নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুন্দরবনের প্রকৃতি, প্রাণ এবং জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাবে ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ কয়েল পাওয়ার প্রজেক্ট ( কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র) এ। পূর্বে এ নিয়ে মৌলিক বাংলা এবং জাতীয় সম্পদ রক্ষা কমিটি একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। মৌলিক বাংলা সর্বশেষ ২০১৬ তে ঢাকায় সুন্দরবন রক্ষায় `পদযাত্রা' কর্মসূচি গ্রহণ করে। সেই কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতায় ২০১৮ তে সুন্দরবন রক্ষায় নতুন চিন্তায় নিয়ে কাজ শুরু করেছে আমরা। চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে শুরু করে পরবর্তীতে অন্য যে কোন কর্মসূচির মাধ্যমে সুন্দরবনকে বাঁচানোই আমাদের লক্ষ্য
চিত্র প্রদর্শনী:
১) সারাদেশে ঘুমিয়ে থাকা দেশ প্রেমিকদের জাগিয়ে তোলা।
২) শিল্প মাধ্যমে সুন্দরবনকে মানুষের সামনে নিয়ে আসা।
৩) জন সাধারণকে ছবি'র মাধ্যমে সুন্দরবনের গুরুত্ব বুঝানো এবং এ বিষয় কথা বলতে উৎসাহিত করা।
৪) দেশী এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে সুন্দরবন নিয়ে প্রচার করতে আগ্রহী করা।
৫) বুদ্ধিজীবী এবং পরিবেশ গবেষকদের নতুন করে আলোচনা এবং তথ্য প্রদান।
৬) তরুণ সমাজের ভিতর নতুন কে শক্তি সঞ্চারণ করা।
৭) চিত্র প্রদর্শনীর উপর নির্ভর করে ডকুমেন্টরি তৈরি এবং ডকু ফিল্ম তৈরি করে সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া।
৮) পোস্টার এবং দেয়াল লিখন দিয়ে দীর্ঘকালীন বিষয়টি সামনে তুলে ধরা।
চিত্র প্রদর্শনী ছবি'র সাইজ:
৩০/২৪ ইঞ্চি ছবি হলে ভাল তবে এখানে চিত্রকারের চিন্তাকে গুরুত্ব দেয়া হবে( সহজ বহনযোগ্য যে কোন আকৃতির ছবি) কারণ সুন্দরবন একটি সার্বজনীন বিষয়। যে কোন মতামতকে গ্রহণ করা হবে, যা সুন্দরবনকে রক্ষায় সহায়তা করবে।
আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় চিত্র প্রদর্শনীর বিয়ষটি তুলে দেবার জন্য চিন্তা
১) দেশীয় চ্যানেল এবং পত্রিকা এবং নেটভিক্তিক প্রচার মাধ্যমগুলোকে আহ্বান করা হবে।
২) বিভিন্ন এ্যাম্বাসিকে লিখিত এবং ভিডিও চিত্র প্রদান করা হবে।
৩) দেশের বাহিরে অবস্থানরত বাঙালীদের কাছে তা পৌঁছে দেয়া হবে।
৪) মৌলিক বাংলা'র তরুনদের মাধ্যমে ২৩০টি উপজেলায় ছোট আকারে ভিডিও দেখানো এবং লিফলেট ছড়ানো হবে।
৫) অন্যান্য শিল্প মাধ্যমে কাব্য/গান/ মঞ্চ নাটক/ পুঁথি/ নাটিকায় এই ফুটেজ ব্যবহার এবং কথায় সুন্দরবন বিষয়টি তুলে আনা হবে।
চিত্র প্রদর্শনীর ধারাবাহিকতা:
১) জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রথম দুইদিন শুরু করে পরবর্তীতে অন্যান্য স্থানে দিনব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী করা হবে।
২) ঢাকা থেকে সুন্দরবন যাত্রা পথে বিভিন্ন উপজেলার প্রেসক্লাবে তা দিনব্যাপী প্রদর্শন করা হবে।
৩) খুলনায় আজিজ পার্কে সর্বশেষ চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজনের মধ্যে দিয়ে এ কর্মকান্ডের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সমস্যার মোকাবেলা'র জন্য মৌলিক বাংলা'র তরুণরা ২০১১ থেকে কাজ করে আসছে। তাই যে কোন ধরনের সামাজিক ও প্রশাসনিক
সংকটে মৌলিক বাংলা দায়ী থাকবে এবং যে কোন মূল্যে চিত্রকারকে সকল সমস্যা থেকে দূরে রাখবে। চিত্রকার এবং শিল্প বাংলাদেশের মূল্যবান সম্পদ, তাই জাতীয় সম্পদ রক্ষায় মৌলিক বাংলা মানব ঢাল হয়ে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করছে। `এক জীবন, এক বাজি, বাংলাদেশ ভালবাসি'' এই স্লোগানে মৌলিক বাংলা' স্বদেশের যে কোন তরুণ শিল্পীকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা এবং নিরাপত্তার দায় গ্রহণ করবে।
সর্বশেষ আবেদন:
হিমালয়ের পাদদেশে ছয় ঋতুর রঙিন ভূমি আমাদের বাংলাদেশ। আর্য, মোঘল, বৃটিশ, পাকিস্তানি ভিনদেশীদের বিরুদ্ধে এ দেশের তরুণ সমাজ অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে এসেছে। রক্তগঙ্গায় পবিত্র হয়েছে এ ভূমি বহুবার। পূর্বপুরুষের ধারাবাহিকতায় এ ভূমির পরিবেশ, প্রকৃতি এবং প্রাণ রক্ষার দায়িত্ব এখন আমাদের। তাই মৌলিক বাংলা'র সহস্রাধিক তরুণদের অগ্রযাত্রায় নতুন কর্মসূচিতে আপনাদের যে কোন চিন্তা এবং শক্তিকে বাংলাদেশের প্রয়োজন। নিজ নিজ স্থান থেকে, নিজ কর্মের মাধ্যমে দেশের তথা এই সময়ে সুন্দরবনের কথা আপনার চিন্তা/ চিত্র/ চিৎকারে প্রকাশের জন্য আবেদন করা হলো।
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাল লাগলো পোস্টটি পড়ে।তবে সরকারের সঙ্গে সাধারন মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে,নইলে এই জীব বৈচিত্রকে ধরে রাখা যাবে না।আয়লায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর সুন্দর বনের সুধন্যখালি,নেতিধোপানি,পাখিরালয়,সহ এক বৃহৎ অঞ্চলের হাহাকার,কর্মহীনতা, একফসলী জমি নষ্ট হওয়া,সেই সঙ্গে টুরিস্টদের পরিবেশ দূষনে প্রত্যক্ষকরে মনে হয়েছ বন ও বনবাসীর সার্বিক উন্নয়নে জনসচেতনতাও সরকারি সাহায্যের সঙ্গে জরুরি।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: শ্মশান ঠাকুর ,
জনগণের স্বার্থেই পোস্টটি স্টিকি হোক .......................
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্টটি স্টিকি করা যেতে পারে।