নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ভীষণ একলা থাকা মানুষ আমি ভীষণ আমার ভেতর থাকি!

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর

জীবন জুড়ে থাকা পরাজয়, হয়েছে ম্লান চিরকাল!

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রুপকথার গল্পে আমি

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭



প্রকৃত বয়সটা ছাব্বিশ ছুঁই ছুঁই করছে। না কৈশোর না মধ্যবয়স্ক, টগবগে আর প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত প্রকৌশল জ্ঞ্যান সম্পন্ন মানুষের এমন পাগলামো মানায় না, জানি। তবুও বাস, লঞ্চ, রিক্সা আর অটোতে করে তিন এর গুনীতক একটা শতক দূরত্ব পার করে ফেললাম অনায়াসে। কাউকে কিছু না বলে। প্রাথমিক অবস্থান থেকে যাত্রা শুরু করে একটি নির্দিষ্ট সময় ব্যায়ে যে দূরত্ব অতিক্রম করে গন্তব্যস্থলে পৌছেছি সেই সরণকালে শরীরে ক্লান্তি এসেছে, তবে অবসাদ ভর করেনি একটুও!

অবসাদশুন্য ক্লান্ত শরীরটাকে আরো বেশ কয়েকটা সময় ধরে ঝালিয়ে নিলাম পুরোনো কিছু মানুষের সাথে খোশ গল্পে মশগুল হয়ে। তারপর খানিকটা ব্যাক্তিগত একলা সময় কাটানো, অল্পখানি ঘুমিয়ে পড়া।
ঘড়ির কাটা যখন জানান দিলো সময়টা শেষ বিকেল তখন ঘুম ভাঙ্গলো। মোবাইলে ক্রিং ক্রিং করে এসএমএস এর শব্দ হলো- 'বের হচ্ছি, বের হও'!

তড়িঘড়ি করে হালকা একটু ফ্রেশ হয়ে বের হলাম। দূষণমুক্ত নগরী বলে পরিচিত এই শহরে মাত্র দুই লেনের পিচঢালা সড়ক। যতো-ই শহরের প্রান্তসীমা পার হয়ে এর গভীরে প্রবেশ করতে থাকি, দিনের আলো ক্রমে কমে আসতে থাকে। ভিড় দেখি শহরে। 'রিক্সা থেকে নেমে দাঁড়িয়ে আছি' ক্ষুদেবার্তা পড়ে উৎকণ্ঠা বাড়ে। হালকা যানজটে সময়টাকে দীর্ঘ মনে হতে থাকে। আজ আকাশের মন ভালো, মেঘের ছিটেফোটা নেই। মনে মনে ভাবছি দু’চার ফোঁটা বৃষ্টি আসলে খারাপ হতোনা। হালকা বৃষ্টিতে চমৎকার কিছু সময় কাটানো যেত। বজ্রপাতে চমকে উঠতো সে, জড়িয়ে ধরতো আমাকে! আর আমি কিছুটা চমকে উঠে থমকে দিতে চাইতাম সময়টাকে!

'গৃহভোজ রেস্টুরেন্ট' এর সামনে আসতেই চোখ পড়ে প্রিয় দুটি চোখে। অমলিন তার মিষ্টি হাসি যেন জানান দিচ্ছিলো অনুচ্চারিত 'স্বাগতম' শব্দ বলে। সেই হাসিটা এতো নিষ্পাপ যেন এই মাত্র জন্মেছে, কোথাও ভাঙ্গেনি, আঁচর লাগেনি। 'তিন চাকার যানে করে শহর বেড়াবো আজ সন্ধ্যায়' - দ্রুততার সাথে এমন দ্বিপাক্ষিক সমযোতায় পৌছে যাই আমরা।

রিক্সায় বসে কয়েক ন্যানো মিটার এর দূরত্বকে শুন্যের কোঠায় নিতে আসতে ইচ্ছে হলো। সানক্রেস্টহীন হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে বললাম- 'যদি বন্ধু হও হাতটা বাড়াও'! সে হাত হাতে না রেখে হাত দিয়ে মুখ ঢাকলো। নিজের হাসিটা ঢেকে দিলো, যেন হাসি দেখলেই হাতে হাত রাখা হয়ে যাবে! এমন নাটকীয় আবদার নাকি তাকে কেউ কখনো করেনি। তার হাসি থামছেই না...!

রিক্সা যানে আমাদের গন্তব্য ফুরালো। সামনে একটা দীর্ঘ রাস্তা দেখে সোডিয়ামের আলো গায়ে মাখানোর ইচ্ছাটা অপূর্ন রাখতে ইচ্ছে হলোনা আমাদের। শত কথা শত গল্প করে এক পা দু'পা করে এগিয়ে চলছি। হাটার ভীড়ে আঙুলে আঙুল রেখে কখন যে সে আমার হাতে হাত রাখলো, টের পাইনি! যখন টের পেলাম মূহুর্তেই আমার বেঁচে থাকাটা গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠলো। মনে হলো আরো কিছুকাল বেঁচে থাকি, অন্তত রুপকথার জন্যে হলেও! রুপকথা তার সম্পূর্ন ভরসা নিয়ে আমার হাতটা শক্ত করে ধরেছে। আকাশে একটা চাঁদ কয়েক কোটি তাঁরা, ল্যাম্পপোষ্টে হলুদাভ আলো আর নিচে আমরা দুজন। আমার হাতে রুপকথার হাত।
এমন হাত ধরে আরো একশো কোটি মাইল পাড়ি দেয়া যায়!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮

বিজন রয় বলেছেন: 'গৃহভোজ রেস্টুরেন্ট????

গৃহ আবার ভোজ করা যায়!!

হতে পারে গৃহে ভোজ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর বলেছেন: তাইলে গৃহে ভোজ!

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: রূপকথার গল্প!!!!!!!!!!!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

আহমেদ সাঈফ মুনতাসীর বলেছেন: একদমই! পুরোটাই রুপকথার গল্প!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.