নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের এই মুহূর্তে একটাই আনন্দের জায়গা আর সেটা হলো ক্রিকেট। আর এই ক্রিকেটে আমরা আজ যাদের জন্য গর্বিত তারা হলেন মুশফিক-সাকিব জুটি। তারা সম্মান এনে দিয়েছে আমাদের জন্য।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে দলের জয়ের মূল অনুষঙ্গ হয়েছিলেন তাঁরা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গতকালকের ম্যাচে এই দুজনই আবারও দৃশ্যপটে আবির্ভূত হয়ে মান বাঁচালেন দলের। বাংলাদেশ দলের সেরা দুই তারকার স্বীকৃতি তাঁরা অনেক আগেই পেয়ে গেছেন। অনেকেই তাঁদের দুজনকে বলছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং স্তম্ভ। সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিম কি জানেন, দেশের জার্সি গায়ে ব্যাটিং জুটি গড়ে তাঁরা দুজন ইতিমধ্যেই নিজেদের নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়? ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসের সেরা ১০০ ব্যাটিং জুটির তালিকায় আছেন আমাদের সাকিব-মুশফিক। ৪৯টি ম্যাচে জুটি গড়ে এঁদের রেকর্ডটা কিন্তু রীতিমতো ঈর্ষা করার মতোই।
দুজনেরই ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল একই দিনে। ২০০৬ সালের ৬ আগস্ট। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে হারারেতে অনুষ্ঠিত শেষ ওয়ানডে ম্যাচটিতে। এর আগেই সিরিজ হেরে যাওয়ায় তরুণ সাকিব, মুশফিককে একটু পরখ করে নেওয়ার সাধ জাগল বাংলাদেশের তৎকালীন অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের। হাবিবুলের ইচ্ছার প্রতিদান সেদিন সাকিব-মুশফিক দিয়েছিলেন বেশ ভালোভাবেই। তাই তো তাঁদের আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রতিভার গুণেই তাঁরা নিজেদের বসিয়েছেন দেশের সেরা ক্রিকেটারদের তালিকায়।
সাকিব-মুশফিকের খেলা ওয়ানডে ম্যাচের সংখ্যাও প্রায় একই। মাত্র একটি ম্যাচের এদিক-ওদিক দুজনের খেলা ম্যাচের হিসাবে। সাকিব খেলেছেন ১৪৩টি ওয়ানডে, মুশফিক খেলেছেন ১৪২টি। ৪৯টি ম্যাচে এই দুজনের ব্যাটিং যুগলবন্দী ৩৯.৭৫ গড়ে বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছে ১৭৮৯ রান। এই দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠা শতরানের জুটি আছে চারটি, অর্ধশত বা তদূর্ধ্ব জুটি আছে আটটি। ১৪৮ রানের একটি রেকর্ড জুটিও এঁরা গড়েছেন কেবল গত বছরই।
ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের সবচেয়ে বেশি জুটি গড়েছেন শচীন টেন্ডুলকার ও সৌরভ গাঙ্গুলি। ১৭৬টি ম্যাচে জুটি গড়ে এই দুই ক্রিকেট-কিংবদন্তি ভারতকে উপহার দিয়েছেন ৮২২৭ রান। শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনে ১৪৮ ইনিংসে করেছেন ৫৮৯৯ রান। সাকিব-মুশফিক আসলেই নিজেদের অন্য উচ্চতাতেই নিয়ে চলেছেন।
সাকিব-মুশফিকের শেষ সাতটি জুটির গল্পগুলোও তেমন কিছুই নির্দেশ করে। সর্বশেষ সাতটি ইনিংসে আছে দুটি শতরানের জুটি। অর্ধশত রানের জুটি আছে চারটি। একটি জুটি শেষ হয়েছে পঞ্চাশ থেকে মাত্র তিন রান দূরে থেকে। এঁরা দুজন যেকোনো বিচারেই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের প্রতীক হয়ে উঠছেন—এ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য সুখের বিষয় আসলে এটিই।
সব শেষে বলতে চাই বাংলাদেশে ক্রিকেটকে উপলক্ষ করে রাজনৈতিক শান্তি ফিরে আসুক। আবার দেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটুক।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২৫
গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: বাংলাদেশ মুশফিক-সাকিবের হাত ধরে সামনে এগিয়ে যাক । ধন্যবাদ আপনাকে ।
২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:১৯
শাহরীয়ার সুজন বলেছেন: আশা করি সামনে ওরা আরও ভালো করবে।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২৮
গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: ওরা মানে মুশফিক আর সাকিব বাংলাদেশের ক্রিকেটের আইডল। ধন্যবাদ আপনাকে ।
৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৮
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: টাইগারদের জয়ের প্রত্যাশায়।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩০
গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: একই প্রত্যাশায় আমরা সবাই । ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
সামনে আরো ভাল করবে।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬
গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: অবশ্যই বাংলাদেশ এগিয়ে যাক, অনেক দূর এগিয়ে যাক। ধন্যবাদ আপনাকে ।
৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১২
রেজওয়ান26 বলেছেন:
সাকিব–মুশফিককে সারা বিশ্ব চেনে ভাবতেই ভাল লাগে। ভাললাগেনা শুধু দেশের রাজনীতি । যদি রাজনীতি মুক্ত বাংলাদেশ পেতাম!
সাকিব–মুশফিককে ওপরে চান গাভাস্কারও
০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:২০
গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: আপনার চাওয়া সফল হোক।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৪৯
আহসানের ব্লগ বলেছেন: আশা করি ।