নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"শৃঙ্খল যেখানে আবদ্ধ, মুক্তি সেখানে অসম্ভব\"

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ

ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই আমার ছাড়পত্র নিয়ে আমার আগমন

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"আমরা কতদিন আইসলেশনে থাকবো?"

২৮ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:০৩

এই ভিডিওতে বেশ কিছু পাবলিক কন্সেপশন নিয়ে কথা বলে হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি ত্রেভর নোয়াহ এর ডেইলি শোটা নিয়মিত দেখি। আজ দেখলাম সিএনএন বিল গেটস এবং ডক্টর ফাউচি দুইজনেরই ই ইন্টার্ভিউ নিল। তারপর দেখলাম এই সাক্ষাতকার। প্রথমেই একটু বলি এই ডক্টর ফাউচিটা কে? এর সাথে আমার পরিচয় বেশ কিছু দিন আগে একটা ইউটিউব ক্যাপশনে- যেখানে লিখা আমি ডোনাল্ড ট্রাম্প এর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তার থেকে মাইক কেড়ে নিতে পারি না । আমি মুগ্ধ একটা প্রেসিডেন্টের সামনে এইভাবে কথা বলতে পারার সাহস দেখে। ডক্টর ফাউচি সম্পর্কে Ragib Hasan স্যারের একটা ভাল নোট আছে চাইলে পড়ে আসতে পারেন।

https://www.facebook.com/ragibhasan/posts/10158112100458670

এইবার আসি এই ভিডিওতে ত্রেভর নোয়াহ কি প্রশ্ন করেছেন আর ডক্টর ফাউচি কি উত্তর দিয়েছেন?

১। কেন এই করোনা ভাইরাস অন্য ভাইরাসের চেয়ে আলাদা?
এই প্রশ্নের উত্তরে ডক্টর ফাউচি বলেন এইটা অনেকটা ইনফ্লুয়েঞ্জার মত যা পারসন টু পারসন কন্টাক্টে ছড়ায় কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জায় মৃত্যু হার অনেক কম মাত্র ০.০১% কিন্তু এই করোনায় যা প্রায় ১%। এই ব্যাপারটা আমরা আগে কখনওই ফেস করি নাই। আবার ইবোলার সাথে তুলনা করলে বলা যাবে, ইবলাও পারসন টু পারসন কন্টাক্টে ছড়ায়ে কিন্তু এই স্পর্শ হতে হবে খুবই নিবিড়। ( আমি যদি ভুলভাল না বকে থাকি তাহলে এই ইবোলা ছড়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সঙ্গম করলে ডক্টর ফাউচি হয়ত এই ব্যাপারটাই বুঝাতে চেয়েছেন।

২। আচ্ছা আমাজন থেকে কোন প্রোডাক্ট আসল সেইটা রিসিভ করতে মানুষ ভয় পাচ্ছে, মানুষ কেনাকাটা করতেও ভয় পাচ্ছে কারণ বারবার ডেলিভারি পণ্য বা মুদি দোকানের পলিথিন মুছা সম্ভব না?
ডক্টর ফাউচি এই প্রশ্নের উত্তরে একটা কাশি দেন তারপর বলেন আমার কাছে চায়না থেকে কোন পণ্য আসলে আমি রিসিভ করব আমার অসুবিধা নাই। কিন্তু আমি সাথে সাথে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলব। এই ভাইরাসটা আসলে ছড়াচ্ছে ড্রপ্লেটের মাধ্যমে। মানে হাঁচি কাশি দেয়ার পর যে কণা গুলো বের হয় এইগুলো যদি সার্ফেসে পড়ে আর আমি কিছুক্ষণের মধ্যে সেই সার্ফেস স্পর্শ করি তারপর নাকে মুখে হাত দেই তাহলে ছড়াতে পারে। এইজন্য কোন কিছু স্পর্শ করার কিছুক্ষণের মধ্যে সাবান দিয়ে হাত দুয়ে ফেলতে হবে। কারণ আমরা এইটা জানি ভাইরাসটা সার্ফেসে বেশ কয়েক ঘণ্টা বাঁচতে পারে। আমি বলব ১৫ মিনিট পর পর হাত ধুতে

৩। এই যে ফেসবুকে বলা হচ্ছে চা, তারপর ডাইহাইড্রক্সি আরও বালছাল কি কি খেলে নাকি করোনা ভাল হয়? ( প্রথমেই বলি ত্রেভর নোয়াহ বালছাল শব্ধটা উচ্চারণ করে নাই, কিন্তু আমি খুবই বিরক্ত আমাকে আমার কিছু কলিগ এই জিনিসটা শেয়ার করছে, কোন এক ডাক্তার নাকি চা খাইতে বলছে? )
এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে- আগের কিছু এপিডেমিকে এই কেমিক্যাল কাজে দিছে এবং রেন্ডম ট্রায়ালে দেখা হইছে যে কাজ করে। কিন্তু করোনায় যে এইটা কাজ করবে এমন কোন প্রমাণ নাই। আর দ্বিতীয় কথা হচ্ছে এখন আমার মতে এইগুলো মাস পিপলের ব্যবহার করা উচিত না, কারণ যারা ভ্যাক্সিন আবিষ্কারে কাজ ট্রায়াল চালাচ্ছে তাদের দরকার।

৪। পুরো ইন্টার্ভিউ তে আমার কাছে এই প্রশ্নটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হইছে- আমরা কত দিন আইসলেশনে থাকব? কত দিন লকডাউন রাখব? ১৪ দিন ২১ দিন?
এইখানে ডক্টর ফাউচি একটা সেই বাক্য উচ্চারণ করছেন, সকালে সিএনএন এও দেখলাম একই কথা বলছেন Virus is the clock. একটু বুঝায়ে বলি উনি আসলে কি বলতে চাচ্ছেন। প্রথম কথা হচ্ছে আমরা কতদিনে এক্সপনেশিয়াল গ্রাফের পিকে যাব তারপর পিক থেকে নামব। ইতালির অবস্থা দেখে লাস্ট কয়েকদিনে মনে হচ্ছে ওরা পিকে যাচ্ছে এখন পিকে কিছুদিন থাকবে। কথা কথা হচ্ছে কতদিন পিকে থাকবে, তারপর এই পিক থেকে নেমে নরাম্ল অবস্থায় নামতে কতদিন লাগবে কেউ বলতে পারে না। কয়েকদিন আগে মনে হচ্ছিল ওয়াশিংটন হবে আমেরিকার এপিসেন্টার কিন্তু শেষ দুইদিনে দেখা গেল নিউইয়র্ক তছনছ হয়ে যাচ্ছে। এইটা বুঝা যাচ্ছে নিওইয়র্ক এখন পিকে যাচ্ছে, কয়দিন এই পিকটা থাকে সেইটা দেখার বিষয়। চায়না ৮ সপ্তাহ পর পিক থেকে নামছে। উনার কথা হইছে আমার মনে হইছে ভাইরাসটা কনট্রোলের একটা উপায় হইছে যখনি একটা এরিয়া করোনা আক্রান্ত হবে সাথে এরিয়া আইসলেশন করে ফেল উচিত কারণ এর পড়ে প্রশ্নের উত্তরে ফাউচি ব্যাখ্যা করছে কেন নিও ইয়র্ক সেই ভাবে করোনা আক্রান্ত হল-কারন নিও ইয়র্ক হচ্ছে একটা পর্যটন স্পট। প্রচুর মানুষ এইখানে আসে ফলে কন্টাক্ট বেশি হওয়াতে এইটা হইছে। নিওইয়র্ক টাইম এর এই আর্টিকেল টা পড়ে আসতে পারেন এইখানে খুব সুন্দর করে বলা হইছে করোনা কিভাবে চিন থেকে ছড়াল- Click This Link

সো গুজব ছড়াবেন না, এই মুহূর্তে যারা জেনেটিক্স বা ডক্টর তাদের কথা একটু শুনুন এবং অবশ্যই অথেনটিক কিনা সেইটা যাচাই করে নিন।
ত্রেভর নোয়াহ এর সাথে ডক্টর ফাউচি এর সাক্ষাতকার

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:০০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালো থাকুন। একমাত্র আল্লাহই রক্ষাকর্তা ।

২৮ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৪

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আপনিও ভাল থাকবেন। সৃষ্টিকর্তা ছাড়া মনে হয় না কেউ বাচাতে পারবে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার নামে যা ভণ্ডামি শুরু হইসে সেইগুলো দেখলে স্রষ্টাও লজ্জায় মুখ লুকাবে।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অন্যান্ন ভাইরাস রোগের মত করোনা ভাইরাস হলেও ৭ দিন কোনমতে টিকে গেলে বিপদমুক্ত।
১৪ দিনে সম্পুর্ন কিয়োর।

একটি কমিউটিতে সবাই এদিনে একদিনে আক্রান্ত হয় না, তাই অবস্থার উন্নতি পরিলক্ষিত না হলে কোয়ারেন্টিন মাসখানেক লাগতে পারে।

২৮ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২৮

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আপনি মার্কিন মুল্লুকে এক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আপনি অবশ্যই আমার চেয়ে ভাল জানবেন। আমার কিছু প্রস্ন আছে আশা করি উত্তর দিবেন।

১৪ দিনে সম্পূর্ণ ক্লিয়ার আপনি এই কথা বলার ভরসা কোথা থেকে পাচ্ছেন? আপনি খুব কনফিডেন্ট নিয়ে এই কথা বলছেন কারন আপনি আগের যে স্প্যানিশ ফ্লু, ইনফ্লুয়েঞ্জা এইসবের ক্ষেত্রে দেখেছেন যে এই ১৪ দিনে কাজ করে।
ফলে আপনি সাহস করে এইটাও বলতে পারেন যে, একবার করোনা আক্রান্ত হলে আপনি ইমিউন সিস্টেম ডেভেলপ করবেন, ফলে আক্রান্ত হবেন না। এই গুলো সব বলছেন পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে, এবং বেশ কিছু ক্ষেত্রে মিলেও যাচ্ছে। আমি খুব খুশি হব যদি মিলে যায়। এখন কথা হচ্চে আপনি কিভাবে বুঝবেন যে এই কোভিড-১৯ আমার পূর্ববর্তী ভাইরাসের সাথে মিলে যাচ্ছে? প্রচুর টেস্ট করে একটা ডাটাবেজ তৈরি করে দেখবেন আসলেই এই আচরণ করে কিনা। তখন আমার সিউর হয়ে বলতে পারব যে ১৪ দিনে ক্লিয়ার।

আপনার এই কথা সাথে আমি একমত যে অবস্থার উন্নতি পরিলক্ষিত না হলে কোয়ারেন্টিন মাসখানেক লাগতে পারে। আমি আরেকটু বলি মাস না এমনও হতে পারে এক বছর। কারন যারা আক্রান্ত হইছে তারা ইমিউন সিস্টেম ডেভেলপ করে ফেলছে, ১ মাস পর যখন সব খুলে দেয়া হবে তখন যারা আক্রান্ত হয় নাই, তারা আবার করোনা আক্রান্ত হয় নাই। ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে এই সাইকেলটা এক বছরও চলতে পারে। এইটা না হলেই আমি খুব খুশি হব।

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: হে পরওয়ারদিগার,
তুমি আমাদের রক্ষা কর, রক্ষা কর।
তুমি আমাদের মায়াময় নিশ্চিন্ত পুরানো পৃথিবী ফিরিয়ে দাও।
আমাদের চোখ থেকে সংশয় ফিরিয়ে নাও
তুমি মুমিনের জানাজায় লাখো মানুষের সামিল হবার সুযোগ দাও।

২৮ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:১৪

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: তুমি মুমিনের জানাজায় লাখো মানুষের সামিল হবার সুযোগ দাও। এইটা কি কইলেন আপনে? #:-S আপনি তো মানুষ মেরে ফেলার ধান্দায় আছেন মনে হচ্ছে ;)

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
চীনে ও সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ১ সপ্তাহে ভাল হয় ১৪ দিনে সম্পুর্ন কিয়োর।
তবে সব ক্ষেত্র নাও হতে পারে। বয়স্কদের বেশী অসুস্থতা থাকায় বেশী সময় লাগতে পারে।

অবস্থার উন্নতি পরিলক্ষিত না হলে কোয়ারেন্টিন মাসখানেক লাগতে পারে। এটাই সঠিক
চীন শেষ একমাসে কঠিন কার্ফিউ মত অবস্থা করে বিপর্যয় কাটিয়ে বর্তমানে প্রডাক্সান হাউসগুলো চালু করা শুরু হয়েছে। পুরোদমে।

২৮ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:১৯

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: একমাসে সব ঠিক হয়ে গেলে খুবই ভাল। ঘরে বসে থাকতে আর ভাল লাগছে না। গরিব মানুষগুলোর সেই কষ্ট হচ্ছে, বেশি দিন লকডাউন হলে দেশের ইকনমির বারোটা বেজে যাবে, সেই সাথে নিজেরটাও বাজবেই।

আমি আপনাকে একটা লিঙ্ক দিচ্ছি। এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ থেকে নেয়া এই রিপোর্টটা পড়বেন। এইখানে সারমর্মটা আমি বলি লকডাউন উঠে গেলেও সবার উচিত খুবই সাবধানে চলা, যতদিন না ভ্যাক্সিন বের হচ্ছে নাকে মুখে হাত দেয়া যাবে না, সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত ধুতে হবে। মোদ্দা কথা আপনি লকডাউনের সময় যেরকম সচেতন ছিলেন ঠিক সেইরকম সচেতন থাকবেন।
আমরা কি সেই আগের মত জীবনযাপনে ফিরে যেতে পারব?

আর আমি আমার কথার প্রমাণ স্বরূপ ইম্পেরিয়াল কলেজের গবেষকদের তৈরি করা একটা ডাটাও দিয়ে দিচ্ছি।



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.