নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্মশান ঠাকুর

শ্মশান ঠাকুর

nothing to say

শ্মশান ঠাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

লং মার্চের লিফলেট::: ৮ আগস্ট ২০১৪:: ঢাকা থেকে সুন্দরবন

৩০ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩১

`তোমরা মানুষের জাতও না, মানুষ জন্মও দিতে পারবে না'- সুন্দরবনের সীমান্ত ছেড়ে ভারতের সীমান্তে যাবার সময়, একথা বলতেই পারে, বাঙালির মামা রয়েল বেঙ্গল টাইগার। বাঘিনী তার সন্তান জন্ম দেবার জন্য আগে বন দক্ষল করে। ভূমি কাপিয়ে, কয়লা জ্বালিয়ে রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে হারাতে বসেছে বাংলাদেশ। শুধু ভারতবর্ষ নয়, সারা পৃথিবীতেই সুন্দরবন একমাত্র বৃহৎ সমুদ্র উপকূলীয় বন। সাগরের লোনাপানিতে যার উদ্ভিত বেঁচে থাকতে পারে। পৃথিবীর তিনভাগ জল এবং একভাগ স্থল। সমুদ্রের তিন ভাগে যদি মানুষ কৃষি, বসতি, বাঁধ নিমাণ করতে চায়, তবে একমাত্র উদ্ভিদ এই সুন্দরী, গোলপাতা, কেওড়া আর সরকার সুন্দরবনের কপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবে এবং বিশাল বিশাল কয়লা ভরা জাহাজ ভারত থেকে সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে , তছনছ করতে করেত রামপালে আসবে। দেশে শক্তিশালি দেশ প্রেমিক রাজনৈতিক দল নেই, এই সুযোগে অরিওন মাতৃদালাল গ্রুপও সন্দর বন লিন্স নিয়ে বিশাল অংশ উজার করে, প্রকৃতিক সম্পদ পাঁচার করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে। এই সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানানো হবে সুন্দরবনের বাঘ, হরিণ, কুমির তথা জীব বৈচিত্র্য ইন্ডিয়ার ন্যাশনাল পার্কে উপহার দিবার জন্য।



পৃথিবীর একমাত্র `ম্যানগ্রোভ বন' সুন্দরবনের ২৫ ভাগ ইন্ডিয়া পেয়ে, সমগ্রভারতের ন্যাশনাল পার্ক ঘোষনা দিয়েছে এবং হাজার হাজার মাইল জনবসতি সরিয়ে বন বাড়িয়েছে।

ভারতীয় বিখ্যাত অভিনেতা সালমান খানকে একদিনের হাজতবাস দেয়, সে দেশের আদালন, ন্যাশনাল পার্কে হরিণ শিকারের অপরাধে।

বাঙালি বোঝে সব কিন্তু কিভাবে কি করতে হবে, সময় মতো বুঝতে পারে না, চোর গেলে বুদ্ধি বের হয়, তাই চোরের অপেক্ষায় আমাদের বুদ্ধিমানেরা। বুদ্ধিজীবিরা।

সাধারণ মানুষ এই সূত্রে পরে না। চোরের সাথে বুদ্ধির সম্পর্ক করেছে বৃটিশ। এটা ইংরেজি প্রবাদ তাই ইংরেজি হতে জ্ঞানী মানুষ মানে টক শো' র মানুষের সাথে, এদেশের সাধারণ মানুষের জীবনের কোন মিল নাই। সাধারণ মানুষ সংঘবদ্ধ। এদেশের এইসব সাধারণ মানুষ একবার যা চেয়েছে, রাষ্ট্র এবং বিশ্বকে তা করতে বাধ্য করেছে। চালের দাম প্রতি ঘরেই বাড়ে, তাই সুন্দরবন নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষ যদি কথা বলে, এগিয়ে আসে, তবে সুন্দরবন বাচিয়ে, তা থেকে পর্যটন শিল্পে কোটি কোটি ডলার আয় সম্ভব। আর জনগণের চাওয়া পূরন করতে বাধ্য থাকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

বাংলার আকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা, কে আমাদের আশা দিবে.????? এইসব পুরাতন কথা। নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে কেউ আশা দেয়নি। তবে বাঙালী জাতি কিন্তু বাংলাদেশ হয়েছে; পাক স্থানের দাসত্বও স্বীকার করেনি। সিংহাসনের আড়ালে কেউ কেউ বুক পেতে দেয় স্বদেশ বাঁচাতে। জন্ম ভূমি রক্ষা করতে। ৭১'র স্বাধীণতা যুদ্ধের সাত জন বীরশ্রেষ্ঠ কেউই নেতা কিংবা সিংহাসন মুখী ছিলেন না। এই মাটিতেই জন্ম সূর্য সেন।



সময়ের তরুণ ঘরে বসে আছে। সুন্দরবন বাঁচানোর জন্য বাঙালি সন্তানের রক্তের অভাব হবে না, এখানে প্রয়োজন প্রকাশ মাত্র। তাই সময়ের তরুণদের সংগঠন`` মৌলিক বাংলা'' পায়ে হেঁটে ঢাকা থেকে সুন্দরবন ২০৪ কি.মি. লং মার্চ এ হাহাকার সুন্দরবন! হাহাকার সুন্দরবন!! হাহাকার পৃথিবী!! কে জাগিয়ে নিয়ে যাবে সামনে যেখানে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সুন্দরবন ধ্বংস যন্ত্র বসানো হয়েছে। অরিওন মাতৃদালাল প্রুপের ধ্বংস যন্ত্র সম্পর্কেও মৌলিক বাংলা জ্ঞান রাখে।

পলাশির যুদ্ধে যতো জন বাঙালি দর্শক ছিলো, সবাই একটি পাথর ছুড়লেও বৃটিশ ধ্বংস হয়ে যায় কিন্তুু বাঙ্গালী তো দর্শক। যখন সময়ের তরুণ লড়াই করে, চারপাশে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলে দর্শক- এভাবেই খুনের দর্শক আত্মার ধর্ষকে পাল্টে যায়। হয়তো একদিন মুখ বন্ধ রেখে কাজ নামবে এইসব মুখরিত দর্শক।

এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার শ্রেষ্ট সময় তার

এখন যৌবন যার লং মার্চে যাবার শ্রেষ্ট সময় তার



সময়ের তরুণের জন্য মৌলিক বাংলার অপেক্ষা।



লং মার্চে, সমকলের সহযোগিতা, ভালবাসা, স্নেহ, মায়া, দয়া কামনা থাকবে; বাকিদের চামড়ার মুখ সম্পর্কেও আমরা অবহিত। মৌলিক বাংলা, দেশকে ভালবাসার জন্য এক জীবন বাজি রেখেছে, শুধুই ভালবেসে সবুজ সুন্দরবন বাঁচাতে তারা এই দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে যাবে, লড়ে যাবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.