নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“পাহাড়ের কান্না গুলা গড়িয়ে সমুদ্রে আঁছড়ে পড়ে ঢেউ তোলে, আর সেই ঢেউয়ে ভাসিয়ে তলিয়ে নিয়ে যায় জীবন তরী”

সৈকত মিত্র বড়ুয়া

❝পাহাড়ের কান্না গুলা গড়িয়ে সমুদ্রে আঁছড়ে পড়ে

সৈকত মিত্র বড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

নীরভ ব্যাথায় অজানা এক গভীর দীর্ঘশ্বাস

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪০



মানুষের ভেতরে কতো যে দীর্ঘশ্বাস,

জমাট বেঁধে আছে প্রাণের আকুলতায়।

আছে হাজারো ক্রন্দন,বিরহ বেদনা,

পাতা ঝরার শব্দ সাথে মৃত্যুসংবাদ।



মানুষের বুকের মধ্যে ব্যথিত ব্যাকুল, ইতিহাস আর আহত সভ্যতামেঘের মতো ঘনীভূত হতে হতে একেকটি মর্মান্তিক দীর্ঘশ্বাস হয়ে আছে। মানুষ তাকে বয়ে বয়ে দগ্ধ বেঁচে থাকে। একেকটি মানুষ বুকের মধ্যে কী গভীর দীর্ঘশ্বাস বয়ে বেড়ায়, কেউ জানে না একেকটি মানুষ নিজের মধ্যে কীভাবে নিজেই মরে যায়, হায়, কেউ জানে না! মানুষের বুকে এতো দীর্ঘশ্বাস !



সাভারে রানা প্লাজা ট্রাজেডির এক বছর পূর্ণ হল গতকাল । কে জানে হয়তো সে দিন অনেক মায়ের বুক খালী করে চলে গিয়েছিল না বলে অভিমান করে এই নীরভ পৃথিবীকে ছেড়ে দুর থেকে বহু দুরে। না ফেরার দেশে। নিরীহ খেটে খাওয়াা মানুষ গুলা জীবন জীবিকার তারনায় প্রতিনিয়ত দিয়ে যাচ্ছে প্রাণ, অথচ কারো কোন মাথা ব্যাথা নাই। বলতে লজ্জা আর শুনতে খারাপ লাগলেও এ পোড়া দেশে গরীব মানুষের জীবনের মুল্যে ধনী দেশ গুলার কুকুরের চাইতেই অধম।



কেমন আছে সাভারে রানা প্লাজায় সে দিনদুঃখী মানুষ গুলো ! কিভাবে চলছে তাদের সংসার ! কিভাবে জীবন অতিবাহিত করছেন তারা ! প্রতিনিয়ত ব্যাথা যন্ত্রনা বুকে নিয়ে সে সব পঙ্গু মানুষ গুলার জীবন ! ঐ দিনের একটি বোনের দুই লাইন হাতে লেখা চিঠি, আমাকে এখনো তাড়িয়ে বেড়ায়। এখনো মনে পড়ে সেই দিনের সেই ধ্বংস স্তূপের নীরভ কান্না। বাহিরে অনেক মানুষ। হঠাৎ বাহির হয়ে আসলো একটা লাশ। একজন বোনের লাশ। লাশটির হাতের মধ্যে সাদা কাগজে দুটি লাইন লেখা-

❝বাবা, মা আমারে মাফ কইরা দিউ তোমাগোরে আর ঔষুধ কিনে দিতে পারবো না,

ভাই তুই মা-বাবার দিকে খেয়াল রাখিস❞



সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আহত সকল শ্রমিকদের কেবল সাময়িক সহায়তা নয়, আজীবনের জন্য ক্ষতিপূরণ চাই। কেবল শুধু মাত্র রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার একার নয়, যারা ওই ভবন নির্মানের দুর্নীতির সাথে জড়িত, তাদের সবার উপযুক্ত শাস্তি চাই।



ছবিটি আমাদের জন্য অভিশাপ, তাইতো নীরভে অভিমান করে পা দেখিয়ে চলে গেল পৃথিবী ছেড়ে।



যে টিএনও জোর করে হতভাগা দরিদ্র শ্রমিকদের ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেছিল তার ও বিচার চাই। বাংলাদেশে আর কোনো রানা প্লাজা দেখতে চাই না। দেখতে চাই না কোন মায়ের নীরভ কান্না। আর যেন কোন মায়ের বুক খালী করে, অকালে ঝড়ে না যায় এ সকল তাজা প্রাণ।



পরিশেষে সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আহত সকল শ্রমিকদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। আর যারা সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তাদের নিরোগ দীর্ঘায়ো কামনা করছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.