নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্মশান ঠাকুর

শ্মশান ঠাকুর

nothing to say

শ্মশান ঠাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

জন্মের দায় :: হায় হায় :: নাকি ভাগ্যের রায়

১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৩২

জন্মের দায় থেকে যায়। আমার জন্মের দায়ের জন্য আমাকে ধর্ম বিশ্বাসের কথা স্বীকার করতে হয়। আমি ধর্মকে স্বীকার করি এবং প্রকৃতি এবং পৃথিবীর সকল ধর্মকে জ্ঞান স্বীকার করি। হিন্দু না, মুসলিম, জিগাসে বহু জন? সকল ধর্মগ্রন্থইআমার কাছে আসমানি কিতাব। ঈশ্বরের মানুষের কাছে আসতেই হয়, মানুষ ছাড়া তার অস্তিত্ব প্রকাশের অন্য কোন মাধ্যম নাই। সময়ে মানুষের বোধের কারণে ধর্ম পরিবর্তন হয়। ঈশ্বরকে বিশ্বাস করতে আমি বাধ্য, তিনি আমাকে মহান উপহার হিসাবে প্রতিবন্ধী করে দিয়েছেন। যদিও অনেক পরে বুঝতে পারলাম, জাতিশুদ্ধ প্রতিবন্ধী, আমার শুধু স্বীকৃতি। প্রতি নিয়ত বাইশ কেজি ওজনের জুতা আমার শরীরে ঈশ্বরের স্বাক্ষী দেয়। ধর্ম আলোচনা, এখানে ক্ষমা চেয়ে, অন্য জন্মের দায়ে ভুলি।

পৃথিবীর থেকে বেঁচে থাকার সব উপকরণ, পরিবার থেকে সেবা, ভালবাসা, অসংখ্য বন্ধুর সহযোগিতার উপহারের এক ধরনের দায় জন্মায় মনের ভিতর। আমার জীবনে ঈশ্বর বহুবার বন্ধু হয়ে দেখে দিয়ে গিয়েছে। অসংখ্য বন্ধুর ভালবাসা পেয়েছি,

জন্মসময়ের শুভেচ্ছার ভালবাসায় আমি শীতল স্থির। স্বর্গের চেয়ে এই ভালবাসা অর্জনে আমি তৃপ্ত। সকল বন্ধুদের ভালবাসা। ভালবাসার মানুষগুলোর জন্য দায় থাকে, আমারও আছে। ব্যর্থ হলেও যতোক্ষন বেঁচে থাকা, ততক্ষন চেষ্টা। তাই,

চার বছরের ফামার্সি কোর্স ছয় বছরে শেষ করেও আমি উপযুক্ত কবিরাজ হতে পারি নাই, আমি নিশ্চিত ছিলাম, এ আমার জন্ম উদ্দেশ্য নয়।

স্বভাবগত ভাবেই লেখি, তারও চৌদ্দ বছর হয়ে গেছে, কিন্তু কবি কিংবা লেখক নই আমি। লিখতে না পারা মানুষের চিঠি লেখক মাত্র।

বেঁচে থাকবার জন্য ব্যবসায়ী হিসাবে চরম ব্যর্থ। তার প্রমাণ পেতে পেতে আমি ক্লান্ত।

সরকারী বিজ্ঞান কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্র থাকতেই সংগঠন তৈরি করি`` অদ্বৈত''। এখনও সময়ের তরুণদের সংগঠন `` মৌলিক বাংলার সাথে আছি। কিন্তু এ ভাবনা আমার জন্মসূত্রে পাওয়া নয়।



এই দীর্ঘ জীবনে আমি শুধু আমার মা`য়ের বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছি। তার চোখের বিশ্বাসকে শুধু প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করেছি। সমাজ, পরিবারের সাথে একজন মায়ের লড়াই করে অসহায় এক শিশুর জন্ম উদ্দেশ্য মায়ের হাসি মুখ, ছাড়া আর কিছু নয়।

পায়ের ক্ষত ঘামে ভিজে গেলে কিংবা পাহাড়ি পথে অনেক উপর থেকে পরে গিয়ে কিংবা উপহাসের পাত্র হলে অথবা অথৈই জলে কিংবা জলশূূণ্য তৃষ্ণার কালে অথবা বরফের পাহাড়ে, যখন অক্ষমতার কাছে হেড়ে যাই, আমার মায়ের মুখ শক্তি জ্বলায় মনে মননে, আমি আবার শুরু করি।

এক জোড়া চোখ আমাকে বিশ্বাস করে তাকিয়ে আছে

একটি মানুষ একটি মরা গাছে বছরের পর বছর জল দিচ্ছে ।

আমি সেই মা'য়ের বিশ্বাসকেই শুধু প্রতিষ্ঠিত করবার চেষ্টা করেছি। ঈম্বর এবং বাবাকে চিনেছি কারণ আমার মা' তাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।

আমার জন্ম দায়, আমার মায়ের বিশ্বাস, আমাকে বাচিঁয়ে, আদরে, বড় করে কোন ভুল করে নাই। পৃথিবীর সকল নারীর প্রতি মস্তক নামিয়ে শ্রদ্ধা, তারা মা হতে পারে।

আমার মায়ের জন্ম তারিখের একদিন আগে আমার জন্মরাত। আমার যা কিছু সত্য, সুন্দর, উত্তম, সবটাই আমার মায়ের দান অথবা শিক্ষা। আমি তার মনের পুরুষ রূপের প্রকাশ মাত্র।

শুভ জন্মদিন মা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.