নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুধু দেশের জন্য

জীবন অতি সংক্ষিপ্ত

গ. ম. ছাকলাইন

আমি একজন সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ

গ. ম. ছাকলাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সশস্ত্র নাস্তিকের হাতে ৩ জন নিরীহ মুসলিম খুন

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৪১

কোন হত্যাকন্ডই সমর্থনযোগ্য নয়। গত কয়েকদিনে আমাদের বাংলাদেশে অভিজিত হত্যাকান্ড নিয়ে যা হলো তা খুবই জঘন্য। অভিজিত খুন হবার সাথে সাথে কিছু ইসলাম বিদ্বেষী সরাসরি ইসলামকে আক্রমন করে ফোঁস ফোঁস করতে থাকে। এখন আস্তে আস্তে সত্য বের হবে আশা করি, যে কারা অভিজিতকে হত্যা করেছে। আমার মনে হয় কেউ মুক্তমনা হলে সমস্যা নেই তবে তার অর্থ যেন কাউকে আক্রমন করা না হয়, কারো বিশ্বাসে আঘাত দেওয়া না হয়।

যাই হোক সদালাপ ব্লগে একটি খবর পড়লাম যা খুবই দু:খজনক। এখন কি বলবেন স্ব-ঘোষিত নাস্তিকেরা। খবরটি ছিল এরকম গত ১১ ফেব্রুয়ারী বুধবার, ৪৬ বছর বয়স্ক ক্রেইগ স্টিফেন হিক্‌স নামক নর্থ কেরোলাইনার (North Carolina) এক শ্বেতাঙ্গ ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক ৩ জন মুসলিম ছাত্রকে, তাদের মাথায় গুলি করে, নির্মমভাবে হত্যা করে। নিহতদের নাম হচ্ছে জিয়া শাদী বারাকাত (ضياء شادي بركات), বয়স ২৩, তার নব-বিবাহিত স্ত্রী ইয়াসর মুহাম্মাদ আবু সালেহা (يسر محمد أبو صالحة), বয়স ২১ এবং তার শ্যালিকা, রাযান মুহাম্মাদ আবু সালেহা (رزان محمد أبو صالحة), বয়স ১৯। নিহত ৩ জনেরই জন্ম, বড় হওয়া ও পড়াশুনা হচ্ছে আমেরিকাতেই। বিবিসির আরবি সংবাদে বলা হয়েছে যে 'বিভিন্ন বিবেচনা এই মর্মে ইঙ্গিত প্রদান করে যে অপরাধের সাথে নিহতদের দ্বীন-ধর্মের বিষয় জড়িত থাকতে পারে' (لكن تكهنات أشارت إلى أن الجريمة قد يكون لها علاقة بديانة القتلى)।

এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডকে জিয়ার শ্বশুর ‘ইসলাম-বিদ্বেষী’ (hate crime) বলে উল্লেখ করেন। হত্যাকারী ক্রেইগ একজন ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক। তিনি নিজেকে সশস্ত্র নাস্তিক বলে উল্লেখ করেন। বিবর্তনবাদকে ভিত্তি করে বিজ্ঞানের নামে যে বৈশ্বিক চরমপন্থি নাস্তিক আন্দোলন রয়েছে, যার বাংলাভাষী রূপ হচ্ছে ‘মুক্তমনা’, তিনি তাদেরই একজন।

মুক্তমনারা ধর্মমুক্ত জগত দেখতে চায়। কারণ তাদের ধারণায় বিশ্বের সকল সমস্যার কারণ নাকি ধর্ম। এই 'বিশ্বাসে’ উদ্বুদ্ধ হয়ে উগ্রপন্থিরা অতি উদ্যমের সাথে ধর্ম-নির্মূলে আত্মনিয়োগ করে। এরা মূলের দিক দিয়ে ফ্যাসিস্ট ‘সম্প্রদায়’; তবে নিজেদের সাম্প্রদায়িকতা বেমালুম ভুলে গিয়ে ধর্মের লোকদেরকে সাম্প্রদায়িক বলে আক্রমণমুখী হয়। এরা ভাষার মারপ্যাঁচ ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে নিজেদের উগ্রতা ঢেকে রাখার প্রয়াস পায় যদিও কখনো কখনো থলের বিড়াল অমনিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রয়াত মিলিট্যান্ট নাস্তিক খ্রিষ্টফার হিচেন্স ছিলেন ইরাক আক্রমণের একজন কঠোর সমর্থক ও আগ্রাসী পক্ষের প্রবক্তা। তাদের আরেকজন, স্যাম হ্যারিস, শুধু যে সে যুদ্ধের পক্ষেরই একজন তা নয়, বরং বোমা ফুটিয়ে গোটা আরব-ভূখণ্ডের সকল আরব মুসলমানদেরকে উড়িয়ে দেয়ার পক্ষেও। এই হচ্ছে তাদের মানসিক জিঘাংসা।

যদিও বুধবার থেকে ঘটনাটিকে হাল্কাদৃষ্টিতে উপস্থাপন করতে আমেরিকা ও ইউরোপীয় সংবাদ কর্মীরা নানান শব্দ ও শব্দমালার আশ্রয় নিচ্ছেন কিন্তু সজাগ পাঠকমহলে তা হাস্যকর ঠেকাচ্ছে। কেননা এই কাণ্ডটি যদি কোনো মুসলমান করে ফেলত, এবং নিহতরা যদি শ্বেতাঙ্গ বা অমুসলিম হত, তবে সেক্ষেত্রে শব্দসম্ভার কীভাবে সাজিয়ে আসত এবং কোন উত্তেজনায় মিডিয়া ফেটে পড়ত তা পাঠকমহল সহজেই অনুমান করতে পারেন, কেননা চার্লি-এব্দো এখনো তরতাজা।

এখনো আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ওমাবা তার মিডিয়া-বাহিনীসহ স্ট্যাজ সাজিয়ে পতাকা-সম্মুখে, ধরাশায়ী হওয়া এই ৩ জন আমেরিকান নিয়ে, কিছুই বলতে বের হননি। এর কারণটি যে কি তা নিয়ে কেউ কিছু বলার সাহস না রাখলেও তুর্কির প্রেসিডেন্ট কিছু একটা বলতে পেরেছেন। এখানে দেখুন।

চার্লি এব্দোর উত্তেজনা ও বিষদগার মুসলমানদের মাথায় বহন করা ছাড়া উপায় ছিল না। এমনকি বঙ্গাল-মুক্তমনারা যারা ইসলাম নির্মূলের জন্য তাদের ইউরোপীয় জ্ঞাতি ভাইদের সাথে মিতালি দিয়ে তাদেরই তথ্যে বাংলায় আক্রমণ ও প্রোপাগান্ডার যুদ্ধ করছে তাদেরকেও সবাই ‘হুক্কা-হুয়া’ ‘হুক্কা-হুয়া’ ধ্বনি তুলতে দেখেছেন। এখনো কাগজ ও ব্লগের পাতা উল্টালেই তরতাজা দেখতে পাবেন। তবে গা-বাঁচাতে উগ্রবাদীদের ডকিন্সমোল্লা এই ঘটনার নিন্দা করেছেন কেননা চার্লি এব্দোর বিষদগারের তরতাজা মূহুর্ত্তে এমন কিছু না বলে লুকিয়ে থাকার উপায় ছিল না।

নোট ১: এই শিরোনামটি মুসলিমগণ যেভাবে শিরোনামে আসেন সেই বাস্তবতা 'পেরোডি' করে দেয়া হয়েছে। মুসলিমগণ যেভাবে এসব দেখে শিহরে ওঠেন সেই শিহরণ দেখাতে। আমরা কখনো মনে করি না যে এই ঘটনার জন্য গোটা নাস্তিক সম্প্রদায় দায়ী অথবা তাদের কেউ এর জন্য এপোলোজেটিক হতে হবে। আমাদের বক্তব্য কেবল উগ্র-নাস্তিকতার বিপক্ষে, যা অন্ধ, যা বিজ্ঞানবাদের ভাওতাবাজিতে মানবতাবিমুখ।

নোট ২: এই লেখাটি একটু তাড়াতাড়ি লিখতে হল। তাই কোথায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করে গেলে কেউ মন্তব্য সেকশনে সংযোগ করে দিলে খুশি হব। অগ্রিম ধন্যবাদ। শহীদদের স্মরণে তাদের ফ্রেণ্ডবন্ধুরা একটি ফেসবুক তৈরি করেছেন। লিঙ্ক এখানে Facebook page । তাছাড়া এর উপর একটি ভিডিও সংযোগ করছি। লিঙ্ক এখানে

উৎস: এখানে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.