নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“পাহাড়ের কান্না গুলা গড়িয়ে সমুদ্রে আঁছড়ে পড়ে ঢেউ তোলে, আর সেই ঢেউয়ে ভাসিয়ে তলিয়ে নিয়ে যায় জীবন তরী”

সৈকত মিত্র বড়ুয়া

❝পাহাড়ের কান্না গুলা গড়িয়ে সমুদ্রে আঁছড়ে পড়ে

সৈকত মিত্র বড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাল রেজাল্ট নয়, ভাল পরিবেশ সৃষ্টি না হলে ভাল ডাক্তার জন্মাবে না কোনদিন

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:০০


পরীক্ষা আসলেই সবার মুখে মুখে শুনি, কিরে প্রশ্ন পেয়েছিস, তুই পাইলে আমারে ইনবক্স করিস প্লিজ, কিছুই পড়তে পারি নাই, পড়ে কি হবে, যারা প্রশ্ন পত্র পাবে, তারাই তো পাশ করবে! তাহলে একটা দেশে যখন ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন পত্র ফাঁস হয়ে, পরীক্ষা দিয়ে ডাক্তারি পড়াশোনা করা যায়, ভবিষ্যতেও সে সব ছেলে-মেয়েদের কাছ হতে কি ভাল মানের সেবা আশা করা যায়!

আর এ জন্যই তো আমাদের দেশের মন্ত্রী হইতে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত, পাতলা পায়খানা হলেও ছুঁটে যান, সিঙ্গাপুর নতুবা ব্যাংককে।

মেডিকেলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সুযোগটা হবে বালির কণার মত। যারা ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে, তারা কেউ কেউ পরীক্ষা দিয়ে, আবার কেউ কেউ মামা/চাচার জোরে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ডাক্তার হবে। এবং তাদের সেবা টুকুই তখন কসাইদের মত। যত পারবে। ডাক্তার মানেই কসাই নয়, তবে প্রায় ডাক্তার কসাইর মত। কারন ভাল সেবার পরিবর্তে এই দেশে হয়রানিই বেশি হতে হয়। কিছুদিন আগে আমাদের বিমান বন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট Bansuri M Yousuf স্যারের ক্যান্সার ধরা পড়েছে বাংলা ডাক্তারদের কাছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরবর্তী তিনি সিঙ্গাপুরে তিন বার টেষ্ট করার পরে ওখানকান ডাক্তারা বলছে উনার ক্যান্সার হয় নি, উনি পুরাই সুস্থ মানুষ। তাহলে দেখুন, একজন সুস্থ মানুষকে তারা কিভাবে অসুস্থ করে দিল বাংলার ডাক্তার সমাজ। দিনের পর দিন ভয়াবহ দূর্নিতির কারনে দেশটার নামতো খারাপ হচ্ছেই পাশাপাশি ভাল মানের সেবা হতে আমরা বঞ্চিত সাধারণ জনগন।

ঘুষ ছাড়া বর্তমানে কোন চাকরি পাওয়া যায় না। কোথায় নাই ঘুষ! প্রাইমারি স্কুলের মাষ্টার হতে লাগে ৩/৪ লক্ষ টাকা। সাধারণ পুলিশে বর্তমানে যোগ দিতে লাগে ৩/৪ লক্ষ টাকা। তাহলে সে যখন পুলিশ হবে, তার কাছ হতে ভাল মানের সেবাটা আশা করবেন কিভাবে! আমার এলাকার ছেলে, তিনজন পুলিশে যাবে। তিন জন ভাল পরীক্ষা দিয়েছে, পুলিশের চাকরি পাবে, তবে প্রত্যেক জনকে ৩ লক্ষ টাকা করে দিতে হবে। দুই জন দিতে পারছে, বাকি একজন দিতে পারে নি, তার চাকরিও হয় নি।

সামান্যে foreign ministry পিয়নের চাকরির জন্য আমার এক পরিচিত জনকে দিয়ে হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। পাসপোর্ট অফিসে টাকা বেশি দিলে একদিনের পাসপোর্ট আর টাকা না দিলে ১ মাসে পাসপোর্ট আমার নিজের অভিজ্ঞতা।
ডাক্তার মানেই সেকেন্ড অফ গড। একজন মানুষকে বাঁচাতে পারে, ঠিক তেমনি একজন ডাক্তারের অবহেলায় ঝড়ে যাচ্ছে এবং যেতে পারে তাজা প্রাণ। বাংলাদেশে বর্তমান একটা কমন ব্যাপার হল, পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র ফাঁস হওয়া। ভারত আর বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর আর কোন দেশে পরবর্তী নতুন প্রজন্মদের অন্ধ করে দিতে মরণ ব্যাধি এই রকম নোংরা মানসিকতা রয়েছে!

দুর্নিতি নাই কোথায়! খাবার হতে শুরু করে বাংলাদেশের সব খানে ভেজাল আর ভেজাল। এই ভেজালের ভিরে আসল-নকল চিনে নেওয়া বর্তমান বাংলাদেশে খুবই কষ্টকর। এই ভাবে চলতে থাকলে, দিনের পর দিন বাংলাদেশ নিচের দিকে যাবে। মানুষ আর তখন মানুষ থাকবে না, নরপশুতে পরিণত হবে।

যাদের কোন কোন মামা/চাচার জোর নাই, তারা কোনদিন ভাল একটা চাকরি পাবে না এই বাংলাদেশে। আর তাইতে তাদের মত হাজার হাজার পরীক্ষার্থীর ২২ বছর ধরে লালন পালন করা বাবা-মায়ের স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে গেল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.