নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

{♥ যদি কখনো নিজেকে একা ভাবো, তাহলে ঐ দূর আকাশের অসীম সীমান্তের দিকে তাকিয়ে থাকো! কখনো নিরাশ হয়ে যেও না! হয়তো বা একটা বাজপাখিও তোমার দিকে উড়ে আসতে পারে! ♥}

সাহসী সন্তান

আমাকে তোর ভালোবাসার দরকার নেই। শুধু পাশে থেকে একটু সাহস যোগাস, দেখবি তখন ভালোবাসাটা এমনিতেই চলে আসবে!!

সাহসী সন্তান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বোন বড় ধন রক্তের বাঁধন, যদিও পৃথক হয় স্বামীর কারণ...

১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৪


অনুরোধে ঢেকি গেলার মত একটা কথা বাংলা প্রবাদে প্রচলিত থাকলেও আমাকে গিলতে হয় ছোট বোনের রান্না করা উপমহাদেশের আজগুবি সব রেসিপি। মাঝে মাঝে মনে কৌতুহল জাগে, কি জানি আমাকে কি ওর মানুষ বলে মনে হয়? নাকি গিনিপিগ বা ঐ জাতীয় কোন জন্তু ভাবে, যাকে খুব সহজেই ব্যবচ্ছেদ করা যায়!

ঘটনাটা রমজানের আগে কোন এক দুপুরের। বাবা আমি আর ছোট ভাই, তিন বাপ বেটায় মিলে খাইতে বসছি। পরিবেশন করতেছেন আম্মা হুজুর। কিন্তু খাবারের টেবিলে আরও একজন সদস্য অনুপস্থিত দেইখা আম্মারে জিগাইলাম, 'তোমার গুণবতী আদরীনিকে দেখতাছি না দেখি? কলেজ থেকে ফিরে বুঝি খুব কষ্ট হই গেছে?'

আম্মা কইলেন, 'আজ কলেজ যায় নাই। সেই সকাল থেকে ও আর সোনিয়া (কাজিন) দুই বোনে মিলে কি জানি একটা রান্না করছে। তারপর গোসল-টোসল কইরা ঘুমাইতে যাওয়ার আগে আমারে কইয়া গেছে, ভাইয়া খাইতে বসলে যেন তারে ডাক দিয়া দিই। কিন্তু আমি যে তারে ডাকি নাই এইটা যদি সে ঘুণাক্ষরেও জানবার পারে, তাইলে দেখবি আজ কেয়ামত ঘটাইয়া ছাড়বে!'

আম্মার কথা তখনও শেষ হয় নাই। এর মধ্যেই ঘুম ভাইঙ্গা মহারাণী হাই তুলতে তুলতে আইসা টেবিলের ধারে দাঁড়াইয়া কইলেন, 'আম্মা, তোমারে না কইলাম ভাইয়া খাইতে বসলে আমারে ডাক দিবা? ডাকো নাই ক্যান?'

বইলা চিল্লাইয়া উঠলো। বলা বাহুল্য তার চিল্লানির চোটে আমাদের চার জনেরই মুখ শুকাইয়া আমসত্ত্ব হইয়া যাওয়ার দশা। সত্যি বলতে কি, বাড়ির মধ্যে ঐ একমাত্র ব্যক্তি যাকে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা থেকে শুরু কইরা একটা শিশুও বাদ যাবে না পর্যন্ত সবাই ডরায়। অবশ্য সে জন্য মায়ের অভিযোগ, তার এই মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ির জন্য নাকি একমাত্র আমিই দ্বায়ী!

যদিও বর্তমানে আমার নিজেরই তাকে যথেষ্ট তোঁয়াজ কইরা কথা বলতে হয়। কারণ এখন আমার যে অবস্থা, আর ও যে পাঁজির পা-ঝাঁড়া, কবে না জানি রাগ কইরা আমারে ধাক্কা মারে আর আমারও স্ক্যাচ-ট্রাচ (তখন খুব অসুস্থ ছিলাম) লইয়া হুড়মুড় কইরা পইড়া নতুন কইরা আবার খান কতক দাঁত ভাঙার জোগাড় করতে হয়।

সুতরাং আমি এই কাহিল শরীরে আর কম্বলের বোঝা ঘাড়ে না নিয়া বরং আসন্ন গৃহ কলহ থামাইবার নিমিত্তে খাটো গলায় কইলাম, 'তা তোরে ডাকবে ক্যান সেইটা তো বলবি! খামোখা চিল্লাইতেছিস ক্যান? আমিই আম্মারে নিষেধ করছিলাম। ঘুমানো মানুষকে ডাকতে হয় না সেইজন্য!'

বাধ্য হইয়া কিছুটা মিথ্যা বলতে হইল। কিন্তু এছাড়া তখন আর কিছু করারও ছিল না। সিচ্যুয়েশান আন্ডার কন্ট্রোলে আনতে গেলে মাঝে মাঝে এধরনের একটু আধটু মিথ্যা বললে বোধহয় খুব একটা দোষ-টোষ হয় না। আমার কথাতে সে কিছুটা আস্বস্ত হয়ে বললঃ

- 'আরে ডাকতে বলবো না। আজকে আমার এক বান্ধবীর কাছ থেকে একটা নুতন আইটেমের রেসিপির সন্ধান পাইছিলাম। তো সেইটা রান্না করছিলাম তোর জন্য। কিন্তু দেখ, ঘুমের কারনে সেইটা প্রায় মিস হইয়া গেছিল। আচ্ছা তোরা একটু আস্তে আস্তে খা, আমি ততক্ষণে রান্নাঘর থেকে আমার রান্নাটা নিয়া আসি!'

বইলা সে ঝড়ের বেগে কিচেনের দিকে চইলা গেল। কিন্তু তার কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথে ‘খাইছে আমারে’ বইলা পাশে বসা ছোট ভাইটা প্রচন্ড শব্দে মুখ বিকৃত কইরা তাড়াতাড়ি আধা খাওয়া প্লেটে হাত ধুইয়া চেয়ার ঠেলতে ঠেলতে বলল, ‘আম্মু আমি আর খাবো না। পেটের মধ্যে ভাত রাখার মত আর একটুও জায়গা নাই।’

বইলা দৌঁড়ে বাইরে চলে গেল। আম্মাও কোন কথা না বইলা উঠে তাড়াতাড়ি পানের ডালা থেকে খানিকটা পান মুখে দিয়া জাবর কাটার মত কইরা তাই চিবাইতে লাগলেন। বাবা তড়িঘড়ি কইরা খাইতে গিয়া বিষম টিষম লাগাইয়া তখন একাকার অবস্থা। কিন্তু সেদিকে খেয়াল না কইরা তিনি দ্রুত খাওয়া শেষ কইরা সবেমাত্র হাত ধুই ধুই করছেন, ঠিক এমন সময় মহারাণী তার নতুন রেসিপি নিয়া ডাইনিং-এ হাজির।

অতএব বাবাকে আর সামনে না আগাইয়া ঐ হাত ধোয়ার পূর্বক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হইল। কারণ এই মুহুর্ত্বে বাবার জন্য হাত ধোয়া আর নিজের বিপদ নিজে ডাইকা আনাটা হইবে সমানুপাতিক। সুতরাং ঘটনা যাই ঘটুক না কেন, আপাতত দাঁতে দাঁত চাইপা সেইটা সহ্য করা ছাড়া আর কিছু করার নাই। আমি বোনের হাতে ধরা পাত্রটার দিকে আড় চোখে তাকাইয়া বোঝার চেষ্টা করলাম বস্তুটা আসলে কি! কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ ইরেটিক লুকে তাকাইয়া থাকার পরেও ধরতে পারলাম না, রেসিপিটার মধ্যে আইটেম গুলা আসলে কি কি!

ছোট বোন পাত্রটা নিয়ে বাবার দিকে আগাইতেই বাবা অত্যন্ত করুণ মিনতি ভরা চোখে তার দিকে তাকাইয়া থেকে আমতা আমতা করে বললেন, “মা'রে ইদানিং আমার খুব গ্যাস হচ্ছে! আজকের মত তোর এই খটোমটো রান্না খাওয়ানোর হাত থেকে কি আমাকে মাফ কইরা দেওয়া যায় না?”

ছোট বোন বাবার কথাকে কোন গুরুত্বই দিলো না। বরং অত্যন্ত তাচ্ছিল্যের স্বরে বলল, 'ধুর, এসব খাইলে গ্যাস হয় না। আর খটোমটো কি, খটোমটো কি? খাইয়া দেখো, এরকম সুস্বাদু রান্না তোমার মা’ও জীবনে তোমারে রান্না কইরা খাওয়াইতে পারছে কিনা সন্দেহ।'

আমি বাবার করুণ চোখের দিকে তাকালাম। সে চোখ এই আজগুবি খানা খাওয়ার জন্য মনে মনে বিদ্রোহ ঘোষনা করলেও পরিস্থিতি তাতে মোটেও স্বায় দিচ্ছে না। বাবা বাধ্য হয়ে বললেন, ' তা অবশ্য মন্দ বলিস নাই। তবে একটু অল্প কইরা দিস মা! পেট ভইরা গেছে তো। বেশি দিলে হয়তো নষ্ট হয়ে যাবে। তুই-ই বল, আমার মায়ের হাতের রান্না কি আমি নষ্ট করতে পারি?'

চিপার থিকা উদ্ধার পাওনের লাইগা বাবা যে হালকা চাপার উপর দিয়া গেলেন, সেটা খুব সহজেই বুঝতে পারলাম। কিন্তু ধরা না দিয়া আড় চোখে কেবল তাদের কান্ড কারখানা দেইখা যাইতে লাগলাম।

তবে ছোট বোন দেখলাম বাবার কথা রাখলেন। বাবা ভয়ে ভয়ে খাবারের এক কোণে হালকা একটু অঙ্গুলি সঞ্চালন কইরা সেটাকে মুখে পুরে দিয়ে মহা সোল্ল্যাসে চিৎকার কইরা উঠলেন, 'আহাঃ হাঃ, ওহঃ কি চমৎকার! কি চমৎকার! দারুণ হইছে। বিউটিফুল, ওয়্যান্ডারফুল! তোর ভাইয়াকে একটু বেশি কইরা দে!'

স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে পাম এবার একটু বেশি হইয়া যাইতাছে। তবে আমার ধারণা বাবা সেটা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারতেছেন না। কারণ বুঝতে পারলে উনার মত জ্ঞানী মানুষের দ্বারা এই ধরনের ভুল কোন ক্রমেই গ্রহণযোগ্য হইতো না। অথবা বুঝতে পারলেও তিনি নিজে যেহেতু মরেছেন সেহেতু সবাইরে লগে কইরা মরবেন, এইরকম কিছু একটা চিন্তা কইরাই বোধহয় স্বেচ্ছায় এই পাম্পিং-এর মাত্রা বাড়াইয়া দিতাছেন।

তবে ঘটনা যাই হোক, অবশেষে সেই পামের ঠেলায় তিনি ঠিকই ধরা খাইয়া গেলেন। কারণ উনার চিৎকার চেঁচামেচি শুইনা ছোট বোন পাত্রটা উনার প্লেটের দিকে নিতে নিতে কইলো, 'তাইলে আর একটু দিই!'

এবার বোধহয় বাবা সম্বিত ফিরে পেলেন। সবার অগোচরে জিভ কেটে হই হই করে বলে উঠলেন- ‘আরে না না! এখন না’রে মা, এখন না! রাতে দিস!’

বলে তিনি দ্রুত খাবারটা মুখে পুরে দিয়ে চোখ বন্ধ করে কোন রকমে এপাশ ওপাশ করে টুপ করে গিলে ফেলে হাত ধুয়ে উঠে চলে গেলেন। আমি বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে সবার অগোচরে ফিক করে একটা হাসি না দিয়ে পারলাম না। ছোটবোন এবার খাবারের প্লেটটা নিয়ে মায়ের দিকে অগ্রসর হইতেছিল। সাথে সাথে আম্মা একটা বড় ঢোক গিলে হাহাকার কইরা উঠলেন, “আরে আরে করিস কি, করিস কি! আমি এখন খাবো কি করে? সবেমাত্র না পান মুখে দিয়েছি? এখন খাই ক্যামনে ক’তো?”

বইলা তিনি জাবর কাটার মাত্রা আরো দ্বিগুণ বাড়াইয়া দিলেন। ছোট বোন নাছড়বান্দা, 'পান মুখে পুরছো তো কি হইছে। কুলি কইরা ফেলে দেও!'

আম্মা হাহাকারের মাত্রা আরও বাড়াইয়া দিয়া কইলেন, ‘বলিস কি? সবেমাত্র না পানের টেস্টটা পাওয়া শুরু করছি। এখন ফেলে দিলে কি হয় বল?’

আম্মার কথা শুনে মনে হইল এই পৃথিবীতে বোধহয় পানই একমাত্র খাদ্যবস্তু, যেটাকে চরম বিপদের মুহূর্তেও মুখে নিয়া চিবানো যায়। আর বাকি সব আজাইরা। আমার এবার অবশ্য বিরক্তই লাগছিল। এমনিতে ছোট বোনের রান্না যে খুব একটা খারাপ তা নয়। বরং সে যখন একান্ত মন দিয়ে কোন কিছু রান্না করে, তখন সে রান্না অনেক সময় মায়ের রান্নার থেকেও দারুন হয়ে যায়। তবে সমস্যাটা হইল, মাঝে মাঝে সে ডাউলে চাউলে মিশাইয়া খিচুড়ী করার পরিবর্তে এমন জগাখিচুড়ী তৈরি করে যে; ঠিক তখনই সেই খাদ্য নামের অখাদ্যকে মুখে দেওয়ার পরিবর্তে বরং ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করতে হয়।

তবে পান সম্পর্কিত বিষয়ে আজ আম্মার কথা শুইনা মনে হইল, উনার খাওয়াকে গুরুত্ব দিয়া পানকে বাঙলির জাতীয় খাদ্য হিসাবে ঘোষনা করার জন্য এক্ষুনি সরকারের কাছে একটা লম্বা চওড়া দরখাস্ত কইরা ফেলি। কারণ এটা এখন সময়ের দাবি হইয়া দাঁড়াইছে। তবে আপাতত সেইটা সম্ভব না। কারণ ঠিক এই মুহূর্তে খাবারের প্লেট হাতে নিয়া আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে আমারই ছোট বোন শান্তা।

কিন্তু কেন জানি না এখন তার হাতে ধরা ঐ খাবারের প্লেটটাকে আমার কাছে ঠিক সাধারণ প্লেট বইলা মনে হইতাছে না। বরং সেটাকে একটা আগ্নেয়াস্ত্র বইলাই মালুম হইতাছে। যার পেট ভর্তি শুধু গুলি আর গুলি। আর যেটাকে তাক করা আমারই মুখ গহ্বরের দিকে। এখন কেবল ট্রিগারটাতে একটা চাপ দেওয়ার অবকাশ।

আমি পাত্রটার দিকে আড় চোখে তাকাইয়া বোনরে কইলাম, ‘দেখ তোর এই অচেনা বস্তু খাইতে আমার কোন আপত্তি নাই। তবে শর্ত হইল, আগামী এক সপ্তাহ তুই খাদ্য সম্পর্কিত আর কোন আব্দার নিয়া আমার সামনে হাজির হইতে পারবি না। এমনকি খাওয়ানোর নাম মুখেও উচ্চারণ করতে পারবি না। কারণ তোর এই আজগুবি জিনিস হজম করতে করতেই হয়তো আমার এক সপ্তাহ লেগে যাবে। এমনকি সপ্তাহ খানিকের মধ্যে কুলাইয়া উঠতে পারবো কিনা সেইটাও বুঝতেছি না।’

বোন বোধহয় এবার মনে মনে একটু গোস্সাই হইল। সাথে সাথে সে খাবারের প্লেটটা ঝাড়া মাইরা ফেলাইয়া দিয়া অশ্রু ভরা চোখে ঘর থেকে বাহির হইয়া গেল। আমি হাউমাউ কইরা তারে কিছুটা থামানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু সে চেষ্টা বৃথা। কারণ ততক্ষণে মহারাণী নিজের রুমে গিয়া দরজার খিল আটকাইয়া কান্না নামক গোলাবারুদ ভর্তি ভারি অস্ত্র প্রদর্শন করা শুরু কইরা দিছেন।

আমি অনাহুত এই বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার নিমিত্ত্বে এবার খাবারের প্লেটটা হাতে তুলে নিয়া আম্মা সহযোগে দ্রুত তার রুমের দরজায় গিয়া মূহুমূহু ধাক্কাইতে লাগলাম। কিন্তু কে খোলে কার দরজা। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ দরজা ধাক্কাধক্কির পরেও যখন সে কোন মতে দরজা খুলতেছে না, তখন অনেকটা বাধ্য হইয়াই তার রান্না করা ঐ আজগুবি খাদ্য মুখে নিয়া আমাকে স্টেজ বিহীন পাক্কা অভিনেতার মত অভিনয় করতে হইলঃ

-“আহাঃ কি দারুণ, কি দারুণ! এ যেন অমৃত!”
তারপর আম্মারে কইলাম, ‘আম্মা তুমিও একটু মুখে দিয়া দেখ, সত্যিই খুব ভাল্লাগছে!’
আম্মা মুখে না দিয়াই কইলেন, ‘হ্যাঁ হ্যাঁ সে আমি এমনিতেই বুঝতে পারতেছি। আমার মেয়ের রান্না ভাল না হইয়া যায়-ই না!’

বুঝলাম পাম্পিং-এ আম্মাও কম যান না। সাথে সাথে হুড়ুম কইরা দরজা খোলার শব্দ হইল। বুঝলাম থিউরী কাজে লাগছে! আর সাথে সাথে মহারাণীর পূর্বানুগমনে ঘরের বাহিরটা ধন্য হইয়া গেল। তবে তখন আর খাবার না খাওয়ার পরিবেশ সামনে নাই। কারণ খাওয়া বাদ দিলে আবারও পরিস্থিতি প্রতিকূলে চলে যাইতে পারে। বিধায় বাধ্য হইয়া ঐ ভাবে দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়াই আমাকে খাওয়া কন্টিনিউ রাখতে হইল।

তবে একটা কথা এখানে না বললেই নয়। সত্যি বলতে কি, সেদিনে তার রান্নাটা কিন্তু আসলেই ভাল ছিল! তবে ঐ যে কথায় আছে, ঘর পোড়া গরু সিঁদূরে মেঘ দেখলে ডরায়। তো আমাদের হইছে সেই অবস্থা। আসলে পূর্ব থেকেই কেউ যদি তার উদ্ভট রেসিপি দিয়া খাদকের মনে ভয় ধরাইয়া রাখে, তাইলে পরবর্তিতে সেইটার চেইন রি-এ্যাকশানের কারণে কোন অঘটন ঘটলে সেজন্য তো আর খাদককে দ্বায়ী করা চলে না; তাই না?

পুনশ্চঃ আমার আদরের বোনটা আজ কয়েকমাস হতে চলল অন্যের ঘরের ঘরনী হয়ে বসে আছে। এখন আর সে আমাদের পরিবারের কেউ না। বরং মাথায় ঘোমটা, কোমরে শাড়ি গুজে ঘর্মাক্ত মুখে হয়তো সে আজ অন্যের সংসারকে নিজের করে নিয়ে এখন সেটাকেই সামলানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে।

তবে খাবার টেবিলে বসলে আজও তার অভাবটা খুব স্পষ্ট অনুভব করি! মনে হয় এই বুঝি সে ডাইনিং-এ এসে হই হই করে তার রান্না করা খাবার খাওয়ানোর জন্য সবাইকেই জোরাজুরি করছে। কিন্তু সেই রান্না খাবে না বলে সবার মধ্যে সে কি তাড়াহুড়ো। সত্যিই সময় কত দ্রুত বয়ে যায়...

তবে সে না আসলেও আমাদের ডাইনিং টেবিলে তার বসা সেই চেয়ারটা আজও সেভাবেই খালি পড়ে থাকে। কেউ সেটাতে বসেও দেখে না। এমন কি মাঝে মাঝে আম্মাকে দেখি, কান্না বিজড়িত নয়নে সেটাকে খুব যত্ন সহকারে পরিষ্কার করছেন। দেখলে মনে হবে, এক্ষুনি বোধহয় সে ঐ চেয়ারটাতে এসে বসবে বলে মমতাময়ী মায়ের কত আয়োজন।

একদিন খেতে খেতে দেখলাম, বাবা মুখের মধ্যে ভাত নিয়ে ঐ চেয়ারটার দিকে নিঃস্পলক তাকিয়ে থেকে নিরবে চোখের পানি ফেলছেন। কি জানি, সেদিন বাবার মনে এরকম কোন ঘটনা ঊঁকিঝুঁকি মারছিল কি না! যে ঘটনা শুধু ঘটার সময়ই মনে রেখাপাত করে না, বরং সারাজীবনের জন্যই স্মৃতির পাতায় অমলিন হয়ে বসে থাকে।

জানি না তার শশুর বাড়ির মানুষ গুলো ঠিক কেমন প্রকৃতির। সেখানেও খাওয়ার সময় তার রান্না খাবে না বলে কোন ধরনের হৈ চৈ হয় কিনা! তবে সেদিন আম্মা ফোন করে বললেন, ওর শশুর-শাশুড়ি নাকি সব সময় ওর রান্নার খুব প্রশংসা করে। শুনে কিছুটা আশ্চর্য্ হলাম! তবে ভালোও লাগলো এটা ভেবে যে, আমার আদরের বোনটা তার নিজের প্রচেষ্টায় শশুর বাড়িতে অন্তত একটা মজবুত আসন করে নিতে সক্ষম হয়েছে।

এক সময় কষ্ট হবে বলে যে মেয়েকে মা একটা কাজও করতে দিতো না, আজ সে অন্যের বাড়িতে গিয়ে হাজারটা দ্বায়িত্ব সামলাচ্ছে! ভাবতেই অবাক লাগে! তবে এটাও সত্যি যে, নিজে না চাইলেও সময় এবং পরিস্থিতি অনেক সময় অনেক কিছুই বদলে দেয়...


বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- টাইপিংয়ের ভুলের কারণে হয়তো অনেক জায়গায় বানানে ভুল থাকতে পারে। সেটাকে বিবেচ্য বিষয় হিসাবে না ধরে, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে কৃতার্থ হবো! সবাইকে ঈদ-ঊল-ফিতরের অগ্রীম শুভেচ্ছা! ঈদ মোবারক... !:#P

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭

নীলপরি বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। তবে মনটা খারাপ হয়ে গেলো।

শুভকামনা

১২ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন খারাপ হইলেও কিছু করার নেই পরী। এইটাই দুনিয়ার রীতি! তবে জামাই যদি ঘর জামাই হয় তাইলে অবশ্য এক্ষেত্রে ভিন্ন ব্যাপার পরিলক্ষিত হইবে... ;)

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

২| ১২ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

লাবণ্য ২ বলেছেন: সুন্দর সাবলীল লেখা।

১২ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ লাবণ্য! শুভ কামনা জানবেন!

৩| ১২ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা!! খুব সুন্দর লিখেছেন সাহসী ভাই। প্রথমে ছোট বোনের খাবার নিয়ে জেদাজেদি ভাই বোনের মধ্যে হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু বিয়ের পর মনে হয় যেন হৃদয়টাকে কেউ ছিনিয়ে নিয়ে চলে গেল। যাই হোক বোন যেন নিজের মত করে নুতন সংসারটাকে তৈরী করে নিতে পারে, ওর জন্য অনেক অনকে দোয়া থাকলো। পাশাপাশি ভাই বোনের এই মধুর সম্পর্ক যেন বজায় থাকে আজীবন ।


অনেক ভাল লাগা রেখেগেলাম। ++++
সঙ্গে শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১২ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১

সাহসী সন্তান বলেছেন: খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন পদাতিক ভাই, সেজন্য প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ! যদিও বোনের সাথে আমার বয়সের বিস্তর ফারাক। কিন্তু তারপরেও ভাই বোনের খুনসুঁটির কাছে বোধহয় ঐসব বয়স টয়স কিচ্ছু না... :)

আপনার ভাল লাগার প্রতি কৃতজ্ঞতা রইলো! শুভ কামনা জানবেন!

৪| ১২ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: খুব মনোযোগ দিয়ে আপনার বোনের রান্না বিষয়ক এক্সপেরিমেন্টের কাহিনী পড়লাম, খুবই সাবলীল বর্ণনা। আপনার বোনের জন্য শুভ কামনা।
লাইক দিলাম।

১২ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: মনযোগ সহকারে লেখাটা পড়ে সুন্দর কম্পিলিমেন্ট জানানোর জন্য ধন্যবাদ তারেক মাহমুদ ভাই! আপনাদের মত মনযোগী পাঠক পাইলে লিখেও আরাম পাওয়া যায়। খুব ভাল লাগলো আপনার মন্তব্যটা...

লাইক এবং বোনের জন্য শুভ কামনা জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা! শুভ কামনা আপনার জন্যেও!

৫| ১২ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫

হাসান রাজু বলেছেন: হুম । অভিন্ন অভিজ্ঞতায় সব বাঙালি ভাইয়েরা দিনপাত করেছেন, করছেন এবং করবেন যুগ যুগান্তর ধরে। আমিও একই পথের পথিক । আসলে বোনদের রান্না অসধারন হয় । আমরা ভাইরা ওই রান্নার প্রশংসায় কার্পণ্য করে একটা আলাদা তৃপ্তি পাই। বোনরা ঠিকই বুঝে ওই কার্পণ্যে উজাড় করা ভালো লাগা মিশে আছে । তাই আহ্লাদী এক গালফোলানি আমাদের কার্পণ্য নাটকের পালে হাওয়া দেয় তীব্র বেগে। এই " প্রশংসায় কার্পণ্য" আর "আহ্লাদী গালফোলানি" চলতেই থাকে । থামে একদিন যেদিন ......

**** অসাধারণ লিখেছেন । বর্ণনা সে তো চোখের সামনে ভেসে আছে এখনো। আমারা ভাইয়েরা ভাগ্যবান (একেবারে স্বর্গীয়) যাদের অন্তত একজন হলেও বোন আছে ।

১২ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে যাচ্ছি। আসলে আমি বোধহয় এতটা ভাল লিখি না, যতটা আপনি বললেন! তবে গল্পের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আপনার বলা কথা গুলো সুন্দর! এবং আমিও আপনার কথার সাথে পুরোপুরি সহমত...

ভাই বোনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্কের পাশাপাশি খুনসুঁটি না থাকলে সেই সম্পর্কটাকে কেমন জানি পানসে বলে মনে হয়। তবে সেই খুনসুঁটি একদিন আবেগ হয়ে ধরা দেয়, যেদিন সবাইকে ছেড়ে বোন শশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়!

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৬| ১২ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বোনকে নিয়ে আপনার লেখাটি পড়ে অনেক ভাল লাগল।
সত্যি বিয়ের পরে বোনদের সাথে ভাইয়েদের একটা অদৃশ্য দেওয়াল গড়ে ওঠে।

১২ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: কথা সত্য! তবে এটা নিয়তীর অদৃশ্য লিখন। খন্ডানোর উপায় নেই... :(

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সোহেল ভাই! শুভ কামনা জানবেন!

৭| ১২ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
লেখাটা পড়ে বেশ ভাললাগলো।

আপনার ও আপনার বোনের জন্য শুভকামনা।

১২ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ মইদুল ভাই! শুভ কামনা জানবেন!

৮| ১২ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ভালো লাগলো।
ঈদ মোবারক

১২ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: ঈদ মোবারক! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

শুভ কামনা জানবেন!

৯| ১২ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমার কোনো বোন নেই।

১২ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: তাইলে বোনের মমত্ব আপনাকে বলে বোঝানো সম্ভব হবে না হয়তো...

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

১০| ১২ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হুম ভাই, সময় অনেককিছু বদলে দেয়।
ভালো লাগলো আপনার রসালাম। বোন ভাইদের জন্য আশীর্বাদ মনে হয় আমার কাছে।

১২ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

সাহসী সন্তান বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেন! ধন্যবাদ নয়ন ভাই...

শুভ কামনা জানবেন!

১১| ১২ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১

সুমন কর বলেছেন: লেখা পড়ে বেশ হাসলাম। উপস্থাপন বেশ হয়েছে। +।

যদিও শেষে এসে মন ভারী হলো। আপনার বোনের জন্য শুভকামনা রইলো।

১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:১২

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন'দা! শুভ কামনা জানবেন!

১২| ১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:০৫

পাহাড়ের কান্না বলেছেন: ভালো লিখছেন। ফেবুর লিংক নিয়া মন্তব্য করতেই লগিন করলাম।

১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:১৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: তাও ভাল আমার লেখাটা আপনাকে ১ বছর পর লগইন করাইতে বাধ্য করলো! আমিও আপনার মন্তব্য দেখেই লগইন হইলাম! আর মজার বিষয়টা হল, আমি আপনার প্রায় সবগুলো লেখাই পড়েছি উইথ কমেন্ট সহ... B-)

আমি অবসরে ব্লগে ঢুকলে বেশিরভাগ সময় পুরানো লেখকদের লেখাই পড়ি! যার মধ্যে আপনি অন্যতম! সুতরাং বুঝতেই পারছেন আপনার মন্তব্য পেয়ে আমি ঠিক কতটা উচ্ছসিত!

এনিওয়ে, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

১৩| ১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা! জীবন কেন এমন????

নাকি এমন বলৈই মধুর এ জীবন!!
কি জানি ভাইস-ভার্সার গোলকধাদায় কেটে যায় সময়!!

++++++++++

১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:২৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: এমন কেন সেটাতো ঠিক বলতে পারবো না, তবে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে বলেই বোধহয় ব্যাপারটা নিয়ে আর কেউ তেমন মাথা ঘামায় না! সেদিন ব্লগে কার জানি একটা পোস্ট পড়ছিলাম, কই জানি বিয়ে করলে বউ শশুর বাড়ি থাকার পরিবর্তে বর থাকে শশুর বাড়ি...

ব্যাপারটা খারাপ না! হয়তো সেদেশের কোন ভাই তার বোনকে ওভাবে হারায়তে চায় না বলেই এমন নিয়ম! কিন্তু কথা হল, ভাইয়েরও তো বিয়া কইরা শশুর বাড়ি চলে যেতে হয়, তখন? পুরাটাই মাথা ঘুরানো ব্যাপার! থাউকগা, তার থিকা যা চলতেছে তাই চলুক! ;)

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভৃগু'দা! শুভ কামনা জানবেন!

১৪| ১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

শামচুল হক বলেছেন: লেখা ভালো লাগল, ধন্যবাদ

১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২২

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

১৫| ১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

ওমেরা বলেছেন: ভাই বোনের বাধন কখনো ছিন্ন হবার নয়।

১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: সত্য কথা! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ...

শুভ কামনা জানবেন!

১৬| ১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

প্রামানিক বলেছেন: বিয়ের পরে বোনরা আর আগের মত থাকে না, ভাইয়েরাও পরিবর্তন হয়, কথ ঠিক। বোনকে নিয়ে লেখা যথাযথ হয়েছে। ধন্যবাদ

১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: মেলাদিন পর প্রামানিক ভাইকে দেখলাম! ভাল কথা বলছেন! তবে সেই পরিবর্তনের জন্য ব্যক্তি দোষের থেকে ঐতিহ্যগত দোষটা মনেহয় সব থেকে বেশি। মুনির চৌধুরির 'রক্তাক্ত প্রান্তর' নাটকে একটা ডায়ালগ আছে...

"মানুষ মরে গেলে পঁচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়! কারণে অকারণে বদলায়!"

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

১৭| ১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৩৯

সোহানী বলেছেন: হুম ব্যাপার না। এমন এক্সপেরিমেন্ট আমরা ও করছি জীবনভর...... বাবা/ভাই/বোন/কাকা/মামা/ফুপু... কেউই বাদ যাই নাই। এখন সোয়ামী + বাচ্চাদের উপর চালাই এক্সপেরিমেন্ট। নো প্রবলেম, এভাবেই চলে জীবন..................

১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩০

সাহসী সন্তান বলেছেন: মোদ্দাকথা কেবলমাত্র আপনারা নিজেরা ছাড়া পৃথিবীর আর সবাই আপনাদের কাছে এক একটা জীবন্ত গিনিপিগ তাই তো? ;)

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সোহানী আপু! শুভ কামনা জানবেন!

১৮| ১৩ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:০১

শিখা রহমান বলেছেন: লেখাটা মন ছুঁয়ে গেলো।

আপনার বোন ও পরিবারের জন্য শুভকামনা এবং ঈদের শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।

১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনাকেও অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা আপু! শুভ কামনা জানবেন!

১৯| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৭:৩৫

সিগন্যাস বলেছেন: প্লাস দিসি B-)

১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

সাহসী সন্তান বলেছেন: পায়ছি... B-))

২০| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১৩

আবু ছােলহ বলেছেন:



অনেক সুন্দর একটা লেখা। রম্য স্টাইলে লিখলেও অন্তর ছুঁয়ে যাওয়ার একটি উপাদান লেখাটিকে অনন্য করে তুলেছে।

ঈদ মোবারক।

১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই! ঈদ মোবারক...

শুভ কামনা রইলো!

২১| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২৬

চোরাবালি- বলেছেন: ভালো লাগা লেখা।
তবে একটু দ্বিমত আছে - অন্যের বাড়ী শব্দ নিয়ে (যদিও সেটি আমাদের সামাজে প্রচলিত শব্দ)। আমার মনে হয় শব্দটি হওয়া উচিত নিজের সংসার নিয়ে।

১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

সাহসী সন্তান বলেছেন: ব্যাপারটা আসলে সেরকম নয়! আমার বোনের কাছে তার শশুর বাড়িটা যেমন এখন নিজের বাড়ি মনে হচ্ছে, ঠিক তেমনিভাবে শশুরবাড়ি যাওয়ার পূর্বে কিন্তু বাপের বাড়িটাকেই তার নিজের বাড়ি বলে মনে হতো...

তাছাড়া আমার বোনের শশুর বাড়িটা তার নিজের বাড়ি হলেও আমার কাছে তো সেটা অন্যের বাড়ি তাই না? আর লেখাটা যখন আমিই লিখছি, তখন সেটাকে অন্যের বাড়ি বলাটা কি খুব বেশি ভুল হয়েছে? :)

সুন্দর কম্পিলিমেন্টের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

২২| ১৩ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার মজার ছলে লেখা হলেও আমি জানি এর পেছনে লুকানো মমতা কি!!!
অনেক সুন্দর লেখা সাহসী!

তোমার বোন এবং তোমার পরিবারের সবার জন্য শুভ কামনা।

১৮ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা'পু! আপনার জন্যেও শুভ কামনা রইলো... :)

২৩| ১৮ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

সিগন্যাস বলেছেন: ঈদ মোবারক সাহসী প্রাণী।

১৮ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: =p~ =p~ =p~

ঈদ মোবারক!

২৪| ১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: অনেক সুন্দর লেখা কিন্তু শেষের পার্টটা পড়ে চোখ দিয়ে পানি চলে আসছে :(

১৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন খারাপ করিয়ে দেওয়ার জন্য দুঃখিত! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ...

শুভ কামনা জানবেন!

২৫| ২১ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো.....

২৪ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ শাহরিয়ার ভাই! শুভ কামনা জানবেন!

২৬| ২৭ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

সাস বাই, কেমন আছুইন?

২৭ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: হেই কে রে এইটা? আহা, ফরিচিত ফরিচিত মনে হইতাছে দেখি! :)

ভাল আছিরে ভাই, ভাল আছি। তয় আপ্নাগো দুঃখে কইলজাডা পুড়াইগো মাঝি! ম্যালাদিন পর দেখলাম আপনারে! কবিতা রচনা বাদ দিয়া কই যে কি কইরা বেড়াইতেছেন আল্লায় জানে! আইতাছি আপনার বলোগে! খানাপিনা রেডি করেন... ;)

২৭| ২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

করুণাধারা বলেছেন: আমি লেখাটা আগেই পড়েছি- দু'বার। কিন্তু রমজান মাসে ব্লগে লগইন করা হতো না বলে তখন মন্তব্য করতে পারিনি। আজ হঠাৎ আমার পোস্টে আপনার নাম দেখে এই লেখাটার কথা মনে পড়ল, তৎক্ষণাৎ চলে এলাম, আমার পোস্টে প্রতিমন্তব্য না করেই!!

লেখার ভাষা ঝরঝরে, বানান ভুল তো চোখে পড়ল না। ছবিটাও সুন্দর হয়েছে। পুরো লেখার মধ্যে বোনের প্রতি ভাইয়ের আন্তরিক, নির্মল, সুন্দর যে ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে তা খুবই ভালো লেগেছে। ইন ফ্যাক্ট, এই লেখাটা পড়বার পরই আমার বহুদিন পর আরেক জোড়া ভাই বোনের কথা মনে পড়েছিল, যেটা নিয়ে আমি আজ পোস্ট দিয়েছি।

ভালো থাকুক আপনার বোন, আপনিও।

০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:২৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমি আপনার পোস্টের পুরো অংশটাই খুব মনযোগ দিয়ে পড়েছিলাম। ইভেন আমি যে কোন পোস্টই পড়ার সময় যথেষ্ট মনযোগ সহকারেই পড়ি। বাট আনফর্চুনেটলি আপনার পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে একটা টপিক নিয়ে কথা বলতেই মন্তব্যটা অনেক বড় হয়ে যাওয়ায়, আর বাকি গুলো সম্পর্কে কিছু বলতে পারিনি... :(

আপনিও পাঠক হিসাবে অনেক ভাল সেটা আমি জানি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য প্রদানের জন্য!

শুভ কামনা জানবেন!

২৮| ৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:০৩

নীলপরি বলেছেন: নতুন পোষ্ট আমরা কবে পাবো ?

০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: বলছি, তবে তার আগে পরী কবে পোস্ট দিচ্ছে সেইটা আগে শুনি? তাছাড়া আমি তো আপনার একদিন পরেই পোস্ট প্রকাশ করছি। সুতরাং অগ্রাধিকার সূত্রে কিন্তু আপনারই আগে নতুন পোস্ট প্রকাশ করার কথা। অতএব আশাকরি পরী তার পাঠককে নিরাশ করবে না...

আমার আপাতত কোন পোস্টের ব্যাপারে কোন ধরনের আইডিয়া নেই। তাছাড়া প্রচুর ব্যস্ততাও বেড়ে গেছে। তারপরেও দেখি আপনার কথা রাখতে পারি কিনা! বেশ কয়েকটা আধা হওয়া পোস্ট ড্রাফটে আছে, সেগুলোর মধ্য থেকেই হয়তো একটা প্রকাশ করতে পারি!

ধন্যবাদ পরী! আপনার কবিতা মিস করছি! দ্রুত একটা কবিতা পোস্ট করার জন্য অনুরোধ জানাইলাম!

২৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫৮

নীলপরি বলেছেন: আমারও কিছুটা এক অবস্থা । লেখাই হচ্ছে নাহ । সামুতেও অনিয়মিত হয়ে যাচ্ছি । সে অনেক কথা । যাক , আজ হাবিজাবি একটা পোষ্ট দিলাম । সময় পেলে দেখবেন । তবে কবিতা নয় । আপনি যখন উৎসাহ দিয়েছেন তখন এবার কবিতা দেওয়ার অবশ্যই চেষ্টা করবো ।
নোটিফিকেশন পাইনা ঠিকঠাক । এমনি আপনার ব্লগে নতুন লেখা দিয়েছেন কিনা দেখতে এসে উত্তরটা দেখলাম । তাই দেরী হোলো । সরি ।

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমারও আপনার মত সেম অবস্থা! খুব অনিয়মিত হয়ে গেছি ব্লগে। তাছাড়া ধিরে ধিরে ব্লগে আসার ইচ্ছা শক্তিটাও মরে যাচ্ছে যেন! এখন ফ্রি থাকলে অন্য সাইট গুলো ভিজিট করলেও ব্লগে আসতে কেমন জানি লাগে...

যাহোক, আপনার দুইটা পোস্টই পড়ে ফিটব্যাক জানিয়ে এসেছি! আশাকরি ফিডব্যাক দু’টো আপনি দেখেছেন!

তবে খুব ভাল লাগলো এভাবে এসে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়ে যাওয়ার জন্য! শুভ কামনা পরী!

৩০| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

নীলপরি বলেছেন: আপনার কথা মতো আগের পোষ্টটা এডিট করেছি । খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস শেখালেন । শেখার ইচ্ছে ছিল । আমি লিংক কপি পেস্ট করতাম শুধু । তাতে কখনো হতো । কখনো হোতো নাহ ।
ব্লগে আসার ইচ্ছা শক্তিটাও মরে যাচ্ছে যেন! -- আপনার কেনো তা ঠিক না জানলেও ইন জেনারেল এরকম একটা ফিলিং হচ্ছে মনে হয় ।
আমারও হচ্ছিল । সে অনেক কথা । তবে সামু ভালো লাগার জায়গা । যে লেখাগুলো ডায়েরীতে থাকতো বা লিখতাম কিনা সন্দেহ ।সামুর জন্য আপনাদের উৎসাহেই সেগুলো লেখা হোলো । তাই আপনারা এরকম কথা বললে কেমন যেন লাগে । আপনার মতো স্ট্রেট মানুষের সংখ্যা খুব কম এখানে ।

তাছাড়া , আপনি নিজের বাড়ি ছেড়ে যাবেন কেনো ? থাকুন প্লিজ । এবারে নতুন লেখা কবে পাচ্ছি তবে ?

১১ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪১

সাহসী সন্তান বলেছেন: হুম, দেখে আসলাম আপনার এডিট টা! এইবার খুব সুন্দর লাগতেছে! আর জানেন না তো কি হইছে। কোন অজানা বিষয় সম্পর্কে জানার ইচ্ছা থাকলে সেটা এনিটাইম জিগাইবেন। যদি সেই বিষয়টা আমার জানা থাকে, তাহলে অবশ্যই আমি আপনাকে সঠিক ডিরেকশানটা বলে দেওয়ার চেষ্টা করবো...

আর ব্যক্তিগত বিষয়ে যেটা বললেন, সেটা সম্পর্কে বলতে গেলে- আসলে ইদানিং কাজের প্রেসারটা একটু বেশি পড়তেছে। চাইলেও এখন আর ব্লগে সময় দেওয়াটা সব সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাছাড়া ব্যক্তিগত সমস্যাতো আছেই!

তবে এখান থেকে একেবারেও হয়তো চলে যাওয়াটা সম্ভব হবে না। কারণ ব্লগটাতে কেমন জানি একটা মায়া পড়ে গেছে। মাঝে মাঝে না আসলে ভাল লাগে না! সেজন্যই এই এসে ঘুরে যাওয়া! অনেকটা আত্মীয় বাড়ির মত... ;)

আর নতুন পোস্ট কবে দেবো এখনই বলতে পারছি না পরী! সেজন্য আমি সত্যিই স্যরি। তবে মাথার মধ্যে বেশ কয়েকটা আইডিয়া ঘুরতেছে। দেখি সেখান থেকে কিছু একটা লেখা যায় কিনা। তবে আমারও এবার কোন পোস্ট প্রকাশ করলে হয়তো সেটা আপনাকে উৎসর্গ করেই করতে হবে। না মানে আপনার উৎসাহ প্রদানের একটা ছোটখাটো মূল্য দিতে না পারলে কিসের আর সহ ব্লগার... :`>

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য! শুভ কামনা জানবেন!

৩১| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০৫

নীলপরি বলেছেন: অনেকটা আত্মীয় বাড়ির মত... --

আপনার এই কথাটার সাথে একমত হতে পারছি নাহ ! কারণ , এটা আপনার নিজের বাড়ি ।

আরে আমিও আপনার মতো আনইজি ফিল করছি । এই উৎসর্গের কথা শুনে । তবে আমি যে আপনাকে উৎসাহ দিতে সমর্থ হয়েছি , এটা শুনে খুব ভালো লাগলো । :)
আর , সরি বলারও কিছু নেই । আপনার সময় মতোই পোষ্ট দিন । তবে , অবশ্যই দেবেন ।

উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ । :)
শুভকামনা নিলাম আর আপনাকেও শুভকামনা ।
ভালো থাকবেন

১২ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: পরী, আত্মীয় বাড়ি বলতে আমি আসলে এইটা বুঝিয়েছি যে, নিজের বাড়িতেও যদি কেউ অনিয়মিত হয়ে যায়; তখন সেই বাড়িটাকেও তার কাছে অনেকটা আত্মীয় বাড়ি আত্মীয় বাড়ির মত লাগে তো তাই আরকি!

আর আন ইজি ফিল কইরা আপাতত কোন লাভ নাই। কারণ পোস্ট অলরেডি পাবলিশ... ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.