নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ভীষণ একলা থাকা মানুষ আমি ভীষণ আমার ভেতর থাকি!

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর

জীবন জুড়ে থাকা পরাজয়, হয়েছে ম্লান চিরকাল!

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিকতা- কেন আমার পছন্দ নয় ?

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৯



নাস্তিকতা- এই বিষয়টা আমার কাছে দুনিয়ার সবচেয়ে লেইম জিনিস মনেহয়। প্রকৃতপক্ষে বিশ্বে নাস্তিকতা বলতে কিছু নাই। পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষ সময় ও সুযোগ বুঝে আস্তিক। নিজেকে যখন সহায়হীন মনে হয় এক্কেবারে একলা থাকার মূহুর্তগুলো সবাই-ই নিজের অজান্তে বলে উঠে 'গড, সেইভ মি!'
আমি অনেক তথাকথিত নাস্তিক বন্ধুকে দেখেছি যার কাছ থেকে ঈদের দিনে সবার আগে "ঈদ মোবারক'' লেখা এসএমএস পাই । পূজারদিনে মাথায় টিকি পরা ছবি ফেসবুকে পাই। তাও তারা নিজেকে নাস্তিক বলে দাবী করে।
তারা নিজেদেরকে 'মানবতা ধর্মী' বলে পরিচয় দিতে ভালোবাসে তাই কাউকেই কষ্ট(!!!) দিতে চায় না । কারো মনে দুঃখ দিবার চায় না। এই জন্যে সারাবছর ফেসবুকে ধর্মের কুসংস্কার কিংবা তাদের নিজ হস্তে রচিত নবীজি (সঃ) এর জীবনী নিয়ে মাতামাতি করে নিজেকে 'ইসলামীক চটিবাজ' হিসেবে দাখিল করে কিন্তু দিনশেষে সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজেকে 'মানবতা'বাদী হিসেবে উপস্থিত করে!

প্রসঙ্গ- ০১: নাস্তিকতা কি? প্রকৃতপক্ষে নাস্তিক কারা?


নাস্তিক বলতে প্রকৃতপক্ষে তাদেরকেই বুঝায় যাদের স্রষ্টার উপর বিশ্বাস নেই। যারা 'স্রষ্টার অস্তিত্ব আছে' এমন বাক্যকে অস্বীকার করে।
কিন্তু আমার জীবনে এমন একজনও ভালো নাস্তিককে পেলাম না যারা প্রকৃতই নাস্তিক। কারণ যারা নিজেদেরকে নাস্তিক বলে দাবী করেন তারা নিজেরাও অনেক কন্ট্রোভার্সিয়াল। তারা প্রত্যেকেই নিজের স্বার্থ উদ্ধারে একেকসময় একেক বেশ ধারণ করে।

প্রসঙ্গ- ০২: বাংলাদেশের নাস্তিক ও তাদের হাবভাব।

আমার কাছে মনেহয় নাস্তিকতা অনেক বড় জিনিস। কোন প্রকার ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস না রেখে নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ন ভাবা কম সাহসের কথা না কিন্তু! কিন্তু আমাদের দেশে যারা নিজেদেরকে নাস্তিক বলে দাবী করে তাদের বেশীরভাগই প্রকৃতপক্ষে ইসলাম বিদ্বেষী। ধর্ম নিয়ে তাদের জ্ঞ্যানের পরিধি যথেষ্ট কম এবং ধর্ম না জেনে না বুঝে শুধু ইসলামকে নিয়ে দু'একটা কুটুক্তি করতে পারলেই তারা নিজেদেরকে 'বড় নাস্তিক' বলে মনেকরা শুরু করে।
তারা প্রত্যেকেই নিজেদেরকে মানবতা ধর্মী বলে পরিচয় দিয়ে থাকে। অথচ তারা মুসলমানদেরকে মানুষ বলেই গন্য করেনা। একজন অন্যধর্মের [Non-Muslim] কিংবা অবিশ্বাসী কেউ কোত্থাও মারা পড়লে তাদের সরব উপস্থিতি দেখা যায় এবং সেটা সর্বোচ্চ টাইমলাইনের দেয়াল পর্যন্তই সীমাবন্ধ থাকে। 'Save Gaza' লিখে হ্যাশট্যাগের তীব্র সমালোচনা শুনা যায় তাদের মুখে । আসাম,ইরাক কিংবা মায়ানমারে হাজার হাজার মানুষ [যাদের ধর্ম ইসলাম] মারা পড়লেও তাদের 'মানবতা'র দিলে একটু খানি টুকা পড়েনা! তাদের 'নাস্তিকতা'বাদের অধ্যায়ে 'কেউ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী হলে-তারাও মানুষ' চ্যাপ্টারটি নেই। যেনো পৃথিবীর সকল মানবতা শুধু মাত্র 'মুসলমান' ব্যাতীত অন্য সকলের জন্য। তাদের ফেসবুক স্ট্যাটাস ফলো করলে দেখা যায় ইসলাম কিংবা অন্যকোন ধর্মের পথপ্রদর্শকদের [বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে ইসলাম ধর্মই বাংলাদেশে সাফারার] নিয়ে চটি লেখা তাদের নাস্তিকতাবাদের একটি অংশ বানিয়ে ফেলেছে।
তাদের মুখের জাতীয় বাণী- 'মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত' বাক্যটাকে আমি তাদের জন্যে এইভাবে বলে থাকি ''বাংলাদেশের নাস্তিকরা হাটতে পারেনা,দৌড়াতেও পারেনা...ওদের দৌড় অন্তঃর্জালের দেয়াল পর্যন্তই'' ।

প্রসঙ্গ- ০৩: তসলিমা নাসরিন ও আসিফ মহিউদ্দিন

তসলিমা নাসরিন আমার প্রিয় নারী লেখক। যতই উনার বই পড়েছি ততই আমার মুগ্ধতা বেড়েছে ওনার প্রতি। অবিশ্বাস্য শব্দচয়ন তার। লেখার সাবলীলতা ও সহজ সরল উপমা যে কাউকে মুগ্ধ করবে। যদি কেউ তার বই পড়ে থাকে।
কিন্তু তাকেও আমার কাছে সবসময় 'নিচু মনের' মনে হয়েছে। কারণ সে নিজেকে নাস্তিক দাবী করলেও প্রকৃতপক্ষে তার লিখা কিংবা প্রবন্ধে নাস্তিকতার কোন ছাপ নেই। যেটুকু আছে সেইটুকু পুরোটাই ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব। কেনো সে এইটুকু করে? - কারণ তার স্বদেশ তাকে তাড়িয়ে দিয়েছে। ভারত তার বাচার অবলম্বন। সেইখানে গিয়ে হিন্দু ধর্মের বিরোধীতা করে লিখলে যে তার থাকার সংকুলন হবেনা তা সে ভালোমতই জানে। এইকারণে-খুব সচেতনভাবে সে তার 'ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকতা'কে ফেসবুক/টুইটার এর মাধ্যেমে জোরে-শোড়ে চালিয়ে যাচ্ছে আর নিজেকে টিকিয়ে রাখছে উগ্রপন্থী ইসলাম বিরোধীদের দেশে! আমি ফেসবুকে তসলিমা নাসরিনকে অনেকদিন ইনবক্স করেছি। জানিয়েছি ওনার লিখা পড়ে আমি কতোটা মুগ্ধ হই! অনুরোধ করেছি তার নিজস্ব 'বিশ্বাস' এর উপর যেনো নিজের সততা না হারায়। সে যেনো প্রকৃতই নাস্তিক হতে পারে -ইসলাম বিদ্বেষী না! ইনবক্সগুলা 'সিন' হয়ে আছে আজও। রিপ্লে মিলেনি!

আসিফ মহিউদ্দিনও একই ক্যাটাগরিতে পরে। আমি অনেককালই তার লিখা পড়েছি [ফেসবুকে] । তার প্রত্যেকটা লিখাতেই ইসলাম বিদ্বেষী একটা মনোভাব এবং সেটা সরাসরি মানুষের মনে আঘাত করার মতো। মাঝে মধ্যে তাকে জার্মানীর বিভিন্ন নাস্তিকবাদী কনফারেন্সে যেতে দেখি। নিজেকে সেইসময় তিনি জার্মান পরিচয় দিতেই যেনো ভালোবাসেন! বুকের উপর খুব বড় করে লিখা থাকে 'জার্মানী' আর ছোট করে 'বাংলাদেশ'।
এখন নিশ্চয় প্রশ্ন করবেন-একজন নাস্তিক নিজেকে বাংলাদেশী হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করলে কি খুব কোন লাভ হবে বাংলাদেশের?
-আমি বলবো 'না' হবেনা! বরং আমি এই বুঝাতে চাচ্ছি যে - নিজেকে প্রতিষ্টা করার জন্য এইসব মুখে ফেনা তোলা এইসব ভন্ড দেশপ্রেমিকেরা নিজের জন্যে নিজের দেশটাকেও ভুলে যেতে পারে!

প্রসঙ্গ- ০৪: তথাকথিত নাস্তিক ভাইদের প্রতি কিছু অনুরোধ-

যদি 'নিজেকে অবিশ্বাসী' দাবী করা কোন নাস্তিক ভাই/বোন আমার ফ্রেন্ডলিস্টে থেকে থাকেন তবে আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে - প্লিজ, যদি নাস্তিক হোন তবে প্রকৃতই হোন।শুধু ইসলামের বিপক্ষে লিখলেই তো আর নাস্তিক হওয়া যায়না! কোটি কোটি মানুষের বিশ্বাসের উপর আঘাত দেয়ার অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে? যদি কাউকে পরোয়া না করে নিজেই নিয়ে থাকেন তবে বলবো- 'আপনাদের নাস্তিকতার চ্যাপ্টারে কি মানুষের মনে আঘাত দেয়া অনুচিত'-এই অধ্যায়টি নেই?
আপনারা ধর্মের কুসংস্কার পালটিয়ে সমাজ পরিবর্তন করতে চান। ভালো কথা।
আরে ভাই, পৃথিবীতে কি সমাজ পরিবর্তনের উপায় শুধুই 'ধর্মের ভুল ধরা'? ধর্মের সমালোচনা করা? ধর্মের নামে চটি লিখে মানুষের মনে আঘাত দেয়া??
যদি উত্তর না হয় তবে বলবো - এমন কোন কিছু করুন যা আপনাকে মানুষের কাছে সেই লেভেলের একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবে। মানুষের মনে আপনার স্থান হবে। তবে, প্রকৃতই আপনি 'মানব ধর্মী' হয়ে উঠবেন!
কখনো কি ভেবেছেন-ধর্মগুরু'রা আসলে কি করেছিলো যে হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ তাদের মনে রাখছে? তাদের দিক নির্দেশনা মেনে চলছে?
ভেবেছেন এইভাবে কখনো?

প্রসঙ্গ- ০৫: আমি ক্যানো ধর্মে বিশ্বাসী?


এই বর্ণনাটা আমার অনেক আগেই দেয়া-
"আমি আস্তিক। আমি ইসলাম ও কুরআন বিশ্বাস করি।আমি মাঝে মধ্যে নামায আদায় করার চেষ্টা করি, মাঝে মাঝে কুরআনও তেলোয়াত করি।নাস্তিকরা বলতে পারে কেন করি?কারন আমি আল্লাহ বিশ্বাস করি; আমি আল্লাহ বিশ্বাস করে মনে শান্তি পাই। যখন চারপাশ থেকে চাপে পরি, কেউ থাকে না আমাকে সাহায্য করার, যখন ভরসা দেয়ার মত কেউ থাকে না; তখন আমি আমি আল্লাহ্‌র নাম ডাকি।আমি শান্তি পায় মনে, আমার সমস্যা গুলো সমাধান হয়ে যায়। এই আধুনিক যুগে ইসলামের সবগুলো বিধান আমি চেষ্টা করলেও মেনে চলতে পারি না।কারন আমি সবসময় সত্যি কথা বলি না, অনেক সময়ই জেনে বুঝে পাপ কাজ করি, আমার মুখে সুন্নাতী দাঁড়ি নেই, মানুষের নামে গীবতও করি, গান শুনি, সিনেমা দেখি, হয়তো স্বার্থপরের মত আচরণ করি। তারপরও আমি আস্তিক।সব কিছুর পরও আমি একজনের কাছেই মাফ চাই।আমার ভরসা আছে তার উপর সবসময়। আমি দেখেছি দুঃসময়ে তার কাছে চাইলে সে আমার অনেক চাওয়াই পূরণ করে দেয়। কিন্তু নাস্তিকরা তো কাউকেই বিশ্বাস করে না। ওরা মনের শান্তি কিভাবে পাবে? একজন হিন্দু ভগবান বিশ্বাস করে, খ্রিস্টান ঈশ্বর বিশ্বাসী।তারাও তাদের দুঃসময়ে ভগবান-ঈশ্বরকে কাছে পাবে।কিন্তু নাস্তিকরা কাকে পাবে?''

সকলে ভালো থাকবেন। ইসলাম না বুঝে যারা জাতীগত বৈষম্য তৈরী করে তাদেরকে 'মুসলমান' ভেবে কোটি কোটি 'ভালো মুসলমান'দের কে একই পর্যায়ে চিন্তা করার মানে হয়না। ওরা আপনার শত্রু,আমার শত্রু ও ধর্মের শত্রু!

[ বিঃদ্রঃ লিখাটা ২০১৫ সালের ৫ই জুন আমার ফেসবুক ওয়ালে নোট আকারে প্রকাশিত]

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩০

রাজসোহান বলেছেন: এতো লেইম জিনিস আপনারও লিখে প্রমাণ করা লাগলো =p~

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৫

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর বলেছেন: প্রমাণটা করেছিলাম তখন ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা কিছু মানুষের 'দ্বিত্ব' আচরনের কারণে!

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪০

ধ্রুব মাসুদ বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৬

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর বলেছেন: ধন্যবাদ ধ্রুব ভাই :)

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২৫

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: Pray 4 u to bcome true muslim

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: প্রকৃতপক্ষে বিশ্বে নাস্তিকতা বলতে কিছু নাই। পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষ সময় ও সুযোগ বুঝে আস্তিক। নিজেকে যখন সহায়হীন মনে হয় এক্কেবারে একলা থাকার মূহুর্তগুলো সবাই-ই নিজের অজান্তে বলে উঠে 'গড, সেইভ মি!'


তা ভাই আপনি কুন কুন দেশ ঘুরছেন?

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর বলেছেন: ভাই, আমি বাংলাদেশেই ঘুরেছি এবং বাংলাদেশেই ঘুরছি!

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০২

আশরাফুল মাহিন বলেছেন: ভাল লিখেছেন,একজন যদি নাস্তিক হয় তবে সত্যিকার অর্থে নাস্তিক হওয়া চাই।বিভিন্ন ধর্মকে আঘাত করে ,ধর্মগুরুদের নামে কুরুচিপূর্ণ কথা লিখে নাস্তিক হওয়া যায় না।আসলে তথাকথিত এসব নাস্তিকরা নিজেদের নাস্তিক ও মানবতাবাদী বলে দাবি করলেও এরা এই শব্দগুলোর অর্থই বোঝেনা।এরা মানবতাবাদী হলে কখনো মানুষের বিশ্বাস ও ধর্ম প্রবর্তকদের চরিত্রে এমন বাজেভাবে আঘাত হানতে পারত না।লেখকের যুক্তিগুলো ভাল।লিখে যান।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১৮

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর বলেছেন: ধন্যবাদ আশরাফুল ভাই। সাথে থাকুন :)

৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

নতুন বলেছেন: প্রসঙ্গ- ০৩: তসলিমা নাসরিন ও আসিফ মহিউদ্দিন

তসলিমা নাসরিন আমার প্রিয় নারী লেখক। যতই উনার বই পড়েছি ততই আমার মুগ্ধতা বেড়েছে ওনার প্রতি। অবিশ্বাস্য শব্দচয়ন তার। লেখার সাবলীলতা ও সহজ সরল উপমা যে কাউকে মুগ্ধ করবে। যদি কেউ তার বই পড়ে থাকে।
কিন্তু তাকেও আমার কাছে সবসময় 'নিচু মনের' মনে হয়েছে।


তাসলিমার লেখাতে মুগ্ধ হবার কি পাইলেন? আপনি কি ভাল মানের সাহিত্য পড়েন নাই?

নাস্তিকতা আর ধম`বিদ্বেশ এক না... আপনি যেমন যারা বোমা মেরে ধম` প্রচার করে তাদের ধামিক বলেন না... তেমনি ধম`বিদ্দেশীরাও নাস্তিক না.. এরা ধম` বিদ্বেশী..


ভাই ধম` বিশ্বাস ধীরে ধীরে মানুষের মাঝে বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে....

বিশ্বের বিরাট অংশ ধম` বিশ্বাস করেনা। এটা আরো বাড়বে...

প্রসঙ্গ- ০৫: আমি ক্যানো ধর্মে বিশ্বাসী?

এই বর্ণনাটা আমার অনেক আগেই দেয়া-
"আমি আস্তিক। আমি ইসলাম ও কুরআন বিশ্বাস করি।আমি মাঝে মধ্যে নামায আদায় করার চেষ্টা করি, মাঝে মাঝে কুরআনও তেলোয়াত করি।নাস্তিকরা বলতে পারে কেন করি?কারন আমি আল্লাহ বিশ্বাস করি; আমি আল্লাহ বিশ্বাস করে মনে শান্তি পাই। যখন চারপাশ থেকে চাপে পরি, কেউ থাকে না আমাকে সাহায্য করার, যখন ভরসা দেয়ার মত কেউ থাকে না; তখন আমি আমি আল্লাহ্‌র নাম ডাকি।আমি শান্তি পায় মনে, আমার সমস্যা গুলো সমাধান হয়ে যায়। এই আধুনিক যুগে ইসলামের সবগুলো বিধান আমি চেষ্টা করলেও মেনে চলতে পারি না।-------&gt;< আমার ভরসা আছে তার উপর সবসময়। আমি দেখেছি দুঃসময়ে তার কাছে চাইলে সে আমার অনেক চাওয়াই পূরণ করে দেয়। কিন্তু নাস্তিকরা তো কাউকেই বিশ্বাস করে না। ওরা মনের শান্তি কিভাবে পাবে? একজন হিন্দু ভগবান বিশ্বাস করে, খ্রিস্টান ঈশ্বর বিশ্বাসী।তারাও তাদের দুঃসময়ে ভগবান-ঈশ্বরকে কাছে পাবে।কিন্তু নাস্তিকরা কাকে পাবে?''

উপরের লেখাটকু আপনার ভন্ডামী এবং নিজের আত্নবিশ্বাসের কমতির প্রমান করে....

আপনি সৃস্টিকতাকে ভয় পান না অথবা ভালোবাসেন না তাহলে তার হুকুম পুরাই পালন করতেন....
আপনি কুস্ংস্কার মুক্ত না.. তাহলে প্রথনায় বিপদে উদ্ধার হয় সেটা বিশ্বাস করতেন না।

যখন আপনি বুঝতে পারবেন যে আসলে বিপদে উদ্ধার গায়েবি ভাবে হয় না তখন আপনি কারুর জন্য বসে থাকবেন না। তখন আপনার উপরের ভরসায় থাকবেন না।

ধম`বিদ্বেশীরা মানবতাবাদীও না কারন মানষের মনে আঘাত করা যায়না। তাদের সাথে ধামিক বোমা বাজের তুলনা চলে..

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর বলেছেন: প্রশ্নটা অবশ্য আপনাকে করতেই ইচ্ছে হচ্ছে- আপনি কি আদৌ কখনো তসলিমা নাসরিনের উপন্যাস কিংবা কবিতা পড়েছেন?
আমার অনেক প্রিয় একটা কবিতা দিলাম যেটা তসলিমা নাসরিনের লিখা। সময় হলে পড়ে দেখবেন-

'যদি ভুলে যাবার হয়, ভুলে যাও।
দূরে বসে বসে মোবাইলে, ইমেইলে হঠাৎ হঠাৎ জ্বালিয়ো না,
দূরে বসে বসে নীরবতার বরফ ছুড়ে ছুড়ে এভাবে বিরক্তও করো না।

ভুলে গেলে এইটুকু অন্তত বুঝবো ভুলে গেছো,
ভুলে গেলে পা কামড়ে রাখা জুতোগুলো খুলে একটু খালি পায়ে হাঁটবো,
ভুলে গেলে অপেক্ষার কাপড়চোপড় খুলে একটু স্নান করবো,
ভুলে গেলে পুরোনো গানগুলো আবার বাজাবো,
ভুলে গেলে সবগুলো জানালা খুলে একটু এলোমেলো শোবো।
রোদ বা জোৎস্না এসে শরীরময় লুকোচুরি খেলে খেলুক, আমি না হয় ঘুমোবো,

ঘুমোবো ঘুমোবো করেও নিশ্চিন্তের একটুখানি ঘুম ঘুমোতে পারিনা কত দীর্ঘদিন!
কেবল অপেক্ষায় গেছে। না ঘুমিয়ে গেছে। জানালায় দাঁড়িয়ে গেছে।

কেউ আমাকে মনে রাখছে, কেউ আমাকে মনে মনে খুব চাইছে, সমস্তটা চাইছে,
কেউ দিনে রাতে যে কোনও সময় দরজায় কড়া নাড়বে,
সামনে তখন দাঁড়াতে হবে নিখুঁত, যেন চুল, যেন মুখ, যেন চোখ, ঠোঁট,
যেন বুক, চিবুক এইমাত্র জন্মেছে, কোথাও ভাঙেনি, আঁচড় লাগেনি, ধুলোবালি ছোঁয়নি।
হাসতে হবে রূপকথার রাজকন্যার মতো,
তার ক্ষিধে পায় যদি, চায়ের তৃষ্ঞা পায় যদি!
সবকিছু হাতের কাছে রাখতে হবে নিখুঁত!
ভালোবাসতে হবে নিখুঁত!
নিমগ্ন হতে হবে নিখুঁত!
ক্ষুদ্র হতে হবে নিখুঁত!
দুঃস্বপ্নকে কত কাল সুখ নামে ডেকে ডেকে নিজেকে ভুলিয়েছি!

ভুলে যেতে হলে ভুলে যাও, বাঁচি।
যত মনে রাখবে, যত চাইবে আমাকে, যত কাছে আসবে,
যত বলবে ভালোবাসো, তত আমি বন্দি হতে থাকবো তোমার হৃদয়ে, তোমার জালে,
তোমার পায়ের তলায়, তোমার হাতের মুঠোয়, তোমার দশনখে।

ভুলে যাও, মুখের রংচংগুলো ধুয়ে একটু হালকা হই, একটুখানি আমি হই।'

__ কবিতার নামঃ মুক্তি, লেখকঃ তসলিমা নাসরিন


তারপর আপনি লিখেছেন প্রসঙ্গ-৫ সম্পর্কে। আমার ভন্ডামী এইখানে কিভাবে প্রকাশ পেলো আমি তা ক্লিয়ার না। তবে আমি এইটুকু সত্যযে আমি ঠিক ততোটা 'আত্মবিশ্বাসী' নয় যতোটা আত্মবিশ্বাসি হলে ঈশ্বরের উপর আমার ভরসা করা লাগতো না!

ধর্মে বিশ্বাসকে যদি আপনি বলেন যে 'আমি কুসংস্কার মুক্ত' না তবে সেটাই সত্য কেননা আমি বিপদে পড়লে আজও ঈশ্বরের উপর-ই ভরসা করি এবং করবো!

৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১

সুশীল দত্ত বলেছেন: লেখককে অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটা লেখার জন্য

৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: খুব ভালো লেখা। লিখতে থাকুন।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০০

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর বলেছেন: ধন্যবাদ ফরিদ ভাই ।

৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৩

আশরাফ ও নীল বলেছেন: নাস্তিকদের হাবিজাবি প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সেসব সংশয়বাদী বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন, তাদের স্যাটিস্ফাই জবাব দেবার জন্য ফেসবুকে একটা গ্রুপ খোলা হয়েছে। সত্যকথন নামের এই গ্রুপটাতে ভিজিট করলে অনেক নাস্তিকের 'ঈমান' নিয়েও টানাটানি পড়ে যেতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.