নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে তিনি যখন বিদ্রোহ ঘোষণার মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু করলেন তখন তিনি দেখলেন অস্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্য সংখ্যা মাত্র ৩০০। তিনি অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-অধিনায় ছিলেন। মাত্র সাত জন অফিসার এবং ৩০০ সৈন্য নিয়ে ছিল অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট।
এই স্বল্প সংখ্যক সৈন্য এবং অপ্রতুল অস্ত্র নিয়ে পাকিস্তানের সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন তিনি প্রথমে তাঁর বীরত্বের স্বাক্ষর রাখলেন। এই বিদ্রোহ ছিল এক দুঃসাহসিক কাজ, যা জিয়াউর রহমানের মতো সমরনায়কের পক্ষেই সম্ভব ছিল। পাক বাহিনীর হাতে ছিল প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। এমনকি চট্টগ্রামে একটি ট্যাংক রেজিমেন্টেও ছিল। এই বিপুল শক্তির বিরুদ্ধে মুখোমুখি যুদ্ধ করাটাও আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অবস্থান ছিল চট্টগ্রামের ষোলশহরের কাছে। তিনি আমাদের চট্টগ্রাম শহর থেকে কালুরঘাট ব্রিজ হয়ে কর্ণফুলী নদীর উপরে নিয়ে গেলেন।
যুদ্ধের রণকৌশল হিসেবে মেজর জিয়া আমাদের তখন জানান আমরা গেরিলা যুদ্ধের মতো একটি যুদ্ধ করব। সুযোগ বুঝে আক্রমণ চালাবো। এভাবে পাক বাহিনীকে আমরা হয়রানি করব। তাদের কোনোভাবেই আমরা স্থির থাকতে দেব না। এরই মধ্যে মার্চের ২৮,২৯ ও ৩০ তারিখে অন্যান্য অঞ্চলেও বাঙ্গালি সেনারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এটা ২৭ মার্চের রণতূর্যসম ঘোষণার প্রভাব।
বর্তমান হবিগঞ্জ জেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানে বাঙ্গালি সিনিয়র সেনা অফিসারদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঐ বৈঠকে মেজর জিয়াউর রহমান ছাড়াও মেজর শফিউল্লাহ, মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর (অব.) সি. আর দত্ত, আবু ওসমানসহ অন্যরা উপস্তিত ছিলেন। ঐ বৈঠকেই মুক্তিযুদ্ধের একটি সাংগঠনিক রূপ দেওয়া হয়। ঐ দিনই মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন সেক্টর করে দেওয়া হয়। তেলিয়াপাড়ায় অনুষ্ঠিত ৩ ও ৪ এপ্রিলের বৈঠকে আরো সিদ্ধান্ত হয় বাঙ্গালি সেনারা সশস্ত্র যুদ্ধ করবে, অন্য দিকে রাজনৈতিক নেতাদের খুঁজে এনে একটি সরকার গঠন করা হবে। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে গঠন করা হয় জেড ফোর্স, জেড ফোর্সের দায়িত্ব ছিল চট্টগ্রাম অঞ্চল। এছাড়া মেজর শফিউল্লার নেতৃত্বে এস ফোর্স এবং মেজর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে কে ফোর্স গঠন করা হয়।
*****************শমসের মবিন চৌধুরী, বীর প্রতীক
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮
দেশী ম্যান বলেছেন: এতদিনে বেচে থাকলে ফাসি হইতো, বাংলার সেরা রাজাকার হচ্ছে জিয়া। আর লিখসে কে দেখতে হবে না? তেলমারা রাজাকারের দল বিএনপির শমসের মবিন চৌধুরী। চোরের দল বিএনপি। রাজাকারের দল বিএনপি। জয় বাংলা।