নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

{♥ যদি কখনো নিজেকে একা ভাবো, তাহলে ঐ দূর আকাশের অসীম সীমান্তের দিকে তাকিয়ে থাকো! কখনো নিরাশ হয়ে যেও না! হয়তো বা একটা বাজপাখিও তোমার দিকে উড়ে আসতে পারে! ♥}

সাহসী সন্তান

আমাকে তোর ভালোবাসার দরকার নেই। শুধু পাশে থেকে একটু সাহস যোগাস, দেখবি তখন ভালোবাসাটা এমনিতেই চলে আসবে!!

সাহসী সন্তান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিচারঃ- পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় এবং জগৎ বিখ্যাত কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র \'শার্লক হোমস্\'-এর সাতকাহন। শার্লক হোমস্ সিরিজের পর্যালোচনা এবং উক্ত বিষয় সম্পর্কে অনেক জানা/অজানা মজার তথ্য!

০৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫


কজন গোয়েন্দা ভক্ত পাঠক, অথচ শার্লক হোমসে্র নাম শোনেননি; পৃথিবীতে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বোধ হয় সম্ভব না! শার্লক হোমস্ যে একটা কাল্পনিক চরিত্র ( বাংলা সাহিত্যের- ব্যোমকেশ, ফেলুদা, কিরিটি, জয়ন্ত বা বিমল-এর মত), তা অবশ্য সবারই জানা। পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র হিসাবে অনেক সাহিত্যিকরাই শার্লক হোমস্ কে এক নাম্বারে নির্বাচন করেছেন। বিখ্যাত লেখক স্যার আর্থার কোনান ডয়েলেরই একটি অমর সৃষ্টি হলো এই 'শার্লক হোমস্!'

একজন গোয়েন্দা ভক্ত পাঠককে যদি পৃথিবীর মধ্যে আজ অবধি সৃষ্টি সকল কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্রগুলোর নাম উল্লেখ করতে বলা হয়, এবং তার মধ্যে সব থেকে শ্রেষ্ট ব্যক্তিটাকে বাছাই করে নিতে বলা হয়, তাহলে আমার মনে হয় যে কোন পাঠকই কোন ধরনের দ্বিধা ছাড়াই অনায়াসে শার্লক হোমসকেই বেছে নেবেন। তিনি পৃথিবীর ইতিহাসে এতটাই জনপ্রিয় একজন কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র যে, আজ অবধি লন্ডনের '২২১/বি-বেকার ষ্ট্রীটের' ঠিকানায় তার নামে বিভিন্ন ধরনের খোলা চিঠি আসে। এমনকি আমাদের আশে পাশেই এমন অনেক শার্লক ভক্ত পাঠক আছেন যারা এই চরিত্রটিকে ঠিক কাল্পনিক চরিত্র বলতে নারাজ। তাদের ধারনা অবশ্যই ১৮৮৭ সালে শার্লক হোমস্ বলতে লন্ডনে একজন মানুষ ছিলেন, যিনি বসবাস করতেন লন্ডনেরই একটি ছোট্ট শহর, বেকার ষ্ট্রীটে।

কিন্তু আমরা কেউ কি জানি, আসলে তার সৃষ্টির ইতিহাস কি? আর কেমন মানুষই বা ছিলেন তিনি? কিংবা সত্যিই কি শার্লক হোমস্ একটি কাল্পনিক চরিত্র (?) নাকি বাস্তবেও শার্লক হোমস্ নামে কেউ ছিল? অথবা পৃথিবীতে তার এই তুমুল জনপ্রিয়তার কারণই বা কি? আসুন আজ একের পর এক শার্লক হোমস্ সম্পর্কে সেই সমস্ত অজানা মজার তথ্যগুলো জেনে নিই। তবে এই যুগ শ্রেষ্ট গোয়েন্দা চরিত্রটির সম্পর্কে জানার আগে তার শ্রষ্টা স্যার আর্থার কোনান ডয়েল সম্পর্কে একটু জেনে নিই...........!!

লেখক পরিচিতিঃ- স্যার আর্থার কোনান ডয়েল, জন্ম-১৮৫৯ সালের ২২ শে মে, এডিনবারা, স্কটল্যান্ডে। তার পুরো নাম 'আর্থার ইগনেসিয়াস কোনান ডয়েল'। একজন মানুষ যে কত রকম প্রতিভার মালিক হতে পারেন সেটা কোনান ডয়েলকে না দেখলে বোঝা যায় না। তিনি একাধারে ছিলেন একজন আত্মিকবাদী, ইতিহাসজ্ঞ, তিমি শিকারী, ক্রীড়াবিদ, যুদ্ধ-সাংবাদিক, ডাক্তার, কবি, ঔপন্যাসিক এবং সর্বপরি একজন ছোট গল্পকার। যদিও তিনি পেশায় ছিলেন একজন ডাক্তার, কিন্তু ডাক্তারি পেশায় তিনি খুব একটা খ্যাতি অর্জন করতে পারেননি। জীবনের প্রথমভাগে, তিনি এডিনবারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেষজবিদ্যা বিষয়ে পড়াশোনা করেন এবং পড়াশুনা শেষ করে তিনি লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন। ভেষজ-ব্যবসায় গা-ছাড়া ভাবের কারণে তাঁর হাতে থাকত বিস্তর অবসর। আর এই অবসরের সুযোগে তিনি লিখতে শুরু করেন বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় গল্প এবং কল্প-কাহিনী। প্রথম প্রথম তিনি অনেক গল্প, কল্প-কাহিনী এবং ইতিহাস-কেন্দ্রিক রোমাঞ্চ কাহিনী লিখলেও এগুলোতে তার ঠিক মন বসতো না। যার ফলে পরবর্তিতে এর সব কিছু ছেড়ে দিয়ে কল্পিত গোয়েন্দা চরিত্র "শার্লক হোমস্" কে নিয়ে তিনি লিখতে শুরু করলেন একের পর এক দূধ্বর্ষ আর রোমহর্ষক রোমাঞ্চে ভরা সব কাহিনী।

ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ ও বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগের একটি কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র ছিল এই শার্লক হোমস (Sherlock Holmes)। ১৮৮৭ সালে (Beeton's Christmas Annual) বীটনে বড়দিনের বার্ষিকীতে সর্বপ্রথম শার্লক হোমসের আত্মপ্রকাশ ঘটে। আর্থার কোনান ডয়েলের সেই গল্পের নাম ছিল-A Tangled Skin। এই গল্পটাতে তিনি যে গোয়েন্দা চরিত্রটিকে উপস্থাপন করেছিলেন, তার নাম দিয়েছিলেন 'শেরিনফোর্ড হোমস' নামে, এবং উনার বয়স লেখা হয়-৩৩ বছর। কিন্তু এই গোয়েন্দা চরিত্রটিকে তার ঠিক মনঃপূত না হওয়ায় পরবর্তিতে সেটার নাম পরিবর্তন করে তিনি একটা নতুন নাম রাখেন। আর সেই নতুন নামের গোয়েন্দা চরিত্রটিই ছিল আমাদের সকলের প্রিয়, বিখ্যাত গোয়েন্দা 'শার্লক হোমস্'। এবং পরে উপন্যাসটিরও নাম বদলে নতুন নামকরণ করেন-( A Study in Scarlet-'রক্তসমীক্ষা' ) নামে।

শার্লক হোমস্'কে নিয়ে লেখা গল্পের পান্ডুলিপি।

তখন অবশ্য কেউ সেটাকে খুব একটা আমল দেয়নি। কিন্তু ১৮৯০ সাল থেকে বিখ্যাত স্ট্রান্ড ম্যাগাজিনে বের হতে লাগলো হোমস-ওয়াটসন জুটির অবাস্তব সব কান্ড কারখানা। ব্যাস, আর দেখে কে! অচিরেই বিশ্ব সাহিত্যের হল অব ফ্রেমে জায়গা করে নিলো ওরা। ১৮৯০ সালে ( The Sign of Four-চিহ্নচতুষ্টয় ) প্রকাশিত হওয়ার পর পাঠক সমাজে এর চাহিদা অনুভব করে, তিনি ভেষজ-ব্যবসা ছেড়ে দেন এবং লেখা-লেখিতে পুরোমাত্রায় আত্মনিয়োগ করেন।

শার্লক হোমস্ কে নিয়ে লেখা লেখকের বই সমূহঃ- বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র 'শার্লক হোমস্'কে নিয়ে তিনি সর্বমোট '০৪ টি উপন্যাস সহ প্রায় ৫৬ টি ছোট-বড় গল্প' লেখেন। যার সব গুলোই ছিল রহস্য রোমাঞ্চে ভরা এক একটা জঠিল কেস্। আর সেই সব কেস্ গুলোকে খুবই সুন্দর ভাবে সমাধান করে দিয়ে যেমন আজও শার্লক হোমস আমাদের হৃদয়ের মাঝখানে জায়গা করে বসে আছে। ঠিক তেমনি ভাবে সেই শার্লক হোমসের শ্রষ্টা স্যার আর্থার কোনান ডয়েলও আমাদের সকলের কাছে বিখ্যাত এবং শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে আজও চির অম্লান হয়ে আছেন।

শার্লক হোমসকে নিয়ে লেখা লেখকের উপন্যাস ০৪ টি হলোঃ-
০১। আ স্টাডি ইন স্কারলেট (রক্ত সমীক্ষা),
০২। দ্য সাইন অব দি ফোর(চিহ্ন চতুষ্টয়),
০৩। দ্য হাউন্ড অব দ্য বাস্কারভিলস্ (বাস্কারভিল পরিবারের শিকারী কুকুর) এবং
০৪। দ্য ভ্যালি অব ফিয়ার (আতংকের উপত্যকা)।


এছাড়াও শার্লককে নিয়ে লেখা লেখকের সর্বমোট-৫৬ টি গল্প সমূহ যথাক্রমেঃ-

খণ্ড (১)- দ্য এডভেঞ্চার অব শার্লক হোমস (শার্লক হোমসের অভিযান):-
০১। এ স্ক্যান্ডাল ইন বোহেমিয়া (বোহেমিয়ায় কেলেঙ্কারি)
০২। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য রেড-হেডেড লীগ (রক্তকেশ সংঘ)
০৩। এ কেস অব আইডেন্টিটি (পরিচয় রহস্য)
০৪। দ্য বসকোম্ব ভ্যালি মিস্ট্রি (বসকোম্ব উপত্যকার রহস্য)
০৫। দ্য ফাইভ অরেঞ্জ পিপস্ (কমলালেবুর পাঁচটি বীচি)
০৬। দ্য ম্যান উইদ্ দ্য টুইস্টেড্ লিপ (টিয়া পাখির ঠোঁটটি লাল)
০৭। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য ব্লু কারবাঙ্কল (নীল পদ্মরাগ)
০৮। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য স্পেকলড্ ব্যান্ড (ডোরাকাটা ফিতে)
০৯। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য ইঞ্জিনিয়ার'স থাম্ব (যন্ত্রবিদের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ)
১০। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য নোবেল ব্যাচেলর (সম্ভ্রান্ত কুমার)
১১। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য বেরিল করোনেট (মরকত-মুকুট)
১২। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য কপার বীচেস


খণ্ড (২)- দ্য মেমোয়ার্স অব শার্লক হোমস (শার্লক হোমসের স্মৃতিকথা):-
১৩। সিলভার ব্লেজ
১৪। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য কার্ডবোর্ড বক্স (কার্ডবোর্ড-বাক্সের বিচিত্র ঘটনা)
১৫। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য ইয়েলো ফেস (হল্দে মুখ)
১৬। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য স্টকব্রোকার'স ক্লার্ক (শেয়ার-দালালের কেরাণী)
১৭। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য গ্লোরিয়া স্কট
১৮। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য মাসগ্রেভ রিচুয়াল (মাসগ্রেভ তন্ত্র)
১৯। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য রেইগেট স্কয়ার (রেইগেটের জমিদারবাবুরা)
২০। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য ক্রুকড্ ম্যান (অষ্টাবক্র মানুষটি)
২১। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য রেসিডেন্ট প্যাসেন্ট (আবাসিক রোগী)
২২। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য গ্রীক ইন্টারপ্রিটার (গ্রীক ভাষান্তরিক)
২৩। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য ন্যাভাল ট্রিটি (নৌ-চুক্তি)
২৪। দ্য ফাইনাল প্রবলেম (শেষ সমস্যা)


খণ্ড (৩)- দ্য রিটার্ন অব শার্লক হোমস (শার্লক হোমস ফিরে এলো):-
২৫। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য এম্পটি হাউস (খালি বাড়ি)
২৬। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য নরউড বিল্ডার (নরউডের স্থপতির রহস্য)
২৭। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য ড্যানসিং ম্যান (নাচুনে মানুষ)
২৮। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য সলিটারি সাইক্লিস্ট (নিঃসঙ্গ সাইকেল আরোহী)
২৯। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য প্রায়োরি স্কুল (মঠ-বিদ্যালয়)
৩০। দ্য এডভেঞ্চার অব ব্ল্যাক পিটার (কালো পিটার)
৩১। দ্য এডভেঞ্চার অব চার্লস্ অগাস্টাস মিলভাটর্ন
৩২। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য সিক্স নেপোলিয়ানস্ (ছয় নেপোলিয়ন)
৩৩। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য থ্রী স্টুডেন্টস (তিন বিদ্যার্থী)
৩৪। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য গোল্ডেন পিন্স-নেজ (সোনার চশ্মা)
৩৫। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য মিসিং থ্রী-কোয়ার্টার (থ্রী-কোয়ার্টার নিরুদ্দেশ)
৩৬। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য অ্যাবি গ্রেঞ্জ (মঠ কৃষিশালা)
৩৭। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য সেকেন্ড স্টেইন্ (দ্বিতীয় দাগ)


খণ্ড (৪)- হিজ লাস্ট বাউ (তার শেষ অভিবাদন):-

৩৮। দ্য এডভেঞ্চার অব উইস্টেরিয়া লজ (উইস্টেরিয়া লজ-এর বিচিত্র ঘটনা)
৩৯। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য রেড সার্কেল (লাল বৃত্তের বিচিত্র ঘটনা)
৪০। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য ব্রুস-পার্টিংটন প্ল্যানস্ (ব্রুস-পার্টিংটন নক্সার বিচিত্র ঘটনা)
৪১। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য ডাইয়িং ডিটেক্টিভ (মুমূর্ষু গোয়েন্দার বিচিত্র ঘটনা)
৪২। দ্য ডিসাপিয়ারেন্স অব লেডি ফ্রান্সেস কারফ্যাক্স ( লেডি ফ্রান্সেস কারফ্যাক্সের অন্তর্ধান)
৪৩। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য ডেভিল'স ফুট (দানব-পদের বিচিত্র ঘটনা)
৪৪। হিজ লাস্ট বাউ (তার শেষ অভিবাদন)


খণ্ড (৫)- দ্য কেস-বুক অব শার্লক হোমস (শার্লক হোমসের ঘটনা-পঞ্জী):-
৪৫। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য ম্যাজারিন স্টোন (ম্যাজারিন রত্ন-মণির রহস্য)
৪৬। দ্য প্রবলেম অব থর ব্রীজ (থর সেতুর সমস্যা)
৪৭। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য ক্রিপিং ম্যান (অথ অধ্যাপক রহস্য)
৪৮। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য সাসেক্স ভ্যাম্পায়ার (সাসেক্সের রক্তচোষা)
৪৯। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য থ্রী গ্যারিডেবস্ (তিন গ্যারিডেব)
৫০। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য ইলাস্ট্রিয়াস ক্লায়েন্ট (প্রখ্যাত মক্কেলের বিচিত্র ঘটনা)
৫১। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য থ্রী গ্যাবলস্
৫২। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য ব্ল্যাঞ্চেড সোলজার (সাদা-মুখ সৈনিক)
৫৩। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য লায়ন'স মেন (সিংহের কেশর)
৫৪। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য রিটায়ার্ড কালারম্যান (রঙের গন্ধ)
৫৫। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য ভেইলড্ লজার (ঘোমটা রহস্য)
৫৬। দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য সসকোম্ব ওল্ড প্লেস।


কোনান ডয়েলের ভাষায়, 'এডগার এলেন পোই, জুলিস ভেরনি, রবার্ট লুইস স্টিভেনসন'দের মত বিখ্যাত লেখকদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েই নাকি তিনি মূলত লেখা-লেখি করার উৎসাহ পান! শার্লক হোমস্ ছাড়াও "প্রফেসর চ্যালেঞ্জার" নামে উনার আরও একটি বিখ্যাত চরিত্র আছে। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে এই বিখ্যাত চরিত্র 'শার্লক হোম্স'কে নিয়ে লেখা গোয়েন্দা-কাহিনীগুলিই মূলত তাকে বিশ্বজোড়া খ্যাতি এনে দিয়েছিল। শোনা যায় কোনান ডয়েল নকি দু'বার ব্রিটেনে নির্বাচনেও দাঁড়িয়েছিলেন! যদিও তিনি দু'বারই হেরেছিলেন, তবে প্রতিবারই তিনি মোটামুটি ভালো-ই ভোট পেয়েছিলেন।

কোনান ডয়েল সম্পর্কে কিছু মজার ঘটনাঃ- স্যার আর্থার কোনান ডয়েলকে নিয়ে অনেক মজার ঘটনা প্রচলিত আছে, যার অনেক গুলোই আমরা কম-বেশি অনেকেই জানি। কোনান ডয়েলের জীবনিতে পাওয়া যায়, বাস্তব জীবনে তিনি দু-দুবার গোয়েন্দাগিরি করে অন্যায়ভাবে দোষী-সাব্যস্ত ব্যক্তিদের নির্দোষ প্রমাণ করতে সফল হন! আর উক্ত কেসে তিনি উন্মোচন করেছিলেন দুটি সত্যিকার রহস্য। বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন দু'জন নিরাপরাধ ব্যক্তিকে। প্রথম রহস্যটিতে ভুক্তভোগী ছিলেন 'জর্জ এডালজি' নামের এক ভদ্রলোক। আরেকটিতে ভুক্তভোগী ছিলেন 'অস্কার স্ল্যাটার' নামের একজন ব্যক্তি।

জর্জ এডালজির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি ছিল পশু নির্যাতনের। পরে কোনান ডয়েল দেখালেন, এডালজির বিরুদ্ধে যে সব পশু নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে, সেসব পশুদের নির্যাতন করার মতো শারীরিক শক্তি-ই নেই এডালজির। তাছাড়াও, তার বিরুদ্ধে যে সব প্রমাণ দেওয়া হয়েছে, সেগুলোও ঠিক না। জর্জ এডালজির ভাগ্য ভালো ছিল। কোনান ডয়েলের বদৌলতে তিনি বেঁচে যান। তবে অস্কার স্ল্যাটারের ভাগ্য ততটাও ভালো ছিল না। তার বিরুদ্ধে ছিল এক মহিলাকে খুন করার অভিযোগ। কোনান ডয়েল এখানেও দেখালেন, প্রমাণগুলো সবই ভুল। খুনের সময় ভিকটিম অন্যত্র ছিলেন। কিন্তু ততদিনে স্ল্যাটারের রায় হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত সাড়ে ১৮ বছর কারাভোগের পর ছাড়া পান স্ল্যাটার।

এছাড়াও কোন এক সন্ধ্যায় প্যারিসের একটি ট্যাক্সিতে সবে চড়ে বসেছেন আর্থার কোনান ডয়েল। চালক মাথা ঘুরিয়ে জিজ্ঞেস করলেন- 'কোথায় যাবেন মিস্টার ডয়েল?' ডয়েল অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন- 'যতদূর মনে হয়, তোমাকে তো আগে কখনো দেখিনি? তাহলে কীভাবে চিনলে আমাকে?' মুচকি হেসে চালক বললেন- 'এটা তো জলের মতো সোজা! সকালের কাগজে দেখলাম আপনি মার্সেইতে এসেছেন ছুটি কাটাতে। যে ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম, মার্সেই ফেরত যাত্রীরা সেখান থেকেই ট্যাক্সিতে উঠেন। আপনার চামড়ার পোড়া দাগ দেখে বোঝা যাচ্ছে, কয়েকদিন ধরে আপনি বেশ ঘোরাঘুরির মধ্যে আছেন। আঙুলের কোণে লেগে থাকা কালি বলে দিচ্ছে আপনি একজন লেখক। তাছাড়া আপনার পোশাক-আশাকও ইংরেজদের মতো। সুতরাং সবমিলিয়ে আমি বের করে ফেললাম যে, আপনি আর্থার কোনান ডয়েল না হয়ে পারেন না!' এটুকু শুনে ডয়েল তো অভিভূত! বললেন- 'তুমি তো দেখি বুদ্ধিতে আমার শার্লক হোমসকেও ছাড়িয়ে গেছ!' শুনে চালক বললেন, 'অবশ্য আরো একটি ব্যাপার আমাকে খুব সাহায্য করেছে। আপনার নাম। ওটা বড় বড় করে আপনার স্যুটকেসের সামনেই লেখা আছে!'

১৯০২ সালে তিনি ব্রিটেনের রানির কাছ থেকে সম্মানসূচক 'নাইট' উপাধি লাভ করতে পেয়েছিলেন। এই উপাধি পেলে নামের আগে সাধারণত ‘স্যার’বলা হয়। আর এই কারণেই নাইটহুড পেয়েছিলেন বলেই আমরা তাকে স্যার আর্থার কোনান ডয়েল বলে ডাকি। অনেকের ধারণা তিনি নাইটহুড উপাধিটা লাভ করেছিলেন সম্ভাবত 'শার্লক হোমসের' জন্য। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আসলে তিনি শার্লক হোমসের জন্য নাইটহুড পাননি। বরং নাইটহুড পেয়েছিলেন বোয়ের যুদ্ধের সময় দক্ষিণ আফ্রিকান এক মাঠ-চিকিৎসাকেন্দ্রে অবদান রাখার জন্য। অবশেষে আত্মিকবাদীএই বিখ্যাত রহস্য রোমাঞ্চ লেখক- ১৯৩০ সালের ৭ জুলাই, ৭১ বছর বয়সে যুক্তরাজ্যের ইস্ট সাসেক্স, ক্রোবোরাফ শহরে মৃত্যুবরণ করেন।

বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র শার্লক হোমস্ পরিচিতিঃ- শার্লক হোমস {(ইংরেজিঃ Sherlock Holmes, (ইংরেজি উচ্চারণঃ /ˈʃɜrlɒk ˈhoʊmz/ (বাংলা অর্থঃ অসমর্থিত টেমপ্লেট)} ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ ও বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগের একটি কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র। ১৮৮৭ সালে A Study in Scarlet 'রক্তসমীক্ষা' গল্পটার মাধ্যমে তিনি সর্ব প্রথম আবির্ভূত হন।শার্লক হোমস ছিলেন একজন উচ্চমেধাসম্পন্ন লন্ডন-ভিত্তিক "পরামর্শদাতা গোয়েন্দা"। তিনি তাঁর নির্ভুল যুক্তিসঙ্গত কার্যকারণ অনুধাবন, যে কোনো প্রকার ছদ্মবেশ ধারণ এবং ফরেনসিক বিজ্ঞানে দক্ষতাবলে জটিল আইনি মামলার নিষ্পত্তি করে দেওয়ার জন্য তাঁর খ্যাতি ভুবনজোড়া। ডয়েলের শিক্ষক ডাক্তার জোসেফ বেল ছিলেন সত্যিকারের একজন অপরাধবিজ্ঞানী; যাঁর কাজ গুলো ডয়েলের অনুপ্রেরণা হিসেবে অসাধারণ কাজ করেছিলো। এ সম্পর্কে কোনান ডয়েলে নিজ মুখে বলেছিলেন যে, 'হোমসের চরিত্রটির অনুপ্রেরণা হলেন ডা. জোসেফ বেল।' যাঁর অধীনে এডিনবারা রয়্যাল ইনফার্মারিতে করণিক হিসেবে ডয়েল কাজ করতেন। হোমসের মতো বেলও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পর্যবেক্ষণ থেকে বিরাট বিরাট সিদ্ধান্ত বের করতে পারতেন।

পুরো নাম 'উইলিয়াম শার্লক স্কট হোমস'। শার্লক হোমসের জন্ম- '১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জানুয়ারি শুক্রবার' বিকেল বেলায়। বাবা সাইগার হোমস আর মা ভায়োলেট শেরিন ফোর্ড। এছাড়াও তার একজন বড় ভাই ছিলেন। যার কাছে তিনি মাঝে মাঝে বুদ্ধি বা পরামর্শের জন্য যেতেন। তার নাম ছিল মাইক্রফট হোমস। বাবার যদিও ইচ্ছে ছিলো শার্লক বড় হয়ে হবেন ইঞ্জিনিয়ার, কিন্তু শার্লক হয়ে গেলেন বিশ্বের একমাত্র "কনসাল্টিং গোয়েন্দা"। তাঁর সঙ্গী এবং যোগ্য সহকারী বন্ধুবর লেখক ডাক্তার জন ওয়াটসন রহস্যোদঘাটনের চেষ্টা করেছেন কেন তিনি এই পেশায় এলেন। কিন্তু বারবার ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। পরে অবশ্য একদিন শার্লক নিজের মুখেই বলেছেন সেকথা।

ডাঃ ওয়াটসনের দৃষ্টিতে শার্লক হোমসের জ্ঞানের পরিচয়ঃ-
০১। সাহিত্য জ্ঞান- শূণ্য!
০২। দর্শণ জ্ঞান- শূণ্য!
০৩। জ্যোতির্বিজ্ঞান- শূণ্য!
০৪। রাজনীতি জ্ঞান- নগণ্য!
০৫। উদ্ভিদ বিদ্যা জ্ঞান- বিবিধ! বেলেডোনা, আফিং আর বিষ বিজ্ঞানে তুখোড়। কিন্তু বাগান করার ব্যাপারে ডাহা আনাড়ি।
০৬। ভূ-তত্ত্ব জ্ঞান- যদিও বাস্তব জ্ঞান আছে, তবে সেটা বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে। রকমারি মাটির চেহারা দেখে সে অনায়াসে বলে দিতে পারে যে, কোনটা কী মাটি। এমনকি কোথাও থেকে বেড়িয়ে আসার পর ট্রাউজার্সে লেগে থাকা মাটির দাগ দেখে সে বলে দিতে পারে, লন্ডন শহরের কোন জায়গা থেকে ঠিক এই মাটির দাগটা লেগেছে।
০৭। রসায়ন বিদ্যা জ্ঞান- সুগভীর।
০৮। শরীর বিদ্যা জ্ঞান- নির্ভূল, তবে সম্পূর্ণ পদ্ধতী বিহীন।
০৯। চাঞ্চল্যকর সাহিত্য জ্ঞান- প্রচুর। এমনকি সেই সময়কার সাহিত্যে যে সমস্থা চাঞ্চল্যকর কাহিনী ছিল সব যেন তার কণ্ঠস্থ।
১০। ভালো বেহালা বাজাতে পারতো।
১১। তরবারি খেলা, লাঠি আর মুষ্টিযুদ্ধে সে ছিল ওস্তাদ এবং
১২। ব্রিটিশ আইনের বাস্তব জ্ঞানে তার বেশ দখল আছে।


ডাঃ ওয়াটসনের ভাষায়, "লিস্টটা এই পর্যন্ত লেখার পর ভীষণ ভাবে হতাস হয়ে সেটাকে ছুড়ে ফেলে দিলাম আগুণে। তারপর অনেকটা নিজের মনেই বললাম, এই জাতীয় জ্ঞানের ফিরিস্তির মাপকাঠি দিয়ে জীবনের লক্ষ্য আবিষ্কার করার চেষ্টাই সম্পূর্ণ পণ্ডশ্রম।"

ছেলেবেলা থেকেই শার্লক শিখে গিয়েছিলেন কী করে দুই চোখের ক্ষমতা দিয়ে, এক নজরেই দেখে ফেলা জিনিসের খুঁটিনাটি বের করে ফেলা যায়। ১৮ বছর বয়সে যখন তিনি অক্সফোর্ড কলেজে আন্ডার গ্র্যাজুয়েটের ছাত্র, তখন তিনি সম্পূর্ণ বন্ধুবান্ধবহীন হয়ে পড়েন। চেহারা তেমন একটা সুন্দর না হলেও তাঁর দিকে চোখ না ফিরিয়ে থাকা যেত না। কারণ তাঁর মধ্যে অন্যকে আকর্ষণ করার একটা অসাধারণ আকর্ষণীয় ক্ষমতা ছিলো। তবে দ্বিতীয় বছরেই ভিক্টর ট্রেভর নামে তার জীবনে এক বন্ধু জুটে গেলো। ভিক্টরও ছিল শার্লকের মতো নিঃসঙ্গ।

শার্লক হোমসের ব্যবহৃত ভিজিটিং কার্ড।

১৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জুলাই বন্ধু ভিক্টর তাঁর বাবার সাথে শার্লককে পরিচয় করিয়ে দিলেন এবং সাথে শার্লকের অসাধারণ বিশ্লেষণী ক্ষমতার কথাটাও বললেন। এতে বৃদ্ধ ভিক্টর শার্লককে পরীক্ষা করার জন্য তিনি শার্লকে তাঁর সম্বন্ধে কিছু বলতে বললেন। কিন্তু শার্লক যা বললেন, তাতে বৃদ্ধের হাসি হাসি চেহারা নিমেষেই মলিন হয়ে গেলো। আর তার কপালে দেখা দিলো বিন্দু বিন্দু ঘাম। এমনকি বৃদ্ধ ভদ্রলোক শার্লকের কথা সহ্য করতে না পেরে সাথে সাথে সেখানে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যান। তারপর থেকেই শার্লক নিজেই নিজের মেধার পরিচয় পেয়ে যার পরনাই ভীষণ উচ্চসিত হয়ে ওঠেন। এবং সেই থেকেই শখের কাজটি শার্লক পেশা হিসেবেই নিয়ে নিলেন।

শার্লক হোমস্-এর ব্যক্তিগত শোয়ার ঘর।

শার্লক হোমস ছিলেন অবিবাহিত। জীবনে কখনো কারো সাথে প্রেমও করেননি, এমনকি কোন মেয়েকে সামান্যতম ভাল লাগা টুকুও তার জীবনে ছিল না। তবে 'এ স্ক্যান্ডাল ইন বোহেমিয়া' গল্পের নায়িকা 'আইরিন এ্যাডলার'কে তিনি একটু ভিন্ন নজরে দেখতেন। কিন্তু সেটা ঠিক প্রেম ছিল না। শার্লকের মতে, আইরিন এ্যাডলারের মত মেয়ে নাকি এই পৃথিবীতে খুব কমই জন্মায়। মেয়েটি এতটাই বুদ্ধিমতী ছিল যে, স্বয়ং শার্লক নিজে তার কাছে ঘোল খেয়ে যায়। আর শার্লকের জীবনে ঐ একমাত্র মেয়ে ছিল, যার ক্ষুরধার বুদ্ধির কাছে শেষ পর্যন্ত শার্লকও হেরে যায়। আর একারণেই শার্লক মেয়েটিকে অন্যান্য মেয়েদের থেকে একটু আলাদা নজরে দেখতেন। লন্ডনের যে ভাড়া বাড়িটিতে তিনি ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকতেন, তার ঠিকানা ছিলঃ '২২১/বি বেকার স্ট্রীট, লন্ডন'। বাড়ির গৃহকর্ত্রী ছিলেন মিসেস হাডসন। যদিও হোমসের সাথে তার পরিবারের খুব একটা যোগসূত্র ছিল না। কিন্তু তারপরেও তিনি মাঝে মাঝে বিভিন্ন পরামর্শের জন্য বড়ভাই 'মাইক্রফটের' সাথে কদাচিৎ যোগাযোগ করতেন।

মিসেস হার্ডসনের সেই বিখ্যাত রেস্তোরা।

কোনান ডয়েল, ১৯২৭ সাল পর্যন্ত হোমসকে নিয়ে একগুচ্ছ ছোটোগল্পের সিরিজ ও আরও দুটি ধারাবাহিক উপন্যাস প্রকাশ করেন। হোমস কাহিনীর পটভূমির সময়কাল ছিল '১৮৮০ থেকে ১৯০৭ সাল' পর্যন্ত। কিন্তু শেষ ঘটনাটির সময়কাল ছিল অবশ্য ১৯১৪ সাল। চারটি বাদে আর সব কটি কাহিনীই হোমসের বন্ধু তথা জীবনীকার ডা. জন ওয়াটসনের জবানিতেই লেখা। দুটি গল্প ("দ্য ব্লাঞ্চেড সোলজার্স" ও "দ্য লায়ন’স মেন") হোমসের নিজের জবানিতে এবং অন্য দুটি গল্প ("দ্য ম্যাজারিন স্টোন" ও "হিজ লাস্ট বো") তৃতীয় পুরুষে লেখা। দুটি গল্প আবার ("দ্য মাসগ্রেভ রিচুয়াল" ও "দ্য "গ্লোরিয়া স্কট") হোমস ওয়াটসনকে নিজের স্মৃতি থেকে শুনিয়েছেন, এবং ওয়াটসন সেখানে কাহিনীর কাঠামোটিই শুধু মাত্র বর্ণনা করেছেন। প্রথম উপন্যাস অ্যা স্টাডি ইন স্কারলেট-এর মধ্যবর্তী অংশে হোমস ও ওয়াটসনের অজ্ঞাত ঘটনার দীর্ঘ বর্ণনা করা হয়েছে এক সর্বজ্ঞ বর্ণনাকারীর জবানিতেই।

আর্থার কোনান ডয়েল ডাক্তারি পাশ করে প্লাইমাউথের সাউথ সী'র ১ নম্বর বুশ ভিলাতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে ডাক্তারি করার পাশাপাশি শার্লক হোমস সিরিজের লেখায় হাত দেন। জুলাই ১৮৮১ সাল থেকে শুরু করে ১৮৯৩ সাল পর্যন্ত একটানা হোমস সিরিজ বের হলেও মজার ব্যাপার হল, এই শার্লক হোমসকে নিয়ে লিখতে লিখতে কোনান ডয়েল একসময় খুবই বিরক্ত এবং অধৈর্য হয়ে পড়েন। যেটা তিনি তার মাকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছিলেন। ১৮৯১ সালে কোনান ডয়েল সেই চিঠিতে তার মাকে লিখেছিলেন, "আমি হোমসকে খুন করানোর চিন্তা ভাবনা করছি.......। সে আমার মাথা থেকে অন্যান্য জিনিসগুলোকে বের করে দিচ্ছে।"

কোনান ডয়েলের মাও ছিলেন শার্লকের একজন একনিষ্ট ভক্ত। যার কারণে তিনি কোনানের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাতে পারেননি। এমনকি তিনি শার্লককে মেরে ফেলতে তার সন্তান কোনান ডয়েলকে অনেক নিষেধও করেছিলেন। কিন্তু ডয়েল অনেকটা নিজের প্রতি বিতশ্রুদ্ধ এবং এক ঘেয়েমী লেখার প্রতি খানিকটা বিরক্ত ও বোর হয়েই কোনান ডয়েল শার্লক হোমস কে মেরে ফেললেন, 'দ্যা ফাইনাল প্রবলেম' গল্পটিতে। যেখানে তার প্রতিপক্ষ ছিলেন মরিয়ার্টি। তবে এই তুমুল জনপ্রিয় গোয়েন্দার হঠাৎ এমন মৃত্যুকে তার ভক্ত সমাজ ঠিক সহজ ভাবে গ্রহণ করতে পারেননি। বরং শার্লকের আকস্মিক এই মৃত্যুতে পাঠক সমাজ কোনান ডয়েলের উপর প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এমনকি ভক্ত সমাজের একটাই মাত্র দাবি ছিল পূণরায় শার্লক হোমসকে জীবিত করে তুলতে হবে, অন্যথায় কোনান ডয়েলকে প্রাণ নাশের হুমকিও প্রদান করা হয়। বিক্ষুদ্ধ জনতার এই দাবির মুখে কোনান ডয়েল অবশেষে 'দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য এম্পটি হাউস' গল্পটির মাধ্যমে তিনি হোমস চরিত্রটিকে আবারও অলৌকিকভাবে পুনরুজ্জীবিত করতে বাধ্য হন।

শার্লক হোমস্ সিরিজের পর্যালোচনাঃ- কোনান ডয়েল যদিও শার্লক হোমস-এর গল্পকে নিজের শ্রেষ্ঠ রচনা বলে মনে করতেন না, কিন্তু এটা তো ঠিক যে কোনান ডয়েলের বিশ্ব পরিচিতি বা জনপ্রিয়তা এসেছিল ঐ শার্লক হোমস্-এর দৌলতেই। কোনান ডয়েলের বাবা, একাধিক জ্যাঠা এবং ঠাকুর্দা ছিলেন ওস্তাদ চিত্রশিল্পী। তিনি নিজে কিন্তু সে পথে গেলেন না। হলেন পুরো দস্তুর একজন ডাক্তার। যদিও খুব সহজে নয়; দারিদ্র্যের সঙ্গে যথেষ্ট লড়াই করেই তাকে ডাক্তার হতে হয়েছিল। দারিদ্রতার মাঝে বসবাস করতে করতে এক সময় রোজগার বাড়ানোর তাগিদে তিনি লিখতে শুরু করলেন বিভিন্ন ছোট গল্প। কিন্তু এর পরেও তিনি দারিদ্রতাকে কিছুতেই জয় করতে পারছিলেন না।

শার্লক হোমস্-এর ব্যক্তিগত রুম।

তখন তিনি উপন্যাস লেখার কথা ভাবতে শুরু করেন। তবে, অপরাধ-কাহিনীর কথা কেন যে তিনি ভাবতে গেলেন, তা ঠিক বোঝা যায় না! হয়তো এর দুটো কারণ থাকতে পারেঃ-
প্রথম কারণঃ- ফরাসী লেখক, 'এমিল গ্যাবোরিয়' আর আমেরিকান লেখক, 'এড্গার অ্যালান পো'র গল্পে রহস্য-বিশ্লেষণ ভঙ্গীই সম্ভাবত তাকে বিশেষ আকর্ষণ করেছিল এবং গল্প লিখতে উৎসাহ প্রদান করেছিল। এবং
দ্বিতীয় কারণঃ- কোনান ডয়েলের ভাষায়, তাঁর ডাক্তারী-কলেজের অধ্যাপক যোসেফ বেল্-এর কথাবার্তায় এক ধরণের ডিটেক্টিভগিরি সব ছাত্রকেই বেশ মুগ্ধ করত। এমনকি রোগী এসে ঘরে ঢুকে কোন কথা বলার আগেই, ডঃ বেল রোগীর ব্যক্তিগত জীবনের এবং রোগের নানা কথা বলতে শুরু করতেন, যাতে করে ডাক্তার বেলের উপর রোগীদের ভরসাও অনেক বেড়ে যেত। পরে ডঃ বেল তাঁর ছাত্রদের কাছে ব্যাখ্যা করে দিতেন- খুবই সহজ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কিভাবে তিনি রুগিদের মাঝ থেকে নানা কথা বার করে আনলেন! এই দুই প্রেরণা থেকেই কোন্যান ডয়েল তাঁর মানস-গোয়েন্দা চরিত্র 'শার্লক হোমস'কে সৃষ্টি করেছিলেন বলে অনেকেই মনে করেন। অধ্যাপক বেল-এর কাছে তাঁর ঋণের কথা তিনি নিজেও অনেক বার বলেছেন।

নামকরণঃ- কথায় আছে 'A beautiful name is greater than a lot of wealth'। অর্থাৎ- এক গাদা ধন সম্পদের চেয়ে একটি সুন্দর নামই অধিকতরই ভাল। কোনান ডয়েল খুব ভাল ভাবেই জানতেন যে, একটা সুন্দর নাম কিভাবে একটা গল্পের সৌন্দর্য্য বহন করে। আর তাই তিনি তার সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্রটির জন্য মনে মনে একটা চমৎকার নাম খোঁজ করতে থাকেন। কিন্তু গোয়েন্দা চরিত্রের নাম করণ করাটা চারটে খানি কথা নয়। কারণ বিশেষ করে গোয়েন্দা চরিত্রের ক্ষেত্রে, চরিত্র চিত্রায়ণের পরে যদি সেই চরিত্রের নামটা পাঠকের পছন্দ না হয়, তাহলে পাঠক সমাজে খুব একটা নাম করা বেশ মুস্কিল হয়ে যায়। যদিও 'শার্লক হোমস্' নামে কোনান ডয়েল তৎকালিন সময়ে কাউকেই চিনতেন না। কিন্তু অনেক 'শার্লক' এবং একাধিক 'হোমস্'কে তিনি খুব ভাল ভাবেই চিনতেন। আর এই দুই পছন্দের অংশ বিশেষ জোড়া দিয়ে তিনি তৈরি করলেন যুগের শ্রেষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র 'শার্লক হোমস্'

শার্লক হোমস্-এর বাসার ঠিকানা।

বাসস্থানঃ- কোনান ডয়েল চাকরি জীবনে লণ্ডনের বহু এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখেছেন। লন্ডনের অধিকাংশ অলি-গলিই ছিল তার নখ দর্পণে। কিন্তু তার এই মানস-গোয়েন্দার বাসস্থানটা কোথায় করা যায়, এটা তিনি ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলেন না। অবশেষে শার্লকের থাকার জন্য তিনি 'বেকার ষ্ট্রীট'-কেই পছন্দ করলেন এবং কাল্পনিক ভাবে বাড়ীর নম্বরটা করে দিলেন '২২১/বি'। যদিও বেকার ষ্ট্রীট ছিল একটা ছোট গলির মধ্যে। আর অত ছোট গলিতে একশোর বেশী নাম্বার ছিলই না। নিশ্চয়ই কোনান ডয়েল সেটা লক্ষ করেছিলেন! তবে, বেকার ষ্ট্রীটের পরে নিকটবর্তী আরেকটি রাস্তা এর সঙ্গে জুড়ে দিলেই বেকার ষ্ট্রীট অনেক লম্বা হয়ে যায়। আর তখন ২২১ নম্বরটাও এসে যায়। মজার ব্যাপার হলো, সেই সময় উক্ত নাম্বারে 'Abbey National' নামে একটি বাণিজ্য-সংস্থার অফিস ছিল।

আর তারা শার্লক হোমস- এর প্রতি সহানুভুতিশীল হয়ে, বাড়ীর এক অংশে '২২১ বি' নম্বরের একটি ফলক বসিয়ে সেটি হোমস্-এর জন্য নির্দিষ্ট করে দেন। এবং হোমস-এর নামে আসা চিঠিপত্র সামলাতে একজন সেক্রেটারিও নিয়োগ করেন! তখন হোমস-ভক্তরা বিপুল সংখ্যক চিঠি লিখতেন ঐ কাল্পনিক ঠিকানায়। কিন্তু তখনও ঐ নম্বর মিউনিসিপ্যালিটির অনুমোদন পায়নি। কাহিনী অনুসারে হোমস্ ১৮৮১ থেকে ১৯০৩ অবধি ঐ বাড়ীতেই ছিলেন (যদিও প্রথম হোমস-কাহিনী লেখা হয় ১৮৮৭ সালে)। ২০০৫ সালে সংস্থাটি ঐ বাড়ী ছেড়ে চলে গেলে, হোমস-এর বাসস্থান নিয়ে নানা আইনগত জটিলতা দেখা দেয়, যা আজও কাটেনি।

শার্লক হোমস-এর গুণাগুণঃ- বর্ণনা অনুসারে সখের গোয়েন্দা তো তিনি বটেই, সেই সঙ্গে রসায়নবিদ, বেহালাবাদক, মুষ্টিযোদ্ধা ও তলোয়ারবাজও ছিলেন শার্লক! ডক্টর ওয়াটসন তাঁর নিকটতম বন্ধু, যিনি শার্লকের অধিকাংশ গল্পই পাঠকের উদ্দেশ্যে লিখে থাকতেন। ওয়াটসন প্রথম দিকে ঐ বাড়ীতে হোমস্-এর সাথে এক সঙ্গে থাকলেও পরে বিবাব করে অন্য অঞ্চলে চলে যান। সাধারণ বিচারে ওয়াটসনকে 'সহকারী' না বলে হয়তো বন্ধু বা সঙ্গী বলাই ঠিক হবে। কারণ সহকারী হবার মত পরিষ্কার মাথা তাঁর ছিল না। যদিও এক-আধ বার সহকারীর কাজ তিনি সত্যই করেছেন। কিন্তু সেটা ছিল নিতান্তই ক্ষুদ্র ব্যাপার। হোমস তাঁকে বলতেন- 'তুমি আলো নও; আলোর পরিবাহী।' আর এই 'পরিবাহী'র সঙ্গে খোদ 'আলো'র দেখা হয় শার্লক সিরিজের প্রথম কাহিনী 'অ্যা স্টাডি ইন স্কারলেট্'-এর গোড়াতেই।

ডাঃ ওয়াটসনের ব্যক্তিগত স্টাডি রুম। যেখানে সাজানো আছে ভিক্টোরীয় আমলের বইপত্র, খবরের কাগজ, ভাস্কর্য, পেইন্টিং ও ফটোগ্রাফ।

আফগানিস্থান-যুদ্ধে একজন ডাক্তার হিসেবে যান ওয়াটসন। গুলি লেগে আহতও হন। পরে সুস্থ হয়ে লণ্ডনে ফিরে এসে একা একা খুব অসহায় বোধ করতে থাকেন তিনি। ঠিক এমনই সময়ে হঠাৎ তার দেখা হয়ে যায় বন্ধু 'স্ট্যামফোর্ড'-এর সঙ্গে। স্ট্যামফোর্ডকে বলেন - তিনি লণ্ডনে থাকতে চান, কিন্তু বাড়ী ভাড়া এ শহরে বড়ই চড়া। সুতরাং কারও সঙ্গে একটা ফ্ল্যাট ভাগাভাগি করে নিতে পারলে বেশ ভাল হতো। স্ট্যামফোর্ড বলেন, 'তাঁর আর এক বন্ধু শার্লক হোমস্-এরও ঐ একই সমস্যা।' সুতরাং বন্ধু স্ট্যামফোর্ড ওয়াটসনকে নিয়ে যান তাঁর আর এক বন্ধু শার্লকের কাছে। আলাপ হতেই করমর্দন করে হোমস্ ওয়াটসনকে দেখে বলেন, 'আফগানিস্থানে ছিলেন মনে হয়?' প্রচন্ড অবাক হয়ে ওয়াটসন কিংকর্তব্যবিমূড়র মত হয়ে পড়েন। এই এক কৌতুহলেই শার্লককে ভাল লেগে যায় ওয়াটসনের। আর অনায়াসেই তিনি শার্লকের সাথে একঘরে দিন পার করার মনস্থির করে ফেলেন।

কাহিনী অনুসারে হোমস সহস্রাধিক রহস্যের সমাধান করলেও কোনান ডয়েল তাকে নিয়ে লিখেছেন মোট ষাটটি গল্প। পাঠকের দুঃখ হয় বাকী গল্প শুনতে পেলেন না বলে। এর মধ্যে ছাপ্পান্নটি গল্প শুনিয়েছেন ওয়াটসন, দুটি বলেছেন হোমস নিজেই, আর বাকি দুটি অনির্দিষ্ট কোনো দ্রষ্টা। যিনি আবহামান কাল ধরে আমাদের গল্প শুনিয়ে আসছেন। হোমস কাহিনীর ঘটনাকাল ছিল ১৮৮০ থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত। যদিও ১৯১৪ তে হোমসকে শেষ বারের জন্য আরও একটি ঘটনায় দেখা যায়।

বর্ণনা অনুসারে তিনি ছিলেন 'বোহেমিয়ান', অর্থাৎ ঠিক নিয়মে বাঁধা জীবন তাঁর নয়। অনেকটা মর্জি শাসিত ছিল তাঁর জীবন। লম্বা, রোগা, রুক্ষ চেহারা; কিন্তু শরীরে ছিল অবিশ্বাস্য শক্তি। কোনো সমস্যা যখন তাঁকে ভাবনার গভীরে বেঁধে রাখতো, তখন প্রায়ই তিনি অনাহারে থাকতেন। তামাকে আসক্ত; পাইপ, সিগার ইত্যাদি অনেক কিছুই তাঁর চলে। বাড়ীতে তিনি তামাক রাখতেন তাকের উপর একটি চটি-জুতোর ভিতরে। এমনকি ৭ কোকেন-দ্রবণের ইঞ্জেকসন নিতেও তাঁকে দেখা যায়। তার ধারনা এতে নাকি মাথা পরিষ্কার করা এক স্বর্গীয় অনুভূতি হয়! কদাচিৎ নিজের উপরে 'মর্ফিন'ও তিনি প্রয়োগ করেন। আর্থিক অবস্থা তাঁর খারাপ ছিল না। মনে হয়, রহস্যভেদ করে উপার্জন তার খারাপ হতো না। কিন্তু কোন লেখার মধ্যেই তাঁর নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না। তবে ক্ষেত্র বিশেষে তিনি যথেষ্ট পুরস্কার লাভ করেছিলেন। প্রথম দিকে একটি রহস্যভেদ করার পরে তাঁকে এক হাজার পাউণ্ড পেতে দেখা যায়, যা তখনকার হিসেবে অবিশ্বাস্য মনে হয়। ওয়াটসনের সঙ্গে কয়েক বছর অবশ্য থেকেছেন; তা ছাড়া বরাবরই তিনি একাই থাকতেন। তাঁর এক দাদা ছাড়া তাঁর পরিবারের আর কারও কথা জানা যায় না। ঐ দাদাও ছিলেন একজন অসাধারণ বুদ্ধিমান ব্যক্তি; তবে তার আবার হোমসের মত এতটা দৌড়-ঝাঁপে রুচি ছিল না। হোমস দু'এক বার বুদ্ধি বা পরামর্শ চাইতে ঐ দাদার দ্বারস্থও হয়েছেন। কিন্তু তিনি সব শুনে চেয়ারে বসেই হোমসকে উনার মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করতেন।

হোমস-এর ষাটটি গল্পের ভিতরে দীর্ঘ কাহিনী বা উপন্যাস হলো চারটি, যার এক-একটি গল্পেই এক-একটি বই হয়ে গিয়েছে। হোমস-এর প্রথম গল্প 'অ্যা স্টাডি ইন স্কারলেট' ঐ রকম দীর্ঘ এক কাহিনী। এটি প্রকাশিত হয় ১৮৮৭ সালে 'বীটন ক্রিসমাস অ্যানুয়াল'-এ। সেই সময় হোমসের ছবি এঁকেছিলেন চিত্রকর ডি. এইচ. ফ্রিস্টন, যিনি হোমসকে একটু মোটাসোটা করে আঁকায় কোনান ডয়েল ভীষণ ভাবে বিরক্ত হয়েছিলেন। পরের বছর এই একই গল্প আলাদা বই হিসেবেও বের হয়। কোনান ডয়েলের বাবা তখন মানসিক অসুস্থতায় হাসপাতালে ছিলেন। তিনি সেখানে বসেই এই বইয়ের জন্য কয়েকটা ছবি এঁকেছিলেন। আর সেই ছবিতে তিনি আবার হোমস-এর মুখে আধুনিক ফ্যাশন হিসাবে চাপদাঁড়িও রেখেছিলেন! কিন্তু যত শিল্পীই শার্লক হোমস-এর যত ছবি এঁকেছেন, তার কোনোটাই গল্পের বর্ণনার সঙ্গে মেলেনি। আর লেখকও এই ব্যাপারে বরাবর ছিলেন খুবই অসন্তুষ্ট। হোমস-এর এই প্রথম কাহিনী পাঠক সমাজে তেমন একটা জনপ্রিয় হয়নি। কিন্তু প্রথমবারে ফ্লপে কোনান ডয়েল মন খারাপ করে হাল ছেড়ে দিলেন না। বরং দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে তিনি আবারও লিখতে শুরু করেন। কিন্তু দ্বিতীয় কাহিনী 'দ্যা সাইন ওব ফোর' (The Sign of Four) আরেকটি দীর্ঘ কাহিনী, আগেরটার থেকে আরও কম জনপ্রিয় হয়েছিল। এই দুই ব্যর্থতার পরেও লেখক যে শার্লক হোমসকে নিয়ে পরবর্তিতে আরো গল্প লিখবেন এমনটা তখন কেউই ভাবেনি।

ঠিক তখনই ১৮৯১ সালে লণ্ডনে 'The Standard magazine' নামে নতুন একটি মাসিক পত্রিকা বেরিয়েছিল। এবার কোনান ডয়েল হোমসকে নিয়ে ছোট মাপের দুটি গল্প লিখে ঐ পত্রিকায় পাঠালেন। আর এটাই ছিল শার্লক হোমস-এর বিশ্বজয়ের শুভ সূচনা। শার্লককে নিয়ে কোনান ডয়েল মোট ছ'টি গল্প লেখার পরিকল্পনা করেছিলেন। জুলাই থেকে ডিসেম্বর অবধি এই ছ'টি গল্পই পরপর প্রকাশিত হতে থাকে। যার প্রত্যেকটা গল্পেই শার্লকের ছবি থাকত। তৎকালিন সময়ে 'ওয়াল্টার প্যাগেট আর সিডনি প্যাগেট' নামের দুই সহদর ছিলেন উক্ত পত্রিকার সম্পাদক। দুজনেই ছিলেন ভাল চিত্রকর। যদিও কোনান ডয়েল সম্পাদক ওয়াল্টারকে দিয়েই ছবি আঁকাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু দূর্ভাগ্যক্রমে দায়িত্বটা পেয়ে যান ছোট ভাই সিডনি। তিনি আবার ভাই ওয়াল্টারকে মডেল করেই শার্লক হোমসকে আঁকেন! সেই ছবিতে হোমসকে ছিপছিপে এবং সতেজ দেখালেও তার মুখের কমনীয়তাকে লেখক খুব একটা পছন্দ করেননি। কিন্তু এত কিছুর পরেও হোমস-এর ছবি এঁকেই সিডনি ততদিনে বিখ্যাত হয়ে যান। এমনকি ১৯০৮ সালে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত ঐ পত্রিকায় প্রকাশিত হোমস কাহিনীর সকল ছবি তিনিই এঁকেছিলেন।

শার্লক হোমসের জনপ্রিয়তা, মোরিয়ার্টির পরিচয় এবং দু'জনেরই অকাল মৃত্যুঃ- দ্যা স্ট্র্যান্ড ম্যাগাজিনে লেখা বের হওয়ার প্রথম দু-তিন মাসেই শার্লক হোমস্ এবং কোনান ডয়েলের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠে যায়। এছাড়াও পাঠকের কাছে স্ট্র্যান্ড পত্রিকার চাহিদাও বেড়ে যায়। ফলে নিজেদের ব্যবসা সফল করার জন্য পত্রিকার সম্পাদক কোনান ডয়েলের কাছে আরও হোমস কাহিনীর দাবী করতে থাকেন। কিন্তু কোনান ডয়েল তখন চাইছিলেন ঐতিহাসিক উপন্যাসে মন দিতে, যা লিখতে তিনি সব থেকে বেশি ভালবাসতেন। তবুও কিছুটা আর্থিক কারণেই তিনি ঐ গল্পমালায় আরও ছ'টি গল্প যোগ করতে রাজী হয়ে যান। এর পরে শার্লক হোমসকে মেরে ফেলে নিজের একটু শান্তি পেতে চাইছিলেন লেখক। কিন্তু প্রধানত তাঁর মায়ের নিষেধের কারণে তা আর করা হয় না। তবে এর পরে আবারও সম্পাদকীয় তাগাদায় হোমসকে নিয়ে গল্প ফাঁদতে যখন বাধ্য হন লেখক, তখন শার্লককে নিয়ে পরপর আরও প্রায় এগারটি গল্প লিখে ফেলেন কোনান ডয়েল। ততদিনে শার্লক হোমস আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তার মালিক হয়ে গেছেন। কিন্তু নিজের সৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পেতে লেখক দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে ওঠেন।

অনেকেই হয়তো এখানে প্রশ্ন করতে পারেন যে, তৎকালিন সময়ে শার্লকের এই জনপ্রিয়তা হওয়া সত্ত্বেও লেখক কোনান ডয়েল কেন শার্লককে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন? সে সময়ে শার্লক হোমস ছিলেন ঐ দেশের মানুষের সবচেয়ে প্রিয় একটি নাম। প্রতিদিন প্রচুর চিঠিপত্র আসতো তাঁর নামে। এসব চিঠি পত্রের মধ্যে 'ফ্যান লেটার' তো আছেই, এছাড়াও বিপন্ন মানুষের চিঠিও কিছু কম আসতো না। কোন কেসের চুরি, ডাকাতি বা খুনের কিনারা করতে পুলিশ যখন ব্যর্থ হতো, তখন অনেকেই চিঠি লিখে বলতো ঐ মামলা শার্লক হোমসকে দিতে। যে কোনো লেখকের পক্ষেই এ রকম হওয়াটা ছিল মহা তৃপ্তির ব্যাপার। তাহলে কোনান ডয়েল কেন এ থেকে রেহাই পেতে চেয়েছিলেন?

যদিও শার্লকই কোনান ডয়েলকে বিশ্বজোড়া খ্যাতি এনে দিয়েছিল। কিন্তু আসলে শার্লক হোমস্-এর গল্প লিখে কোনান ডয়েল তেমন একটা তৃপ্তি লাভ করতে পারেননি। কোনান ডয়েল মনে করতেন ঐ চরিত্রটি কেবল কাঠখোট্টা বুদ্ধিরই কারবার করে। মানুষের নানা কোমল বৃত্তির সঙ্গে তাকে খাপ খাওয়ানো যায় না। হোমস্ নিজেই এক বার ওয়াটসনকে বলেন - 'আমি কেবল মস্তিষ্ক, ওয়াটসন; আমার আর সব কিছু অ্যাপেনডিক্স!' সুতরাং একে নিয়ে লেখক আর কদ্দুরই বা যাবেন?

যদিও হোমস্ নানা রকমের রহস্য নিয়ে মাথা ঘামাতেন, কিন্তু তাঁর এক চির প্রতিদ্বন্দী চরিত্র ছিল। যাকে বলে 'ভিলেন' বা খলনায়ক। উনি ছিলেন গণিত এবং মহাকাশ-বিজ্ঞানের পণ্ডিত, অধ্যাপক মোরিয়ার্টি। অল্পবয়সেই অসাধারণ পাণ্ডিত্যের জোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অপরাধ-জগতের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের খবর খুব একটা গোপন ছিল না। অন্তত শার্লকের কাছে তো নয়ই। সেই দুর্নামের কারণেই তিনি নিজে থেকে অধ্যাপনার কাজ থেকে সরে আসেন এবং পুরোপুরি অপরাধ-জগতের সম্রাট হয়ে বসেন। কিন্তু তার এই সম্রাট হওয়ার পিছনে প্রতি পদক্ষেপে শার্লক হোমসই তাঁর পথের একমাত্র কাঁটা হয়ে দাঁড়ান। আবার অন্যদিকে, হোমস্ও কেবলমাত্র ঐ মোরিয়ার্টির সঙ্গেই পুরোপুরি এঁটে উঠতে পারতেন না। এমনকি আইনের কাঠগড়ায় তাকে তুলে শাস্তির ব্যবস্থা করে সমাজকে স্বস্তি দিতেও হোমস্ বারবার ব্যর্থ হন। আর এই দ্বন্দেই শার্লক হোমস্-এর মৃত্যু ঘটাতে মনস্থ করলেন তাঁর স্রষ্টা। কিন্তু খলনায়ককে জিতিয়ে নিশ্চয়ই নয়! সুতরাং মৃত্যু হবে দু'জনেরই। কিন্তু সেটাই বা কীভাবে সম্ভব?

এর কিছু দিন আগে কোনান ডয়েল তাঁর অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে সুইজারল্যাণ্ড ভ্রমণের সময় সেখানে রিখেনবাখ্ নামক একটি জলপ্রপাত দেখেছিলেন। জলপ্রপাতটিতে কয়েকশো ফুট উঁচু থেকে বিপুল পরিমাণ জল গভীর খাদে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। এমনকি জলের গর্জনে কানে কিছুই শোনা যায় না। খাদের মাঝ বরাবর সরু তাকের মত একটা জায়গা, যেখান দিয়ে জলের ধারাকে পাশ কাটিয়ে একজন মানুষ খুব সাবধানে এগোতে পারে। কিন্তু একবার পা ফসকালেই নিশ্চিত মরণ। আর কোনান ডয়েলের গল্পের ধারা অনুসারে এখানেই দুই প্রতিদ্বন্দীর শেষ বার দেখা হয়। মোরিয়ার্টির কৌশলেই হোমস এখানে একাকী আসেন। এবং এসেই বুঝতে পারেন যে, এটা একটা মৃত্যু ফাঁদ। কিন্তু কিছুতেই শার্লক ভীতু হন না। বরং তাড়াতাড়ি এক টুকরো কাগজে ওয়াটসনের উদ্দেশ্যে কয়েক তিনি লাইন লিখে রেখে যান।

বন্ধুর খোঁজে ওয়াটসন যখন উক্ত স্থানে আসেন, তখন সেখানে কেউ নেই। কেবল ঐ কাগজটাই তিনি উদ্ধার করতে পারেন, আর আন্দাজ করে নিতে পারেন ঘটনাটি। বিষণ্ণ দৃষ্টিতে তিনি খাদের দিকে তাকিয়ে থাকেন, যেখানে সফেদ জলরাশির তলায় পরস্পরের বাহুলগ্ন হয়ে চিরশয্যায় শায়িত হয়ে আছে এ যুগের সবচেয়ে বড় অপরাধী আর আইনের শ্রেষ্ঠতম রক্ষক। ১৮৯৩ সালের ডিসেম্বর মাসের সংখ্যায় উক্ত পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পেই এটি ঘটানো হয়েছিল। যে গল্পটার নাম ছিল 'দ্যা ফাইনাল প্রবলেম'। আর এই ভাবেই কোনান ডয়েল শার্লকের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করলেন। উক্ত লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে তাঁর দেশের পাঠক সমাজের সর্বস্তরে তখন সেকি হাহাকার!

শার্লক হোমস্-এর স্মৃতি বিজড়িত সংগ্রহশালা।

যে যুগে শার্লক হোমস্-এর গল্প লেখা হয়েছিল, তখন পর্যন্ত তেমন কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক তদন্তপদ্ধতি গড়ে ওঠেনি। যে কারণে একজন কাল্পনিক মানুষ হলেও শার্লক হোমস্ যুক্তিবাদী অনুসন্ধানের মাধ্যমে পাঠককে একটা পথ দেখাতে পেরেছিলেন। তখনকার পুলিশ এবং 'ফোরেনসিক' বিভাগ হোমস্ কাহিনী থেকে অনেক ভাবনার খোরাক পেয়েছিল। আপাতদৃষ্টিতে অনেক তুচ্ছ বস্তুকেও বুদ্ধি আর যুক্তি দিয়ে দেখতে পারলে তা থেকে যে কত কথা বের করে আনা যায়, শার্লক তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে ঐ প্রথম দেখিয়ে দিল। শার্লক হোমস্ মূলত একজন কড়া ধূমপায়ী বা তামাকসেবী ছিলেন। সিগারের বা পাইপের ছাই পর্যবেক্ষণ করে কীভাবে মূল্যবান তথ্য বের করে আনা যায়, সে বিষয়ে তিনি একটি পুস্তিকাও লিখেছিলেন। বস্তুত, এই ধরণের পুস্তিকা তিনি অনেক লিখেছেন। পদচিহ্ণের ছাঁচ তোলার জন্য 'প্লাস্টার অব পারী'র উপযোগীতার কথাও এই সূত্রের মাধ্যমেই প্রথম জানা যায়। ওয়াটসনকে তিনি প্রায়ই বলতেন - 'যা কিছু অসম্ভব তা যখন তুমি বাদ দিয়ে দেবে, তখন যা পড়ে থাকবে তা যতই অদ্ভুত হোক, তাই-ই সত্য হতে বাধ্য।'

পূনরায় শার্লক হোমস্-এর আত্মপ্রকাশঃ- ১৮৯৩ সালের ডিসেম্বর মাসে শার্লক হোমসকে মেরে কোনান ডয়েল পাঠক আর প্রকাশকদের চাহিদাকে ক্রমান্নয়ে অগ্রাহ্য করে চললেন। কিন্তু ১৮৯৬ সালে এক বার তাঁকে অনেক বড় ধরনের একটা মুস্কিলে পড়তে হল। তিনি ডাক্তারি পাশ্ করেছিলেন এডিনবারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সেখানকার ছাত্ররা তাঁকে জানালো, 'তারা তাদের ক্রিকেট মাঠটা বড় এবং উন্নত করতে চায়; কিন্তু এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ তাদেরই যোগাড় করতে হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। তাই ছাত্রদের দ্বারা প্রকাশিত পত্রিকা ( 'The Student' ) তারা বিক্রী করতে চায়। আর এই কাজটা সহজ হয় যদি কোনান ডয়েল শার্লক হোমস-এর একটি গল্প লিখে দেন!'

কীভাবেই বা তিনি তখন ছাত্রদেরকে ফেরান। আবার কী ভাবেই বা নিজের প্রতিজ্ঞা ভাঙেন! তাছাড়া একজন মরা মানুষকে পুনোরুজ্জীবিত করাটাতো আর চারটেখানি কথা নয়? তখন ছাত্রদের দাবির মুখে অনেক ভেবে তিনি হোমসকে নিয়ে একটি ছোট লেখা তৈরী করে দিয়েছিলেন। যাকে ঠিক গল্প বলা চলে না। অবশ্য তারপর নিজের উৎসাহতেই শার্লককে নিয়ে ১৯০২ সালে তিনি 'দ্যা হাউণ্ড ওব দা বাস্কারভিলস্' উপন্যাসটি লেখেন। তবে সেই উপন্যাসে হোমসকে ঠিক বাঁচিয়ে দেওয়া হল না। বরং ঐ ঘটনাকে পূর্ববর্তী একটি ঘটনা হিসেবে দেখান হল।

কিন্তু পরের বছরই, অর্থাৎ ১৯০৩ সালে অবিশ্বাস্য ভাবে শার্লক হোমস সত্যই বেঁচে ফিরে আসলেন। 'দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য এম্পটি হাউস' গল্পটিতে শার্লকের এই প্রত্যাবর্তনের ঘটনাটিকে সে নিজে যেভাবে বর্ণনা করেছে সেটা থেকে জানা যায় যে, তিনি নাকি ঐ জলপ্রপাতের খাদে তলিয়ে যাননি! বরং পড়ে যেতে যেতে একটি সুবিধাজনক মধ্যপথে তিনি আটকে গিয়েছিলেন। তারপর এত দিন অজ্ঞাতবাসে ছিলেন শাখা-প্রশাখায় ছড়ানো শত্রুপক্ষকে কাবু করবার উদ্দেশ্যেই। এমনকি বন্ধু ওয়াটসনকেও তিনি কিছুই জানতে দেননি। অতএব হোমস কাহিনী আবারও প্রকাশিত হতে থাকে, ঠিক আগের মতোই। বরং লেখকের কাছ থেকে এই দ্বিতীয় দফায় আরও অনেক বেশি গল্প পাওয়া যায়। কিন্তু বিদেশী সমালোচকরা এই দ্বিতীয় দফার গল্পকে ঠিক ততটা স্বাগত জানাতে পারেননি। তাঁদের মতে, গল্পের সেই মেজাজ, সেই সাহিত্যগুণ দ্বিতীয়বারে আর একদমই নেই। তাদের ধারনা এই হোমস আগের সেই হোমস নয় ! অবশ্য, ক্ষুধাতুর ভক্তরা এ সব সমালোচনাকে খুব একটা গ্রাহ্য করেনি।

এখানে একটা প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়! কোনান ডয়েল একদা তাঁর সৃষ্ট সেই বিখ্যাত মানস-গোয়েন্দার উপরে এতটা বিরক্ত হয়ে তাকে মেরে ফেলার পরে, কেন আবার তাকে তিনি বাঁচিয়ে তুলেছিলেন? এটাকি শুধুই চাহিদার চাপে (?) নাকি টাকার লোভে? এর আগে চাহিদার চাপ কিন্তু তিনি প্রায় দশ বছর ধরে অগ্রাহ্য করে আসছিলেন। সুতরাং শার্লককে বাঁচিয়ে তোলার ক্ষেত্রে একদমই চাহিদার চাপ হতেই পারে না! তাহলে কি? টাকা? কিন্তু যখন তিনি হোমসকে মেরে ফেলেছিলেন, তখনকার তুলনায় এখন তিনি অনেক বেশী ধনী। বোধহয় তৎকালিন সময়ে তিনিই পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী লেখক ছিলেন। সুতরাং এটাকেও বাদ দিতে হচ্ছে। তাহলে আসলেই এর মূল কারণটা কি ছিল? তবে ঘটনা যাই থাক, এ ব্যাপারটাকে অনেকেই লেখকের একটা খেয়াল বলেই ধরে নিয়েছিলেন।

বলা বাহুল্য, শার্লক হোমস্ সমাজের সর্বস্তরের অনেক ভালোবাসা, অনেক সম্মান পেয়েছিলেন। গল্পে দেখা যায়, ১৯০২ সালের জুন মাসে সরকারী সম্মান 'নাইট'-এর মত একটা সর্বোচ্চ উপধিও তাঁকে দেবার প্রস্তাব হয়েছিল। কিন্তু হোমস তা প্রত্যাখান করেন। তবে এই ব্যাপারটা বেশ মিলে যায় তাঁর স্রষ্টা কোনান ডয়েলের সঙ্গে। তাঁকেও ১৯০২ সালে ইংল্যাণ্ডের সর্বোচ্চ 'নাইট' উপাধি দিতে চাওয়া হয়, কিন্তু তিনিও তা প্রত্যাখান করতেই মনস্থ করেছিলেন। পরবর্তিতে যদিও তার মা আর স্ত্রীর অনুরোধে শেষ পর্যন্ত সেটাকে তার গ্রহণ করতে হয়।

মোটামুটি এই সময়ে খবরের কাগজ পড়ে জানা যায়, হোমস্ এইবার অবসর নিতে চলেছেন। এবার তিনি গ্রামাঞ্চলে থাকবেন; মৌমাছি পালন করে শান্ত জীবন কাটাবেন। যাঁহাতক এই খবর পত্রিকায় বের হলো, অমনি তার নামে বিচলিত ভক্তদের নানা চিঠি আসতে শুরু করলো! এমনকি মৌমাছি পালনে দক্ষ অনেক ব্যক্তিও তাকে সাহায্য করতে আগ্রহী হন। এর মধ্যে একজন অধ্যাপকও ছিলেন! হোমস কাহিনী পড়ে সেই অধ্যাপক যে আনন্দ লাভ করেছিলেন, তার প্রতিদানেই তিনি শার্লককে সাহায্য করতে চান।

আধুনিক যুগের ফিল্মে শার্লক হোমস্ঃ- জনপ্রিয় চরিত্র অনেক তৈরী হয়েছে; কিন্তু আজ অবধি শার্লক হোমসকে কেউ টেক্কা দিতে পারেনি। আজ অবধি শার্লক হোমসকে নিয়ে প্রচুর পরিমাণে থিয়েটার এবং সিনেমা তৈরী হয়েছে। হোমস প্রথম মঞ্চে ওঠেন ১৮৯৯ সালে। আর সিনেমার পর্দায় আসেন ১৯০৫ সালে ( তখন অবশ্য বড় দৈর্ঘ্যের ছবি তৈরী হত না )। মঞ্চে প্রথম হোমস সেঁজে ( ১৮৯৯ - ১৯৩২ ) বিখ্যাত হয়েছিলেন উইলিয়াম গিলেট নামে একজন নাট্যকর্মী এবং একটানা প্রায় আটাত্তর বছর বয়স পর্যন্ত তিনি ঐ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। 'গিনেস বুক অব ওয়্যাল্ড'-এর তথ্য অনুসারে এখন অবধি সর্বমোট ২১১ টি হোমস্-চিত্র তৈরী হয়েছে, এবং ৭৫ জন অভিনেতা হোমসের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তবে তাদের মধ্যে নিজের অভিনয় শৈলি দ্বারা সবচেয়ে খ্যাতিমান হয়েছিলেন ব্যাসিল রথবোন। কিন্তু বর্তমান সময়ে হোমসকে নিয়ে এমন অনেক সিনেমা তৈরী হয়েছে যেগুলো সত্যিকার অর্থে কোনান ডয়েলের লেখা নয়। এমনকি জনপ্রিয়তার প্রেরণায় নব্য যুগের অনেক লেখকই হোমসকে নিয়ে নতুন নতুন গল্প লিখেছেন। যার মধ্যে কোনান ডয়েলের এক ছেলেও ছিল।

শার্লক হোমস্'কে উদ্দেশ্য করে লেখা ভক্তের চিঠি।

পুনশ্চঃ- কোনান ডয়েল ভেবেছিলেন- একজন বিখ্যাত লেখক হিসাবে পাঠকের হৃদয়ে ঐতিহাসিক উপন্যাসের জন্যই তিনি বেঁচে থাকবেন। কিন্তু শার্লক হোমস্ সেটা হতে দেননি। বরং স্রষ্টার চেয়ে বড় হয়ে তিনিই তাঁর সৃষ্টিকর্তার ভাগ্য নির্ধারণ করেছিলেন। যুগের শ্রেষ্ট আজব চরিত্র এই শার্লক হোমস্, যার নামে আজও ২২১/বি বেকার ষ্ট্রীটের ঠিকানায় তার ভক্তরা চিঠি পাঠান! যে কিনা এই সু-দীর্ঘকাল পরে আজও পৃথিবীর সকল গোয়েন্দা প্রেমীদের হৃদয়ের মাঝখানে এখনও অমর হয়ে বেঁচে আছেন.......!!

শার্লক হোমস সমগ্র (বাংলা অনুবাদকৃত ই-বুক):- অনেক বাঙালি লেখকই স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের লেখা 'শার্লক হোমস'কে বাংলায় অনুবাদ করেছেন। যা গুগলে শার্লক হোমস লিখে সার্চ দিলে হাজার হাজার অনলাইন ঠিকানায় সেগুলোকে ই-বুক (পিডিএফ) ফাইল আকারে পাওয়া যায়। শার্লক ভক্ত পাঠকদের সুবিধার্থে আমি এখানে দুইটা ঠিকানা উল্লেখ করে দিলাম। ইচ্ছা করলে উক্ত ঠিকানা থেকে আপনারা শার্লক হোমসকে নিয়ে লেখা সবগুলো গল্পই ডাউনলোড করে নিয়ে পড়তে পারবেন।

০১। গল্প বাদে, শার্লক হোমস কে নিয়ে লেখা শুধুমাত্র চারটি উপন্যাস পাবেন এইখানে, বাংলা অনুবাদক- অদ্রীশ বর্ধন।
ফাইল সাইজঃ- ১৮.৯০ এম. বি।
০২। উপন্যাস সহ সবগুলো গল্পই পাবেন এইখানে, বাংলা অনুবাদক-মণীন্দ্র দত্ত।
ফাইল সাইজঃ- ৪৬.৩০ এম. বি।

তথ্যসূত্রঃ- যদিও "শার্লক হোমস্" কে নিয়ে আমার আজকের পোস্টের অধিকাংশ লেখাই আমার নিজস্ব জ্ঞান এবং মস্তিষ্ক প্রসূত ধারনা থেকেই নেওয়া। কিন্তু তারপরেও পোস্টের আনুসঙ্গিক কিছু তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বেশ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের কাছ থেকে অল্প কিছু সাহায্য নেওয়া হয়েছে। নিম্নে অনলাইন লিংক সহ সেগুলোর নাম উল্লেখ করা হলোঃ-

০১। উইকিপিডিয়া & এনসাইক্লোপিডিয়া-স্যার আর্থার কোনান ডয়েল।
০২। উইকিপিডিয়া & এনসাইক্লোপিডিয়া-শার্লক হোমস।
০৩। উইকিপিডিয়া & এনসাইক্লোপিডিয়া-বেকার ষ্ট্রীট।
০৪। কে এই শার্লক হোমস?
০৫। ছবি সূত্র-পোস্টে উল্লেখিত সবগুলো ছবিই এখান থেকে সংগ্রহ করা।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- টাইপিংয়ের ভুলের কারনে হয়তো অনেক জায়গায় বানানে ভুল থাকতে পারে। সেটাকে বিবেচ্য বিষয় হিসাবে না ধরে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে কৃতার্থ হবো! এতক্ষণ যাবত সাথে থেকে কষ্ট করে এতবড় একটা পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন! হ্যাপি ব্লগিং.... !:#P

মন্তব্য ৮১ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (৮১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

ধ্রুবতারা ৫৮ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৭ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ!

২| ০৭ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

ক্রন্দসী বলেছেন: এক নি:শ্বাসে পড়লাম। লেখাটা অনেক বড় কন্তু পড়ার পর মনে হলো ছোট।শুভকামনা রইল। লেখা ভাল খারাপ জানিনা তবে আমি গোগ্রাসে গিলেছি

০৭ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: যাক, আপনার মন্তব্য পড়ে ভাল লাগলো! পোস্টটা প্রকাশ করার পর আমি তো ভাবছিলাম- 'কি জানি এত বড় হয়তো পাঠকেরা পড়তেই চাইবে না!' কিন্তু আপনার মন্তব্যটা পাওয়ার পর আপাতত সেই চিন্তাটা মাথা থেকে গেছে! ;)

যে কোন গোয়েন্দা চরিত্র আমারও অনেক ভাল লাগে! বলতে পারেন গোয়েন্দা গল্প পড়ার একজন 'পোকা'! আর সেই ভাল লাগা থেকেই এই পোস্টের উৎপত্তি!

মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৩| ০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:২৩

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট। প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।

++++++++++++

০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:০২

সাহসী সন্তান বলেছেন: অনেক পুরানো এবং খুবই জনপ্রিয় একজন ব্লগারের মন্তব্য পেয়ে আমি আপ্লুত! পোস্টটা পড়েছেন যেনে খুবই ভাল লাগছে!

পোস্ট পাঠ, মন্তব্য, প্লাস এবং প্রিয়তে রাখার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ শোভন ভাই!

শুভ কামনা জানবেন!

৪| ০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার। এই ধরনের ফিচার এখন খুব একটা কেউ লিখেন না। আপনি লিখেছেন। যে কোন গোয়েন্দা সিরিজ একটা নেশা। খুব আক্রান্ত ছিলাম।

০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:০৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: কা_ভা ভাই, প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি চমৎকার উৎসাহ ব্যাঞ্চক মন্তব্যটার জন্য!

আপনার মত আমিও গোয়েন্দা সিরিজের খুবই ভক্ত! সেই ক্লাস সিক্স/সেভেনে থাকতে প্রথম গোয়েন্দা বই পড়েছিলাম নিহার রঞ্জন গুপ্তের লেখা 'ছায়া মৃত্যু'! তারপর থেকেই যে কোন গোয়েন্দা চরিত্র আমার কাছে খুবই ভাল লাগে!

আপনার জন্য অফুরন্ত শুভ কামনা রইলো! ভাল থাকবেন!

৫| ০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বিশাল পোস্ট। তবে এটি পোস্ট নয়, একটি রত্ন। আমি অর্ধেকটা পড়ে অভিভুত হয়ে গেলাম। সময়ের অভাবে বাঁকিটা পরে পড়বো।
ধন্যবাদ সাহসী সন্তান।

০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:১১

সাহসী সন্তান বলেছেন: খুবই চমৎকার মন্তব্য! অনেক ভাল লাগছে আপনার মন্তব্যটা পড়ে! সময় করে বাকি অংশটুকুও পড়ে ফেলার অনুরোধ রইলো!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আশরাফুল ভাই! শুভ কামনা জানবেন!

৬| ০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৫

এস কাজী বলেছেন: ডয়েল সম্পর্কে হালকা পড়েছিলাম বি সি এস প্রিপেরশনের সময়। এখন তো মনের মধ্যে গেঁথে গেল মামা :)

অনেকদিন ফিচার পোস্ট সামু তে দেখিনা নাকি আমি সামুতে অনিয়মিত সেটা বুঝতেসিনা। হাহাহাহা

তবে ইউর টাইপ অব পোস্ট। ভাল হয়ছে মামা। প্রিয়তে নিলাম :)

০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:১৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: না, ভাই! আপনি সামুতে অনিয়মিত সেজন্য নয়! আসলেই ইদানিং সামুতে ফিচার ধর্মী পোস্ট খুব কমই আসছে! আহঃরে, পোস্টটা যদি কাজী ভাইয়ের বি সি এস প্রিপারেশনের আগে করা যেত তাইলো বোধ হয় আরো ভাল হতো! ;)

পোস্ট প্রিয়তে রাখছেন জেনে খুশি হইলাম ভাই! শুভ কামনা রইলো!

৭| ০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উরিব্বাস!

বিশাল খাটুনির কাজ করছেন।

অার্ধেক পড়লাম। শার্লক নিয়ে দেখি আমাদের বদির মতো কান্ড হয়ে গেছে অনেক অনেক আগেই.. বদির যাতে ফাসি না হয় সে জণ্যে মিছিলও হয়েছিল।
আসলে সৃষ্টি যখন এমন প্রনবন্ত হয়ে ওঠে তখনই বোধকরি এমন হয়।
৩ আর ৪ পড়া হয়েছে।
অসাধারন বাকী টুকু আবার পড়তে আসছি।

০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:২১

সাহসী সন্তান বলেছেন: এত বড় পোস্ট (!) তবুও অর্ধেক পড়েছেন যেনে খুশি হলাম ভৃগু ভাই! আশা করি সময় করে বাকি অর্ধেকও পড়ে শেষ করে ফেলবেন!

চমৎকার মন্তব্যে অনেক অনেক ভাল লাগা রইলো! শুভ কামনা জানবেন!

৮| ০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান ,




বিশাল শার্লক হোমসীয় লেখা । তেমনি রহস্যে ভরা ।
ডাঃ ওয়াটসনের দৃষ্টিতে শার্লক হোমসের জ্ঞানের পরিচয়ঃ-
০১। সাহিত্য জ্ঞান- শূণ্য!
০২। দর্শণ জ্ঞান- শূণ্য!
০৩। জ্যোতির্বিজ্ঞান- শূণ্য!
০৪। রাজনীতি জ্ঞান- নগণ্য! ....................।
চু....চু....চু.... ষোল আনাই বৃথা ।

বেসম্ভব একটি কাজ করে ফেলেছেন ।
শুভেচ্ছান্তে ।

০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: জী এস ভাই, চু.....চু..... চু......পপপপপ! সব কথা বলার আগে, বেসম্ভব একটা মন্তব্যের জন্য প্রথমেই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি........ ;)

ভাই, "ডাঃ ওয়াটসনের দৃষ্টিতে শার্লক হোমসের জ্ঞানের পরিচয়" অংশটা কিন্তু শার্লক হোমসের বইটি থেকেই সম্পূর্ণ তুলে দেওয়া! ঐ অংশটুকুতে আমার কোন হাত ছিল না। যদি থাকতো তাহলে এমন একটা চরিত্রের মধ্যে ঐধরনের বাক্যগুলো আমি সত্যিই ইরেজ করে দিতাম! ;)

আপনার মন্তব্যটা খুব ভাল্লাগলো! শুভ কামনা জানবেন!

৯| ০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৪০

ঈশান আহম্মেদ বলেছেন: আপনি যখন বলেছিলেন যে আপনি শার্লক হোমসকে নিয়ে লিখবেন তখন ভেবেছিলাম যে আপনি হয় ওঁকে নিয়ে গল্প লিখবেন।কিন্তু এখন দেখি বিশাল একটা তথ্যবহুল পোস্ট।শার্লক হোমস প্রায় সবারই প্রিয় কাল্পনিক গয়েন্দা।তাঁর পর্যবেক্ষন,বিশ্লেশন এবং অনুমান ক্ষমতা অসাধারণ যেটা আপনি আগেই বলেছে।যায় হোক পোস্ট ব্যাপক প্লাচ দিলাম।অনেক কষ্ট করেছেন বুঝাই যাচ্ছে।তাছাড়া প্রিয় গয়েন্দার জন্য এতটুকু কষ্ট কষ্ট না,সুখেরই বটে।প্রিয়তে।

০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: সত্যি বলতে কি, আমি যখন পোস্টটা লিখছিলাম তখন মনে মনে আপনার কথাই ভাবছিলাম! এই পোস্টটা করার ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ক্রেডিটও কম না? কারণ যদিও আমি আপনাকে বলেছিলাম যে শার্লককে নিয়ে লিখবো, কিন্তু ইচ্ছা আর সময় দু'টোকে কিছুতেই এক করতে পারছিলাম না।

আর ঠিক সেই মূহুর্ত্বে আপনার উৎসাহটা টনিকের মত কাজ করছিল! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এভাবে পাশে থেকে উৎসাহ প্রদানের জন্য!

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই! শুভ কামনা জানবেন!

১০| ০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:০৫

ঈশান আহম্মেদ বলেছেন: শার্লক হোমসের পিডিএফ বইয়ের লিংক অথবা ওঁকে নিয়ে করা মুভি আর সিরিজের ইউটিউব লিংকগুলা পোস্টের সাথে জুড়ে দিলে মনে হয় পোস্টটা আরো তথ্যবহুল হতো।যদি আপনার হাতে সময় থাকে। :)

০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪০

সাহসী সন্তান বলেছেন: ঈশান ভাই, আমি প্রথমে চেয়েছিলাম যে, পোস্টের সাথে ইউটিউব লিংক না হলেও শার্লককে নিয়ে লেখা বাংলা অনুবাদ বইয়ের পিডিএফ লিংক গুলো জুড়ে দেবো। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে ঠিক সেই ধরনের পিডিএফ লিংক আমি পাইনি। তাছাড়া বর্তমান সময়ের নেটের ব্যবসা তো জানেনই। এক লিংকে ক্লিক দিলে গুতাইয়া আর এক লিংকে নিয়ে ঢুকায়। ;)

দেখা গেল আমি যে লিংকটা এখানে সেট করলাম, সেটাতে আমি ভাল কাজ করতে পারছি কিন্তু আপনি পারছেন না। তখন কিন্তু আর অভিযোগের শেষ থাকবে না! তাছাড়া ইউটিউব ভিডিও নিয়ে আমি আমার একটা বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা আপনাকে বলি-

সর্বপ্রথম যখন 'বাজিরাও মাস্তানি' ছবিটা বের হলো। তখন কোন জায়গা থেকেই এটার ভাল প্রিন্ট আমি সংগ্রহ করতে পারছিলাম না। যা পাচ্ছিলাম তার সবই প্রায় হল ভিডিও এবং সাউন্ড ও জিওগ্রাফিক্স-এ সমস্যা। তখন ইউটিউবে একটা ভাল ভিডিও দেখে সেটা ডাউনলোড করলাম, কিন্তু ডাউনলোড করে দেখলাম সেইটা হলো ঐ সিনেমার প্রচারনার জন্য ধারন করা একটা ভিডিও। আহরে, আমার সাড়ে তিন-চারশ মেগা ইন্টারনেট এক্কেবারে জলে গিয়ে পড়লো.......!! :(

এখন বলেন এইখানে আমি ইউটিউব লিংক দেওয়ার পরে যদি সেই ধরনের কোন কিছু হয়ে বসে, তখন! হ্যা যদিও পরীক্ষা করেই দেওয়া হবে, কিন্তু একটা ভিডিওর সবটা তো আর পরীক্ষা করে দেখা যায় না। দেখা গেল প্রথম দিকে একটু অভিনয় টভিনয় ঢুকিয়ে দিয়ে পরে গান সেট করে রাখলো-রুব্বানে নাচে কোমর দুলাইয়া, তখন? ;)

তাছাড়া ইউটিউবকে আমার কাছে ভুয়া ছাড়া আর কিছু মনে হয়না বলেই আর দেইনি। আশাকরি আপনার উত্তরটা পেয়ে গেছেন?

পূণ মন্তব্যে আবারও ধন্যবাদ! ভাল থাকবেন!

১১| ০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৫৫

আমিই মিসির আলী বলেছেন: হোমস নিয়া এত আয়োজন কতদিন ধইরা করলেন!!
বেশ ভালো হইছে!

০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:১০

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই লিখতে সময় লাগে না, গুছানোটাই হলো মেন! তবে হ্যাঁ এটা সত্যি যে, এই লেখাটা লিখতে আমার অনেকদিন লেগেছে। একটু একটু করে লিখতাম আর ড্রাফটে সেভ করে রাখতাম! আর অবশেষে পূর্ণাঙ্গ লেখাটা লিখে তারপর পোস্ট করলাম।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মিসির ভাই! শুভ কামনা জানবেন!

১২| ০৮ ই মে, ২০১৬ ভোর ৪:১০

ঘুমের ঘোরে বলেছেন: শার্লক হোমসের ৪টি উপন্যাস ও ৫৬ টি ছোটগল্প কয়েকবার করে পড়া হয়েছে।। এখনো বারবার পড়তে ইচ্ছা করে,,, এর আবেদন কোন দিনই শেষ হবে না।

বিশ্লেষনের জন্যে ধন্যবাদ।

০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার সাথে সহমত ভাই! শার্লক সিরিজ আমারও সব গুলো পড়া, কিন্তু যতবার পড়ি ততবারই যেন নুতনত্বের স্বাদ পাই!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই! শুভ কামনা জানবেন!

১৩| ০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান ,



িহা....হা....হা.... কেন তুলে দেবেন না ? শার্লক হোমসের বইটি থেকেই সম্পূর্ণ তুলে দিয়েছেন তো কি হয়েছে ? ঠিকই তো করেছেন । আর আমিও সেটা দেখে চু.....চু....চু... করেছি এই কারনে যে ঐ গুন নিয়ে বেটা শার্লক হোমস হয়েছে !!!!!!!! :(

আসলে বাইরে থেকে মানুষ সহজে চেনা যায় না । এখানে আপনার মনটা ঠান্ডা করার জন্যে একটা উদাহরন দিলুম ---

নীচের তিনজনের মধ্যে কাকে আপনার পছন্দ হবে ?

প্রথমজন --- আজেবাজে ও ধুরন্ধর রাজনীতিকদের সাথে দহরম মহরম আছে । আবার জ্যোতিষ্যির কাছেও যান । স্ত্রী দুই দুইজন । চেইন স্মোকার । মাতাল । দিনে ১০/১২ বার মদ পান করেন ………

দ্বিতীয় জন ---- চাকুরীস্থল থেকে দুই দুইবার বিতারিত । বেলা ১১/১২ টার আগে বিছানা ছাড়েন না । ছাত্রজীবনে আফিমখোর ছিলেন । প্রতি সন্ধ্যায় হুইস্কি না হলে যার চলেনা ……

তৃতীয়জন ---- যুদ্ধে বীর খেতাব পাওয়া । মাছ-মাংশ ছুঁয়ে দেখেন না । নিরামিষাশী । ধুমপান করেন না । মদও ছুঁয়ে দেখেন না । একজন মাত্র স্ত্রী যার প্রতি অতিশয় বিশ্বস্ত , নো চিটিং …….


এসব দিয়ে এদের বিচার করলে ভুল করবেন । এরা হলেন --- স্ক্রোল করে দেখুন ----












প্রথমজন - Winston Churchill

দ্বিতীয় জন - Franklin Roosevelt

তৃতীয়জন - Adolf Hitler

কাকে পছন্দ ? :P

০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: জী এস ভাই, কনফিউশনে পড়ে গেলাম! :((
ভাবছি কাকে বাদ দিয়ে কাকে ধরবো! তিনজনই তো বেসম্ভব লোক! ;)


Franklin Roosevelt এবং Winston Churchill দু'জনকেই আমার কাছে ভাল লাগে। তবে একদম মনের কথা যদি জানতে চান, তাহলে 'এডলফ হিটলার'কেই আমি ভোট দেবো! কারণ আমার কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমি হিটলারকেই অনুসরণীয় হিসাবে মানি। হ্যাঁ, পৃথিবীর ইতিহাসে সে কি করেছে না করেছে তার হিসাব হয়তো সবাই জানে। কিন্তু তার পরেও আমার মত এমন অনেকেই আছে যাদের কাছে হিটলার একজন সত্যিকারের হিরো।

হিটলারের একটা কথা আছে, তা হলো-
"আমি আপনাকে কখনই কাউকে ভালবাসতে না বলে যুদ্ধ করতে বলবো। কারণ যুদ্ধে হয় আপনি বাঁচবেন, আর না হয় মরবেন। কিন্তু ভালবাসতে গেলে আপনি না পারবেন বাঁচতে, আর না পারবেন মরতে!"

হিটলার ছিলেন চরম ইহুদি বিদ্বেষী। কেন ছিলেন সেটা হয়তো অনেকেই জানেন। কিন্তু যারা জানেন না, তাদের উদ্দেশ্যে হিটলার বলেছিলেন-
"আমি হয়তো পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ ইহুদি বিনাশ কারি একজন ব্যক্তি। জানি সবাই আমাকে খারাপ নজরে দেখবে। আমি জীবনে প্রায় ষাট লক্ষ ইহুদিকে হত্যা করেছি। কিন্তু তারপরেও কিছু ইহুদিকে বাঁচিয়ে রেখেছি এই কারণে, যাতে আমাদের পরবর্তি প্রজন্ম বুঝতে পারে যে, আমি কেন ইহুদি হত্যায় সব থেকে বেশি নিয়োজিত ছিলাম।"

-যে কোন হত্যাই নিন্দনীয়। তাই হোক সেটা নিজ ধর্মের অথবা বিপরিত ধর্মের। কিংবা বন্ধু অথবা শত্রু। কিন্তু তারপরেও হিটলারের সেই বানীটাতো চিরন্তন?

পূণ মন্তব্যে আবারও অভিনন্দন জী এস ভাই! এভাবে ফিরে এসে দারুন একটা আইডিয়া শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

১৪| ০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাঁকিটাও পড়ে ফেললাম। আপনি এটা কী করেছেন ভাই? এত তথ্যবহুল ও শ্রমসাধ্য লেখা আমি তো স্বপ্নের মধ্যেও লিখার কথা ভাবতে পারি না। এই লেখা প্রিন্ট মিডিয়ায় আসা উচিৎ। ওহ, মাই গড! আপনাকে স্যালুট।

০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই আপনারা সিনিয়র, তাছাড়া বয়োজৈষ্ঠ্য! যদি এভাবে বলেন তাহলে লজ্জা পাই!

ভাই, আমি যতটা সম্ভব আমার প্রত্যেকটা পোস্টকেই তুলনামূলক ভাবে তথ্য সমৃদ্ধ রাখার চেষ্টা করি। সব সময় লক্ষ্য রাখি আমি যে জিনিসটা লিখবো, সেটা থেকে যেন কোন কিছু বাদ না পড়ে যায়। আর এজন্যই আমার প্রত্যেকটা লেখাই অনেক বড় হয়ে যায়। তবে জানি না আমি কতটুকু সফল বা বিফল হতে পারি। তবে আপনাদের মত এমন মানুষের মন্তব্য পেলে সত্যিই লেখার উৎসাহ পাই, লিখতে আগ্রহ জাগে!

অনেক ধন্যবাদ বাকি অংশটুকু পড়া এবং পড়ে সেটা আবার জানিয়ে যাওয়ার জন্য! শুভ কামনা বড় ভাই!

১৫| ০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৪৮

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
অসাধারণ একটা কাজ করেছেন। :)

শার্লক হোমস আমার খুব প্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র। কতবার যে পড়েছি ......।

এখনো পড়ি। আপনার শালর্ক হোমস পিডিয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

প্রিয়তে :)

০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই, শুধু আপনার না! গোয়েন্দা ভক্ত সকল পাঠকের কাছেই শার্লক হোমস্ একজন প্রিয় কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র! আমিও অবসর সময়ে প্রায়ই শার্লক হোমস্ পড়ি! খুব ভাল লাগে!

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! পোস্ট প্রিয়তে রেখেছেন জেনে খুশি হলাম!
শুভ কামনা জানবেন!

১৬| ০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান ,




আবারো আসতে হলো । আমিও আপনার মতো হিটলারকে পছন্দ করি এ কারনে যে , সে আগাগোড়া একজন জাতীয়তাবাদী । জার্মান জাতিকে সে সর্বোচ্য আসনে বসাতে চেয়েছে ।
আর শত্রুর শেষ রাখতে নেই এটাও তার কাছ থেকে শেখা উচিত । যেমন আলবদর , রাজাকারদের শেষ না করে যেমন বিপদে পড়েছি আমরা ।

০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: জী এস ভাই, হিটলার ব্যক্তি জীবনে কি ছিল না ছিল সেটাকে প্রাধান্য না দিয়ে সে যে মানুষকে সমর কৌশলটা শিক্ষা দিয়ে গেছে তার জন্যই সে অনেকের কাছে পছন্দের পাত্র। একজন মানুষ জীবনে দুইভাবে বিখ্যাত হতে পারে, 'হয় ভাল কিছু করে, আর না হয় খারাপ কিছু করে!'

হিটলার হয়তো খারাপটাকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছিল! আর সেজন্যই সে এখনো বিখ্যাত (ঠিক বিখ্যাত নয় 'কুখ্যাত';) হয়ে আছে। হিটলার কিন্তু আর একটা জিনিস মানুষকে শিক্ষা দিয়ে গেছে, ভুল হোক বা ঠিক হোক সে সব সময় তার নিজের স্বিদ্ধান্তে অটল ছিল! এমনকি নিজে আত্মহত্যা করে মরেছে তারপরেও শত্রুপক্ষের কাছে মাথা নত করেনি! আর তার এই সমস্থ গুণাবলির জন্যই সে জার্মানিতো বটেই, তার উপরে এখনো অনেক মানুষের কাছে হিরো হয়ে আছে!

আর যুদ্ধাপরাধীর ব্যাপারটাতে আপনি যেটা বললেন সে ব্যাপারে আমি সহমত!

ধন্যবাদ বারবার ফিরে এসে আপনার মূল্যবান মতামত প্রদানের জন্য! শুভ কামনা রইলো!

১৭| ০৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
অসাম পোস্ট!

০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ মুন ভাই! শুভ কামনা রইলো!

১৮| ০৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:১২

আহমেদ রাতুল বলেছেন: চমৎকার তথ্যপূর্ণ একটি পোষ্ট ধন্যবাদ ভাই আপনাকে

০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ রাতুল ভাই! শুভ কামনা জানবেন!

১৯| ০৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: শার্লক হোমসকে নিয়ে চমৎকার আয়োজন। পোস্টটি বড় হলেও খুব উপভোগ করলাম। শ্রমসাধ্য অসাধারণ এই কাজের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। :)
শো-কেসে নিলাম। B-))

০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে রেখেছেন জেনে খুশি হলাম ভাই! মন্তব্যের জন্য আপনার প্রতিও অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা!

শুভ কামনা রইলো ভাই!

২০| ০৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

লাল আমস্ট্রং বলেছেন:
-

@আহমেদ জী এস, এই ব্লগে আপনাকে সবাই সম্মান করে আপনার লেখার গভীরতা জন্য, আপনি এইটা কি বল্লেন? শত্রুর শেষ রাখতে নাই, ঠিক, তাই বলে হিটলারকে সম্মান? নিজের দেশের সম্মান বাড়ানোর জন্য অন্য দেশের উপর গণহত্যা চালানো একজন আপনার সম্মানের পাত্র? যাদের মারছিল ওরা হিটলারের বা জার্মানির কি ক্ষতি করছিল?

-

@লেখক: লেখাটা ভাল ছিল, ভাল কিছু কথা লেখার জন্য ঢুকছিলাম। আপনার কাছে হিটলার হিরো শুনে ভুল ভাঙল আমার। শিট।

০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনার মূল্যবান মতামত এবং ভাল কিছু লেখার জন্য পোস্টে এসে খারাপ কিছু দেখার পরেও যে খারাপ কথা বলেননি তার জন্য!

প্রথমেই আপনাকে আমি অনুরোধ করবো ১৩ নং মন্তব্য এবং উত্তরটা আমারও ভাল ভাবে পড়ার জন্য! দেখুন, হিটলার ভাল কি খারাপ সে বিচারটা আমরা পরে করি! তার আগে দেখতে হবে সে কেমন প্রকৃতির মানুষ ছিল! হিটলার যে কাজটি করেছিল সেটা কিন্তু জার্মানির ভালোর জন্যই করেছিল! আর একজন দেশপ্রেমিক হিসাবে হিটলার তার দেশের মানুষের কাছে হিরো হিসাবে থাকবে সেটাই স্বাভাবিক!

হ্যাঁ হিটলার যে একজন হত্যা করি এবং এক দু'জন বা দু'এক'শ নয়, প্রায় ষাট লক্ষ ইহুদিকে সে হত্যা করেছিল। আর সেজন্য সে অবশ্যই মানুষের কাছে ঘৃনার পাত্র। কিন্তু আমি নিজে হিটলারকে হিরো হিসাবে দেখি একটু ভিন্নভাবে।

হিটলার ব্যক্তি জীবনে মানুষকে যে সমরনীতি শিখিয়ে গেছে সেটা সর্বজন স্বীকৃত! তার অন্য দোষ গুলোর জন্য অবশ্যই সে আমার কাছে একজন দোষী কিন্তু শুধুমাত্র সমর কৌশলের জন্যই তাকে আমি হিরো হিসাবে দেখি, অন্যকিছু নয়! আশাকরি আপনার উত্তরটা পেয়েছেন!

আর একটা কথা! আহমেদ জী এস ভাই, সত্যিই একজন জনপ্রিয় ব্লগার এবং আমার এ ও মনে হয় ব্যক্তি জীবনেও তিনি একজন চমৎকার ব্যক্তি! তিনি পরবর্তি মন্তব্যে যেটা উল্লেখ করেছেন সেটাও কিন্তু খারাপ নয়? সত্যি বলতে আমাদের দেশে যুদ্ধাপরাধী আছে বলেই কিন্তু স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরেও আমাদের দেশে সেই স্বাধীনতা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা উঠে এবং সেগুলো আমাদের শুনতে হয়। এই ব্যাপারটাকি আপনার কাছে দুঃখজনক মনে হয় না?

আমি আপনার কাছ থেকে আশা করবো, কোন ধরনের ব্যক্তি আক্রমণ না করে যতটা সম্ভব শালিনতা বজায় রেখে আলোচনা করার জন্য! আক্রমণ প্রতি আক্রমণ কখনো ভাল কিছু বহন করে না! তবে রাজনীতিতে আমি ততটা ইন্টারেস্ট নেই, তাই উক্ত ব্যাপারটা সব সময় এভোয়েড করে চলি! সুতরাং এই ব্যাপারে কথা না বললে খুশি হবো!

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! ভাল থাকবেন!

২১| ০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

লাল আমস্ট্রং বলেছেন:

-

@জনাব আহমেদ জি এস , হিটলারের লম্বা সময়ের গার্লফ্রেন্ড ছিল ইভা, বিয়ে করেছিল সুইসাইড করার দুইদিন আগে যেন কেউ ভবিষ্যতে বলতে না পারে যে ইতিহাসের সুমহান ভেজেটেরিয়ান হিটলার রক্ষিতাসহ রাশিয়ার লালবাহিনীর কাছে মারা গেছে। তখনকার সমাজে কেউ লিভ টুগেদার করত না, দুশ্চরিত্র ছাড়া।

০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: ইভা, হিটলারের রক্ষীতা হলেও শেষ সময়ে কিন্তু হিটলার ইভাকে নিজের স্ত্রী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিল? তাছাড়া হিটলার ইচ্ছা করলে একজন ইভাকে না রেখে আরো হাজারও ইভাকে সে নিজের রক্ষীতা হিসাবে রাখতে পারতো, কিন্তু সে তা করেনি। যদিও বা করে থাকে তারপরেও শেষ সময়ে সে ঠিকই ইভার কাছে ফিরে এসেছিল। এটাতে কি হিটলারের মনে ভালবাসার প্রমাণ পাওয়া যায় না?

আর হিটলার কেন ইহুদি নিধনে নেমেছিল সেটা নিশ্চই জানেন? হিটলারের ইহুদি নিধনের পিছনে কিন্তু ছিল ঐ ভালবাসা আর একটা ইহুদি মেয়ে? যার কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েই হিটলার বন্য হায়েনার মত হয়ে গিয়েছিল এবং ক্ষমতায় যাওয়ার সাথে সাথে সে ইহুদি নিধনে মেতে উঠেছিল।

দেখুন, মুসলিম সমাজের নিয়ম অনুসারে বিয়ের পরেই একটা মেয়ে একটা ছেলের বৌ হতে পারে। এবং তখনই তারা শারীরিক ভাবে মেলামেশা করতে পারে, তার আগে নয়। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বে এমনটা ভাবতে গেলে বোকা হওয়া ছাড়া আর কিছু বাকি থাকে না। কারণ তাদের কাছে ঐ বিয়েরও কোন দাম নেই, বৌয়েরও কোন দাম নেই! সুতরাং সেদিক থেকে হিটলারকে কি একেবারে দোষী হিসাবে গণ্য করা যায়?

এছাড়াও আমি তো আগেই বলেছি যে, হিটলারকে আমি ঠিক কি কারণে পছন্দ করি। হ্যাঁ সে যে একজন হত্যাকারী সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই, এবং অবশ্যই সে মানুষ, এমনকি আমার কাছেও একজন ঘৃণার পাত্র। কিন্তু তারপরেও একজন মানুষ সব দিক থেকে ভাল হতে পারে না। পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নেই যে বলতে পারবে যে সে একদম নির্দোাষ! দোষে গুণেই মানুষ এটাই স্বাভাবিক! সুতরাং হিটলার যে সব দিক থেকেই একজন পারফেক্ট ম্যান হবে এমনটা ভাবা ঠিক নয়।

তাছাড়া হিটলারকে ভাল লাগা না লাগা সেটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। সুতরাং এই ব্যাপারে আপনি ইন্টারফেয়ার না করলে খুশি হবো। যাস্ট উদাহরণ হিসাবে বলি-
সানি লিউনরে আমার ভাল লাগে, :P ঠিক কি কারণে লাগে সেটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু তাই বলে তাকে যে আপনার বা অন্যকারো ভাল লাগবে এমনটা আপনি কই পাইছেন? ;)

আমার পোস্টের মন্তব্য তাই কথা গুলো আমিই বললাম! আশাকরি কিছু মনে নেবেন না?
ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

২২| ০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

খুলজিৎ সিং আনন্দ বলেছেন: আপ বহুৎ আচ্ছা লেখতা হ্যায়। হামারি কোশিষ লি জিয়ে।

০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: বহুৎ আচ্ছা! ধন্যবাদ! ;)

২৩| ০৮ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

অন্য কথা বলেছেন: আসলে ইতিহাস লেখা হয় বিজয়ীদের পক্ষে । ইতিহাস বিজয়ীদের কথা বলে ।

০৮ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমি আপনার মন্তব্যটা বুঝিনি ভাই! আপনি কি পোস্টের দিকে দৃষ্টি দিয়ে মন্তব্যটা করেছেন, নাকি মন্তব্য গুলোর দিকে আলোকপাত করে মন্তব্যটা করলেন?

যাহোক, তবে যেটা বলেছেন সেটা একদম ঠিক বলেছেন!

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য! শুভ কামনা জানবেন!

২৪| ০৮ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

ক্লাউড বলেছেন: অনবদ্য পোস্ট সন্দেহ নাই। এরকম পোস্ট ইদানিং তেমন কেউ ব্লগে লেখে না। হ্যাটস অফ ফর দ্যাট।

কিন্তু হিটলারের সমরনীতি আর উগ্রতার ব্যাপারে আপনার যা মুগ্ধতা, যেই ধারনা, সেটা ভুল।

গর্ধবের মত বড় বড় ভুল হিটলার ছাড়া আধুনিক ইতিহাসে আর কেউ করেনাই। যে রাশিয়ার সাথে মৈত্রীচুক্তি ছিলো, তাকেই আক্রমন করে আরেকটা বিশাল ফ্রন্ট খুলে বসলো। আরেক বলদ মাথা খারাপ উগ্র জাতীয়বাদী মুসোলিনির গ্রীস দখলে গিয়ে মার খাওয়ার ধাক্কা সামাল দিতে গিয়ে গ্রীস দখল করে শক্তি তো ক্ষয় করলোই, আবার রাশিয়া ইনভেশনের আগের পরিকল্পনা পিছিয়ে দিয়ে শীতকালে রাশিয়া আক্রমন করে বসলেন। জার্মানীর শক্তির অর্ধেক ওই ফ্রন্টেই শেষ। এই সময়েই জাপানের পার্ল হারবার আক্রমনের খেসারত নিজ উদ্যোগে দিতে গিয়ে আমেরিকার সাথে যুদ্ধ ঘোষনা করে বসলেন যারা ততদিন পর্যন্ত ছিল নিরপেক্ষ। ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে কেবল ছিল আক্রমনের শিকার হলে সাহায্য করা হবে, জার্মানীর কোন বাধ্যবাধকতা ছিলনা যুদ্ধ ঘোষনার। নিজেই যখন চরম বিপদে, ওই সময় কেউ শত্রুর সংখ্যা আরো বাড়ায়?

সারা বিশ্ব পদানত করার পরিকল্পনা ছিলো, আর নৌবহর বলতেই ছিলো ইউ-বোট। ঐ সময়ে যারা দাপট দেখাতো, সবারই ছিলো শক্তিশালী নৌবহর, বিমানবাহী রণতরী। আর হিটোলার ভেবেছিলেন পায়ে হাটা সৈন্য আর বিশালাকৃতির ট্যাঙ্ক দিয়ে দুনিয়া জয় করে ফেলবেন। নিউক্লিয়ার প্রজেক্ট নিয়ে অন্য অনেকে কাজ করছে জানবার পরেও উনি সেই সম্ভাব্য বিশাল শক্তির ব্যাপারে তেমন আগ্রহী ছিলেন না। কারণ উনার কাছে তা ছিলো ইহুদীদের মস্তিস্কপ্রসুত।

হিটলার ক্যারিশম্যাটিক ছিলেন, কিন্তু এভাবে উত্থানের পেছনেও কারণ ছিলো। ভার্সাই আর লোকার্নো চুক্তির পর জার্মানী প্রায় পঙ্গু হয়ে যাচ্ছিলো। সমগ্র জাতি স্বপ্ন দেখতো মুক্তির। ১৯২২-২৩ সালের দিকেই সম্ভবত ওই চুক্তিগুলোর ফলে জার্মানীতে হাইপার ইনফ্লেশন হয়, ওই সময়ে একপিস ব্রেড কিনতে ট্রিলিয়ন জার্মান মার্ক ব্যয় করতে হতো। এক মার্কিন ডলার ছিল ৪ ট্রিলিয়ন জার্মান মার্কেরও বেশি। জার্মান জনগন এমন অবস্থা থেকে মুক্তি চাইতো। ঐ সময়ে যদি একটা পাগল রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলতো তোমরা আমাকে ক্ষুতা দাও, আমি তোমাদের মুক্তি দেবো, জনগন তার পেছনেই দাঁড়িয়ে যাবার মত অবস্থা ছিলো।

হিটলার শুধু ইহুদীই মারেনাই। অন্য অনেক জাতিও মেরে সাফ করে গেছেন। জার্মান বাদে অন্য সব জাতিই তার কাছে ছিলো সাভিউম্যান। একমাত্র নীল রক্তের জাতি ছিলো জার্মান জাতি। এমন জাত্যাভিমান যার ভেতর থাকে সে কিভাবে কারো প্রিয় হয়? এমন কি হিটলারের মত ব্যাপক মাত্রার জাতিগত নির্মুলের নীতি যদি পাকিস্তানীরাও গ্রহন করতো, তবে মুক্তিযুদ্ধের সময় ৩০ লাখ কিংবা এমন সংখ্যার কথা হয়তো আমরা বলতাম না। ওই সংখ্যাটা ৩ কোটিতে গিয়েও ঠেকতে পারতো।

একেবারে চরমপন্থা তখনই গ্রহনযোগ্য যখন কোন উপায় থাকে না। জার্মানী যখন ভালো অবস্থায় পৌছে যাচ্ছিলো, সেখান থেকে জার্মানীকে আবার ধ্বংস করবার পেছনের সবচেয়ে বড় কারিগর এই হিটলার।

অবশ্য হিটলারের কাজ আমাদের জন্য ভালৈ হয়েছে হয়তো, বাংলাদেশের জন্য। হিটলার না থাকলে ২য় বিশ্বযুদ্ধ হতোনা, ভারত ভাগ পিছিয়ে যেতো, হয়তো বাংলাদেশের অভ্যুদয়ও পিছিয়ে যেতো। এই জন্য হিটলারের পুড়ে যাওয়া দেহ ভস্মের প্রতি থ্যাঙ্কু ছুড়ে দিতে পারেন হাওয়ায়। আর কারণ দেখিনা কোনো।

০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:২১

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ ক্লাউড ভাই চমৎকার তথ্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য!

আমি আপনার মন্তব্যের সাথে সহমত! হিটলার যে খারাপ এবং গর্ধব সেটাও মানি! হিটলারের জীবনে সব থেকে বড় ভুল ছিল বোধ হয় পার্ল হারবার আক্রমণ করা! কারণ পার্ল হারবার আক্রমণ করার পরেই আমেরিকা হিটলারের বিপক্ষে প্রকাশ্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। তার আগে আমেরিকা দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে সম্পর্কে ছিল সম্পূর্ণ নিশ্চুপ!

এছাড়াও হিটলার কখনো কাওকে বিশ্বাস করে উঠতে পারতো না! যার কারণে সে সব সময় একটা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতো! তাছাড়া আসলেই সে চেয়েছিল সমস্থ বিশ্বকে নিজে করায়ত্ত করতে! যেটা ছিল তার ভুল গুলোর মধ্যে সব থেকে বড় ভুল!

কিন্তু তারপরেও আমার কথা বাদ দেন, আপনি আপনার আশে-পাশেই এমন অনেক মানুষ পাবেন যারা আসলেই হিটলারকে ভালবাসে! কিন্তু কেন? নিশ্চই তার অনেকগুলো কারণ আছে?

একটা ঘটনা বলি, হিটলার যখন নিঃস্ব ছিল তখন একজন ইহুদি চিকিৎসক তার পরিবারের চিকিৎসা করতো কিন্তু কোন টাকা নিতো না। পরবর্তিতে যখন হিটলার তার নাৎসি বাহিনী দিয়ে ইহুদি নিধনে নিয়োজিত হয় তখন সে ঐ ইহুদি চিকিৎসককে রক্ষা করে। এবং হিটলার তাকে 'মহান ইহুদি' বলেও সম্বেধন করতো! হ্যাঁ এটা ঠিক যে, কেউ আমাকে সাহায্য করলে তাকেও অনুরুপ আমাকে সাহায্য করা উচিত! কিন্তু আসলে সেই সময়কি সেই পরিস্থিতি ছিল?

তবে সব কথার এক কথা হলো, হিটলারকে আমার ভাল লাগে! কেন ভাগে (?) সেটা না হয় আমার কাছেই থাকলো! যাহোক, এই ব্যাপারটা নিয়ে আর মন্তব্য করতে ভাল্লাগছে না! আমি শুধুমাত্র আহমেদ জী এস ভাইয়ের ১৩ নং মন্তব্যের প্রতিউত্তর করতে গিয়েই হিটলার প্রসঙ্গটা এনেছিলাম! আর সেটা ছিল অনেকটা মজা হিসাবেই! জী এস ভাইও সম্ভাবত মজা করেই প্রশ্নটা করেছিলেন, কারণ উক্ত প্রশ্নে উনার ইমোকটিনের ব্যবহারটাই সেটাকে বহন করে!

পরিশেষে হিটলারের আপনার কথা মত হিটলারের পুড়ে যাওয়া দেহ ভস্ম্যের প্রতি না হয় একটা থ্যাংকু ছুড়েই দিলাম! ;)

আবারও ধন্যবাদ আপনার যুক্তি যুক্ত মন্তব্যের জন্য! পোস্টে আপনার উপস্থিতি খুব ভাল লাগলো! শুভ কামনা জানবেন!

২৫| ০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন:


@ লাল আমস্ট্রং ,
আপনার মন্তব্য দেখলুম । সম্ভবত একটু ভুল করেছেন । "পছন্দ" করা আর "সম্মান" করা এক জিনিষ নয় । আমি পছন্দ করার কথা বলেছি ।
আর জাতীয়তাবাদ বুঝতে হলে আপনাকে আরো নির্মোহ হতে হবে । জাতীয়তাবাদ খারাপ কিছু নয় , তবে তা ভুল পথে নয় যা হিটলার করে গেছেন । আমি তার মতকে পছন্দ করি, তার পথকে নয় । আর একটা কথা বলি ------ ইট ইজ দ্য আল্টিমেট রেজাল্টস দ্যাট কাউন্টস ..। এই রেজাল্টে হিটলার ব্যর্থ । রেজাল্ট কাউন্টেবল হলে হয়তো ইতিহাস অন্য কথা বলতো, বলতেন আপনিও ।

আমরা এই জাতীয়তাবাদ বুঝিনে বলে সতেরকোটি লোকের দেশটি সতের লক্ষ মতবাদে বিভক্ত । যা কাঙ্খিত নয় মোটেও । আমরা তো নিজেকেও ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারিনে ।

আমাকে উদ্দেশ্য করে আর একটি মন্তব্যে যা লিখেছেন তা সম্ভবত আপনার মনগড়া । ইতিহাসে এরকমটা কিছু লেখা নেই । ইতিহাস কিন্তু বিজয়ীরাই লেখে , বিজিতরা নয় । সেখানেও আপনার মন্তব্যের মতো কথা আমি অন্তত দেখতে পাইনি । ভাববেন না, আমি হিটলারের পক্ষে সাফাই গাইছি । যা সত্য তাই তুলে ধরেছি । এটা যার পক্ষে যাবে তিনি বাহবা দেবেন । যার পক্ষে যাবেনা তিনি উল্টোটা করবেন ।

আমার মতের সাথে না মিললেই যে আমার সাথে মুখ দেখাদেখি বন্ধ করতে হবে, এমনটা আমি মনে করিনে । বিশদে যাচ্ছিনে তাতে ভুল বোঝা ও তিক্ততার অবকাশ থেকে যাবে । ব্লগে তা ঠিক নয় বলে আমার ধারনা ।

ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:১০

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই, হিটলার নিয়া মাতামাতি করতে গিয়া মূল পোস্টটা যে কি আছিল সেইটাই তো ভুইল্লা গেছি! যাহোকগা, বাদ দেন ঐগুলা! খামোখা প্যাচাল ভাল্লাগে না!

আর আমিও সর্বজান্তা সমিপেষু নই! সুতরাং সব ব্যাপারটা যে সবার জানা থাকবে এটাও ঠিক না। একজন মানুষকে হয়তো এক এক দিক থেকে ভাল লাগতে পারে, ঐটা কোন বিষয় না! ব্যাপারটা হলো আমার সেই ভাল লাগা/মন্দ লাগাটা যেন অন্যের কাছে সমস্যা না হয়ে দাঁড়ায়!

ধন্যবাদ আপনার যুক্তির জন্য! অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে! ভাল থাকবেন!

২৬| ০৯ ই মে, ২০১৬ ভোর ৪:২১

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক বলেছেন: কোন এক সন্ধ্যায় প্যারিসের একটি ট্যাক্সিতে সবে চড়ে বসেছেন আর্থার কোনান ডয়েল। চালক মাথা ঘুরিয়ে জিজ্ঞেস করলেন- 'কোথায় যাবেন মিস্টার ডয়েল?' ডয়েল অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন- 'যতদূর মনে হয়, তোমাকে তো আগে কখনো দেখিনি? তাহলে কীভাবে চিনলে আমাকে?' মুচকি হেসে চালক বললেন- 'এটা তো জলের মতো সোজা! সকালের কাগজে দেখলাম আপনি মার্সেইতে এসেছেন ছুটি কাটাতে। যে ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম, মার্সেই ফেরত যাত্রীরা সেখান থেকেই ট্যাক্সিতে উঠেন। আপনার চামড়ার পোড়া দাগ দেখে বোঝা যাচ্ছে, কয়েকদিন ধরে আপনি বেশ ঘোরাঘুরির মধ্যে আছেন। আঙুলের কোণে লেগে থাকা কালি বলে দিচ্ছে আপনি একজন লেখক। তাছাড়া আপনার পোশাক-আশাকও ইংরেজদের মতো। সুতরাং সবমিলিয়ে আমি বের করে ফেললাম যে, আপনি আর্থার কোনান ডয়েল না হয়ে পারেন না!' এটুকু শুনে ডয়েল তো অভিভূত! বললেন- 'তুমি তো দেখি বুদ্ধিতে আমার শার্লক হোমসকেও ছাড়িয়ে গেছ!' শুনে চালক বললেন, 'অবশ্য আরো একটি ব্যাপার আমাকে খুব সাহায্য করেছে। আপনার নাম। ওটা বড় বড় করে আপনার স্যুটকেসের সামনেই লেখা আছে!

আমি এই অংশটা শেয়ার করতে পারি আমার ফেসবুক ওয়ালে???

০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:২৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: হুম, পারেন! কোন সমস্যা নেই!

২৭| ০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩

ক্লাউড বলেছেন: হিটলারের জীবনে সব থেকে বড় ভুল ছিল বোধ হয় পার্ল হারবার আক্রমণ করা! কারণ পার্ল হারবার আক্রমণ করার পরেই আমেরিকা হিটলারের বিপক্ষে প্রকাশ্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। তার আগে আমেরিকা দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে সম্পর্কে ছিল সম্পূর্ণ নিশ্চুপ!

এইখানেও ভুল বললেন। পার্ল হারবার আক্রমন করে জাপান, জার্মানী না। আবার হিটলারই আগ বাড়িয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে, আমেরিকা আগে করেনি। পড়েন, আরো বেশি করে পড়েন। পড়তে পড়তে জানবেন। জানতে জানতে ধারনা বদলাবে, মানুষ হিসেবেও বদলে জাবেন। এর পরের পোস্টটা হিটলার বা ২য় বিশ্বযুদ্ধ নিয়েও লিখতে পারেন।

হিটলারের এখনো অনেক অনুসারী আছে, এরা ফ্যানাটিক, উন্মাদ প্রকৃতির, হিটোলার কি ছিল সেটা হয়তো জানেই না কিংবা চরিত্রটাই ওইরকম। আপনিই ঠিক করবেন আপনি ক্মন মানুষ পছন্দ করবেন। কিন্তু পছন্দটা ভালো হলেই ভালো। ধরেন, আপনার মেয়ে একদিন একটা ছ্যাচড়া মাস্তান পছিন্দ করে এসে বললো, এই ছেলেটা খুব কিউট করে গুন্ডামী করে, আমার ভালোলাগে। এটা আপনার মেয়ের ব্যক্তিগত পছন্দ হবে। কিন্তু এয়ের ভালোর জন্যই এই পছন্দ বা ভালোলাগার ধারনার বদল জরুরী।

লাদেনেরও কোটী ভক্ত আছে, মোল্লা ওমর, আইএস এরও কোটি অনুসারী আছে। অনুসারী থাকা মানেই এটা না যে সে কোন না কোনো দিকে ঠিক। বরং আপনি যদি বলেন আমার আইএস ভালোলাগে, এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার সেটা কি আশংকার কথাই হবে না?

০৯ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:১০

সাহসী সন্তান বলেছেন: ক্লাউড ভাই, আপনার বিশ্লেষণ ধর্মী মন্তব্যটা অনেক ভাল লাগলো! আসলে আমি এখানে হিটলারের পার্ল হারবার আক্রমণ করাটাকে বুঝাতে চেয়েছি একটু ভিন্ন ভাবে!


দেখেন, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে 'জার্মানি, জাপান, ইতালি, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়া' ছিল সম্মিলিত অক্ষ শক্তি! আর এই অক্ষ শক্তির প্রধান ছিলেন 'হিটলার, মুসোলিনি এবং হিরোহিতো!' এখন আমার কথা হলো জাপান কি নিজ শক্তি বলে পার্ল হারবার আক্রমন করেছিল নাকি সম্মিলিত বাহিনীর শক্তি নিয়েই পার্ল হারবার আক্রমন করেছিল?

১৯৩৯ সালের ০১ লা সেপ্টেম্বর জার্মানির পোল্যান্ড আক্রমণের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সূচনা হয়, আর জাপান পার্ল হারবার আক্রমন করে ১৯৪১ সালের ০৭ই ডিসেম্বর! তাহলে তখন তো অলরেডি বিশ্ব যুদ্ধ চলছে, এবং জাপান ও জার্মানি এক সাথেই আছে তাহলে পার্ল হারবার আক্রমণের জন্যকি হিটলারকে কি কোন ভাবেই দোষী হিসাবে ধরা যায় না?

আর একটা ব্যাপার হলো, আপনি মন্তব্যে লাদেন, মোল্লা ওমর এমনকি পৃথিবীতে আইএস এর সমর্থক/অনুসারিদের কথা বললেন যেটা একদম ঠিক! আপনি একটা জিনিস দেখেন, অত দূরে যাওয়া লাগে না। আমাদের এই দেশেই সদ্য সমাপ্ত হওয়া যুদ্ধাপরাধীর মামলায় গোলাম আজমের ফাঁসির রায়ের কত জনই তো বিরোধীতা করছে! জেনে করুক আর না জেনে করুক, করছে তো?

এখন আমাদের মহান মুক্তি যুদ্ধের সময় গোলাম আজমের কি ভূমিকা ছিল সেটা জানার স্বত্তেও কেন তারা গোলাম আজমের সাপোর্ট করছে? দেশের সবাই যখন যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে এতটা আগ্রহী তখন একশ্রেণীর মানুষ কেন এটাকে বিরোধীতা করছে!

হ্যাঁ এটা ঠিক যে একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে আর একজন ট্রেররিস্টকে সাপোর্ট করাটা খুবই দুঃখজনক এবং অন্যায়! কিন্তু আমি তো আমার দেশের বিপক্ষে কাওকে সাপোর্ট করছি না! কিংবা দেশের ক্ষতি হতে পারে এমন কোন কাজ করছি না, তাহলে এখানে সমস্যাটা কোথায়?

কাওকে ভাল লাগা বা মন্দ লাগা সেটাতো আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়! আমিতো এটাও বলেছি যে হিটলার জীবনে যে কূকর্ম করেছে তার জন্য অবশ্যই তাকে আমি ঘৃণা করি! কিন্তু তারপরেও কিছু কিছু কারণে হিটলারকে আমার ভাল লাগে! এখন এই ভাল লাগাটা তো একজনের কথায় হুট করে পরিবর্তন হতে পারে না!

আমার মেয়ের কি ভাল লাগবে না লাগবে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়! আমি এইটা বুঝি যে, যতক্ষণ পর্যন্ত তার এই ভাল লাগাটা তার নিজের জন্য ক্ষতিকর হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি তাকে বাধা দেবে না! কিন্তু যখনই দেখবো যে সে ভুল কিছু করছে তখনই তাকে আমি সেই কাজটি থেকে বিরত রাখবো! কিন্তু আমার কথা হলো, আমার এই ভাল লাগাটা তো আর কারো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে না?

ক্লাউড ভাই, আপনার মন্তব্যে অনেক কিছু জানা হলো! এবং খুব ভাল লাগলো আপনার তথ্যপূর্ণ মন্তব্য! ভাল থাকবেন!

২৮| ০৯ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭

মার্কোপলো বলেছেন:



এটা বইয়ের চরিত্র! আমি তো মনে করেছিলাম বৃটিশ রাজা বা প্রাইম মিনিস্টার!

০৯ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: পড়ার পরে নিশ্চই ভুল ভাঙছে যে, আমার পোস্টের কথিত ব্যক্তি কোন রাজা বা প্রধানমন্ত্রি নন (?) একজন কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র? যিনি উনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দির মাঝা-মাঝি সময়ে বিশ্বের আলোড়ন সৃষ্টিকারি একটি চরিত্র!

পোস্ট পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!
শুভ কামনা জানবেন!

২৯| ০৯ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩

শরাফত বলেছেন: ভাই শার্লক হোমসের কাহিনিগুলোর কোনো সংকলন আছে?
থাকলে একটু বইলেন তো। আমার কাছে থাকা পুরনো বইগুলো সব পোকায় কেটে নস্ট করে ফেলছে ।

০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই সম্ভাবত অনলাইন ই-বুকের কথা বলছেন? যদি আপনি অনলাইন বুক খোঁজেন তাহলে গুগলে গিয়ে শার্লক হোমস লিখে সার্চ দিলে হাজার হাজার ই-বুকের ঠিকানা পাবেন! সেখান থেকে পছন্দমত একটা ডাউনলোড করে নিতে পারবেন!

আর আমার কাছে অদ্রীশ বর্ধনের অনুবাদকৃত একটা ই-বুক (পিডিএফ) ফাইল আছে। আপনার জন্য আমি নিচে দুইটা লিংক দিয়ে দিলাম, দেখেন ডাউনলোড করে নিতে পারেন কিনা!
০১। Click This Link
০২। http://www.mediafire.com/?xxc517r3po985x5

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৩০| ১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৫০

প্রামানিক বলেছেন: আ্পনার পোষ্ট পড়ে তো মাথা ঘুরতেছে। এরকম একটা তথ্যবহুল পরিশ্রমের লেখা কেমনে লেখলেন? অসম্ভব ভাল একটি পোষ্ট।

১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৪০

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রামানিক ভাই কথায় আছে না 'পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি!' বলতে পারেন এটাও ঠিক তাই। তবে এর মধ্যে আপনাদের মত গুণমুগ্ধ পাঠকের ভূমিকাও কিন্তু অপরিসীম। কারণ আপনাদের উৎসহ এবং অনুপ্রেরণাইতো আমাকে এমন পোস্ট লিখতে সাহায্য করে।

এত বড় একটা পোস্ট সময় করে পড়েছেন যেনে খুশি হলাম!
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই! শুভ কামনা জানবেন!

৩১| ১১ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬

নীলপরি বলেছেন: অসাধারণ লাগলো ।++

১১ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নীলপরি! শুভ কামনা জানবেন!

৩২| ১১ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩

চিত্রনাট্য বলেছেন: সম্প্রতি আপনাকে আমার ভিজিট লিস্টে দেখলাম।
তাই মন্তব্য করতে এলাম। আপনার অনেক বড় পোস্ট, এত বড় পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার ধৈর্য নাই। আর তাছাড়া বানানো গল্প কাহিনীতে আস্থা নাই। সাহিত্য থেকে দুরে থাকি, কতক্ষণ থেকে যা পাই পড়ি এবং ভালো লাগলে মন্তব্য করি। ব্যাস, এইটুকুই।
শুভকামনা থাকলো।

১১ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই, গল্পটা বানানো হলেও এগুলো কিন্তু অনেকটাই বাস্তব সম্মত। এবং আমাদের আশে পাশেই ঘটে যাওয়া ঘটনারই একটা চিত্র। তাছাড়া সাহিত্য কিন্তু ইতিহাস এবং সংস্কৃতিরই একটা অংশ। সেই ছোট থেকে সাহিত্য পড়তে পড়তেই কিন্তু এতটা বড় হয়েছি!

যাহোক, আপনার সাম্প্রতিক কয়েকটা মন্তব্য আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করায় আমি আপনার ব্লগ ভিজিট করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে হতাশই হতে হলো! :(

সেখানে আপনার লেখা যদি কোন পোস্ট থাকতো তাহলে হয়তো আমিও আপনার ওখানে একটা মন্তব্য করে আসতাম। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হলো না। :(

যাহোক, কোন ব্যাপার না। আপনার ভাল লাগাটা নিয়ে আপনি থাকেন। এবং এভাবেই ব্লগ পরিবেশকে মুখরিত করে রাখেন। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য। হ্যাপি ব্লগিং...... !:#P

৩৩| ১১ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

চিত্রনাট্য বলেছেন: সাম্প্রতিক কোন মন্তব্যের কথা বলছেন? আমি আজকে আসলাম।তখনো দেখিনি সাহসী সন্তানকে।
যেগুলোতে কমেন্ট আগে করছিলাম সেগুলো চেক করতেছিলাম। এর মাঝেই দেখলাম। তার মানে আপনি আমার আজকের কমেন্ট দেখে আসেন নি। আগে দেখেছিলেন, তাই না? যেমন আমাকে যারা যারা ভিজিট করছে, স্বর্ণা (কালকে ওর পোস্টে কমেন্ট করছিলাম তাই), চাঁদগাজী, কাবিল, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, ইন্দ্রনীলা। এদের সবাইকে আমি কমেন্ট করছিলাম। শুধু টাইগার ছাড়া। সবাই সাথে সাথেই দেখতে আসছে। তার মানে কি ওখানে কেউ আপনি হবেন!

আচ্ছা যাই হোক, একটু গোয়েন্দাগিরি করলাম, ক্যামন হইছে বইলেন।

১১ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রকৃতপক্ষে, সাহসী সন্তানকে না দেখার মূল কারণটা হলো এখন আর আগের মত অতটা নিয়মিত ব্লগিং করি নাতো সেইজন্য! তাছাড়া ব্লগে আসলেও লগ ইন করতে ইচ্ছা হয় না। ঐ অফ লাইনে ঘুরে ফিরে পোস্ট-টোস্ট পড়ে আবার চলে যাই!

আর আমি আপনার আজকের করা কমেন্ট দেখেই ব্লগ ঘুরতে গিয়েছিলাম। যদিও এর আগেও আপনার কমেন্ট দেখেছি, তবে আজকেই কি মনে করে আপনার ব্লগটা পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। কিছু মনে নিয়েন না ভাই, আমি আসলে আপনাকে অন্য আর একজনের মাল্টি ভাবছিলাম! ;)

আর আমার নিকের বয়স আজ একবছর ছয়দিন! সুতরাং ব্লগে যে একেবারে কম সময় কাটিয়েছি এমন না! যাহোক, আপনার গোয়েন্দাগিরি ভাল লাগলো!

শুভ কামনা জানবেন!

৩৪| ১৩ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:২৩

এহসান সাবির বলেছেন: সেইরাম পোস্ট।

+++++

শুভেচ্ছা।

১৩ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

সাহসী সন্তান বলেছেন: অনেকদিন পর সাবির ভাইকে দেখে খুব ভাল লাগছে! ভাল আছেন নিশ্চই?

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সাবির ভাই! শুভ কামনা জানবেন!

৩৫| ১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:০৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: ভাই ব্যাস্ততার কারনে এমন চমৎকার একটা পোস্ট মিস হয়ে যাচ্ছিল। অনেক কষ্ট করেছেন পোস্টের জন্য। অনেক কিছু জানলাম এবং একই সাথে অনেক কিছু নতুন করে মনে করিয়ে দিলেন। পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৮ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: ব্যাপার না সারথি ভাই! দেরিতে হলেও পোস্টটা যে পড়েছেন এবং নিজের অভিব্যক্তিটা ব্যক্ত করেছেন সেটাতেই অনেক খুশি!

মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৩৬| ১৯ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০

জুন বলেছেন: সাহসী দুটোই আমার প্রিয় বিষয় ইতিহাস সাথে শার্লক হোমস অর্থাৎ গোয়েন্দা কাহিনী। একটু সেটেল্ড হয়ে নেই তারপর ভালো করে পড়ে মন্তব্য করবো। এমন একটি লেখা খুটিয়ে২ না পড়লে ভালোলাগবে না।
+

১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:০৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: তাইলে একবারে পড়েই না হয় মন্তব্য করতেন? তবে সমস্যা নেই, আপনার যখন খুশি তখনই পড়ে নিতে পারেন! শার্লক হোমস্ আমারও একজন প্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র! আর প্রিয় কাউকে নিয়ে প্রিয় কিছু লেখার মধ্যেও একধরনের ভাল লাগা কাজ করে!

তবে আমার সব থেকে ভাল লাগছে, আপনি সামুতে ঢুকতে পেরেছেন সেইটা দেখে! আশাকরি আপনি ভাল এবং সুস্থ আছেন?

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু! শুভ কামনা জানবেন!

৩৭| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ১৯৮৪/৮৫ সালে শার্লক হোমস অমনিবাস বইটা সংগ্রহ করি । এজন্য আমাকে অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হয়েছে । কারন তখন এদেশের কোন প্রকাশক বইটা প্রকাশ করেনি ।
আমার একটা বিশেষ শ্রেণীর(অনুমানে রেজাল্টে পৌঁছা) জ্ঞান অর্জনের এক মাত্র মাধ্যম ছিল এই শার্লক হোমস অমনিবাস ।

পোস্টে একটা কথার উল্যেখ দেখিনি -''পৃথিবীর সকল গোয়েন্দা সংস্থ্যায় শার্লক হোমস পাঠ্য ।


হোমসের একটা জিনিষ আমার ভাল লাগতনা , সেটা হচ্ছে অন্যকে খাটো করা , নিজেকে নিজে বড় করে তুলে ধরা ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: লিটন ভাই, অনেকদিন পর ব্লগে দেখে খুশি হলাম! আপনি যে সালে বই সংগ্রহের কথা বলছেন, সেই সময় আমি আসমান আর জমিনের মধ্যবর্তি স্থানে হাওয়া খাচ্ছিলাম (জন্ম হয়নি)! সেই দিক বিবেচনা করলে আপনি তো আমার বস মানুষ! ;)

শার্লক হোমস্ আমার খুব পছন্দের একজন গোয়েন্দা। যদিও আপনার শেষের কথাটুকুর সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত! প্রচন্ড একরোখা স্বভাবের এই গোয়েন্দাটি যেমন নিজের প্রশংসা করতে ভালবাসতেন, ঠিক তেমনি ভাবে খোঁচা মেরে অন্যকে খাটো করতেও বেশি পছন্দ করতেন। তবে এমন টুকিটাকি সমস্যায় কিন্তু তার জনপ্রিয়তায় একদমই ভাটা পড়েনি! বরং তিনি সর্বকালের শ্রেষ্ট গোয়েন্দা হিসাবে এখনও ডিটেক্টিভ পাগল মানুষের অন্তরে জায়গা করে বসে আছেন।

পোস্টে একটা কথার উল্যেখ দেখিনি -''পৃথিবীর সকল গোয়েন্দা সংস্থ্যায় শার্লক হোমস পাঠ্য।

- সে কথা কি আর বলে দেওয়া লাগবে? এটা তো কম/বেশি সবাই জানে, আর সেজন্যই পোস্টে এটা উল্লেখ করিনি।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৩৮| ১৫ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭

খোলা মনের কথা বলেছেন: শার্লক হোমসের অনেক গুলো পড়েছি। খুব মজার আর শেখার জন্য দারুণ কিছু আছে। সুন্দর একটা পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ

১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই আমার অবসর সময় কাটে শার্লক হোমস পড়ে। আমি ডিটেক্টভ বইয়ের পোকা বললেও ভুল বলা হবে না! আর সেই কারণেই প্রিয় চরিত্রটাকে নিয়ে এই ফিচারটা তৈরি করেছিলাম! শার্লক একটা কাল্পনিক চরিত্র কিন্তু তার কার্যকলাপ পড়লে একদমই সেরকম মনেই হয় না!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৩৯| ২৮ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

ম ইসলাম বলেছেন: ভাই, দারুন একটা তথ্যবহুল লেখা পড়লাম। কিন্তু পড়তে পড়তে হাপিয়ে গেছি! দম শেষ! কিন্তু জানলাম অনেক কিছু।

২৮ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:০৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাইয়া, খুঁটি নাটি বিষয়ের সবই পোস্টে উল্লেখ করতে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই পোস্ট একটু বড় হয়ে যায়! কিন্তু কি করবো বলেন, কোন একটা বিষয় বাদ দিতেও যে মন সায় দেয় না। ভাবি, কিজানি কোন গুরুত্বপূর্ন কিছু বাদ দিচ্ছি কিনা তা কে বলবে!

তাছাড়া বাদ দিলেও সমস্যা! পাঠকরা হয়তো বলে বসবে, ঐ জিনিসটা বাদ পড়ছে, সেই জিনিসটা বাদ পড়ছে। আর পোস্ট পড়ে পাঠক যাতে ঐ ধরনের কোন কথা না বলতে পারে সেই কারণেই বলতে পারেন আমি পোস্ট সব সময় একটু বড় করেই লিখি!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন! শুভ কামনা রইলো!

৪০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আপনার এ লেখা পাঠ না করলে শার্লককে খুব মিস করতাম! গবেষনামূলক এ লেখা তাই শোকেসে নিলাম।

শার্লককে মিস করা চলবে না!

মেগাপোষ্টে অগ্নি-প্লাস!!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: পুরানো পোস্ট খুঁজে নিয়ে পড়ার জন্য শুরুতেই এক ট্রাক ধইন্যাপাতা রইলো ব্রাদার! শার্লক আমার হেব্বি ফেভারিট একজন কাল্পনিক চরিত্র। মাঝে মাঝে তো ব্যাটাকে রাত্রে স্বপ্নেও দেখি! ঐ কিছু পরামর্শের দরকার পড়ে কিনা...... ;)

প্লাস দিয়া পোস্টে আগুন ধরাই দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো! বিলম্বিত ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন!

শুভ কামনা রইলো!

৪১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

শের শায়রী বলেছেন: বাহ আপনার লেখার ধারাটা তো চমৎকার। অভিনন্দন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.