নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ভীষণ একলা থাকা মানুষ আমি ভীষণ আমার ভেতর থাকি!

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর

জীবন জুড়ে থাকা পরাজয়, হয়েছে ম্লান চিরকাল!

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বয়স যখন পঁচিশ

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৬




বয়স যখন পঁচিশ , যন্ত্রনা’র দিনগুলোর শুরু এখানেই। সদ্য পাশ করা নব্য বেকার। নিজের পেশা সবেমাত্র ‘ছাত্র’ থেকে ‘বেকার’-এ ডিগ্রেড করেছে। পকেটটা শুন্য, চা-বিড়ি খাওয়ার টাকা নাই, বাপ থেকে আর টাকাও চাওয়া যায়না, এদিকে গার্লফ্রেন্ড অপেক্ষায় বসে আছে কবে একটা চাকরি পেয়ে 2441139 নাম্বারে কল দিবেন, কেউ কেউ আবার ফ্যামিলির বাতি- সংসারের হাল ধরতে হবে এখনি!
দারুন যন্ত্রনার বয়স এটা!
এই বয়সেই মানুষ সত্যিকারে বুঝতে পারে জীবনটাকে! একটার পর একটা ভাইভাতে রিজেক্ট হয়ে বুঝা যায় এতোটা বছর নিজেকে যতোটা জ্ঞানী ভাবছিলাম ঠিক ততোটা জ্ঞানী আসলে নই। মানব জীবনে ‘মামা’র গুরুত্বটা সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে বোঝা যায় এই বয়সেই।
এই বয়সের একটা টাইমে আপনার মনে হবে আপনি ভুল ইউনিভার্সিটি কিংবা ভুল সাবজেক্টে পড়ে নিজের ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছেন! একমাত্র নিজের সাব্জেক্ট ছাড়া অন্য সকল সাব্জেটের জব লিঙ্কগুলো আপনার চোখে বোল্ড হরফে দেখা দিবে!

এই বয়সের সবচেয়ে বাজে সময়টা আসে সার্কেলের এক-এক জন চাকরি পাওয়া শুরু করলে। বন্ধুরা তখন সকলেই নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে এবং ব্যস্ততার কারণে দূরে চলে যায়। আবার এই বয়সেই নতুন করে বন্ধুত্বের সংজ্ঞা শিখতে হয় অনেককে। চেনা যায় কারা বন্ধুত্বের মুখোশ পরে স্বার্থ উদ্ধারের কাজটা করিয়ে নিয়েছেন।

এই বয়সে আপনার হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুক, ভাইভারের সাথে সাথে জীবনে নতুন কিছু জব সাইটে্র একাউন্টের সাথে যুক্ত হবেন। LinkedIn সাইটের ব্যাবহার ও গুরুত্ব এই বয়সেই শেখা হয় সাধারনত!

জীবনে প্রথমবারের মত শর্টস আর টিশার্ট বাদে ওয়াড্রোবে ফরমাল কাপড়ের খোঁজ করবেন আপনি। বন্ধুদের সাথে জীবনের জটিলতা নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন। জীবনের এই পর্যায়ে এসে মনে হয় মা-বাবাই হচ্ছে সবচাইতে কাছের মানুষ এবং তাঁরা যা বলতেন ঠিকই বলতেন। তাদের উপদেশ আরো আগেই শোনা উচিত ছিলো!

এই বয়সের সবচেয়ে হতাশার পাতা হচ্ছে আপনার হোম্পেইজ। ফেসবুকের দেয়ালে খালি বন্ধুদের বিয়ে ও এনগেজমেন্টের ছবি দিয়ে ভরা থাকে।
মেয়েদের ক্ষেত্রে বিয়ে না হলে পরিবারের চোখে অকর্মা ব্যক্তি হিসেবেই পরিচিতি পাওয়া যায়। 'কিরে বিয়ে করছিস কবে' বলে পৃথিবীর সবচেয়ে বিব্রতকর প্রশ্নটির মুখোমুখি হতে হয় এই বয়সেই বেশী!

কবিগুরু বলে গেছেন 'তেরো-চৌদ্দ বছরের ছেলের মতো পৃথিবীতে এমন বালাই আর নাই’ কবিগুরু ঠিকি বলেছিলেন কিন্তু তারচেয়ে দ্বিগুন বয়সী বালাইদের কথা বলে যাননি। তাই ২৫ বছরের হতাশ মানুষগুলো কবিগুরুকে নিয়ে হতাশ।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৬

রাােসল বলেছেন: হাচা কৈচেন

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর বলেছেন: হতাশা থেকেই লেখা রে ভাই!

২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪০

আশেকুল আরেফিন বলেছেন: পুরপুরি একমত। ২৫ যে আমার ও চলছে .... :(( :(

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর বলেছেন: মিলে গেছে, না? মিলবার-ই কথা। একই বয়স কিনা!

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯

রানার ব্লগ বলেছেন: একমাত্র নিজের সাব্জেক্ট ছাড়া অন্য সকল সাব্জেটের জব লিঙ্কগুলো আপনার চোখে বোল্ড হরফে দেখা দিবে!

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৭

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর বলেছেন: একদমই! :(

৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: হতাশার কথাগুলো খুবই সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, আপনী। একমাত্র সৃষ্টি কর্তাই পারেন সকল সমস্যার সমাধান করতে।

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৮

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর বলেছেন: ঈশ্বর আমাদের মঙ্গল করুক!

৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২২

বিজন রয় বলেছেন: বাহ!
+++

৬| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

ফ্রিটক বলেছেন: ভাই আমারও একই অবস্থা। কি যে করি,? ধন্যবাদ ভাইয়া পোষ্ট লেখার জন্য

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৮

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর বলেছেন: আমাদের সবার দেখি সেইম অবস্থা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.