নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুধু দেশের জন্য

জীবন অতি সংক্ষিপ্ত

গ. ম. ছাকলাইন

আমি একজন সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ

গ. ম. ছাকলাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবরের আজাব সত্য হওয়ার কোন দলীল আছে কি ?

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯



কবরের আজাবের কথা সম্পর্কে হাদীসে পরিস্কার ভাবে উল্লেখ রয়েছে। নিম্নে দলীল হিসেবে কয়েকটি উল্লেখ করা হল।



হযরত আয়েশা রা: সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন একবার এক ইহুদী মহিলা আয়েশা রা: এর নিকটে গিয়ে কবরের আযাব এর কথা জিজ্ঞাসা করল, তখন আয়েশা রা: বললেন: আল্লাহ তায়ালা তোমাকে কবরের আযাব থেকে হেফাজত করুন। অত:পর বললেন: আমি রাসূলে মাকবুল সা: কে কবরের আযাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, জবাবে তিনি বললেন হ্যাঁ কবরের আজাব সত্য। অত:পর আয়েশা রা: বলেন: এর পর থেকে আমি দেখেছি, রাসূলুল্লাহ সা: প্রতি নামাযের পর কবরের আযাব থেকে পানাহ চাইতেন। (সহীহুল বুখারী: খ: ২, পৃ:৪১৮ হাদীস নং ১৩৭২; সহীহুল মুসলীম খ: ১, পৃ: ৪১০, হা: ৫৮৪)



হযরত আনাস রা: থেকে বর্ণিত, রাসূল সা: ইরশাদ করেন: তোমরা ভয়ে মৃতদেরকে দাফন করবেনা -এ আশংকা যদি আমার না হত, তাহলে আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করতাম তিনি যেন তোমাদেরকে কবরের আযাব শুনাইয়া দেন। (সহীহুল মুসলীম খ:৪, পৃ:২২০০, হা:২৮৬৮)



ইবনে মাসউদ সূত্রে বর্ণিত, রাসূল সা: ইরশাদ করেন, নিশ্চয় মৃতদেরকে কবরে (তাদের কৃত অপরাধের কারনে) আযাব দেয়া হয়, এমন কি পশু-পক্ষী তাদের চিৎকার শুনতে পায়। (আল মু’জামুত তাবরানী আল কাবীর: খ: ১০, পৃ:২৪৭, হা:১০৪৫৯)



হযরত আনাস রা: থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেন: কোন বান্দাকে যখন তার কবরে রাখা হয়, অত:পর তার সঙ্গী সাথীরা ফিরে যায়, এমনকি ঐ মৃত ব্যক্তি তাদের চলন্ত অবস্থায় জুতার আওয়াজ শুনতে পায়। তখন তার নিকট দুজন ফেরেস্তা আগমন করে, অত:পর তারা তাকে উঠিয়ে বসায় এবং জিজ্ঞাসা করে, মুহাম্মদ সা: কে? তখন মৃত ব্যক্তি মুমীন হলে বলে: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, তিনি আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। তখন তাকে বলা হয়, তুমি তোমার জাহান্নামের স্থানটি দেখে নাও। আল্লাহ পাক ইহা জান্নাতের বিনিময়ে তোমার জন্য পরিবর্তন করে দিয়েছেন। নবীজি সা: বলেন তখন সেই ব্যক্তি উভয় স্থানটি দেখতে পায়।



আর যদি মৃত ব্যক্তি কাফের বা মুনাফিক হয়, তাহলে সে বলতে থাকে, আমি কিছুই জানিনা। লোকেরা যা বলত আমিও তাই বলতাম। তখন তাকে বলা হয় তুমি কিছুই জানার চেষ্টা কর নাই, এবং কিছুই পড় নাই। অত:পর লোহার হাতুড়ি বা মুগুর দিয়ে তার ঘাড়ে আঘাত করা হয় ফলে সে এত জোরে চিৎকার করে যে, জ্বীন ও মানব জাতী ছাড়া আশে পাশের সবাই তা শুনতে পায়। (সহীহুল বুখারী: খ: ২, পৃ:৪০৬ হাদীস নং ১৩৩৮; সহীহুল মুসলীম খ: ৪, পৃ: ২২০০, হা: ২৮৭০) এ ব্যাপারে আরো অনেক হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম বুখারী র: কবরের আযাব থেকে পানাহ চাওয়া সম্পর্কিত হাদীসের জন্য আলাদা ভাবে অধ্যায় এনেছেন।



তথ্যের উতস



মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩

কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েসন বলেছেন: মহানবী (সা) মিরাজে জাহান্নাম পরিদর্শন করেন , অনেক লোককে শাশ্তি ভোগ করতে দেখেন। এই সকল কবরের আজাব পাওয়ার আগেই জাহান্নামে চলে গেছে, তাহলে কবরের আজাবের তাৎপর্য থাকলো ক্যামনে?

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: এখানের কিছু তথ্য আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
Click This Link

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ছোট বেলা থেকেই জানতাম কবরের আজাব বলে কিছু আছে, এখন অনেকেই বলে নাই, নতুন কেন এই কন্ত্রাভার্সি বুঝিনা, !!!

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: আরো তথ্য এখানে দেখুন: Click This Link

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬

ইলি বিডি বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা কবরের আযাব থেকে হেফাজত করুন।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: আমীন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.