নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"শৃঙ্খল যেখানে আবদ্ধ, মুক্তি সেখানে অসম্ভব\"

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ

ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই আমার ছাড়পত্র নিয়ে আমার আগমন

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইলেকট্রন নামক তরঙ্গ এবং কণার কথা

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:০৬

নবম দশম শ্রেণীতে রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল আমাকে প্রচুর প্যারা দিসে। সেখানে তিনি একটা এক্সপেরিমেন্ট সেট আপ করেন, এবং প্রথম সফলভাবে একটি মডেল উপস্থাপন করে বলেন পরমাণু কি কি দিয়ে তৈরি ? উনি আলফা কণার একটা স্রোত স্বর্ণের পাতলা পাতের উপর নিক্ষেপ করেন। এবং বিস্ময়ের সাথে দেখেন যে কিছু আলফা কণা সরাসরি যেই পথে আসে সেই পথে ফিরে আসে, কিছু কণা আবার সোজাসুজি চলে যায়, কিছু আবার হাল্কা বেঁকে যায়। মাথার চুল ছিঁড়া শুরু করলেন। হচ্ছেটা কি এখানে? এইযে সোজাসোজি চলে আসে কারণ এখানে ধনাত্মক চার্জ যুক্ত নিউক্লিয়াস আছে। আবার সোজাসোজি চলে যায় কারণ জায়গাটা ফাকা। আর বেঁকে যায় কারণ ওইটা গার্লস স্কুল (মানে ঋণাত্মক চার্জ ওয়ালা ইলেকট্রন)।
আমি পুরা ব্যাপারটা এভাবে ব্যাখ্যা করি। ছোট বেলায় মার্বেল খেলছেন এক মার্বেল দিয়ে আরেক মার্বেল আঘাত করেন। রাদারফোর্ড আসলে যা করেছিলেন ধনাত্মক আলফা কণা দিয়ে আরেকটা ধনাত্মক নিউক্লিয়াস আঘাত করেছেন ফলে সোজাসোজি বিপরীত দিকে চলে আসে। কারণ মাটিতে রাখা মার্বেলটাকে যদি স্থির রাখতেন চান হাত থেকে ছোড়া মার্বেলটি আপনার দিকেই আসতে হবে। ব্যাপারটা এমন আপনাকে মরণে ডাকছে সাইকেল নিয়ে একটা স্থির ভারী ট্রাকের সাথে ধাক্কা খেলেন বলেন তো আপনি কোনদিকে যাবেন? আপনি যেদিক থেকে এসেছিলেন সেই দিকেই উল্টে পড়ার চেষ্টা করেন। এই থেকে আরেকটা জিনিস বুঝা যায় নিউক্লিয়াস ভারী। উনি আসলে যা করেছিলেন তা হচ্ছে নিউক্লিয়াস, ইলেকট্রন এসবের কণা ধর্ম বের করেছিলেন।
কিন্তু উনার মডেল ব্যর্থ হয় ম্যাক্সওয়েলের ইলেক্ট্রোম্যাগ্নেটিজম ব্যাখ্যার কারণে। কি ছিল সেখানে? তার আগে চলেন বাবা ডি ব্রগ্লির কথা শুনে আসি। উনি বলেছেন সব কিছুই তরঙ্গ, ঢেউ, ফিল্ড। মানে যা দেখি সব তরঙ্গ। এবং তরঙ্গ ও কণা ধর্মের মধ্যে সম্পর্ক ব্যস্তানুপাতিক। মানে যার তরঙ্গ ধর্ম বেশি তার কণা ধর্ম কম। আর কণা ধর্ম যার বেশি তার তরঙ্গ ধর্ম কম। কণা ধর্ম সেই জায়গায়তেই বেশি হবে যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ এনার্জি গুচ্ছাকারে থাকে। এইটার ব্যাখ্যা খুবই অদ্ভুত। ধরেন আমি একটা তরঙ্গ। তরঙ্গ চলমান তার মানে আমি মহাবিশ্বের সব জায়গায় ছড়ায়ে আছি। কিন্তু আমি এই লিখাটা সাস্ট থেকে লিখছি। কারণ আমার তরঙ্গের এনার্জি সবচেয়ে বেশি একসাথে জমা হয়ে সাস্টে আছে। এই জিনিসটাই শ্রদিঞ্জার বলেছেন। কোন পয়েন্টে এ তরঙ্গের সবচেয়ে বেশি এনার্জি থাকে ফলে ওই পয়েন্টে কণা পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। এইজন্য বাসে জ্যাম এ আটকে থাকা অবস্থায় বস ফোন দিলে বাস না বলে বলেন স্যার আমি অফিসের নিচে। আপনার কিছু তরঙ্ অফিসের নিচে পাওয়ার সম্ভাবনা অবশ্যই আছে। মিথ্যা বলেন নাই কিন্তু!
প্রোটন বলতে কিছু নাই। প্রোটন কোয়ার্ক দিয়ে তৈরি। দুইটা আপ কোয়ার্ক একটা ডাউন কোয়ার্ক। ফলে প্রোটন তৈরি কোয়ার্কের ফিল্ড বা তরঙ্গ দিয়ে। নিউট্রিনো আরেকটা মৌলিক কণা। যার উৎস মহাবিশ্ব। কারণ এইটা প্রতি মুহূর্তে তৈরি হচ্ছে। তার মানে মহাবিশ্বের মৌলিক কণিকা চারটা। প্রতিটা মৌলিক কণিকা আবার নিজেদের মধ্য ইন্টার‌্যাকশন করে আরও দুইটি করে কণিকা তৈরি করে। ফলে পুরা টেবিলটা দাড়ায় এমন।

টেবিলটার মাথা মুণ্ডু কিছু না বুজলে সমস্যা নাই। কিন্তু এই বারোটা কণা দিয়েই মহাবিশ্ব তৈরি। আমি কণা না বলে ফিল্ড বলি। মানে এই বারোটা কণার ফিল্ড দিয়েই এই মহাবিশ্ব তৈরি। এই বারোটা তরঙ্গ নিজেদের মধ্যে ইন্টার‌্যাকশন করে ৪ টা বল তৈরি করে। যা হচ্ছে। মহাকর্ষ বল, ইলেক্ট্রোম্যাগ্নেটিজম বল, সবল ও দুর্বল নিউক্লিয় বল। ইলেকট্রন যখন কোয়ার্ক মানে প্রোটনের চারপাশে ঘুরে তখন সে নতুন আরেকটা ফোরস ফিল্ড তৈরি করে যা হচ্ছে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক। আর এই ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড হচ্ছে আলো। ম্যাক্সওয়েল বলেন কোন তরঙ্গ থেকে আলো বেরোলে তার শক্তি কমে যায়। বেচারা রাদারফোর্ড এই জিনিসটারই ব্যাখ্যা দিতে পারেন নি।
আচ্ছা ইলেকট্রনের চার্জ আর ভর কোথা থেকে আসে? মানে কিছু জিনিসের চার্জ আছে কিছু জিনিসের নাই কারণ কি? কিছু জিনিস ভারী কিছু হাল্কা কেন? চার্জ জিনিস টা আসে ইলেকট্রন কিভাবে ইলেক্ট্রো ম্যাগ্নেটিজম ফিল্ডের সাথে ইন্টার‌্যাকশন করে তার উপর। দেখা যায় ইলেকট্রন যেভাবে করে প্রোটন সেভাবে করে না। ব্যাখ্যা টা অনেকটা এমন। ইলেক্ট্রোম্যাগ্নেটিজম ফিল্ড হচ্ছে ইলেকট্রিক আর ম্যাগনেটিক ফিল্ড দুইটা একত্র করলে যা হয়। ইলেকট্রিক ফিল্ড তৈরি হয় স্থির পজিটিভ চার্জের কারণে আর ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয় গতিশীল চার্জের কারণে। এখন বলেন পজিটিভ চার্জ যেভাবে ইলেকট্রনএর উপর প্রভাব ফেলবে প্রোটনের উপর সেভাবে ফেলবে? অবশ্যই না কারণ আকর্ষণ বিকর্ষণ আছে।
আর কণাগুলোর ভর এই ধর্মটা আসে কণার ফিল্ড হিগস ফিল্ড এর সাথে কিভাবে রিএকশন করে তার উপর। আর এই হিগস ফিল্ড এর সাথে মিশে আছে আমাদের সত্যেন বসুর নাম। কয়েকবছর আগে এই হিগসবোসন কণার ফিল্ড বের করার কারণেই বিজ্ঞানীরা জানতে পেরছেন মৌলিক কণার ভর কোথা থেকে আসে। এই কারণেই সাড়া দুনিয়া তোলপাড় করা আবিষ্কার ছিল সেটা।
আমার তাত্ত্বিক ব্যাপার খুব ভাল লাগে। এইগুলো বলা বুঝা সমীকরণ ছাড়া অনেক কঠিন। এবং আমি সেটাই চেষ্টা করি। কারণ স্তিফেন্স হকিংস এর ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম বইতে উনি বলেন একটা সমীকরণ লেখা মানে বইটা ২০০ মানুষ না পড়া। সেজন্য উনি পুরো বইয়ে একটা সমীকরণ ব্যবহার করেন। তাছাড়া আমি মনে করি প্রকৃতি সমীকরণ ছাড়া চলে তাই সব কিছু সমীকরণ ছাড়া বুঝা সম্ভব।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৫৩

জ্যোতির্ময় ধর বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা এবং ব্যাখ্যা। শুভকামনা রইলো।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৫০

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৫৪

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য এই সপ্তাহে লিখাটা লিখলাম।

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২০

আমি মুক্তা বলেছেন: দারুণ আপনার পর্যবেক্ষণ এবং অনুধাবনের এক নতুন কৌশল আপনি প্রয়োগ করেছেন। এখন দেখা দরকার আপনার এই পদ্ধতি সত্যিই কতটা কার্যকর। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি সহজবোধ জটিল বিষয়ের সহজ সমাধানযুক্ত পোষ্ট দেওয়ায়।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ধন্যবাদ। আমিও দেখতে চাই কতটুক যেতে পারি।

৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯

গরল বলেছেন: চমৎকার বলেছেন তবে গ্লুওন আর ফোটন এর ভূমিকাটা ব্যাখ্যা করলে আরও বিস্তারিত জানা যেত।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ধন্যবাদ। ইচ্ছে ছিল তবে জটিল হয়ে যেত। কারণ মহাকর্ষের জন্য গ্লুওন কণার প্রভাব রিলেটিভিটির দিকে চলে যায়। আর আমি ফিজিক্সের স্টুডেন্টও ও না। আমি খুব ভালভাবে ব্যাপারটা ফিল করতে পারি না। তাই সেইদিকে যাই নি।

৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: অসাধারন লেখা। তবে এই জাতীয় লেখায় ছবি দিতে হয়। না হলে সব পাঠক পড়তে পারে না, বুঝতে পারে না। আপনার এই লেখাটিতে আপনি একসাথে একটু বেশী তথ্য দিতে চেয়েছেন। যা অনেকের মাথার উপর দিয়ে উড়ে চলে গেছে।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪০

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ধন্যবাদ। হ্যাঁ ছবি দেয়া উচিত ছিল হয়ত। যেমন রাদারফোর্ডের এক্সপেরিমেন্ট সেট আপের ছবিটা দেয়া যেত। নিচের দিকের কথা গুলোর কোন ছবি নাই আসলে। এইগুলি সমীকরণ দিয়ে বুঝা সহজ। যা আমার অপছন্দ। কারণ আমি মনে করি আমি যা বুজেছি ৫ বছরের বাচ্চাকে তা বুঝাতে না পারলে কিছুই বুঝি নাই। আপনার মন্তব্য পড়ে বুঝলাম সেই দিক থেকে কিছুটা ব্যর্থ। পরের লেখায় আরও সহজবোধ্য করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।

৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "আর আমি ফিজিক্সের স্টুডেন্টও ও না।"


আপনি ফিজিক্সের স্টুডেন্ট না হয়ে জানলেন কি করে?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪৪

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আমার আন্ডারগ্রেডে ম্যাটেরিয়ালস সাইন্স, সলিড স্টেট, কোয়ান্টাম এর উপর কিছু কোর্স ছিল তাই। আর আমার রিসার্চ এর টপিকস ও এইসবের উপর। তাই ইলেকট্রন ফিল করতে পারি। স্পেস ফিল করতে পারি না।

৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সুন্দর লেখা.......

SUST এ এখন কোন সাবজেক্ট এ পড়ছেন???

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২০

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ধন্যবাদ। ইলেক্ট্রিক্যাল এ।
আমি আপনার মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।

৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমার মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করার কারনটা জানতে পারি?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৩

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আপনার ব্লগের টাইটেলে লেখা সাইবার সিকিউরিটি, ইলেক্ট্রনিক্স, আর আমার পোস্টগুলোতে আপনার মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করে। কারণ আপনার মন্তব্যগুলো পড়ে মনে আপনার পড়াশুনার ব্যাকগ্রাউন্ড এই ধরনের।
আপনার ব্লগ আকাউন্টের আমার পরিচয়টা খুবই ভাল লেগেছে। অভিকর্ষের বা প্রতিকূল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে আপনি এগিয়ে চলেছেন এর মানে হচ্ছে এইটা।
মন্তব্য টা মনে হয় বেশি বড় হয়ে গেছে।

৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আপনি উপরে চমৎকার একটা মন্তব্য করেছেন। আমার পড়াশোনার পরিধি ব্যাপক। তবে আমি সাইন্সের ছাত্র। এছাড়াও বিভিন্ন অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করেছি। ফলে সাইন্স রিলেটেড টপিকের প্রতি আমার অন্য রকম একটা ইন্টারেস্ট আছে।

আমার পরিচয় অংশের একটা অর্থ আপনি ধরতে পরেছেন। অপর অর্থটা হলো সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী লিনাক্স কমান্ড।
rm -rf / দ্বারা একটা লিনাক্স সিস্টেমের সম্পূর্ণটা মুছে ফেলা যায়। এটা লিনাক্সের সবচেয়ে ডিস্ট্রাকটিভ কমান্ড।
তবে পরিচয়টা আমি পদার্থবিজ্ঞান ও প্রোগ্রামিং এর মিশেলে লিখেছি। পদার্থবিজ্ঞানের অর্থটা আপনি বলেছেন।

আপনার মন্তব্য মোটেই বড় হয়নি। বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে গঠনমূলক আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরো বড়ো মন্তব্য করলেও সমস্যা নেই।
আমার কমেন্ট আপনাকে অনুপ্রেরণা জোগায় জেনে খুবই ভালো লাগলো :)
ভবিষ্যতেও আমাকে পাশে পাবেন......

সময় পেলে আমার "মজার মজার টপিকস" পোস্টটা পড়বেন। মজা পাবেন নিশ্চিত।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৭

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমারও এটা সেটা পড়তে ভাল লাগে। কিন্তু স্পেসিফাইড টপিকস নিয়ে আলাপ করতে ভাল লাগে।
আমার কোডিং নিয়ে আগ্রহ আছে। সময় পেলে প্রবলেম সল্ভ করার চেষ্টা করি। কিন্তু সেটা অনিয়মিত।
আপনার পোস্টটা পড়লাম। অভিকর্ষজ ত্বরণের উপর বেজ করে ভালুকের গায়ের রঙ বলতে হবে।
২ নং টা কলেজ এর ফিজিক্স।Hilbert বলছেন অসীম সংখ্যক সসীম আছে।
৪ নং নিয়ে আমার কোন আইডিয়া নাই।
পোস্ট টা মজার ছিল। ধন্যবাদ। আশা করি আপনার পোস্ট এর উত্তর দিয়ে আরেকটা পোস্ট লিখবেন।
আমি মিলিয়ে দেখব উত্তর ঠিক আছে কিনা?

১০| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পোস্টের উত্তর দিয়ে আরেকটা পোস্ট দিবো......
তখন দেখা যাবে উত্তর কতটা সঠিক :)

১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: মজার মজার কিছু টপিকস, মাথানষ্ট করা উত্তর

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩৯

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: পুরানো পোস্ট খুঁজতে যেয়ে দেখলাম আপনার মন্তব্যের উত্তরই দেয়া হয় নাই। বিশাল বড় পাপ করে ফেলছি। :)
উত্তর পড়লাম। আপনিই খাতা চেক করে বলেন আমি কত পেয়েছি? ;)

১২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ সাকিবুল ইসলাম,



ইলেকট্রন নিয়ে সুন্দর লেখা তবে বেশ জটিল বলে মনে হলো, অনেক কিছু একই সাথে বলতে যাবার কারনে।
এই ইলেকট্রনকে বুঝতে পারা আমাদের মতো সাধারন মানুষদের জন্যে তেমন সহজ নয়। অথচ এই ইলেকট্রন-ই কিন্তু আমাদের জীবনে ভানুমতীর খেল দেখিয়ে যাচ্ছে সৃষ্টির গোড়া থেকেই। বদলে দিয়েছে আমাদের দৈনন্দিন জীবন। কখনও একাই বা কখনও জোট বেঁধে।
এই যে ডেক্সটপে আঙুল টিপে টিপে লিখছি তার যাবতীয় যন্ত্রপাতি, সারা দিনের সঙ্গী মোবাইল ফোনে কথা বলছি সে ফোনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে ডিজিটাল ক্যামেরা, ডিভিডি, এলসিডি, টেলিভিশন, রেডিও এসবই এসেছে, চলছে ইলেকট্রনের অদ্ভুত অদ্ভুত সব আচার, আচরণের ভিতর দিয়ে। তাদেরই নানা রকমের মতিগতি আর চালচলনে। ওই সবক’টি যন্ত্রেই বিদ্যুৎ পরিবহণ করে নিয়ে যায় ইলেক্ট্রন-ই। যার বিদ্যুতের আধান (চার্জ) ঋণাত্মক মানে নেগেটিভ। পদার্থের গঠনে যেসব কনারা থাকে তাদের মধ্যে এই ইলেক্ট্রন-ই সচল।
পৃথিবীতে পদার্ধের সংখ্যা তো আর কম নয় এবং এরাই কোনটি পরিবাহী বা কন্ডাক্টর, কোনটি অর্ধপরিবাহী বা সেমিকন্ডাক্টর আর কোনটি অপরিবাহী বা নন-কন্ডাক্টর। এই যে বৈচিত্র এর পেছনেই ভানুমতির খেল দেখিয়ে যাচ্ছে , হয় কোনও ইলেকট্রনের একারই আচার, আচরণ বা মতিগতি, নয়তো অনেকগুলি ইলেকট্রনের জোট বেঁধে হা-ডু-ডু খেলার ফল।
পদার্থের ভেতরে এই ইলেক্ট্রনের সংখ্যা বাড়িয়ে কমিয়েই বিদ্যুত পরিবহনের ব্যবস্থাটিও বাড়ানো কিম্বা কমানো যায়। এই আবিষ্কারকে কাজে লাগিয়েই কিনতু ট্রানজিস্টর আবিষ্কার হয় ১৯৪৭ সালে। আধুনিক সভ্যতা দাঁড়িয়ে আছে যার উপর। এই ট্রানজিস্টরেরই আরও একটু উন্নত বংশধর আণুবীক্ষণিক ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট বা আইসি। এবং এই আইসি দিয়ে কি না করা যায়!!!!!!!!

এ জাতীয় বিষয়ে আমার আগ্রহ আছে বলেই কিছু শেয়ার করলুম আপনার সাথে। আপনার আরো লেখার আশায় রইলুম।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৪০

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আশা করি এই ব্যাপারে কিছু লেখা পাব আপনার কাছ থেকে।

১৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ১০০ তে ১০১ ;)

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৪৮

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আমি উদাসী ভাইয়ের রিদ্দা করার সুন্নতি তরিকা পোস্টে একটা কমেন্ট করেছি। দেখেন তো থিওরি ঠিক আছে কিনা? নাকি ভুলভাল বকেছি।

১৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আপনি যে বক্তব্যটির প্রেক্ষিতে আপনার যুক্তি উপস্থাপন করেছেন সেটা একটা স্যাটায়ার টাইপ। সাধারণ মানুষ রিলেটিভিটির মারপ্যাঁচ বুঝবে না। তাই তারা সুযুক্ত পাঠকের ঐ কথাটুকুও সঠিক ধরে নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

যে বিষয়ে উদাসীর কমেন্ট সেটা নিয়ে অনেক ডিবেট হচ্ছে এবং হবে। এ বিষয়ে আমি কিছু বলবো না।

আপনার বলা কথা ঠিকই আছে। সেম বেগে চললে সবকিছু ঠিকই আছে বলে মনে হবে। কোনো পর্যবেক্ষক যদি আলোর বেগে আলোর সাথেই চলেন তাহলে কোনো পরিবর্তন দেখতে পাবেন না। পৃথিবীতে বসে দেখার ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষকের বেগ হবে পৃথিবীর গতির সমান। তাই সে কাল দীর্ঘায়ন প্রত্যক্ষ করবে। এক্ষেত্রে ২৭ বছর কোনোদিন ২৭ আলোকবর্ষ হতে পারে না। সিম্পল ইকুয়েশন দ্বারাই এটা দেখানো যায়। যেটা আপনি বলেছেন ঐ কমেন্টে। ২৭ বছর ইজ নট ইকুয়াল টু ২৭ ly বলাটাই যথেষ্ট উক্ত কথাটি ভুল প্রমাণের জন্য ।

রিলেটিভিটি একটা জটিল বিষয়। আমি যেটুকু বুঝি সেটাই বললাম।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:২৪

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: উদাসী ভাই যে বিষয় পোস্ট দিসে সেইটা উনি নিজেই ভাল করে ব্যাখ্যা করছে, সেইটা আমাদের কোন কথা থাকা উচিত না।
উদাসী ভাই থাকলে এই কমেন্টের একটা ভাল উত্তর দিত, আপনি বিজ্ঞান-মনস্ক লোক হাতের কাছে আপনাকে পেলাম, তাই আপনার মতামত জানতে চাইলাম। একাডেমিক ব্যাপার ডিসকাস করতে না পারলে ঘুম হয় না :D
ধন্যবাদ মতামত দেয়ার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.