নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"শৃঙ্খল যেখানে আবদ্ধ, মুক্তি সেখানে অসম্ভব\"

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ

ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই আমার ছাড়পত্র নিয়ে আমার আগমন

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজত আর আওয়ামীলীগ যেখানে যেভাবে একে অপরের পরিপূরক, যেভাবে আওয়ামীলীগ মন্দের ভালো

২৯ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৩

আওয়ামীলীগ বাংলাদেশের সাথে একটা মাইন্ড গেম খেলতেছে, এবং সবচেয়ে নিকৃষ্টতম একটা গেম খেলতেছে। বাংলাদেশ সৃষ্টির পিছনে এই দলটার যেমন বিশাল ভুমিকা আছে তেমনি এই বাংলাদেশ যদি কোন কারনে যদি ধংস হয়ে যায় এর জন্য বড় একটা অংশে দায়ী থাকবে আওয়ামীলীগ। গতকাল আদনান স্যারের সাথে বেশ কিছুক্ষন ব্যাপারটা নিয়ে আলাপ হল, উনার একটা পোষ্ট পড়লাম। "আমি আওয়ামীলিগের ফ্যাসিজম আরো ১০ বছর সহ্য করতে রাজি আছি, কিন্তু হেফাজত কে এক মিনিট ও না" " হেফাজত কে পিটায়ে ছাতু বানায়ে দেয়া উচিত" আপনি কি বুঝতেছেন আওয়ামীলীগ কি রকম মাইন্ডগেম খেলেতেছে এই দেশের সাথে? চলেন একটু বুঝে আসি।

আদনান স্যারের পোষ্টের একটা লাইন ছিল এমন- আমেরিকার প্রশাসন ভাবতেছে, বৈদেশিক শক্তির কাছে আমরা যে রুথলেস এইটা প্রমান করতে হবে তাহলে বৈদেশিক শক্তি আমাদের ভয় পাবে, আবার একইভাবে আমাদের সিম্পেথি ও অর্জন করতে হবে যাতে ওরা আমদের রুথলেস ও না ভাবে। তো আমেরিকার সরকার এইটা কেম্নে করবে? করার একটা উপায় হচ্ছে জনগণ সবসময় হিউম্যানিটির পক্ষে ফলে মানূষ ভাব্বে দেখছ আমেরিকার জনগন কত ভাল, অন্যদিকে সরকার একদম রুথলেস থাকবে ফলে বৈদেশিক শক্তি আমাদের ভয় পাবে। বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ ঠিক একই কাজটা করতেছে।

আমার বাসার পাশে বেশ বড়সড় একটা মাদ্রাসা আছে। এই মাদ্রাসাতে ছেলেগুলো গতকাল এগারোটার দিক থেকে একটা সিএনজিও রাস্তায় নামতে দেয় নাই। ওদের কে বললাম যে দেখ ভাই আমি আমার দাদী কে নিয়ে হাসপাতালে যেতে চাচ্ছি, ওরা বলল- দেশে হরতাল চলতেছে, লীগ/ দল হরতাল দিলে আপনাকে তো মুখে না করতেছি, ওরা এসে গাড়ী ভেঙ্গে দিয়ে চলে যেত। আর আপনার কি ইসলামের জন্য মায়া নাই এতগুলো মানুষ মারল, এর তো প্রতিবাদ করা উচিত। দেখেন আমাদের দেশের তৌহিদি জনতা মানুষ মেরে ফেলতে ইসলামের জন্য বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবে না। গতকাল রফিকুল ইসলাম মাদানীর একটা বক্তব্য শুনছিলাম, সেইখানে ও বলতেছে গাজয়ায়ে হিন্দ মনে হয় চলে আসছে- এইটা যদি চলে আসেই আমি মোদির জিভ টেনে ছিড়ে ফেলব। আর আমি এই জিভ টেনে কার জন্য ছিড়ে ফেলব- আল্লাহর জন্য, আমার মায়ের জন্য না, মামুনুল হকে জন্য না, বাবুবনগরীর জন্য না। এই দেশের তৌহিদি জনতার সমস্যা ঠিক এইজায়গাটা তেই এরা মানুষকে বিন্দুমাত্র সম্মান করে না। আমি কিছু কথা বলি এইটা নিয়ে- খুব সম্ভবত ইনভেস্টিগেশন ৩৬০ নামে যমুনা টিভির একটা প্রোগ্রামে "কালেমার জামাত" নামে একটা পর্বে একটা তরুন ছেলের কথা বলতেছিল, যে তার মায়ের সেবা না করে আল্লাহর রাস্তায় ঘর থেকে বের হয়ে গেছে। সাংবাদিক বলল- আপনার মা যে না খেয়ে থাকেন সেইটা কি দেখেন, ঘরে পানি পরে সেইটা চোখে পড়ে? অই তরুন ছাগলটার উত্তর ছিল- আমি মায়ের চেয়ে আল্লাহ কে গুরুত্ব দিচ্ছি বেশি। আমি জানি না এরা কোন ইসলাম পালন করে? আমি তো ভাবি- আল্লাহ আমার মায়ের চেয়ে বেশি দয়ালু। আমি আল্লাহর কাছে মাফ চাইলে সে মাফ করলে, কিন্তু আম্মু কষ্ট পেলে তো সেইটার ক্ষমা চাইতে জান বের হয়ে যাবে। কারন মা মানুষ, তার অনুভুতি। শুধুমাত্র পরিবারকে সাপোর্ট দেয়ার কারনে নিজের বেশ কিছু স্বপ্ন ঠিকমত পুরন করতে পারতেছি না, সেইখানে এই মাদ্রাসার ছেলেগুলো, মামুনুল হক, রফিকুল মাদানী এদেশের মুসলমানদের এমন এক লোভ দেখাচ্চে যার কারনে মানুষ মেরে ফেলতেও এরা দ্বিধা করবে না।

আমি ইসলামের চেয়ে এই মানুষের সাথে ন্যায় বিচার হচ্ছে কিনা তা নিয়ে বেশি চিন্তিত। এই হেফাজত মোটেও তা করতে পারতেছেনা। এই কারনেই ওদের কঠোরভাবে দমন করা উচিত। আমি আমার নানা কে দেখছি এই ধরনের লোক। উনি তাবলীগ করতেন, বছরে তিন চিল্লা দিতেন, আর সারাদিন মসজিদে থাকতেন। কিন্তু উনি উনার একটা নাতি নাতনির ও নাম জানতেন না। উনার যেই ছেলে নামাজ পরতেন না, সে ছেলের দেয়া ফল-ফলাদি ঈদের পাঞ্জাবী অথবা খরচ নিতেন না। এর ফলাফল টা হইছে নানা মারা যাওয়ার এক বছরের মধ্যে আমার নানীর ঘর নাই। উনার চার ছেলেমেয়ে এইসব দখল করে নিছে, অথচ আমার মামারা বেশ শিক্ষিত। একজন গাজীপুর রাজেন্দ্রপুর কলেজের শিক্ষক। সে পর্যন্ত আমার নানী কে প্যারা দিছে, তাকে নানার ঘরে পর্যন্ত থাকতে দেয় নাই। নানা মারা যান ২০১৪ সালে আর নানী মারা যান ২০২০ সালে, এই ছয় বছর নানী যেই কষ্ট পাইছে, তা বলার বাইরে। কেন এই কষ্ট পাইছে? একটা সহজ উত্তর উনি আল্লাহর রাস্তায় এত সময় দিছে যে উনার স্ত্রীর দিকে উনার তাকানোর সময় হয় না, উনার ছেলেমেয়েদের মার সাথে কি ব্যবহার করতে হবে সেইটা শিখানোর সময় হয় নাই। মরে মরুক আমার কি, পরকালে আমি বাচলেই হইছে। অথচ এই বোকাচোদাগুলো ইসলাম পুর্নাঙ্গ জীবনবিধান মুখে মানবে, কিন্তু কাজে মানুষকে যন্ত্রনা দিবে।

হেফাজত/ ইসলামিক কোন দল এই দেশে ক্ষমতায় আসলে, ওরা একটা ভিন্নমতের লোকরেও বাচতে দিবে না। সবচেয়ে আফসসের ব্যাপার হচ্ছে বেশ শিক্ষিত লোকজন এই ব্যাপারগুলো বুঝতেছে না। আপনি একবার বুঝেন নুরুল হক নুরুর মত রামছাগল হচ্ছে এইদেশে ইসলামিক জনতার কাল্ট লিডার। বিএনপি এর হারুনুর রশিদ যখন সংসদে কথা বলত ২০১৯ এর দিকে তখন মনে হত যাক একটা বিরোধি পক্ষ পাওয়া গেছে, এখন আমি বুঝি এই লোক হচ্ছে সবকিছুর বিরোধিতা করা লাগে তাই বিরোধিতা করে। সবচেয়ে ভালো উদাহরন হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে ডয়েচ ভেলে এই আহাম্মক টা বলতেছে ধর্মনিরপেক্ষতা মানে নাস্তিকতা। খালেদ বলল রাষ্ট্রের কেন ধর্ম থাকবে? এর উত্তরে কি যে বালছাল বলল। আর আওয়ামীলীগ ঠিক এইভুলটাই করতেছে, সামান্য কয়টা ভোটের জন্য এই হেফাজতের সাথে লিয়াজু করছে। লীগের ম্যান্ডেট আছে- আর কত সাম্প্রদায়িকতার লাশ পড়লে, হিন্দুদের ধর্ম কোন ধর্মই না ওয়াজে এই ধরনের কথা বলার পর গ্রেফতার না করে, ওদের আন্দোলনে চুপ থাকতে হবে। কেন এখনও এই দেশের রাস্ট্রধর্ম ইসলাম এই কথা সংবিধানে লেখা থাকবে?

আওয়ামীলীগ ঠিক এইখানেই একটা মাইন্ডগেম খেলতেছে। কাউকে কথা বলার সু্যোগ দিচ্ছে না, কিন্তু হেফাজত এমন একটা স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কথা বলার গ্রাউন্ড পাচ্ছে যে, খোদ আওয়ামীলীগ বুঝতেছে না ওদের কিভাবে ডিল করবে। আমার সচেতন নাগরিকরা যে বলবে হেফাজত কে পিটায়ে ছাতু বানাক সেইটাও বলা যাবে না, কারন এই পিটায়ে ছাতু বানানোর প্রক্রিয়া আমি কথা বললে আমার উপর ও পড়বে। আওয়ামীলীগ হেফাজত কে দিয়ে প্রমান করতে চাচ্ছে, ওরা উগ্র, ওদের চেয়ে আমরা ভালো, আমরা ফ্যাসিস্ট কিন্তু আপনি চুপ থাকলে আপনি বাচবেন, আপনার ছেলেমেয়েদের বইদিব, পদ্মাসেতু বানাব, উন্নয়ন হবে, অর্থনীতি শক্তিশালী, সংখ্যালঘুদের অধিকার আমরা নিশ্চিত করব শুধু আমাদের ভোট দেন। অন্যদিকে হেফাজত কি করতেছে দেখছেন, শাল্লায় মানুষ মারতেছে, যুবলীগ নেতার বলে কিছু নাই কিন্তু গুজব ছড়াচ্ছে, বিএনপি এর লোকদের মরাল কোন গ্রাউন্ড নাই, এদের কথাবার্তা বোকাচোদাদের মত, এদের ভোট দিবেন না। আওয়ামীলীগ এই গ্রুপটাকে বাচায়ে রাখতেছে। এখনও আওয়ামীলীগের সময় আছে- দেশে কোন বিরোধী দল না থাকুক কোন সমস্যা নাই, কিন্তু বোকাচোদার মত কাজ করলে মানুষ যাতে ধুয়ে দিতে পারে সেই সুযোগ দিলেই হবে। কারন এই মুহুর্তে আওয়ামীলীগ হচ্ছে মন্দের ভালো, এই কারনে আওয়ামীলিগ তরুন প্রজন্মের ভোট বারবার পাবে। কারন সকল প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতার জায়গা আওয়ামীলীগ সচেতনভাবে ধ্বংস করছে আর এই হেফাজত কে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দিচ্ছে। এর ফলাফল হচ্ছে ভয়ঙ্কর- আরও লেইম লেইম জিনিস নিয়ে হেফাজত ইসলামিক দল গুলো আন্দোলন করার জায়গা পাবে আর তৌহিদি জনতার এই শক্তি সবাই পুজি করে চলতে চাইবে।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনার আদনান স্যার প্রশ্নফাঁস করে পাশ করেছেন।

২৯ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৪৬

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: @কাল্পনিক ভালোবাসা আমি চাই চাদ্গাজী কে ব্যান করা হোক ব্লগ থেকে। আমার শিক্ষককে নিয়ে বাজে কথা বলছে। সমালোচনার একটা ভাষা থাকা উচিত, সেইটা ব্যক্তিগত আক্রমন হলে সমস্যা।

২| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্টের সাথে আমি একমত নই।

২৯ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৫৫

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: একমত না হওয়াটা কোন সমস্যা না। সব কথাতে একমত হতে হবে এমন কোন কথা নাই।

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমেরিকা নিয়ে আপনার স্যরের ও আপনার জ্ঞানের যেই ট্রাক, ইহা নিয়ে আমি কমশব্দে সমালোচনা করেছি, ভাষাটা দুর্বল মনে হচ্ছে?

২৯ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৬

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ভাষাটা রামছাগলের মত মনে হচ্ছে। আপনি জোবাইদিনের থেকে আরও আমেরিকা সম্পর্কে জ্ঞ্যানের দীক্ষা নেন।

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভালো কথা, ব্লগার কাল্পনিক_ভালোবাসা কি ব্লগারদের ব্যান করেন, আপনি সিউর? আমার একটা বড় লিষ্ট আছে, উনাকে দিতে চাই।

৫| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০২

আনসারী বলেছেন: হেফাজত তো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে না যে হেফাজত কে দমন করতে হবে? আর সরকারও হেফাজত বিরোধী নয়। হেফাজত একটা ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করছে হরতাল করেছে সরকার সেখানে ছাড় দিয়েছে বা সুযোগ দিয়েছে। দিন শেষে সরকার তাদেরকে পুরস্কৃত করে ঘরে উঠিয়ে দিবে। আর বিএনপি জামাআত তা দেখে দেখে আঙ্গুল চুসবে।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:১২

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: হেফাজত কাদের বিরুদ্ধে সেইটা মোটেই আমার ভাবার বিষয় না, আমার ভাবনার বিষয় হচ্ছে এরা সাম্প্রাদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে কিনা, এরা মানুষের মৌলিক অধিকার গুলো ক্ষুন্ন করছে কিনা। আজেবাজে বিষয় নিয়ে ইমানের ধ্বজা তুলে আন্দোলন করে মানুষকে যন্ত্রণা দিবে সেইটা হবে না।

৬| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৩

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , আমিও জানি আমরা একটা সাংঘাতিক পর্বের পাদপ্রান্তে । ভাল থাকুন একথাটাও বলতে দ্বিধা হয় যদি খড়গ আমাদের উপর এসে পড়ে ?

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:১৪

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: হ্যা এইযে সরকার পিক এন্ড চুজ এই খেলাটা খেলছে এইটা সবচেয়ে ভয়ের। আর হেফাজত হচ্ছে গাছবলদ যে বুঝতেছে না লীগ বাটে পাইলে ছাড়বে না।

৭| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৪৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভবিষ্যতে দেখা যাবে আগের মত হেফাজত বাড়ি গাড়ি কী পায়

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:১৫

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: হেফাজত বাড়িগাড়ি পাবে কিনা জানিনা তবে এইগুলো কয়দিন পর পর একটা ইস্যু তুলে দেশ অস্থিতিশীল করবে।

৮| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৮

অক্পটে বলেছেন: হেফাজত আ.লীগেরই একটি ম্যানেজড/ বা পকেট দল এপর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু ভোটের ব্যপারে কি বললেন। তরুণ প্রজন্মের ভোট আ.লীগ পাবে!! এর মানে কি? কিভাবে পাবে? চুরির ভোট নাকি রাতের ভোট নাকি ভোট ভোট খেলার কথা বলছেন। ভোট রাতে হোক কেড়ে নেয়া হোক সবইত আওয়ামী তরুণ প্রজন্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে। আপনি যদি একথাই বলতে চেয়ে থাকেন তাহলে "তরুণ প্রজন্মের ভোট পাবে" ঠিক আছে।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩৬

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: দেখেন বড় একটা তরুন প্রজন্মে ব্রেনওয়াশ হইছে আওয়ামীলীগ দিয়ে। ওদের ভোট টা লীগ পাবি। আমি কোন প্রেক্ষাপট থেকে বলছি আমি একটু বুঝায়ে বলি। যেই ছেলে/ মেয়ের জন্ম ২০০৫ আগামী ২০২৩ সালের নির্বাচনের ওর বয়স হবে ১৮ প্রথম বারের মত ভোট পাবে। ধরে নিলাম ছেলে/ মেয়েটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে অথবা প্রথম পা রাখবে। এই বার দেখেন লীগ প্রথম শ্রেণী থেকে একদম দশম শ্রেণী পর্যন্ত ও একদম বিনা বেতনে আর নতুন বই নিয়ে সবাই পড়াশুনা করছে। কলেজ পর্যায়ের কোন ছেলেমেয়ের এইটা একটা বিশাল ব্যাপার মনে করে। গ্রামাঞ্চলে এইটা আরও বিশাল ব্যাপার। এই গেল একটা ব্যাপার। এখন আপনি যদি চাদ্গাজীর প্রশ্নফাস অটোপাশ এইসব বলদ মার্কা ব্যাপার আনেন সেইটা অন্য ব্যাপার। আমি বলতে চাইছি, একটা পুরো প্রজন্ম আওয়ামীলীগের ১৫ বছরের শাসনামলের বড় হইছে, এই প্রজন্মটা আওয়ামীলীগ ছাড়া অন্য কাউকে ভাবতে পারার সক্ষমতা একদম বিনাশ করে দিছে, কারন কোন বিরোধী পক্ষ নাই, ওরা যে আরেকটা পক্ষের কথা শুনবে, শুনে বিচার বিশ্লেষন করবে সেইটা পায় নাই। আমি সেই দিক থেকে বলছি বড় একটা সাপোর্ট লীগ পাচ্ছে সেইখান থেকে।

৯| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:০০

অপু তানভীর বলেছেন: রাজনীতির মাঠের সব থেকে বড় আহম্মক হচ্ছে হেফাজত এবং তাদের থেকে বড় আহম্মক হচ্ছে যারা আশা করে থাকে হেপাজত দিয়ে আওয়ামীলীগ পতন করা যাবে ।
কেবল ৫ই মের কথা যদি চিন্তা করে দেখেন, তখন আওয়ামীলিগের ভীত এমন শক্ত ছিল না । সেই সময়েই হেপাজতকে কেমন কানে ধরে বসিয়ে রেখেছিল আর এখন পুরো বাংলাদেশ আওয়ামীলিগের দখলে, তাহলে বুঝেন আওমীলীগ কিভাবে তাদের নিয়ন্ত্রন করতে পারবে । হেপাজত এসব করতে পারছে কারণ আওয়ামীলীগ কিছু বলছে না । তাদের প্রতি উদার মনভাব পেষন করছে । হেপাজতকে কানে ধরাইতে আওয়ামীলীগের খুব বেশি সময় লাগবে না ।

আওয়ামীলীগের বিকল্প বিএনপি হোক, অন্য রাজনৈতিক দল এমন কি বামদল গুলো মেনে নেওয়া যেতে পারে কিন্তু কোন ভাবেই হেপাজত না । একটা দেশ চালানোর মত রাজনৈতিক সক্ষমতা হেপাজতের নাই ।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪৪

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: একদম শেষ লাইন থেক শুরু করি, কথা সত্য একটা দেশ চালানোর সক্ষমতায় হেফাজত নাই। কিন্তু হেফাজতের এই ক্ষমতায় যাওয়ার সক্ষমতা আছে। ভয়ের জায়গাটা ঠিক এইখানেই যে যার কোণ রকম যোগ্যতা তাই তাদের নিয়ে দেশের বিশাল বড় একটা অংশ মাথায় তুলে নাচতেছে। এক্টার পর একটা আজেবাজে বিষয় সামনে নিয়ে এসে আমজনতার সমর্থন নিচ্ছে। এবং মানুষ জন সেইখানে অংশগ্রহন অ করছে। আর আপনি যে ৫মে কথা বললেন, সেইটার মত ঘটনা এইবার লীগ ঘটাইতে চাইলে ওদের বেশ বেগ পেতে হবে। এই তৌহিদী জনতা ইতিমধ্যে একদম প্রান্তিকে পর্যায়ের মানুষের মনে একটা ধারণা তৈরি করতে পেরেছে যে এই সরকার ইসলামের বিরুদ্ধে, আলেমদের বিরুদ্ধে, এই সরকার ওয়াজ করতে দেয় না, আরও হাবিজাবি। এখন হেফাজত কে নিয়ন্ত্রনে আনাটা দেশের জন্য বেশ জরুরি, এখন এইটা সংঘাত দিয়ে আনে তাহলে সেইটা হবে আরো ভয়ংকর। কারন একদম দুইটা আলাদা দল হয়ে যাবে।

একদম শেষ লাইন বলি- স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে আমাদের অর্জন কি? পল্টনে মুখোমুখি দুইটা গ্রুপ একদল বলছে আল্লাহু আকবর আরেকগ্রুপ বলছে জয় বাংলা। এই বিভাজন রেখাটা একদম স্পষ্ট। এখনই যদি এই ধর্মান্ধতার উগ্রতা সমূলে বিনাশ না করা যায় তাহলে বিভাজন রেখা আরও বাড়বে।

১০| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: হেফাজত নিজেদের পতন নিজেরাই ডেকে আণছে।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪৫

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আমার তা কেন যেন মনে হয় না, আমার মনে হয় হেফাজত আরও শক্তি দেখাবে ওদের যদি না ওদের নিয়ন্ত্রন করা না হয়।

১১| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৪২

অক্পটে বলেছেন: হেফাজতের কোন পতন বা উত্থান নেই এটা আ.লীগের একটি পকেট পার্টি, লাইক জাতীয় পার্টি। টাইট/ফস করেই তাদের রাখবে আ.লীগ।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪৬

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: এইতাই আসলে, লীগ ওদের ক্ষমতার/ শক্তির জায়গাটা বুঝে গেছে, এখন এই শক্তি ব্যবহার করবে।

১২| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার তা কেন যেন মনে হয় না, আমার মনে হয় হেফাজত আরও শক্তি দেখাবে ওদের যদি না ওদের নিয়ন্ত্রন করা না হয়।

ওদের শক্তি উন্নত নয়। ওড়া বিজ্ঞান পড়ে নি। শুধু ধর্মের শক্তি দিয়ে মিশন জয় করা সম্ভব নয়।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫২

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ধর্ম টা একটা বিশাল আবেগের জায়গা। সভ্যতার বড় একটা অংশ বারো বিস্তৃতভাবে বললে সভ্যতার একদমে শিকড়ে ঘেরে আছে এই ধর্ম। শুধুমাত্র এই ধর্মের উপর ভিত্তি করেই কয়েকটা ক্রুসেড হইছে। জাতিগুলো আলাদা হইছে আর আপনি বলতেছেন ধর্মের শক্তি দিয়ে মিশন জয় করা সম্ভব না। এখন এই ধর্মের নাম দিয়ে অনেক কিছুই হচ্ছে, আমার কাছে এর একটা বড় কারন হচ্ছে আমরা অনিশ্চিত। এই প্রকৃতিতে এমন অনেক কিছু ঘটে যা আমরা যতই উন্নত জ্ঞ্যানের সন্ধান পাই না কেন তা ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হই অনেক সময়। আর প্রকৃতির কাছে মানুষ সবসময় অসহায়। আপনি কি বলতে পারবেন কেন এই ভাইরাস বেশি করে হানা দিচ্ছে মানব সভ্যতায়। একদম সহজ একটা উদাহরন হচ্ছে আমরা যত বন ধ্বংস করতেছি, তত যেই ভাইরাস বনের পশু পাখির দেহে থাকলে সমস্যা হবে না সেই ভাইরাস আমাদের মধ্যে চলে আসতেছে। দেহ এই ভাইরাসগুলো কে কখনই দেখে নাই, ফলে শরীর দুর্বল হচ্ছে, মানুষ মারা যাচ্ছে। এখন সভ্যতার উতকর্ষতার সাথে সাথে এই বন আরও ধ্বংস করা লাগবে। যত ধ্বংস করব তত আরও প্রাণঘাতী ভাইরাস আমাদের আক্রমণ করবে। আমরা জানি না সামনে কি অনিশ্চিত পৃথিবী আমাদের জন্য। এখন কেউ এইগুলো কে ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষ কে অনেক কিছু বুঝাতে পারে, যেমন দেশে ওয়াজে বুঝায়। আর প্রকৃতিতে ধর্ম ব্যাপারটা এইভাবেই আসছে, মানুষ হঠাত সুনামি, ঝড় কে ভয় পেত সেইখান থেকে ধর্ম আসছে। এত সহজে আপনি ধর্মের প্রভাব উড়াইয়ে দেয়া যাবে না।

১৩| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪

পুলক ঢালী বলেছেন: আপনি ৮ নম্বর মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যে যা বলেছেন তার রেশ ধরে বলছি আওয়ামীলীগ ১৩ বৎসর এক নাগাড়ে ক্ষমতায় আছে। কিন্তু আওয়ামীলীগকে এক নাগাড়ে ২০ বৎসর ক্ষমতার বাহিরে রাখা হয়েছিলো।
বর্তমান প্রজন্ম সেই প্রাক্তন প্রজন্মের উত্তরসূরী, সুতরাং ব্রেইন ওয়াশ তত্ত্ব এত সরল এবং সহজ নয় যেটার সমীকরন দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
আমাদের অবস্হা দাড়িয়েছে পাড় ভাঙ্গছে এমন নদীর তীরে দাড়িয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি "ওয়েট এন্ড সি" এটা যে আত্মঘাতী এ ব্যপারে কারো যেন কোন সম্যক জ্ঞান নাই।
ভাল থাকুন।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১:৩৯

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: ব্রেন ওয়াশ শব্দটা ঠিক হয়নাই মানছি। কিন্তু এক ১৩ বছরের শাসনামলে বড় হওয়া প্রজন্মের সাথে আমার ২৩-২৪ এর প্রজন্মের একটা বেশ সুক্ষ পার্থক্য আছে। আর পার্থক্য হচ্ছে আমরা চাই দেশ আরও ম্যাচিউর হোক, দেশ আরো অনেক বিশ্বজনীন হোক। এর ফলে আমাদের জাতীয়তাবাদ চেতনার মধ্যে আর ৮০ এর দশকের জাতীয়তাবাদ চেতনার মধ্যে বেশ ভাল পার্থক্য আছে। আমার বন্ধুবান্ধব সবাই মনে করে প্রতিযোগিতা হতে হবে ফেয়ার আর ফেয়ার গ্রাউন্ড তৈরির কাজ আমাদের না, এইটা প্রশাসনের যারা আছে তারা করবে। আর ৮০ এর প্রজন্ম মনে করত দেশ মাত্র স্বাধীন এখনও বাচ্চা, সব আমাদের নিজ হাতে করতে হবে। একটা ফেয়ার গ্রাঊন্ড প্লে আমাদের করে দিতে হবে/ করতে হবে। আর আমরা এই ২৫-২৬ এর ছেলেমেয়েরা ভাবি যে পঞ্চাশ বছরেও দেশের ফেয়ার গ্রাউন্ড হয় নাই, ফালতু একটা দেশ। লীগ এই ১৩ বছরে এই ফেয়ার গ্রাউন্ডের জায়গাটাই দিচ্ছে, তোমারে চাকরি দিব, বিনা বেতনে পড়াব, তুমি আমারে সার্ভিস দিবা, আর চুপচাপ থাকবা। এইটার পার্থক্য একাল আর সেকালের মধ্যে।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১:৪২

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: প্রথম দিকে ভুল একটা বাক্য লিখেছি- ব্রেনওয়াশ শব্দটা ঠিক হয় নাই মানছি। কিন্তু এই ১৩ বছরের শাসনামলে বড় হওয়া আমাদের ২৩-২৪ বছরের প্রজন্মের সাথে ৮০ দশকের প্রজন্মের মধ্যে বেশ সুক্ষ পার্থক্য আছে।


তারপর থেকে ঠিক আছে।

১৪| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৪২

মো: আরিফুর রহমান হিমেল বলেছেন: এই মুহুর্তে সাধারণ মানুষের পক্ষে পরিস্থিতি বুঝা খুব কঠিন যে তারা কোন দিকে যাবে। যেই কথাটা বলেছেন যে আওয়ামীলীগ বা বি এনপি হরতাল দিলে এতক্ষণে গাড়ি ভেঙ্গে দিয়ে চলে যেত আপনাদের কে ইসলামের প্রতি মায়া নাই । কথাটাতো কিছুটা হলেও ঠিক । দেশে এই মুহুর্তে মানুষ যা চায় তা হলো বাক স্বধীনতা। যাইহোক দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১:৪৩

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: হ্যা দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক এই হোক কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.