নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"শৃঙ্খল যেখানে আবদ্ধ, মুক্তি সেখানে অসম্ভব\"

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ

ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই আমার ছাড়পত্র নিয়ে আমার আগমন

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা নিয়ে আমাদের আবেগি বাঙ্গালি মুসলমান

৩১ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

আমদের দেশের আবেগি মুসলমান গুলো খুবই বুদ্ধিমান। সারাজীবন ধর্ম করম করবে না কিন্তু মসজিদে গেলে যে করোনা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে এই খবর বললে, বা যুক্তি দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করলে সরাসরি বলে ফেলবে যে নাস্তিক। মসজিদ বা যেকোনো পাবলিক গেদারিং ই করোনা ছড়ানর জন্য সবচেয়ে উপযোগী জায়গা। আজকের ভারতে খবর দেই- দিলির নিজামুদ্দিন মসজিদের তাবলীগ জামাতের থিক আজ ২৪ জন করোনা রোগী সনাক্ত হইছে। ভারত বাংলাদেশ সরকারের মত খুবই লিমিটেড টেস্ট করাচ্ছিল কিন্তু এক এই ইসলামই সম্মেলন পুরো ভারতের করোনা রোগীর সংখ্যা বারায়ে দিছে। দিল্লির মুখ্য মন্ত্রী এখন মামলা করার সিদ্ধান্ত নিচে নিজামুদ্দিন মসজিদ এর বিরুদ্ধে। দয়া করে এইটা নিয়ে আবার আখাম্বা নুরুর মত ভারত হাই কমিশন ঘেরা করার চিন্তা কইরেন না। দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদ থেকে নতুন ২৪ করোনা রোগী সনাক্ত। মালয়শিয়াতে ঠিক একই কারণে করোনা রোগীর সংখ্যা খুব বেড়ে গেছে। মালয়শিয়ার করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে দায়ী ইসলামই সম্মেলন। শুধু মুসলিম না যেকোনো ধর্মের পাবলিক গেদারিং ই এই করোনা ভাইরাস ছড়ানর জন্য দায়ী। থাইল্যান্ড এ করোনা ছড়ানর জন্য দায়ী এক মহিলা যিনি চার্চে গিয়েছিলেন। ব্যাংকক পোস্ট থেকে নেয়া এই লিংকটা ঘুরে আসতে পারেন। এই মহিলা চার্চে যাওয়ার আগে থাইল্যান্ড এ করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ৩০। সে দুইবার চার্চে গেছে এবং একবার একটি রেস্টুরেন্টে গেছে। তারপর থেকে হউ হউ করে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাকে একটা নাম দেয়া হইছে পেশেন্ট -৩১। উইকিপিডিয়া এই নিয়ে একটা আর্টিকেল ও পাবেন। উইকি আর্টিকেল

আমাদের দেশে ৪০ ঊর্ধ্ব সাধারণ মানুষজন বিজ্ঞান শিখে মসজিদের ইমাম নামক এক বস্তু থেকে। আমাই আমার জীবনে খুব ভাল ইমামের বয়ান শুনতে পারছি হাতে গোনা । পুরান ঢাকার চাঁদ মসজিদ নামে একটা মসজিদ আছে, মাহুতটুলি লেনে যেখানে আমরা থাকতাম আগে, ঐ মসজিদের ইমাম ছিলেন খুবই ভাল সে শুক্রবার কথা বলার আগে সারা সপ্তাহ প্রতি দিন দিনে ৬ ঘণ্টা করে করে পড়াশুনা করে এসে কথা বলত। ফেল যেইটা হত উনার কথার মধ্যে কাজি ইবারহিমের মত আখাম্বা মার্কা বিজ্ঞান গবেষণা থাকত না। উনি যেহেতু ইসলামিক স্কলার তাই প্রতিটা কথার ইসলামিক রেফারেন্সে দিতেন। হাদিস দিয়ে বুঝাতেন। আমার একটাই আফসোস উনি কহবি অল্প বয়সে মারা গিয়েছিলেন। আল্লাহ অবশ্যই তাকে জান্নাত নসিব করুক।

এখন ইউটিউব আসার কারণে ওয়াজ খুবই এভেইলেবল হয়ে গেছে। ফলে ছাগল পাগল সুর দিয়ে বসেন বসেন বইসা যান বলেই ওয়াজ হয়। এর মধ্যে এক ধাপ আগায়ে হচ্ছে এন্টার্কটিকা মহাদেশ থেকে আগত বাজারের নতুন মাল কাজি ইব্রাহিম। সে করোনাকে স্বপ্নে দেখছে যে করোনা হওয়ার কারণ আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না উইঘুরে মুসলাম্নদের কি হইছে। ফলে ডাইরেক্ট কানেকশন হইছে। বিবিসি এর সাংবাদিক যে গোপনে যেয়ে সব নিউজ দুনিয়ার সামনে ফাঁস করে দিছে এই লোক জানে না। উইঘুরে মুসলমানদের উপর নির্যাতন হচ্ছে এইটা নিয়ে কোন দ্বিমত নাই। সেইখানে মুসলমানদের ব্রেইন অয়াশ করানো হছে, সরকারের প্রতি আনুগত্য থাকতে বাধ্য করানো হচ্ছে, দাড়ি রাখতে অনুৎসাহিত করা হচ্ছে। এমনকি বিবিসি এই উইঘুরের নির্যাতন নিয়ে আলালদা সেকশন ও আছে। এইখানে উইঘুরে কি কি হচ্ছে সব পাবেন। তারপর বাজারে আসল আরেক আখাম্বা লুতফর রহমান। চায়না সরকার নাকি মুসলমানদের কাছে গেছে কিভাবে নামাজ পড়ে এইটা শিখতে, সব মসজিদ নাকি খুলে দিসে ফলে ছিয়ান করোনা মুক্ত হতে পারছে। ভাই গাজা খাবি ভাল কথা, তাই বলে পচা বাসি গাজা তোর কেন খেতে হবে, গাজা লাগ্লে আমারে বলতি সাপ্লাই দিতাম। কোথা থেকে যে এই গালগল্প পায় যে চায়না সরকার মসজিদ খুলে দিছে, আর সে গেছে কিভাবে মুসলমানরা নামাজ পড়ে, জামাত আদায় করে এইসব শিখতে? চায়না হচ্ছে এমন একটা দেশ যেই দেশে ওরা প্রতিটা মানুষকে কনট্রোল করতে পারে। রাস্তায় হাজার হাজারে ক্যামেরা, প্রতিটা মানুষের ফেস ডিটেক্ট করা, প্রতিটা মানুষে র ডাটাবেজ সরকারের কাছে থাকে। ফেল ওদের কন্টাক্ট ট্রেসিং করা কোন ঝামেলাই না। আমাকে একটা লিঙ্ক দেখান যেইখানে এই কোথা বলছে যে চায়না সরকার মসজিদে গেছে নামাজ পড়তে, বা নামজ পড়তে ওদের দেশের জনগণকে উৎসাহিত করেছে।

বাজারে আরেকটা জিনিস সেই চলতেছে যে স্পেনে নাকি ৫০০ বছর আজান দেয়া হইছে। এমন মুসলমান ছিল বলেই স্পেনে মুসলমানরা বেশিদিন শাসন করতে পারে নাই। সারাদিন হেরেমখানা খুলে বসে থাকলে সাম্রাজ্য তো যাবেই। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি পর্ণ দেখা হয়। ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি পর্ণ দেখা দেশ পাকিস্তান এই খবর অবশ্য ২০১৫ সালের এখন আপডেট হইছে। ফাকিস্তান আর এইসব দেখে না। দেখব কেমনে ইন্টারনেট ব্যবস্থাই তো নাই। যাই হোক মসজিদে আজান দেয়ার এই গাজখুরি খবর বাঙ্গালর মুসলমান সেই খাচ্ছে। যেহেতু মুসলমানরা স্পেন শাসন করছে সেইখানে মুসলিম থাকবে খুবই স্বাভাবিক। সেইখানেও আজান দেয়া হয়, কিন্তু আমাদের দেশে রমত ঘরের জানালার মধ্যে মাইক দুকায়ে কান জালাপালা করে আজান দেয়া হয় না। আমাদের দেশে তো কোন কারণ লাগে না যার যখন মন চাহিল বাড়ির ছাদে উঠে বিট বাজায়ে বিল্ডিং কাঁপয়ে অন্যর ডিস্টার্ব করে বিয়ের প্রোগ্রাম করা হয়, মন চাইল দলবল নিয়ে হাসু আপার বাপের নাম নিয়ে স্লোগান দেয়া হয়, আর ওয়াজ মাহফিল হলে তো কথাই নাই। পুরো শিটের সিজন কান ঝালাপালা করে দেয় এইসব সুরে সুরে বসেন বসেন বইসা যান শুনায়ে। এখন আজানের যেই ভিডিওটা ভারিয়াল হইছে এইটা হচ্ছে গ্রানাদ্র একটা মসজিদের আজান।এই ভিডিওটা দেখেন।

মুসলমানদের নাকি করোনা হবে না, কারণ করোনা হতে মুক্তি পেতে হলে হাত ধুতে হয়, দিনে ৫ বার অজু করার মাধ্যমে মুসলমানরা এই কাজ করে। এইটা হচ্ছে পিউর লেভেলের ছাগল মার্কা কথা। যারা বলে তারা বিজ্ঞান জানে না, আবেগে চলে। ভাইরাসের সম্পর্কে আগে একটু পরাশুনা করে আসবেন। যেকোনো ভাইরাসের গঠনে একটা কমন জিনিস পাবেন যে এইটা হচ্ছে একটা প্রোটিন আবরণ। আপনি ভাইরাসকে তখনই ধ্বংস করতে পারবেন যখন আপনি এই প্রোটিন আবরণ ভেঙ্গে ফেলতে পারবেন। এখন কথা হচ্ছে এই পপ্রোটিন আবরণ কিভাবে ভেঙ্গে ফেলবেন? তার আগে চলেন একটু কেমিস্ট্রি পড়ে আসি। হোয়াইট বোর্ড মার্কার দিয়ে লেখলে মাঝে মাঝে দেখেবেন কালি মুছা যাচ্ছে না কারণ আপনি পার্মানেন্ট মার্কার দিয়ে লেখে ফেলছেন। এখন এই পার্মানেন্ট মার্কারের কালি উঠাতে হলে আপনাকে খুব সহজ একটা কাজ করতে হবে যা লিখছে ঠিক তাই তাই লিখবেন। তারপর দেখবেন খুব সহজে মুছে ফেলা যাচ্ছে। এর কারণ কি? এর কারণ হচ্ছে তেল পানিতে ভাসে কিন্তু তেল এলকোহলে ডুবে। কারণ তেল হচ্ছে জৈব যৌগ আর এলকোহল হচ্ছে জৈব যৌগ। এবার আপনার যেই কাজটা করতে হবে সেইটা হচ্ছে এই ভাইরাস ধ্বংস করতে হবে। কিভাবে করবেন? করার একটাই উপায় সাবান ব্যবহার করা। সাবান হচ্ছে ক্ষারীয় এলকোহল (আসলে ব্যাপারটা আরও সঠিক করে বললে হয় যে সাবান হচ্ছে জৈব এসিদের লবণ, জৈব এসিড আপনি পিপড়া কামড় দিলে যে জ্বালা করে এর কারণ হচ্ছে এই জৈব এসি পিপড়া আপনার সরিরে ফরমিক এসিড নামে একটা এসিড ডেলে দেয়, যা জৈব এসিড) আর এদিকে ভাইরাসের গঠন হচ্ছে প্রোটিন যা এমিনো এসিড দিয়ে গঠিত। এই এমিনো এসিড ও জৈব যৌগ। তো সাবান দিয়ে হাত ধুলে ভাইরাসের আবরণ ভেঙ্গে যাচ্ছে, ফলে ভাইরাস মরে যাচ্ছে। আমি ইন্সটাগ্রামে গার্ডিয়ান নিউজের খুব ভাল একটা এনিম দেখছিলাম যে কিভাবে সাবান করোনা ভাইরাস মারবে। আমি আপাতত ওদের ওয়েবসাইটের লিংকটাই দিচ্ছি। সাবান কিভাবে ভাইরাস মারবে? সো খালি অজু করলেই হবে না, পানি দিয়ে হাত ধুলে ভাইরাস মরে না। আর নাকে মুখে হাত দিলে ভাইরাস মুখে প্রবেশ করবে। সো অজুর যৌক্তিকতা নিয়ে আমার খুবই সন্দেহ আছে যে অজু করলে ভাইরাস মরবে।

মুসলমানদের আরেকটা স্বভাব হচ্ছে আদি ফ্যান্টাসিতে ভুগা যে আগে আমরা সেই ছিলাম। বিশ্বাস করেন এইটা নিয়ে রিসার্চ হয় মুসলমানগুলো কেন আখাম্বার মত আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম করে। কিছু হইলেই সেই ১৪০০ বছর বলা হইছিল। এইসব গালগল্প এই উপমহাদেশেই চলে। ভারতের বিজ্ঞান কংগ্রেসে নরেন্দ্র মোদী যেয়ে বলে আসে হাজার বছর আগে ভারতে প্লাস্টিক সার্জারি চলত, হিন্দুরাই টাইম ট্রাভেল বের করছে, গতবছর তো এইটা নিয়ে সেই মজা হল। ফাকিস্তানে তো আলেম ছাড়া কিছুই চলেনা। এইটার ফলাফল ওরা হারে হাড়ে টের পাচ্ছে। এখন মুসলিম মুসলিমরাই মারামারি করে। আমি ভারতে নাগরিক সংশোধনী আইন নিয়ে লোকসভা এক মন্ত্রীর কোট খুজছিলাম কিন্তু পাচ্ছি না। তারপরও বলি কোট টা অনেকটা এমন- আজ মুসলিমদের তাড়িয়ে দেয়ার ফন্দি করা হচ্ছে, কিছু দিন পর যখন মুসলিমরা চলে যাবে তখন সেখানে মারামারি হবে দলিত, স্পৃশ্য, অস্পৃশ্য নিয়ে। খুবই ফিল করার মত একটা কথা, কাজি ইব্রাহিম, আমির হামজা এইসব আখাম্বার মত হলে ফিল করতে পারবেন না। ফাকিস্তানে ঠিক এইটাই ঘটছে। সুন্নি, শিয়া, কাদিয়ানী নিয়ে মারামারি ফলাফল আব্দুস সালামের মত নোবেল জয়ী পদার্থবিদকে কাদিয়ানী বংশধর হওয়ায় ফাকিস্তানে দাফন করতে দেয়া হয় নাই। যেকোনো ধর্ম অবতার খুবই বুদ্ধিমান ছিলেন এরা চারপাশ নিয়ে ভাবত ফলে এরা এমন কিছু বলে গেছে যা চিরন্তন সত্য। এইটা বুঝার জন্য একটু কমন সেন্সে আর বেশ পড়াশুনা হলেই হয়। আমাদের যে ফাইট করতে হবে মাইক্রোব এর সাথে বিল গেটস ২০১৪ এর দিকে তেড-এড এর একটা টক এই বলে গেছে। এই লোকটা লাস্ট কয়েক বছর যাবত বিশ্ব স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে যাছে, আমাদের লিমিটেশন নিয়ে একের প্র এরক কথা বলেই যাচ্ছে বিল গেটস উনার ব্লগে প্রতিনিয়ত এইসব নিয়ে লিখেই যাচ্ছে। এমনকি এই ভাইরাস আক্রমণ নিয়ে কন্টাজিওন নামে একটা মুভি ২০১১ সালে রিলিজ হইছে। আমি আপ্নাএক একটা ইনফরমেশন দেই আপনি এখন যেই টেকনোলজি ব্যবহার করেন এইটা অন্তত ৫ বছর পুরনো এইটা দুনিয়ার সবার জন্য সত্যি। এখনকার ল্যাবে কি গবেষণা চলছে সেইটার ফলাফল পেতে আপনার বেশ কয়েকবছর অপেক্ষা করাই লাগবে। এই নিয়ে ভবিষ্যৎ বানী করতে ধর্ম অবতার হওয়া লাগে না।

আর সামু ব্লগটা দিন দিন জৌলস হারাচ্ছে। কোন রকম যুক্তি ছাড়া যা ইচ্ছে বলে দেয় সেইটা নিয়ে সেই মাতামাতি চলে। আগের লোকজন কেউ কিচ্ছু লেখে, এইসব যাচ্ছে তাই ভাবে চললে আমি বলতে বাধ্য হব নাম বদলায়ে ইয়া হাবিবি বল ডট নেট নামে ডোমেইন চালু করে। লিখতে ইচ্ছে করে না সামুতে ইদানীং।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২২

নতুন বলেছেন: ধমে` বিশ্বাস করতে বলেছে সবার আগে, তাই ধামিকেরা বিশ্বাস করতে পছন্দ করে।

তারা বিজ্ঞান পড়ে না, জানতে চায় না।

তাই বেশির ভাগ মানুষের ধমীয়` বিশ্বাস পাল্টাতে অনেক সময় লাগবে।

এরা যেহেতু নিজেরা সত্য জাচাই করতে যায় না তাই অনেক ধান্দাবাজেরা ধামিকদের বোকা বানায় নিজেস্ব বানানো কথা বলে।

৩১ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আপনার কথার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত যে ধর্মের মূল কথা হচ্ছে বিশ্বাস করা। এবং এই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়েই এই ভণ্ড ধার্মিকগুলো নিজের বানানো কাহিনী বলে।

এই দেশের বিশ্বাস পালটাবে বলে মনে হয় না এরা ২০২০ সালে ইমাম মাহদি এই আশায় বসে আছে। শুধু আমাদের দোষ না পুরো বিশ্বজুড়েই এইটা চলে। ইমাম মাহদির নামে কাবা অবরোধ ১৯৭৯ সাল।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

নতুন বলেছেন: এর কারন হচ্ছে মানুষ বিজ্ঞান শেখে না, দশ`ন শেখে না, সাহিত্য পড়ে না।

সামনে একটা অন্ধকার একটা প্রজন্ম আমরা পেতে যাচ্ছি।

শুধুই ফেসবুকে পোস্ট লাইক আর সেয়ার করে কিভাবে একজন মানুষ মননশীল মানুষ হবে আমরা আশা করি।

৩১ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: সামু ব্লগের যেই মার্কা মারা অবস্থা, ভাল কেউ কিছু লিখেই না, ব্লগের অবস্থা দেখে মনে হয় না কুল্লু কুল্লু গিয়াস উদ্দিন তাহেরির থেকে বায়াত নিয়ে এসে ব্লগ লিখতে বসছে। উদা ভাই, সুদীপ্ত ভাই এদের মত কেউ এখন আর ব্লগ লিখে না। যাদের লেখা পড়লে কিছু নতুন কিছু শিখা যায়, জানা যায়।

এইসব ফালতু ব্লগে থাকার চেয়ে ফেসবুকে থাকাও ভাল, অন্তত গারবেজ কিছু থেকে বাছা যায়। ফাইজলাম করে সময় কাটে, মন ভাল থাকে।

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: মসজিদ , মন্দির, চার্চ ইত্যাদি বন্ধ করে দেয়া দরকার দেশে। মালয়েশিয়া , ইন্ডিয়ার ঘটনার পর আর রিস্ক নেয়া ঠিক হচ্ছে না সরকারের।

৩১ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: বইলা দেইখেন পাশের মানুষকে, আপনাকে শহিদ করে ফেলতে পারে। যেই দেশের সরকার শফি সাহেবের ভয়ে পঞ্চদশ সংশোধনী করার পরও ও সংবিধান থেকে বিসমিল্লা বাদ দিতে পারে না, সেই দেশে মসজিদ বন্ধ করবে? জুম্মার নামাজ না পড়লে তো এই দেশের মুসলমান পুরুষদের ইমান ঠিক থাকে না।

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৯

শের শায়রী বলেছেন: আমার কাছে অদ্ভুত লাগছে এখনো এই দেশে জামাতে নামায পড়ার আহ্বান জানানো হয়। কিছুই বলার নাই। সরকারও এব্যাপারে নিশ্চুপ। যখন পদক্ষেপ নেবে তখন আর কিছু করার থাকবে না।

৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১২

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: সরকারর বলার বিন্দুমাত্র সাহস নাই। ভোটের রাজনীতি বলে একটা ব্যাপার আছে, আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে বস্তা পচা ধর্মীয় অনুভূতি।

৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: শুধু মাত্র খারাপ সংবাদ মানুষের মনে আতংক আর ভয় বাড়াচ্ছে। তাই কিছু ভালো সংবাদ পোস্ট করেন যাতে করে মানুষের মনে একটু আশার আলো জাগে...

৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৫

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: বাঙ্গালি এমনেই থানকুনি পাতা খুঁজে বেড়ায়। আর আপনি আছেন পাবলিককে ভয় না দেখাতে। এই সময় ভয় পাওয়াই বেশি দরকার।

৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মক্কা ও মদিনায় ২৪ ঘন্টা ১৪৪ ধারা চলছে। আর আমরা বলদ ইসলামের গান গাই।

৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২০

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ওরা তো ভাল মুসলমান না, মুহাম্মদ বিন সালমান বারে মদ নিয়ে নাচানাচি করে, ওইখানে সিনেমা হল খুলে দিছে ঐসব আজেবাজে দেশের সাথে মিলালে হবে? মিলাতে বিখ্যাত মুসলিম বিজ্ঞানী ইসহাক নিউটনের জন্মদাতা, করোনা ভাইরাসের স্বপ্নদ্রষ্টা কাজি ইব্রাহিমের সাথে যিনি বলেছেন এই দেশে করোনা হবে না কারণ এইখানে তাফসীরের প্রচুর আলোচনা হয়। আর আপনি মুনাফিকের মত বাঙ্গালি মুসলিমদের বলদ বললেন। মক্কা মদিনার চেয়ে বেশি ইসলাম চর্চা হয় এই দেশে।

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০১

সোনালি কাবিন বলেছেন: জনাব এমদাদ উনার করনার মাধ্যমে ইস্লামের বিজয় হয়েছে পোস্টে আপ্নার দীর্ঘ যৌক্তিক মন্তব্য মুছে কীভাবে মন্তব্য করতে হবে এই বিষয়ে নীতিকথা মূলক পোস্ট দিয়েছেন। কী তামশা

৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২১

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আমি দেখছি এইটা। কয়েকদিন আগে মিডিয়ামে একটা ব্লগ আর্টিকেল পরছিলাম যেইখানে বলা আছে মানুষের একটা কমন সমস্যা হচ্ছে যে সে নিজের কোন ফল্ট নিয়ে খুব মজা করে অথবা সেইটাকে ব্যাকফায়ার হিসেবে ব্যবহার করে। এইটা একটা মানসিক সমস্যা। এইটা সবার মধ্যেই কম বেশি থাকে। নিজের সমালোচনা কেউ নিতে চায় না। আমিও না, আমাকে কেউ পচালে আমি নিজেই সেইটা নিয়ে মজা নেয়া শুরু করি। ফলে যারা মজা নিতে চাহয় ওরাই পেইন খেয়ে যায়।

উনি যে আখাম্বা মার্কা আবেগি কথা বলছে উনি নিজে বুঝছে, এই কারণেই নীতিকথা মূলক পোস্ট দিছে। আপনাকেই ধন্যবাদ যে আপনি মন্তব্যের কিছু অংশ রেখে দিতে পেরেছেন এবং উত্তরটা দুইটা পোস্টেই জানতে চেয়েছেন। উনি তো নীতিকথার টা মুছে দিছে। তো এইসব তাহেরি ভক্তদের নিয়ে আজাইরা আর ক্যাও ক্যাও ইচ্ছে করল না বিধায় আর কিছু বলি নাই।

৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৩০

সোনালি কাবিন বলেছেন: সামু ব্লগ নিয়ে বেশি কিছু করার নাই। এখানকার বেশিরভাগ মানুষ সস্তা আবেগে চলে। কানাডায় থাকা এক বোন উদাসী স্বপ্নরে ধর্মের বিপক্ষে পোস্ট দিতে মানা করলেন প্লাস এও কইলেন যে ধর্ম বিষয়ক পোসট তিনি এড়ায়া চলেন। আবার সেই মহিলাই একজনের মিরাজ বিষয়ক ধর্মীয় পোস্টকে সোনার সাথে তুলনা করলেন।

৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৩৫

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: এইটাই সামু অখাদ্য হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ। নিজে কি সেইটা কোনভাবেই প্রমাণ করতে পারে না। নিজের মতামত ভিন্ন ভিন্ন পোস্টে গিরগিটির মত ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে বদলায়। আরে ভাই আপনি যা সেইটা প্রকাশ করলে কি সমস্যা, এই সাহস এখনো আমার হয় নাই, কিন্তু আস্তে আস্তে খোলস ছাড়ানোর চেষ্টা করছি। আমি অনেক কিছুই লিখতে চাই কিন্তু পারি না, নিজের ব্যক্তিগত কিছু কাজ, তারপর কি লেখছি সেইটা বুঝার মত লোকও ব্লগে এখন কম। সামু শেষ।

৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪৫

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: এই ব্লগ নিয়ে যে কিছু আশা করা যায় না তার প্রমাণ হচ্ছে মুনির হাসান সারের মত মানুষের লেখা মাত্র ১০০ জনের মত মানুষ পড়ে। উনার লাস্ট ছয়-সাত টা লেখা গড়ে এত অল্প কয়জন মানুষ পড়ছে। তো বুঝে নিন কি পরিমাণ আকাল এখানে।

৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৫১

ইফতি সৌরভ বলেছেন: আমরা হলাম হুজুগে জাতি। যখন ইব্রাহিমস্টাইন সেই নোবেল জয়ী সূত্র দিল, আমার কিছু ইঞ্জিনিয়ার কলিগ তা নিয়ে রীতিমতো গবেষণা শুরু করে দিল। এমন শুরু করা করল যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নোটে পর্যন্ত আমি দেখতাম পেনসিলে লেখা 1.Q.+7...=13!
আবার এখন দেখছি মঙ্গল শোভাযাত্রা হলে করোনার অমঙ্গল দূর হবে বলেও অনেক সংস্কৃতিমনস্ক ব্যক্তিত্বদের বিশ্বাস!!
আর ইদানিং যদি কেউ লেখে, করোনার ভবিষ্যৎবানী এবং প্রতিষেধক ধর্মগ্রন্থে আগেই বলা আছে- তবে তা হবে সর্বাধিক আলোচিত (শি জিন পিং এর মসজিদে যাওয়া এবং স্পেন এর নতুন করে আযান এর মতো)। এ দেশে ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া উচিত ।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৩১

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: এইসব আবেগি সংস্কৃতিমনা ক্রিমিওয়ালা পাবলিকগুলোকে ধরে ধরে সাইজ করা উচিত। হুদাই বাঙ্গালি আবেগ, কেন বাপ এই বছর না করলে কি এমন হবে? অলিম্পিক গেমস পর্যন্ত পিছায়ে নিল। এইসব সস্তা কথাবার্তাই কুরে কুরে খাচ্ছে আমাদের।

১০| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৩১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: রিপাবলিকান সমর্থক এবং ফক্স নিউজের দর্শকদের এক বিশাল অংশই ধর্মীয়ভাবে চরম গোঁড়া | এদের অধিকাংশ এখনো মনে করে করোনা নিয়ে মিডিয়াগুলি বাড়াবাড়ি করছে | এদের অনেকে অস্থির হয়ে পড়েছে চার্চে গিয়ে গাদাগাদি করার জন্য | ফ্লোরিডার টাম্পা বের একটি চার্চের পেস্টরকে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে গাদাগাদি করে প্রার্থনায় লোকসমাগম করার অপরাধে এরেস্ট করার পর এই গোঁড়া মহলে চরম হৈচৈ শুরু হয়েছে |

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২৭

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ট্রাম্প হচ্ছে একটা চূড়ান্ত লেভেলের স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান, আমি বুঝলাম না আমেরিকানরা কেন উই উইল মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন এইটাতে মজে ওরে ভোট দিল। স্বয়ং অ্যান্থনি ফাউচি পর্যন্ত পেইন খেয়ে গেছে এরে সামলাতে যেয়ে। আর করোনা যে হোক্স এইটা টুইটারে ও নিজেই বলে বেড়াচ্ছে। প্রথমে চাইনিজ ভাইরাস বলে একটা মিথ তৈরি করার চেষ্টা করল। এইসবের ফল তো এখন দিচ্ছে।

১১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: কে কি মন্তব্য করেছে দেখলাম/।
সবার মন্তব্য গুলো ভালো লাগলো।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২৯

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: রাজীব ভাই নিচের কমেন্ট ডিলিট করে দিলাম দুই বার আসছে। আপনেরে সেই লেভেলের থানকুনি পাটার শুভেচ্ছা, যে ব্লগে সবার কমেন্ট পড়ে বেরান বলে। যা উতসাহজনক।

১২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫৫

কানিজ রিনা বলেছেন: আমিত দেখছি আমাদের সোসাইটিতে মসজিদে
জামাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে আরও ১০/১২ দিন
আগে। এই এড়িয়ায় অন্তত পাঁচটা মসজিদ
আছে আধা মাইল পর পর। ইমাম আজান
দিচ্ছেন মসজিদ কমিটির লোকেরা দুইচারজন
অনেক দুরত্ব রেখে নামাজ পড়ে চলে যাচ্ছে।

প্রথম প্রথম করোনা বাংলাদেশে বেদেশীদের
মাধ্যমে ছড়াচ্ছে শুনেও কেউ মসজিদে নামাজ
বাদ দেয় নাই।

আসলে আপনারা কথায় কথায় ধর্মের দোহায়
টানেন। চীন জাপান ইটালী আমেরিকা ফ্রান্সে
কি মসজিদে যাওয়ার ফলে করোনার মরক
লেগেছে?
বিজ্ঞানের যুগে এখন আমরা আপনারা কেমন
আছেন? বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় নানান সুবিধা
ভোগ করছে ঠিকই কিন্তু তার বিফলতাও
তুলে ধরা কি ঠিকনা? ধরুন এইয়ে অনলাইনের
যুগে রেডিয়েশন এফেক্ট,গ্রীনহাউজ এফেক্ট।
তুলে ধরুন বিজ্ঞানের সফলতায় বিফলতা
কতখানি।
মুসলিমরাই শুধু গোন্ডগোল করার উৎস।
তাহলে কিমজং উন ও ট্রাম্প এটমিক এটমের
হুমকি দিয়ে পৃথিবী প্রকম্পিত করল সেটাও
কি ধর্মীয় কারনে? এরকম অসংখ্য উদাহরন
দেওয়া যায় এমেরিকা শুধু হিংসার কারনে
শত কোটি লোক মেরেছে।
এখন যদি এটমিক এটম যুদ্ধ হয় গোটা
পৃথিবীর সর্বস্তরের জীব জন্তু নিঃচিহৃ হয়ে
যাবে নিশ্চয় এটমিক এটোম বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা
তাই নয়কি? ধরুন চীন এই মারনাস্ত্র করনা
জীবানু তৈরি করেছে যা লীক হয়ে সারা
পৃথিবীর মানুষের মৃত্যু ডেকে এনেছে।
পৃথিবীর অনেকগুল দেশই জীবানু অস্ত্র তৈরিতে
সক্ষম, তাওকি বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা নয়?

ধর্মের শাসন কত হাজার বছর চলছে জানেন
কি? বিজ্ঞানের এটোমিক এটমের শাসন কত
হাজার বছর চলবে বলে আপনার মনে হয়?

আসল কথা হোল ধর্মীও বানোয়াট অপব্যবহার
যেমন মানুষের বিপদ ডেকে আনে। বিজ্ঞানের
অপব্যবহার তেমন পৃথিবী ধ্বংশ হবে। মাঝখান
থেকে নাস্তিক্যবাদীরা বলবে এইবার তোমার
আল্লাহ্ বা ইশ্বর ভগবান কোথায়?
সত্যই যদি প্রমান হয় চীনার গবেষনাগারে
করোনা ভাইরাস লীক হয়েছে তাহলে বলব
চীনেরা অপরের জন্য কবর কেটে সেই কবরে
নিজেরাও পরেছে অপরকেও পরতে হচ্ছে।
আর এটাই প্রকৃতির ধর্ম সৃষ্টির অবমাননার
ফল। ধন্যবাদ।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:২৬

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: প্রথমেই শেষ থেকে শুরু করি। এই সংকট মুহূর্তে ট্রাম্পের মত হাত পাগলরাই বলবে যে এই ভাইরাস চায়না তৈরি করছে এই গর্দভটা প্রথম প্রথম বলছিল যে এইটা উহান ভাইরাস। আমাকে কয়েকদিন আগে একজন লেখা শেয়ার দিল যে ১৯৮০ সালের এক নভেলেই বলা হইছে যে চায়না থেকে একটা ভাইরাস তৈরি করা হবে। যারা এইসব ভাইরলজি নিয়ে পড়াশুনা করে তারা একটু আধটু জানে কিভাবে মিউটেশন হয়। সারস ভাইরাস যখন ২০০৩-০৪ এর দিকে চায়না তে সংক্রমণ করল তখন থিক বেশ কিছু বিজ্ঞানী এর উৎস নিয়ে কাজ করা শুরু করল। পৃথিবীতে লাখ লাখ মাইক্রোব এমনি আপনার পেটের মধ্যে ও ইশেরিকিয়া কোলাই নামে একটা ব্যাকটেরিয়া থাকে যেইটা না থাকলে আপনি খাবার হজম করতে পারতেন না, দাতে যে ক্যাভিটি হয় এর কারণও হচ্ছে এই মাইক্রব। যাই হোক সহজ বাংলায় যদি বলি নতুন কোন ভাইরাস দেহে আসলে বডির ইমিউন সিস্টেম সেইটাকে ধ্বংস করতে ট্রাই করে, না পারলে জ্বর, হাঁচি কাশ্মীর সিম্পটম দেখায়। এখন এই ড্রপ্লেটের সংস্পর্শে কেউ আসলে তারও এইটা হবে এইভাবে ছড়াতে থাকে। আমি আপনাকে বলে দিচ্ছি কয়েক বছর পর এর চেয়ে ভয়ংকর ভাইরাস আমাদের ফেস করতে হবে, আপনি যেমন চেঞ্জ হন ভাইরাস ও চেঞ্জ হয়। চায়না তে ব্যাট উইমেন নামে এই পাগলা বিজ্ঞানীর এই সারস ভাইরাসের অনুসন্ধান পড়ুন। সায়েন্টিফিক আমেরিকা এইটা নিয়ে একটা আর্টিকেলই লিখে ফেলছে। চায়নার ব্যাট উইমেন যিনি সারস থেকে করোনা খুঁজে পাইছেন। আর এইটা কিভাএব উহান থেকে ছড়াল এইটা নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস এর এই লেখাটা পড়ে আসতে পারেন। উহান এমন একটা শহর যেখান থেকে প্রতিদিন ১০ হাজার লোক আসা যাওয়া করে। উহান থেকে করোনা কিভাবে ছড়াল?

এইবার আসি এই ভাইরাস ল্যাবে বানানো কিনা? এইটা হচ্ছে গঞ্জিকা সেবনের আফটার ইফেক্ট মার্কা কথা বার্তা। ল্যাবে এই ভাইরাস বানানো হলে এর গঠন অনেক প্রিসাইস হত, এইরকম মার্কা মারা চেহারা নিয়ে এই ভাইরাস কেউ ছাড়ত না। করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিক বিবর্তনের ফল। সায়েন্স নিউজের এই লেখাটা পড়ে আসেন। তাহলেই বুঝবেন ল্যাবে বানানো হইছে নাকি?

বিজ্ঞানের যুগে এই ভাইরাস আমরা ফেস করতে পারতেছি না কেন? কে বলল পারতেছি না, ভেকসিন কি তেঁতুল খাওয়া হুজুররা বানাচ্ছে? নাকি ফাউচির মত গবেষকরা দিন রাত এক করে এর ভ্যাক্সিন বানাবে? এখন হুট করে একটা ঝামেলা হইছে সেইটা নিয়ে সমাধানে যেতেও সময় দেয়া উচিত। আর বিজ্ঞানের অপব্যবহারে প্রকৃতি মোটেও ধ্বংস হবে না। এইটা বলতে পারেন মানুষ নামক জীব থাকবে না কিন্তু প্রকৃতি থাকবে।

আপনার মন্তব্যর জন্য আপনাকে ধইন্না পাতা। খুব ভাল একটা কমেন্ট করছেন যেই কারণে কিছু বাবার দোয়ায় চলা পাবলিকের প্রলাপ বোকা নিয়ে কথা বলতে পারছি।

১৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১০

কানিজ রিনা বলেছেন: নিশ্চয় বাবা মায়ের দোয়ায় পাবলিক চলে
সে দোয়া কি কার্জ কারিতা কি চোখে পড়ে।
আপনার কাছে প্রশ্ন রেখেছি ধর্মের শাসন
কত হাজার বছর ধরে চলেছে? বিজ্ঞানের
শাসন কত হাজার বছর চলবে?
কারন এটোমিক এটমের শাসনে পৃথিবীর
সব জীবজগৎ নিঃচিহৃ হয়ে যাবে। প্রকৃতি
থাকবে কেমনে?
হীরোসীমা এলাকায় আজও রেডিয়েশনে
কোনও গাছগাছরা হয়না।
আপনারা যেমন বিজ্ঞান মনস্ক কিছু মানুষ
ধর্মে বিশ্বাসী না। তেমন উগ্রধর্মীয়রা ধর্মের
গোড়ামী ছারা আর কিছু বিশ্বাস করেনা।
আমি বলব উগ্রধর্মী ও উগ্র নাস্তিক একই
মুদ্রার দুইপিট।

আপনি কি বিজ্ঞানী ডাঃ চৌধুরী মাহমুদকে
চিনেন?তার বক্তব্য ইউটিউবে সার্স দিলেই
পাবেন।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৪

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আমি খুবই দুঃখিত, যে আপনি প্রতি লাইনে একটা করে প্রশ্নবোধক চিহ্ন দিয়ে মন্তব্য করায় বুঝি নাই, যে এইগুলো প্রশ্ন ছিল।

আপ্নকি কি পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সাদিকের কোথা বলছেন নাকি অন্য কারো? আমি পাবলিক সার্ভিস কমিশনের উনাকে চিনি। ইউটিউব ঘুরে দেখলাম মালায়শিয়া তে এক খতিব আছে এই নামে।

আপনার এই কথার সাথে আমি একমত যে উগ্র ধর্ম আর নাস্তিক দুইটারেই ধরে তালগাছে বেধে রাখা উচিত।

ধর্মের শাসন ততদিন ই চলেছে যতদিন জোচ্চুরি করা গেছে, শুধু ধর্ম অবতারদের সময়টুকু বাদে, বাকি পুরো সময় বাটপারি করেই ধর্ম গুরুরা চলছে। বিজ্ঞানের শাসন আজীবন চলবে, এইটা আরও পিকে উঠবে। কিন্তু এর ফলাফল হবে ভয়াবহ। কেউ কাউকে ভয় পাবে না। সবাই সবার দুর্বলতা জানবে। ঠিক এই কারণে এটমিক যুদ্ধ হবে না। আমি আপনার দুর্বলতা জানি, সো আপনাকে ম্যানিপুলেট করে যদি কাজ আদায় করতে পারি আমার লাভ, ফলে আগামী পৃথিবীতে শোষণ আরও বাড়বে। যার আছে সে আরও শোষণ করবে। কিন্তু যে শোষিত হচ্ছে তাকে মেরে ফেলবে না। কারণ সে মরে গেলে তো আপানর কাজ হচ্ছে না, ফলে সে যখন চূড়ান্ত ঝামেলায় পড়বে আপনি তাকে বাঁচাবেন। আপনি ইউভাল নোয়াহ হারারই হোমো ডিউস বইটা পড়তে পারেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.