নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"শৃঙ্খল যেখানে আবদ্ধ, মুক্তি সেখানে অসম্ভব\"

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ

ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই আমার ছাড়পত্র নিয়ে আমার আগমন

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তালেবান বলেন আর আরএসএস বলেন সবাই কেন তার আদর্শের জন্য মরতে চায়?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১৭

২০০২ সালে অর্থনীতিতে নোবেল প্রাইজ পান ডেনিয়াল কাহ্নেমান। উনি কিন্তু মোটেও অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করেন নাই, উনার গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল কগ্নেটিভ সাইকোলজি। উনার গবেষণার বিষয়বস্তু একটু বলি- উনি একজন দৈব চয়নে মানুষ নির্বাচন করলেন। এইবার নির্বাচিত ব্যক্তির ডান হাত ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঠাণ্ডা পানিতে এক মিনিটের জন্য রাখতে বললেন, এক মিনিট শেষ হওয়ার পর বাম হাত আবার ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের পানিতে একমিনিটের জন্য রাখতে বললেন কিন্তু এইবার উনি নির্বাচিত ব্যক্তির অজ্ঞাতে অল্প কিছু গরম পানি এড করলেন যাতে পানির তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। এবং এই ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পানিতে বাম হাত আরও ৩০ সেকেন্ড রাখতে বলা হল। পরীক্ষা শেষে উনাকে জিজ্ঞেস করা হল আপনার কষ্টের অনুভূতি কখন বেশি হয়েছিলি? ডান হাতের সময় না বাম হাতের সময়? সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে ৮০ পারসেন্ত লোক বলেছে বাম হাতে কষ্টের অনুভূতি কম ছিল। এর কারণ কি? এর উত্তর হচ্ছে আমারা আসলে কিভাবে চিন্তা করি। দেখুন আপনি যখন একটা মুভি দেখেন তখন আপনি এর ক্লাইম্যাক্স আর এন্ডিং মনে রাখেন। মানে আমরা যে অনুভূতি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাই সেইখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ক্লাইম্যাক্স আর এন্ডিং। কিছু উদাহরণ দেই তাহলে ব্যাপারটা ক্লিয়ার হবে।
যেমন ধরুন ছোট বাচ্চারা ইনজেকশন নিতে ভয় পায় এই জন্য ডাক্তার যেইটা করে বাচ্চাটার ইনজেকশন নেয়া শেষ হলে তাকে কিছু চকলেট দিয়ে বিদায় করে। এর ফলে যেইটা হয় বাচ্চাটা পরবর্তী রোগের ভ্যাক্সিন নিতে ভয় কম পায়। কারণ বাচ্চাটাকে একটা কষ্টের অনুভূতি শেষে চকলেট দিয়ে খুশি করা হইসে। ওর কাছে এন্ডিং টা আনন্দের ছিল তাই পরবর্তীতে ভয়ের অনুভূতি কমে যায়। ডেনিয়াল কাহ্নেমান এর উক্ত পরীক্ষার সবচেয়ে ভাল উদাহরণ হচ্ছে সন্তান প্রসব করা। একটা মা যখন সন্তান ধারণ করে তখন তাকে যেই পরিমাণ কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয়, সেইটা অকল্পনীয়। তবু মা আবার সন্তান নেয়। এর কারণ হচ্ছে সন্তান প্রসব শেষে মা শরীর থেকে করতিসল, বেটা- এন্দ্রফিন্স এইসব হরমোন বের হয় যা প্রসব যন্ত্রণা প্রশমিত করে, সন্তান সুস্থভাবে পৃথিবীতে পদার্পণ করার পর সন্তানের বাব, দাদা-দাদি, নানা-নানি সবাই ঈদ লাগায়ে দেয়, মা কে অভিনন্দন জানায়। মার কাছে এই শেষের অনুভূতিই মনে থাকে। ফলে সে আবার সন্তান নেয় ঐ শেষের ঐ আনন্দদায়ক অনুভূতিই ফিরে পাবার জন্য ।
ডেনিয়াল কাহ্নেমান এই পরীক্ষাটা অর্থনীতিতে কিভাবে ব্যবহার করা হয় তার একটা উদাহরণ দেই। ২০১৪ সালে ইন্ডিয়া ফার্স্ট স্লোগানের ব্যানারে ভারত প্রভূত উন্নতি সাধন করবেন এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমটায় আসেন। কিন্তু ২০১৪-১৯ সালে এই শাসনামলে ভারতে বেকারত্বের হার ছিল সবচেয়ে বেশি, ইকনমি বেশ বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। ভারতের রাজনীতি বুঝাই যাচ্ছিল মোদী হারবে ২০১৯ সালের নির্বাচনে। কিন্তু হারে নাই কেন? আপনিও জানেন, আমিও জানি জাস্ট এক বালাকোট দিয়ে কংগ্রেসকে একদম ধুয়ে দিসে। মানুষজন গত ৫ বছর মোদী কি করছে কিচ্ছু মনে রাখে নাই, শুধু নির্বাচনের আগে পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে পারছে, ভগবত ভারতের মর্যাদা রাখতে পারছে এইটাই মোদীকে জয় এনে দিছে। মানুষজন শুধু শেষ কয়েকমাস দিয়ে পুরো পাঁচ বছরের কষ্টের কথা ভুলে গেছে মোদীকে আবার নির্বাচিত করছে।
আমরা আমাদের অর্থনীতি, সামাজিক, রাজনৈতিক যেকোনো ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়াড় ক্ষেত্রে বারবার এই কাজটাই করি। আরও একটা উদাহরণ দেই, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইতালির মুসলিনোর উত্থান প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ই লেখা হয়ে গেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ট্রেন্ট আর ট্রিস্ট নামে দুইটা শহর ইঙ্গ-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের দখলে ছিল। শহর দুইটা দখল করতে ইতালি সৈন্য-সামন্ত পাঠাল। যুদ্ধে ইতালি ১৫ হাজার সৈন্য হারাল। ইতালি আবার সৈন্য পাঠাল এইবার ৪০ হাজার সৈন্য মারা গেল। এইভাবে গুনে গুনে ১১ বার ইতালি হারছে। কিন্তু ইতালির শাসকগণ প্রতিবার বলছে Our boy’s didn’t die in vain । ইতিহাসে এই যুদ্ধ ইসাঞ্জো ব্যাটল নামে পরিচিত। এইযে বারবার সৈন্য পাঠাচ্ছে আর হারছে আর প্রতিবার বলছে আমাদের সেনাদের প্রাণ বৃথা হতে দেব না এর কারণটাই হচ্ছে আমরা ব্যাপারটা এইভাবে বিশ্বাস করতে ভালোবাসি "আমি দেশের জন্য জীবন দিছি" কারণ এতে গৌরব আছে। কেউ কিন্তু কখনওই এইটা বলে না যে "এই যুদ্ধের কারণে আমি পঙ্গু হইছি, আমার পরিবার হারাইছি" কারণ এতে মানসিক কষ্ট বাড়ে। ঠিক এই কারণেই মানবজাতি তার আদর্শের জন্য তর্ক করে। হোক সে কমিউনিস্ট, বাম-ডান পন্থি, উগ্র জাতীয়তাবাদ সে সবসময় মনে করে তার বিশ্বাস বৃথা হতে পারে না।
এই কারণেই তালেবান মনে করে তারা একদিন সারা দুনিয়ায় ইসলাম ছড়াবে, আর বিজেপি মনে করে সারা ভারতবর্ষে একদিন সবাই হিন্দু হবে। সব এক গোয়ালের গরু।
ইউভাল নোয়াহ হারারির হোমো ডিউস বই থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখাটা লিখেছি।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৪৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন:



যুক্তিপূর্ণ লেখা। ভাল লেগেছে।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০২

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আপনারে অনেক ধইন্ন্যা পাতা। এই যে ধর্মে বলে যে আল্লাহ, ঈশ্বরের জন্য জীবন দিলে আপনি স্বর্গে যেতে পারবেন মধ্যযুগে এই যে ধারনা প্রচলিত ছিল তার কারণ হচ্ছে এই বিশ্বাস। সৃষ্টিকর্তা কিন্তু মানুষজন দেখে না, কিন্তু বিশ্বাস করে, ধর্ম প্রচারের শুধু খ্রিস্টান আর মুসলিম যে কি পরিমাণ মারা গেছে টা শুধু মাত্র ক্রুসেড গুলোর হিস্ট্রি পড়লেই বুঝা যায়। আপনি দুই পক্ষ থেকেই পইড়েন মনে হবে দুইটাই ঠিক, দুইটাই সেরা। এর কারণ হচ্ছে এইটাই আমরা গর্ববোধ আমারটা শ্রেষ্ঠ এই চিন্তা করে। এইটার একটা গালভরা নাম হচ্ছে Factual statements to narrating expression.
আমরা ফ্যাক্টটা নিয়ে গর্ববোধ করি তারপর সেইটা নিয়ে রোমাঞ্চকর কাহিনী বলি, কাহিনী না থাকলে সেইটা বাস্তবে ঘটানোর চেষ্টা করি। এইটাই মানবসভ্যতার আল্টিমেট কথা।

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মের অপব্যাখ্যার কারনে পৃথিবীর সব দেশে জঙ্গীদের সংখ্যা বাড়ছে। পৃথিবীর সব দেশের জঙ্গীরাই কিন্তু ধার্মিক। নাস্তিকেরা কখনও জঙ্গী হয় না। তারা বিল্পবী।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০৩

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আপনি ধর্মের বিবর্তন নিয়ে পড়াশুনা করেন তাহলে দেখবেন ধর্মগ্রন্থ হচ্ছে গল্প। প্যাগান আর জেসাসের মোট নিয়ে তৈরি হইছে খ্রিস্টিয়ানিটি, ড্যান ব্রাউনের ভিঞ্চি কোড উপন্যাসে খুব সুন্দর করা বলা আছে কিভাবে এই বিবর্তন হইছে।ইহুদি ধর্মও আমদের ইসলাম ধর্ম এই খ্রিস্টিয়ানিটি থেকে কিছু ধার করা। বৌদ্ধ ধর্মের একটা বিবর্তিত শাখা হচ্ছে শিখ। ধর্ম যেভাবে পৃথিবীতে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে সেইটা নিয়ে একটা একাডেমিক লেখা লিখার ইচ্ছে আছে। কিভাবে মানুষ লিখা শুরু করল, তারপর সেইখান থেকে ফারাও রা ধর্ম আনল এই ইতিহাস জানলে আমি মনে করবেন এইটা একটা সভ্যতার অংশ। এখন আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে এসে এই সভ্যতার অংশটা একডেমিয়ান দের কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে। রিচারদ ডকিন্সের সাথে আল-জাজিরার মেহেদি হাসান এই সাক্ষাৎকার দেখেন এইখানে একটা অংশে রিচারড ডকিন্স বলেন আমি মনে করি ধর্ম বিজ্ঞান মনস্ক না, যুক্তি দিয়ে ধর্ম ব্যাখ্যা করা যায় না, বিজ্ঞানে আমরা অনেক বিস্তৃত চিন্তাভাবনা করতে পারি যেমন স্ট্রিং থিওরি অনুযায়ী আরও কয়েকটা প্যারালাল ইউনিভার্স আছে। সাথে সাথে মেহেদি হাসান বলেন আপনি না দেখে আরও কয়েকটা প্যারালাল ইউনিভার্সে আছে সেইটা বিশ্বাস করেন তাহলে আমি যদি না দেখে মিরাজের কাহিনী বিশ্বাস সেইখানে আপনার অসুবিধা কোথায়?
এইটা ভয়ঙ্কর একটা প্রশ্ন। এই প্রশ্নের কোন উত্তর নাই, কেন? বিজ্ঞান যেমন বিবর্তিত হতে সভ্যতার অংশ হইছে, ধর্ম তেমন। কিন্তু ধর্ম অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ছে এইটা বুঝা যাচ্ছে। যেমন রাশিয়ার কমিউনিজম কখনও ফল করবে এইটা কেউ চিন্তা করে নাই কিন্তু করছে। কেন করছে? ওরা আপডেট হতে পারে নাই। বিশাল রাশিয়াকে ইনফ্লুয়েন্স করতে পারে নাই। ধর্মের ক্ষেত্রেও এইটা হচ্ছে। বিজ্ঞানের চমকের কাছে মার খাচ্ছে।

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০৯

প্যারাসিটামল খবিশ বলেছেন: সবাইকে জেনারেলাইজ করে ফেলাটা ঠিক হবে না মনে হয়।ঠিক ভুলের মাঝে তফাতটা বুঝতে হবে

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১৮

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: প্যারাসিটামল খবিশ নিক যে নিছেন আরিফ আজাদ জানে? আপনি যদি সারা দুনিয়ার সব মানুষকে জেনারালাইজ করতে চান তাহলে চাইলেও পারবেন না? কারণ এইখানে গোষ্ঠী ভেদে চিন্তাভাবনা ভিন্ন হয়। আমি কিন্তু আমার পোস্টে কাউকেই জেনারালাইজ করি নাই, আমি শুধু বলতে ছেয়েছি কেন হোমো সেপিয়েন্স একটা বিশ্বাস বা মতের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে।

৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৩০

প্যারাসিটামল খবিশ বলেছেন: সেই মতের ভ্যালিডিটি নির্ভর করে আপনার মতটি কতটুকু যৌক্তিক সেটার উপর।একজন বামপন্থি ছাত্র প্রসাসনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে পিটুনি খায়।আরেকজন অল্পবয়সী মেয়েদের বিয়ে করার অধিকার চেয়ে প্রেসক্লাবে মানব বন্ধন করে।

-দুইজন একই গোয়ালের গরু নয়!

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৩৮

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: দুইজন একই গোয়ালের গরু নয়!
এইবার বুঝেছি কেন এই মন্তব্যটা করেছেন। এইখানে একটা মার্জিন আছে আপনার চিন্তা অনুযায়ী দুইটা আলাদা বিশ্বাস ভ্যালিড না ইনভ্যালিড সেইটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। হ্যাঁ আপনার কমেন্টের উদাহরণ অনুযায়ী আপনার কথা ঠিক। কারণ আপনি একটা পজিটিভ ব্যাপার আনছেন আরেকটা নেগেটিভ। আর আমি বলেছি তালেবান মনে করে সারা দুনিয়ায় ইসলাম হবে, বিজেপি মনে করে পুরো ভারতবর্ষ হিন্দু হবে। এইখানে দুইটাই নেগেটিভ। তো তালেবান বিজেপি তো এক গোয়ালেরই গরু।

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:০১

প্যারাসিটামল খবিশ বলেছেন: হ্যা সেটা বলতেই পারেন। তালেবান,আরএসএস,জামাত কিংবা জেএমবি এদের বিশ্বাস, কার্যক্রমের সাথে সভ্য পৃথিবীর কোন যোগাযোগ নেই।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:০৯

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: এইসব বিশ্বাসী গুলো যে কি? গঞ্জিকা সেবন করে টাল হয়ে থাকলেও মানুষ এইসব বিশ্বাস করে না, মাথায় না আছে ঘিলু, না আছে বোধ।

৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



তালেবানরা এখনো ১২'শ/১'শ শতাব্দীর মুসলিম সাম্রাজ্যের চিন্তা-ভাবনার মাঝে আছে। আইএসএস'এর উপরের লেভেলের লোকেরা পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি প্রতিহিংসা পরায়ন মানুষজনের সমস্টি।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:২১

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: এই ইসলামই মিলিট্যান্টস গুলোরে নিয়ে খুব ভাল কমেন্ট পাইছি- এইগুলো হচ্ছে মাছি। এই মাছির ইচ্ছে হল রাসটার পাশের সুপারশপটা ভেঙ্গে ফেলতে। মাছির এই ক্ষমতা নাই। তো কি করবে? একটা মহিষের কানে ঢুকে মহিষরে বিরক্ত করবে। ঐ মহিষ তারপর সুপারশপ ভাঙবে। এই জঙ্গিগুলো এই কাজই করে। নিজের বিন্দুমাত্র ক্ষমতা নাই, তো কি কর ৯/১১ এ প্লেন হাইজ্যাক করে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এট্যাক কর। এতে কি হল, মধ্যপ্রাচ্যে ইরাকে বুশ সৈন্য পাঠাল ফলে ওরা বলতে পারল বুশ খারাপ, পশ্চিম খারাপ। ঠিক যেভাবে মহিষ সুপারশপ টা ভেঙ্গেছে কিন্তু কানের মধ্যে যেয়ে বিরক্ত করছে কিন্তু মাছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.