নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

{♥ যদি কখনো নিজেকে একা ভাবো, তাহলে ঐ দূর আকাশের অসীম সীমান্তের দিকে তাকিয়ে থাকো! কখনো নিরাশ হয়ে যেও না! হয়তো বা একটা বাজপাখিও তোমার দিকে উড়ে আসতে পারে! ♥}

সাহসী সন্তান

আমাকে তোর ভালোবাসার দরকার নেই। শুধু পাশে থেকে একটু সাহস যোগাস, দেখবি তখন ভালোবাসাটা এমনিতেই চলে আসবে!!

সাহসী সন্তান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটা শিরোনামহীন সস্তা প্রেমের গল্প.....

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১২


মাঝে-মাঝে অন্যের কাছে নিজেকে হিমু হিসাবে উপস্থাপন করতে আমার বেশ ভালই লাগে! যদিও সেটা ঐ মাঝে-মাঝের মধ্যেই সীমাবদ্ধ! কারণ প্রাক্টিক্যালি এখনও পর্যন্ত নিজেকে কারো কাছে হিমু হিসাবে উপস্থাপন করতে পারি নাই। সাধারণত হিমুরা হবে একদম রাগ শূণ্য একটা কাঁদা-মাটির তৈরি মানুষ। তাদের চরিত্রের অন্যতম গুণ হল, সব সমস্যার মধ্যেই তারা থাকবে; কিন্তু কোন সমস্যাই তাদেরকে স্পর্শ করতে পারবে না। অনেকটা ঐ 'ধরি মাছ না ছুঁই পানি' টাইপের! তবে সমস্যাটা হল, আমার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অনেকটাই তার ব্যতিক্রম! মানে চাইলেও এখানে কেউ হিমু হতে পারে না, কিংবা হিমুর রুপ ধারণ করতে পারবে না!

তাছাড়া আরো একটা সমস্যা আছে! হলুদ রং-টা আসলে আমার প্রিয় রঙের মধ্যে পড়ে না! হলুদ হল বৈরাগ্যের রং! আর জীবনে বৈরাগ্য ধারণ করার মত কোন ইচ্ছা বা আকাংখা আমার মধ্যে নেই, কিংবা আদৌও সেরকম মন বাসনা কখনোই মনের মধ্যে উদয় হয়নি। স্কুল লাইফে পড়ার সময় রুনা নামের এক জুনিয়র মেয়ে প্রায় প্রতিদিনই স্কুলে হলুদ ড্রেস পরে আসতো বলে তার কাছাকাছি থেকে মাঝে-মাঝে তাকে শুনিয়ে শুনিয়ে গুন-গুনিয়ে গেয়ে উঠতাম- "হলুদিয়া পাখি, সোনারই বরণ! পাখিটি ছাড়িলো কে.....?"

একদিন দেখি মেয়েটা আমাদের স্কুলের ধর্ম শিক্ষকের কাছে আমার বিরুদ্ধে নালিশ দিয়েছে! সাধারণ হিসাবে ধর্ম শিক্ষকরা হবে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের থেকে একটু নরম-সরম টাইপের। কেননা এটাই হল প্রকৃতির নিয়ম। তবে এক্ষেত্রে যে প্রকৃতি একটু উল্টো গান গেয়েছিল, সেটা বেশ ভাল ভাবেই বুঝতে পারতাম। যার ফলশ্রুতিতে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই স্কুলের মধ্যে সব থেকে বদরাগী স্যারের তকমাটা তিনি অনায়াসে হাতিয়ে নিয়ে বসলেন! স্কুলে খুব একটা যে ভাল ছাত্র ছিলাম তা বলবো না। তবে পাঁজি ছাত্র হিসাবে অল্প দিনেই বেশ নাম-ডাক করে ফেলেছিলাম। এমনকি আমার সেই পাঁজিয়ানির হাত থেকে স্যারদের মধ্যেও কেউ কেউ ধরা খেয়ে যেতেন।

এই ধর্ম শিক্ষকটার কথাই ধরুন না। উনার নাম ছিল মোঃ কাওছার হাওলাদার। তো তিনি যখন ক্লাসে এসে এক এক করে ছাত্রদের নাম কল করতেন, এবং আমার উপস্থিতি দেওয়ার সময় যখন সামনে এসে যেত; তখন আমি বেশ আদবের সহিত উঠে দাঁড়িয়ে মুখে একটা ফিচলে হাসি দিয়ে বলতাম- 'কও স্যার!'

আমার এই উপস্থাপনা শুনে যে তিনি মনে-মনে তেলে বেগুণে জ্বলে পুড়ে ছাই হতেন, সেটা বেশ ভাল ভাবেই বুঝতে পারতাম। আর সেই আগুণে ঘি ঢালতো ক্লাসের বদমায়েশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীর চাপা হাসি। তবে মুখে কিছু বলতে পারতেন না। কারণ, পিচ্চি পোলাপান প্রেজেন্টেশনের সময় স্যারকে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই তার উপস্থিতি জানান দিতে পারবে; এটা ছিল স্কুল কমিটির চুড়ান্ত নির্দেশ। সুতরাং এখানে রাগ করলেও যা, না করলেও তাই।

যদিও তিনি মাঝে-মাঝে বলতেন- 'এই তুই ইয়েস স্যার বা উপস্থিত স্যার বলতে পারিস না। তোর কি প্রতিদিনই কও স্যার বলতে হবে? কেন, স্যারদেরকে একটু সম্মান-টম্মান দিলে কি এমন মহা-ভারত অসুদ্ধ হয়ে যায় শুনি?'

আমি অবশ্য তখন ভয়ে ভয়ে বলতাম- 'স্যার আমার কি কোন ভুল হয়েছে? আচ্ছা ঠিক আছে স্যার, কাল থেকে আর ভুল হবে না!'

কিন্তু ঐ বলা পর্যন্তই সার। কাল নাম ডাকার সময় আবারও সেই কও স্যার! আমার এমন অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে স্যার তো মাঝে-মাঝে নাম কল না করে সবাইকে প্রায় অটো প্রেজেন্ট দিয়ে দিতেন। তবে একবার তিনি হেড স্যারের কাছে ধরা খাওয়ায় ঝাঁড়ি-টাড়ি খেয়ে তারপর থেকে আর কক্ষনো এই ভুলটা করতেন না। কিন্তু উনার সেই রাগ গিয়ে পড়তো, বইয়ের পড়ার উপর। আর সে কারণেই ক্লাসের অন্যান্য সাবজেক্টের পড়া করি আর না করি, ধর্ম বইয়ের পড়া করা আমার জন্য বাধ্যতামূলক ছিল।

তো মেয়েটার নালিশ দেওয়ার প্রায় সাথে সাথেই অফিস রুমে আমার তলব পড়লো! মনে মনে দোয়া দরুদ পড়তে পড়তে অফিস রুমে ঢুকে স্যারের অগ্নি মূর্তি দেখেই তো আমার তখন কাপড়ে-চোপড়ে হওয়ার দশা! ভাগ্যিস ছোট থাকতে নানী-দাদীরা পেটে ভাল ভাবে ছ্যাঁক-ট্যাক দিয়ে দিয়েছিলেন! তা না হলে হয়তো সেদিনই আমার ইজ্জতের হালুয়া টাইট হয়ে যেত। মনে মনে ভাবলাম, আজ আমার নিস্তার নেই। একে তো ক্লাসে উনাকে সারাক্ষণ জ্বালিয়ে মারি, দ্বিতীয়তো জুনিয়র মেয়েকে ডিস্টার্ব করেছি। পৃথিবীতে এমন কে মহা-ক্ষমাশীল দয়ালু ব্যক্তি আছে যে এমন একটা সুযোগকে হাতছাড়া করবে? সুতরাং আমার দোয়া দরুদ পাঠের কার্যক্রম দ্রত থেকে আরো দ্রুততর হয়ে গেল। আর সেই সাথে তাল দিয়ে ঠোঁট এবং হাঁটুও সমান তালে নড়তে লাগলো। আমাকে অমন বিড় বিড় করতে দেখে স্যার চোখ পাঁকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন- 'ঐ কি বলছিস?'

আমি একটু ঢোক গিলে বললাম- 'স্যার কিছু বলছি না, দরুদ পড়ছি!'

সম্ভাবত আমার কথা শুনে স্যার মনে-মনে একটু খুশিই হলেন। ধর্ম শিক্ষক যদি জানতে পারেন, তার ক্লাসের সব থেকে অভদ্র ছাত্রটাও সময় অসময়ে মনে মনে দরুদ পাঠ করে, তাহলে তার মধ্যে একটা খুশি খুশি ভাব চলে আসাটা স্বাভাবিক। কিন্তু এই খুশির মধ্যেও কেন জানি না তার কুঞ্চিত ভ্রু যুগল দেখে আমার প্যাল-পিটিশনটা আবারও বেড়ে গেল। মনে মনে আন্দাজ করে নিলাম, সম্ভাবত স্যার আমাকে অবিশ্বাস করছেন। হয়তো তিনি ভাবছেন, বিড়বিড় করে আমি তাকে গালাগাল করছি। ঘটলোও ঠিক তাই। কিছুক্ষন তিনি আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বেশ গম্ভীর কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলেন- 'হুম, তো কেমন দরুদ পড়ছিস একটু পরীক্ষা করে দেখি তো! আচ্ছা চার কলেমার শেষেরটা বল দেখি?'

এবার আমার থরে কম্প হওয়ার দশা! টেনশনে নিজের নামটাই যেখানে ভুলে গেছি সেখানে চার কলেমার শেষেরটা ক্যামনে বলবো সেইটাই তো বুঝতে পারছি না। চোখ বন্ধ করে ভাবতে লাগলাম, চার কলেমার শেষেরটা আসলে কি? তারপর হঠাৎ চোখ খুলে সোল্লাসে বলে উঠলাম- 'স্যার, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতুম মিনা-জ্জলেমিন!'

স্যার ছুটে এসে আমার কান ধরে জোরে একটা টান দিয়ে বললেন- 'ব্যাটা পাঁজির পা'ঝাড়া, দোয়া ইউনুস কখনো কলেমা হয়? ওটা তো মানুষ মসিবতের সময় পড়ে!'

আমি একটু নিচু কণ্ঠে বললাম- 'আমার থেকে বড় মসিবতে এখন আর কেউ পড়ে আছে নাকি? আমিই তো এখন সব থেকে বড় মসিবতের মধ্যে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছি।'

স্যার আমার কথা শুনতে পেলেন বলে মনে হল না। সেটা অবশ্য একদিক থেকে আমার জন্য মঙ্গলজনকই বটে। তবে হঠাৎ তিনি প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে বেশ উচ্চ কণ্ঠে হুঙ্কার দিয়ে বলে উঠলেন- 'তো শুনলাম ইদানিং নাকি তোর সঙ্গীত চর্চাটা বেশ ভালই এগুচ্ছে? তা সাংস্কৃতিক ক্লাসে সঙ্গীত গেয়েও কি পোষায় না নাকি? যদি না পোষায় তাহলে কোন যাত্রা দলে নাম লিখাইলে তো হয়?'

আমি কোন কথা বললাম না! মাথা নিচু করে এক নাগাড়ে স্যারের সুতিব্রো বাক্যবান শ্রবণ করতে লাগলাম! ওদিকে টানের চোটে কান গরম হয়ে এখন সেটার মধ্যে কেমন জানি পটপট করে শব্দ হচ্ছে। ভয় পেলাম, যদি নতুন করে কিছু বলি তাহলে হয়তো টান আরো একটা খেতে হবে। আর এবার যদি টান খাই, তাহলে নিঃসন্দেহে কান ব্যাটা তার হাল ছেড়ে দিয়ে মাথার থেকে উঠে চলে আসবে। কান হীন মানুষ হিসাবে হয়তো খুব শীঘ্রোই স্কুলে আমার নাম 'কান কাটা মফিজ' হিসাবে ঘোষিত হয়ে যাবে। বদ পোলাপান আর কিছু পারুক আর না পারুক, মানুষের নামের শেষে বিশেষণটা খুব ভাল ভাবেই লাগাতে পারে। সুতরাং কোন কথা না বলে আপাতত চুপচাপ স্যারের কথা শুনে যাওয়াটাকেই যক্তি সঙ্গত বলে মনে হল। কিছুক্ষন থেমে স্যার আবারও শুরু করলেন- 'তো তুই রুনাকে দেখে সব সময় গান গাস কেন শুনি?'

কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না! তবে কিছু না বলে এবার যদি চুপ থাকি, তাহলে এই চুপ করে থাকার জন্যই হয়তো পূনরায় কান টানার শিকার হতে হবে। ঠিক তখনই হঠাৎ মাথার মধ্যে একটা বুদ্ধি চলে আসলো! আমি খুব ভাল ভাবেই লক্ষ করেছি, যখনই কোন বড়-সড় রকমের গাড্ডায় পড়ে যাই; ঠিক তখনই কেন জানি না হুট করে মাথাটা বেশ ভাল ভাবেই খুলে যায়! বললাম- 'স্যার ক্ষমা করবেন! আমি আসলে গত কয়েকদিন ধরে একটা গানের প্রাক্টিস করছিলাম, আগামী অনুষ্টানে গাইবো বলে! এটা জাহিদ স্যারের নির্দেশ (জাহিদ স্যারের নাম বলছিলাম, কারণ কাওসার স্যারের সাথে জাহিদ স্যারের আবার চুলোচুলি সম্পর্ক। সুতরাং আমি সত্য বলছি না মিথ্যা বলছি সেটা যাতে তিনি পরীক্ষা না করতে পারেন, সেজন্যই মধ্যিখান থেকে জাহিদ স্যারের এন্ট্রি)! কিন্তু সেটা যদি ও শুনে ফেলে এবং ভেবে নেয় যে সেটা আমি ওকেই উদ্দেশ্য করে গাচ্ছি; তাহলে তো আমার কিছু করার থাকে না!'

অকাট্য যুক্তি! এটাকে ডিনাই করে কোন কিছু বলা স্যারের পক্ষে আদৌ সম্ভব হবে বলে আমার মনে হল না! এবং ঘটলোও ঠিক তাই! তবে স্যার যখন ডেকে পাঠিয়েছেন, তখন পানিশমেন্ট তো আমাকে পেতেই হবে! তা না হলে তিনি আবার কিসের বিচারক? তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে তার পূর্বের রাগ তো আছেই। সুতরাং পানিশমেন্ট ঠিক হল, প্রতিদিন টিফিন টাইমে স্কুলের কল চেপে স্যারের জন্য আমাকে অজুর পানি যোগান দিতে হবে! আর আমার উঠানো পানিতে অজু করেই তিনি জোহরের নামাজ কায়েম করবেন!

কি আর করা, বাধ্য হয়েই আমাকে স্যারের আদেশ মেনে নিতে হল! অবশ্য একদিক থেকে সেটা ভালই হল! শুনেছি গুরুজনদের সেবা করা মহৎ কর্ম। আর কারো অজুর পানি তুলে দেওয়া; সেটাতো আরো ভাল কাজ! আমি 'আচ্ছা ঠিক আছে স্যার' বলে রুনার দিকে তাকিয়ে একটা চোখ টিপ মেরে অফিস রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম!

তারপর থেকে চলতে থাকলো আমার এই আনলিমিটেড বেতন বহিঃর্ভূত চাকরি! আর সেই চাকরির আড়ালে চলতে থাকলো রুনা নামের মেয়েটাকে আরো বেশি বেশি করে জ্বালাতন করা! এখন পথে-ঘাটে, মাঠে-ময়দানে যেখানেই রুনার সাথে আমার দেখা হয়, সেখানেই 'হলুদিয়া পাখি' গানে মুখরিত হয়ে ওঠে প্রকৃতির চারদিক। এরপরে অবশ্য আরো বেশ কয়েকবার স্যারের কাছে আমার বিরুদ্ধে নালিশ গিয়েছে, তবে স্যার নিজে সেটাকে ততটা আমল দেননি! বরং তিনি ভাবেন, আমি হয়তো নতুন কোন সঙ্গীত চর্চায় নিবিষ্ট আছি!

তখন অবশ্য 'ইভটিজিং' নামক শব্দটা ডিকশোনারীতে সংযুক্ত হয় নাই! হইলে হয়তো অনায়াসেই আমার নামের শেষে 'ইভটিজার' নামক খুবই সুন্দর একটা ট্যাগ জুঠে যেত! তবে এখন অনেকটা ভদ্র হয়ে গেছি! কারণে অকারণে আর কাউকে টিজ করি না! বরং চলতি পথে যদি কাউকে ভাল লেগে যায়, তাহলে তাকে সরাসরি বলে দিই- 'ওয়াও! ইউ আর লুকিং ভেরি গর্জিয়াস! বাট আনফরচুনেটলি নাকটা একটু বাঁকা (ইয়ে, নাক বাঁকার ইংরেজিটা জানি কি?)!'

কেউ কেউ আমার কথা শুনে ইম্প্রেস্ড হয়ে খুব সুন্দর একটা হাসি দেওয়ার চেষ্টা করে! অনেকে ধন্যবাদও জানায়! এক্ষেত্রে নাক বাঁকা কথাটা হয়তো তারা বেমালুম ভুলে যায়! কিংবা গর্জিয়াস শব্দটার সাথে হয়তো 'নাক বাঁকা' শব্দটা এতই গৌণ যে, কেউ সেটা খেয়ালই করে না। আবার কেউ কেউ হয়তো আমার কথার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য নিজের ভাল নাকটাকে সামান্য বাঁকা করে সেটাকে যতটা সম্ভব কুৎসিত কায়দায় এনে সামনে থেকে হনহনিয়ে চলে যায়! সম্ভাবত এই শ্রেণীরা গর্জিয়াস শব্দটার থেকে 'নাক বাঁকা' শব্দটাকেই সব থেকে বেশি প্রধান্য দেয়! তাদের ধারনা, সুন্দর তো সুন্দরই; তাতে আবার খুঁত কি? তবে আমার কথা শুনে যারা মিষ্টি হাসি দেয়, তাদের প্রতি আমার কোন ইন্টারেস্ট নেই! কিন্তু যারা নাক বাঁকা করে চলে যায়, কেন জানি না তাদের উপরে আমি একধরনের অকৃত্রিম আকর্ষণ অনুভব করি!

সুন্দরী মেয়েরা একটু-আধটু অহংকারী হবে, এটা হল নিপাতনে সিদ্ধ! যে মেয়ে অহংকারী না, সে আসলে সুন্দরীই না! যদি কোন মেয়ে বলে, 'আমি সুন্দরী তবে অহংকারী নই;' তাহলে নিঃসন্দেহে তাকে মিথ্যাবাদী হিসাবে সাব্যস্ত করে নিতে পারেন। কারণ, সুন্দর আর অহংকার, এই দুইটা শব্দ একে অপরের সাথে একদম ওৎপ্রত ভাবে জড়িত এবং অনেকটাই প্রকৃতি প্রদত্ত। সুতরাং এদিক থেকে বিবেচনা করলে দোষ যতটা না মেয়েদের তার থেকে বেশি প্রকৃতির। যদিও ব্যাপারটা সবার ক্ষেত্রেই যে প্রযোজ্য হবে এমন নয়। তবে অধিকাংশের ক্ষেত্রেই আপনি নির্দ্বিধায় এটাকে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া আরও আছে। প্রকৃতি মেয়েদের জন্য কিছু স্পেশাল গুণাবলি রেখে দিয়েছে। এই যেমন রঙের ব্যাপারটাই ধরুন না। আপনি সামান্যতম বুঝদার কোন মেয়েকে যে কোন একটা রং দেখিয়ে তার কাছে সেটার নাম জানতে চান। দেখবেন আপনাকে অবাক করে দিয়ে খুব সহজেই সেই রঙের নামটা সে বলে দিতে পারবে। তাই আপনার কাছে সেই রংটা যত অপরিচিতই হোক না কেন!

গত কয়েকমাস আগে পত্রিকায় মেয়েদের নিয়ে একটা কলাম পড়ছিলাম। কোন দেশের বিজ্ঞানীরা জানি মেয়েদের সাইক্লোজিক্যাল টেস্ট করিয়ে শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছেন যে, পৃথিবীর মধ্যে অধিকাংশ নারীই নাকি গোলাপী রংকে সব থেকে বেশি পছন্দ করে। গোলাপী আমারও ভাল লাগে! তবে আমার সব থেকে ফেভারিট কালার হল নীল! শুধু নীল না, নীলের আশে-পাশে আর যত রকমের রং-ই আছে; এই যেমন কমলা, বেগুণী, আসমানী ইত্যাদী সব গুলোই আমার প্রিয়! তবে আমার অন্যদের জন্য চয়েজেবল কালার হল ঐ গোলাপী-ই! অন্যদের শব্দটাকে আরো একটু স্পষ্ট করে বললে বলতে হয়, মেয়েদের ব্যাপারে আমার চয়েজেবল কালার হল গোলাপী!

এমন কি আমার সামনে যদি আফ্রিকান কোন কুৎসিত মেয়ে গোলাপী স্যালোয়ার কামিজের উপরে আকাশী রঙয়ের ওড়না পরে দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে কোন কিছু না ভেবেই অনায়াসে আমি তাকে বিউটিফুল বলে দিতে পারি! সেজন্য তাকে বিউটিফুল হওয়াটা জরুরী নয়, বরং কালারটা গোলাপী হইলেই যথেষ্ট!

গত কয়েকদিন আগে জ্বালাময়ী শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বেশ পুঁরু দেখে একটা ঊলের জ্যাকেট কিনলাম। তবে এক্ষেত্রে আমার পছন্দটা কেন জানি না একটু ভিন্ন রকম হয়ে গেল। এখানে একটা কথা বলে রাখা জরুরি, আমার পছন্দের রং নীল হলেও আমি পোশাক পরিচ্ছদ পরা অথবা কেনার সময় কখনোই সেই রংটাকে প্রধান্য দেই না। বরং যে পোশাকটা যে রঙের সাথে ঠিক-ঠাক মানাবে, ঠিক সেই পোশাকটা সেই রঙেরই কিনে থাকি। যেমন, শীতের গরম পোশাক হিসাবে আমার কাছে গাঢ় সবুজ এবং ছাই রংটাকেই সব থেকে বেশি পারফেক্ট বলে মনে হয়। তবে এক্ষেত্রে পছন্দটা ভিন্ন রকম হয়ে গেছে বলার কারণটা হল, গত কয়েকদিন আগে শীতের জন্য যে জ্যাকেটটা কিনেছি; সেটার রং ছাই বা সবুজ না হয়ে বরং হলুদ রঙয়ের হয়ে গেছে। একবারে যে হলুদ তা বলা যাবে না। অনেকটা গোধূলী লগ্নে সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়লে প্রকৃতির বুকে যে একটা রক্তিম আভা বিরাজ করে (?) ঠিক সেই রকম।

আজ প্রথমবারের মত সেই জ্যাকেটটা গায়ে দিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে দেখা করতে যাচ্ছি মোহিনীর সাথে! মোহিনী আমার গফ। না জানা মানুষের জন্য হয়তো গফের ব্যাপারটা মাথার উপরে দিয়ে যাবে। সে যাইতেই পারে। তবে এক্ষেত্রে দোষটা অবশ্য একচেটিয়া ভাবে না জানা মানুষদের উপরে চাপানো যাবে না। গত কয়েকদিন আগে থাকতেও ঐ শব্দটা আমারও মাথার উপ্রে দিয়া যাইতো। তবে এখন আর যায় না, কারণ এখন আমি গফ শব্দের ফুল মিনিংটা জানি। ইংরেজি গার্লফ্রেন্ড শব্দটার আধুনিক সংক্ষিপ্ত ভার্সন হল এই গফ। ভাবতে পারেন, দেশ কত দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে হয়ে যাচ্ছে? বেচারির সাথে গত প্রায় পাঁচ-ছয়দিনের মত কোন কথা হয় না! হয়তো অনেক রেগে আছে! সুতরাং প্রথম স্বাক্ষাতেই একটা রাম ঝাঁড়ি খাওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে তার সামনে হাজির হয়ে আমার সেই বিখ্যাত রমণী মোহন হাসিটা হেসে বললাম- 'কেমন আছো মোহিনী?'

কিন্তু মোহিনী আমার প্রশ্নের প্রতি বিন্দু মাত্র আগ্রহ দেখালো বলে মনে হল না। ভাবলাম রাগের মাত্রা হয়তো ফারেনহাইট ছাড়িয়ে এখন অন্যকিছুতে গিয়ে ঠেকেছে। এমনিতে সে যে একটু এই রকম টাইপের, সেটা অবশ্য আগে থাকতেই জানতাম। যদিও প্রফেশনালী সে একজন সদ্য পাশ করা ডাক্তার। তবে স্বভাব-চরিত্র একদমই ডাক্তারের সাথে যায় না। বরং ঠিক তার উল্টো। গত কয়েকদিন আগে বাঁ পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলে আঘাত পেয়ে তার কাছে গেলে, সে ব্যান্ডেজ করে দিলেও প্রথমে এমন একটা ভাব করছিল যেন; গোটা বাংলাদেশে সেই একমাত্র আর্থ্রপেডিক্স ডাক্তার। ভাব-সাব দেখলে মাঝে-মাঝে আমারই ভীষণ বিরক্ত লাগে, তবে মুখ বুজে ব্যাথা খাওয়া ছাড়া বাড়তি কোন উচ্চবাচ্য করা যায় না। ব্যাপার অনেকটা সেই বিখ্যাত বাংলা প্যারোডি গানটা দিয়ে বিশ্লেষণ করা যায়- 'আমার ঘরে আমি মেম্বর, পরের মাইয়া চেয়ারম্যান......বিয়া করলাম ক্যানরে দাদা......!'

অবশ্য আমাদের এখনো বিয়ে হয় নাই। তবে হইতে কতক্ষণ? শুনেছি এখনকার সময়ে বিয়ে শাদী করা কোন ব্যাপারই না। পথে-ঘাটে, মাঠে-ময়দানে, যেখানে-সেখানে কাজি অফিস। গেলাম, কবুল বললাম; ব্যস বিয়ে হয়ে গেল! তাছাড়া আজকালকার দিনে কাজি অফিসে কত্ত রকমের সুযোগ সুবিধা! এক সময় তো প্রেমিক-প্রেমিকাদের চুরি করে বিয়ে করতে গিয়ে যতটা না বেগ পেতে হতো, তার থেকে বেশি বেগ পেতে হতো; বিয়ের স্বাক্ষী খুঁজতে গিয়ে। অথচ বর্তমান সময়ে সেটা নিয়েও আপনার কোন টেনশন করা লাগবে না। কাজি অফিসেই এমন কিছু লোক নিয়োগ দেওয়া আছে, যারা কেবল আপনার বিয়ের স্বাক্ষী হওয়ার জন্যই মুখিয়ে আছে। মানে এদের ভাব-সাব দেখলে হয়তো আপনার মনে হতে পারে, এই সমস্থ লোক গুলোকে বোধহয় সৃষ্টিকর্তা কেবল মাত্র অন্যের বিয়ের স্বাক্ষী করার জন্যই এই পৃথিবীতে সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং এখানে আপনার দ্বায়িত্ব হল, শুধুমাত্র কবুল বলা। আর বাদ বাকি কাজ আপনি কোন ধরনের সন্দেহ ছাড়াই ঐসমস্থ লোকদের উপর ছেড়ে দিতে পারেন। আমার মনে হয়, কবুলের সাথে যদি বউ কার হবে (?) এই ধরনের কোন ব্যাপার জড়িত না থাকতো; তাহলে সেটাও বোধহয় এরা বলে দিতো!

আমার সৌজন্যবোধক প্রশ্ন শুনে মোহিনী কোন ধরনের সামাজিকতার ধার না ধেরে বরং সরাসরি জিজ্ঞাসা করলো- 'মহাশয়ের হঠাৎ তার ফেভারিট কালার ছেড়ে দিয়ে হলুদ পোশাক পরার হেতুটা কি একটু জানতে পারি? নাকি হঠাৎ করে মাথায় সাধু-সন্ন্যাসী সাজার ভুত চাপছে?'

চট করে মনটা ভাল হয়ে গেল। তার প্রশ্নের মধ্যে একদমই রাগের কোন চিহ্ন নেই। বরং তার পরিবর্তে আছে, হালকা খোঁচা মারার প্রবণতা আর মুখ ভর্তি বাঁকা হাসি। তবে আমিও কম যাই নাকি? কপট রাগ দেখানোর ভান করে মুখে একটা গাম্ভীর্যপূর্ণ ভাব এনে বললাম- 'দেখ মোহিনী, আমার দ্বারা যে সাধু-সন্ন্যাসী হওয়াটা একদমই অসম্ভব, সেইটা তুমিও যেমন জানো; তেমনি আমিও জানি! সুতরাং ঐধরনের ফালতু কথা বার্তা বলে শুধু শুধু আমার মেজাজ হট কইরা দিবা না!'

বলা বাহুল্য আমার কথা শুনে মোহিনী বেশ হকচকিয়ে গেল! জানতাম এমনটা হওয়ারই কথা! কারণ সাইক্লোজিক্যাল হিসাব অনুযায়ী আজ আমার উপরে তার রাগ দেখানোর কথা, অথচ আমাকেই কিনা রাগতে দেখে সে আসলে কি বলবে সেটা হয়তো বুঝে উঠতে পারছিল না! তবে আমি তাকে পাল্টা বাড়তি কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বরং স্কুলে পড়ার সময়ের সেই ঘটনাটা তার কাছে স্ব-বিস্তার বর্ননা করলাম! এবং এই হলুদ পোশাকটা বাছাই করে নেওয়ার মূলেও যে রুনা নামের সেই মেয়েটার কিঞ্চিৎ প্রভাব আছে, সেটাও নির্দ্বিধায় বলে গেলাম!

আমার কথা-টথা শেষ হলে মোহিনী বেশ গম্ভির কণ্ঠে বলল- 'হুম, বুঝলাম! পুরান পিরিত উথলাইয়া উঠতাছে! সেও ভাল। তবে আফসোস, এমন একজন মানুষকে জীবনে ভালোবাসলাম; যার কাছে আমাকে নিয়ে ভাববার মত কোন টাইমই নেই! বরং সে পড়ে আছে তার এক্স গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে!'

বুঝতে পারলাম মনে মনে মোহিনী বেশ কষ্ট পেয়েছে! সে একটু পাক! আমাকে ভালবাসবে, আর কষ্ট পাবে না; তা কখনো হয় নাকি? তবে বর্তমানে আমি তার একমাত্র বফ (বয়ফ্রেন্ড, আগে জানতাম না! এই কয়েকদিন আগেই জানলাম বয়ফ্রেন্ডের সংক্ষিপ্ত ভার্সন বফ! আফসোসটা কি আমারও কম নাকি?) হয়ে এই মূহুর্ত্বে তার অভিমানটা যদি না ভাঙাই, তাহলে সেটা হয়তো ভালবাসার প্রতি একটা চরম অন্যায় করা হয়ে যাবে! সুতরাং বত্রিশ দন্ত বিকশিত করে একটা খ্যাকখ্যাক মার্কা হাসি দিয়ে বললাম- 'মোহিনী, তুমি মনে হয় ব্যাপারটাকে সিরিয়াসলি নিয়ে নিচ্ছো? এখন তাকে মনে করার কোন কারণই ঘটেনি! তাছাড়া সে এখন বিবাহিত, সুতরাং বুঝতেই পারছো.....'

আমার কথা শেষ হল না! তার আগেই মোহিনী একটা চাপা ঝাঁড়ি দিয়ে বলে উঠলো- 'বাদ দেও তো ওসব কথা! তুমি যে কত্তবড় খেলোয়াড় সেইটা জানতে আমার আর বাকি নেই! রাস্তায় ঘুরতে বের হলেই সেটা খুব ভাল ভাবেই বুঝতে পারি। বাইক চালানোর সময় তো দেখি, কতজন উঁকি-ঝুঁকি দিয়ে হাউস করে জিজ্ঞাসা করে; ভাইয়া কেমন আছেন? অথচ তাদের একজনকেও আমার সাত জন্মে তোমার ধারে কাছে দেখেছি বলে তো মনে পড়ে না। আর সে আবার আসছে আমার কাছে নিজের সার্টিফিকেট দাখিল করতে, হুঁহ!'

খাইছে আমারে! উঠতে উঠতে মাইয়া দেখি এখন এক্কেবারে মাথার উপ্রে চড়ে বসবার চায়! আমার এতদিনের জমিয়ে রাখা বিশুদ্ধ সার্ফ-এক্সেল মার্কা চরিত্রে এমন পঁচা কাঁদার ছিটা একদমই সহ্য হল না! বানিয়ে বানিয়ে হলেও এখন নিজের ইজ্জত বাঁচানোর জন্য কিছু একটা তো আমাকে বলতেই হবে। সুতরাং আমিও তার মত করে একটা ফিচলে হাসি দিয়ে বললাম- 'হুম, সেইটা তো আমরাও টুকটাক জানি! তুমিও বা কম কিসে একটু শুনি? ফেসবুকে ছবি আপলোড করে 'ওহঃ আজ একটা অসাম দিন যাপন করলাম' টাইপের ক্যাপশন ঝেড়ে যখন পোস্ট পাবলিশ কর, তখন সেইখানে কোন ধরনের কমেন্ট গুলোর উত্তর প্রদান করো; সেইটা আমরা জানি না বুঝি? আরও আছে তো। ক্যান্টিনের মন্তেজ কাকাও দেখি মাঝে-মাঝে ফুচকার বিল ফ্রিতে দিয়া দেয়! বলে আফামনি থাক, আজ বিল দেওয়া লাগবে না! কেন শুনি? মন্তেজরে আমরা সবাই কাকা ডাকি, অথচ সে তোমারে মামনী না ডেকে আফামনি ডাকে ক্যান একটু শুনি? মন্তেজ কাকা তোমার কোন জন্মের আত্মীয় লাগে যে সে আর কাউকে না, কেবল তোমাকেই ফ্রিতে খাওয়ায়?'

আন্দাজে ঢিল ছুঁড়ে প্রথমে কিছুটা কনফিউশনে ছিলাম। তবে সেইটা যে এভাবে লেগে যাবে তা একদমই ভাবিনি। দেখলাম মোহিনী একদম চুপচাপ হয়ে গেছে। হয়তো ভাবে নাই, হুট করে আমি তাকে এমন কিছু বলবো! হঠাৎ করে আমার এমন তির্যক আক্রমনে সে কোনঠাসা হয়ে প্রায় সাথে-সাথে প্রসঙ্গ পাল্টে বলল- 'আমি মোঘলাই আর আইসক্রিম খাবো! তুমি কি খাবা অর্ডার করো!'

তার কথা শুনে এবার আমারই মন খারাপ হয়ে গেল। কথা গুলো স্রেফ মজা করার জন্যই বলেছিলাম। তবে মোহিনী যে সেটাকে এতটা সিরিয়াসলি ধরে নেবে, তা কে জানতো! বুঝলাম আমার আন্দাজে বলা কথা গুলো সত্যি হলে হয়তো সে এতটা কষ্ট পেত না, তবে যেহেতু সত্য না বরং সম্পূর্ণ গাঁজাখুরি; সেহেতু তার মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। হয়তো সেজন্যই সে বিষয়টাকে এভোয়েড করার চেষ্টা করছে! ভাবলাম সে যখন বিষয়টা এভোয়েড করছে, তখন আমারও উচিৎ এটাকে সম্পূর্ণ ভাবে এড়িয়ে যাওয়া! কি জানি বেশি রেগে গেলে হয়তো সে কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বের করে ফেলবে। আর তাই যদি হয় তাহলে গ্যাঁড়াকলে তার থেকে আমিই বেশি পড়বো! সুতরাং আমিও এবার সেদিকে না গিয়ে বরং তার মন ভাল করার জন্য বললাম- 'সমস্যা নেই, আজকের বিল আমার; অনায়াসেই তুমি দামী কিছু অর্ডার করতে পারো!'

আমার কথা শুনে সে একটু মুচকি হাসলো! আহঃ কি সেই হাসি! যেন বাঁধিয়ে রাখার মত! আজ পর্যন্ত এই মেয়েটার হাসি আমি যতবার দেখেছি, ততবারই যেন তার মধ্যে একটা নতুনত্ব খুঁজে পেয়েছি। কবির ভাষায়, পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ থাকে যাদের হাসিতে নাকি মুক্ত ঝরে। তবে আমার মনে হয় মহিনী হাসলে তার হাসিতে ঠিক মুক্ত নয়, যেন জ্যোৎস্না ঝরে পড়ে। গোলাপী স্যালোয়ার কামিজের উপরে নীল ওড়নায় সামান্য এই হাসিটাতেও যেন তাকে স্বর্গের অপ্সরীর মত লাগছিল। মোহিনী যেদিন গোলাপী ড্রেস পরে আমার সামনে আসে, সেদিন তাকে দেখলে আমার কেন জানি না মনে হয়, গোলাপী ড্রেসে একমাত্র মহিনীকে যতটা ভাল লাগে; ততটা ভাল বোধহয় এই পৃথিবীতে আর অন্য কোন মেয়েকে লাগে না! সম্ভাবত সৃষ্টিকর্তা এই রংটাকে কেবল মাত্র মোহিনীর জন্যই তৈরি করেছিলেন!

আমার কথা শুনে সে বলল- 'নাহঃ থাক! আজ এমনিতেই কিছু খেতে ইচ্ছে করছে না!'

বুঝলাম আমার পূর্বের কথাটা মোহিনীকে এখনো পর্যন্ত কষ্ট দিচ্ছে। নিজের উপরেই ভীষণ রাগ হল। ইচ্ছা করছিল নিজেই নিজেকে আঘাত করি। কিন্তু সেইটা তো আর সম্ভব না! আস্তে করে বললাম- 'স্যরি, মোহিনী! আমি আসলেই বুঝতে পারিনি আমার কথাটাকে তুমি এতটা সিরিয়াসলি নিয়ে নিবে! আমি সত্যিই স্যরি!'

আমার কথা শুনে মোহিনী আবারও তার সেই সুন্দর হাসিটা দিল। তারপর হাসতে হাসতে হাত বাড়িয়ে আমার নাক টেনে ধরে বলল- 'ওরে বুদ্ধু, আমি তোমার উপরে একদমই রাগ করিনি। তুমিই শুধু শুধু সেইটা নিয়ে টেনশন করছো। আমি তো জানি তুমি কেমন প্রকৃতির। সুতরাং তোমার উপরে রাগ করাও যা, না করাও তাই।'

যাক, অনেকক্ষন পর মনে একটু শান্তি পাইলাম! লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে সামান্য গলা পরিষ্কার করে হাক ছাড়লাম- 'ওয়েটার! এক কাপ কফি, একটা আইসক্রিম আর একটা মোঘলাই প্লিজ!'

কিছুক্ষণের মধ্যে হোটেল বয় হুকুম মোতাবেক জিনিস নিয়ে হাজির হল। আমি ট্রে থেকে কফির মগটা উঠিয়ে নিয়ে বাকি দুইটা মোহিনীর দিকে এগিয়ে দিলাম। তারপর ধিরে সুস্থে খাওয়া-দাওয়া করে রেস্টুরেন্টের বিল মিটিয়ে যখন বাইরে বের হলাম, তখন গধূলী লগ্ন সমাগত! সূর্য রক্তিম আভা ধারণ করে এখন সেটা পশ্চিম গগনে ঢলে পড়েছে! আমি আর মোহিনী ফিরে চলেছি বাসার দিকে। মোহিনী আমার বাইকের পিছনে বসে আলতো করে আমাকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে। ছুটে চলা বাইকের হাওয়া লেগে তার অবাধ্য চুল গুলো বারবার মুখের উপরে এসে পড়ছে। লুকিং গ্লাসে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, মাঝে-মাঝে হাতের আঙ্গুল দিয়ে সে চুল গুলোকে ঠিক করার চেষ্টা করছে। কিন্তু অবাধ্যতার এমনই ক্ষমতা, কিছুক্ষনের মধ্যেই আবারও সেগুলো পূর্বের ন্যায় এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।

এতক্ষণে সূর্যিমামা অনেকটা নিচে নেমে এসেছে। সম্ভাবত এখন তার বিশ্রামের সময়। কিন্তু বিদায় বেলায় সমস্থ প্রকৃতিকে সে এমন একটা স্বর্গীয় আলোয় ভরিয়ে তুলেছে যে, দেখে মনে হচ্ছে যেন প্রকৃতির বুকে এখন রঙের খেলা চলছে। যার কিছুটা আলো বড় বড় গাছের সারি ভেদ করে বাইকে বসা মোহিনীর মুখে এসে পড়ছে! অবাধ্য চুলের লুটোপুটি খেলা, একটা মিষ্টি মুখের মন পাগল করা হাসি আর সূর্যের রক্তিম আভা মিলিয়ে এখন মোহিনীর চেহারাটা দেখলে মনে হচ্ছে যেন সেটা কোন মানুষ্য মূর্তি নয়; বরং স্বাক্ষাত পরীর দেশের কোন অপ্সরী হবে। খুব ইচ্ছা করছিল, এখানে রবি বাবুর সেই বিখ্যাত ডায়ালোগটা বলি- 'আমি পাইলাম, ইহাকে পাইলাম!'

তবে সেইটা সম্ভব হল না। কারণ আমার কথা শুনতে পেলেই মোহিনী জিজ্ঞাসা করবে- 'কি পাইলে?' তখন তার প্রশ্নকে এভোয়েড করার জন্য নির্ঘাৎ আমাকে মিথ্যার আশ্রয় নিতে হবে। আর সেটা হলে একদিনে আমার অনেকগুলো মিথ্যা কথা বলা হয়ে যাবে! একজন মানুষের জীবনে একদিনে অতিরিক্ত মিথ্যার আশ্রয় নেওয়াটা কি ঠিক হবে? তবে সত্যি কথা বললেও সমস্যা। নিশ্চিত একটা পেল্লাই সাইজের কিল এসে পড়বে আমার টান পিঠের উপর! আর বাইক চালানো অবস্থায় যদি সেরকম কিছু ঘটে, তাহলে এক্সিডেন্ট করাটা হয়তো তখন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে! সুতরাং সেদিকে না গিয়ে ব্যাপারটা মাঝা-মাঝি রেখে আপাতত গুণ গুণ করে গেয়ে উঠলাম- 'বধু কোন আলো লাগলো চোখে......'

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- এই গল্পের বিষয়বস্তু সহ যাবতিয় চরিত্র সম্পূর্ন কাল্পনিক। যদি কারো ব্যক্তিগত জীবনের সাথে মিলে যায়, তাহলে সেটা নিতান্তই কাকতালীয় ব্যাপার। সেজন্য লেখক কোন অংশেই দ্বায়ী থাকবে না। তাছাড়া টাইপিংয়ের ভুলের কারনে হয়তো অনেক জায়গায় বানানে ভুল থাকতে পারে। সেটাকে বিবেচ্য বিষয় হিসাবে না ধরে, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে কৃতার্থ হবো!

মন্তব্য ৮৪ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৮৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

আলগা কপাল বলেছেন: সাড়ে এগারোডা বাজে, লাঞ্চ দেন।

খাইয়া পরে গল্প পড়ুম।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই, ব্যাচালর মানুষ! আমি নিজেই অন্যের হাড়িতে পেট দিয়া চলি! সেক্ষেত্রে আপনারে ক্যামনে লাঞ্চ খাওয়াই কনতো? তাও যদি ধারে কাছে থাকতেন, চেষ্টা কইরা দেখতাম! কিন্তু সেইটাও তো সম্ভব না! :)

প্রথম মন্তব্যে ভাল লাগা! শুভ কামনা জানবেন!

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

আলগা কপাল বলেছেন: লাঞ্চ দেওয়ার আগেই পইড়্যা লাইলাম। আইন্নের মোহিনীর মত যদি আমার কেউ থাকতো! আহা! অন্তত রুনার মত কেউ থাকলেও হতো। মুশকিল এই যে একেবারে খাস কোনো প্রবলেম না থাকলে আমি আজ পর্যন্ত কোনো মাইয়ার সামনে কোনো কতা কইনাই। গান গাওয়া তো দূরের কথা। অবশ্য আমার যে গলা!

আপকি কাহানি হামকো বহোৎ আচ্ছা লাগা হ্যায়।

গফ আর বফ নতুন শিখলাম। আইন্নের গফের ফোন নাম্বারডা দিয়েন (আমার নাই তো তাই) একটু গফসফ করুম নি। (Don't take seriously. )

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনি যে বেশ কাজের লোক সেইটা আমার বেশ আগে থাকতেই জানা আছিল! লাঞ্চের পূর্বেই গল্পটা পড়ে শেষ করছেন জেনে মোগাম্ব বহুত খুশ হুয়া! তয় আপনার গফ নাই জাইন্না কিঞ্চিৎ মন খ্রাপ হইলো! ট্রাই মারতে থাকেন, একসময় না একসময় লাইগাও যাইতারে! ;)

ইয়ে আমার গফই তাই আমার লগে গফ গফ করতে গিয়া বিরক্তি প্রকাশ করে! সুতরাং সে যে আপনার সাথে গফ গফ করবে তেমন মনে হয় না! তয় ঝাঁড়ি-ঝুঁড়ি খাওয়ার ইচ্ছা থাকলে দিতারি! মানে প্রতিদিন য্যামনে ঝাড়ির উপ্রে দিয়া দিন যাইতাছে তাই কইলাম আরকি! :P

আর একটা কথা, মজা জিনিসটা আমি খুব ভাল রকম বুঝি! সুতরাং নো সিরিয়াস, ওয়ানলি ফর ফান! ভাল থাকবেন! এবং শুভ কামনা জানবেন!

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

আলগা কপাল বলেছেন: ভাই আফনের কতা হুইন্না দিলডা জুরাইয়া গেলো। তয় ভাই আফনের গফের সাথে আফনেই গফ করেন। আমি বহুক্ষণ কিঞ্চিত চিন্তা কইরা দেখলাম কতা না কওয়াই ভালো। কারণ কি কইতে তার কিছুই আমি জানিনা। তার উপ্রে মাগনা ঝাড়ি খাওয়ার কোনো মানেই হয় না (মেসের ডাইল খাইয়াই যা অবস্থা তাতে ঝাড়ি খাইলে বদহজম অইয়া যাইবো।)।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাইজান বর্তমান সময়ে পেরেম করতে গেলে একটু মাগনা ঝাড়ি না খাইলে ভালুবাসা টেকসই এবং মজবুত হয় না! কবি বলেছেন, প্রেমিকের সাথে প্রেমিকার কোন্দল মানেই প্রেমকে নতুন করে পাওয়া! সুতরাং বুঝতেই পারছেন..... ;)

আন্তরিক মন্তব্যে আবারও অনেক অনেক ভাল লাগা! শুভ কামনা নিরন্তর!

৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: সস্তা প্রেমের গল্পে অসাধারন শব্দ বুনন ।
গল্পের বুনন ভাল লেগেছে ।চিত্র গুলা সাধামাঠা ।শুরুটা দারুন ছিল ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: অনেকদিন পর গড়ের মাঠ ওয়ালা মাথাডারে সামনে পাইলাম! ঠনি দেওয়ার লোভ কিন্তু সামলাইতে পারতেছি না! ;)

আপনাদের মত বিজ্ঞ পাঠকের কাছ থেকে যখন আমার এমন হাবিজাবি লেখার প্রশংসা শুনতে পাই, তখন সত্যিই খুব ভাল লাগে! চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মায়া ভাই!

শুভ কামনা জানবেন!

৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উরব্বিাস!

বফ গফের ডিকশনারী দেখি ;)

এখনকার প্রেম এমনই কি - ভাসা ভাসা পঞ্চভুতে :)

হা হা হা

গল্প ভাললাগল ++++++++++

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাইরে প্রেম করতে গেলে ঐসব শব্দগুলো শিখে রাখাটা জরুরি! বলা তো যায় না, চলতি পথে কখন কোনটা লেগে বসে! ;)

এখনকার প্রেমের কোয়ালিটিটা আমি ঠিক বলতে পারবো না! তবে আমাদের সময় প্রেম মানে ছিল একটা ইয়ে (লজ্জা-লজ্জা) টাইপের ব্যাপার স্যাপার!

মন্তব্যে ভাল লাগা! শুভ কামনা ভৃগু ভাই!

৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪

রাজু আহমেদ তন্ময় বলেছেন: ভালো লাগলো। রুনা নামটা আমার ফেবারিট,,,,, হে হে হে

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: রুনা নামটা আমারও ফেভারিট! সেই কারণেই তো গল্পের মধ্যেও নামটাকে ঢুকাইয়া দিলাম! ;)

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০২

আনিসা নাসরীন বলেছেন: কও স্যার হা হা হা।

অনেক ভালো লেখেছেন।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: হা হা হা, আপু স্কুল জীবনে এমন দুষ্টামি অনেক করছি! এখন সেই দিন গুলোকে সত্যিই খুব মিস্করি..... :(

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আপনার এহেন মন্তব্যে
বড়ই লজ্জাবোধ করিতেছি =p~
আশা করি শীত এখনো নামে নাই ।কাঁথা দিয়েই শীত নিবারন করিতেছেন ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১১

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাইরে, আপনাদের অবস্থানের খবর কইতে পারি না! তবে আমার এখানে প্রচুর শীত! শুধু কাঁথায় কি আর এই শীত নিবারন যোগ্য! এর জন্যযে আরো অনেক কিছু চাই! কিন্তু সেইটা কি আর জাতি বুঝবে? জাতি যে বড়ই অবুঝ! :( =p~

এবার সিরিয়াসলি বলছি, আমি কিন্তু গুণী মানুষের কদর করতে জানি.... ;)

ফিরতে কমেন্টে ভাল লাগা! ভাল থাকবেন মায়া ভাই!

৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
প্রেমে পড়িয়া গিয়েছে মনু পাগল হইয়া B-)

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- মন্তব্যর চরিত্র সম্পূর্ন কাল্পনিক। B-)

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রেম জিনিসটাই তো এইরকম! কেউ পড়ে, আর কেউ মরে; কেউ কেউ আবার দূর থেকে শুধু হা-হুতাশই করে....... ;)

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

১০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: শৈশব স্মৃতি, কৈশর স্মৃতি এবং প্রেমের মিষ্টি মুহূর্ত গুলো নিয়ে গল্পটা বেশ হয়েছে । মোটেও সস্তা নয় । লেখায় পড়ার মতো বেশ কিছু ছোট ছোট মজাদার গল্প আছে ।

শিরোনামহীন ও একটা নাম হয়ে যেতে পারে । যেমন- ' শিরোনামহীন প্রেম' !!

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: আসলে টুকরো টুকরো স্মৃতি মিলিয়েই গল্পটা লেখা! বাস্তবতা না থাকলেও লেখার মধ্যে একটা মৌলিকতা আনার চেষ্টা করেছিলাম! তাছাড়া নামকরণটা এমন করার কারণ হল, অনেক গুলো স্মৃতি একসাথে জোড়াতালি এমন একটা ভজঘট তৈরি হয়েছে যে; শেষ পর্যন্ত নামই খুঁজে পেলাম না! ;)

আপনি একটা কাজ করুণ, 'শীরোনামহীন প্রেম' নিয়ে একটা কবিতা লিখে ফেলুন! ব্যাপারটা তাহলে এক ধরনের ফ্যান্টাসটিক হয়ে যাবে! :)

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

১১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৬

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: কবিতার নাম হিসেবে নামটা মন্দ নয় । কিন্তু আমি তো কবিতা লেখার পর নাম বের করি । কবিতা লিখতে যা সময় লাগে না মাঝে মাঝে এর থেকেও বেশি সময় লাগে নাম বের করতে !! ফিলিং হোপলেস !!!

আপনার কথা ভেবে দেখা হবে ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: উফ, এখানে এত ভাবা-ভাবির কি হল সেটাই তো বুঝলাম না? পাঠকের অনুরোধ কি কবির জন্য রাখা উচিত না?

আমিও কোন লেখার নাম করণের ক্ষেত্রে অনেকটাই আপনার মত! প্রথমে লেখা কম্পিলিট করি, তারপর নামকরণ!

আমি একটা জিনিস লক্ষ করেছি। কোন লেখা কম্পিলিট হওয়ার সাথে সাথে চট করে তার জন্য একটা সুন্দর নামও মনে পড়ে যায়! এটা আপনার বা অন্যদের ক্ষেতে কতটুকু ঘটে তা জানি না! তবে আমার ক্ষেত্রে খুব ঘটে!

আপনার নেক্সট কবিতা পড়ার প্রতিক্ষায় রইলাম! আশাকরি নিরাশ হবো না?

১২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৯

কালীদাস বলেছেন: গল্পের প্রথম আর শেষ পার্ট সম্পূর্ণ আলাদা। আমার কাছে প্রথম পার্টটা ভাল লেগেছে বেশি, নিজের কিছু স্মৃতি মনে পড়ে যাওয়ায়। আরবী টিচারদের সাথে খুব ভাল কখনই বনত না আমাদের, টুপি পড়ে না গেলে পাছায় যে বাড়িটা মারত না একেকজন :(( ক্লাস নাইনে পড়ার সময় আমাদের আরবী স্যারকে প্রচন্ড জ্বালাতাম আমরা। স্যার বছরের শুরুতে শাসন করতে যেয়ে একটু বেশি বেশি করে ফেলেছিলেন। পরবর্তীতে আমাদের ফাজলামি এতটাই বেড়ে যায় যে স্যার মুটামুটি সপ্তাহে দুইচারবার বলতেন "তোদের উপর আল্লাহর গজব পড়বে"। সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ফাজলামিটা ছিল যেটা- পেছনে বসে একজন বলত "মির্জা গালিব"। সাথে সাথে সারা ক্লাস একসাথে বলতাম মারহাবা, মারহাবা =p~

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: কালীদাস'দা, আপনি ঠিকই ধরেছেন! এই গল্পের পার্ট দুইটা। তবে আমি যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছিলাম, গল্পের মধ্য থেকে বের না হয়ে এক নাগাড়ে গল্পটা শেষ করে দিতে! মানে পার্ট দুইটা হলেও একটানা ফিনিসিংয়ে সেটা যাতে ততটা ধরায় না আসে!

তবে আপনার মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে কোথাও একটু গলদ থেকে গেছে! :((

আপনার স্কুল লাইফের ঘটনাটা বেশ ইন্টারেস্টিং! ছোট থাকতে স্যারদের সাথে হালকা পাতলা বাদরামি করেনি এমন ছাত্র বোধ হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না! কিন্তু 'মির্জা গালিব' বলতেন কেন? ওনার নাম কি মির্জা গালিব ছিল, নাকি ভেংচি কেটে ডাকতেন?

আমার প্রাইমারীর হেড স্যারও ছিলেন অনেকটা আপনার এই মির্জা গালিব স্যারের মত! তবে তার শাষনের মাত্রটা ছিল একটু ভিন্ন রকম! মানে তিনি ক্লাসে পড়া লিখতে দিয়ে চেয়ারে বসে বসে ঘুমাতেন! এবার হঠাৎ পাঁচ-সাত মিনিট পরে ঘুম ভেঙে লেখা চাইতেন। যদি না দিতে পারতাম, তাহলে একটানা মাইর। :(

এই মাইরের ক্ষেত্রে কিন্তু কারো ছাড়া নেই। মানে যার পড়া হইছে সেও মার খাবে, যার পড়া হয়নি সেও মার খাবে! গড়ে ধড়ে হাটু জল!! ;)

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

১৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:১৬

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: ভাবলাম সস্তাই যখন একটু চোখ বুলাই ( আমি আবার সস্তা কিছু একদম পাত্তা দেইনা 8-|) কিন্তু কেমনে কেমনে যেন পড়েই শেষ করে ফেললাম :``>> যাই হোক সস্তা হইলেই খ্রাপ না :P

(ইহা কাহার অতীত ইতিহাস প্রশ্ন করিয়া লেখক কে বিব্রত করা সমিচন নহে, তাই আর ওইদিকে কীবোর্ড চালাইলাম না ;) )
সাহসী কে শুভেচ্ছা

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: হা হা হা, সস্তা গল্প পড়তে আইসা সোহেলী আপু ফাঁইস্যা গেলেন মনে হয়? ভুল কইরা হইলেও পোস্টে চোখ বুলাইয়াই যে চম্পট দেন নাই, অন্তত সময় নিয়া লেখাটা পইড়া শেষ করছেন; সেজন্য আপনারে একগাদা ধইন্যা..... :)

আর উহা কাহার ইতিহাস সেইটা যখন বিশেষ দ্রষ্টব্যতে স্পষ্ট করে বলেই দেওয়া আছে, সেক্ষেত্রে এখানে আপনি যে সেইটা জিজ্ঞাসা করে লেখককে বিব্রত করিবেন না; তাহা আমি বেশ ভাল করিয়াই জানিতাম! আফটার অল, আপু বলিয়া কথা...... ;)

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু! শুভ কামনা জানবেন!

১৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এত সাত কাহন !!!

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: কোন্টা সাতকাহন? B:-) আপা মনে হয় ভাবছে, সাহসীর লেখা মানেই সেটা সাতকাহন হইবেক! কিন্তু উহা যে একটা ফেরেমের গল্প, তাহা কি আপা বুলিয়া গিয়াছে! আপচুচ, আমার আর এ জীবনে ফ্রেমের গল্প লেখা হইলো না! ;)

ধন্যবাদ মনিরা'পা! শুভ কামনা জানবেন!

১৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তিনদিন লাগছে শেষ করতে এই প্রেমের সাতকাহন ।
কই থিকা কই নিল আর আনল তাই সাত কাহন বলছি B-)

লেখা ভালো লাগছে :)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপা, ডিজি-টাল প্রেমের গল্প তো; সেই জন্যই ব্যাপারটা একটু সাতকাহন টাইপের না হইলে কেমন জানি লাগে! গল্পটা ভাল লেগেছে জানতে পেরে আমারও ভাল লাগছে! এবং সেটা পূনঃমন্তব্যে জানিয়ে যাওয়ার জন্য এক ট্রাক ধইন্যা!!

শুভ কামনা আবারও!

১৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সব থেকে বদরাগী স্যারের তকমাটা তিনি অনায়াসে হাতিয়ে নিয়ে বসলেন! =p~
বেশ মজা করে লিখেছেন। ব্যাপক মজা পেলাম।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১

সাহসী সন্তান বলেছেন: লিটন ভাই, আমি অনেকটা আপনার মতই উত্তম পুরুষে রম্য লেখার চেষ্টা করছি! দোয়া করবেন..... ;)

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

১৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বেশ ভাল লাগল। তবে শেষ হইয়াও হইল না শেষ। ধন্যবাদ

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ সোহেল ভাই! তবে গল্প আরো বড় করলে পাঠকরা বিরক্ত হবে বলে একটা কাংখিত স্থানে এসে সেটার ফিনিশিং টেনে দিয়েছি! বাকিটা না হয়, পাঠকরাই তাদের নিজেদের মত করে ভেবে নিক! ;)

মন্তব্যের জন্য আবারও ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

১৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আমার ফেভারিট কালার নীল।

আকাশী নীল আর সাদার কম্বিনেশনে কোন মেয়ে দেখলে আমি কোন কারণ ছাড়াই মুগ্ধ হয়।

মোহিনী নাম পছন্দ হয় নি।

গল্প ৩/৫

আমি অলস জানেন। এতোটা পড়ছি। খাওয়ান। ছ্যাঁচড়ামি করবেন না।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪১

সাহসী সন্তান বলেছেন: সকালে ব্লগে ঢুকে প্রথমেই আপনার মন্তব্যটা দেখে ভাবছিলাম, আসমানে সূর্য আজ কোনদিক থেকে উঠলো! মানে নিজেই নিজের অলসতার সার্টিফিকেট দিয়ে আবার বলছেন এই গল্পের পুরোটা আপনি পড়ছেন? হাউ পসিবল?

আপনি প্রমান করাইতে পারবেন, এই গল্পের পুরোটা আপনি পড়ছেন? যদি পারেন তাইলে প্রমিজ, আপনি যা খেতে চাইবেন আমি তাই খাওয়াবো! প্রয়োজনে বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের স্পেশাল সিট বুুকিং দিয়ে আপনার কাছে খাবার পাঠানো হইবে! শুধু একবার প্রমাণ করেন, পোস্ট আপনি পড়ছেন? ;)

নীল আর সাদার কম্বিনেশনটা আমার কাছেও ভাল লাগে। তবে সেটা বর্তমানে শুধুমাত্র আমার নিজের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য! অন্যের জন্য ঐ গোলাপীতেই সই! জীবনে মারাত্মক যে কয়টা ভুল করেছিলাম, তার মধ্যে ঐ একটা হইলো নীল আর সাদার কম্বিনেশন! যার কিছুটা বর্ননা আপনি এখানে 'পুনশ্চের' মধ্যে পাবেন! তারপর থেকে ঐ কালারটাকেই আমার জীবনের একটা অভিশাপ বলে মনে করি! :(

মহিনী নামটা আপনার কাছে ভাল নাও লাগতে পারে! আমার কাছে যেমন নীলাদ্রিতা ভাল লাগে না, ঠিক সেই রকম হয়তো। সুতরাং উহাতে আমি ষড়যন্ত্রকারীদের একটা ঈর্শা বলেই ধরে নিলাম! তবে রেটিংটা ভাল লাগছে। এমন গল্পে ৫-এ ৩ রেটিং পাওয়াটাও তো আমার ভাগ্যের ব্যাপার!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রাজপুত্তুর! শুভ কামনা জানবেন!

১৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪১

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন:

আম তলায় শুরু করে
বেল তলায় শেষ,
গল্পঃ পড়ে মনে হলো
লিখেছেন ভাই বেশ।

আহারে ....কেন যে এতো তাড়াতাড়ি বিয়া কইল্লাম।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: তাই তো বলি, বেচারাকে এতদিন দেখা যাইতেছে না কেন? মিয়া আমরা এদিকে আপনার বিহনে হাহাকার কইরা মরছি, আর আপনি আছেন জামাই ষষ্টি খাওয়ায় ব্যস্ত! এইটা কিন্তু ঠিক হইলো না! দাওয়াত না দিয়া বিয়া করার তেব্রো প্রতিবাদ জানাইলাম! ;)

গল্প বেশ হইছে জানতে পেরে ভাল লাগছে! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা শামীম ভাই!

২০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: পেত্তম কথা সত্য প্রমাণের প্রয়োজন পড়ে না। কও স্যার ওজুর পানি হলুদিয়া পাখি অবাধ্য চুল হাতের আঙুল বাইক।

৩/৫ পাওয়ার কারণ এইটা সাস লিখছে। ;)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: আঙ্গুল শুধু হাতের না, পায়েরও আছে! বাঁ পায়ের! ঐটা আমার আঙ্গুল বলেই বুঝি তাহার সহিত এমন অবহেলা? পরীক্ষায় ফুল মার্কস দিতে পারলাম না বলে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত রাজপুত্র! আগামীতে আরো ভাল করবেন, সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি! ;)

৩/৫ পাওয়ার কারণ এইটা সাস লিখছে।

- বারি সিদ্দিকির একটা গান মনে পড়ছে! আমার ঘরে জ্বালা, বাইরেও জ্বালা..... তবে এখানে সেটা উল্টাইয়া গাইতে হবে, আমার ঘরেও শত্তুর; বাইরেও শত্তুর! :P

২১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩০

নীলপরি বলেছেন: ঘুম পাচ্ছিল খুব । পোষ্টটা দেখে ভাবলাম কালই পড়বো । তারপর পড়তে শুরু করে সব ঘুম কেটে গেছে । ভালো লাগলো খুব ।

মহিনী < মোহিনী হলে ভালো হোতো বোধহয় ! যতদূর জানা আছে -- মোহময় যে সেই মোহিনী । :)

+++++++

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: হা হা হা, নীলপরির ঘুমের ডিস্টার্ব করার জন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি! তবে ঘুম কামাই করে লেখাটা পড়ে সাথে সাথে নিজের ভাল লাগাটাও জানিয়ে যাওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! আমি খুবই উৎসাহিত বোধ করছি নীলপরি!

আর নামের বানানটা সংশোধন করে নিয়েছি! ভুলটা ধরিয়ে দিয়ে আপনি খুব ভাল কাজ করেছেন! আসলে লেখার ক্ষেত্রে আমার সব থেকে বড় দোষ হল, অনেক সময় সাধারণ বানানও আমি হুট করে ভুল করে বসি। :(

মোহময় যে সেই মোহিনী। < আমি বলি, মোহময় করে যে সেই মোহিনী! ;)

চমৎকার মন্তব্যের জন্য আবারও ধন্যবাদ! কৃতজ্ঞতার সহিত প্লাস গৃহীত হল! ভাল থাকবেন এবং শুভ কামনা জানবেন!

২২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০১

কালীদাস বলেছেন: নাহ, স্যারের নাম ছিল কি হক জানি: এতবছর পরে আর মনেও নেই :( মাঝে মাঝে সারা ক্লাস একসাথে হক হক হক হক করে জিকিরও করতাম। মির্জা গালিব ডাকার কারণটা ছিল সেইরকম, বিটিভিতে তখন তানসেন দেখাত; সেখানেই মনে হয় মির্জা গালিবের টার্মটা এসেছিল কোন জায়গায়। চিন্তা করেন কেরকম পোংটা ছিলাম ঐ আমলে :D সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং যেইটা ক্লাসে সংখ্যালঘু ছিল মনে হয় ৩জন সেবছর, আমাদের ফাজলামি দেখে বছরের শেষের দিকে ওরাও আমাদের সাথে সুর মেলাত।

হ্যাঁ, গল্পের দুই পার্টের মধ্যবর্তী ব্রেকটা পরিষ্কার। ব্যাপার না, এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে যান, মনমত হবেই কোন না কোন এক সময় :)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: ছোট থাকতে টুকটাক সবাই একটু আধটু পুংটা থাকে! তবে আপনি যে এদিক থেকে আরো একটু এগিয়ে সেটা বোধহয় হালকা-পাতলা জানি। ;) তবে আপনার মত আমারও দশা! আপনার মন্তব্যটা পড়ে আমি প্রাইমারির কয়েকজন স্যারদের নাম মনে করার চেষ্টা করলাম, কিন্তু দু'একজন ছাড়া আর পারলাম না! :(

আপনি যে, গল্পটা খুব মনযোগ দিয়ে পড়েছেন সেটা আপনার কমেন্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে! আমি আসলে আমার কোন লেখায় অত্যধিক পাঠকের বাহুল্যতা চাই না, যদি আপনাদের মত দু'একজন পাঠকও সেটা মনযোগ দিয়ে পড়ে তার নিজের ফিডব্যাক জানিয়ে দিয়ে যায়; সেটাতেই আমি খুশি! :)

সুন্দর মন্তব্যের জন্য আবারও ধন্যবাদ কালিদাস ভাই! শুভ কামনা রইলো!

২৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

নীলপরি বলেছেন: আরে বানানের ব্যাপারে আমারও একই হাল । নিজের বেলায় খেয়াল থাকে না ।

মোহময় করে যে সেই মোহিনী -- সেটা আপনার লেখা পড়েই বোঝা যাচ্ছে । :)

শুভকামনা ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: নীলপরি একটা প্রবাদ আছে না, সব স্যাঙাদের একই হাল? আপনার আর আমার দেখি সেই অবস্থা! অনেক সময় 'সঠিক' বানানটাই তো মাঝে-মাঝে ভুল করে বসি! তাইলে এবার বোঝেন অবস্থা! ;)


মোহময় করে যে সেই মোহিনী -- সেটা আপনার লেখা পড়েই বোঝা যাচ্ছে।

- হা হা হা, এই টুকু পড়ে ব্যাপক মজা পাইলাম! মোহিনী শব্দের অর্থ হিসাবে আপনারটাই ঠিক আছে। আমি তো কেবল আমার লেখার সারমর্মকে তুলে ধরতেই আপনার সাথে মজা করে ঐটা বলেছিলাম! :)

আবারও আপনার উপস্থিতি খুব ভাল লাগলো! শুভ কামনা রিটার্ন্স!!

২৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৫

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার গল্প। খুব ভালো লাগল।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই! গল্প আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম!

শুভ কামনা জানবেন!

২৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক বড় লিখা , আপাতত প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ।
শুভেচ্ছা রইল

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ! শুভেচ্ছা রিটার্ন্স...... :)

পোস্ট প্রিয়তে রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন!

২৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
লাইক দিয়া হাসি দিলাম।

এই গল্পের বিষয়বস্তু সহ যাবতিয় চরিত্র সম্পূর্ন কাল্পনিক। উলটা মনে হইল! =p~

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০০

সাহসী সন্তান বলেছেন: জ্বি না, লেখার প্রতিটা বাক্যই সম্পূর্ন কাল্পনিক। উহার সাথে জীবত অথবা মৃত কারো লগেই কোন প্রকারের মিল নেই। যদি মিল পান, তাইলে অবশ্যই সেটা কাকতালীয় ব্যাপার হয়ে যাবে! সেজন্য লেখককে কোন মতেই দ্বায়ী করা চলবেক না! ;)

অনেকদিন পর আপনাকে পাইলাম! ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা জানবেন!

২৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

সুন্দরী মেয়েরা একটু-আধটু অহংকারী হবে, এটা হল নিপাতনে সিদ্ধ! যে মেয়ে অহংকারী না, সে আসলে সুন্দরীই না! যদি কোন মেয়ে বলে, 'আমি সুন্দরী তবে অহংকারী নই;' তাহলে নিঃসন্দেহে তাকে মিথ্যাবাদী হিসাবে সাব্যস্ত করে নিতে পারেন। কারণ, সুন্দর আর অহংকার, এই দুইটা শব্দ একে অপরের সাথে একদম ওৎপ্রত ভাবে জড়িত এবং অনেকটাই প্রকৃতি প্রদত্ত। সুতরাং এদিক থেকে বিবেচনা করলে দোষ যতটা না মেয়েদের তার থেকে বেশি প্রকৃতির।

ও তাইলে সুন্দরী মেয়ে নিয়েও গবেষণা হচ্ছে! ওয়াও!

:D

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: এইখানে ওয়াওয়ের কিছু নাই মিয়া। গবেষক মানুষ, গবেষণা করবে না তো কি ঘোড়ার ঘাস কাটবে নাকি? যেভাবে হোক, যাদের নিয়ে হোক; গবেষণা একটা করলেই হইলো! আপনাদের দ্বয়িত্ব হইলো গবেষণায় ভুল ধরা। সেইটা না পাইলে গবেষণা ১০০% কারেক্ট বলে বিবেচিত হইবেক! ;)

পয়েন্ট টুবি নোটেড ইওর অর্নার- 'আপনি এমন কোন সুন্দরী মেয়ে দেখাইতে পারবেন, যার মধ্যে কোন ধরনের অহংকার নেই? দেখাইতে পারলে কথা দিলাম, উক্ত মেয়ের লগে কোন ধরনের দ্বিধা ছাড়াই আমি প্রেম করিবো!' :P

=p~ =p~ =p~

২৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: ভাই, বিয়েটা আরও অনেক আগেই সেরে ফেলেছি। প্রথম সন্তানের বাবা হলাম মাস তিনেক আগে। তাই কিছুটা ব্যস্ত ছিলাম।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: ওহঃ স্যরি। তাহলে আমিই ভুল ভাবছিলাম! রিয়েলি স্যরি! এবং সাথে অবশ্যই কনগ্রাচুলেশানস্!!

কিন্তু তারপরেও ব্যস্ততার মধ্যে যে ব্লগটাকে ভোলেননি, সেটা দেখে ভাল লাগছে। ধন্যবাদ ভাই! শুভ কামনা!

২৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান ,



পড়েছিলুম অনেক আগেই । বেশ বড় বলে দু'বারের সিটিংয়ে ।

রসের গাছের মগডালে বসে চমৎকার লিখেছেন । এ ডাল থেকে ও ডালেও গিয়েছেন অবলীলায় ।
তাই , ১২ নং কমেন্টে "কালীদাস" বলেছেন - "গল্পের প্রথম আর শেষ পার্ট সম্পূর্ণ আলাদা। "
আমার কাছে তা মনে হয়নি ।
হয়নি কারন , যেখানটাতে কালীদাস বিভাজন টেনেছেন , ভালো করে দেখলে দেখবেন আসলে ওটা বিভাজন নয় । যেহেতু ওখানে আপনি লিখেছেন - শীতের জন্য যে জ্যাকেটটা কিনেছি; সেটার রং ছাই বা সবুজ না হয়ে বরং হলুদ রঙয়ের হয়ে গেছে। একবারে যে হলুদ তা বলা যাবে না। অনেকটা গোধূলী লগ্নে সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়লে প্রকৃতির বুকে যে একটা রক্তিম আভা বিরাজ করে .........
তারপরেই সেই জ্যাকেটটা গায়ে দিয়ে মোহিনীর সাথে দেখা করার কথা বলেছেন ।
তাহলে খুব কি আলাদা মনে হবে ? আমিতো তাই লিখেছি ----এ ডাল থেকে ও ডালেও গিয়েছেন অবলীলায় ।
কারন , এর আগের বর্ণনা এমন - ".......আফ্রিকান কোন কুৎসিত মেয়ে গোলাপী স্যালোয়ার কামিজের..... ." একটার সাথে একটা যুক্ত । এ ডাল থেকে ও ডাল, তাইনা ?

যাকগে , শেষমেশ কি উহাকে পাইলেন ?

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমি পোস্ট দেওয়ার পরে প্রথম দিকে আপনাকে না পেয়ে বলা চলে একটু কনফিউশনে পড়ে গিয়েছিলাম! ভাবছিলাম সম্ভাবত পোস্টটা আপনার দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে! কেননা আপনাদের মত কয়েকজনের উৎসাহতেই এখনো কোন কিছু লিখতে ভাল লাগে!

আসলে কালীদাস ভাই যে মুভমেন্ট থেকে পোস্টটা বিশ্লেষন করেছেন সেটা যেমন ঠিক আছে, তেমনি আপনার বিশ্লেষনটাও ঠিক আছে। সব থেকে ভাল হতো যদি আমি কাংখিত স্থানটিতে একটা পর্ব লিখে দিতাম, তাহলে কিন্তু আর মনে কোন প্রশ্ন জাগতো না।

তবে সাধারণত এক তরফা লেখার মধ্যে পর্ব তৈরি করতে আমি ততটা পছন্দ করি না। সেজন্যই আর পর্ব লিখিনি। তবে আপনি যে বিষয়টাকে এতটা সুক্ষ্ম ভাবে দেখেবেন সেটা ভাবি নাই! আসলে একটু ভালভাবে নজর করলে কিন্তু পর্বের ব্যাপার আর ততটা ঝামেলা করে না! কেননা, কিছুটা বোঝা গেলেও আমি যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছিলাম জয়েন্টটাকে নিখুঁত ভাবে এক করতে!

আপনার মন্তব্যগুলো আমার কাছে ভাল লাগার অন্যতম কারণ হল, আপনি বলা চলে যে কোন পোস্টেরই একটা পোস্ট মর্টেম করে ফেলতে পারেন। তাছাড়া এমন মন্তব্যই একজন লেখককে আরো ভাল কিছু করতে উৎসাহ প্রদান করে!

যাকগে, শেষমেশ কি উহাকে পাইলেন?

- সেটা গল্পের নায়ক বলতে পারবে, আমি না! আমি তো কেবল লেখক মাত্র! ;)

চমৎকার মন্তব্যে ভাল লাগা! শুভ কামনা জী এস ভাই!

৩০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



গল্পের স্কুলের ঘটনাটা সুন্দর, তবে প্রকাশ করতে বেশী বাক্য ব্যয় করা হয়েছে!

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০১

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার অভিযোগটা ঠিক আছে। তবে মূলত গল্পটাকে গতিশীল রাখতে এবং গল্পের কন্টেন্টটা একটু ভিন্ন করতেই তার মধ্যে অতিকথন একটু বেশি পরিমাণে ঢোকানো হয়েছে! তাছাড়া যে বর্ননাটা রাখা হয়েছে সেটাকে গল্পের সাথে সামঞ্জস্যতা পূর্ণ হিসাবেই রাখা হয়েছে!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৩১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: স্কুল লাইফে পড়ার সময় রুনা নামের এক জুনিয়র মেয়ে প্রায় প্রতিদিনই স্কুলে হলুদ ড্রেস পরে আসতো বলে তার কাছাকাছি থেকে মাঝে-মাঝে তাকে শুনিয়ে শুনিয়ে গুন-গুনিয়ে গেয়ে উঠতাম- "হলুদিয়া পাখি, সোনারই বরণ! পাখিটি ছাড়িলো কে.....?" -- এই ইঁচড়েপাকা, অকালপক্ব বাঁদরের বাঁদরামো আমাকে এখন পড়তে হবে!!!!!! হা খোদা -------------!! আচ্ছা দেখিই না!!!

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০০

সাহসী সন্তান বলেছেন: ইয়ে আমার পূর্বেই যে আপনি ব্লগে রেজিস্টেশন করিয়া বসিয়া আছেন, উহা কি আর আমি জানিতাম! আর জানিলেও কি, এই গপ্প এইখানে প্রকাশ করিতাম? তয় পড়িয়া যখন ফেলিয়াছেন তখন আর কি করা! বড়'পা হিসাবে নিজ গুণে ক্ষমা করিয়া দিয়েন! ;)

অবশ্য আপনি যে অতিশয় ক্ষমাশীল একজন মানুষ, তাহা আমি বেশ ভাল করিয়াই জানি (পিঠ বাঁচাইতে পামের উপ্রে থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নাই) :P

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু! শুভ কামনা জানবেন!

৩২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আজ প্রথমবারের মত সেই জ্যাকেটটা গায়ে দিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে দেখা করতে যাচ্ছি মোহিনীর সাথে! মোহিনী আমার গফ। --------- যেহেতু সব চরিত্র কাল্পনিক, তাই আমার ব্যবচ্ছেদও কাল্পনিক!!!

হিট নায়িকা হিসেবে মাধুরী দীক্ষিতের প্রথম ছবিতে তার নাম মোহিনী!!!
এখানেই বোঝা যায়, আমাদের গল্পের নায়কের মাধুরী ফিবার আছে!!! ;)
পরে আসছি ----------------------------

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপা আম্রে কি আপনি গিনিপিগের লাহান ব্যবচ্ছেদ করিবার পিলান ভাজতেছেন নাকি? তাহা হইলে কিন্তু আমি এক্কেবারে মরিয়া যাবো! আর একবার মরিলে যে আর বাঁচিবো না, তা নিশ্চই আপনাকে বলিয়া দেওয়া লাগিবে না? ;)

আপামনি গল্পের নায়কের মাধুরী ফিবার আছে কিনা জানি না, তয় হেতি যে পুরোপুরি একজন মোহিনী ফিবার উহা হলপ করিয়া বলা যায় (ইয়ে গল্পাটা পড়িয়া বুঝিলাম আর্কি)! :P

পরে আসার আর কি দরকার? দুইটা মন্তব্যতো অলরেডি দিয়াই দিয়াছেন? আপ্নার আল্লার দোহায় লাগে, আর এমুখো হইয়েন না! ভুই পাইতেছি (ওরে কইতরি এক গ্লাস পানি দিয়া যা নারে.....) ;)

৩৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৬

আমিই মিসির আলী বলেছেন: বর্ণনা বেশি হয়ে গেছে।
তবে আমার অসীম ধৈর্য্যের কাছে এ বর্ণনা দুধ ভাত। পড়তে পড়তে গল্পের নায়ক হয়ে যাচ্ছিলাম একটুর জন্য।


তা বই মেলায় কি কোন চমক থাকছে নাকি??

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: মিসির আলীর মত পাঠক পাইলে লিখেও যে আরাম পাওয়া যায়, সেইটা জাতি অনেক আগের থেকেই বুঝে গেছে! ধৈয্য পরীক্ষায় আপনি যে উত্তীর্ণ হতে পেরেছেন সেজন্য ধইন্যা, আর পুরষ্কার হিসাবে লগে নায়কের পাটটাও না হয় দিয়া দিলাম! ;)

বই মেলায় হয়তো ঘুরতে যেতে পারি! চমক মনে করলে সেইটাই হইতে পারে! এই ছাড়া আপাতত বই মেলার লাইগা আমার তরফ থেকে কোন চমক নাই!! :)

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই! শুভ কামনা জানবেন!

৩৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৩

নীলপরি বলেছেন: নতুন বছরের অনেক শুভেচ্ছা রইলো । আপনার কাছ থেকে এরকম নতুন লেখার আশা রাখলাম।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

সাহসী সন্তান বলেছেন: খুব ব্যস্ততায় দিন যাচ্ছে পরি! পোস্ট লেখা আছে, কিন্তু সময়মত প্রতিউত্তর করতে পারবো না বলেই পোস্ট প্রকাশ করা হচ্ছে না! :( তবে দেখি আপনার কথা রাখার চেষ্টা করবো! হ্যাপি নিউ ইয়ার জানানোর জন্য ধন্যবাদ!

আর আপনার জন্যেও হ্যাপি নিউ ইয়ার! আশির্বাদ রইল, নতুন বছরটা যেন আপনার খুব ভাল ভাবেই কেটে যায়!

অফুরন্ত শুভ কামনা!

৩৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমি যে কারো কাছে 'মত' হওয়ার মত, এটা জেনে লজ্জিত! :P

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: তার জন্য অবশ্য আপনারে দোষ দেওয়া যায় না! বিখ্যাত মানুষ'রা আসলেই জানে না তারা কতবড়! এটা তাদের একটা মাহাত্ম্য! তবে আপনি যে ব্যাপারটা লজ্জিত হবেন সেইটা বুঝি নাই! বুঝলে হয়তো অন্যকিছু কইতাম..... ;)

পূণমন্তব্যে আবারও ধন্যবাদ লিটন ভাই!

৩৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: "হলুদিয়া পাখি, সোনারই বরণ! পাখিটি ছাড়িলো কে.....?".....রুনা এখন কোথায় আছে বলতে পারেন কি? ;)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২

সাহসী সন্তান বলেছেন: তা ক্যামনে কই? সে তো এখন বিবাহিত.... :P

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৩৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আচ্ছা ঠিক আছে স্যার' বলে রুনার দিকে তাকিয়ে একটা চোখ টিপ মেরে অফিস রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম! .......এতো কিছুর পরেও চোখ টিপি! আপনার তো সুন্দর বনের করমজলে থাকা উচিৎ ছিল =p~

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাইয়ু, চোখ টেপা-টেপি তো আর আমি করি নাই! করছে গল্পের নায়ক! সুতরাং সেখানে গল্প কথককে টেনে আনাটা নেহায়েৎ অসৌজন্য হয়ে যাবে! আমি অতিশয় ভাল পুলা! ঘরে সেটার সার্টিফিকেটও আছে..... ;)

তবে এভাবে চাপা-চাপি করলে আমার বোধহয় আসলেই করমজলে যাইতে হইবেক! =p~

৩৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: যদি কোন মেয়ে বলে, 'আমি সুন্দরী তবে অহংকারী নই;' তাহলে নিঃসন্দেহে তাকে মিথ্যাবাদী হিসাবে সাব্যস্ত করে নিতে পারেন। কারণ, সুন্দর আর অহংকার, এই দুইটা শব্দ একে অপরের সাথে একদম ওৎপ্রত ভাবে জড়িত এবং অনেকটাই প্রকৃতি প্রদত্ত।........বিশাল আবিস্কার, কলম্বাসের মতোই আপনার নামটাও একদিন বইয়ের পাতা থেকেই মানুষজন জানতে পারবে :-B

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২

সাহসী সন্তান বলেছেন: সেকি! আপনি জানেন না মনে হয়? এই আবিষ্কারের জন্যে তো ইতোমধ্যে গ্রীনিচ বুক ওয়ালারা তো আম্রে খোঁজা-খুঁজি করা শুরু কইরা দিছে! তাদের ইতিহাসে নাম উডানোর জন্য বেশ কয়েকবার রিকোয়েস্টও করছে! তয় আমি রাজি হই নাই! :-0 ;)

ইচ্ছা আছে আরো কিছু আবিষ্কারটার কইরা একবারে হাত-পা ধুইয়া গ্রীনিচ বুকে নাম উডাইবো! :P

৩৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫

জুন বলেছেন: নাতিদীর্ঘ গল্পটি পড়তে গিয়ে মনে মনে চিন্তা করে রেখেছিলাম দুদিন লাগিয়ে পড়বো । কিন্তু শুরুর পর আর থেমে যেতে পারি নি ।
মন্তব্যে পাঠক যা যা বলবে বলে ভাবে তা তুমি নিজেই বলে দাও সাহসী । তাদের আর সুযোগ দাও না X((
যেমন রুনার ঘটনার পর ইভটিজার বলতে চেয়েছিলাম । দেখলাম সেটা তুমি নিজেই বলে ফেলেছো ☺ যাক স্যারের জন্য ওজুর পানি তুলে তুলে কিছুটা হলেও সোয়াব কামিয়েছো ।
আর মোহীনি ও তার বফতো বুদ্ধির যাদুতে মুগ্ধ করে রাখলো পাঠকদের :)
অনেক অনেক ভালোলাগা ।
+

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: ওহঃ অবশেষে আমার নাতিদীর্ঘ গল্পে তাইলে জুনা'পুর পদধূলি পড়লো? আসলে আপু, গল্পটা লিখতে লিখতেই কিভাবে জানি বড় হয়ে গিয়েছিল; সেটা আমি নিজেও জানি না! তাছাড়া জানেনই তো, আমার পোস্ট মানেই একটা বড়সড় রকমের ঝামেলা.... B-) ;)

তবে আপনি যে গল্প পড়ে আমাকে 'ইভটিজার' বিশেষণে বিশেষায়িত করবেন, সেটা যদি আগের থেকে একটু বলে রাখতেন; তাইলে ঐ জায়গাটা অন্তত আপনার বলার জন্য খালি রেখে দিতাম! :P

আর অজুর পানি তুলে কি ছোয়াব কামিয়েছি পোস্ট পড়ে সেটা নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন! সুতরাং আমি আর ঐদিকে যাইতে চাইতেছি না! ;)

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৪০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬

শামীম সরদার নিশু বলেছেন: চমৎকার প্রকাশ। খুব ভালো লাগল।

যাই হোক আমার ব্লগবাড়ীতে দাওয়াত রইল।
আমি ব্লগে নতুন। আমার ব্লগবাড়ী থেকে এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত খেয়ে আসবেন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৪১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

চি র কু ট বলেছেন: শুধুই স্মৃতি। কেন জানি না খুব মিস করছি! কি জানি, প্রেমটা মনে হয় শেষ পর্যন্ত সস্তাই থেকে গেল :(

১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: ট্যাকা খর্চা কৈরা প্রেম করলে সেইটা আর সস্তা থাকে না, বরং গাজী ট্যাংকির লাহান শক্ত এবং মজবুত হয়। কিন্তু তা তো আর শুনবা না। যাউকগা, উচিৎ কথা কইলে তো আবার কইবা বেয়াই সাবের মুখ খ্রাপ... ;)


মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা রইলো!

৪২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটু বড় হয়ে গেছে, তবে প্রেমের গল্পটাকে মোটেও সস্তা মনে হয়নি।
পোংটামিগুলো বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছে। কথোপকথনে আধুনিকতার ছোঁয়া পাওয়া যায়।
গল্প ভাল লেগেছে। + +

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম! মন্তব্য আর প্লাস প্রদানের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.