নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুধু দেশের জন্য

জীবন অতি সংক্ষিপ্ত

গ. ম. ছাকলাইন

আমি একজন সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ

গ. ম. ছাকলাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি জাতির সত্য জন্ম ইতিহাস জানা কি এত সহজ?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৬



স্বাধীনতার সত্য ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানানোর যে প্রচেষ্টা মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার করেছেন তার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। কারো জন্য যদি কেউ ভাল কিছু করতে চায় তার জন্য অনেক কষ্টও সহ্য করতে হয়। যা কিনা গতকাল সংসদে দেখা গেছে, মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকারের বই '১৯৭১: ভেতরে বাইরে' লেখার জন্য তার বিরুদ্ধে কি পরিমান সমালোচনা হয়েছে। আশা করি ভদ্রলোক জনাব খন্দকার সাহেব নতুন প্রজন্মকে সত্য জানাতে অনড় থাকবেন।



গতকাল একটি পত্রিকা মারফত বইটি সম্পর্কে যা জানতে পারলাম তা এরকম.....



‘প্রথমা প্রকাশন’ থেকে বের হলো মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকারের বই ১৯৭১: ভেতরে বাইরে। ছাপা হলো বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে দেওয়া লেখকের অভিভাষণ



একটি জাতির জন্ম-ইতিহাস সব সময় সত্য ও তথ্যনির্ভর হওয়া উচিত। অতীতে ব্যক্তিস্বার্থকে ঊর্ধ্বে স্থান দিতে গিয়ে জাতির প্রকৃত ইতিহাসকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। সত্যকে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্যে পরিণত করার প্রতিযোগিতা এখনো চলছে। বিষয়টি মাথায় রেখে ১৯৭১: ভেতরে বাইরে শিরোনামের বইটিতে আমি প্রকৃত সত্যভাষণ রাখার চেষ্টা করেছি।

এ কে খন্দকারএ বইয়ে আমি মুক্তিযুদ্ধকালে আমার দেখা সত্য বিষয়গুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এর অনেক বিষয় কারও মনে রেখাপাত করতে পারে, কতগুলো বিষয় ভালো না–ও লাগতে পারে; কিন্তু সত্য প্রকাশে হতে হবে অনড়।



মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে কোনো রকম ভণ্ডামি, অতিরঞ্জিতকরণ বা প্রকৃত ঘটনার বিকৃতি কখনোই ক্ষমার যোগ্য নয়।



অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা ও বহু জীবনের আত্মাহুতির বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। আমাদের এই অর্জনের সুফল কাঙ্ক্ষিত পরিকল্পনার সঙ্গে সব সময় সফল হতে পারেনি। কারণ, পরিকল্পনায় আমাদের ত্রুটি ছিল। আজও আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা দেখেছি যে গৃহীত পরিকল্পনার সঙ্গে সব বিষয় খাপ খায়নি।



১৯৭১: ভেতরে বাইরেছোট্ট একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। মুক্তিযুদ্ধের সময় গেরিলাযুদ্ধের জন্য যখন যুবকদের নির্বাচন করা হচ্ছিল, তখন প্রথম দিকে শুধু একটি বিশেষ দলের সমর্থকদেরই নির্বাচন করা হতো। ফলে অন্যান্য বহু যুবক—যাঁরা সব দিক দিয়েই ছিলেন উপযুক্ত—তাঁদের নির্বাচন করা হতো না। যাঁদের নির্বাচন করা হতো, তাঁদের বেশির ভাগের পারফরম্যান্স ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের। এর ফলে যে শুধু তাঁরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তা নয়; সমগ্র জাতিকে এর দায় বহন করতে হয়েছে। তবে এটিও বলা দরকার যে গেরিলাযুদ্ধের জন্য যুবক নির্বাচনের প্রাথমিক পর্যায়ের পরবর্তী সময়ে—অর্থাৎ প্রায় পাঁচ মাস পর থেকে—যোগ্যতার ভিত্তিতে উপযুক্ত যুবকদের গেরিলাযোদ্ধা হিসেবে বাছাই শুরু হয়।



আজ জীবনসায়াহ্নে এসে মন কিছুটা বিচলিত। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমরা বাংলাদেশকে যেভাবে দেখতে চেয়েছিলাম, জাতির ক্রান্তিকালে যেসব মহান ব্যক্তি এ দেশের হাল ধরেছিলেন, জাতি তাঁদের অনেকের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু রোধ করতে পারেনি। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা, পেশাভিত্তিক কর্মকাণ্ডে মানুষে মানুষে প্রবঞ্চনার চিত্র আজ মনকে বিষিয়ে তোলে ক্ষণে ক্ষণে। তবু চেয়ে আছি নতুন পথপ্রদর্শকের আশায়, তাঁরা অন্ধকার থেকে মুক্ত করে জাতিকে উপহার দেবেন সুন্দর সোনালি সুন্দর প্রভাত।



মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে আমি গর্বিত। মুক্তিযুদ্ধের ওপর স্মৃতিকথা লেখার ইচ্ছা আমার প্রথম থেকেই ছিল। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে এত দিন তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আমরা জানি, কোনো দেশের যুদ্ধই একটি সরলরেখায় গিয়ে শেষ হয় না। অনেক উত্থান-পতন থাকে সেখানে, থাকে অসংখ্য বাঁক আর মোড়, যা আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও প্রত্যক্ষ করেছি। আমার এই বইয়ে সে ধরনের কিছু ঘটনা ও পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করার চেষ্টা আছে।



১৯৭১: ভেতরে বাইরে বইটিতে আমার বিবৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্ম ও অনাগত ভবিষ্যতে যাঁরা পড়বেন, তাঁরা যদি দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধ সৃষ্টির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবদান রাখতে পারেন, তাহলে আমি নিজেকে সার্থক মনে করব।



১৯৭১: ভেতরে বাইরে বইটি আশা করি নতুন প্রজন্মকে আমাদের স্বাধীনতার সত্য ইতিহাস জানার পথিকৃত হবে। সত্যকে জানতে আমাদেরকে অারো অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে বলেই মনে হয়।



তথ্যসূত্র: এখানে

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৩

ইলি বিডি বলেছেন: সত্যকে জানতে আমাদেরকে অারো অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে বলেই মনে হয়।

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুক্তিযুদ্ধ সুধু ৯ মাসের সামরিক যুদ্ধের ইতিহাস নয়।
৫০ দশক থেকেই দির্ঘ সংগ্রামের ভেতরে জনমত সংগঠিত করতে হয়েছে

যেসব মিথ্যা ইশু নিয়ে রাজাকাররা এতদিন লাফালাফি করেছে, সেইসব মিথ্যা সংগ্রহ করে সমর্থন করে বই লিখলে তাকে কি বলা যায়?

দেখছেন না রাজাকার আর রাজাকারের বাচ্চারা বইটি নিয়ে কেমন লাফাচ্ছে!!

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১০

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: শুধু আবেগ নয় সবকিছু বিবেক দিয়ে চিন্তা করতে হবে। আমরা বাংলাদেশীরা বড় বেশী আবেগ প্রবন। আমরা যদি সব কাজ বিবেক দিয়ে করতাম তবে আমাদের দেশ আজ অনেক এগিয়ে যেত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.