নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

{♥ যদি কখনো নিজেকে একা ভাবো, তাহলে ঐ দূর আকাশের অসীম সীমান্তের দিকে তাকিয়ে থাকো! কখনো নিরাশ হয়ে যেও না! হয়তো বা একটা বাজপাখিও তোমার দিকে উড়ে আসতে পারে! ♥}

সাহসী সন্তান

আমাকে তোর ভালোবাসার দরকার নেই। শুধু পাশে থেকে একটু সাহস যোগাস, দেখবি তখন ভালোবাসাটা এমনিতেই চলে আসবে!!

সাহসী সন্তান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সায়েন্স ফিকশনঃ \'দ্যা জার্নি বাই প্ল্যানেট নাইন\'

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৮


শীতের রৌদ্রজ্জল দুপুরে শহরের ব্যস্থতম সড়ক ধরে এগিয়ে যাচ্ছে ২৩-২৪ বছর বয়সী দুইজন যুবক। সম্রাট এবং সুজন। তাদের হাতে বই খাতা, কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ। সম্ভাবত কলেজ থেকে ফিরছে! তারা স্থানীয় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। দু'জনেই একই ডিপার্টমেন্টের। এছাড়াও তারা একে অপরের খুবই ঘনিষ্ট বন্ধু। সেই হাইস্কুলের সময় থেকেই দু'জনের মধ্যে পরিচয়। তারপর পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব। তাছাড়া দু'জনের বাড়িও অনেকটা কাছাকাছি অবস্থিত। যদিও কলেজ থেকে তাদের বাড়ির পথ কিছুটা দূরে। কিন্তু ঐ যে কথায় বলে না, 'ভ্রমণে ভাল সঙ্গী জুটলে অনেক দূরের পথ কেও কাছে মনে হয়'। ঠিক সেই কারণে ওরা বাড়ি থেকে কলেজে আসার সময় অথবা কলেজ থেকে বাড়িতে ফেরার সময় কোন ধরনের যানবাহন ব্যবহার করে না। বরং দু'জনে গল্প করতে করতে যায় আবার গল্প করতে করতে আসে।

তবে আজকে তাদের কথার ভাব দেখে মনে হচ্ছে যেন দু'জনেই বেশ উত্তেজিত। আর তাদের এই উত্তেজিত হওয়ার কারণটাও নেহায়েত ফেলনা নয়। সম্প্রতি বিশ্ব নন্দিত আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম 'বিবিসি বাংলা' থেকে প্রচারিত একটি সংবাদের জের ধরে শুধু ওরা দু'জন কিংবা শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বেই এক ধরনের তোলপাড় আরম্ভ হয়ে গিয়েছে। সবার মনে একই প্রশ্ন; এটাও কি সম্ভব? কেউ কেউ মনে করছে এটা হয়তো প্রত্যেক বারের মত ইউরোপ/আমেরিকার একটা নতুন চাল। তবে বিশ্বাস করার মত লোকেরও অভাব নেই। তাদের ধারনা, বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে সব কিছুই যখন সম্ভব হচ্ছে তখন এটাও বা অসম্ভব থাকে কেন?

তবে এই বিষয়টা নিয়ে অন্য সকলের মত এই দুই বন্ধুর মধ্যেও আগ্রহের কোন কমতি নেই। আর সেই আগ্রহটাই এখন ক্রমে ক্রমে উত্তেজনার রুপ ধারন করার চেষ্টা করছে। দু'জনের মধ্যে কেউ কারো থেকে কম নয়। একজন এর পক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করে বিষয়টা বোঝানোর চেষ্টা করছে, তো অপরজন সেই যুক্তির পাল্টা কারণ দেখিয়ে তার বিপক্ষ যুক্তি দিয়ে আবার সেটাকে খন্ডন করে দিচ্ছে। মানে বিষয়টা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যেন, যে যেটা বলছে তার কাছে সেটাই ঠিক। কেউ কারো যুক্তি থেকে এক চুল পরিমাণ এদিক ওদিক হতে রাজি নয়। ওদের এই বাক যুদ্ধ কতক্ষণ চলতো তা হয়তো বলা যেত না। কিন্তু ঠিক তখনই কোথা থেকে যেন হঠাৎ করে প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়ের মত বাতাস বইতে শুরু করলো। আর সেই ঝড়ের তান্ডবে রাস্তার ধুলোবালি, ময়লা-আবর্জনা সব একতাবদ্ধ হয়ে তাদের স্লোগান করতে শুরু করে দিল।

হঠাৎ প্রচন্ড দমকা হাওয়া আর সাথে উড়ে আসা ধুলাবালিতে ওদের দুজনেরই কথার মাঝে ছেদ পড়লো। প্রচন্ড ধুলাবালির হাত থেকে নিজেদের চোখকে রক্ষা করার জন্য দু'জনেই হাতের তালু দিয়ে যার যার চোখ ঢাকলো। এভাবে কতক্ষণ যে ঢেকে রাখলো তা ঠিক মনে করতে পারলো না, কিন্তু সহসা চোখ খুলে দেখলো ওদের চারপাশটা ভীষণ রকমের অন্ধকার হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে যেন হাজারটা আমাবস্যার অন্ধকার রাত এক হয়ে একটা কুৎসিত কালো রাতে রুপান্তরিত হয়েছে। যেন কাকের চোখের মত কালো ঘুটঘুটে অন্ধকার। যে অন্ধকারের মধ্যে একহাত দূরের কোন বস্তুই ঠিকঠাক মত দেখা যায় না। তাছাড়া চারপাশের পরিবেশটা এতটাই শান্ত এবং নিস্তব্দ যে মনে হচ্ছে যেন, চারদিকে একটা কবরের নিস্তব্দতা বিরাজ করছে! যে নিস্তব্দতা এতটাই ভয়ংকর যে, তার মধ্যে পড়ে সম্রাট ওর নিজের নিঃশ্বাসের শব্দ শুনে নিজেই যেন চমকে উঠছে! কিছুক্ষণ এভাবে থাকার পর হঠাৎ সম্রাটের মনে হলোঃ
-'ওর সাথে যে ওর বন্ধু সুজন ছিল? তাহলে সে হঠাৎ গেল কোথায়?'

সম্রাট কেবল সুজন বলে ডাক দিতে যাবে ঠিক এমন সময়, ওর কাঁধে একটা শক্ত হাতের স্পর্শ অনুভব করলো।......কে?...... বলে সে একটা আত্মচিৎকার দিয়ে পিছন দিকে ঘুরলো! কিন্তু তার সামনে আবছা একটা ছায়া ছাড়া আর কিছুই সে দেখতে পেল না! তখন ঐ স্পর্শকৃত হাতটাকে ধরে একটা মৃদু ঝাঁকুনি দিয়ে সম্রাট আবারও আত্মচিৎকারের মত করে বলে উঠলো- 'সুজন?'
পাশ থেকে তেমনই আত্মচিৎকার কিন্তু অত্যন্ত কাঁপা কাঁপা কন্ঠে উত্তর এলো- 'হু, দোস্ত আমরা এটা কোথায় এসে পড়লাম বলতো?'
-কেন......রে?
কথাটা বলতে গিয়ে সম্রাটও অনুভব করলো, নিজের অজান্তেই ওর কেমন জানি গলাটা কাঁপছে! আস্তে আস্তে সে আরো একটু এগিয়ে গিয়ে সুজনকে দু'হাতে জড়িয়ে ধরলো। সুজনও যতটা সম্ভব নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে বললঃ-
-আরে দেখছিস না, আমাদের পায়ের নিচে কোন মাটি নেই? সবটাই কেমন যেন ইস্পাতের মত শক্ত নূড়ি নূড়ি পাথর। তাছাড়া আমরা তো হাঁটতে হাঁটতে আমাদের বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। কিন্তু এই জায়গাটাকে তো কিছুতেই আমাদের বাড়ি বলে মনে হচ্ছে না?

সুজনের কথায় সম্রাট বিষয়টা পরীক্ষা করার জন্য মাটিতে বসে পড়লো। তারপর খামচা দিয়ে একমুষ্টি মাটি উঠিয়ে নিয়ে হাত দিয়ে পরীক্ষা করে দেখলো যে, সুজন যা বলছে তার এক বিন্দুও মিথ্যা নয়! সে খামচা দিয়ে মাটি উঠাতে চেয়েছিল বটে, কিন্তু তার হাতে নরম মাটির পরিবর্তে উঠে এসেছে নূড়ি নূড়ি পাথর। যেগুলো সব ইস্পাতের মত শক্ত আর কঠিন। সম্রাট এবার আরো বেশি নার্ভাস ফিল করতে লাগলো। কিন্তু সেটা সে মুখে প্রকাশ না করে, সুজনকে বললঃ-
-দোস্ত আমারও ঠিক তাই মনে হচ্ছে। আমার মনে হয় সেই প্রচন্ড ঘূর্নিঝড়ের কবলে পড়ে আমরা নিজেরদের এলাকা ছেড়ে বাইরের কোন এলাকায় এসে পড়েছি। হয়তো বাইরের কোন গ্র.............

সম্রাটের কথা শেষ হলো না। হঠাৎ একটা সম্পূর্ন অচেনা গলার আওয়াজে ওরা দু'জনেই আতঙ্কে সামনের দিকে চাইলো। দেখলো ওদের সামনেই একটা মোমবাতির মত মোলায়েম আলোর শিখা জ্বলছে। ঠিক ওদের নাক বরাবর। তবে মোমবাতির পিছনে যে কেউ আছে, প্রচন্ড অন্ধকারের মধ্যে পড়ে সেটা তারা বুঝতেই পারলো না। ঠিক তখনই আবারও সেই অচেনা আওয়াজ- 'বা,বি,বা,বো,বু'!
আতঙ্কে সম্রাট চিৎকার করে উঠলো- 'কে আপনি?'
হঠাৎ করে মোমবাতির আলোটা একটু দুলে উঠলো! তারপর তার পিছন থেকে কেউ একজন কথা বলে উঠলো। তবে এবার আর আনকমন কোন ভাষা নয়। মোমবাতিটা হাতে করে যিনি দাঁড়িয়ে আছেন তিনি সম্পূর্ন বাংলা ভাষায় বলে উঠলেনঃ

"শুভ সন্ধা! 'প্ল্যানেট নাইন' গ্রহে আপনাদের দু'জনকে সুস্বাগতম! যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আপনারা আমার প্রথম বলা কথাগুলো বুঝতে পারেন নি, সেজন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত!"


সম্রাটরা কথা বলবে কি? এইমাত্র ওদেরকে উদ্দেশ্য করে যে কথা গুলো বলা হয়েছে, তা শুনে দু'জনেই ঐ মোমবাতির আলোটার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। তাছাড়া কি আশ্চার্য কন্ঠস্বর! দু'জনেরই মনে হলো এমন সুন্দর এবং মিষ্টি সুরেলা কন্ঠস্বর মনে হয় ওরা জীবনে এই প্রথম শুনলো। মনে হলো কন্ঠটার মধ্যে যে যান্ত্রিকতা কাজ করছে সেটা যদি না থাকতো, তাহলে সেই কন্ঠস্বরটা শুনতে যে আরো কত মধুর হতো, তা কল্পনাও করা যায় না! সম্রাট এবং সুজনকে এভাবে অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মোমবাতিটা আবারও নড়ে উঠলো। এবং আবারও সেই মিষ্টি কন্ঠস্বরটা ওদের কানে ভেসে এলোঃ
-না জানিয়ে আপনাদের দু'জনকে আমাদের গ্রহে উঠিয়ে আনার জন্য 'প্ল্যানেট নাইন' গ্রহের সকল অধিবাসীদের পক্ষ থেকে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তবে আপনাদেরকে আমরা সারা জীবনের জন্য এখানে আটকে রাখবো না। আমাদের কাজ মিটে গেলেই আপনাদেরকে আবারও ফেরত পাঠানো হবে, আপনাদের সেই পূর্বের ঠিকানায়। অর্থাৎ পৃথিবীতে!

সুকন্ঠির কথা শুনে সম্রাট এবার প্রশ্ন করলো- 'কি কাজ?'
-আপনাদের কাছ থেকে আমাদের কিছু বিষয় জানার আছে। সেগুলো জানতে পারলেই আমরা আপনাদেরকে আর ধরে রাখবো না।
এবার সুজন কথা বলল। তবে সে যে এখনো স্বাভাবিক হতে পারেনি সেটা তার কথা শুনলেই বোঝা যায়। কিছুটা আমতা আমতা করে সে উঠলোঃ
-আমরা কি পা-র-বো আপনাদের অ-জা-না বিষয় গুলোর সমাধান দি-তে?
-অবশ্যই পারবেন! আর পারবেন বলেই তো সমগ্র পৃথিবী থেকে আপনাদের দু'জনকেই সিলেক্ট করা হয়েছে!
হঠাৎ করে সুজন এবার একটা অন্যরকম প্রশ্ন করে বসলোঃ-
-আচ্ছা আপনাদের এই গ্রহটা এত অন্ধকারময় কেন? আমরা যে কিছুই দেখতে পাচ্ছি না? এমনকি আপনার ঐ মোমবাতির মত আলোটা ছাড়া আর কোন কিছুই যে আমরা দেখতে পাচ্ছি না?
সুজনের কথা শুনে সুকন্ঠি হঠাৎ করে মৃদু হেসে উঠলো! আহঃ সেই হাসির কি সুর! মনে হচ্ছে কেউ যেন হারমনির কিবোর্ডে নিপূণ হাতের সুর তুলছে। তারপর হাসি থামিয়ে কথা বলে উঠলোঃ
-হুম, তা অবশ্য ঠিক। তবে এই অন্ধকারে আমাদের কোন অসুবিধা হয় না। কারণ এই অন্ধকারটাই আমাদের কাছে আলোর সমান। তবে আপনাদের দৃষ্টির একটা সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে মূলত আপনারা এই অন্ধকারে কিছু দেখতে পাচ্ছেন না! নইলে আমাদের মত হলে অবশ্যই আপনারা সব কিছুই পরিষ্কার দেখতে পেতেন!

সুকন্ঠি থামতেই সম্রাট এবং সুজনের মনে হলো যেন এতক্ষন ওরা কোন রেকর্ড করা কথার আওয়াজ শুনছিল। এইমাত্র যেটা থেমে গেছে। তবে সম্রাট এবার বললঃ
-আচ্ছা কোন ভাবেই কি আপনাদেরকে দেখা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়?
-অবশ্যই সম্ভব! কেন নয়? আর আপনাদের জন্য আগেই আমরা সে ব্যবস্থা করে রেখেছি। অবশ্য এমন যান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া কোন মতেই খালি চোখে আমাদের কে দেখা বা পর্যবেক্ষণ করা আপনাদের জন্য সম্ভব ছিল না। তবে যেহেতু আপনাদের সাথে আমাদের গ্রহের প্রেসিডেন্ট কথা বলবেন সেজন্যই এই ব্যবস্থাটা করা হয়েছে। আচ্ছা আপনারা আসুন আমার সাথে!

বলে মোমবাতির আলোটা হঠাৎ নড়ে উঠলো। এবং ঘুরে সামনের দিকে চলতে শুরু করলো। সম্রাট এবং সুজনও সেই আলোকে অনুসরণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো। এভাবে অল্প কিছুক্ষণ চলার পর মোমবাতিটা একটা প্রকান্ড হল ঘরের মধ্যে এসে প্রবেশ করলো। সম্রাট এবং সুজনও পিছন পিছন সেই ঘরের মধ্যে গিয়ে ঢুকলো। এবার ওরা আবছা আবছা ভাবে দেখতে শুরু করলো। কারণ ঘরটাতে যথেষ্ট পরিমাণ আলোর ব্যবস্থা করা আছে। তবে ওদের চারপাশের অন্ধকারটা এতটাই ঘন যে সেই একচাপ অন্ধকারের ভিড়ে এই যথেষ্ট আলোতেও ওরা এখনো সব কিছু স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে না। আস্তে আস্তে যখন অন্ধকারটা ওদের চোখ সওয়া হয়ে গেল তখন দু'জনেই লক্ষ করে দেখলো যে, ওদের ঠিক সামনেই একটা ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী যুবতী/ষোড়শী মেয়ে ধবধবে সাদা স্যালোয়ার কামিজ পরে ওদেরই সামনে সামনে হেঁটে চলেছে। শুধু সাদা স্যালোয়ার কামিজটা ছাড়া মেয়েটার আর কোন কিছুই ওরা স্পষ্ট ভাবে দেখতে পেল না। তবে সেই শুভ্র স্যালোয়ার কামিজেই মেয়েটাকে পিছন থেকে যা আকর্ষণীয় লাগছে, না জানি মুখটা তার আরো কত সুন্দর? কিছুক্ষণের মধ্যেই ওরা সেই হল ঘরটাকে অতিক্রম করে আরো সুন্দর ভাবে সাজানো ছোট খাটো একটা কামরার মধ্যে এসে উপস্থিত হলো। এই রুমটাতে এসে সম্রাট এবং সুজন এতক্ষণ পর সব কিছু স্পষ্ট ভাবে দেখতে পাচ্ছে। দু'জনেই খেয়াল করে দেখলো, কামরাটার একপাশে একটা সিংহাসন সাদৃশ আসন পেতে রাখা হয়েছে। আর তার সামনেই আরো দুইটা সোফা পাশাপাশি ভাবে রাখা আছে। কামরাটার একেবারে মাঝ বরাবর এসে মেয়েটা হঠাৎ করে থমকে দাঁড়ালো! কিছুক্ষন ঐভাবে দাঁড়িয়ে থেকে কি যেন ভাবলো। তারপর হঠাৎ করে সে ওদের দিকে ঘুরে দাঁড়ালো.........!

কিন্তু এটা কি দেখছে ওরা! এই মুখটা কি কোন ১৬/১৮ বছর বয়সী যুবতীর হতে পারে? আতঙ্কে সুজন আবারও সম্রাট কে জড়িয়ে ধরলো। ঐ মুখের চেহারা দেখে দু'জনের কেউই আর কোন কথা বলতে পারলো না। এত সুন্দর একটা মেয়ের মুখ মন্ডলটা যে এতটা কুৎসিত আর কদাকার হতে পারে সেটা ওরা কল্পনাও করতে পারলো না! ঠিক আশি কিংবা নব্বই বছরের একজন থুরথুরে বুড়ির মুখ যেমন তোবড়ানো আর বাঁকা হয়, মেয়েটার মুখটাও ঠিক তেমন! এছাড়া আরও একটা জিনিস ওরা খুব ভাল ভাবে খেয়াল করলো। সেটা হলো, ১৬/১৮ বছর বয়সে একটা মেয়ে যতটা লম্বা এবং যতটা মানান সই হতে পারে এই মেয়েটা ঠিক তেমন নয়! লম্বায় মেয়েটা কত আর হবে? ঐ আড়াই ফুট থেকে তিন ফুট! তাছাড়া মেয়েটার পিছন দিকে প্রায় এক থেকে দেড় ফুটের মত লম্বা একটা লেজ কোমরের কাছ থেকে ঝুলে আছে! পৃথিবীতে বসবাস রত বানর, শিম্পাঞ্জী বা হনুমানের যেমন থাকে, ঠিক তেমনই! ওদেরকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে মেয়েটি এবার কিছু বলার জন্য মুখ খুললো। কিন্তু কি আশ্চার্য! মেয়েটার মুখের মধ্যে যে অগনিত দাঁত! একটার সাথে আর একটা, তার সাথে আরও একটা এভাবে প্রায় এক থেকে দেড়'শ টা দাঁত ক্রমান্নয়ে সাঁজানো।

নিজের অজান্তেই সম্রাট অস্পষ্ট স্বরে বলে উঠলোঃ
-' ওহ মাই গড! এ আমি কি দেখছি? আরে, মেয়েটার মুখের মধ্যে এত দাঁত কেন?'
কিন্তু মেয়েটা সম্রাটের প্রশ্নের কোন উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করলো না। সে তার মত করে বলে উঠলোঃ
-আপনাদের এতটা অবাক হওয়ার কোন কারণ নেই! আমাদের গ্রহের সবাই-ই আমার মত একই রকম দেখতে! কেউ লম্বা নয় আবার কেউ খাটোও নয়! কেউ মোটা নয় আবার কেউ চিকনও নয়! আমাদের কে চিহ্নিত করতে হলে দেখতে হবে আমাদের লেজ! কারণ আমাদের স্ট্যাটাস অনুযায়ী আমাদের লেজ হয়। আমাদের যে যত বেশি মর্যাদা সম্পন্ন হন, তার লেজও ঠিক ততটাই লম্বা আর অধিক লোমশ বিশিষ্ট হয়।

মেয়েটার কথা শুনে এবার দু'বন্ধু ফিক করে হেসে দিল! লেজ দেখে নাকি বিচার করতে হবে কে কেমন? ভাবতেও হাসি পায়! কিন্তু এর মধ্যেও সম্রাটের মাথায় অনেক্ষণ ধরে একটা প্রশ্ন ঘুরপাঁক খাচ্ছিলো। যেটা এবার সে জিজ্ঞাসা না করে পারলো নাঃ
-আচ্ছা বুঝলাম যে, লেজ দেখে আপনাদের মধ্যে কে কেমন সেটা চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু আমার প্রশ্নটা হলো, আপনাদের মধ্যে নারী/পুরুষ চিহ্নিত করেন কিভাবে? নাকি সেটাও ঐ লেজ দেখে?
সম্রাটের কথা শুনে মেয়েটা একটু হাসলো। তারপর বললঃ
-জ্বি না! আমাদের মধ্যে কোন নারী/পুরুষ নেই! আমরা সবাই সমান, একই গোত্রীয় ভুক্ত! যৌণ আকাঙ্খা কিংবা আপনাদের পৃথিবীর মানুষদের মত কোন ইন্দ্রীয় শক্তি বা কামনা-বাসনা নামক কোন শব্দ আমাদের কারো মধ্যেই অবশিষ্ট নেই!
-তাহলে আপনাদের বংশ বৃদ্ধি হয় কিভাবে?
হঠাৎ করেই সুজন আচমকা প্রশ্নটা করলো! কিন্তু এবারও মেয়েটা একটু মুচকি হাসি দিয়ে বলতে আরম্ভ করলোঃ
-আপনাদের পৃথিবীর হিসাবে আজ আমার বয়স নয় হাজার বছর! আমাদের গ্রহটা আপনাদের পৃথিবীর তুলনায় প্রায় নয়গুন বড়! আমার জন্মের পর থেকে আমাদের গ্রহের মোট লোক সংখ্যা দেখে আসছি প্রায় নিরানব্বই কোটি। আর তার মধ্যে বিভিন্ন গবেষণার কারণে আজ অবধি মাত্র নয়জনকে মৃত্যু মুখে পতিত হতে দেখেছি। এখন আপনারাই বিবেচনা করে দেখুন যে, আমাদের এই গ্রহে আদৌ জনসংখ্যা বৃদ্ধি/কম হওয়ার কোন কারণ আছে কি? যদি না দূর্ভাগ্যক্রমে কোন কিছু না হয়ে যায়!

বলে মেয়েটা একটু থামলো। তারপর একটা নিঃশ্বাস নিয়ে সে আবারও বলতে শুরু করলোঃ
-কিছু মনে করবেন না! আসলে আমরা সাধারণত খুব একটা বেশি কথা বলি না। কিন্তু আপনাদের কে সব সময় হাসি খুশি রাখার জন্যই এতক্ষণ যাবত শুধু বকবক করেই চলেছি। কারণ আপনাদের মনকে প্রফুল্ল রাখার জন্য আমাদেরকে উপর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের প্রেসিডেন্ট মহোদয় আপনাদের সাথে স্বাক্ষাত করতে চলে আসবেন! দয়া করে আপনারা দু'জন এই দুই চেয়ারটাতে বসে পড়ুন!

বলে মেয়েটা পাশে পেতে রাখা সেই সোফা দুটির দিকে ঈঙ্গিত করলো। দুই বন্ধু কোন রকম কথা না বলে বাচ্চা শিশুর মত সেই সোফা দুটি অধিকার করে বসে পড়লো। কিছুক্ষণ এভাবে বসে থেকে হঠাৎ সম্রাট সুজনের কানে কানে বললঃ
-দোস্ত একটা জিনিস খেয়াল করেছিস?
-কি?
-আরে ওদের হিসাবের মধ্যে?
-হিসাবের মধ্যে আবার কি বুঝছি নাতো?
-আরে গাধা দেখলি না, সব কিছুতেই নয় সংখ্যার একটা ব্যাপার স্যাপার আছে! মেয়েটার বয়স নয় হাজার বছর, ওদের গ্রহটা আমাদের গ্রহের তুলনায় নয় গুণ বড়, ওদের গ্রহের লোক সংখ্যা মোট নিরানব্বই কোটি, তার মধ্যে আবার মারা গেছে নয় জন। গ্রহের নামটার সাথেও এই নয় সংখ্যার কেমন একটা মিল দেখেছিস?
-হুম, প্ল্যানেট নাইন! আসলেই চমৎকার!
তারপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে সম্রাট আবারও বললঃ
-আচ্ছা এখানে একটা প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে?
-কি সেইটা?
-দেখ মেয়েটা বলল যে ওদের গ্রহের মোট অধিবাসী হলো নিরানব্বই কোটি। এখন এই নিরানব্বই কোটি কি ঐ নয় জন মারা যাওয়ার পর নিরানব্বই কোটি, নাকি মরা বাঁচা ধরে নিরানব্বই কোটি?
-আমার তো মনে হয় মারা যাওয়ার পর নিরানব্বই কোটি হবে। কারণ তা না হলে তোর কথা মত সেই নয় সংখ্যার ব্যাপারটা তো আর থাকে না। একটা জিনিস দেখ, যদি মোট জনসংখ্যা নিরানব্বই কোটি হয়, আর তার মধ্যে যদি নয় জন মারা যায়! তাহলে কিন্তু বর্তমান জনসংখ্যা থাকে 'আটানব্বই কোটি নিরানব্বই লক্ষ নিরানব্বই হাজার নয় শত একানব্বই' জন!
-হুম, তাও হতে পা.......

সম্রাটের কথা শেষ হলো না। তার মধ্যেই হঠাৎ করে ওদের বসে থাকা ঘরটা আরো বেশি আলোকিত হয়ে উঠলো। এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই একজন বৃদ্ধ এবং তার সাথে আরো জনা কয়েক বৃদ্ধ-যুবক মিলিয়ে ঘরটার মধ্যে এসে প্রবেশ করলো! আর তাদের পিছনে আরো একজনকে দেখলো, যার হাতে একটা খাবারের ট্রে। আর সেই ট্রের মধ্যে পাথরের নূড়ির মত কি যেন আছে। ওদের কে আসতে দেখে সম্রাট এবং সুজন বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো। প্রথম প্রবেশকারী সেই বৃদ্ধ ভদ্রলোকটি হাত উঁচিয়ে ওদের কে অভিবাদন জানালো। ওদের সবারই মুখ একই রকম, যেমন কুৎসিত ঠিক তেমনই এবড়ো থেবড়ো। একমাত্র কন্ঠস্বর শুনে ছাড়া সামনে থেকে দেখে কিছুতেই বোঝার উপায় নেই যে কার বয়স কত। তাছাড়া সবারই গায়ে সেই একই পোশাক। বৃদ্ধ ভদ্রলোকটি সিংহাসনের মত সেই আসনটিতে বসতে বসতে বললেনঃ
-শুভ রাত প্রিয় বন্ধুরা! আপনারা কেমন আছেন?
-জ্বি ভাল আছি!
একটা ঢোক গিলে নিয়ে কোন রকমে সম্রাট উত্তর দিল। আচার ব্যবহার এবং চালচলন দেখে ওরা বুঝলো যে, এই বৃদ্ধই 'প্ল্যানেট নাইন' গ্রহের প্রেসিডেন্ট। বুড়োটা এবার সেই ট্রে হাতে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটার দিকে কি যেন নির্দেশ করতেই, লোকটা তার ট্রেটা নিয়ে ওদের সামনে আসলো। তারপর সেই ট্রেতে সাঁজানো দুইটা পাথর দেখিয়ে বললঃ
-এগুলো আপনাদের জন্য!
দুই বন্ধু পাথরের নূড়ি দুইটা ট্রে থেকে উঠিয়ে নিল। সম্রাট পাথরের নূড়িটাকে হাত দিয়ে একটা চাপ দিল, কিন্তু কিছুতেই নরম করতে পারলো না। এত শক্ত একটা জিনিস ওরা কিভাবে খাবে, সেটা ভেবেই দু'জনে বেশ অপ্রস্তুত হয়ে গেল। ওদের এমন অপ্রস্তুত ভাব দেখে সিংহাসনে বসা বৃদ্ধটি মৃদু হেসে বললেনঃ
-আপনারা খাচ্ছেন না কেন? খেয়ে দেখেন ও গুলো অনেক সুস্বাদু আর পুষ্টিকর!

অনিশ্চা স্বত্তেও দুই বন্ধু এবার পাথর দুটিতে কামড় বসালো। আর কামড় বসানোর সাথে সাথে কি এক মজাদার আবেশে দুজনের মুখ ভরে গেল। আসলে যেটাকে ওরা পাথর ভেবে এতক্ষণ ভুল করেছিল সেটা আসলে কোন পাথর নয়। খুবই নরম এবং সুস্বাদু একটা খাবার। তবে ওরা অনেকটাই নিশ্চিত যে, এটা ওদের পরিচিত পৃথিবীর কোন খাবার নয়। সম্পূর্ন অচেনা। দুই বন্ধু এবার আস্তে আস্তে খেতে শুরু করলো। কিছুক্ষণের মধ্যে খাওয়া শেষ করে সম্রাট এবার বৃদ্ধটির দিকে তাকিয়ে বললঃ
-কিছু মনে করবেন না! এবার যদি বলতেন যে আসলে ঠিক কি কারণে আমাদের দু'জনকে আপনারা সেই পৃথিবী থেকে উঠিয়ে এনেছেন, তাহলে খুব খুশি হতাম?
সম্রাটের কথা শুনে এবার বৃদ্ধ ভদ্রলোকটি বললেনঃ
-দেখুন কারণটা হয়তো আপনাদের কাছে খুবই সিম্পল মনে হতে পারে। কিন্তু সেটা আমাদের কাছে খুবই জরুরী। আর তা হলো, আমারা দীর্ঘকাল যাবত একটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি; কিন্তু কিছুতেই সেই প্রশ্নের উত্তরটা বের করতে পারছি না। আমাদের বিশ্বাস এই প্রশ্নের উত্তর একমাত্র পৃথিবীর মানুষই দিতে পারবে। আর সেজন্যই আপনাদের কে আমরা আমাদের এই গ্রহে উঠিয়ে নিয়ে এসেছি।
-তো বলুন আপনার সেই প্রশ্নটা কি?
-হ্যাঁ! সেটা হলো, একজন মানুষের কোথাও বেঁচে থাকার জন্য ঠিক কি কি প্রয়োজন হয় বলে আপনারা মনে করেন? কিংবা একজন মানুষ যদি পৃথিবী ছাড়া অন্য কোথাও যেয়ে একাকী বাঁচতে চায় তাহলে তার জন্য তাকে ঠিক কি কি দরকার হতে পারে?
প্রশ্নটা শুনে দুই বন্ধু একজন আর একজনের দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ হাসলো। কারণ একটু আগে যে প্রশ্নটা ওদের দুজনকে উদ্দেশ্য করে করা হয়েছে, পৃথিবীর একজন পাঁচ বছরের বাচ্চাও অনায়াসে তার উত্তর বলে দিতে পারবে। কিন্তু তারপরেও যতটা সম্ভব অত্যন্ত বিনয় সহকারে সম্রাট উত্তর করলোঃ
-দেখুন, আমাদের পৃথিবীতে বাস করা মানুষের অনেক গুলো চাহিদার মধ্যে অন্যতম প্রধান মৌলিক চাহিদা হলো মোট পাঁচটি। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং শিক্ষা। আমার মনে হয় এই পাঁচটা জিনিস একজন মানুষের কাছে থাকলে তার আর কোন কিছুরই দরকার পড়ে না।
-আর একটা জিনিস আছে!
হঠাৎ করে পাশের সোফায় বসে থাকা সুজন চিৎকার করে উঠলো। সুজনের চিৎকার শুনে সম্রাট অবাক হয়ে ওর দিকে তাকালো! সিংহাসনে বসা বৃদ্ধ লোকটিও সুজনের কথায় অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলেনঃ
-কি সেই আর একটা জিনিস?
-অক্সিজেন! অক্সিজেন ছাড়া তো কোন মানুষ অন্য কোথাও গিয়ে বাঁচতে পারবে না!
সুজনের কথায় সম্রাট ও মাথা ঝাঁকিয়ে সায় দিল। তারপর কিছুক্ষন সবাই চুপ। হঠাৎ করে নিরাবতা ভেঙে বৃদ্ধ লোকটি অত্যন্ত গুরু গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলেনঃ
-হুম, আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ন একটা কথা বলেছেন। তবে প্রিয় বন্ধুরা, আজ এ পর্যন্তই! বুঝতে পারছি আপনারা ভীষণ ক্লান্ত। সুতরাং আজ আর আপনাদের কে বিরক্ত করবো না। তবে আমার আর একটা প্রশ্ন আছে, আর সেটার উত্তর পেলেই আপনাদেরকে আমরা খুব শীঘ্রই আবারও পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেবো!
-আচ্ছা হঠাৎ করে আপনারা মানুষের মৌলিক চাহিদার খোঁজ করছেন কেন সেইটা তো বললেন না?
হঠাৎ করেই সম্রাট বৃদ্ধকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্নটা করলো। সম্রাটের প্রশ্ন শুনে বৃদ্ধ একটু মৃদু হাসি দিয়ে বললেনঃ
-আজ নয়, কাল বলবো। আজ আপনার বিশ্রাম করেন। বাকি কথা কালকেই বলবো। ভাল থাকবেন, শুভ রাত্রি!
বলে তিনি উঠে দাঁড়ালেন! তারপর সম্রাটদের কে রিসিভ করা সেই মেয়েটার দিকে কি একটা নির্দেশ করতেই মেয়েটা পিছন দিক থেকে বলে উঠলোঃ
-দয়া করে আপনার আমার সাথে আসুন!

এই মেয়েটার কথা এতক্ষণ যাবত সম্রাট বা সুজন কারোরই মনে ছিল না। হঠাৎ করে পিছন থেকে সেই পরিচিত কন্ঠস্বর শুনেই তারা বুঝতে পারলো যে, মেয়েটা এতক্ষণ যাবত ওদের পিছনেই দাঁড়িয়ে ছিল। দুই বন্ধু আর কোন বাক্য ব্যয় না করে ঐ মেয়েটিকে অনুসরণ করে চলতে লাগলো। কিছুক্ষণের মধ্যে ওরা একটা সুন্দর ছোট খাটো কক্ষে এসে উপস্থিত হলো। একটা মাত্র পালঙ্ক ছাড়া যে কক্ষের মধ্যে আর কোন বস্তুই অবশিষ্ট নেই। এমনকি দেওয়ালে একটা ক্যালেন্ডার পর্যন্তও নেই। সম্রাট এবং সুজন এগিয়ে গিয়ে বিছানাতে বসলো। কিছুক্ষণ পর মেয়েটি বললঃ
-আপনারা শুয়ে পড়ুন। আবারও আপনাদের সাথে কথা হবে। পরে, কোন এক সময়! শুভ রাত্রি।
বলে মেয়েটি আর ওদের উত্তরের অপেক্ষা করলো না। বেশ দ্রুততার সহিত রুম থেকে বেরিয়ে গেল। মেয়েটার চলে যাওয়ার সাথে সাথে দরজাটাও অটোমেটিক বন্ধ হয়ে গেল। সম্রাট এবং সুজন প্রচন্ড ক্লন্তিতে বিছানায় ঢলে পড়লো। বিছানাটা এতটাই নরম এবং কোমল ছিল যে, অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই দুজনে গভীর ঘুমের মধ্যে তলিয়ে গেল।

হঠাৎ করে কিসের জানি একটা শব্দে সম্রাটের ঘুম ভেঙে গেল। ও চোখ মেলে চাইলো। চারদিকটা কেমন জানি আবছা আবছা অন্ধকার। এখনো ভাল করে দিনের আলো ফোটেনি। সম্রাট যে রুমটাতে শুয়ে আছে তার প্রত্যেকটা জানালা দরজা বন্ধ। কিন্তু হঠাৎ করে পাশ ফিরে চাইতেই ও অবাক হয়ে গেল! নিজের চোখকেই যেন ও বিশ্বাস করতে পারছে না! দুই হাতের তালু দিয়ে চোখ দুটোকে একটু ঘষে নিয়ে সে আবারও দেখলো। কিন্তু নতুন কিছু সে দেখতে পেল না। এটাও কি সম্ভব! সম্রাট নিজের কাছেই নিজে প্রশ্ন করলোঃ
-আরে, সুজন কই? গত রাতে সুজন তো ওর পাশেই ঘুমিয়ে ছিল? কিন্তু এত ভোরে সে গেল কোথায়? দরজাটাও তো ঠিক তেমনই বন্ধ আছে! সেই একই পালঙ্ক, একই ঘর, ঘরের চেহারাও একই! তাহলে, সুজন গেল কোথায়?

নিজের অজান্তেই সম্রাটের দু'চোখের কোণ ভিজে উঠলো। আনমনে সে বিছানার চারদিক পাগলের মত হাতড়াতে লাগলো। সুজন ওর সব থেকে কাছের বন্ধু! আজ যদি সুজনকে রেখে ওকে ফিরে যেতে হয়, তাহলে সুজনের মায়ের কাছে ও কি জবাব দেবে? সম্রাটের মাথায় কোন কাজ করছে না! এখন ওর শুধু চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছা করছে! সম্রাট সুজনের নাম ধরে কেবল চিৎকার করতে যাবে.............. ঠিক তখনই, হঠাৎ দরজার ও পাশে ক্যাচ করে একটা শব্দ হলো। আর সঙ্গে সঙ্গে খুলে গেল দরজা! সম্রাট খুব ভাল ভাবে লক্ষ করে দেখলো, দরজার সামনে ধবধবে সাদা স্যালোয়ার কামিজ পরে দাঁড়িয়ে আছে একটা মেয়ে! মুখে হাসি হাসি ভাব! কিন্তু মেয়েটার চেহারা দেখেতো সম্রাট অবাক হয়ে গেল! এটা ও কাকে দেখছে? এ যে আর কেউ নয়! ওরই ছোট বোন শান্তা! সম্রাটকে চোখ মেলে চাইতে দেখে শান্তা হাসতে হাসতে বললঃ
-কিরে ভাইয়া? আজ এতক্ষণ ধরে ঘুমাচ্ছিস? ওদিকে সেই কখন থেকে তোর বন্ধু সুজন ভাইয়া এসে গেস্ট রুমে বসে আছে! জলদি ওঠ, তোদের নাকি আজ কোথায় যাওয়ার কথা আছে শুনলাম!
বলে শান্তা চলে গেল! সম্রাট ওর গমন পথের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে! কিছুক্ষণ ওভাবে তাকিয়ে থাকার পর এবার ও সমস্থ রুমটার উপর একবার নজর বুলালো! সারা ঘরের মাঝখানে একটাই মাত্র পালঙ্ক পাতা। যে পালঙ্কটাতে ও এতক্ষণ অবধি ঘুমিয়ে ছিল। ঘরের আর কোথাও কোন জিনিস নেই। এমনকি একটা ক্যালেন্ডার পর্যন্তও কোথাও টাঙানো নেই! হঠাৎ করে সম্রাটের মনে পড়লো-

"গতকাল বিকালে ওরা আগের সেই বাসাটা পরিবর্তন করে একটা নতুন বাসাতে উঠেছে। আর নতুন বাসায় এসে উঠতে উঠতে প্রায় সন্ধা হয়ে গিয়েছিল। সেজন্য ওর রুমে শুধুমাত্র খাটটা ছাড়া আর কোন কিছুই রাখা হয়নি!"

এছাড়া গতকালকের আরো একটা ঘটনার কথা ওর মনে পড়ে গেল। গতকাল রাত্রে ঘুমানোর আগে ও ইন্টারনেটে বিবিসি বাংলার ওয়েবসাইটে একটা সংবাদ পড়েছিল। যেটাতে লেখা ছিলঃ

"সৌরজগতে পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি ভরের একটি সম্ভাব্য নতুন গ্রহের সন্ধান পাওয়ার দাবী করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। গবেষকরা সম্ভাব্য ঐ গ্রহটির নাম দিয়েছেন ‘প্ল্যানেট নাইন’।"

খবরটার কথা মনে পড়তেই একটু অন্য মনষ্কভাবে সম্রাট ওর দু'চোখের পাতাকে আবারও বন্ধ করে ফেললো। আর চোখ বন্ধ করার সাথে সাথে আজ রাতে স্বপ্নের মধ্যে ওর সাথে ঘটা সকল ঘটনাই সম্রাটের পরিষ্কার ভাবে মনে পড়ে গেল। আর মনে পড়লো সেই সুন্দর কন্ঠস্বর এবং লম্বা লেজ বিশিষ্ট শুভ্র স্যালোয়ার কামিজ পরা মেয়েটার কথা। প্রচন্ড আবেশে সম্রাট ওর গায়ের উপর থেকে লেপটা সরিয়ে দিয়ে একটু আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসে, প্রকান্ড একটা হাই তুলে মৃদু হাসতে হাসতে অনেকটা আপন মনে বলে উঠলোঃ

-চেহারাটা যাই থাকুক, মেয়েটার কন্ঠস্বরটা কিন্তু দারুন! কিছুতেই যেন ভোলা যায় না! তাছাড়া তার আবার অতিরিক্ত পাওনা হিসাবে একটা লেজও আছে..........!! ;)

পুনশ্চঃ- গত ২১ শে জানুয়ারি ২০১৬ ইং তারিখে উক্ত 'প্ল্যানেট নাইন' নামক গ্রহের খবরটা আমি বিবিসি বাংলার ওয়েবসাইটে পড়ি। খবরটা পড়ার সাথে সাথে উক্ত গ্রহ নিয়ে একটা গল্প লেখার আইডিয়া আমার মাথায় আসে। যেটা সম্প্রতি আপনারা পড়ে শেষ করেছেন। খবরের সত্যতা সম্পর্কে পাঠককে অবহিত করার জন্য তার লিংকটা আমি আগেই উল্লেখ করে দিয়েছি। ইচ্ছা হলে উক্ত লিংকে ক্লিক করে আপনারাও খবরটা পড়ে নিতে পারেন।


বিঃ দ্রঃ- এই গল্পের বিষয়বস্তু সহ সমস্থ চরিত্রই সম্পূর্ন কাল্পনিক। যদি কারো ব্যক্তিগত জীবনের সাথে মিলে যায়, তাহলে সেটা একান্তই কাকতালীয় মাত্র। সেজন্য লেখক কোন ক্রমেই দ্বায়ী থাকবে না। তাছাড়া টাইপিংয়ের ভুলের কারনে হয়তো অনেক জায়গায় বানানে ভুল থাকতে পারে। সেটাকে বিবেচ্য বিষয় হিসাবে না ধরে, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে কৃতার্থ হবো!

মন্তব্য ৮৩ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৮৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

জুন বলেছেন: বিজ্ঞানীদের মনে করা সম্ভাব্য একটি গ্রহ নিয়ে এত সুন্দর , সাবলীল এবং অযথা জটিল বাক্য বিহীন একটি সাইন্স ফিকশন পড়লাম অনেক অনেক দিন পর সাহসী। খুব ভালোলাগলো কল্পনার রাজত্বে ঘুর ঘুর করতে ।
+

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

সাহসী সন্তান বলেছেন: পাঠ, প্লাস এবং মন্তব্যের জন্য প্রথমেই আপনাকে ট্রিপল ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি জুনাপু! ;)



আপনার প্রত্যেকটা মন্তব্য বরাবরই আমার জন্য একটা অনুপ্রেরণার অংশ বিশেষ! ভাল থাকবেন এবং অনেক অনেক শুভ কামনা জানবেন আপু!

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কল্পনার জয় হোক , চমৎকার গল্প
শুভ কামনা :)

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪০

সাহসী সন্তান বলেছেন: অনেক দিন পর আমার পোস্টে শ্রদ্ধেয়া মনিরা আপাকে দেখলাম! :D



আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপা! আপনার জন্যেও রইলো অফুরন্ত শুভ কামনা!

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বেশ মজার ফিকশন :)

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: হুম, ধন্যবাদ ভৃগু ভাই! শুভ কামনা জানবেন!

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার ! চমৎকার !

আপনার কল্পনা শক্তি অসাধারণ !
মাগার
এত্ত বড় লিখা পড়তে পড়তে যে পাঠকের গলা শুকিয়ে গেছে এই দরকারি বিষয় আপনার কল্পনায় আসেনি ।
আসলে চা পানির ব্যবস্থা থাকতো =p~ =p~

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: নো টেনশন ব্রাদার! এত বড় লেখা পড়তে পড়তে যে সমস্থ পাঠকদের গলা শুকিয়ে যাবে, অবশ্যই তাদের গলা ভিজানোর জন্য সুবন্দোবস্ত আগেই করা আছে। তারা পোস্ট পড়া শেষে শুধু গলা বাড়িয়ে একটু আওয়াজ দিলেই চলবে! ;)



তবে আপাতত এটা আপনার জন্য.........

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮

কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার ফিকশন।।অসাধারণ কল্পনা শক্তি!ধন্যবাদ ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ কল্লোল ভাই! শুভ কামনা জানবেন!

৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: সম্রাট ছেলেটা ঘুমের মধ্যে কী আজাইররা স্বপ্ন দেখছে আর সেইটারে আপনি গল্প বানাই দিছেন !! নাহ গল্পের জাত আর রইলো না !! ( একটি ফান বিষয়ক মন্তব্য)

হুম বিজ্ঞানীদের গবেষণা এখন মানুষের স্বপ্নেও প্রভাব ফেলে । বিষয়টা চিন্তার ।

আপনার কাল্পনিক কল্পনা প্রশংসনীয় । খুবই সাধারণ একটা জায়গা থেকে কোথায় নিয়ে ফেললেন !!! হঠাৎ আমার সাথে এমন যদি হতো আমি নিশ্চিত পরলোক গমন করতাম !! হা হা

ঐ প্লানেটের লেজওয়ালা মেয়েটারেও আর বাদ দিলেন না!! ক্যামতে কী ? তবে মনে রাখা জরুরী ওরা কিন্তু অনুভূতিশূন্য !! তাই লাভ নাই । হা হা

চমৎকার গল্প । ভাল লেগেছে, মাঝে মাঝে এমন করে ভাবতে ভাল লাগে ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

সাহসী সন্তান বলেছেন: সম্রাট ছেলেটা ঘুমের মধ্যে কী আজাইররা স্বপ্ন দেখছে আর সেইটারে আপনি গল্প বানাই দিছেন !! নাহ গল্পের জাত আর রইলো না !!

-কি করাম কন? হেই যে খালি ঘুমের মধ্যে নাক ডাকায়, আর চিক্কর দিয়ে ওঠে! গতকাল ও তো সেই একই সমস্যা দেখা দিছিল! সেজন্যই তো আর না লিখে থাকতে পারলাম না! :`>

আপনার কাল্পনিক কল্পনা প্রশংসনীয় । খুবই সাধারণ একটা জায়গা থেকে কোথায় নিয়ে ফেললেন !!! হঠাৎ আমার সাথে এমন যদি হতো আমি নিশ্চিত পরলোক গমন করতাম !!

-থ্যাংকিউউউউউউউউউউউউউউউউ! তয় পরলোকে থাইক্কাও কিন্তু আপনারে কবিতা রচনা করতে হইবো, এইটা মনে জায়গা দিয়েন? :`>

ঐ প্লানেটের লেজওয়ালা মেয়েটারেও আর বাদ দিলেন না!! ক্যামতে কী ? তবে মনে রাখা জরুরী ওরা কিন্তু অনুভূতিশূন্য !! তাই লাভ নাই ।


-কথা শুইনা কিন্তু একদমই অনুভূতি শুন্য মনে হয় নাই? বেশ ইসমাট ইসমাট লাগছিল কিন্তু? :P

চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫২

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: মানুষ গাইতে গাইতে গায়ক হয়। লিখতে লিখতে আপনার লায়েক হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ আছে। সুতরাং লিখে যান যা ইচ্ছে তাই।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: জ্বি ভাই! টিরাই করতাছি, আপনে খালি দোয়া রাইখেন! আর সর্বদা ঘুমের মধ্যে না থাইক্কা এম্বা কইরা মাঝে মাঝে পদ ধূলি দিলেই তো 'মোগাম্বা খুশ হুয়া'! ;)



মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন! শুভ কামনা!

৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: কল্পনা করছেন ভালো কথা কিন্তু মাইয়ার লেজ রাখছেন কেন :P

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: একটু স্মার্টনেস বাড়ানোর চেষ্টা করছিলাম এই আর কি! তয় আপনে এমন কইরা কইলেন ক্যান ভাই? মাইয়া মানুষ লেজযুক্ত হইলে কি কোন সমিস্যা? :`>



মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

এহসান সাবির বলেছেন: কিছু জায়গা ধরতে পরিনি... আরেকবার পড়ে নেব...

শুভেচ্ছা...

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১

সাহসী সন্তান বলেছেন: অবশ্যই পড়বেন ভাই! তবে যে জায়গা গুলোতে বুঝতে পারেন নি, সেটা বললে অন্তত আপনার বোঝার জন্য একটু হেল্প করতে পারতাম?



মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! আপনার জন্যেও শুভেচ্ছা রইলো!

১০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪

রিকি বলেছেন: হঠাৎ একটা সম্পূর্ন অচেনা গলার আওয়াজে ওরা দু'জনেই আতঙ্কে সামনের দিকে চাইলো। দেখলো ওদের সামনেই একটা মোমবাতির মত মোলায়েম আলোর শিখা জ্বলছে। ঠিক ওদের নাক বরাবর। তবে মোমবাতির পিছনে যে কেউ আছে, প্রচন্ড অন্ধকারের মধ্যে পড়ে সেটা তারা বুঝতেই পারলো না। ঠিক তখনই আবারও সেই অচেনা আওয়াজ- 'বা,বি,বা,বো,বু'!

কোয়ি মিল গ্যায়া মনে পড়ে গেল----ধু---উউউউউ----প !!!!! B-)) B-)) ভালো হয়েছে গল্প। :) :) :)

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: কোয়ি মিল গ্যায়া মনে পড়ে গেল----ধু---উউউউউ----প !!!!!

-হামনে প্ল্যানেট নাইন গ্রহে মিল গ্যায়া! টিকিট লাগবো নাকি? ফ্রি থাকলে একখান ট্যূর মাইরা আসতে পারতেন? ;)

ভালো হয়েছে গল্প।

-রিকি মনি ইয়ের খনির কাছে গল্প ভাল্লাগছে যাইনা তো খুশিতে ডিগবাজী খাইতে মুঞ্চায়! ;)
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন!

১১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭

নিমগ্ন বলেছেন: ওহে বিরাদার!!!!!!!

না পইড়া কি লিখমু? এক্টু কইয়া দেন না? ;) ;)

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

সাহসী সন্তান বলেছেন: না পইড়া কি লিখমু? এক্টু কইয়া দেন না? ;) ;)

-বর্তমান সময়ে কোন শুভাকাঙ্খিরও ছাড় হবে না! পোস্ট না পইড়া, মন্তব্য করার তেব্রো প্রতিবাদ জানাইলাম! :`>
আর পোস্ট পড়ার পর যদি মন্তব্য না পাই তাইলে ঈদের পর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়া গেলাম! তয় কোন ঈদ সেটা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে! ;)

১২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ঘুমের মধ্যে এই সমস্যা দূরীকরণে বিয়ের বিকল্প নেই, রাতে ব্যাস্ত থাকলে আর এমন কিছু ঘটবে না আশা করি !!! 'রাতে ব্যাস্ত থাকার' অর্থ শ্লীলতার মধ্যে চিন্তার খোরাক রাখে !!! হা হা হা

যে পাপে বয়ে চলছে জীবনযাত্রা সেই দেহ কী সইবে পরকালের নিদ্রা !

হা হা ! তাহলে এখন ঐ মেয়েকে নিয়ে একটা সায়েন্স ফিকশন প্রেমের গল্পও লিখে ফেলুন !!

আপনার জন্যও শুভ কামনা রইলো ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: ঘুমের মধ্যে এই সমস্যা দূরীকরণে বিয়ের বিকল্প নেই, রাতে ব্যাস্ত থাকলে আর এমন কিছু ঘটবে না আশা করি !!! 'রাতে ব্যাস্ত থাকার' অর্থ শ্লীলতার মধ্যে চিন্তার খোরাক রাখে !!!

-আহরে এম্বা কইরা যদি মোর ফাদার এন্ড মাদাররে কেউ একটু বুঝাইতো? আপনারে যে কি বইল্লা থ্যাংকিউ দিমু তার ভাষা খুইজ্জা পাইতাছি না! খাড়ান, আপনার মন্তব্যের স্কিনসর্টটা মোর মাদারের কাছে এমএমএস কইরা লই!

হেতেরা তো মোর কথা বিশ্বাস করতে চায় না, এখন বিষয়টা যে জাতীয় সমস্যার অন্তর্ভূক্ত হইয়া গেছে এবং এইটা নিয়া সুশীল সমাজ যে কথা কওন শুরু কইরা দিছে, সেইটা তো তাদের কে বুঝানো লাগবে তাই না?


যে পাপে বয়ে চলছে জীবনযাত্রা সেই দেহ কী সইবে পরকালের নিদ্রা !

-আপনার এই ধরনের কঠিন কথা গুলো আমি সত্যিই বুঝি না!

তাহলে এখন ঐ মেয়েকে নিয়ে একটা সায়েন্স ফিকশন প্রেমের গল্পও লিখে ফেলুন !!

-হুম, ভাবতেছি যেইখান থেকে শেষ করছি, আবার সেইখান থেকেই শুরু করুম!
পূণ মন্তব্যে আবারও অনেক অনেক ধন্যবাদ!

১৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: সাহসী সন্তান যেহেতো, সাহস করে সুশীল সমাজের রেফারেন্স দিয়ে বলে ফেলেন । আশা করি উনারা ঘর থেকে বের নাও করে দিতে পারেন !!!

যে পাপে বয়ে চলছে জীবনযাত্রা সেই দেহ কী সইবে পরকালের নিদ্রা !- নিত্যদিন যে পাপ করে চলছি পরকালে তো মনে হয় না সুখ নিদ্রা পাবো- কেটেকুটে, পুড়ে সব সাইজ করে ফেলবে !!


০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: হে হে, ঐ কথা কইতে গেলে নিশ্চিত আগেভাগে আমার দৌড়ানোর রাস্তা ক্লিয়ার রাখা লাগতো! নইলে কপালে যে কি দুঃখ থাকতো সেইটা জাতির সামনে না বলি!



ইহকালে আমরা যা করছি, অনেকটা নিশ্চিত পরকালে গেলে আমাদের ভ্যান চালানো ছাড়া কোন উপায় নাই! সুতরাং খুব খেয়াল করে......!!

১৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান ,



বেশ হয়েছে ফিকশনটি । গল্পকে স্বপ্নের সাথে সুন্দর করে জুড়ে দিয়েছেন ।
সাহস করে একটা কথা বলেই ফেলি - যদি প্লানেট নাইনে কোন নারী/পুরুষ না -ই থাকে তবে " মেয়েটি" বা "জনা কয়েক বৃদ্ধ-যুবক" এলো কোত্থেকে ?
আর প্লানেট নাইনে যখন সবই নয় (৯) এর খেলা সেখানে প্লানেট নাইনবাসীদের সম্রাট ও সুজনের তুলনায় ৯গুন বড় দেখাতেন, আড়াই ফুটি বানানো কি ঠিক হলো ?

আবার ফিকসনের ভেতরে মানুষের মৌলিক চাহিদার কথা বলে আপনি যে একজন মানবতাবাদী সেটা আপনার গল্পকারের ভূমিকা ছেড়ে বড় হয়ে উঠেছে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: জিএস ভাই,
প্রথমেই আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনার বিশ্লেষণধর্মী সুন্দর মতামতের জন্য! এবার আসি সাহস করে বলা আপনার চমৎকার প্রশ্ন দুইটার দিকে-



প্রথমত, প্ল্যানেট নাইন গ্রহে পদার্পন করার পরে সম্রাট এবং সুজনের সাথে যার প্রথম কথা হয়! তার কথাগুলো তাদের কাছে অনেকটা নারী কন্ঠের মত লাগে। আর সেজন্যই গল্পে তাকে নারী হিসাবেই দেখানো হয়েছে! কিন্তু পারবর্তি যাদের সাথে কথা হয়, তাদের কথা অনেকটা গুরুগম্ভীর টাইপের। আর সেজন্যই তাদের কে পুরুষ হিসাবে দেখানো হয়! কারণ নারীদের তুলনায় পুরুষরা গম্ভীর টাইপের কথা বেশি বলতে পারে! তছাড়া এখানে কিন্তু বলাই আছে যে, সবারই চেহারা এবং পোশাক ছিল একই ধরনের! যেটাকে এলিয়েন হিসাবে সাজেস্ট করা যায়!

দ্বিতীয়তো, আমি অনেক সায়েন্স ফিকশন তথা ভীনগ্রহের অধিবাসীদের বই পড়ে যেটুকু জেনেছি তাতে এলিয়েনরা সাধারণত মানুষের তুলনায় আকারে অনেক ছোট হয়! আর সেজন্যই এখানে ওদেরকে ছোট হিসাবেই দেখানো হয়েছে। তবে সত্যি বলতে, গল্প লেখার সময় আপনার এই আইডিয়াটা আমার মাথায়ই আসেনি। আসলে অবশ্যই আমি সেটা প্রয়োগ করতাম। কারণ আপনার আইডিয়াটা দারুণ!

পরিশেষে আবারও আপনার জন্য অসংখ্যবার ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা! ভাল থাকবেন!

১৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৬

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: কল্পগল্প অসাধারণ লিখেছেন!!!
এত্ত বড় দেখে, প্রথমে ভয়ই পেয়েছিলাম!!
কিন্তু পড়তে যেয়ে আর কোন ব্রেক নেইনি!!! অনেক অনেক শুভেচ্ছা!!!

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪০

সাহসী সন্তান বলেছেন: গল্পটা যে আপনি কোন ধরনের ব্রেক ছাড়াই একবারে পড়ে শেষ করেছেন সেটাতেই আমি খুশি! চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু! শুভ কামনা জানবেন!

১৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: প্লানেট নাইনেও পালঙ্ক সিংহাসন :)


দারুণ কল্পোবিজ্ঞান। +

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: জ্বি ভাই, প্ল্যানেট নাইন গ্রহে পালঙ্ক সিংহাসন! ক্যান ভুল কিছুকি হইছে ভাই? আরে গল্পেতো কত লেখক কত কিছুই করে, আমি নাহয় পালঙ্কটা নিয়ে একটু নাড়াচাড়া করলাম। তবে সেটা কিন্তু ভুল করে আবার ঐ গ্রহেই ফেলে আসিনি? ফেরার সময় ঠিকই সঙ্গে করে নিয়ে আসছিলাম!


কল্পবিজ্ঞান আপনার কাছে দারুণ লেগেছে জেনে খুশি হলাম। শুভ কামনা জানবেন!

১৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শীতের রৌদ্রজ্জল দুপুরে শহরের ব্যস্থতম সড়ক ধরে এগিয়ে যাচ্ছে মধ্য বয়সী দুইজন যুবক। সম্রাট এবং সুজন। তাদের হাতে বই খাতা, কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ। সম্ভাবত কলেজ থেকে ফিরছে! তারা স্থানীয় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।" মধ্যবয়সী যুবক?
অাহমেদ জী এস ভাইয়ের কথাগুলোও প্রাসঙ্গিক । যাহোক, দুর্দান্ত একখান গল্প পড়লাম । চমৎকার কল্পনাশক্তি ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রকৃত পক্ষে সেনটেন্সটা মিলানোর জন্যই মধ্যবয়সী দেওয়া। নইলে দিতাম না। কারণ শব্দটা আমার কাছেও কেমন কেমন জানি লাগছিল! তাছাড়া যুবক বয়সের সেমি ওয়ার্ডটাও মনে পড়ছিল না!



জিএস ভাইয়ের মন্তব্যের উত্তরটা আগেই দিয়েছি, দেখে নিতে পারেন?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

১৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কয়েকদিন আগে আমি প্লানেট নাইনে হানিমুনে যাইতে চাইছিলাম!!!!!!!!!!!!!!
সায়ান্স ফিক্সান ভাল লাগে পড়তে। আপনারটাও ভাল লেগেছে।
আরেকটু জমাতে পারতেন কাহিনীটা

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০২

সাহসী সন্তান বলেছেন: কয়েকদিন আগে আমি প্লানেট নাইনে হানিমুনে যাইতে চাইছিলাম!


-যাইতে চাইছিলেন, কিন্তু যাইতে পারছিলেন কিনা সেইটা তো কইলেন না? অবশ্য একটু আগে ভাগে যোগাযোগ করলে আমিই একটা ব্যবস্থা করে দিতে পারতাম কিনা দেখতাম! :`>

আরেকটু জমাতে পারতেন কাহিনীটা

-ভাই, এর থেকে আর দেওয়া আমার দ্বারা সম্ভব না! এইবার আপনিই ট্রাই করেন, দেখেন কিছু করতে পারেন কিনা!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

১৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৭

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার কল্পনার সায়েন্সফিকশন। পড়তে পড়তে গলা শুকিয়ে কাঠ। কষ্ট করে পড়ার জন্য এক মগ চা চাই।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই! এই নেন আপনার পাওনা-


শুভ কামনা জানবেন!

২০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১১

আবু শাকিল বলেছেন: সায়েন্স ফিকশন আমার মস্তিষ্কে যায় না।সেটা বোধ হয় আব্বা-আম্মা ভাই সবাই টের পাইছে -
তাই সারাজীবন ব্যালেন্স শিট মিলাইতে মিলাইতে জিন্দেগী পার হয়ে যাচ্ছে।
ভ্রাতা- আপনার লেখাটা মনোযোগ সহকারে পড়ার ইচ্ছে আছে ।মেধাবী ব্লগারের লেখা ।না পড়ে উল্টা -পাল্টা মন্তব্য করা যাবে না।
শুভ রাত্রি ।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২২

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা পড়ে বেশ আনন্দ পেলাম শাকিল ভাই। আমিও যে সায়েন্স ফিকশন খুব ভাল বুঝি তা কিন্তু নয়? তবে পড়তে ভাল লাগে!

মেধাবী ব্লগারের লেখা

-এই টুকু বলার মনে হয় দরকার ছিল না ভাই! শুধু শুধু লজ্জা দিলেন! আমি জ্ঞানীও নই মেধাবীও নই! সুতরাং এভাবে বলে দয়াকরে আমাকে লজ্জা দিবেন না! 8-|

মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই! শুভ কামনা জানবেন!

২১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৩

ধমনী বলেছেন: সময় করে পরে পড়বো।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: অবশ্যই পড়বেন!

২২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:০১

জিল্লুর রহমান রিফাত বলেছেন: সত্যি অসাধারন

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রিফাত ভাই, শুভ কামনা জানবেন!

২৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: ''আচ্ছা হঠাৎ করে আপনারা মানুষের মৌলিক চাহিদার খোঁজ করছেন কেন সেইটা তো বললেন না?''
সম্রাটের সাথে গলা মিলিয়ে বলতে চাই, এই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কল্পরাজ্য থেকে লগ আউট করাটা কি ঠিক হল? :P
কল্পবিজ্ঞান অসাধারণ হয়েছে। ভাললাগা রেখে গেলাম।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: আসলেই ভাই, প্রশ্নের উত্তর না নিয়ে আসাটা মনে হয় ঠিক হয়নি! তবে কি করবো বলেন? এদিকে যে ভোর হয়ে আসছিল। আর হুট করে ঘুমটাও ভেঙে গিয়ে ক্যাচালটা বাধালো!



চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন! শুভ কামনা রইলো!

২৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: বস্ এত তারাতারি শেষ করলেন ক্যান।মনে হচ্ছে পড়েই যাই।যেটুকু রস দিয়েছেন তাতেই ফিদা হয়ে গেছি।চরম ললিপপ।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: শুধু একজনের কথা মাথায় রাখলে তো হবে না বস! অনেকেই প্রচন্ড ব্যস্ততার মধ্যে থেকে ব্লগিং করে। সুতরাং পোস্ট ছোট হলে তাদের পড়তেও সুবিধা হয়! তাছাড়া যতটা সম্ভব বিস্তারিত ভাবেই বর্ননা করেছি। বেশি ঝাল চড়াইতে গেলে হয়তো আবার সেটা ভাল নাও হতে পারতো!



মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন! শুভেচ্ছা রইলো!

২৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

রিকি বলেছেন: -রিকি মনি ইয়ের খনির কাছে গল্প ভাল্লাগছে যাইনা তো খুশিতে ডিগবাজী খাইতে মুঞ্চায়! ;)

আবারো ইয়ে মিয়ে কিয়ে X(( X((

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: ক্যান ইয়ে মিয়ে কিয়ে কি খারাপ কিছু? এইটা তো আদরের ডাক আপু! হেইয়া আপনি বুঝবেন না, বাচ্চা মানুষ! :`> ;)

২৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১

ইনফেকটেড মাশরুম বলেছেন: অতি সাধারন গল্প, পড়ে আশাহত হইছি। এমনকি আমি এটাকে সার্থক গল্পও বলবো না।

সায়েন্স ফিকশন বলছেন, কিন্তু সায়েন্স আসলে আসলো কোথায়। পুরোটাই তো ফিকশন।

ঘুম ভাঙ্গার আগ পর্যন্ত গল্পটাকে আকর্ষনীয় কিছু হবে বলে মনে হচ্ছিলো। মাঝে ভীনগ্রহের প্রানীদের প্রশ্ন আছে বলে আগ্রহও তৈরী করছিলেন। ৯ সংখ্যার আসলেই কোন সমস্যা আছে ভাবছিলাম এবং যার সমাধানও এরা করে দিয়ে যাবে অথবা বের করে দিয়ে যাবে। অথবা বংশব্রিদ্ধির ব্যাপার অথবা ওদের জন্ম কিভাবে হয় এসব ব্যাপার কেবল প্রশ্নই করলেন, উত্তর কোথায়? শেষে তো স্বপ্ন এনে পুরোটাই ধামাচাপা দিয়ে দিলেন।

কিন্তু সায়েন্স ফিকশনে তো সমস্যা, কাহিনীর বিস্তার, সমাধান কিংবা তা থেকেই নতুন সমস্যার সুচনা হলেও আসবার কথা।

এভাবে অসম্ভব কিছু পরিস্থিতি ভেবে কিছুর সমাধান কিংবা কাহিনী বিস্তার না করে স্বপ্ন বলে তো হাজার হাজার গল্প লেখা সম্ভব। সায়েন্স ফিকশন ঠিক কি কারণে বললেন বোধগম্য হয়নি...

আমিও লিখে ফেলি একটা মিনি সাইফাই এভাবেঃ

ধিরে ধিরে চোহ খুললাম, আবছা অন্ধকার একসময় মিলিয়ে গেলো। পাশাপাশি দুটা সুর্য, গোলাপী আলো। আমি স্থির পড়ে আছি এক খোলা ময়দানে।কিভাবে? কেন?

আমি একটু জোর খাটিয়ে উঠে বসতে চেষ্টা করলাম। জোর খাটাতেই উঠে দাড়ানোর বদলে দেখলাম যে প্রায় শুন্যে ভেসে উঠেছি। আমার শরীরে এতো শক্তি এলো কোথা থেকে? আবার খুব ধীরে ধীরে ভুমিতে নেমে আসতে লাগলাম। নেমে আসবার পর হাটবার চেষ্টা করতেই দেখি উড়ে উড়ে যাচ্ছি, একইভাবে...

কেন এমন হচ্ছে? আমি পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র। মাথায় খেলা করলো অভিকর্ষজ ত্বরন, মধ্যাকর্ষন, অভিকর্ষ ইত্যাদি ইত্যাদি নানা সুত্রের কথা... তবে কি আমি এমন কোন স্থানে আছি যার মাধ্যাকর্ষন বল খুব কম? তাহলে তো এখানের ভরও খুব কম হতে হবে এমন হতে গেলে। আমি কি তবে পৃথিবী নই, অন্য কোন স্থানে? বায়ুস্তরও তো ভর কম হলে পাতলা হবার কথা। এতো পাতলা বায়ুস্তরে আমি প্রশ্বাঃস নিচ্ছি আর নিঃশ্বাস ঠিকমত ছাড়ছি কিভাবে?

আমার হুট করেই হাঁসফাঁস ভাব শুরু হয়। প্রচন্ড শ্বাসকষ্টে আমি দিশেহারা হয়ে যাই...

চেতনা ফিরলে কিংবা ঘুম ভাঙ্গলে দেখলাম বিছানায় উঠে বসে দরদর করে ঘামছি। পাশে রাখা আছে গ্লোবাল ডাইজেস্ট, যাতে গতরাতে পড়ছিলাম কম ভরবিশিষ্ট কোন গ্রহে গেলে আমাদের চলাফেরা কিংবা অন্যান্য নানা ব্যাপারে কি ধরনের পরিবর্তনের মুখোমুখি হতে হবে। পড়েছিলাম দ্বৈত সুর্যের গ্রহের কথা। আর তাই হয়তো স্বপ্নে দেখছিলাম...

ভাগ্য ভালো, আমাকে কেবল এমন স্থানে স্বপ্নেই থাকতে হয়েছে, বাস্তবে নয়।

এমন অদ্ভুত পরিবেশে হায়, কে থাকিতে চায়?? ;)


আমার গল্পও শেষ। সায়েন্স ফিকশন?? নো ওয়ে... উত্তপ্ত ফিকশন...

শুভ কামনা রইলো...

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: তার আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দেন? আপনারে এইখানে আইতে কইছে কেডাআআআআআআআআআআআআআআআআআ? ;)

সায়েন্স ফিকশন বলছেন, কিন্তু সায়েন্স আসলে আসলো কোথায়। পুরোটাই তো ফিকশন।

-আরে ভাউ বিষয়টা বুঝলেন না? ঐ নামটাইতো সায়েন্স, আর পুরো গল্পটা হইলো গিয়া ফিকশন। সুতরাং এভারেজ মিলাইয়া 'সায়েন্স ফিকশন'! ;)

আমার গল্পও শেষ। সায়েন্স ফিকশন?? নো ওয়ে... উত্তপ্ত ফিকশন...


-আহাহা, আপনার গল্প বড়ই সৌন্দর্য বহন করছে। সেই সাথে আমার পোস্টের মানও বাড়াই দিছে! কি বইলা যে আপনারে ধইন্যবাদ দিমু সেইটা মুই বুঝবার পারতাছি না! ;)

আাপনার জন্যেও রইলো শুভ কামনা!

২৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

মুনতা বলেছেন: ভাল লেগেছে। ঝরঝরে লেখা।
+++

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা রইলো!

২৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

শায়মা বলেছেন: সাসুভাইয়ু!!!!!!!!!!!!


অনেক অনেক সুন্দর কন্ঠের সুন্দরী সুকন্ঠিময় সায়েন্স ফিকশন!!!!!!!

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২

সাহসী সন্তান বলেছেন: থ্যাংস! ;)

২৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৫

তার আর পর নেই… বলেছেন: আমি স্বপ্নে দেখলে মাকড়সার মত প্রাণী দেখতাম!

আর মুচকি হাসতেছে কেন সেটাই বুঝলাম না। যাদের স্বাভাবিক ক্রিয়াকর্ম থাকবেনা তারা হাসতেও পারবেনা। বুঝলাম, আপনি ছেলেমানুষ দেখেই হাসতেছে ;)

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: হবে হয়তো! ভাবছে ছোট মানুষ এর সামনে আর কেঁদে কি হবে! আর তাই মনে হয় মুচকি হাসছে! :`>


তবে আপনি স্বপ্নে আর কিছু না দেইখা শুধু মাকড়সা দেখতেন ক্যান?

৩০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:২৮

তার আর পর নেই… বলেছেন: বললাম, আমি যদি অন্য গ্রহে যেতাম, বুদ্ধিমান কোন প্রাণীর কথা ভাবতাম তাহলে মাকড়সার মতো প্রানীই দেখতাম।

অনেক বেশি বুদ্ধিমান প্রাণী হলেই যে তার এত বড় মাথার দরকার হবে তাতো নয়।
মানুষের আকৃতি আবার লেজ …
কিছুটা রোবটিক ভাবনা কিন্তু বুদ্ধিমান …তাহলে বোধ হয় মানুষের মতো এমন আকৃতির দরকার নেই।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: বললাম, আমি যদি অন্য গ্রহে যেতাম, বুদ্ধিমান কোন প্রাণীর কথা ভাবতাম তাহলে মাকড়সার মতো প্রানীই দেখতাম।

-হা হা হা, হাসি দেহি চাপাই রাখতারি না! ;)

মানুষের আকৃতি আবার লেজ …

-হুম, লেজ আমার খুব পছন্দ। আই লাভ লেজ! :`>

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভেচ্ছা রইলো!

৩১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩০

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার কল্পনার সায়েন্সফিকশন। পড়তে পড়তে গলা শুকিয়ে কাঠ। কষ্ট করে পড়ার জন্য এক মগ চা চাই।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: সেইটা তো প্রামানিক ভাই বলছে? আপনি কি বলেন পোস্ট সম্পর্কে সেইটা বলেন?

৩২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের নিজের গ্রহকে এত দেরী জানলো এস্ট্রোনোমাররা, হতাশ হওয়ার মতো ব্যাপার।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২১

সাহসী সন্তান বলেছেন: আসলেই হতাশ হওয়ার মত ব্যাপার! তেব্রো নিন্দা জানাইলাম :`>

৩৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
আরেকটা কমেন্ট বেশি পাওয়ার জন্য চালটা দিলেন। :P

ইয়ে মানে ফিকশন ভাল হইছে। :)

অবশ্য সায়েন্সফিকশন গল্প পড়তে আমার খুব ভাল লাগে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: না রে ভাই, ঐসব কমেন্ট বেশি/কম পাওয়ার পক্ষপাতি আমি নই! যতটা সম্ভব পরিচ্ছন্ন ভাবেই ব্লগিং করার চেষ্টা করি। তাছাড়া অতিরিক্ত হিট হওয়ারও আমার দরকার নেই। আমার লেখা ভাল হলে কাউকে ডাকা লাগবে না, পাঠক এমনিতেই আসবে।



কিছু মনে করবেন না, আপনার প্রথম মন্তব্যটা দেখে আসলে প্রথমে একটু রাগ হইছিল। কারণ কোন পোস্টে যতটা সম্ভব নিজের অনুচ্চারিত কথাটাই বলা উচিত। আর অন্যের কমেন্ট ভাল লাগলে শুধু সেটা উল্লেখ করে সহমত জানালেই হয়, বাড়তি কিছু বলা লাগে না। কিন্তু আপনি কোন কিছু না বলেই শুধু প্রামানিক এই বলেছেন বলে চলে গেলেন!

যাহোক ফিরতি মন্তব্য এবং পোস্ট ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ জানবেন!

৩৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৬

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
আরে ভাই রাগ কইরেন না। ফান করলাম। :)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: না রাগ করিনি, আমি বুঝতে পেরেছি!



শুভ কামনা জানবেন!

৩৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫১

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: চমৎকার।
অনেক অনেক ভাল লাগা রইল।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: এর আগেও তো একবার মন্তব্য করেছিলেন আপনি? ২১ নাম্বারে? তখন কি গল্পটা না পড়েই মন্তব্য করেছিলেন নাকি?



যাহোক, আবারও পড়ার জন্য ধন্যবাদ! শুভেচ্ছা রইলো!

৩৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: আরেকবার পড়লাম পোষ্টটা সেভ করা ছিল।।মনে ছিলনা তাই আরেকবার মন্তব্য করেছি।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ!

৩৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বিঃ দ্রঃ- এই গল্পের বিষয়বস্তু সহ সমস্থ চরিত্রই সম্পূর্ন কাল্পনিক। যদি কারো ব্যক্তিগত জীবনের সাথে মিলে যায়, তাহলে সেটা একান্তই কাকতালীয় মাত্র। সেজন্য লেখক কোন ক্রমেই দ্বায়ী থাকবে না। তাছাড়া টাইপিংয়ের ভুলের কারনে হয়তো অনেক জায়গায় বানানে ভুল থাকতে পারে। সেটাকে বিবেচ্য বিষয় হিসাবে না ধরে, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে কৃতার্থ হবো!


বললেই হলো? আমার সাথে পুরোই মিলে গেছে। কাজটা কি ঠিক করলেন? আমার বন্ধু সম্রাটের সাথে আমি প্লানেট নাইনে গিয়েছিলাম। এখনো ভালভাবে মনে আছে। আপনি এ দায় এড়াতে পারেন না। B-)) B-))

১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: ব্যাপার কিরে ভাই! এই মন্তব্যের প্রতি উত্তর করা নাই দেইখা বিস্মত হইয়া গেলাম! দেরি কইরা প্রতি উত্তর করার জন্য দুঃখিত ব্রাদার! শুভ কামনা রইলো!

৩৮| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৪

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: কী খবর জনাব সাহসী ? কেমন আছেন ?

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১০

সাহসী সন্তান বলেছেন: মনে আছে তাইলে? :`>

আমার সব খবর ভাল! আপনি কেমন আছেন? ওয়েট করেন, আসতেছি আপনার বাড়িতে। খানা-পিনা রেডি রাখেন! ;)
ব্যাকটু রিটার্নস অফ দ্যা প্যাভিলিয়ন......... :P

৩৯| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হা হা হা । মনে থাকবে না মানে ! আপনি তো আমাদের একমাত্র সাহসী সন্তান যে !!

আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভাল আছি । হা হা । আচ্ছা প্রস্তুত করতেছি !!

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১১

সাহসী সন্তান বলেছেন: হুম, মনে রাখার জইন্য অনেক অনেক ধইন্যবাদ কথাকথি! আবারও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে, বিয়াপুক মিস্করি তো তাই আর থাকতারলাম না! ;)

৪০| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৫

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: লেখা চাই, কোন কথা নাই !

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২১

সাহসী সন্তান বলেছেন: অবশ্যই, তবে অাজ/কালকের মধ্যে হয়তো দিবার পারুম না! পোস্ট রেডি, কিন্তু ব্যস্ততায় প্রতিউত্তর করতে পারবো না বলে দিচ্ছি না। তাছাড়া বোঝেনই তো, পোস্ট করতে কত হাঙ্গামা?

অাপনাদের মত যদি কবিতা লিখতে পারতাম তাইলে কতই না মচতকার হইতো। এই একটা ইস্থানেই আমার আফসুসের কুনো শেষ নাইরে ভাই! :((

৪১| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫০

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: সমস্যা নাই, ধীরে সুস্থে দিন ।

কবিতা লেখার মধ্যে তেমন বীরত্ব নেই, কবিদের সংখ্যা দেখলেই তা অনুমান করা যায় !! আমি লিখি কারণ আমার দ্বারা অন্য ধাঁচের লেখা হয় না তাই ।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমি কিন্তু তেমনটা মনে করি না! আমার মনে হয় আপনি চেষ্টা করেন না, তাই পারেন না। চেষ্টা করলে মানুষের অসাধ্য কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না।

তবে চেষ্টা না করাই ভাল। কারণ তাহলে আমরা একজন কবি হারাবো। আমার মনে হয়, আপনি কবিতার মধ্যেই আপনার স্বপ্রতিভ ভাবটা খুঁজে পান বেশি। তাছাড়া আপনার কবিতা গুলো আমার কাছে ভীষণ ভাল লাগে! সুতরাং আপনি অন্য দিকে মন না দিয়ে শুধুমাত্র কবিতাই লিখুন। সেইটা বরং ভাল হবে!

৪২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কমন সায়েন্স ফিকশন প্লটে লেখা গল্পটি পড়তে খারাপ লাগে নাই, চালিয়ে যান ভ্রাতা। :)

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২২

সাহসী সন্তান বলেছেন: জ্বি ভাই, গল্পের প্লটটা খুবই কমন, তবে সেটাকেই একটু চেচে ছিলে নতুনত্ব দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। যদিও পুরানো পোস্ট, তারপরেও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

শুভ কামনা জানবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.