নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"শৃঙ্খল যেখানে আবদ্ধ, মুক্তি সেখানে অসম্ভব\"

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ

ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই আমার ছাড়পত্র নিয়ে আমার আগমন

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

উগ্রতার এক ফল হচ্ছে হেফজতে ইসলামের আল্লামা শফির মত ইসলামিক ঝান্ডা এবং আসিফ মহিউদ্দিন এর মত তথাকথিত মুক্তমনা

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৩

দেশে আসলে সব দিক থেকে উগ্রতা বাড়ছে। চরম পর্যায়ের এক্ট্রিমিস্ট হচ্ছে মানুষজন। এর সবচেয়ে ভাল উদাহরণ হচ্ছে সম্প্রতি মা ছেলের ক্রিকেট খেলা। আমি যখন প্রথম ছবিটা দেখি আমার সত্যি খুব ভাল লেগেছিল ছবিটা, যে মা ছেলেকে নিয়ে ক্রিকেট খেলছে। এবং ভাল লাগার মতই একটা ছবি। আমার আর কোন দিকে আর নজর আসে নাই, ছেলে টুপি মা বোরকা পড়া আমি এইসব নিয়ে ভাবি নাই। কিন্তু যা হল যা হচ্ছে চূড়ান্ত লেভেলের বিরক্তিকর জিনিস। ইসলামিক মানুষগুলো আবার তথাকথিত মুক্তমনা গুলো যেভাবে সুন্দর একটা ছবিকে ডাস্টবিন বানাল। আমি বুঝি না মানুষের এত মাথা ব্যথা কেন? আমি আসলে দুইদিকের কথাই শুনলাম শুনে মনে হল দুই পক্ষের এক উগ্রতার যুদ্ধে বিশ্বাস করেন জয় হবে ইসলামিক মানসিকতার লোকগুলোর, যা রাষ্ট্রের জন্য ভয়ংকর। আমি এইখানে বলব কেন মুফতি কাজি ইব্রাহিম, আল্লামা শফি এবং একই সাথে আসিফ মহিউদ্দিন এর মত লোকজন কে চরমভাবে দমন করা উচিত।

আমি কয়েকদিন আগে আমার এক বন্ধুর সাথে কথা বলছিলাম, ও কথা প্রসঙ্গে বলল- তুই কেন তারেক মনোয়ার, কাজি ইব্রাহিম এদের মত লোকদের কথা শুনতে যাস। এদের কথার তো কোন আগামাথা নাই। দেখেন বাংলাদেশের মানুষ যতই বলি যে স্বাক্ষরতার হার বাড়ুক না কেন, আমি নিজে কাছ থেকে অনেক শিক্ষিত মানুষ দেখি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ার কারণে। বেশিরভাগেরই ক্রিটিকাল থিঙ্কিং করার কোন এবিলিটি নাই, আমি ক্রিটিকাল থিঙ্কিং বলতে বুঝাচ্ছি আমি একটা মত পছন্দ করি, সেই মত আমি অপছন্দ করি বলে আপনি আমাকে কথায় কথায় অপমান করবেন, বেশিরভাগ মানুষের মেন্টালিটি হচ্ছে এই টাইপ। ফলে এদের সাথে কোন ডিসকাশনে আসা যায় না, যা হয় তা হচ্ছে বিরক্তিকর এনালজি। এবং কোনোভাবে যদি বুঝতে পারে যে আমি ধার্মিক না, সে নাস্তিক প্রমান করতে উঠে পড়ে লাগবে। আবার উল্টোটাও সত্যি, যারা ধর্ম চর্চা করে ওদের বেশ গালি খেতে হয় নাস্তিক টাইপের লোকদের থেকে। কিন্তু যে যাই বলেন না কেন দিন শেষে হেফাজত তারেক মনোয়ার একটা বিশাল সিম্পেথি পায়। যা খুবই ভয়ংকর। এই সিম্পেথি পায় বলেই এরা শক্তিশালী। এখন আমি একটু বলি এরা কেন এই সিম্পেথি পায়? ধরুন বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। এরা সবাই বুঝে যে তারেক মনোয়ার, কাজি ইব্রাহিম আজাইরা কথা বেশি বলে। তারা আরও ভাল স্কলার মুফতি মেঙ্ক, মাসুদি এদের কথা শুনে। এখন বাকি যে ১৫ কোটি লোক এদের বড় একটা অংশ খুবই গোবেচারা টাইপ। গ্রামে থাকে, কিন্তু ইমান আছে ফলে কোন হুজুর যা বলে তাই ঠিক। হুজুর যদি বলে মেয়েদের তেতুলের মত তাই ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। এরা মেনে নেয়। মেয়েদের বেশি পড়াশুনা করা উচিত না, এরা পড়তে দিবে না। আপনি এদের বুঝাতেও পারবেন না, যে মেয়েরা সব করতে পারবে। এদের কাছে ইউটিউব, ফেসবুক যাওয়ার কারনে ব্লগারদের যে একটা আলট্রা শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছিল এরা এত ষ্টুপিড লেভেলে এ এসে চিন্তা করতে হিমশিম খাচ্ছে। এবং এই হিমশিম খেতে যেয়েই এরা এদের মত ভুলভাল বকে ফলে তৈরি হয় আসিফ মহিউদ্দিন এর মত স্টুপিড।

পাবলিক আরিফ আজাদের বই পড়ে, ঠিক এই কারনে যে সে নাস্তিকদের জবাব দিচ্ছে, যেই জবাব গুলো দিচ্ছে সেইগুলো হচ্ছে লেম। পড়লেই বুঝা যায়। আমি দুইটা এক্সাম্পল দেই। সাজিদ-২ বইয়ে, সে নারীদের শস্যক্ষেত্র এর সাথে তুলনার ব্যাখ্যা করতে যেয়ে একটা জায়গায় বলছে যে তোমাদের কাছে সুকান্তের চাঁদ ঝলসানো রুটি এইটা যদি ভাল লাগে তাহলে নারিরা শস্যক্ষেত্র এই লজিক ও ভাল লাগা উচিত। স্টুপিড একটা এনালজি ছিল দুইটা কারনে, আমি জানি কুরান শ্রেষ্ঠ আমি কেন সুকান্তর সাথে তুলনা করে কুরান বুঝাব। আর আরিফ আজাদ আয়াতের ব্যাখ্যা দিতে যেয়ে যেমনে মন চায় সঙ্গমের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। নোংরা ভাষায় বললে আপনি ব্লো জব, এনাল, হেন্তাই, বিডিএসএম সব করতে পারবেন মেয়েদের কোন সম্মান নাই। আপনার সস্ত্রী হচ্ছে পতিতা, পর্ণ স্টার তাই এইসব করতে পারবেন। কিন্তু এই আয়াতে শানে নুজুলের ব্যাখ্যা আরিফ আজাদ ঠিক মতই দিছে যে জাহেলিয়াতের যুগে নারীদের যেভাবে ট্রিট করা হত ইসলামিক যুগের ট্রিট টা কেমন হবে, তখন এই অভয়বাণী দেয়ার জন্য এই আয়াত নাজিল হয়। এখন আরিফ আজাদ, তারেক মনোয়ারের মত লোকজন মুল কথা ঠিক রেখে এমন এমন ব্যাখ্যা দিবে যে শুনলে মনে হবে যে মেয়েদের জন্মই হইছে পতিতাবৃত্তি করার জন্য, আর ইসলাম এইটাকে সাপোর্ট করে। রাস্তায় যেই লোক রিকশা চালায় সে কিন্তু পড়তে পারে না অর জানে না কিভাবে হুজুর যা বলছে টা ঠিক কিনা যাচাই করার কোন উপায় আছে কিনা। এই জানে না বলেই আরিফ আজাদ, কাজি ইব্রাহিম যা বলে শুনতে ভাল লাগে তাদের। এবং বিশ্বাস করেন এরা যদি ভোট দেয় নিঃসন্দেহে তারেক মনোয়ার, কাজি ইব্রাহীমজিতবে। এবং ঠিক এই কারনেই ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত। কেন নিষিদ্ধ করা উচিত সেইটা ব্যাখ্যা আমি একটু পর দিচ্ছি। তার আগে আরিফ আজাদ ক্রিস্টমাস নিয়ে সাজিদ-২ তে বলছে যে ২৫ ডিসেম্বর আসলে ক্রিস্টমাস না। আরে ছাগল যেই লোক ড্যান ব্রাউনের ভিঞ্চি কোড বই পড়ছে সে জানে যে ক্রিশ্চান ধর্ম কিভাবে প্যাগান থেকে আসছে। হুদাই একটা ভাব নিয়ে কই জিনিস নিয়ে তিন পর্ব লিখছে।

দেখেন আমি একটা জিনিস মনে প্রানে বিশ্বাস করি রাষ্ট্রের আইন হওয়া উচিত সেকুলার। ফলে অভিজিত রায়, আসিফ মহিউদ্দিন এদের উপর একটা প্রচ্ছন্ন সাপোর্ট আছে আমার। কোন ধর্মভিত্তিক দল যদি ক্ষমতায় যায় আপনি কখন কিছু নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে পারবেন না, কারন কুরআন বলে দিছে আজ থেকে আমি পরিপূর্ণ। ফলে আপনার উন্নত হয়ার ব্যাপারটা লিমিটেড। তারেক মনোয়ার আর কাজি ইব্রাহিম স্টাইলে যদি বলি কুরআন দেখে যতই নিউটন মহাকর্ষ আবিষ্কার করুক, নিউটনের ল দিয়ে আর রকেট বানান হত না যদি এই ল এর এক্সপেরিমেন্ট করতে না পারত। মুসলমান বিজ্ঞানী যাদের নাম নিয়ে সবাই বড়াই এরা আসলে সবাই ছিল এক-আধটু সেকুলারিস্ট। আপনি মরা মানুষের লাশ নিয়ে যদি এক্সপেরিমেন্ট যদি নাই করতে পারেন তাহলে আপনি এই রক্ত সঞ্চালন বের করতে পারতেন না। ঠিক একই কারনে আয়মান সাদিক এর যদি গোপন এজেন্ডা থাকেও এইটা সবার জন্য একটা প্লাটফরম তৈরি হচ্ছে। রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে আমি প্লাটফরম তৈরি করে দিব, এবং এই প্লাটফরম এ পারফর্ম করার সুযোগ সবার জন্য সমান। কিন্তু আপনাকে টিকে থাকতে হলে স্ট্রাগল করতে হবে। এখন ধর্মভিত্তিক হলে দেশের মেয়েগুলো বাদ, আপনি বুঝেন কি পরিমান আইডিয়া হারাবেন আপনি দেশের ৫০% বাদ দেয়ার কারনে। হিন্দুরা বাদ, ১০% আরও আইডিয়া হারাচ্ছি। এই ৪০% লোক দেশ নিয়ে ভাবা আর ১০০% লোক দেশ নিয়ে ভাবা এক জিনিস না। সহজ গানিতিক হিসাব। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অই যে বললাম দেশের বড় একটা অংশ ধীরে ধীরে এই ইসলামিক লোকগুলোকেই সাপোর্ট দিচ্ছে। বিশ্বাস করেন এখনই যদি এইসব মাদ্রাসা, অয়াজ এ নিয়ন্ত্রন আনা হয়, বাংলাদেশ পাকিস্তান হয়ে যাবে। এবং একজন আরেকজন কে সহ্য করতে পারবে না। আলিয়া বলবে কউমি রা ভুল, কউমি বলবে আলিয়া ভুল। হাট হাজারি মাদ্রাসাতে যা ঘটল তা হচ্ছে এই গ্রুপিং। তাবলীগের কার্যক্রম অনেকটা ঢিলাঢিলা কেন? এইসব মারামারির কারনে, গ্রুপিং এর কারনে। আমি তাবলীগের সাথে খুব নিবিড়ভাবে পরিচিত ছিলাম বলে আমি জানি, এরা শিবির কে দেখতে পারে না। শিবিরের মত স্টুপিড গুলোকে এমনি দেখতে পারা উচিত না, কিন্তু তাবলীগ দেখতে পারে না ধর্মীয় কারনে। পাকিস্তানে ঠিক এইটাই হয়। আসিফ মহিউদ্দিন সুষুপ্ত পাঠক টাইপের লোকগুলোর উগ্রতার এই ফল হচ্ছে হেফাজত, আল্লামা শফি। জহির রায়হান, সৈয়দ মুজতবা আলি ও লিখছে কিন্তু লিখা পড়তে ভাল লাগছে। কারন লেখায় একটা আর্ট ছিল। খুব ভালভাবে আক্রমন করা হইছে। এদের আক্রমণগুলো হচ্ছে কুসংকার এর বিরুদ্ধে, শোষণের বিরুদ্ধে। কিন্তু এখন যারা মুক্তমনা এই স্টুপিড গুলোর আক্রমন হচ্ছে ইসলামের বিরুদ্ধে। আরে আবাল যেগুলো ইসলাম কে পুজি করে ছাগ্লামি করে, রগ কাটে এদের বিরুদ্ধে কথা বল। এইসব বলদামি করস দেখেই কাজি ইব্রাহিম, তারেক মনোয়ার সুযোগ পায়।

যেই হারে দেশের মানুষ উগ্র হচ্ছে। দেশের ভবিষ্যৎ আসলেও ভয়ংকর। দেশের প্রতিটা মানুষ সমান। মুসলিমরা যদি জোরে মাইক দিয়ে অয়াজ করতে পারে, হিন্দুদেরও একই সময়ে ঢোল পিটায়ে পুজা করতে দেয়ার অধিকার থাকা উচিত। কিন্তু এইটা কখনই হবে না উলটো অয়াজিন চিল্লায়ে বলবে মুসলমানের এই দেশে কোন সাহসে এরা এইসব করে, বিশ্বাস করেন বন্ধ করে দিবে পুজা। আমি খুব অপেক্ষা করছি সামনের রমাজনের জন্য, পহেলা বৈশাখ আর রমজান একসাথে পড়বে। পাঁপড় খেতে খেতে মজা দেখব।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৩

এইচ তালুকদার বলেছেন: আল্লামা শফির মৃত্যু আর বাবুনগরীর পুনরাবির্ভাব রাজনিতি নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে মনে হয়

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩১

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: এখনই কিছু বলতে পারছিনা। কিন্তু যেইটা স্পষ্ট তা হচ্ছে ডাকসুর নুর এর রাজনীতি করা। ওকে আমার ভালই লাগত কিন্তু যখনই অর কাজকর্ম বুঝা যাচ্ছে যে সে শিবিরপন্থী, আমার তখন থেকেই মনে হচ্ছে ওকে দমন করা উচিত। কোন রকম সাপোর্ট দেয়া উচিত না। নুর শক্তিশালী হলে শিবির আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। শিবিরকে চূড়ান্তভাবে দমন করার পক্ষে আমি।

আমি ৭১ এর সব বাদ দিলেও এক রাতে ঠাণ্ডা মাথায় দেশের কয়েকশ কৃতি সন্তান মারার অপরাধ ক্ষমারও যোগ্য। দুর্ভাগ্য হচ্ছে আমরা জামাতের সাইদি কে অয়াজ করতে দিয়ে ওকে সিম্পেথি গেইন করার সুযোগ দিছি। সাইদিকে উচিত ছিল ৭১ এর পর বিচার করে ফাসিতে ঝুলানো।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
চালাক চতুররা 'জিনিষ' তৈরি করে, আর টাইম মত ছাড়ে , - আর সাধারন মানুষ সবকিছু রিয়েল মনে করে লাফায়।
মানবতাকে অন্ধকারে নেয়ার প্রতিযোগিতায় শিক্ষিত বুঝদার মানুষরাও লাফায়।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: প্রথমেই দুঃখিত, সারাদিন মোবাইল থেকে দূরে ছিলাম ফলে উত্তর দেয়া সম্ভব হয় নি।
আপনার কথার আগা মাথা আগে বুঝলেও এখন বুঝি না। যেই লোক করোনা তে ৩০০ লোক মারা যাবে প্রেডিক্ট করতে পারে সে কি বলবে মাথায় ধরে না। তাও কষ্ট করে বুঝার চেষ্টা করলাম। আপনি মনে হয় ধান্দাবাজ ধর্মান্ধ এবং উগ্রবাদীদের কথা বলছেন অরা সুযোগ খুজে কোন একটা ইস্যু তৈরির জন্য। ধইন্নাপাতা। আপনার প্রতি আগে যে সম্মান ছিল সেইটা চলে গেছে এইজন্য দুঃখিত ।

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:০২

এ আর ১৫ বলেছেন: '৭১ এর যুদ্ধাপরাধী শফীর মৃত্যুতে উল্লাস প্রকাশ করি না৷ কিন্তু দুঃখ প্রকাশ করতেও চাই না৷ তার মরার কথা ছিল ফাঁসিতে ঝুলে, সেটা হয়নি, এটাই দুঃখ৷

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: দাড়ি টুপি ওয়ালা মানেই যে রাজাকার এইটাও একটা সমস্যা। এই সমস্যার মুল হচ্ছে সাইদি। ও পাবলিক সেন্টিমেন্ট তৈরি করে দিছে দুই টাইপের। এক- দেখ মানুষজন হুজুর দেখতে পারে না, আমি কত বড় বুজুর্গ আমাকে ফাসি দিচ্ছে। দুই- ওয়াজ যেইগুলো করে সব হচ্ছে রাজাকার। আল্লামা শফি রাজাকার হইতেও পারে, কিন্তু আগে থেকে কিছু বলতে চাচ্ছি না। কিন্তু সাইদির ফাসি হওয়া উচিত ছিল আরও আগে, যাতে এই সেন্টিমেন্ট তৈরি করতে না পারে।

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনি কোন দিকে এটাই বুঝতে পারলাম না।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আমার কেন একটা দিকে থাকতে হবে? আমি দুই পক্ষের এই উগ্রতার বিরুদ্ধে।

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৯

স্থিতধী বলেছেন: আরিফ আজাদের হাস্যকর যুক্তিগুলোকে যখন অনেক কে রীতিমতো সেলিব্রেট করতে দেখি তখন আমি বুঝে পাইনা যে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বর্তমানে কতটা রসাতলে গেলে পরে মানুষের আই কিউ এতো নিম্ন হয়ে যায়!

আমরা যখন স্কুলে পড়ি তখন থেকেই ডি এন এ টেস্টিং এর কথা জানি, জানি যে এর মাধ্যমে কারো আসল পিতা মাতা কারা, সেটা বের করা সম্ভব। অথচ এই ২০১৯- ২০ এসে ঐ সাজিদ চরিত্রের মুখে শুনতে হয় যে নিজের পিতা- মাতার যৌন মিলন না দেখেও যেহেতু বিশ্বাস করি যে তাঁরা আমার পিতা- মাতা ঠিক সেভাবে ঈশ্বর কে না দেখেও বিশ্বাস করতে হয় যে ঈশ্বর আছেন। এটা কোন যুক্তি! আরে ভাই তোর যদি এতো সন্দেহ হয় তোর জন্মের উৎস নিয়ে তাহলে তোর জন্য বিজ্ঞান ডি এন এ টেস্টিং এর ব্যাবস্থা তো করেই রাখছে। তোর খালি এখন সাহস থাকা লাগবে টেস্ট করে সেই সত্যটা কে জানার জন্য! সময়কে পেছনে টেনে নিয়ে তোর বাবা-মার যৌন মিলন দেখতে চাওয়ার মতো কুৎসিত ইচ্ছা করার তো কোন প্রয়োজন নাই তাতে। অথচ ঐ যুক্তি দিয়েই দেখি বহু মানুষ অনলাইনে ঈশ্বর কে কেন না দেখেও বিশ্বাস করা উচিৎ সেটার বয়ান দিচ্ছে। সেলুকাস!

শিক্ষা ব্যবস্থার মান কে তলানীতে ঠেকিয়ে, সংবিধানে রাষ্ট্রধর্মের টুপি মাথায় রেখে আর ধর্মীয় রাজনীতির অবাধ দ্বার খোলা রেখে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে অপ-পাকিস্তানে পরিণত হবার সমস্ত সম্ভাবনা কে টিকিয়ে রাখছে। সেই পচন ও পতন দেখতে হবে খুব কষ্ট নিয়ে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আর বইলেন না, আরিফ আজাদের বই পড়তে অজু করে নাকি পড়তে হয়। এত ভয়ংকর লেভেলের লোক হয়ে গেছে বুঝেন।

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: মনের কথাগুলো বললেন ভাই ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ধইন্না পাতা

৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৬

রাশিয়া বলেছেন: @ স্থিতধী, ঈশ্বরে বিশ্বাস করার জন্য কোন যুক্তি বা প্রমাণের দরকার নেই। জগতে কোন কিছু বিশ্বাস করার জন্যই যুক্তি প্রমাণের দরকার নেই। আপনার প্রেমিকা আপনাকে ভালোবাসে কিনা, সেটা কোনকালে কোন বিজ্ঞান প্রমাণ করতে পারবেনা। কিন্তু তার আচার আচরণে অনেকটাই প্রকাশ পাবে। আস্তিকেরা প্রকৃতির বিভিন্ন আচার আচরণে ঈশ্বরের অস্তিত্ব খুঁজে পায়, নাস্তিকেরা এর মধ্যেই আবার ঈশ্বরের অসারতার প্রমাণ পায়। একটা গ্লাসে অর্ধেক পানি থাকলে বিশ্বাস করানো যাবে গ্লাসে পানি আছে, আবার প্রমাণ করা যাবে যে, গ্লাসে পানি নেই। দুইটাই সত্য, তবে অর্ধসত্য।

ইসলামের ব্যখ্যায় কেন যে তারেক মনোয়ার আর মুফতি ইবরাহিমের মত দুই ছাগলের নাম আসে, আমি বুঝিনা। আর কোন ইসলামিক স্কলার কি আপনাদের চোখে পড়েনা?

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত কেন এই ছাগল দুইটার নাম আছে? এইগুলো কে নিয়ে কথা বলাও তো উচিত না। কিন্তু অই যে বললাম আমি আপনি বুঝি এইগুলোর কথাবার্তা আজাইরা টাইপের। কিন্তু দেশের বিশাল বড় একটা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এদের কথা শুনে। এই প্রান্তিক লেভেলে লোকজনের কাছে আমি আপনি পৌছাতে পারি না। কিন্তু এরা পারে। এই পারে বলেই হেফাজতের ডাকে ৫ মে এর মত ঘটনা ঘটে। এই জনগোষ্ঠীর বিশাল একটা অংশ হচ্ছে চল্লিশ ঊর্ধ্ব লোকজন। এরা সমাজের কর্তা ব্যক্তি। এই কারণে এদের খুব ভাল ভাবে যুক্তি দিয়ে দমন করা উচিত।

৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

আমিন রবিন বলেছেন: @নুরুলইসলা০৬০৪ লিখেছেন, 'আপনি কোনদিকে এটাই বুঝতে পারলামনা'।
এইটাই হচ্ছে বাংলাদেশের কমন সমস্যা। যেকোন একদিকে যেন থাকতেই হবে! হয় আওয়ামীলীগ, নাহয় বিএনপি। হয় আর্জেন্টিনা নাহয় ব্রাজিল। আগে ছিল আবাহনী কিংবা মোহামেডান। কেন মাঝখানে কি কিছু থাকতে পারেনা? ধর্ম নিয়ে রাজনীতিও মৌলবাদ, নাস্তিকতাও তাই। দুই দলই এক্সট্রিমিস্ট। আমার মনে হয় দেশের ৯০% মানুষই এক্সট্রিম আইডিয়ার ধার ধারেনা।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ধইন্না পাতা। আপনাকে। আপনি আমার উত্তর টা দিয়েছেন। এইটাই মাঝামাঝি থাকলেই সমস্যা। মনে করে যে কোন একটা দল করাই লাগবে। যদি না করি মনে করে আমি দুই পক্ষ থেকে সুবিধা নিচ্ছি। এইখানের সুবিধার অসুবিধার কথা না, কথা হচ্ছে এই একটা গ্রুপিং এর কারণে এক জন আরেকজনকে সহ্য করতে পারে না। ফলে তৈরি হয় মারামারি। এইটাই বলতে চাচ্ছিলাম

৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭

স্থিতধী বলেছেন: রাশিয়া বলেছেন: @ স্থিতধী,ঈশ্বরে বিশ্বাস করার জন্য কোন যুক্তি বা প্রমাণের দরকার নেই। জগতে কোন কিছু বিশ্বাস করার জন্যই যুক্তি প্রমাণের দরকার নেই।

আমি একমত। আর সে কারনেই কুযুক্তির ব্যাবহার করে কোন নাস্তিক কে আস্তিক এ অথবা আস্তিক কে নাস্তিকে পরিনত করার হাস্যকর প্রচেষ্টা দেখলে সেই প্রচেষ্টাকারী ও তার সমর্থকদের বুদ্ধি দেখলে দুঃখ হয়। বিশেষ ভাবে যে যুক্তি দুইশত বছর আগে দিলে ধোপে টিকতো সে যুক্তি আজকে বিজ্ঞানের এই যুগে এসে দিলে, (যেমন, ডি এন এ টেস্টিং এর জামানায় এসে পিতা-মাতার যৌন মিলন দেখে নিজের জন্মের উৎসে বিশ্বাস করার যুক্তি) আমি যুক্তিদান কারীর যুক্তির ধার ও জ্ঞান দেখে করুণা করবোই।

সব বিশ্বাস ই মূলত আবেগের বিষয় । আস্তিক ও নাস্তিক দুজন ই আবেগের ভিত্তিতে তাদের যুক্তি কে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে থাকে। ফলে তাদের ঈশ্বর কেন্দ্রিক তর্কগুলো সর্বদা মুরগীর ডিম আগে না মুরগী আগে টাইপ বিতর্কের ফলাফল দেয়। সত্যিকারের বিজ্ঞানমনস্ক ও যুক্তিবাদী ব্যাক্তি এসকল বিষয়ে অজ্ঞেয়বাদী মনোভঙ্গী রাখবে; বিজ্ঞানের নাম দিয়ে শেষ কথা বলে দেয়ার চেষ্টা করবেনা।

রাশিয়া বলেছেন: আপনার প্রেমিকা আপনাকে ভালোবাসে কিনা, সেটা কোনকালে কোন বিজ্ঞান প্রমাণ করতে পারবেনা। কিন্তু তার আচার আচরণে অনেকটাই প্রকাশ পাবে।

বিজ্ঞান সেটা প্রমাণ করতে পারবে কিনা তা নির্ভর করে আপনি সত্যিকারের ভালোবাসার প্যারামিটার / শর্তাবলী হিসেবে কি কি নির্ণয় করেছেন তার উপর । যদি ধরে নেওয়া হয়, আপনার প্রেমিকার আপনার প্রতি 'ভালোবাসার আচরণ' হিসেবে আপনি আশা করেন যে তিনি আপনার সাথে সম্পর্ক থাকা অবস্থায় অন্য কোন পুরুষ বা নারীর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হবেননা অন্যের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া সত্ত্বেও। সেক্ষেত্রে কিন্তু আজকের বিজ্ঞান খুব সহজেই নানারকম শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে এটা প্রমাণ করতে সক্ষম তিনি আপানাকে 'ভালোবাসেন' কিনা। আবার আপনার ভালোবাসার দর্শন ( বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও মুল্যবোধ) যদি এটা বলে যে, অন্য কারো প্রতি ক্ষনিকের শরীরি আকর্ষণে ঘটা শারীরিক মিলন ব্যাক্তির অপর কোন মানুষের প্রতি থাকা ভালোবাসার ঘাটতি প্রমাণ করতে পারেনা, তাহলে আর এক্ষেত্রে বিজ্ঞানের পরীক্ষা নিরীক্ষাটি ভালোবাসা নিয়ে কিছুই প্রমাণ করতে পারলোনা।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ধইন্না পাতা। এই মন্তব্ব্যের উত্তর সময় নিয়ে দিব ভাবতেছি

১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬

অপু তানভীর বলেছেন: সত্যই দিন দিন আমাদের দেশের মানুষ গুলো উগ্র হয়ে উঠছে অথচ যেখানে কথা ছিল মানুষ আরও বেশি সহনশীল হয়ে উঠবে ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: রাষ্ট্রীয়ভাবে এই উগ্রতাকে সাপোর্ট করে আসছে বহুদিন ধরে। আওয়ামীলীগ বলে বিএনপি চোর, বিএনপি বলে আওয়ামীলীগ। এখন এইসব শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে মানুষ নতুন কিছু ধরছে। আগে যেমন ডাইল ছিল, তারপর আসছে বাবা, সবজি, জুতা, টিকটিকি। দেখেন ডাইল থেকে টিকটিকি, ধারাটা অবনতির ফলে কিচ্ছু করার নাই। রাষ্ট্র যদি সহিষ্ণুতা চর্চা করত তাহলে এইসব হত না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.