নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“পাহাড়ের কান্না গুলা গড়িয়ে সমুদ্রে আঁছড়ে পড়ে ঢেউ তোলে, আর সেই ঢেউয়ে ভাসিয়ে তলিয়ে নিয়ে যায় জীবন তরী”

সৈকত মিত্র বড়ুয়া

❝পাহাড়ের কান্না গুলা গড়িয়ে সমুদ্রে আঁছড়ে পড়ে

সৈকত মিত্র বড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা হারিনি, হেরেছে আমাদের আবেগ।

০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩৮

গতকালের ম্যাচটার কথা মনে পড়লে ডুকরে কেঁদে উঠে মনটা। গতকাল আমরা জিততে পারতাম সত্যিই জিততে পারতাম। জিতাটা কোন ব্যাপার ছিল না। কারন এর আগেও এশিয়া কাপে কিভাবে কেঁদেছে বাংলার মানুষ সেটা কারো অজনা নয়। আরেকটু পরিশ্রম করলে ম্যাচটা আমরা জিততে পারতাম। গতকালের ম্যাচ হারার কতগুলা কারন রয়েছে।



প্রথমত বিজয়- ১৩২ বলে ১০০ রান। বেশ ভাল তবে ৮০ রানের পর সে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে মনোযাগি। সবাই নিজের দিকটা দেখে, দলের কিংবা দেশের দিকে তাকায় না। ও যদি চার/ছক্কা মেরে সাজ ঘরে ফিরে যায় তাতেও কোন দুঃখ থাকত না। তার কারন আমাদের আরো অনেক ভাল ভাল পারফর্মার রয়েছে। ৩২ টা বল মানে ৫ টি ওভার। তার একটি ওভারও যদি সাকিব পেত রান রেইট টা কত হত চিন্তা করেন। এভাবে প্রাণহীন ১০০ রান করার চাইতে ৮০ রানের পরেই তাকে সাজঘরে ফিরে যাওয়া উচিত ছিল।



এবার আসা যাক অধিনায়ক মুশফিক। বাংলাদের দলের সকল আশা-ভরসা। আর সে কিনা করল ক্যাচ মিস। ভাবতেই কষ্ট হয়, অতি সাধারণ একটা ক্যাচ। যদি ঐ ক্যাচটা ধরে পাইক্ক্যারে সাজ ঘরে পাঠানো যেত তাহলে ৭ টি রান কম হত। আর এই সাতটি রান আমাদের বিজয় যাত্রায় পৌঁছে দিত চুরান্ত শিখরে। শুধু এটা মুশফিককের জন্য অনুতাপের নয় সারা বাংলার মানুষকে কাঁদিয়েছে এই ক্যাচটার কারনে। যার কষ্ট বহন করলে বাংলার ক্রিকেট পাগলা মানুষ।





এবার আসা যাক আব্দুল রাজ্জাক- বারবার ওর বল মার খাচ্ছে, তা দেখেও মুশফিক কেন যে তাকে বল করতে দিল সেটা চিন্তার বিষয়। জিয়াউর একজন ভাল বোলার। তাকে বল করতে দেওয়া হয়নি গতকাল। জানি সে অতিরিক্ত বোলার কিন্তু বোলার তো তাই না। মুমিনুল একজন বেটিং, তারপরেও তাকে বোলিং করতে দেওয়া হয়েছে , অথচ জিয়াকে দেওয়া হল না। এখানে কি মুশফিকের একঘোয়ামিটা ভাল করে চোখে পড়ে। এভাবে আত্বীয়তা করতে গেলে তো দেশের বারটা বাজবে। খেলাতে চাই সমজতা, যেখানে থাকবে না ভেদাবেদ সবাই সমানে সমান। সবাই দেশের জন্য খেলবে । নিজেদের জন্য নয়। সবার বল যখন মার খাচ্ছে তাহলে জিয়াকে দিলে ক্ষতি টা কি হত। হয়তো মোরটা ঘুড়ে দাঁড়াতে পারত বাংলাদেশ দল। কিন্তু সেটা করা হল না। তার বড় একটি কারন দলের মধ্যেও অনৈক্যতা।





কেন সাকিবকে ৪৮ ওভারে বল করতে এসে কাঁদতে হয়।

খেলার শুরু হতে কতগুলা মেয়েকে ক্যামেরা ম্যান বার বার দেখাচ্ছে। যখন টাইগারদের হুংকার বাড়তে লাগল তখন মেয়েগুলার আনন্দে সারা বাংলার কোটি কোটি মানুষও আনন্দিত হতে লাগল। মুশফিকের ক্যাচ মিস করার পর ডুকরে কেঁদে উঠল মেয়ে গুলা। তাদের কান্নাতে পুরা জাতি কেঁদেছে সেটা সবাই দেখেছে।

পঞ্চাশোর্ধ একজন মা উপর ওয়ালার কাছে হাত তুলে দোয়া কামনা করতেছে বাংলার টাইগারদের জন্য।

একটা ছেলে চশমা খুলে চোখ মুছতে লাগল। আর কতগুলা মেয়ে পতাকার আড়ালে কান্না ভেজা মুখ লুকাতে লাগল। এই দেশটার জন্য আমাদের এত মায়া। কোটি কোটি মানুষের ভালবাসা/দেশপ্রেম বুকে নিয়েও এই দেশটাকে আমরা পাল্টে দিতে পারছি না এ কথা গুলা আবেগ নয়। কিংবা আবেগে পরিণত করার নয়।

এভাবে আর কতদিন বলতে পারেন। যদি এই ধরনের পরিস্তিতির জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয় তাহলে এত ভাল খেলার দরকারি বা কি ! আফগানিস্তানের মত দলের সাথে পরাজয় বরণ করতে হয় সামনে তো নতুন যে কোন দলের সাথেও পরাজিত হবে বলে মনে হয়। সবাই নিজিদের দিকটা দেখে। দলের দিকটা দেখে না। খেলাতেও আত্বীয়তা। দলকে জিতাতে চাইলে চাই সম্পৃতি। যা বাংলাদেশ দলে বর্তমানে বড় অভাব।





জিতলেও বাংলাদেশর সাথে আছি, হারলেও বাংলাদেশের সাথে আছি। মানলাম তবে এটা আমরা অনুভব করি। টাইগারদের মনোবল দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা কি সে মনোবল টা রাখে। রানের পাহাড় করলে হয় না, যদি একটু সিনসিয়র হওয়া যায়, একটু ভাল করে বোলিং, ফিল্ডিং করা যায় তাহলে ম্যাচ জিতা কোন ব্যাপার না। এশিয়াকাপে তো হোয়াইট ওয়াশ হব সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এ ধরণের পরাজয় আমরা আর কখনো চাই না। বিশ্বকাপ টা ছুঁয়ে দেখার অধিকার আমাদেরও আছে। আমরাও বিশ্বাকাপ জিতার স্বাদ গ্রহন করতে চাই। আমরা যে সত্যিই বাঘের বাচ্চা সেটা বিশ্বকে আরো একবার প্রমাণ করাতে চাই। তাই আশা রাখছি T20 তে যাতে এ ধরণের না হয়। অনেক কষ্ট পেলাম গতকালকে। যদি এভাবে কষ্ট পেতে থাকি, তাহলে এক সময় আর কষ্ট অনুভব হবে না। অনুতাপ ও থাকবে না। অল্প শোকে কারত আর অধিক শোকে পাথর হয়ে যাব।





শুভ কামনা বাংলার টাইগার্স।

পাশে আছি, পাশে থাকব।







মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.