নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুধু দেশের জন্য

জীবন অতি সংক্ষিপ্ত

গ. ম. ছাকলাইন

আমি একজন সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ

গ. ম. ছাকলাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদ উল আজহা (২০১৪) ৫ই অক্টোবর না হয়ে ৬ই অক্টোবর হলো কেন?

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২৫

ঈদ কবে হবে তার একটি ইসলামিক নিয়ম আছে। মূলত চাঁদ উঠার উপর নির্ভর করেই সারা বিশ্বে ঈদ উযযাপিত হয়। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম হলো ।আজ (০৬/১০/২০১৪) বাংলাদেশে ঈদ কেন? গতকাল (০৫/১০/২০১৪) ঈদ হলো না কেন? সেই ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি যে টেলিভিশনে হ্জ্ব দেখায় । হজ্ব হবার পরের দিন সৌদি আরব সহ পৃথিবীর অনেক দেশে পবিত্র ঈদ উল আযহা পালিত হয়। ঠিক তার পরের দিন বাংলাদেশে পবিত্র ঈদ উল আযহা পালিত হয়। কিন্তু এবারই প্রথম দেখলাম ব্যতিক্রম। এর কারন অজানা আমার কাছে। কেউ জানেন কিনা জানিনা। আমরা সঠিক ইসলাম থেকে দূরে সরে যাচ্ছিনাতো! ইসলাম কি এত সহজ যে, যার যখন যা ইচ্ছা তাই করবে। প্রতি বছর হজ্বের পরের দিন সৌদি আরবে হজ্ব হয় আর তার পরের দিন বাংলাদেশে হজ্ব হয়। তাহলে এবার তার ব্যতিক্রম হলো কেন? বিষয়টি নিয়ে তেমন কোন আলোচনাও দেখলামনা। ইসলাম কি কারো ঘোষনার উপর নির্ভর করে নাকি এর একটি সঠিক আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ম আছে। নিশ্চয় আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ম আছে। তাহলে সেই নিয়মেই আমরা সবসময় কেন চলছিনা? কারন একটাই সেটা হলো সঠিক ইসলাম থেকে আমরা অনেক দূরে অবস্থান করছি।

আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন তিনি রাসুল (সাঃ) কে বলতে শুনেছেন- কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম এমন এক ব্যক্তির ব্যপারে ফয়সালা হবে যে শহীদ হয়েছিল। তাকে আনা হবে এবং তাকে যেসব সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল তা পেশ করা হবে। সে তা চিনতে পারবে। আল্লাহ তা’য়ালা তাকে জিজ্ঞেস করবেন, ‘আমি যে সমস্ত নিয়ামত তোমাকে দিয়েছিলাম, তার বিনিময়ে তুমি কি কাজ করেছ?’ সে বলবে, আমি আপনার পথে লড়াই করে শহীদ হয়েছি। তিনি বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলছ। বরং তুমি এজন্য লড়াই করেছ যে, লোকেরা তোমাকে বীর বাহাদুর বলবে! আর তা বলাও হয়েছে। অতঃপর তার সম্বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হবে এবং তাকে উপুড় করে টেনে নিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। অতঃপর আরেক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হবে, সে ইলম অর্জন করেছে, তা লোকদের শিক্ষা দিয়েছে আর কুরআন পাঠ করেছে। তাকে উপস্থিত করা হবে এবং তাকে দেওয়া সুযোগ সুবিধা গুলোও তার সামনে তুলে ধরা হবে। সে তা দেখে চিনতে পারবে। তুমি তোমার নিয়ামতের কি সদ্ব্যাবহার করেছ? সে বলবে আমি ইলম অর্জন করেছি, লোকদের তা শিক্ষা দিয়েছি এবং আপনার সন্তুষ্টির জন্য কুরআন পাঠ করেছি। আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা কথা বলছ। বরং তুমি এই উদ্দেশ্যে বিদ্যা অর্জন করেছিলে যে, লোকেরা তোমাকে আলেম না বিদ্বান বলবে, এবং কুরআন এই জন্য পাঠ করেছিলে যে, তোমাকে ‘ক্বারী’ বলা হবে। আর তা বলাও হয়েছে। অতঃপর তার সম্বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হবে এবং তাকে উপুড় করে টেনে নিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। অতঃপর আরেক ব্যক্তিকে আনা হবে, তাকে আল্লাহ অজস্র ধন দৌলত দান করেছেন এবং নানা প্রকারের ধন সম্পদ দিয়েছেন। তাকে দেওয়া সুযোগ সুবিধা গুলোও তার সামনে তুলে ধরা হবে। সে তা দেখে চিনতে পারবে। আল্লাহ জিজ্ঞেস করবেন, তোমার এ সম্পদ দ্বারা তুমি কি কাজ করেছ? সে বলবে, যেখানে ব্যায় করলে আপনি সন্তুশ্ত হবেন এমন কোন খাত আমি বাদ দেইনি বরং সেখানেই খরচ করেছি আপনার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে। মহান আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা বলছ। বরং তুমি এই জন্য দান করেছ যে, লোকেরা তোমাকে দাতা বলবে। আর তা বলাও হয়েছে। অতঃপর তার সম্বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হবে এবং তাকে উপুড় করে টেনে নিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।(সহীহ মুসলিমঃ ৪৭৭১ ইফা)

ইখলাস কি? কেবলমাত্র আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে যাবতীয় কাজ সম্পাদন করার নামই হল ইখলাস। কে দেখছে কে দেখছেনা সেটা না ভেবে লোকচক্ষু বা লোকলজ্জাকে অবজ্ঞা করে আল্লাহ্ সর্বক্ষণ আমাদের দেখছেন এই ভয় বা ভাবনা মাথায় রেখে আমাদের প্রকাশিত বা অপ্রকাশিত সমস্ত কাজগুলো সম্পাদন করবার নামই হল ইখলাস।

তাই সঠিক ইসলামকে জানতে হবে আর শিখতে হবে। পরিশেষে তা প্রচার ও প্রয়োগ করতে হবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

গ্রীনমাইল বলেছেন: সরকার বলছে ঈদ ৬ তারিখে হবে, তাই ঈদ ৬ তারিখে হইছে। চাঁদ উঠুক আর না উঠুক তাতে কিছু যায় আসে না

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২৭

সনজিম বলেছেন: সরকার বলছে আমাদের তাই আমরা করছি, সরকার যা বলবে আমরা তাই করবো, যদি বলতো আরো ২দিন পর ঈদ তবে আমরা তাই মানতাম, আর আমাদের দেশের আলেম উলামা তাদের কথা না হয় নাই বললাম, আমরা কি মুসলিম দেশে বসবাস করি না ইহুদি, খ্রিষ্টানদের দেশে বসবাস করি তাই কয়জন বলতে পারবে?

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৩৩

অলবাস বলেছেন: জনাব, আপনেতো একটা সাধারন প্রশ্ন করতে এত হাদীস কালাম ব্যবহার করলেন যে আরেকটু হইলে আমার হার্টফেল করার দশা হইসিল।

ইউসুফ সুলতান সাহেবের কমেন্ট কপি করে দিলামঃ

"সাউদীতে এবার ভুল সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে ঈদ ও হজ্জ্ব ডিক্লেয়ার করা হয়েছে। সাইন্টিফিক্যালি ওই দিন কোনো ভাবেই চাঁদ দেখা সম্ভব ছিল না, এবং অফিসিয়াল অথরিটিরা দেখেও নি, তবে দূরে কয়েকজনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে কোর্ট ডিক্লেয়ার করেছিল। এবং অলরেডি তারা ভুল স্বীকারও করেছে। তারা হজ্জের তারিখ অপরিবর্তিত রেখেছে, তবে হাজ্জ্বীদের অনুরোধ জানিয়েছে ৮ই জিলহজ্জ্ব উকুফে আরাফাহ করতে আর ৯ই জিলহজ্জ্ব ঈদ করতে। মানে তারিখ অপরিবর্তিত থাকছে। এখানে আপডেট আছে: http://moonsighting.com/"

৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৩০

অস্তমিত সুর্য বলেছেন: http://shobujbanglablog.net/67412.html

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.