নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শাড়ি... সকল বাঙালি নারীর প্রথম ও প্রধান পছন্দের পোশাক খুব স্বাভাবিক ভাবেই। তাতে শাড়ি কেউ পড়ুক বা নাই পড়ুক। কেউ কিনে সুখ পায়, কেউ পড়ে আর সেজেগুজে, কেউ-কেউ আবার শাড়ি কিনে জমিয়ে দেখে-দেখে আত্নসুখে বিলীন হয়! আর আজকাল কেউ কেউ শাড়ি কিনে আর তার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেই আনন্দে আত্নহারা হয়! এসব ছাড়াও শাড়িতে একজনকে যতটা সুন্দর লাগে, আর কোন পোশাকেই অতটা সুন্দর কাউকে লাগেনা, অন্তত আমাদের বাঙালিদের কাছে তো নয়ই।
ঋতু এমনই একজন সাধারণ বাঙালি মেয়ে। শাড়ি ও সাঁজ যার প্রথম পছন্দ। না কাউকে দেখানোর জন্য বা কারো আকর্ষণের জন্য সে সাঁজ বা শাড়ি পড়েনা। শাড়ি ও সাঁজ তার একান্ত ভালোলাগা, ভালোথাকা আর নিজের জন্য নিজের অনুপ্রেরণার উৎস। ওর নিজের কাছে নিজের ভালো লাগে, এসব করতে, এভাবে থাকতে আর নিজের কাছে নিজেকে সুন্দর রাখতে। আর দেশে প্রচলিত সকল শাড়ির মধ্যে তার প্রথম ও প্রধান পছন্দ জামদানী। রঙ-বেরঙের জামদানী সংগ্রহ তার ভীষণ সখ! বিশেষ করে অফ হোয়াইট জামদানী তার বিশেষ পছন্দর।
কিন্তু ঋতুর এই শাড়ি, সাঁজ, নিজেকে সুন্দর করে রাখা ও থাকাটা তার পরিবারের কাছে খুব একটা সমর্থন পায়নি কখনো। কারণ সেই হাজার বছর পুরনো রক্ষণশীল মানসিকতা, ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গী, সামাজিক অসঙ্গতি আর সর্বোপরি যেকোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখার আপ্রাণ প্রয়াস। যেটা সকল মেয়ের বাবা-মায়েরই শত বছরের পুরনো রেওয়াজ। আর ঋতু ডাকসাইটে সুন্দরী না হলেও, অসুন্দর নয় মোটেই! বেশ আকর্ষণীয় কিছু একটা আছে ওর মধ্যে, যে কারণে খুব সহজেই বিপরীত লিঙ্গ তো আছেই সম লিঙ্গের মানুষজনও ওর প্রতি আকর্ষিত হয়! তাই শাড়ি ও সাঁজের প্রতি পরিবারের বাঁধাটা আরও বেশী করে পায় ঋতু!
এ নিয়ে ঋতুর মনে তেমন কোন আক্ষেপ নেই। কারণ ও জানে এবং বোঝে যে ওর পরিবার ওর এবং পরিবারের মঙ্গলের কথা চিন্তা করেই এই বাঁধাটুকু দিয়ে থাকে। এ ছাড়া, পড়াশুনা, বন্ধু-বান্ধব, সিনেমা দেখা, আড্ডা, বান্ধবীদের বাসায় যাওয়া, ওর বাসায় দুই-একজন বন্ধু বান্ধবের আসা-যাওয়ায় কখনো কোন বাঁধা ছিলনা আর নেইও। কারণ ওর বাবা-মা অতটা রক্ষণশীল নয়, বেশ কিছুটা আধুনিকতার ছাপ তাদের আছে। শিক্ষিত ও চাকুরীজীবী হওয়ার কারণে। এই কারণে সবদিক ভেবে ঋতু তার শাড়ি ও সাঁজের বাঁধা নিয়ে তেমন একটা মন খারাপ করেনা।
তবে যখনই একটু সুযোগ পায়, মানে বাবা-মা অফিসের কাজে বাইরে কোথাও গেছে দুই-একদিনের জন্য। বা ওদের সকল ভাইবোনদের রেখে কোন আত্মীয়র বাড়িতে গেছে, ব্যাস এইবার ঋতুকে আর পায় কে! সে সাঁজে, শাড়ি পড়ে, গান গায়, কখনো-সখনো পায়ে ঘুঙুরও লাগায়! পায়ে আলতা, নখে নেইল পলিশ, হাতে মেহেদী, কপালে টিপ! বেশ বড়-সড় কালো বা লাল। অথবা ম্যাচিং করে শাড়ির সাথে।
ঋতু এবার ঋতুর নিজস্ব পৃথিবীটা সাঁজায় একেবারেই নিজের মত করে। আনন্দে হাসে, সুখে ভাসে আর কোন এক অজানা সঙ্গীর কল্পনায় ছবি আঁকে! অন্তত যে তাকে তার এই নিজস্ব পৃথিবীটাকে নিজের মত করে সাঁজাতে বাঁধা দেবেনা। বাঁধা দেবেনা ঋতুর শাড়ি-সাঁজ-টিপ বা মেহেদীতে। এমন কারো কল্পনায় আগামীর রঙিন ছবি আঁকে সে মনে-মনে।
এভাবে স্কুল-কলেজ পেরিয়ে ঋতু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। এরপর কিছুদিন যেতে না যেতেই বিভিন্ন বিভাগের অনেকের সাথে হয় বন্ধুত্ত। সকল বন্ধুদের মাঝে কারো সাথে একটু বেশী ঘোরাঘুরি আর সময় কাটানো। যেটা একসময় অভ্যেস আর অভ্যেস থেকে নির্ভরতায় রূপ নেয়! তার সাথে পথ চলা, শত-শত কথা বলা, আগামীর স্বপ্ন বোনা! সাঁজ-শাড়ি-টিপ আর মেহেদীর গল্প করা, আর সব রকমের জামদানী কেনার সখের জানান দেয়া। বসন্ত তার সবথেকে কাছের বন্ধু, কথা বলার সঙ্গী, হাটার সহযাত্রী, স্বপ্ন দেখার সারথি, এসব শুনে খুব খুব মজা পায়। আর এক সময় কথা দেয়... ঋতুকে সব রঙের জামদানী কিনে দেবে সে! এর মধ্যে কয়েকটি থাকবে বিভিন্ন রঙের কম্বিনেশন!
ঋতু এ কথা শুনে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া না দেখালেও, মনে মনে সুখ পায়, আনন্দে হারায় কোন এক অজানায়, আর নতুন আকাঙ্ক্ষা নিয়ে স্বপ্ন দেখে একদিন তার সব রঙের জামদানী হবে! এভাবে স্বপ্ন দেখতে দেখতে আর পথ চলতে চলতে বসন্ত আর ঋতু এক সময় এক হয়ে, দুজন দুজনার হয়ে যায়!
বসন্ত তার দেয়া কথা মত আর সাধ্য অনুযায়ী বিভিন্ন ও বিশেষ উপলক্ষ এলে ঋতুকে জামদানী কিনে দেয়। কখনো লাল, কখনো হলুদ, কখনো গোলাপি! আর ঋতু এই জামদানী গুলো পেয়ে এতটাই আপ্লুত হয় যে, পড়লে পুরনো হয়ে যাবে বলে ওগুলোর আর ভাঁজ খোলেনা পর্যন্ত! থাক ওগুলো নতুন হয়েই থাক, ঋতুর একান্ত আনন্দ হয়ে, অনন্ত সুখ হয়ে আর মাঝে মাঝে আলমারি খুলে নতুন বর্ণিল জামদানী দেখার তৃপ্তি হয়ে!
কিন্তু কিন্তু কিন্তু এতো সাধের, এতো সখের আর এতো এতো সাধনার, এতো আবেগ ও আহ্লাদের জামদানীর যে এই হাল হবে কে জানতো? ঋতু নিজেই কি জানতো, নাকি ভাবতে পেরেছিল কোনদিন, যে এই হবে স্বপ্নের আর রঙ-বেরঙের জামদানীর অবস্থান? কি ঘটেছিল সেই স্বপ্নময় আর সুখের জামদানীর সাথে? চলুন শুনি সেই গল্পটা......
ঋতুর ছোট ভাইয়ের বিয়ের পাত্রী ও দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে। বসন্তর কাছে ঋতুর অনেক অনেক দিনের চাওয়া ছোট ভাইয়ের বিয়েতে সে শাড়ি পড়বে আর খুব করে সাঁজবে! ঋতুর সবচেয়ে প্রিয় অফ হোয়াইট জামদানী আর পারসোনার সাঁজ! খোঁপায় বেলি ফুলের মালা, দুহাত ভরে লাগাবে মেহেদী, হাত ভর্তি চুড়ি, আর বড় লাল টিপ! ছবি তুলবে অনেক অনেক। শাড়ি-সাঁজ আর ছবি তোলা, বিভিন্ন ঢঙে, একে-বেঁকে! এই তার চাওয়া আর এই তার সখ।
ঋতু তার বড় বোন আর ছোট ভাই, সাথে সদ্য ঠিক হওয়া ছোট ভাইয়ের বৌ হতে যাওয়া পাত্রীর সাথে বসন্তও আছে। ওরা আজ বউয়ের জন্য বিয়ের বেনারসি কিনবে। সাথে আরও দুই একটি শাড়ি, বিয়ের রেওয়াজ অনুযায়ী। সব শাড়িই ছোট ভাইয়ের বউয়ের আর ঋতুদের দুই বোনের পছন্দ অনুযায়ী দেখা হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম হলঃ বেনারশি, কাতান, কাঞ্চিবরন, বম্বে বুটিক, আর অবশ্যই দামি জামদানী।
অনেক অনেক শাড়ি দেখে, নেড়ে-চেড়ে আর উল্টে-পাল্টে কয়েকঘণ্টা কাটিয়ে সবাই মিলে বউয়ের জন্য বিয়ের ও এর পরের দুই একদিনের জন্য প্রয়োজনীয় শাড়ি কিনে ছোট ভাই ও তার বৌকে বিদায় করে দিল। এবার ঋতু ও তার বোনের শাড়ি কেনার পালা। সাথে আছে বসন্ত। বসন্ত জানে ঋতু জামদানী কিনবে। কারণ জামদানীই ঋতুর প্রথম ও সব সময়ের পছন্দ। আর এবার সে অফ হোয়াইট জামদানী কিনবে স্বাভাবিক ভাবেই। বসন্ত এতক্ষণের শাড়ির সমারোহ দেখে মনে মনে দুই-তিনটি জামদানী পছন্দও করে রেখেছে।
ঋতুকে বলবে...... এমন সময় ঋতু জামদানীর ধারে-কাছে না ঘেঁসে সোজা কাতান আর কাঞ্চিবরনের দিকে ঝুঁকে পড়লো! বসন্ত অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলো, তুমি না জামদানী কিনবে? তোমার জন্য অফ হোয়াইট, সবুজ-হলুদ আর পিঁয়াজ কালারের জামদানী পছন্দ করে রেখেছি তো?
ঋতু বসন্তর চেয়েও বেশী অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলো, আমি আমার ছোট ভাইয়ের বিয়েতে কি ওই জামদানী পড়ে যাবো নাকি!
মানে কি, তুমি তো জামদানীতেই বুঁদ ছিলে, হঠাৎ তোমার কি হল? তুমি না বলেছিলে অফ-হোয়াইট জামদানী তোমার সবচেয়ে পছন্দের? তবে তার কি হল? ওই দেখ কত সুন্দর অফ হোয়াইট জামদানী?
হ্যাঁ জামদানী পছন্দ, তার মধ্যে অফ হোয়াইট সবচেয়ে বেশী ভালোলাগার, তাই বলে আমার ছোট ভাইয়ের বিয়ের উপযুক্ত সেটা নয়! ওটা অন্য নরমাল কোন অকেশনের জন্য! এই প্রোগ্রাম কাতান বা কাঞ্চিবরনই একমাত্র পছন্দ!
বল কি তুমি? তবে তোমার এতো দিনের অফ হোয়াইট জামদানী স্বপ্ন সেটার কি হবে?
সে হবে অন্য কোন ক্ষণ, এখন হয় কাতান নয় তো কাঞ্চিবরন!
মানে কি, জামদানী তোমার কাছে এতো তুচ্ছ হয়ে গেল কবে আর কিভাবে? নাকি ওই ঝলমলে, চোখ জুড়ানো আর মন ভোলানো কাতান-কাঞ্চিবরন দেখে জামদানী আর চোখে লাগছেনা?
হ্যাঁ তাই ওগুলো দেখার পড়ে জামদানীকে আর মনে ধরছেনা, অন্তত এই অনুষ্ঠানের জন্য!
বসন্ত মনে মনে প্রমাদ গুনলো, হায়রে... এতো আদরের, এতো আহ্লাদের, এতো সখের আর এতো এতো আবেগ ও ভালোবাসার জামদানীর আজ এই অবস্থা!
কাতান আর কাঞ্চিবরনের ঝলমলে ঝকঝকানি লোক দেখানো সাময়িক আভিজাত্যের কাছে! জামদানী তো দেখছি তোমার কাছে এখন সুতি শাড়ির অবস্থানে গিয়ে পৌঁছেছে! সুতি শাড়ির যে সামাজিক মর্যাদা ছিল, তুমি দেখছি জামদানীকেও সেই কাতারে নামিয়ে আনলে!
নাহ তা না, শুধু এই অনুষ্ঠানের জন্য!
নাহ তা নয়, তোমার তাচ্ছিল্য, তোমার ধরন, তোমার টোন, তোমার ওভার অল আপ্রোচ জামদানীকে সুতি শাড়ির পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে! কেন জানো?
কেন?
কারণ, তোমার অবস্থান বদলেছে, বদলেছে তোমার সাধ আর সাধ্য, বদলেছে তোমার চিন্তা-চেতনা আর মানসিকতা, তোমার চারপাশের মানুষ-জন, তোমার বন্ধু-বান্ধব, তোমার সহকর্মী আর তোমার সার্বিক পছন্দও, সাথে তোমার আভিজাত্যের ধরন। আর তাই সেই সব বদলের কাছে বদলে গেছে তোমার কাছে জামদানীর অবস্থান, জামদানীর আকর্ষণ, জামদানীর সামাজিক মর্যাদাও!
তবে তা যে এভাবে হুট করে, কোন পূর্বাভাস ছাড়াই বদলে যাবে সেই ভাবনাটা ছিলোনা আদৌ।
চল জামদানী বাদ, তোমাকে কাতান বা কাঞ্চিবরনই কিনে দেই!
আর জামদানী সেকি আর দেবেনা তুমি?
হুহ জামদানী? বসন্ত একটা বড় দীর্ঘশ্বাস ফেলে মনে মনে বলল......
জামদানীর জন্য সমবেদনা.........!!
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:১৬
সজল জাহিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, এবার তবে সেই সখ আপনারা পূরণ করার চেষ্টা করতে পারেন।
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩
কালনী নদী বলেছেন: অনেকদিন পর জামদানি আর কাতানের কথা মনে করিয়ে দিলেন। বৃটিসরা শেষ করে দিছিল আমাদের মসলিনকে! শোনেছি একটি আঙটির ভিতর দিয়েও নাকি পুরা কাপর চলে যেত!
সুন্দর পোস্ট+
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:১৭
সজল জাহিদ বলেছেন: হুম, আপনাকে ধন্যবাদ।
৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: যত রকম শাড়িই আসুক না কেন জামদানির জায়গা কেউ নিতে পারবেনা।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:১৮
সজল জাহিদ বলেছেন: তেমন হলে তো দারুণ হত, অনেক ধন্যবাদ।
৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২
বিজন রয় বলেছেন: আমি জামদানী লাইক করি না।
সুন্দর পোস্ট।
+++
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:১৯
সজল জাহিদ বলেছেন: জামদানী পছন্দ করেন না, তারপরও এই পোস্ট ভালো লাগলো! ধন্যবাদ।
৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৫
রাবার বলেছেন: আমার ছোট বোনের কাছে শুনলাম একটা জামদানীর দাম নাকি ২৫ হাজার টাকা আমাগো লাহান বেকারের স্বপ্নই থাকবা তুমি জামদানী
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২০
সজল জাহিদ বলেছেন: হা হা হা......
৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কথায় আছে গেয়ো যোগীর ভিক্ষে নেই।। জামদানীর অবস্থা দেশে আকাল পড়লেও, ভারতে এর চাহিদা প্রচুর।। যেমনটি ভারতীয় পন্যের!!
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২২
সজল জাহিদ বলেছেন: হুম... ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২৬
বিজন রয় বলেছেন: কারণ পোস্ট ভাল হয়েছে।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭
সজল জাহিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮
জুন বলেছেন: অনেক প্রিয় একটি শাড়ি । সব সময়ই অভিজাত তার বুননে, তার নকশায় তার সৌন্দর্য্যে ।
+
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪
সজল জাহিদ বলেছেন: হুম... ধন্যবাদ আপনাকে।
৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:২৯
আরজু পনি বলেছেন:
আমি একসময় "পড়া" আর "পরা" নিয়ে খুব ভুল করতাম।
আপনি সম্ভবত বেখেয়ালে আমার মতো ভুল করেছেন।
অফটপিক:
আপনার একটা পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, পিঠখোলা ব্লাউজ দেখে আপনার সুড়সুড়ি জেগেছিল সম্ভবত তেমন একটা পোস্ট। পরে আর খুঁজে পাইনি ।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩
সজল জাহিদ বলেছেন: ধন্যবাদ, হ্যাঁ এই ভুলটা আমিও করে থাকি... প্রায়ই...। আর হ্যাঁ ওই পোস্ট তুলে নেয়া হয়েছে, সম্ভব্য বিতর্কের আগাম সতর্কতাস্বরূপ! কারণ আমি যেটা বোঝতে চেয়েছি সেটা সম্ভবত বোঝাতে পারিনি ওই পোস্টে!! আর হ্যাঁ, একটু ভেবে দেখুন তো, আমার যদি অমন অনুভূতি হত, তবে কি লিখতাম? তাহলে তো চুপচাপ উপভোগ করতাম নয় কি? আমি একটা সচেতনতা মূলক লেখা লিখে কিছুটা নিরুৎসাহিত করার ইচ্ছা করেছিলাম! যাই হোক বাদ দিন, প্রতিজ্ঞা করেছি আর কোন বিতর্কিত লেখা লিখবোনা। ভালো থাকুন।
১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৮
আমি ইহতিব বলেছেন: জামদানী কাতান দুরকম শাড়ীই খুব প্রিয়। দাম দেখলেই কষ্ট লাগে
গল্পে মনে হয় একটা হিডেন মেসেজ ছিলো, নাকি আমারই মনে হচ্ছে বুঝতে পারছিনা। ভালো লেগেছে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২২
সজল জাহিদ বলেছেন: যাক খুবই ভালো লাগলো যে আপনি অন্তত উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে গল্পে একটা হিডেন মেসেজ আছে!! হ্যাঁ আছে, এবং আপনি বোধয় সেটা বুঝতেও পেরেছেন!! আমরা একটু সামান্য উপরে উঠলেই অতীতকে ভুলে গিয়ে, সাময়িক বর্তমানে গা ভাষাই, অন্যকে নিজের ভুল আর আবেগিয় আভিজাত্য দেখাতে!! সেটা কি ঠিক আদৌ? কিন্তু আমরা সেটাই করে থাকি, নয় কি? অনেক অনেক ভালো থাকুন, আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করবোনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫
বিতার্কিক সাধু বলেছেন: খুব ভাল লাগলো পোস্ট। আমার মায়ের খুব জামদানি শাড়ির সখ ছিল্। মধ্যবিত্ত জীবন তা পূরণ করতে পারে নাই।