নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুধু দেশের জন্য

জীবন অতি সংক্ষিপ্ত

গ. ম. ছাকলাইন

আমি একজন সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ

গ. ম. ছাকলাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞানী আমীর হোসেনের নতুন আবিষ্কার যন্ত্র চালিত পালকী : এবার কি তিনি পাবেন সরকারী সহযোগিতা

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৬



আবারো নতুন একটি যন্ত্র আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানী আমীর হোসেন। তার নাম ইন্জিন চালিত পালকী। কিছুদিন আগে তার একটি জ্বালানী বিহীন মটর গাড়ি আবিষ্কারের কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরেছিলাম। আজ আবার তার নতুন একটি আবিষ্কার আপনাদের সামনে তুলে ধরব। এবার আবিষ্কার করলেন পালকীর বিকল্প অটো পালকী। কি আছে এতে আসুন দেখি নিই একবার!

আপনারা যারা এখনো বিয়াসাদী করননি ছেলে বা মেয়ে, তারা সবাই এই অটো পালকিতে চড়ে বিয়া করতে পারেন। আর যারা ডেকোরেটর ব্যবসা করেন, তারাও এই অটো পালকি কিনে ব্যবসা করতে পারেন।

কি থাকছে আমীর হোসেনের এই পালকীতে-

:) বগুড়ার যন্ত্রবিজ্ঞানী আমির হোসেনের আবিস্কার করা এই যান্ত্রিক পালকির দাম ৮ লাখ টাকা।
:) ২২ জন চড়তে পারবেন।
:) পালকিটি প্রতি ঘণ্টায় পেট্রোলে চলবে ১২ কিলোমিটার।
B-) এই পালকির গতি ৩০ থেকে ৬০ কিলোমিটার।


পালকীর ছোট একটি ইতিহাস আগে জেনে নিই-

এক সময় কাঠের পালকি না হলে বিয়েই হতো না। ৩ জন করে বিয়ারা থাকতো। তাদের পোশাক ছিল লাল ফতুয়া এবং হাতে থাকতো লাঠি এবং লাঠির মাথায় থাকতো বল্লম। পরনে সাদা ধুতি, মাথায় গামছা বাঁধা থাকতো। বড় বড় গোঁফ। তাতে সরিষার তৈল মাখাইয়া গোঁফ পেঁচাইয়া রাখতো। পালকি চলমান অবস্থায় তাদের মুখে বুলি ছিল হু-হুম না, হু-হুম না। বর-কনে দু’জনই পালকিতে চড়ে বসে থাকতো। পালকিটি দু’জানালাবিশিষ্ট কাঠের তৈরি। জানালায় থাকতো পাতলা লাল-রেশমি কাপড়। পালকিটি যারা বহন করতেন তারা সংখ্যায় ৮জন। ৬ জন নিয়মিত বহন করতেন। আর ২ জন কাঁধ বদল করার জন্য রেডি থাকতো। এভাবে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাওয়ার ব্যবস্থা হতো। এই পালকি করে জমিদার-জমিদারণীরাও বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শনের জন্য যেতেন। কারণ, এই পালকি ছিল তাদের বাহন। আজ তা প্রায় বিলুপ্তের পথে। এখনকার প্রজন্ম জানেই না বা দেখেওনি পালকি জিনিসটা কি বা কোন কাজে ব্যবহার হয়। তা দেখতে কেমন!


এবার নতুন যুগের পালকী-

তাই নতুন রূপে চাকা লাগায়ে ইঞ্জিনের সঙ্গে সেটিং করে ৩ থেকে ৪শ’ বছরের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী পালকি ২০১৪ সালের অটো পালকি রূপে ফিরিয়ে এনেছে বগুড়া তথা দেশের আলোচিত যন্ত্রবিজ্ঞানী আমির হোসেন। অটো পালকির চালানোর জন্য হারিয়ে যাওয়া স্টিম ইঞ্জিনে আদলে তৈরি করা হয়েছে। সেই আমলে কয়লা চালিত রেলগাড়ি এখনকার প্রজন্মরা দেখেনি কিভাবে ধোঁয়া বের হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। সেই গাড়িটা নির্ভুল ভাবে তৈরি করেছেন আমির হোসেন।

সরকারী সহযোগীতার অভাবে আমীর হোসেনের আবিষ্কার বিশ্বের দরবারে মুখ তুলে তাকাতে পারছেনা। একটু সরকারী সহযোগীতা পেলে বাংলাদেশের ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা যেমন উপরে উঠে আসবে তেমনি বাংলাদেশের মুখ্ও বিশ্ব পরি মন্ডলে উজ্জল হবে। বাংলাদেশের সবকিছু নিয়ে রাজনীতি না করা হোক। কারণ আমাদের দেশের রাজনীতি আমাদেরকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর আমরা দেখছি অন্ধকার ভবিষ্যত, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। আসুন সবাই দেশের কথা ভাবি, দেশের জনগনের কথা ভাবি। আমরা অসুস্থ রাজনীতি চাই না!

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

সকাল রয় বলেছেন:

সুন্দর কাজ!

তবে সরকারের এত সময় কই এসব দেখার :(

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৪

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

দেশ যেহেতু জনগনের সেহেতু সরকারকেও জনগনের দিকেই বেশী লক্ষ্য রাখতে হবে।

আশা করি দলের স্বার্থ দেখার চেয়ে দেশের স্বার্থ বড় করে দেখবে এমন সরকার একদিন বাংলাদেশে অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে।

একদিন বাংলাদেশ নিশ্চয় এগিয়ে যাবে।

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫১

কলাবাগান১ বলেছেন: যদি কখনও জ্বালানী বিহীন মটরগাড়ী আবিস্কার হয়, তাহলে আইন্সটাইন নিউটন, ফ্যারাডে প্রমুখ বিজ্ঞানী রা কবর থেকে উঠে আসত বিজ্ঞানী আমীর হোসেন এর শিষ্য হওয়ার জন্য।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪০

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: ভাই মনে সাহস রাখেন। হতাশ হবেন না।
বাংলাদেশীরা একদিন নিশ্চয় অনেক কিছু করতে পারবে।

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

তানজীব তন্ময় বলেছেন: পালকির ডিজাইনটা খুব সুন্দর হয়েছে ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪১

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: ধন্যবাদ তানজীব ভাই।

৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

সুমন কর বলেছেন: শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪২

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন দা।

৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৯

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আসলেই পালকির কারুকাজ সুন্দর হয়েছে। দেখেই আবার বিয়ে করতে ইচ্ছে করছে। :P
আপনি যথার্থই বলেছেন, এই সব বিজ্ঞানীদের যদি সরকার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতো, তবে তারা অবশ্যই দেশের জন্য বিশ্ব দরবার থেকে গৌরব বয়ে আনতে পারতো। সরকারের সুনজর পড়ুক এই পালকির দিকে। ধন্যবাদ ছাকলাইন।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৫

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: বিদ্রোহী বাঙালী ভাই সম্ভব হলে মনের খায়েশ আরেকবার মেটান...... তবে মনে ভাবীর মতামত নিতে ভুলবেননা কিন্তু...

৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:২৪

জনসাধারণের মধ্যে একটি মলিন পট্টবস্ত্র বলেছেন: সরকার নিজের অবস্থান ধরে রাখার জন্য অনুদান খুঁজছে এই দিকে খেয়াল করার সময় কোথায়? উনার এই অভিনব আবিষ্কারের কথা জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো। এই জীর্ণ দেশে এখন সোনা ফলে। অনেক শুভকামনা উনার জন্য। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৭

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: জনসাধারণের মধ্যে একটি মলিন পট্টবস্ত্র কে ধন্যবাদ। যথার্থ বলেছেন ভাই।

৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫১

আদম_ বলেছেন: কাউকে বিজ্ঞানী বলার আগে একটু ভেবেচিন্তে বলা উচিত। বিজ্ঞানী-উদ্ভাবক-গবেষক তিনটা তিন জিনিস। আর এটা তেমন কিছু বানানো হয়নি যে সরকার এদিকে মনযোগ দেয়ার প্রয়োজন বোধ করবে।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫০

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: ভাল জিনিস দেখার সুযোগ নেই বলেই আজ আমাদের দেশের এই অবস্থা

৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪১

চলতি নিয়ম বলেছেন: >পালকিটি প্রতি ঘণ্টায় পেট্রোলে চলবে ১২ কিলোমিটার।
>এই পালকির গতি ৩০ থেকে ৬০ কিলোমিটার

এই লাইন দুইটা একটু বুজিয়ে বলুন।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৭

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: আমীর হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি

৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪

প্রসন্নআমি বলেছেন: পালকির স্টাইল তো রেলগাড়ির মতো,রেলমন্ত্রীর বিয়েতে এই পালকির উপস্থিতি খারাপ হতো না।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৪

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে... দেখা যাক আবার যদি এরকম সুযোগ আসে....

১০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০২

কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার আবিস্কার । শুভ কামনা ও সহযোগিতা কামনা করছি ।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: কলমের কালি শেষ হবার পরও কষ্ট করে শুভকামনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩১

ভারসাম্য বলেছেন: জ্বালানীবিহীন কথাটা ভুল, তবে আমীর হোসেন সাহেবের মেকানিক্যাল সেন্স ও স্কিল প্রখর। আগের গাড়ীটিতে তিনি রীচার্জেবল ব্যাটারী ব্যাবহার করেছেন এবং চার্জ বেশি সময় ধরে রেখে গাড়ী সচল রাখতে কার্বন স্টিক ব্যাবহার করেছেন বলে শুনেছি। যদিও সেই গাড়ীর টেকনিক্যাল ডিটেইলস জানা নাই, তবে তাঁর ভাষ্যানুযায়ী গাড়ীটাকে জ্বালানীসাশ্রয়ী বলা যেতে পারে কেবল।

যাই হোক, কিছু তথ্যগত বিভ্রান্তির কথা বাদ দিলে, আমার কাছে এটা মনে হয়েছে যে, তাঁর উদ্ভাবন হয়তো ভূয়া নয়। শুভকামনা আমীর হোসেন ও তাঁর পালকীর জন্য।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫২

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: যে সময় দেশের অনেক মানুষ নোংরা রাজনীতির পেছনে ছুটছে ঠিক সেই সময় একজন আমীর হোসেন দেশের জন্য কিছু আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন। ভুল, ত্রুটি থাকলেও এটাই আমাদের জন্য ভাল খবর। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর ও মুল্যবান মন্তব্যের জন্য।

১২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৭

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: আপনার আগের পোস্টের লিংক ঠিকমতো আসে নাই, নিচে দিলাম

জ্বালানীবিহীন গাড়ী নির্মান করল বাংলাদেশ: অর্ডার আট লাখ! শুধু অভাব সরকারী সহযোগীতার

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৮

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ক্ষতিগ্রস্থ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.