নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“পাহাড়ের কান্না গুলা গড়িয়ে সমুদ্রে আঁছড়ে পড়ে ঢেউ তোলে, আর সেই ঢেউয়ে ভাসিয়ে তলিয়ে নিয়ে যায় জীবন তরী”

সৈকত মিত্র বড়ুয়া

❝পাহাড়ের কান্না গুলা গড়িয়ে সমুদ্রে আঁছড়ে পড়ে

সৈকত মিত্র বড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাঙ্গাকারা-মাহেলা শ্রীলংকার দুই কষ্টি পাথর।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২৭



পুড়ে পুড়েই বোধ হয় কষ্টি পাথর হয় ,জানলাম ,বুঝলাম, এবং মানলামও । সাঙ্গাকারা-মাহেলা শ্রীলংকার জন্য কষ্টি পাথরই । শুভকামনা বাকী জীবনের জন্য । আমাদের দেশেও কিছু পাথর রয়েছে, কী জানি তারা পুড়তে না জানলেও ঠিকি কিন্তু আমাদের পোড়াতে জানে। ক্রিকেটের অসম্ভব বিনয়ী দুই মহান তারকা কুমার সাঙ্গাকারা-মাহেলা জয়াবর্ধনে ছিলো শ্রীলংকান ক্রিকেটের দুই রাজকুমার।

একের পর এক ফাইনাল খেলেছেন এবং উপহার পেয়েছেন অগণ্য বিনিদ্র রজনী শ্রদ্ধা আর ভালবাসা। শেষ ম্যাচটাই হয়েছে অভিশাপগ্রস্ত দুই রাজকুমারের মুক্তির রাত। টি২০ এর শেষ ম্যাচটা এর চেয়ে বেশি ভালো হতে পারতো না বলে আমার বিশ্বাস। ড্যারেন স্যামির কথাই যদি বলি, তার কথায় ঠিক “ঈশ্বরই চেয়েছেন ওই দুজনের বিদায়টা যেন স্মরণীয় হয়”।



সত্যিই স্মরণীয় হয়ে রয়ে যাবে ইতিহাসের পাতায়। অভিন্দন শ্রীলংকা। এই অভিনন্দন যতটা না বিশ্বকাপ ট্রপি জেতার জন্য, তারচেয়ে ও বেশি ভারতকে হারানোর জন্য। ক্রিকেটের মোড়ল হয়েছে বলে মাথা কিনে নিয়েছে সবার। উপযুক্ত শিক্ষা এই চাইতে আর কি হতে পারে।

সাঙ্গাকারা- মাহেলার মত বিনয়ী, পরিশ্রমী ,মেধাবী খেলোয়াড়রা যে দলে আছে বিশ্বকাপতো তাদেরই প্রাপ‌্য। যোগ্য দল হিসেবেই শ্রীলংকা বিশ্বচ্যাম্পিয়েনর মর্যাদা পেয়েছে। মন থেকেই চাচ্ছিলাম যেভাবে ওরা এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সেভাবে বিশ্বকাপটাও ওদের হোক। বাংলাদেশ সফর লংকানদের জন্য সোনার হাঁস বলতে হবে। তার কারন দীর্ঘ ১৮ বছর পর তাদের এ বিশ্বকাপ জয় আমাদের বাংলার মাঠিতে ।

এর আগে চার চারবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেও পারা হয় নি লংকানদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগ মুহূর্তে ছোট ফরম্যাটের ক্রিকেট থেকে নিজেদের বিদায়ের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন সাঙ্গাকারা ও জয়াবর্ধনে। বিদায় বেলাটাকে স্মরণীয় করে রাখতে এমন একটি দলের অংশ হয়ে খেলা ছাড়তে কে না চাইবে।

কুমার সাঙ্গাকারা-মাহেলা জয়াবর্ধনে জীবনে কখনো ভুলব না তোমাদের। তোমাদের অর্জন। তোমাদের জন্য অপুরন্ত ভালোবাসা। ভুলবনা কোন দিন। ক্রিকেট আজ দায় মুক্ত হল, তোমরা দুজন ক্রিকেটকে যা দিয়েছ তার কিছুটা হলেও আজ ক্রিকেট তোমাদের ফিরিয়ে দিল।



টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেন না কুমার সাঙ্গাকারা। ফাইনাল শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে অবশ্য খেই হারাননি এই লংকান চ্যাম্পিয়ন। স্বভাবসুলভ ক্যারিশমায় বেশ গুছিয়েই অবশ্য পরিস্থিতিটা বুঝিয়ে দিলেন তিনি, “আমি জানি না কীভাবে এই অনুভূতি প্রকাশ করব। আমি এখন একটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য! কত কষ্ট, কত না পাওয়ার বেদনা মিশে আছে এই গৌরবের পেছনে। এর আগে চারবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেও পারিনি। এই অনুভূতি সত্যিই ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়”।



ক্রিকেট বিশ্বের এই দুই মহান তারকার মাঝে অসম্ভব মিল। তারমধ্যে কতগুলা মিল নিচে তুলে ধরলাম-

* মাহেলা জয়াবর্ধনে, সম্পূর্ণ নাম- Denagamage Praboth de Silva Jayawardene Mahela Jayawardena (ডেনেগামা প্রভোধ ডি সিলভা জয়াবর্ধনে )

* কুমার সাঙ্গাকারা, সম্পূর্ণ নাম- Kumar Sangakkara Kumar Chokshanada Sangakkara (কুমার চুকসানাধে সাঙ্গাকারা )

* জন্ম, মাহেলা জয়াবর্ধনে ২৭ মে ১৯৭৭।

* জন্ম, কুমার সাঙ্গাকারা ২৭ অক্টোবর ১৯৭৭।

* জন্ম দিন দুইজনেরর ২৭ তারিখ তবে মাস ভিন্ন।

* টি-টোয়েন্টি অভিষেক একসাথে।

* দলের অধিনায়কতা ছেড়েছেন একি নিয়মে, নিজেদের ইচ্ছায়।

* টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিদায় একিসময়ে একি দিনে।



এগুলাই তো সফল মানুষদের বৈশিষ্ট । যিনি যত বড় হন , তিনি তত বিনয়ী হন । আমাদের দেশের খেলোয়াড়দের অনেক কিছুই শিখার আছে ক্রিকেট বিশ্বের এই দুই মহান তারকা সাঙ্গাকারা-মাহেলার কাছ থেকে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৬

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: ভালো লিখেছেন।সাঙ্গাকারা জয়বর্ধনের চেয়েও প্রতিভাবান।এতটাই প্রতিভাবান যে দেখতে হয়না কোন ফরম্যাটে খেলছেন।টি-টোয়েন্টি,ওয়ানডে,টেস্ট সবজায়গাতেই উজ্জল সাঙ্গাকারা।জয়বর্ধনে ক্রিকেটে আগে আসছেন।সাঙ্গাকারার প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটা স্মরণে আসছে কিছুটা।পাকিস্তান বা সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২০০০ সালের সেই ম্যাচে ৫০ বা ৩৫ করেছিলেন।সেদিনই প্রতিভা বুঝে গিয়েছিলাম।এরপর তার লড়াকু মানসিকতা থেকে বিস্ময়করভাবে নিজেকে ড্যাশিং ব্যাটসম্যান হিসেবে প্র‌তিষ্ঠিত করার প্রক্রিয়াটাও খুব তাড়াতাড়ি ঘটে যায়।শুধু একটায় ভালো লাগতোনা যে আমার কাছে মনে হয় সাঙ্গাকারা একটু অহংকারী স্বভাবের।তবে তা ব্যাটিংয়ে কোনদিন প্রভাব পড়েনি।উইকেটকিপার হিসেবেও তো সে অসাধারণ।জয়সুরিয়ার বিদায়বেলায় জয়সুরিয়ার সাথে একটু মনোমালিন্য হয় তার।এসবকিছু বাদ দিলে ২০০৩ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল,২০০৭ বিশ্বকাপের ফাইনাল,২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনাল,২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল,২০১২ বিশ্বকাপের ফাইনালগুলো জিততে পারলে সাঙ্গাকারাকে ধরার সাধ্য আর কোন ক্রিকেটারের হত কিনা সন্দেহ।তখন তাকে তুলনা করা হত শুধুই টেন্ডুলকার আর ব্র্যাডমেনের সাথে।তবে পরাজয় একজন মানুষকে সেভাবে সামনে নিয়ে আসতে পারেনা।শুধু একটা পরাজয়ই একজন মানুষকে কত প্রভাবে ফেলে দেয় অথচ এসকল ফাইনালে নিয়ে যাওয়াতে সবগুলোতেই সাঙ্গাকারার বড় ভূমিকা আছে।
২০১১ বিশ্বকাপের ক্যাপ্টেনও সাঙ্গাকারা তবে ফাইনালে গিয়ে আবার হার।

জয়বর্ধনে ক্লাসিক প্লেয়ার তবে সাঙ্গাকারার মত ধারাবাহিক মনে হয়নি কখনো।২০০৭ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠানোর ক্রেডিট একা জয়বর্ধনের।সামনে থেকে ক্যাপ্টেন্সি আর ব্যাটিং কারিশমা।সেমিফাইনালেই তো নিউজিল্যান্ডের সাথে গগনবিদারী সেঞ্চুরী।তবে সে টুর্নামেন্টেও বড় রান সংগ্রহক সাঙ্গাকারা।ইন্ডিয়ার মত মিডিয়া কাভারেজ পেলে জয়বর্ধনে আর সাঙ্গাকারা হত ভীনগ্রহের প্রাণী।২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইন্ডিয়ার বিরু্দ্ধে যে সেঞ্চুরীটা করে জয়বর্ধনে
সেটাও যদি কাজে আসত মানে শ্রীলংকা জিতত তবে ইতিহাস অন্যদিকে প্রভাবিত হত।তবে এবার মাঠে গিয়ে শ্রীলংকানদের ক্রিকেট ক্রেজ দেখে ভালো লাগছে।

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৫১

সৈকত মিত্র বড়ুয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনেক সুন্দর করে বিশ্লেষণ করেছেন। আমার চাইতে বেশ ভাল করেছেন। ধন্যবাদ ছাড়া আর বিশেষ কিছুই দেবার নাই। তাই ওটায় বেশি করে দিলাম। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.