নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেড়াই-পড়ি-লিখি.....

সজল জাহিদ

সজল জাহিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

“পাইছি টুরিস্ট, কামাইয়া লই!” (ভ্রমণের একটি তুলনামূলক পর্যালোচনা......)

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪


এই লেখা পুরোপুরি না পড়েই অনেকে দালাল বলে বিভিন্ন কমেন্ট করবেন জানি! চলুন তার আগে একটু কষ্ট করে লেখাটা পড়ে দেখি? তারপর নাহয় গালি দেবার মত হলে, গালি দিয়েন!

গ্রুপে ভারতের কোন পোস্ট দিলেই দেখি অনেকেরই গাঁ-জ্বালা করে, অনেকে পাবলিক কমেন্ট করেন আবার অনেকে ইনবক্সে দেশপ্রেমিক হবার আহ্বান জানান। যে কারণে অনেকটা নিরুপায় হয়েই এই লেখাটা লিখছি। দুই দেশের বেশ কিছু যায়গায় ভ্রমণের পরে একটি তুলনামূলক আলোচনা। তবে আর দেরী না করে, দুই দেশের ভ্রমণ স্পট, সেখানকার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, থাকা-খাবার ও অন্যান্য আনুসাঙ্গিক কিছু ব্যাপার তুলে ধরতে চাই একবারেই নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে।

তার আগে বলে নেই, বাংলাদেশ আর ভারতের কোথায় কোথায় ঘুরে বেড়িয়েছি এখন পর্যন্ত।

বাংলাদেশের মোটামুটি ৬০+ জেলা ঘুরেছি আর ভারতের কলকাতা-দিল্লী-আগ্রা-সিমলা-মানালি-জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ি-দার্জিলিং-মিরিক এই হল আমার এখন পর্যন্ত ভ্রমণ দৌড়।

এই ভ্রমণগুলো থেকে দুই দেশের ভ্রমণ সংক্রান্ত যে পার্থক্যগুলো চোখে পড়েছে আর অনুভব করেছি সেগুলো এরকমঃ
আমাদের কক্সবাজারে গেলে একটি রূপচাঁদা মাছ খেতে দিতে হয় ৫০০-৬০০ টাকা (অথচ এটা আমদানি করতে হয়না, কক্সবাজারেই পাওয়া যায়!) ভাত-সবজি-ডাল-পানি সমেত এক একজনের প্রতি বেলায় অন্তত ৭০০ টাকা লাগে খেতেই।(মোটামুটি মানের খাবার) এর চেয়ে কমেও খাওয়া যায়, তবে বছরে দুই একবার ভ্রমণে গেলে এটুকু তো মানুষ খেতেই চায়, কক্সবাজার গিয়ে রূপচাঁদা খেতে চায়না এমন মানুষ কমই আছে।

তবে একাবারে সাদা মাটা খাবার খেতেও ৩০০-৪০০ টাকা লাগে। ওদের সেবার মানটা এমনঃ

“পাইছি টুরিস্ট কামাইয়া লই!” “যার কাছে যেমন পারি!”

অটো ভাড়া করবেন? কলাতলি থেকে ইনানি (যাওয়া-আসা) নর্মাল ভাড়া ৩০০-৩৫০, কিন্তু সুযোগ বুঝে আপনার কাছ থেকে ৬০০-৭০০ ও নিতে পারে! আর যদি বোঝে আপনি নতুন অথবা সাথে যদি ফিমেল থাকে তো আর কথাই নাই, এমনকি ১০০০ টাকা নিতেও দ্বিধা করবেনা!

সেবার মানটা এমনঃ “পাইছি টুরিস্ট, কামাইয়া লই!” “যার কাছে যেমনে পারি, যত খুশি তত কামাই!”

আর ঢাকা থেকে কক্সবাজারের বাস ভাড়া ১৮০০-২২০০ পর্যন্ত আছে!! (এসি, একটু বিলাসী ভ্রমণ হলেই বা বছরে একবারই যারা ভ্রমণ করতে পারেন, এটুকু আরামে তো যেতে চাইতেই পারেন)। নন এসিও বা কম কোথায় ১২০০-১৫০০ টাকা! অথচ কত কিলো রাস্তা ৪০০ সাকুল্যে! এতো ভাড়ার যৌক্তিকতা কতটা?

চলেন এবার হালের ক্রেজ সাজেকে যাই? আচ্ছা একটা পাহাড়ে যেতে টিকেট লাগবে কেন? কতটা অদ্ভুত হতে পারে! অথচ আগেও গিয়েছি, কই তখন তো টিকেট ছিলোনা! সাধারণ একটা পাহাড়ের চুড়ায় উঠতে গেট বানিয়ে টিকেট কেটে উঠতে হবে! পেয়েছে সোনার ডিম পাড়া এক হাস, সাজেক তার নাম!

এবার আসি জীপের কাছে (যাকে চান্দের গাড়ি বলি) দুরত্ত খাগড়াছড়ি শহর থেকে সাকুল্যে ৬০-৬৫ কিলো। অথচ তার ভাড়া, যাওয়া-আসা ৪০০০-৫০০০ টাকা! কিভাবে, কোন যুক্তিতে?

আমাদের সেবার মানটা এমন
“পাইছি টুরিস্ট, কামাইয়া লই!” “যার কাছে, যেমনে পারি!”

হালের আর এক ক্রেজ “বিছানাকান্দি” সেদিন পত্রিকায় দেখলাম, বিছানাকান্দির প্রায় বুকের উপরেই হোটেল খোলা হয়েছে! যার পরিত্যাক্ত ময়লা ফেলার জন্য পাইপ দিয়ে নদীতে ফেলার ব্যাবস্থা করা হয়েছে! কি চমৎকার উপায়!! আর নৌকার স্বেচ্ছাচারী ভাড়ার কথা নাহয় নাই বললাম!

এরপর আসি এক বিশ্ব ঐতিহ্যে! “সুন্দরবন” এতটা বৈচিত্রপূর্ণ ভ্রমণের আর কোন স্পট বাংলাদেশে একটিও নেই, এই ব্যাপারে সবাই নিশ্চয়ই সহমত হবেন।

সেই সুন্দরবন কিভাবে উজাড় করা যায়, সেই ব্যাবস্থা একেবারে পাকা করে ফেলেছে আমাদের দেশ প্রেমিক(!!) রা!

এই হল আমাদের টুরিস্ট স্পট, সেই যায়গার মানুষ, ব্যাবসায়ি আর অন্যান্য ক্ষমতা ও নীতিনির্ধানের কার্যপ্রণালী আর সেবার মান!
তো সর্বোপরি সেবার মানটা হল
“পাইছি টুরিস্ট, কামাইয়া লই!” “যার থেকে যেমনে পারি!”

আর একবার পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবী নিয়ে কোনমতে ঘুরে আসার পরে আমরা মনে মনে প্রতিজ্ঞা করি, বাবা এতো খরচ, এতো হয়রানী আর এতো এতো ঝামেলা! মানুষের এমন গলাকাটা স্বভাব! আর যাবোনা! পারলে টাকা পয়সা জমিয়ে বিদেশ যাবো, তবু এতো এতো হ্যাসেল নেবনা!

এরকম মনোভাবের ওই একটাই কারণ
“পাইছি টুরিস্ট, কামাইয়া লই!”

এরপর একটু পাশের দেশ ভারতের দিকে যদি তাকাই, তবে কি দেখতে পাই? আমার অভিজ্ঞতার আলোকে, (ভিন্ন মত এবং ব্যাতিক্রম থাকতেই পারে।)

আর ওরা, যেটা খাবারের দাম সেটাই রাখে, বাড়তি দাম আদায় করে যা পারি কামাইয়া লই মানসিকতার নয়, আমি অন্তত পাইনি।
খাওয়াঃ যেখানেই গেছি, খাবারের দামের খুব একটা হেরফের পাইনি কোথাও, ১০০-১৫০ টাকায় বেশ ভালো ভাবে উন্নত খাবার পাওয়া যায়, তার মানে সারাদিনে ২০০-৩০০ টাকায় আরামছে কাটিয়ে দেয়া যায়! যেখানে আমাদের টুরিস্ট স্পটে খেতে গেলে দিন প্রতি ১০০০-১৫০০ এর নিচে খরচ করা খুবই কঠিন!

গাড়ি বা জীপ ভাড়াঃ সারাদিন যেদিকে খুশি আর যতখুশি ঘোরাঘুরি করিনা কেন ২২০০-২৫০০ রুপীতে জীপ বা ট্যাক্সি পাওয়া যাবে।
ড্রাইভার আপনার কাছে কখনো কোন টিপস চাইবেনা (নিতান্ত ছ্যাচড়া ছাড়া!),

আপনি যেখানে খেতে ঢুকবেন, অন্যকোন সুযোগ থাকলে সে সেখানে খেতেই বসবেনা, পাছে আপনি আবার অফার করেন আর সেটার নোট রাখেন!

এক একজন ড্রাইভার-ই, এক একজন পরিপূর্ণ গাইডের কাজ করে থাকে সম্পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে। কোন অতিরিক্ত আয়ের চিন্তা ছাড়াই!
আর হোটেল, স্থানীয় মানুষ, ব্যাবসায়ি বা অন্যান সংশ্লিষ্ট মানুষজন তো আরও অমায়িক (দুই একটি ব্যাতিক্রম ছাড়া)

পাশের দুইটি দেশের ট্যুরিজম সেক্টরের এই বিস্তর বিস্তর পার্থক্য পেয়ে-দেখে আর অনুভব করে মনে মনে ভাবছিলাম, আচ্ছা কেন ওরা এমন? আর কেন আমরা এমন? কি সমস্যা আমাদের? আর কি কারণ ওদের এমন আন্তরিক আচরণের?

অনেক ভাবনার পরে যেটা খুঁজে পেলাম, সেটা এরকম......

ওদের সেবার মানটা এমনঃ টুরিস্ট এসেছে, ভালো ব্যাবহার, সেবা আর আপ্যায়ন করলে, আবার আসবে, আর পরে যারা আসবে তাদেরকে আমাদের রেফারেন্স দেবে, বেশী বেশী টুরিস্ট আসবে, বেশী বেশী বেচাকেনা হবে, বেশী বেশী লাভ হবে!

হোটেল সেবা, ভাড়া, খাবারের দাম, গাড়ি ভাড়া, আন্তরিক ব্যাবহার, বাটপারি না করার, অন্যতম কারণ হলঃ এটা ওদের ব্যাবসা, জীবন জীবিকা, বেঁচে থাকার একমাত্র হাতিয়ার, ভালো আচরণ আর আন্তরিকতা এবং গলা না কাঁটা হল ওদের ইনভেস্টমেন্ট!

ইনভেস্টমেন্ট? ভাবছেন কিভাবে?

ওরা মনে করে ভালো আর আন্তরিক ব্যবহার, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য সেবা দেয়াটা ওদের কর্তব্য! ট্যুরিজমের জন্য ভালো, যারা একবার আসবে, তারা বারবার আসতে চাইবে, আর একবার যারা এমন সেবা পাবে, তারা অন্যদেরকেও আসতে উৎসাহিত করবে এবং আমাদের কথা বলে দেবে! যেটার কারণে আমরা বেশী বেশী টুরিস্ট পাবো, আর বেশী বেশী উপার্জন করে, নিজের ও দেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে সক্রিয় ও উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করতে পারবো!

ওদের এই ভাবনার সাথে আমি সহমত, কারণ যেসব যায়গায় এখন পর্যন্ত গিয়েছি, প্রত্যেক যায়গার মানুষ আর তাদের নাম্বার চেষ্টা করেছি রাখতে, কারণ আবার যদি কখনো যাই আগে ওদেরকেই খুঁজবো, যাদের কাছে প্রথমে গিয়ে ভালো সেবা পেয়েছিলাম।
আর দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভাবনাটা এমন, ওরে বাবা ওখানে যাবোনা আর ওরা একেবারে গলা কেটে রেখে দেয়!

ওদের কাছে ট্যুরিজম একটা বিশাল আয়ের অন্যতম উৎস, আর আমাদের কাছে ধান্ধাবাজির একটা মুখ্য উপায়!

আচ্ছা আমরা কেন ওদের মত ভাবতে পারিনা?
কেন পারিনা ওদের মত করে নিজেদের আচার-আচরণ-ব্যাবহার আর সেবার মানটাকে ইনভেস্টমেন্ট ভাবতে?

আমাদের তো সম্পদ একদম কম নেই?
ট্যুরিজম দিয়ে তো আমরাও পারি অন্যতম শীর্ষে পৌছাতে!
কোথায় সমস্যা আমাদের?

কারণ, ট্যুরিজম আর টুরিস্ট আমাদের কাছে ইনভেস্টমেন্ট বা আর্থসামাজিক ভাবে উন্নয়নের উপায় নয়,
এটা আমাদের কাছে......

উপরের শিরোনামের মত করে......

“পাইছি টুরিস্ট, কামাইয়া লই!”

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১০

সুমন কর বলেছেন: আচ্ছা আমরা কেন ওদের মত ভাবতে পারিনা? -- এটাই মূল কথা।

লেখা ভালো লেগেছে।

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

সজল জাহিদ বলেছেন: হুম সেটাই, ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৭

মাধবী দেবনাথ বলেছেন: নিন্দুকের কথায় কান না দিয়ে ঘুড়ে বেড়ান , উড়ে বেড়ান :)

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৭

মাধবী দেবনাথ বলেছেন: নিন্দুকের কথায় কান না দিয়ে ঘুড়ে বেড়ান , উড়ে বেড়ান :)

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

সজল জাহিদ বলেছেন: জি আমি তাই-ই করি, উড়ে উড়ে বেড়াই, এটাই আমার একমাত্র নেশা।

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমাদের মধ্যে ব্যবসায়ী এবং হালাল রিজিকের মনোবৃত্তিটা তৈরী হয়নি, কম বেশি সবাই ঠগ আর জোচ্চোর প্রবৃত্তির । ভারতীয়রা এসব দিকে অনেক পরিণত । উপার্জন যে কস্ট করে পরিশ্রম করে সততার সাথে করতে হয় এটা ভারতীয়দের চরিত্রে স্থায়ী হয়ে গেছে ।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এসেও তাই দেখলাম এরাই ব্যবসা বাণিজ্য করছে, ন্যায্যমূল্যে মানুষকে ভাল সার্ভিস দিচ্ছে ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:১৬

সজল জাহিদ বলেছেন: হুম, ঠিক বলেছেন, এটা ওদের স্থায়ী চরিত্র হয়ে গেছে, যেটা হয়েছে আমাদের জোচ্চুরি বৃত্তি।

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

অশ্রুকারিগর বলেছেন: খুবই বাজে অবস্থা।

“পাইছি টুরিস্ট, কামাইয়া লই!”

ইদানীং সিলেটের রাতারগুলে অনেকেই যান। যখন প্রথমবার গেছিলাম তখন একটাি ঘাট ছিল। সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা একটা নৌকা দিয়েই সারা বন ঘুরা যেত। এরপর ব্যবসা বাড়ল। সিন্ডিকেট হল। এখন আপনি এক ঘাট থেকে নৌকা নিয়ে ভেতরে যাবেন। ভেতরে আবার আরেক পার্টির নৌকা নিতে হবে। কমসে কম ৭০০ প্লাস ৭০০মোট ১৪০০ টাকার মামলা।

বিছানাকান্দি ? এখানেও সিন্ডিকেট। দালাল ভর্তি।

লালাখাল ? এক দেড় ঘন্টার বোট রাইড পনেরশ দুই হাজার টাকার নিচে নেবেই না।

সিলেটটাও দিন দিন কক্সবাজার হয়ে যাচ্ছে।

“পাইছি টুরিস্ট, কামাইয়া লই!”

মাঝখান থেকে সাধারণ ট্যুরিস্টদের লেবু চিপা মেশিনের মধ্যে চিপা হয়।

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

সজল জাহিদ বলেছেন: Thik bolecen.. eshob karonei amaderkonekekicu thakar poreo.. amra egote parcina.।

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: কক্সবাজার নিজের জন্মস্থান বা দেশের বাড়ী,তাই জানি বলে বলছি বাংলাদেশের পর্যটন স্থানগুলো আজ মাফিয়া নিয়ন্ত্রিত মাদক এবং ব্রোথেলের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে।এর ভয়াবহতা যে কতটা সুদূরপ্রসারী এবং গভীরে তা ভাবলে শিউরে উঠতে হয়।
বেশি কিছু বলতে চাইনে,স্রেফ এটুক জানুন তরুনরা আজ বিশিষ্ট ইয়াবা ব্যবসায়ী আর তরুণীর দেখলে ভাল/খারাপ বুঝে উঠতে পারিনে(কক্সবাজারের চিত্র)......................কি ভ্য়ংকর !?!

৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: স্পাইসি টুরিস্ট/পাইছি টুরিস্ট...............কিছু বুঝলেন?;)

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

সজল জাহিদ বলেছেন: bujhtepereci pereci.. very sad and thanks for reading

৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫

অরন্যে রোদন - ২ বলেছেন: আসলে ভারত বিরোধীতা করাটা আমাদের রক্তে মিশে গেছে বলতে পারেন। হ্যা আমি মানছি ভারত আমাদের সাথে কিছু খারাপ আচরন করছে যার জন্য আমাদের ভুগতে হয় এবং হবে। কিন্তু একবারও কি দেখেছি যে ওরা সেটা ওদের দেশের স্বার্থে করছে নিজেদের স্বার্থে না। আমরাই পারছিনা চুক্তি করার সময় নিজের দেশের স্বার্থটা সংরক্ষন করতে। চুপিসারে নীতিনির্ধারকরা নিজেদের স্বার্থের বিনিময়ে দেশের স্বার্থটাকে ওদের কাছে বলি দিয়ে আসছে। ওদের আর দোষ দিয়ে কি লাভ বলুন।
আরেকটা ব্যাপার আমি মনে করি সেটা হল ব্যবসা জিনিসটা ভারতীয়রা দারুনভাবে বোঝে। আর সেই কারনে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও টুরিজম খাতে ওরা ব্যাপক উন্নতি ঘটিয়েছে। কারন সারা বিশ্বব্যাপি নিজের দেশের ব্র্যান্ডিং এর জন্য টুরিজমের কোন বিকল্প নেই। এইতো এবার ঈদে বাংলাদেশী টুরিস্টদের ধরার জন্য ফ্রি ভিসা ক্যাস্প করে ১লাখ ভিসা দিল। অন্য সময় দিলে হয়তো এত লোক ভিসা নিত না আর যারাও নিত তারাও শুধু ঘুরে চলে আসতো। কিন্তু ঈদের এই সময়টাতে সবার ছুটি থাকে , সবার ঈদের শপিং এর চাহিদা থাকে। বিদেশী টুরিষ্টদের সাথে ভারতের স্থানীয় জনগনও এত বেশি অমায়িক হয়ে যায় যে ব্যাপারটা দারুন লাগে। আর আমরা “পাইছি টুরিস্ট, কামাইয়া লই!”। বিশ্বের সবচে দীর্ঘ ও মনোরম সি বিচ থাকা সত্বেও বিদেশীরা সমুদ্র বিলাস করে থাইল্যান্ড-মালেশিয়া-ভারতে। বাংলাদেশের কথা কেউ জানেইনা। অনেকেই হিসেব করে দেখেছে আমাদের দেশের টুরিস্ট স্পটগুলোতে যাতায়াত-থাকা খাওয়া ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এত ব্যয়বহুল যে তার চে অনেক কম টাকায় ভারতে ঘুরে আসা যায়।

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭

সজল জাহিদ বলেছেন: Eshob ke babolun vkavabbe bolun? Jara vable kaj hobe tara shob chor batparr, ar jara vable kono kaj hobena tarai boshe boshe vabe r lekhe.

৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭

সাহরাব বলেছেন: সার্বিক পরিস্থিতির কারণেই বাংলাদেশে এধরণের অরাজকতা চলছে .... যার জন্য সরকার-ই দায়ী।

ভারত বিরোধী আর স্বরোধী বলে কোনো কথা নেই .... ভালো কে ভালো আর মন্দ কে মন্দ বলাই শ্রেয়

১০| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩

অরন্যে রোদন - ২ বলেছেন: সাহরাব : সার্বিক পরিস্থিতির কারণেই বাংলাদেশে এধরণের অরাজকতা চলছে .... যার জন্য সরকার-ই দায়ী।
সেটি মানছি কিন্তু টুরিজম ও অন্যান্য ব্যবসা ক্ষেত্রে আমাদের এই "যা পারি একবারেই খাইয়া নেই, পরে যদি আর না পাই" টাইপের মানসিকতা অনেক আগে থেকেই ছিল, যার কারনে টুরিজম খাত কোনদিনই পর্যটকবান্ধব ছিল না।
ভারত বিরোধী আর স্বরোধী বলে কোনো কথা নেই .... ভালো কে ভালো আর মন্দ কে মন্দ বলাই শ্রেয় --- এই কথাটির সাথে দৃঢ়ভাবে একমত।

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮

সজল জাহিদ বলেছেন: Amio shohomot

১১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

রাজীব বলেছেন: আপনার সাথে সম্পুর্ন একমত।
আমাদের দেশের লোক কম সময়ে ধনী হতে চায়। আর ঠকবাজী যেন রক্তে মিশে আছে।
কক্সবাজার আমার সবচেয়ে প্রিয় ভ্রমন স্থান অথচ এখন প্রায়শই ভাবি যে টাকা দিয়ে কক্সবাজার যাবো তার চেয়ে কম খরচে দার্জিলিং যাওয়া যায়।

আমার মতে ভারত কমখরচে সবচেয়ে ভালো পর্যটন দেশ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯

সজল জাহিদ বলেছেন: Amio ekhon etai kori, many many thanks

১২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২

অদৃশ্য বলেছেন:



ভাই ছোটবেলাতে বহুবার পড়েছি ''চরিত্র মানব জীবনের মুকুট স্বরূপ''... সত্য কথা... তবে কথা হলো বাঙালিদের চারিত্রক পতন অনেকদিন আগেই শুরু হয়েছে আর সেটা কোনভাবেই থামছেনা... নিম্নগামী... আরও কতো ভয়াবহ সময় যে সামনে দেখতে হবে কে জানে... আল্লাহ রহম করুন... বাঙালিদের এই বিপদ থেকে উদ্ধার করুন...

ওহহো বলতে ভুলে গেছি, গতবছর সেন্টমার্টিন গিয়ে ডাব কিনে খাইছি ৬০ টাকা করে... আফসোস

শুভকামনা...

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

সজল জাহিদ বলেছেন: oder kaTuirierusiness r amadkacebatpari batpari!! Thank you

১৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

আপনার আপন বলেছেন: double like

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

সজল জাহিদ বলেছেন: Many thanks

১৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০৯

পুলহ বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন। আমার অত আইডিয়া নেই আপনার মত, হয়তো এক্সপেরিএন্সড মানুষদের ভিন্নমত থাকতে পারে (আপনিও যেমনটা বলেছেন), কিন্তু ওভার অল এটাকে সচেতনতামূলক পোস্টই বলবো আমি।
সাজেকে গেট বানাইছে নাকি? আমি যখন গেছিলাম (প্রায় ২/৩ বছর আগে), তখনও গেটের ব্যাপারটা ছিলো না... কিছু পার্ক টাইপের জায়গায় ঢুকতে অবশ্য ২০টাকা এন্ট্রেন্স ফি লাগতো...
আবারো বলি- অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গায় দৃষ্টি-আকর্ষণ করেছেন। এ ধরণের ফান্ডামেন্টাল প্রবলেম (সেটার মাত্রা যেমনই হোক না কেন) গুলো সমাধাণ করতে না পারলে আমরা শুধু গর্বই করবো- আমাদের অমুক আছে, তমুক আছে... কিন্তু কাজের কাজ কিছু হবে না
শুভকামনা ভাই!

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৩৬

সজল জাহিদ বলেছেন: হ্যাঁ সাজেকে এখন টিকেট লাগে, আগে লাগতোনা! অথচ এটা কোন পার্ক তো নয়। আর এটাই আমার প্রশ্ন যে এতকিছু আছে তবুও আমরা তেমন কিছু করতে পারছিনা, দুঃখ। আপনাকে ধন্যবাদ।

১৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: সজল জাহিদ ,



পর্যটনের দুরবস্থা আর এই সুযোগে " কামাইয়া লই " এর মতো ধান্ধা নিয়ে চমৎকার লেখা ।
প্রশ্ন রেখেছেন - কেন পারিনা ওদের মত করে নিজেদের আচার-আচরণ-ব্যাবহার আর সেবার মানটাকে ইনভেস্টমেন্ট ভাবতে?

অনেকেই এর সুন্দর উত্তর দিয়েছেন , আমাদের জোচ্চর মানসিকতার কথা বলে ।
এদেশীয় বাঙালীদের জন্ম ও পারিবারিক ইতিহাসের দিকে আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করে আমিও বলি, আমরা কোনদিনও পারবোনা সেবার মানটাকে ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে ভাবতে । কারন , আঙুল ফুলে কলাগাছ হবার তাড়না আর আমাদের হাভাতে স্বভাব ।

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৩৮

সজল জাহিদ বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক বলেছেন, আমরা পারবো, যদি যদি এবং যদি একটা আমুলে পরিবর্তন আনতে পারি সকল সেক্টরেই! তবে সেটা কি পারবো??

১৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: পর্যটনে ভারত অনেক অগ্রসর একটা দেশ। পক্ষান্তরে আমাদের পদচারনা কেবল শুরু (প্রায়)। কাজেই একটু সময় দিতে হবে ওদের পর্যায় নিজেদের উপনিত করতে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা কেবল বুঝা শুরু করেছে যে মৌসুমী ফটকাবাজী করার চেয়ে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসায়ীক চিন্তা সকলের জন্যই কল্যানকর। এইজন্য দেখেন অফসিজনে হোটেল রেট অনেক কমে যায় সারা বৎসর ব্যবসা ধরে রাখার জন্য। আর প্রতিদ্বন্দীতা যত বৃদ্ধি পাবে সেবার মান ততই উন্নত হবে এটা তো জানারই কথা।

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৩৯

সজল জাহিদ বলেছেন: আপনার ভাবনার মতই যেন হয়, তাহলে আমরাও কিছুটা এগোতে পারবো। ধন্যবাদ।

১৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৪২

জুন বলেছেন: আমি কক্সবাজারে প্লেন এক কাপ চা খেয়েছি ২৫ টাকায়।। আমাদের দেশের ব্যাবসায়ীরা একদিনের ব্যবসা করতে চায়। বিদেশের সাথে তুলনা আমিও আপনার মত একই কারনে দিতে চাই না। দিলে হয়তো কিছু শুনতে হবে।
আপনার লেখার সাথে আমি সম্পুর্ন একমত সজল জাহিদ।

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৪১

সজল জাহিদ বলেছেন: হ্যাঁ এই একদিনের ব্যাবসায়িক মানসিকতাই আমাদেরকে আসলে ভালকিছু থেকে বঞ্চিত করছে, আপনাকে ধন্যবাদ।

১৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৩৪

ইশরাতজাহান বলেছেন: প্রিয়তে

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৪৪

সজল জাহিদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৫২

Mmh Mahamud বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন । খাঁটি কথাই বটে । লং টার্ম ইনভেস্টমেন্টের চেয়ে আমরা শর্ট টার্ম ইনভেস্টমেন্টেই বেশী আগ্রহী । তাই বারবার খেয়ে স্বাস্থবান হওয়ার জায়াগায় একবার বেশী খেয়ে বদহজমে ভোগার অভ্যাস হয়ে গেছে ।
বাই দা ওয়ে , আগামী ডিসম্বর-জানুয়ারীতে আমরা ৩ বন্ধু মিনি ভারত ট্যুরের প্ল্যান করছি । ঢাকা থেকে দার্জিলিং হয়ে দিল্লী যাবো , সেখান থেকে আগ্রা, আজমীর আর কোলকাতা হয়ে আবার দেশে ফিরবো । ভ্রমনের কিছু টিপস দিলে এবং সম্ভাব্য খরচের একটা আইডিয়া দিলে উপকৃত হতাম ।

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৪২

সজল জাহিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আর আপনাকে কিভাবে টিপস বা আইডিয়া দিতে পারি বলুন, আমার সাধ্যমত সাহায্য করতে কোন আপত্তি নাই।

২০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:১৯

মাদিহা মৌ বলেছেন: আমি ভারতে যাইনি। তবে বাংলাদেশের যে কটা জায়গায় গিয়েছি, হ্যাঁ, আপনার মতই ব্যবহার পেয়েছি।
চমৎকার পর্যালোচনা আপনার।

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩

সজল জাহিদ বলেছেন: তবে সুযোগ করে একবার ভারত গিয়ে ঘুরে আসুন, তাহলে আরও বেশী করে উপলব্ধি করতে পারবেন। অনেক ধন্যবাদ।

২১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়ার সব মহাদেশ ঘুরে আপনার সাথে সুর সিলিয়ে বলতেই হবে পর্যটন সেক্টরে পৃথিবীর সবচাইতে নিকৃস্ট অসভ্য লোভী অশিক্ষিত দুর্ণীতিবাজ শ্রেনীর লোকেরা সব বা্ংলাদেশের। এরা সবসময় মনে রাখে ট্যুরিস্ট পাইছি যা পারি কামাইয়া লই। আর ভারতের মানুষের 'মটো'ই হল 'অতিথী হল দেবতা'। একজন বিদেশী অতিথী যখন প্লেন থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে নামে তখন থেকেই তার ভোগান্তি আর লান্জনা শুরু হল! অদক্ষ করাপটেড কাস্টমসের হেনস্হা, তার লাগেজ নিয়ে টানাটানি, ভিখিরীর এক দুই ডলার দাবী, ট্যাক্সিওয়ালার শেরাটন পর্যন্ত ৪০০০ টাকা ভাড়া দাবী... এটা বলে শেষ করা যাবেনা। ভারতের কথা আর বললুম না। বাংলাদেশের খরচের ৩০% টাকায় থাকা খাওয়া যায়! পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১

সজল জাহিদ বলেছেন: আহা, আহা কি দারুণ-ই না বলেছেন আপনি, কিযে খারাপ লাগে ভাই যখন দেখি মাত্র ৬০০০-৭০০০ টাকায় দার্জিলিং এমনকি আগ্রাতে গিয়ে তাজমহল পর্যন্ত দেখে আসা যায়! যেখানে আমাদের যে কোন স্পটে যেতেই এর থেকে দুগুন খরচ করতে হয়!! ধিক ধিক ধিক! আসলে পর্যটন ওদের কাছে ব্যাবসা আর আমাদের কাছে বাটপারি। ধন্যবাদ আপনাকে।

২২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪

পথিকের পাঁচালী বলেছেন: শুধু ট্যুরিস্ট সেক্টরে নয় সর্বত্রই আমাদের দ্রুত বড় লোক হবার প্রবনতা।আমরা বিদেশে কোন অর্ডার পেলে চেস্টা করি জোচ্চুরি করে কিভাবে অল্প সময়ে অধিক মুনাফা করতে পারি।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

সজল জাহিদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন, এর এজন্যই আমরা আসলে এগোতে পারিনা, কিন্তু সেটা কে কাকে বোঝাবে? নিজেরা না বুঝলে? আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.