নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেড়াই-পড়ি-লিখি.....

সজল জাহিদ

সজল জাহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউ-টার্নে ভালোবাসা......!!

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০৭


মেঘ আর বৃষ্টি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একই ক্লাসের দুইজন ছাত্র-ছাত্রী।শুরুতে স্বাভাবিক একটি বন্ধুত্তের সূচনা। এরপর যা হয় আর কি, অন্যদের থেকে একটু বেশী বন্ধুত্ত তৈরি হয় দুজনের মাঝে। কোন ভালোলাগা-মন্দলাগা ছিলোনা ওদের মাঝে, এমনকি ছিলোনা আশা-আকাঙ্ক্ষার কোন রকম লক্ষণ। শুধুমাত্র বন্ধুত্তই ছিল।

একসাথে প্রাইভেট পড়া, ক্লাসে যাওয়া, হলে যাওয়া, চা-শিঙারা খাওয়া, আড্ডা দেয়া, গল্প করা, বাস স্ট্যান্ডে যাওয়া, বাসায় যাওয়া, বেড়াতে যাওয়া, রিক্সায় চড়া, এমন সব কিছুতেই মোটামুটি একসাথে থাকে। আর আট-দশটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়ের মতই, সবকিছু খুবই সাভাবিকভাবে চলছিল। কিন্তু খটকা লাগলো হুট করে রাজনৈতিক টানা পড়েনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনির্ধারিত সময়ের জন্য ছুটি হয়ে যাওয়াতে।

হুট করে ছুটি হয়ে যাওয়াতে কেউ কারো সাথে দেখা বা কথা না বলেই চলে যেতে হল, যার যার বাড়ির পথে। সেই সময়ে ছিলোনা আজকালকার মত ফেসবুক, ভাইবার, বা মোবাইলের মত সহজলভ্য যোগাযোগ ব্যাবস্থা। চিঠি-ই ছিল একমাত্র মাধ্যম! তাও কবে পাঠালে কবে যে পৌঁছাবে সেই হিসেব করাটাও ছিল বেশ দুরূহ। তবুও পাঠাতো মানুষ, কি আর করবে? কোন না কোন ভাবে তো যোগাযোগটা করতে হবে, রাখতে হবে, সে যতদিনই লাগুকনা কেন!

ওদের খেত্রেও অনেকটা তেমন হয়েছিল, হুট করে দূরে চলে যাওয়াতে অভাব বোধ হতে লাগলো, একে অন্যের। যে কারণে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছিল চিঠি। হয়েও ছিল একটু-আধটু যোগাযোগ। যে চিঠিময় বন্ধুত্ত ওদের আর একটু কাছাকাছি এনেছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছিল প্রায় ৪০ দিন পরে! ততদিনে কনেকটা ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছিল ওদের প্রথম দিকের বন্ধুত্ত। যেটাতে রঙ লাগতে কেটে গিয়েছিল আরও প্রায় ৩-৪ মাস! এরপর আবারো সেই পরিচিত দৃশ্য, একসাথে হাটা-বসা, ঘোরা, ক্লাস করা, প্রাইভেট পড়া, বেড়াতে যাওয়া সবকিছু ঠিক আগের জায়গায় চলে এসেছে। চলছিল সবকিছু ঠিকঠাক মতই, ঝড় হয়ে এলো একটি চিঠি! হ্যাঁ চিঠি-ই।

ডিপার্টমেন্টের এক বড়ভাই বৃষ্টিকে চিঠি দিয়ে তার ভালোলাগার কথা জানালো! আর বৃষ্টি আনন্দে ডগমগ হয়ে সেটা দেখালো মেঘকে!ব্যাস, যে মেঘ এতদিন সাদা দিন, দিনের সময় গড়াতে গড়াতে সেই মেঘ ধূসর আর সন্ধা নাগাদ মেঘ হয়ে গেল ঘন কালো অন্ধকার! রাতে যা থেকে ঝড় এলো আর বৃষ্টি ঝরলো অনবরত...... সাথে বজ্রপাত আর বিদ্যুৎ চমক তো ছিলই!

যে ঝড়-বৃষ্টি আর বিদ্যুতের প্রভাবে পরদিন ভিজে গেল বৃষ্টি নিজেই। যেটা মেঘ জানতোনা এতোদিন, জানতো না বৃষ্টিও, কোনদিন অনুভবও করেনি, সেটাই হল। মেঘ অকপটে জানালো বৃষ্টিকে তার ভালোবাসার কথা, তার নিজেকে সপে দেয়ার কথা আর আবেদন জানালো বৃষ্টিকে মেঘের কাছে সমর্পণের! বৃষ্টি কোন উপায় না দেখে, কোন মতে নিজেকে বাঁচাতে আর সেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে নিজেকে বাঁচাতে সাঁয় দিয়ে সরে এলো! কিন্তু যেটা তেমন সিরিয়াস কিছু ছিলোনা, অন্তত বৃষ্টির কাছে! কিন্তু মেঘ সেটাকেই জীবনের পরম পাওয়া মনে করে উড়তে লাগলো, কল্পনার রঙিন আকাশে, ওড়াতে লাগলো বর্ণিল মেঘ, সাঁজাতে শুরু করলো জীবনকে রঙধনু রঙে!

এরপর থেকে মেঘের একটাই লক্ষ্য, বৃষ্টিকে হাত ছাড়া করেনা কিছুতেই! বৃষ্টি যেখানে মেঘও সেখানে যাবে, যাবেই যাবে! একমাত্র বৃষ্টির বাসা ছাড়া আর কোথাও মেঘ বৃষ্টিকে একা যেতে দেয়না! কোন ছেলে তো দূরের কথা কোন মেয়ের সাথেও ভিড়তে দিতে চায়না! সব সময় চোখে চোখে আর নিজের কাছে আগলে রাখতে চায় মন-প্রান দিয়ে। যেন কোন ভাবে এতটুকও সময়ের জন্যও মেঘ ছাড়া অন্য কোন ভাবনা যেন না আসে বৃষ্টির মাথায়! যে কারণে বৃষ্টির কোন বন্ধু হয়না, গড়ে ওঠেনা কোন সার্কেল, গড়ে উঠতে দেয়না মেঘ! এর পিছনেও কারণ আছে বেশ... যেমনঃ

মেঘ খুবই খুবই সাধারণ একটি ছেলে। না আছে টাকা পয়সা যে কোথাও খেতে নিয়ে যাবে (যদিও অন্যের টাকায় খাবার মত মেয়ে নয় বৃষ্টি), না আছে ভালো চেহারা, না আছে মেয়েদের অন্যতম পছন্দ ভালো উচ্চতা! না সে ভালো ছাত্র, যে সবার কাছে প্রিয়! না আছে এমন কোন বিশেষ কোন গুন বা মেধা, যে কারণে বৃষ্টির মত আধুনিক, সচ্ছল, সুদর্শনা (অন্যদের চোখে!) স্মার্ট কোন মেয়ে মেঘের মত ছেলেকে ভালোবাসা তো দূরের কথা, ভালোলাগার কোন কারণ থাকবে। তবুও সেদিন মেঘের জোরাজুরি আর একগুঁয়েমিতে। তাই মেঘের একমাত্র লক্ষ্য যেভাবেই হোক বৃষ্টিকে নিজের কাছে নিজের মত করে ধরে রাখা। যেটা সে করেছে সব সময় আর সব কিছুতেই বৃষ্টির সাথে থেকে, পাশে থেকে।

এভাবে মাস-বছর আর সময়ের সাথে সাথে এক সময় বৃষ্টির সবকিছুই হয়ে উঠেছিল মেঘময়! ধীরে-ধীরে বৃষ্টিও নির্ভরশীল হয়ে পড়ছিল মেঘের উপরে! না কোন বিশেষ আকর্ষণে নয়, একসাথে অনেকটা সময় ধরে কাছে ও পাশে থাকার অভ্যস্ততায়। যেটা অনেকটা সময় পরে হয়তো কিছুটা ভালোলাগায় রূপ নিয়েছিল। যার ফলাফল স্বরূপ ওরা নিজেদেরকে আর আলাদা ভাবতে পারেনি, এক হয়েছিল পারিবারিক ও সামাজিকভাবে। যদিও সেখানে বৃষ্টির কতটা আগ্রহ বা ভালোবাসা ছিল, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়! কিন্তু মেঘের অভাব ছিলোনা কোন আন্তরিকতা, ভালোবাসা, চেষ্টা বা একাগ্রতার।

মেঘ, তার আবেগের আকাশ থেকে নেমে এলো বাস্তবতায়। এখন প্রতিদিন পোড় খায়, প্রতিদিন কথা শোনে, প্রতিদিন খোটা শোনে, প্রতিদিন সহ্য করে সীমাহীন মানসিক নির্যাতন! সকাল-সন্ধা-রাত! তবুও চলছিল সবকিছু ঠিকঠাক, চালিয়ে নিচ্ছিল কোন রকমভাবে। এক কানে শুনতো আর অন্য কান দিয়ে বের করেদিত সবকিছু। গাঁয়ে মাখাতো না বা মাথায় নিতনা কোন কিছুই। খুবই ছোট একটা চাকুরী করে, দিন যায়, মাস যায় কোন মতে আর সাথে সাথে ওদের ভালোবাসা ফুরায়! যতটা না মেঘের ফুরায় তার চেয়ে বেশী বৃষ্টির ফুরায়! অবশ্য বৃষ্টির তেমন ভালোবাসা ছিলইবা কবে খুঁজে পায়না মেঘ তেমন একটা! যা ছিল সবই তো মেঘের একপেশে ভালোবাসা, কাছে থাকার, পাশে রাখার অদম্যতা আর আবাধ্যতা!

কিন্তু বৃষ্টি বৃষ্টির মতই! ভালো হয়তো বাসে কিছুটা, বাধ্য হয়েই! বাঙালি মেয়ের আর কি উপায়ই বা আছে! আর তাছাড়া কাকেই বা সে বলবে তার অপূর্ণতার কথা? নিজের পছন্দে বেছে নিয়েছে সে নিজের মত করে, অভিযোগ করার বা অভিমান করার তো তেমন কেউ নেই! যদিও খুব যে নিজের একান্ত পছন্দ বা ইচ্ছায় বিয়ে করেছে মেঘকে তা নয়, মেঘের অবাধ্যতাই ওকে বাধ্য করেছিল! পাছে কোন পারিবারিক ঝামেলা বাঁধায় মেঘ! সেই ভঁয়ে, সেই আশঙ্কায়...!

ছেলে হিসেবে মেঘ খুব ভালো না হলেও, খারাপ অন্তত নয়, সেটা বৃষ্টি নিজেও জানে, কিন্তু তারপরও সামাজিক, আর্থিক অপূর্ণতাই ওকে প্রতিনিয়ত বিষাদে ভরিয়ে দিত, যার প্রভাবটা গিয়ে পড়তো মেঘের উপরে! খুব স্বাভাবিক ভাবেই।

এভাবে বিভিন্ন টানা-পোড়েন, অসঙ্গতি আর ফুরিয়ে যাওয়া ভালোবাসার মাঝেই ওরা চলছিল বেশ! এমন টানা পোড়েন তো সব পরিবারেই থাকে কম আর বেশী। ঘটনা ঘটলো আর একটু পরে... ছেলেটি একটু ভালো একটা চাকুরী পেল, ফিরলো সংসারের একটু সচ্ছলতা! চাকুরীটা ছিল গণযোগাযোগের, আর সেটি একটি বিদেশী প্রতিষ্ঠান হবার কারণে সকল যোগাযোগ আর অফিশিয়াল কার্যক্রমই ছিল অন লাইন ভিত্তিক। যে কারণে যোগাযোগ এবং অন্যান্য সকল কাজে সব সময় অনলাইনে থাকতে হয়। আর নেটে বা অন-লাইনে থাকার কারণে ছেলেটির বেশকিছু বন্ধু জুটলো খুব স্বাভাবিক ভাবেই। ছেলে-মেয়ে উভয় বন্ধুই।

আর আজকালকার ফেসবুকের যুগে সেটা বেশ ভালোভাবেই পেয়ে বসলো বন্ধু হবার বা পাবার উৎসবে! সেইসব বন্ধুদের সাথে মাঝে মাঝে আড্ডা হয়, হয় কথা বা গল্প, কখনো কখনো গ্রুপ করে একে-ওকে পচানো, লাইক-কমেন্ট এইসব, ফেসবুকে যা হয় আর কি? সেতো সবাই-ই জানি। ঠিক তেমন করেই, একদিন......

মেঘ একদিন... তার এক ফেসবুক ফ্রেন্ড এর একটা ছবিতে কমেন্ট করলো। যেটা কোন না কোন ভাবে বৃষ্টির চোখে পড়লে, তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো! এবং সেটা নিয়ে মেঘকে অনেক অনেক আজে-বাজে কথা শুনতে হল! যা মেঘকে অবাক করেছিল ভীষণ ভীষণ! কারণ একটা সাধারণ কমেন্ট একটি ছবিতে ভালোলাগার কারণে অন্য পাঁচজন যেমনটা করে থাকে। সেটা নিয়েই যত কথা শুনতে হয়েছে, সেদিন থেকে মেঘ খুব সাবধান হয়ে গেছে কারো ছবিতে লাইক বা কমেন্ট করা থেকে! বিশেষ করে মেয়েদের কোন ছবি বা পোস্টে!

এরপর থেকে আগে ছিল সাংসারিক অনটন বা অভাব-অভিযোগ-অপূর্ণতা-আর্থিক অসচ্ছলতা এখন সেই সাথে যুক্ত হল ফেসবুকের লাইক-কমেন্ট আর মেসেঞ্জার খুঁজে খুঁজে কোন মেয়ের সাথে কি কথা হয়েছে, কি হয়েছে আর কেন হয়েছে সেসব নিয়ে নিত্য খোঁচাখুঁচি আর অযথা মানসিক নির্যাতন! এই শুধুমাত্র ফেসবুকেরমত ফালতু এবং ফেক ফাঁকিবাজি নিয়ে...! অদ্ভুত তো? আসলেই অদ্ভুত।

এরপর থেকে শুরু হল বৃষ্টির মেঘকে হারিয়ে ফেলার মত অযথা আর ফালতু কষ্ট! নিজের জন্য নিজেরই তৈরি করা কষ্ট! সারাক্ষণ মেঘকে চোখে চোখে রাখা, নিজের কাছে নিজের মত করে আগলে রাখা, আর একটুও দূরে কোথাও বা আড়ালে কোথাও যেতে না দেয়ার, একটা অসম্ভব চেষ্টা! মনে করে এই বুঝে কোথাও চলে গেল! এই বুঝি অন্য কারো সাথে অন্য কোন সম্পর্ক তৈরি করলো, এই বুঝি কেউ মেঘকে ছিনিয়ে নিল! যদিও এটা মেঘ উপভোগ করে খুব খুব। যে ভাবনাটা মেঘ ভেবেছে ঠিক ১০ বছর আগে বৃষ্টিকে নিয়ে আর আজ সেই একই ভাবনা বৃষ্টি ভাবে মেঘকে নিয়ে!

ঠিক ঠিক মেঘ যেমনটি করে ভাবতো, উদ্বিগ্ন থাকতো, ভঁয়ে কুঁকড়ে যেত, হারিয়ে ফেলার বেদনায় যেমন অস্থির হয়ে উঠতো, কারো সাথে ভিড়তে দিতোনা, কারো সাথে মিশতে দিতোনা, কারো কাছে যেতে দিতোনা! যে অনুভূতিকে বৃষ্টি কখনো স্পর্শ করতে পারেনি, বোঝেনি মেঘকে, মেঘের নিখাদ ভালোবাসা, টান, মায়া, আকুলতা আর আকুতিকে! সবকিছুকেই বৃষ্টি দেখেছিল, বাঁকা চোখে, ভেবেছিল সংকীর্ণমনা, নিচু মানসিকতার আর স্বাধীনতা না দেবার মত স্বৈরচারী কেউ! আসলে যার সবটুকু ঘিরেই ছিল শুধু ভালোবাসা, শুধুই ভালোবাসা!

আর আজ ঠিক তেমন করেই মেঘকে চায় বৃষ্টি, মেঘকে ভালোবাসে বৃষ্টি, মেঘকে আগলে রাখতে চাই নিজের আঁচল তলে বৃষ্টি, তার সবটুকু ভালোবাসা, মায়া, মমতা দিয়ে! ঘিরে রাখতে ও থাকতে চায় ওর সবটুকু আকুতি আর আকুলতা দিয়ে! সবই একই রকম, শুধু একটু পার্থক্য ছাড়া... সেটা হল, মেঘের ভালোবাসাকে বৃষ্টি ছুঁতে পারেনি, স্পর্শ করতে পারেনি, অনুভব করেনি তখন! কিন্তু মেঘ বোঝে বৃষ্টির ভাবনা, অনুভব করে ওর ভালোবাসা, স্পর্শ করতে পারে ওর আবেগ, ছুয়ে দেখতে পারে ওর ভাবনাকে!

মেঘ শুধু দেখে, শোনে, বোঝে, অনুভব করে আর একা-একা হাসে, ভাসে, আনন্দে হারায় আর উপভোগ করে মেঘের প্রতি বৃষ্টির নিখাদ ভালোবাসা, ঠিক যেমনটি সে ভালোবেসেছিল বৃষ্টিকে! কিন্তু বৃষ্টি সেটা বুঝতে পারেনি......!!!

তাই মেঘ ওদের এই ভালোবাসার নাম দিয়েছে......

ইউ-টার্নে ভালোবাসা......!!!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

SwornoLota বলেছেন: ওয়াও! এরকম যদি সব গল্প একদিন ইউটার্ন নিতো!

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪

সজল জাহিদ বলেছেন: হা হা হা, তবে তো আর দুঃখ-কষ্টর গল্পগুলো তৈরি হতোনা......!! ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সজল জাহিদ ,




যতোই এটাকে আমরা ভালোবাসা বলি না কেন , ভেতরে ভেতরে এটা হলো দখলীস্বত্ত কায়েম রাখার একটি ধরন । একটি মানুষকে নিজের কব্জায় রাখা , স্বৈরাচারী মনোভাবের মতোন । ভালোবাসার নামে আমরা সচারচর যেটা করে থাকি অথচ জানিনে বা বুঝিনে কি করছি আসলেই ।
ভালো যদি ( সত্যিকারের ) কেউ বাসতোই তবে কোনও ক্ষেদ , অপূর্ণতা থাকার কথা নয় মোটেও । দুজন দুজনকে বুঝতে পারার কথাই মূখ্য হতো । ঝড় ঝাপটায় পড়তে হতোনা কোনও সংসারকে ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

সজল জাহিদ বলেছেন: সেটা ঠিক বলেছেন, আমি সহমত আপনার সাথে, তবে এই কথা বললে, কটা সংসারে বা দাম্পত্তে আসলেই ভালোবাসার, সত্যিকারের ভালোবাসার সম্পর্ক আছে সেই প্রশ্ন চলে আসবে, যা আরও বেশী দুঃখ বোধের কারণ হয়ে দাঁড়াবে!
আমাদের সমাজ ব্যাবস্থাই এমন যে, এসবকিছু মেনে নিয়েই, জীবনে পথে এগোতে হয়...!!
ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.