নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুধু দেশের জন্য

জীবন অতি সংক্ষিপ্ত

গ. ম. ছাকলাইন

আমি একজন সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ

গ. ম. ছাকলাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭ই নভেম্বর ১৯৭৫-এ শহীদ জিয়াউর রহমান এবং একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৭





দেশকে ভালবাসতে হলে বিবেক দিয়ে দেশ ও দেশের স্বার্থকে দেখতে হবে আবেগ দিয়ে নয়। আবেগ দিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার ভালবাসা হয় দেশকে ভালবাসা যায় না। কারন দেশকে ভালবাসতে হলে সবার আগে দেশের স্বার্থকে বুঝতে হবে জনগনের স্বার্থকে বুঝতে হবে।



বিশিষ্ট দেশপ্রিমিক সাংবাদিক নুরুল কবিরের একটি উক্তি,



অবাক করা বিষয়, শেখ মুজিবকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য ইনু,আর তার নেতা কর্নেল তাহের অস্ত্র নিয়েই বিপ্লব করেছিল,শেখ সাহেবের পতনের পর মোশতাকের মন্ত্রী সভায় তারাই গিয়েছিল। আজ তারাই আবার হাসিনার মন্ত্রী সভার মন্ত্রী!! ইনুরা যখন আদর্শের কথা বলে তখন তা ভন্ডামী হয়ে যায়।। জনতার ভালোবাসা জিয়াকে নেতা বানিয়েছে,যে ভালোবাসা কর্নেল তাহেরের প্রতি ছিল না,তাই কর্নেল তাহের আর ইনুরা জিয়ার জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় যেতে চেয়ে ছিল,কিন্তু বাংলাদেশের ভাগ্যেই লিখা ছিল জিয়াউর রহমানের ক্ষন-জন্মা সু-সময়"

--সাংবাদিক নুরুল কবির।



আজ থেকে ৩৯ বৎসর পূর্বে ১৯৭৫ সালের এই দিনে একটি স্বতঃস্ফূর্ত বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং সর্বোপরি জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। নিশ্চিত হয় মানুষের মৌলিক অধিকার বাকস্বাধীনতা- গণতন্ত্র। এদেশের মানুষ তাই গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে সেদিনের সেই মহান বিপ্লবের নায়ক সিপাহী জনতাকে। উল্লেখ্য, সাতই নভেম্বরের বিপ্লব আগাম কোন ঘোষণা দিয়ে আসেনি, কিংবা কোন রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির ডাকে সংঘটিত হয়নি। এটি হয়েছিল দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের জন্য তাৎক্ষনিক একটি বিপ্লব, যা ছিল সিপাহী ও জনতার যৌথ বিপ্লব এবং এটি ছিল তখনকার পরিপ্রেক্ষিতে অপরিহার্য।







১৯৭৫ সালের ৩ থেকে ৬ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর অনিশ্চিত অবস্থা বিরাজ করছিল। হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছিল স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব। ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীর একটি উচ্চাভিলাষী দল সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্টের বাসভবনে বন্দি করে এক সামরিক অভ্যুত্থান ঘটালে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনা সাধারণ জনগণ ও সিপাহীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে। জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর সর্বমহলে, বিশেষত সিপাহীদের কাছে ছিলেন খুবই জনপ্রিয়। ফলে তারা পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ ও জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ৬ নভেম্বর মধ্যরাতে ঘটে সিপাহী-জনতার ঐক্যবদ্ধ এক বিপ্লব, যা ইতিহাসে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে স্থান লাভ করেছে। দেশবাসী সেদিন জিয়ার হাতেই তুলে দিয়েছিল রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব।









১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তদানীন্তন দৈনিক বাংলার রিপোর্টে বিপ্লব সম্পর্কে বলা হয়, ‘সিপাহী ও জনতার মিলিত বিপ্লবে চারদিনের দুঃস্বপ্ন শেষ হয়েছে। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১টায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনীর সিপাহী-জওয়ানরা বিপ্লবী অভ্যুত্থান ঘটিয়েছেন। ষড়যন্ত্রের নাগপাশ ছিন্ন করে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে উদ্ধার করেছেন বিপ্লবী সিপাহীরা। ৭ নভেম্বর শুক্রবার ভোরে রেডিওতে ভেসে আসে, ‘আমি মেজর জেনারেল জিয়া বলছি।’ জেনারেল জিয়া জাতির উদ্দেশে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে যথাস্থানে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। ওইদিন রাজধানী ঢাকা ছিল মিছিলের নগরী। পথে পথে সিপাহী-জনতা আলিঙ্গন করেছে একে অপরকে। নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ ধ্বনিতে ফেটে পড়েন তারা। সিপাহী-জনতার মিলিত বিপ্লবে ভণ্ডুল হয়ে যায় স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ববিরোধী সব ষড়যন্ত্র। আনন্দে উদ্বেলিত হাজার হাজার মানুষ নেমে আসেন রাজপথে। সাধারণ মানুষ ট্যাঙ্কের নলে পরিয়ে দেন ফুলের মালা। এই আনন্দের ঢেউ রাজধানী ছাড়িয়ে দেশের সব শহর-নগর-গ্রামেও পৌঁছে যায়।’





৭ নভেম্বর সম্পর্কে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস তার ‘বাংলাদেশ এ লিগ্যাসি অব ব্লাড’ বইতে লেখেন,খ ‘১৯৭৫ সালের ৫ ও ৬ নভেম্বর ক্যান্টনমেন্টসহ সারা শহরে ছড়ানো হলো হাজার হাজার প্রচারপত্র। একটি ব্যাপারে ডান ও বাম উভয় রাজনৈতিক দলই একমত ছিল, আর তা হচ্ছে খালেদ মোশাররফ একজন বিশ্বাসঘাতক, ভারতের দালাল এবং সে ঘৃণিত বাকশাল ও মুজিববাদ ফিরিয়ে আনতে চাইছে।’







৭ নভেম্বরের ভোরের দিকে জওয়ানরা ব্যারাক থেকে বেরিয়ে পড়ল। সারা ঢাকা শহরে এই ‘সিপাহী বিপ্লব’ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল। রাত ১টার মধ্যেই সিপাহীরা পুরো ক্যান্টনমেন্ট দখল করে নিল। একদল জওয়ান গেল জেনারেল জিয়ার বাসভবনে। চারদিন বন্দি থাকার পর মুক্তি পেলেন জেনারেল জিয়া। নৈশ পোশাক পরা অবস্থাতেই জিয়াকে উল্লসিত জওয়ানরা কাঁধে করে নিয়ে গেল ২ ফিল্ড আর্টিলারির হেডকোয়ার্টারে। ঘটনার আকস্মিকতায় তখন বিহ্বল হয়ে পড়েন জিয়া। নাম না জানা অনেক জওয়ানের সঙ্গে আলিঙ্গন, করমর্দন করেন তিনি।





সিপাহ-জনতা বিপ্লবের একটি ঐতিহাসিক ভিডিও-







গ্রন্থটিতে আরও বলা হয়েছে, ‘রেডিওতে ক্রমাগত সিপাহী জনতার বিপ্লবের ঘোষণা এবং জেনারেল জিয়ার ক্ষমতা দখলের খবর শুনে হাজার হাজার লোক স্রোতের মতো রাস্তায় নেমে এলো। তিন দিন ধরে তারা বিশ্বাস করছিল যে, ভারত খালেদ মোশাররফের মাধ্যমে তাদের কষ্টে অর্জিত স্বাধীনতাকে বিপন্ন করছে। এখন সেই দুঃস্বপ্ন কেটে গেছে। সর্বত্র জওয়ান এবং সাধারণ মানুষ খুশিতে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করল, রাস্তায় নামল। সারারাত তারা স্লোগান দিল, ‘আল্লাহু আকবর, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, সিপাহী বিপ্লব জিন্দাবাদ।’ অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের মতো এদেশের মানুষ আবার জেগে উঠেছে।





৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতা অভ্যুত্থানের প্রকৃত তাৎপর্য শাসক সমাজের ওপর বৈদেশিক মুরুব্বিয়ানার বাধ্যতা প্রত্যাখ্যান করে গণচেতনায় জাতিরাষ্ট্রের আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধার। দেশবাসীর মনে সার্বভৌমত্বের গর্ববোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠা। পঁচিশ বছর মেয়াদি শান্তি ও মৈত্রী চুক্তির অসম সম্পর্কের মায়াজাল এদেশের অভিজন সমাজে যে ভারতমুখাপেক্ষিতা ও হীনম্মন্যতার প্রসার ঘটিয়ে চলেছিল, তার বজ্রআঁটুনি ছিন্ন করেছিল দৃপ্ত সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান ও আত্মস্থশক্তির বহিঃপ্রকাশ। রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে উৎখাত হয়েছিল দিল্লির প্রাসাদকামী পরগাছার জঞ্জাল।





এভাবে জাতিরাষ্ট্রের আত্মমর্যাদাবোধ ঐ দিন থেকে যে স্বকীয়তা, স্বনির্ভরতা ও আত্মোন্নতির উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছিল, আজও তা জাতিকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছে। যদিও ভূরাজনৈতিক চক্রান্তে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা দিল্লির পদলেহি একটা পরিবারতন্ত্রের সংঘশক্তির করায়ত্ত, জাতিরাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ও সংবিধানকে সাবোটাজ করে ঐ সংঘশক্তির পঞ্চম বাহিনী এদেশকে বিশ্বের চোখে স্বশাসনের অযোগ্য প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগেছে, প্রকাপ্রন্তরে বাংলাদেশের ভারতভুক্তির একটা নীলনকশা অনুসরণ করে চলেছে, নভেম্বর বিপ্লবে জাগ্রত দেশবাসী পদে পদে নতজানু ভারতমুখাপেক্ষী সরকারি উদ্যোগগুলোকে জনমতের প্রাচীর দিয়ে অবরুদ্ধ করেছে। জনস্বার্থ রক্ষায় রাষ্ট্রের বিকলাঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর খর্বশক্তি দিয়েও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। চলমান বিশ্বব্যবস্থার সংঘাতসঙ্কুল আবর্তে, আঞ্চলিক আধিপত্যবাদের হুমকিতে কিংবা বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার গোলকধাঁধায় পথ হারায়নি। রাষ্ট্রঘাতী চক্রান্তের মোকাবেলায় রাজপথে নেমে এসেছে, প্রতিবাদে প্রতিরোধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। রাষ্ট্রঘাতী চক্রের কবল থেকে অচিরে আবার রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নেবে জাগ্রত জনতা, এ কথা সুনিশ্চিত।



সাবেক সেনা প্রধান এবং বর্তমানে বিএনপি নেতা লে: জে: অব: মাহবুবুর রহমান এবং কর্ণেল তাহেরের ছোটভাই এবং বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো: আনোয়ার হোসেন কর্নেল তাহের ও ৭ই নভেম্বর সম্পর্কে যা বললেন-



রেকর্ডিংশুনুন









কর্নেল আবু তাহের ও ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ এর নাম অনেক শুনলেও তাদের ছবি খুব কমই চোখে পড়েছে তাই তাদের ছবি গুলো যুক্ত করলাম।



-কর্নেল আবু তাহের







-ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ





শহীদ জিয়া যিনি ছিলেন ৭ই নভেম্বরের নায়ক



তাই শহীদ জিয়া বাংলার মানুষের মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল অবদানের জন্য শহীদ জিয়াকে কৃতজ্ঞতা জানাই সকল দেশপ্রমিক বাংলাদেশী।







শহীদ জিয়া অত্যাধিক মেধাবী ছিলেন । যার জন্য জেনারেল জিয়াউর রহমান তাঁর পাঁচ বছরের শাসনামলে প্রায় ২১টি অভ্যুত্থানের মুখোমুখি হয়েছিলেন। ২১টি অভ্যুত্থান থেকে বেঁচে গেলেও ২২তম অভ্যুত্থানে তিনি মৃত্যুবরন করেন। এর অধিকাংশই ছিল ১৯৭১ সালের সেই সকল মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের সমন্বয়ে গঠিত, যারা জিয়ার ইসলামিক ভাবাপন্ন দলের সাথে সম্পর্ক সহ্য করতে পারেননি। ইসলামতো বাংলাদেশের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জরিত। তাই শহীদ জিয়া সবসময় ইসলামের পাশে থেকেছেন। তিনি এসব আন্দোলন দৃঢ়ভাবে দমন করেন।



প্রেসিডেন্ট জিয়উর রহমানকে হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে ৩০শে এপ্রিল, ১৯৮১-তে এই ক্যু সংঘঠিত হয় দেশের দক্ষিণের বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। রাষ্ট্রপতি জিয়ার প্রধান সেনাপতি এরশাদের ষড়যন্ত্রে একদল আর্মি অফিসার দ্বারা সংঘটিত এই ক্যুয়ের দায় চাপানো হয় জেনারেল মঞ্জুরের উপর। তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। প্রমাণ মুছে ফেলার জন্য ঢাকা থেকে ব্রিগেডিয়ার মাহমুদুল হাসানকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে পাঠিয়ে মঞ্জুরকে ক্যান্টনেমেন্ট বন্দী অবস্থায় হত্যা করা হয় বলে লরেন্স লিফশ্যুলজ দাবী করেন।



আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বাংলাদেশের সকল সত্য ইতিহাস উদঘাটন সম্ভব হবে যদি মিডিয়া গুলো রাজনীতি বাদ দিয়ে জনগনের পক্ষে দাড়ায়। কিন্তু সেটা কি আদৌ সম্ভব? মিডিয়া গুলো জনগনের পাশে দাঁড়ালে রাজনৈতিক দলগুলোও জনগনের পার্শ্বে দাঁড়াতে বাধ্য হবে। তা না হলে জনগনের দুর্ভোগ কোনদিনই শেষ হবে না বাংলাদেশে।





তথ্যসূত্র:

১. উকিপিডিয়া

২.বিবিসি বাংলা

৩. ছাত্রসংবাদ বাংলাদেশ



৪. দৈনিক দিনকাল

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪১

ফাহিম ইসলাম বলেছেন: লাইক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.