নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ভীষণ একলা থাকা মানুষ আমি ভীষণ আমার ভেতর থাকি!

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর

জীবন জুড়ে থাকা পরাজয়, হয়েছে ম্লান চিরকাল!

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসাও কি তবে শেষ-মেষ অভ্যাসের দাস?

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫


প্রতিদিন সকালবেলা নিয়ম করে রুপন্তির মোবাইলে সুপ্রভাত বার্তা অপেক্ষা করে । একদিনও তার বিরাম নেই। বিষয়টা অনেকটা অভ্যাসে পরিনত হওয়ার মত হয়ে গেছে। অবাক লাগে, ভালবাসাও কি শেষ-মেশ অভ্যেসের দাস? এরপর চলতে থাকে একের পর এক অর্থহীন মেসেজের পালা। দিনের শেষে যেগুলোকে মুছে দিতে একটুও অসুবিধে হয় না রুপন্তির । অথচ মেসেজ বন্ধ হওয়ার উপায় নেই।হলেই সেই চিরাচরিত মান-অভিমানের খেলা শুরু হবে। ওর মনে হবে- 'আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাটা আমি দিচ্ছি না ওকে'। এরকম সম্পর্কের মধ্যে ব্যক্তিগত কিছু চিন্তাভাবনা, ইচ্ছে-অনিচ্ছে, আনন্দ-দুঃখ থাকা বুঝি বাঞ্ছনীয় নয়। কী জানি, হয়তো তাই! একা একাই ভেবে যায় রুপন্তি।

আসলে, পুরো ব্যাপারটাই কেমন ধোঁয়াশার মতো ঠেকে আজকাল। পূণ্যকের সাথে তার সম্পর্ক একটা চলছে, সেটাও যেন একটা কর্তব্যের মতো। প্রত্যেকটা সম্পর্ককে কেমন যেমন দায়ীত্ব আর কর্তব্যের খাতিরে টিকিয়ে রেখেছে বলে মনেহয় রুপন্তির। সেটা বন্ধুদের প্রতি, পুণ্যকের প্রতিও।
এই প্রশ্নগুলো কেন, কীসের জন্য, তা কোনও গুরুত্বই পায় না কারো কাছে। ‘ছেলে ভাল হলেই হল’ সকলে বলে এই কথা । কিন্তু ‘ভাল’ কথাটারও যে অনেক মানে হয়, তা কাউকে বোঝাতে পারেনা রুপন্তি।

এইতো গত কয়দিন আগে পূন্যককে খোয়াই দেখতে নিয়ে গিয়েছিলো রুপন্তি । খুব আগ্রহ ছিল তার , ভেবেছিলো এমন সুন্দর জায়গাটা নিশ্চয়ই পছন্দ হবে ওর। খোয়াইয়ের চারধারে রাস্তা ধুলোর মেঘ, এবড়োখেবড়ো রুক্ষ মাটি ফুরে মাঝে-মাঝে অবাঞ্ছিতের মতো গজিয়ে উঠেছে কাশফুলের ঝাড়, অদূরে পরস্পর-ঘেঁষা আদিবাসীদের কুঁড়ে ঘর, পায়ের তলায় লাল-লাল কাঁকর। এ যেন আদিম পৃথিবী।

আশ্চর্য, জায়গাটা পূন্যকের মনে তেমন কোনও দাগই কাটল না! বরং জায়গাটার নির্জনতাকেই বেশ সুবিধেজনক মনে হল ওর, প্রেমিকদের পক্ষে খুবই নির্বিঘ্ন।
উপায়ান্তর না দেখে সেদিন কী অজুহাতে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে এসেছিলো রুপন্তি তা তার নিজেরও মনে নেই। বাড়ি ফিরে ফোনে বড়রকম ঝগড়া হয়ে গেল একটা। পূণ্যক অনেক কিছুই বলে গেল ফোনে আর রুপন্তি চুপচাপ ।
ফোন রাখার পর এক উদাসীন ভাবনা চিন্তায় ফেলে দেয় রুপন্তিকে-
'আমি আসলে ওকে ঠিকঠাক বুঝতেই পারিনি কখনও। পূন্যক আমাকে বুঝতে পেরেছে কি কখনো?''
-এই রকম হাজারটা এদিক-সেদিক করা প্রশ্ন। এই প্রথমবার তার মনের মধ্যে কেউ যেন বলে উঠল, হয়তো ও আলাদাভাবে বোঝার চেষ্টাই করেনি কোনওদিন। নিজের খুশি মতো কিছু ভেবে নিয়েছে মাত্র।
রুপন্তি নিজেকে খোজার চেষ্টা করে । আজকাল সকলের সঙ্গেই কথায় কিছুটা ডিস্টেন্স থেকে যায় দেখি।
‘শব্দের খাঁজে, খাঁজে নাকি হ্রদের মতো নিস্তব্ধতা লুকিয়ে থাকে’- এক লেখক বলেছিলেন এ কথা । তাঁকে অতিক্রম করা দুঃসাধ্য। রুপন্তি শব্দে বিশ্বাস করে । সে জানে , শব্দই মানুষকে পরস্পরকে চিনিয়ে দেয়। কিন্তু তাদের মধ্যেও যে এত গভীর দূরত্ব! কী দিয়ে এই আন্তঃমানবিক দূরত্ব দূর করা যায়-ভেবে পাই না সে কোনমতে । সমুদ্রের মাঝখানে বানভাসি দ্বীপের মতো নিজেকে শেকড় কাটা মনে হয়, অন্ধকারে খুজতে থাকে উত্তর...।।

আচ্ছা, এই প্রশ্নপগুলার উত্তর কি কখনো মিলবে রুপন্তির ?

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

শায়মা বলেছেন: মিলবে না!!!!!!!


ভালোবাসায় অনেক প্রশ্নের উত্তর কখনও মিলে না!!!!!!!!!

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর বলেছেন: রুপন্তি আজও আশায় আছে উত্তরের!

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

রাজসোহান বলেছেন: মেলেনা, আজ কিছু মেলেনা /:)

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর বলেছেন: :( শুধু হতাশা মেলে! :(

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯

শায়মা বলেছেন: ২. ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৯ ০
রাজসোহান বলেছেন: মেলেনা, আজ কিছু মেলেনা /:)


কিছু মেলেনা এইটা আবার কি!!!!!!!


কিছু কিছু মেলেনা বলো সোহানুল ভাইয়ু!!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.