নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"শৃঙ্খল যেখানে আবদ্ধ, মুক্তি সেখানে অসম্ভব\"

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ

ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই আমার ছাড়পত্র নিয়ে আমার আগমন

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন একটু বিজ্ঞানী বিজ্ঞানী ভাব নেই (প্রশ্নঃ শ্রডিঞ্জারের ওয়েভ ইকুয়েশনের বর্গ কেন ইলেকট্রন পাওয়ার সম্ভাবনা?)

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:০৫




উপরের সমীকরণটি হচ্ছে শ্রডিঞ্জারের ওয়েভ ইকুয়েশন। কোয়ান্টাম মেকানিকস সম্পর্কে যাদের একটুআধটু জানাশোনা আছে তাদের সবার কাছেই এই সমীকরণটি বাইবেলের মত। একটু খেয়াল করুন এই সমীকরণের বাম পাশে i লিখা। এই i মানে হচ্ছে সমীকরণটির বাম পাশ অবাস্তব বা কাল্পনিক কিন্তু ডান পাশ বাস্তব। এই সমীকরণের মজাটাই এইখানে। আমরা সাধারণত জানি একটা সমীকরণের ডান পাশ বাম পাশ সমান হওয়া উচিত। এই শ্রডিঞ্জার ইকুয়েশনে কিন্তু এইটা হচ্ছে না। বাম পাশ কাল্পনিক আর ডান পাশ বাস্তব। আজকের লেখা এই মহান i কে নিয়েই। তার আগে নিচের ছবিটার দিকে একটু খেয়াল করুন





উপরের ছবিটার বাম পাশ হচ্ছে ওয়েভ ফাংশন। এইটার কোন বাস্তব মিনিং নাই। এইভাবে বলতে পারেন শ্রডিঞ্জার ওয়েভ ইকুয়েশনের সমাধান হচ্ছে এই ওয়েভ ফাংশন। এইটা মিনিংফুল তখনই হয় যখন এই ওয়েভ ফাংশনকে বর্গ করা হয়। ওয়েভ ফাংশনের বর্গ হচ্ছে একটি ইলেকট্রন পাওয়ার সম্ভাবনা। যা একটি বাস্তব ঘটনা। একটু খেয়াল করুন একটা ওয়েভ ফাংশনকে বর্গ করলে একটি কণা পাওয়ার সম্ভাবনা পাচ্ছি। যা একটি গ্রহণযোগ্য ঘটনা কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন ওয়েভ ফাংশনকে বর্গ করলে একটি বাস্তব মান পাওয়া যায়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের বুঝতে হবে কাল্পনিক সংখ্যা বা জটিল সংখ্যা। আমি খেপ মারার সময় প্রায়ই একটা কথা বলি জগতের সকল সংখ্যাই জটিল সংখ্যা। জটিল সংখ্যা i হচ্ছে -১ এর বর্গমূল। আপনি আমি কিন্তু ২ এর বর্গমূল বের করতে পারি যা প্রায় ১.৪১...। আপনি ৩ এর বর্গমূল ও বের করতে পারবেন যার মান প্রায় ১.৭১...।কিন্তু আপনাকে যদি বলা হয় -২, -৩ এইসবের বর্গমূল বের করতে আপনি কিন্তু পারবেন না। এই -২ এর বর্গমূল হবে i১.৪১......। ঠিক একইভাবে -৩ এর বর্গমূল হবে i১.৭১...।তার মানে কোন ঋণাত্মক সংখ্যার বর্গমূল একটি কাল্পনিক সংখ্যা যাকে প্রকাশ করতে i দরকার।শ্রডিঞ্জারের ইকুয়েশনের যে i নিয়ে মহা যন্ত্রণায় পড়লাম সেইটা হচ্ছে এই i। এখন এই i কে কিভাবে প্রকাশ করা হয়? যেমন ধরুন একটা জটিল সংখ্যা ৩+i৪ এইখানে ৩ হচ্ছে বাস্তব কিন্তু i৪ হচ্ছে অবাস্তব। এই সংখ্যাটাকে প্রকাশ করতে হয় এইভাবে



উপরের ছবিটার দিকে লক্ষ করুন x-অক্ষ বরাবর ৩ ঘর যাওয়া হয়েছে, y- অক্ষ বরাবর ৪ ঘর যাওয়া হয়েছে। ফলে AB বরাবর ৩ ঘর যাওয়ার পর BC বরাবর ৪ ঘর গেলে C বিন্দুতে যেই সংখ্যাটি পাওয়া যাবে সেইটা হচ্ছে ৩+i ৪। এখন একটা প্রশ্ন আশাটাই স্বাভাবিক AC এর দৈর্ঘ্য যে ৫ হল এই কিভাবে করা হল? জটিল সংখ্যাকে ডিফাইন করতে হলে দুইটা জিনিস দরকার প্রথমত মূল বিন্দু হতে সংখ্যাটির দুরুত্ব অর্থাৎ A বিন্দু হতে C বিন্দুর দুরুত্ব আর দ্বিতীয়ত এই AC x-অক্ষের সাথে কত ডিগ্রি কোন তৈরি করে। প্রথমতাকে বলা হয় মডুলাস, দ্বিতীয়টাকে বলা হয় আর্গুমেন্ট। তো চলুন মডুলাস বের করে ফেলি মহান পিথাগোরাসের সূত্র দিয়ে- সমকোণী ত্রিভুজের অতিভুজের বর্গ হবে ভূমি আর লম্বের বর্গের যোগফলের সমান। যেখান থেকে AC বের হবে ৫।



আর্গুমেন্ট কত হবে? BC এর দৈর্ঘ্যকে AB এর দৈর্ঘ্য দিয়ে ভাগ করার পর সেইটাকে ট্যাঞ্জেন্ট করলেই উত্তর বের হবে। এই আর্গুমেন্ট নিয়ে আপাতত মাথা ব্যথা না করলে চলবে।

দেখুন ৩+i৪ এই জটিল সংখ্যা মিনিংফুল হয় তখনই যখন এর মডুলাস বের করা হল। আর ৩+i৪ এর মডুলাস হচ্ছে ৫। যা একটা বাস্তব মান। ঠিক একইভাবে শ্রডিঞ্জারের ইকুয়েশন থেকে বাস্তব কিছু পেতে হলে আমাকে i এর মডুলাস বের করতে হবে। তো কিভাবে মডুলাস বের করব? আমি কিন্তু একটু আগেই ব্যাখ্যা করেছি ।

শুধু বর্গ করলেই হবে। ঠিক এই কারণে ওয়েভ ইকুয়েশনের বর্গ হচ্ছে ইলেকট্রন পাওয়ার সম্ভাবনা। ওয়েভ ইকুয়েশন একটা প্রবাবিলিটি ফাংশন ছাড়া কিছুই না। এই ওয়েভ ইকুয়েশনের বর্গ করলে যে একটা বাস্তব সম্ভাবনা পাওয়া যাবে এইটা বোর্ণ রুল নামেও পরিচিত।

ফান ফ্যাক্টঃ সম্ভাবনার মান সাধারণত ধনাত্বক হয় কিন্তু ঋণাত্মক মান ফিজিক্সে অ্যান্টি পার্টিকেল সম্পর্কে ধারনা দেয়।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: মাথার উপর দিয়ে গেলো।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০১

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: স্বাভাবিক। রিচার্ড ফাইনম্যান বলেছেন- কোয়ান্টাম মেকানিকস কেউ পুরোপুরি বুঝে থাকলে বুঝতে হবে সে আসলে কিছুই বুজে নাই।

সো মাথার উপরের জিনিস মাথার উপর দিয়ে যাওয়াটা দোষের কিছু না।

২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৫

শের শায়রী বলেছেন: রিচার্ড ফাইনম্যান বলেছেন- কোয়ান্টাম মেকানিকস কেউ পুরোপুরি বুঝে থাকলে বুঝতে হবে সে আসলে কিছুই বুজে নাই। এটাই সত্য। প্রিয়তে রাখলাম ভাই। আরো পোষ্ট চাই এই ধরনের।

বিজ্ঞান কে তাও কোঃমেঃ কে বাংলায় প্রকাশ করা সোজা ব্যাপার না, আপনি সে কাজটিই করছেন। অভিনন্দন

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আপনেরে ধইন্নাপাতা।

৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬

নতুন বলেছেন: এন্টিনার উপর দিয়ে গেছে, বয়স হয়েছে এখন মাথা কম কাজ করে... :)

আরো লিখুন... ++

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৭

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: " বয়স বেশি " এইটা কি টুকটুকির মায় জানে?:)
ধইন্নাপাতা

৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৯

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: দারুণ পোস্ট! আমাদের এইচএসসি তে শ্রডিঞ্জারস ইকুয়েশন কেবল নামকাওয়াস্তে আছে। কলেজে না বুঝালে কেবল বই পড়ে বুঝাটা দুরূহ। আর এমনিতেও এসব জিনিস সম্পূর্ণভাবে বুঝা অতিমানব না হলে সম্ভব না।
দারুণ!দারুণ!++

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৯

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: এইসব কলেজ লেভেলে না পড়াটাই ভাল। কারণ কলেজের ম্যাথ, ক্যালকুলাস ভাল করে করে পড়লে এইসব ভাল করে বুঝা যাবে।

সো আগে কলেজ শেষ করুন, ভাল করে পড়ুন, ধীরে ধীরে সব বুঝবেন। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর এইসব একটু আধটু বুঝি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.