এখনো আমরা বন্য।


ধন্যবাদ সাহসী সন্তান।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন, আসলেই কিছু ক্ষেত্রে আমরা এখনো বন্য আদিম যুগে বাস করছি!




মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

১৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: খাইছে!! পরিসংখ্যানে থ লেগে গেলাম। এত এত মানুষ হত্যা করা হয়!!! কোন অপরাধ ছাড়াই? এই হত্যাকান্ডের জন্য কি প্রতিবাদ করারও কেউ নেই? অদ্ভুত দুনিয়া।

মায়ের সাথে কথোপকথনটা বেশ মর্মস্পর্শী। পোষ্টের আকর্ষণ ও আবেগটা ঐ জায়গাতেই।
আহারে! মানুষগুলো যদি এইভাবে ভাবতো - তাহলেই তো গর্ভপাতের পরিসংখ্যানে সংখ্যার অংকটা ছোট হয়ে যেত।

মানুষ ব্যবসার স্বার্থে কত কিছুই না করে। এই খুন করার জন্যও ব্যবসা আছে। টাকা নিয়ে খুন করে। কিন্তু তাদেরকে কেউই খুনী বলে না। তারা ডাক্তার নামেই পরিচিত।
যে সমাজ গর্ভপাতের মাধ্যমে অনাকাংখিত শিশুকে হত্যা করছে, সেই একই সমাজ আবার শিশু কামনার্থে In Vitro Fertilization-এর পসার জমিয়ে বসেছে!
সবই দেখছি টাকার মেলা। খুন করতেও টাকা, আবার কারও কাছে নতুন সদস্য এনে দেওয়ার জন্যও টাকা। বাহ! আসলেই অদ্ভুত দুনিয়া।

পোষ্টটা চমৎকার। বেশ সময় নিয়ে পড়লাম।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ!


আসলেই ভাই, পৃথিবীটা একটা টাকার খেলা! শুধু এই একটা ব্যাপার না, যারা প্রকৃত অর্থ লোভী তারা টাকার জন্য পারেনা এমন কোন কাজ নেই!


শুভ কামনা জানবেন!

১৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৯

মানবী বলেছেন: " আর সেক্ষেত্রে যদি আমি উক্ত পদ্ধতির যে কোন একটা হাইড করতাম তাহলে সেটা কি আমারই অন্যায় হতো না? গর্ভপাতের মাধ্যমে ভ্রুণকে হত্যা করা যে অন্যায় এবং অপরাধ সেটাই আমার এই পোস্টের মূল উদ্দেশ্য!"

- না ভাইয়া, আমার মনে হয়না সেটা ভুল হতো। যেটা অন্যায় ও অ্পরাধ, তা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পোটেনশিয়াল অপরাধীদের হাতেকলমে শিখিয়ে দেয়াটা যৌক্তিক নয়। সহজলোভ্য পন্থাগুলো ডিটেইলড না লিখে শুধু নাম মেনশন করলে বেশি উপযোগী হতো।
ধরুন কেই আত্মহত্যা কে নিরুৎসাহিত করে একটি পোস্ট লিখে সেখানে বিস্তারিত ভাবে আত্মহননের পদ্ধতিগুলো আলোচনা করলে সেটা কি ঠিক হবে। অনেকে হয়তো সেই লেখা পড়ে জানবে এবং কোন এক সময় প্রয়োগ করে বসবে।
এটা একান্ত আমার মতামত, আপনাকে মানতেই হবে এমন নয়।

ভালো থাকুন সাহসী সন্তান।



২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপু, বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমার মনে হয় ভাল/খারাপ যেকোন কাজের জন্য কাওকে আর হাতে কলমে শিখিয়ে দেওয়া লাগে না! একটা জিনিস দেখেন আপু, প্রত্যেকটা সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে কিন্তু লেখা থাকে 'ধুমপান স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর!' সেটা আমরা সবাই দেখি, কিন্তু সিগারেট খাওয়া কি কম করি? করিনা! কারণ যতই সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ থাকুক না কেন, যার খাবার সেতো খাবেই! তারপরেও আপনার বলা কথা গুলো বিবেচনায় থাকলো.......!!



পূন মন্তব্যের জন্য আবারও অনেক অনেক ধন্যবাদ! আপনিও ভাল থাকুন সব সময়!

১৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সমৃদ্ধ একটি লেখা সন্দেহ নেই। তবে এই ব্যাপারটায় সচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই। মানুষ দিনে দিনে এত নিষ্টুর হয়ে যাচ্ছে.......

উহঃ অসহ্য....... :(

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই গেম চেঞ্জার!



শুভ কামনা জানবেন!

২০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ইহাকেই বলে ব্লগ পোষ্ট +++++

পোস্টটা স্টিকি হওয়ার দাবি রাখে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: খুব সুন্দর উৎসাহ ব্যাঞ্জক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা!




শুভ কামনা জানবেন!

২১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১২

নতুন বলেছেন: যারা সন্তান হারিয়েছে বা নেই তারা বোঝে সন্তানের মম`...

নারীর জীবন ঝুকি না থাকলে এব`সনের দিকে যাওয়া উচিত না।

আর আমাদের দেশের সমাজে সেক্স এডুকেসনেও প্রয়োজন আছে... কারন শুধুই ধমে` পাপ হবে বলে বিবাহ বহি`ভুত সম্পক`থেকে মানুষকে দুরে রাখা যাবে না। তাই তারা যেন নিরাপদ ভাবে করে সেটার জ্ঞান এবং সুযোগ বাড়ানো দরকার।

আর গর্ভপাতের ফলে নারী বেশির ভাগ সময়ই সারাজীবনের জন্য শারীরির ভাবে সমস্যায় ভোগে সেই বিষয়ে নারীদের সচেতন করা দরকার।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০০

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার প্রত্যেকটা কথার সাথে পূর্ণ সহমত পোষণ করছি ভাই! আর সেই সাথে বলতে চাই, এ ব্যাপারে আমাদের সবারই কম/বেশি সচেতন হওয়া জরুরি! আর তাহলেই কমতে পারে এই নিষ্ঠুরতা......!!




মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন! শুভেচ্ছা রইলো!

২২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান ,




জেনে রাখার জন্যে বেশ ভালো একটি পোষ্ট । বেশ খুটিনাটি বর্ণনা করেছেন । এটাও এক অর্থে মঙ্গলকর ।

ধন্যবাদ পূনঃ শেয়ারের জন্যে ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জি এস! শুভ কামনা জানবেন!

২৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৯

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: কোনটা ন্যায় আর কোনটা অন্যায় , কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যে , কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ ? এই প্রশ্ন গুলো মাঝে মাঝে তাড়িয়ে বেড়ায় । সত্যিই, কঠিন পরীক্ষায় বহাল আছি আমরা সকলে -সমগ্র বিশ্ববাসি । মাঝে মাঝে ন্যায়- অন্যায় , ভালো-মন্দ , সত্য-মিথ্যা এতটাই আঁটসাঁট হয়ে মিশে থাকে যে একে পৃথক করা ভীষণ কঠিন । ইচ্ছাকৃত গর্ভপাতও তেমনি মন্দের সাথে ভালো জড়িয়ে আছে কখন কখন । ইচ্ছাকৃত গর্ভপাত নিঃসন্দেহে নিষ্ঠুরতম কাজ , অতি জঘন্য । কিন্তু , তারপরও অনেক কথা আছে , আছে অনেক বড় বড় কারণ , থাকে অনেক লড়াই সত্য এবং মিথ্যার সাথে , ভালো এবং মন্দের সাথে । বড় কঠিন এই পৃথিবী ।

অনেক ভালো লিখেছেন । অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য প্রথমেই অনেক ধন্যবাদ গুলশান আপু!



আমার মতে পৃথিবী নিষ্ঠুর না, নিষ্ঠুর পৃথিবীর বুকে বাস করা এই মানুষ গুলো! যারা প্রকাশ্যে খারাপ কাজের নিন্দা করে, অথচ গোপনে সেই কাজটাকেই নিজের পেশা হিসাবে গ্রহণ করে!

পোস্টে আপনার উপস্থিতি অনেক ভাল লাগলো আপু! শুভ কামনা জানবেন!

২৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৭

শায়মা বলেছেন: কি ভয়ংকর!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

সাহসী সন্তান বলেছেন: হুম, অনেক ভয়ঙ্কর!

২৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭

জুন বলেছেন: অত্যন্ত সাহসী একটি বিষয় নিয়ে লেখা সাহসী সন্তান। এবর্শনের কষ্টের উপর একটা ডকুমেন্টারি দেখেছিলাম। খুবই নৃশংস। অনেক ভালমন লাগা তথ্য সমৃদ্ধ লেখায়।
+

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: জুনাপুর আসল কমেন্টে লাইক দিলাম! আমি পোস্টটা যখন প্রথম প্রকাশ করেছিলাম, তখন পোস্টে একটা ইউটিউব লিংক দিয়েছিলাম! কিন্তু সেইটা দেখে আমার কাছে এতটাই খারাপ লেগেছিল যে, পরবর্তি রিপোস্টে সেইটা আর এড করিনি! এমনিতে প্রথম কিছু ছবি দিয়েছিলাম, তাই দেখেই অনেকে শিহরিত হচ্ছিল, পরে সেগুলোকেও রিমুভ করে নতুন ছবি এড করি!



পোস্ট পাঠ, মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য প্রিয় আপুকে ট্রিপল ধন্যবাদ প্রদান করিলাম! অনেক অনেক ভাল থাকবেন আপু!

২৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

জেন রসি বলেছেন: এই বিষয়টি নিয়ে অনেকভাবেই আলোচনা করা যেতে পারে। যৌক্তিক এবং নৈতিক দুদিক থেকেই ভেবে দেখতে হবে।অনেক চমৎকার একটি পোস্ট দিয়েছেন। পরে আরো বিস্তারিত আলচোনা করব। শুভকামনা রইল।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: গতকাল রিকিপুর সিনেমা রিভিউয়ের একটা পুরানো পোস্টের কমেন্ট গুলো পড়ছিলাম আর আপনি এবং নদী ভাইয়ের কথা ভাবছিলাম! হঠাৎ করে সবই কেমন যেন হয়ে গেল! যাহোক তারপরেও আমার পোস্টে আপনার উপস্থিতি বরাবরই আমাকে অনুপ্রাণিত করে!


আসলেই, প্রত্যেকটা জিনিসের দুইটা দিক থাকে! পজেটিভ এবং নেগেটিভ! কিন্তু যখন নেগেটিভটা পজেটিভকে ডিনাই করে উপরে চলে আসে, ঠিক তখনই সেটা আলোচনার অংশ হয়ে যায়! তেমনি ভাবে গর্ভপাত সম্পর্কে যৌক্তিক এবং অযৌক্তিক দুইটা কারণ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক!


মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

২৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ভালোলাগা তথ্যসমৃদ্ধ লেখায় সাহসী :``>>
উপরের মন্তব্যে ভুল আছে :`>

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: উপরের মন্তব্যে আপনি কি বলতে চেয়েছিলেন সেটা আমি বুঝেছিলাম আপু! শুধু মাত্র বানান ভুল ছাড়া আর কোন ভুল আমার চোখে পড়েনি! আর সেটা কম/বেশি সবাই করে! আমিও লিখতে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে বানান ভুল করি!



তো উপরের মন্তব্যটাকি ডিলিট করে দেবো আপু?

২৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

জুন বলেছেন: না না কেন! ঐটাইতো আসল কমেন্ট সাহসী B:-/

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: তাইলে রাইখা দিলাম সব গুলোই.......!! আবারও ধন্যবাদ জানাইলাম, ফিরতি মন্তব্যের জন্য!

২৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৪

এহসান সাবির বলেছেন: সত্যিই এটা ভালো পোস্ট।

শুভ কামনা।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সাবির ভাই! আপনার জন্যেও রইলো শুভ কামনা!

৩০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কে দোষী কে নির্দোষ ঐটা নিয়ে অনেক বিতর্ক করা যায়, ঐদিকে আর যাচ্ছি না। তবে বাস্তবতা বিবেচনায় নিলে, অনেক গর্ভপাতই সামাজিক কারণে নারীকে মেনে নিতে হয়, হোক সেটা ধর্ষণ জনিত বা সঙ্গীর অনিচ্ছায়। সেই সঙ্গী আবার অনেক সময় স্বামীও হতে পারে। আবার গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গ যদি মেয়ে হয় সেটাও কিন্তু অ্যাবরশনের অনেক বড় একটা কারণ।এসব ক্ষেত্রে নারী সত্যিই নিরুপায়।নতুবা কয়জন আর চায় নিজের সন্তানকে মারতে? সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা তা সে জঠরেই হোক আর জন্ম্বের পরেই হোক শ্বাশত একটা ব্যাপার। তবুও বর্ননা পড়ে আতঙ্ক লাগলো। পৃথিবীর কোন শিশুকেই যেন এর মধ্যে দিয়ে না যাওয়া লাগে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ তনিমা আপু! আমিও আপনার মন্তব্যের সাথে পূর্ণ সহমত পোষণ করছি!



ভাল থাকবেন এবং শুভ কামনা জানবেন!

৩১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


গর্ভপাতের বিপক্ষে আপনার মনোভাবে পূর্ণ সমর্থন। কেউ গর্ভপাত চায় না। যারা করে, তারাও চায় না।

আমার মনে হয়, এখানে সকলেই একমত। তাই এসব বিষয়ে এরকম উন্মুক্ত আলোচনার খুবই প্রয়োজন।

মানবী এবং অপর্ণা মম্ময় গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যতিক্রম তুলে ধরেছেন, যা পোস্টটিকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।

প্রিয় সাহসী সন্তান..... আপনাকে ধন্যবাদ সে সুযোগটি করে দেবার জন্য :)

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রিয় মইনুল ভাই,
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন! আর সেই সাথে মানবী আপু, এবং অপর্ণা আপুকে আবারও ধন্যবাদ জানাই পোস্টে সুন্দর আলোচনা করার জন্য!


শুভ কামনা জানবেন ভাই!

৩২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মানুষ এত নিষ্ঠুর হয় যে মানতেও কষ্ট ।
বিষয়টি নিয়ে অনেকভাবেই আলোচনা করা যেতে পারে । যেমন পোস্ট , তেমন মন্তব্য। খুব পরিশ্রমী পোষ্ট। খুঁটিনাটি আলোচনা ।
পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই ।
আপনি সহ বেশ কিছু ব্লগারের জন্য ব্লগ আবার প্রাণবন্ত হয়েছে ।
ভাল থাকবেন ভাই ।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪১

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই! হ্যাপি নিউ ইয়ার.......!!


শুভ কামনা জানবেন!

৩৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৭

এহসান সাবির বলেছেন: ইংরেজী নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ সাবির ভাই! আপনাকেও হ্যাপি নিউ ইয়ারের শুভেচ্ছা!
আপনিও ভাল থাকুন সব সময় সারাক্ষন!
শুভ কামনা!

৩৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

কালীদাস বলেছেন: ভাল পোস্ট। বেশ ভাল পোস্ট। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।
মনে তো হয় না স্টিকি হয়েছিল। হওয়া উচিত ছিল।
দাঁড়ান, আরেকটু ডিটেইলড কমেন্ট করি। মেলাদিন পর জ্ঞান ফলানোর পোস্ট পেয়েছি একটা ;)

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনাকে প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি চমৎকার মন্তব্য দুইটার জন্য! না ভাই, পোস্ট স্টিকি হয়নি!
তবে আমিও আপনার ৩৫ নং মন্তব্যের প্রতিউত্তরটা একটু বৃহৎ ভাবে দিচ্ছি! তবে সেজন্য সামান্য একটু অপেক্ষা করতে হবে!




শুভ কামনা জানবেন!

৩৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩১

কালীদাস বলেছেন:
প্রথমে আসেন দেখি এবরশন কেন হয়। আন্ডার-ডেভেলপড বা ডেভেলপিং কান্ট্রিগুলোতে মেইন কারণ হল সেক্স প্রেফারেন্স। ইন্ডাস্ট্রিয়াল কান্ট্রির কারণগুলো আপনার পোস্টে টাচ করেছেন। সমস্যা হচ্ছে কি, মিডল ইনকাম/কম্যুনিস্ট/আন্ডার-ডেভেলপড/ডেভেলপিং/মুসলিম কান্ট্রিগুলোতে সব এবরশনই আনরেজিস্টার্ড। ফলে আসল সিনারিওটা আপনাকে কেউই বলতে পারবে না। চায়নাতে সবচেয়ে বেশি এবরশন হয়েছে গত ৫০ বছরে, কারণ ওদের ওয়ান চাইল্ড পলিসি। সবাই ছেলে চায়। মাস খানেক হয় ওরা এই পলিসি থেকে সরে এসেছে কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে। চাইনিজ ছেলেদের জন্য জব পাওয়ার চেয়ে কনে পাওয়া কঠিন। এরপর আসবে সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলো, সবচেয়ে বেশি সম্ভবত উগান্ডায়। এবছরের শুরুতে একটা প্রজেক্টে বাধ্য হয়ে কাজ করছিলাম উগান্ডার উপর, ওদের ফার্টিলিটির প্রোপার অবস্হা এক্সপ্লেইন করা যায়না এই এবরশনের জন্য। একটা লিংক রেখে যাচ্ছি কমেন্টে, এরা সারা দুনিয়ার এবরশন ফলোআপ করার চেষ্টা করে, এবরশন রেট বের করার ফর্মুলাও আছে ওদের ডিরেক্টরের ডিফাইন করা (পাবলিশড পেপার), যেটা মুটামুটি সবাই ফলো করে।

এবার আসেন বাংলাদেশের ব্যাপারে। বাংলাদেশে এবরশন ইলিগাল, আনলেস টপ মেডিক্যাল এমারজেন্সি এন্ড প্রেসক্রাইবড ফ্রম রেজিস্টার্ড ফিজিশিয়ান। তাহলে কি বাংলাদেশে হয় না? উত্তরটা খুবই আতংকজনক, বাংলাদেশে এটা দিনকে দিন বাড়ছে। এবং বাড়ার অন্যতম কারণ হল, আমাদের আইনে একটা ফাঁক আছে। বাংলাদেশে এমআর (Menstrual regulation) লিগাল। এমআর হচ্ছে গর্ভপাত তবে সময়সীমা হল কনসিভ করার পয়লা আট সপ্তাহ/কেউ কেউ দাবি করে ৯ সপ্তাহ। বাংলাদেশের মেজরিটি এবরশন হয় এমআরের নামে। অর্থাৎ, কনসিভ করার ২ মাসের মধ্যে ওয়াশ করা হচ্ছে রেকর্ড করে এবরশন হচ্ছে। এবং যথারীতি এবরশনের কোন প্রোপার রেকর্ড আপনি কোথাও পাবেন না। হসপিটাল থেকে এগুলো সেন্ট্রালি কেউ মনিটর করে না। একমাত্র রেজিস্টার্ড ডেটাবেজটা মতলবের (আইসিডিডিআরবি হ্যান্ডেল করে নিজেরদের ফান্ডেড রিসার্চের জন্য) এবং সেটার রেকর্ড যতটুকু দেখা যায়- দেখলে ভয় পাবেন। বছরকে বছর সেটা বাড়ছে। ন্যাশনাল লেভেলে একটা ইনডাইরেক্ট এস্টিমেট বের করেছিলাম ২০১৪ সালে, রেটটা খুব একটা সুবিধার না। প্রতি হাজার কনসিভড মহিলার মাঝে ৭১টা। এটা আমার নিজের এস্টিমেট কাজেই রেফারেন্স দিচ্ছি না। আইসিডিডিআরবির ৯৬ সালে বের হওয়া পেপার আছে একটা মতলবে এবরশনের উপর, আর মুটামুটি প্রতি বছরই ওদের কেউ না কেউ এই টপিকে পেপার প্রেজেন্ট করে কোন না কোন কনফারেন্সে। ওদের ওয়েবসাইট ঘাটলেও কিছু পেতে পারেন।

বাংলাদেশের জন্য এবরশন বন্ধ করা খুবই সহজ। সিম্পলি একটা টাস্কফোর্স বানাতে হবে আর গলিতে গলিতে গজিয়ে ওঠা "এখানে নিরাপদে/অভিজ্ঞ ডাক্তার কতৃক এমআর করানো হয়" সাইনবোর্ডওয়ালা জায়গাগুলো বন্ধ করতে হবে। নৈতিক অবক্ষয় কোন মাত্রায় গেছে সেটা নিয়ে আলোচনা অনেক পোস্টে হয়, সেটা নিয়ে আমি নতুন করে ত্যানা পেচাতে চাই না। পারসোনালি আমি স্ট্রাকচার্ড ফরমে স্কুল লেভেলে সেক্স এডুকেশন চালু করার পক্ষে, এই চটি পড়ে আর পর্ণ দেখে ইয়াং জেনারেশন কি শিখছে তার রিফ্লেকশন কিছুটা হলেও এবরশনের উপর পড়ে; নাহ, ভালভাবেই পড়ে। আর ছেলে পাওয়ার আশায় যারা এবরশন করে, তাদের মানসিক চিকিৎসা করান ছাড়া আর কোন পরামর্শ দেয়ার নেই আমার।

অফটপিক: আমি একজন ডেমোগ্রাফার, এবরশন সরাসরি আমার রিসার্চের টপিক কখনই ছিল না। ফার্টিলিটি নিয়ে কাজ করার সময় সাইড প্রজেক্টে এসব ঘাটাতে হয়েছে। ফার্দার ইনফোর জন্য উপরে দেয়া লিংকটা দেখতে পারেন। অথবা আমি ব্লগে থাকা অবস্হায় প্রশ্ন করতে পারেন ;)

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: এবর্শন কেন হয়? এই ব্যাপারটার নিয়ে আপনি যেটা বিশ্লেষণ করেছেন আমি সেটার সাথে পূর্ণ সহমত! তবে উক্ত বিষয় গুলোর সাথে আরো কিছু কথা যোগ করতে চাই।
দেখেন শুধু চীন নয়, আমাদের পার্শবর্তিদেশ ভারতেও কিন্তু অধিক হারে গর্ভপাত হয়! আর তার একটাই মাত্র কারণ হলো, মেয়ে ভ্রুণ গর্ভধারন! শিক্ষিত/মূর্খ আমাদের অনেকের মধ্যেই একটা ব্যাপার প্রচলিত আছে যে, ছেলে সন্তান ছাড়া বংশে প্রদীপ জ্বালাবে কে? আর সেজন্যই বিবাহ পরবর্তি সন্তান ধারনের সময় আমাদের প্রথম এবং প্রধান প্রার্থণা থাকে, আমাদের নবাগতটা যেন ছেলে সন্তান হয়! অথচ আমরা এতটুকুও বুঝিনা যে, কন্যা সন্তানকেও যদি যথাযথ শিক্ষিত করে গড়ে তোলা যায় তাহলে উক্ত কন্যা সন্তান একটা পুত্র সন্তানের মতই সব কিছু করতে পারে! অথচ আমরা সেই বিষয়টা না ভেবে একটা নিস্পাপ শিশুকে কোন রকম কারণ ছাড়াই হত্যা করছি! আসলেই, পৃথিবীতে এই এবর্শনের নামে মানব শিশু হত্যাটা যে কতটা ভয়ংকর ভাবে গড়ে উঠছে সেটা দেখলেই শিউরে উঠতে হয়!


তবে কিছুটা আশার কথা হলো, এদিক থেকে বাংলাদেশ তুলনামূলক ভাবে কিছুটা ভাল অবস্থানে আছে! কারণ বাঙ্গালি নারী আর যাই করুক অন্তত নিজের গর্ভের সন্তানকে সহজে নষ্ট হতে দেয় না! যদিওবা হয় তাও তার বেশিরভাগই হয় প্রাকৃতিক ভাবে! তাছাড়া এদেশের বেশ কিছু ডাক্তার আছে যাদের নামের শেষের পদবী পড়তে পড়তেই মাঝখানে কিছুটা বিরতি দিতে হয়! নইলে দম বন্ধ হয়ে মারা যাওয়ার উপক্রম হয়! এদের মধ্যে আবার কেউ কেউ এমবিবিএস না হয়ে হয় এমনিবিএস!

তবে সব কিছুর মূলে হলো আমাদের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা! কারণ প্রচারেই প্রসার লাভ করে! আর সামজিক জনসচেতনতাই পারে এই নিষ্ঠুর কাজ থেকে আমাদের কে বিরত রাখতে!


চমৎকার মন্তব্যের জন্য শুভ কামনা ভাই! সময়ের অভাবে আপনার লিংকটা অল্প একটু দেখলাম! তবে ইচ্ছা আছে পরে সময় করে দেখে নেবো! ভাল থাকবেন!

৩৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কালীদাস, অপর্ণা আর মানবীর কমেন্টে প্লাস দিলাম।

চমৎকার পোস্ট। বেশ গুছিয়ে লিখেছেন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি পোস্ট পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য!
শুভ কামনা জানবেন!

৩৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: নিজের মধ্যে খুব নিষ্ঠুরতা অনুভব করছি ।

পোস্টে অনেক ভাললাগা ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ!

৩৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: আমাদের সাহসী সন্তান লুকিয়ে গেল কোথায় !! ভাল আছেন তো ??

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রচন্ড শীত তো, তাই আর কম্বলের ভিতর থেকে বের হতে মন চায় না! তার উপর গতকাল লেগ বিফোর উইকেট, মানে পায়ে আঘাত পেয়ে পুরোপুরি সয্যাশায়ী! সুতরাং বুঝতেই পারছেন কেমন আছি?



খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ! আপনি কেমন আছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.