নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুধু দেশের জন্য

জীবন অতি সংক্ষিপ্ত

গ. ম. ছাকলাইন

আমি একজন সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ

গ. ম. ছাকলাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এইদিনে মুসলিম হত্যার ইতিহাস যারা সৃষ্টি করেছিল

৩১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:২১

বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ হলেও আমরা মুসলিমরা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, চরিত্র, ধর্ম ও সংস্কৃতি সবকিছুই যেন ভুলে গেছি! মুসলিম হিসেবে কী করণীয় তা খুঁজে দেখি না। এক কথায় বিবেকের দায়বদ্ধতা নেই বললেই চলে। জ্ঞান চর্চা না করে চরিত্রহীনদের অনুকরণের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। তার একটি দৃষ্টান্ত হলো ‘এপ্রিল ফুল’ উদযাপন করা।

নিজেরা যেমন এ অপসংস্কৃতির সাথে জড়িয়ে পড়ছি তেমনি আমাদের সন্তানরাও অজ্ঞতাবশত এ অপসংস্কৃতি পালন করছে। ইংরেজি এপ্রিল ফুলের অর্থ এপ্রিলের বোকা। স্পেনের তৎকালীন খ্রিস্টানরা মুসলিমদের বোকা বানিয়েছে বলেই নামটি এ রকম।

মুসলিমপিডিয়া, জুইস এনসাইক্লোপিডিয়া ও অন্যান্য এনসাইক্লোপিডিয়া ও ইতিহাস গ্রন্থের বরাতে জানা যায়,

সেই ঘটনাটি এরকম ছিল:

স্পেনের অত্যাচারিত মানুষদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুসলিম বাহিনী ৯২ হিজরি মুতাবেক ৭১১ খ্রি. স্পেনে প্রবেশ করে। মুসলিমগণই ইউরোপের মানুষদের জ্ঞানবিজ্ঞান শিক্ষা দেন। মুসলিম স্পেনের গ্রানাডা, কর্ডোভা ও অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পড়তে আসত। ৭১১-১৪৯২ খ্রি. পর্যন্ত প্রায় আটশ বছর স্পেন, ফ্রান্স ও পর্তুগাল মুসলমানরা শাসন করেছিল। এটি ছিল মুসলমানদের জন্য স্বর্ণযুগ। শেষ দিকে তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ছড়িয়ে পড়ে। মুসলিমরা কুরআন-সুন্নাহ ভুলে গিয়ে দুনিয়ার মায়ায় মত্ত হয়ে নেতার নির্দেশ অমান্য করায় পারস্পরিক শত্রুতা বেড়ে গেল। তখনই তারা স্পেন ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। ফলে খ্রিস্টানরা ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন অঞ্চল মুসলিমদের থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়। আজ থেকে ৫২২ বছর আগে মুসলিম অধ্যুষিত ৮৯৮ হিজরি মোতাবেক ১৪৯৩ খ্রি. রাজা ফার্দিনান্ড ও রানী ঈসাবেলার যৌথ উদ্যোগে মুসলিমদের শেষ রাজধানী গ্রানাডা দখল করতে সক্ষম হয়। জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য, চিকিৎসা, রাজনীতি, স্থাপত্য, শিল্প ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দেখে মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য রাজা ফার্দিনান্ড এক ভয়ঙ্কর ফন্দি আঁটলো। মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হলো। মুসলমানরা রাজা-রানীর কাছে আত্মসমর্পণ করলেন।

এমতাবস্থায় ফার্দিনান্ড ঘোষণা করেছিল, যারা মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নেবে তাদের নিরাপদে আশ্রয় দেওয়া হবে। তার ঘোষণায় চল্লিশ হাজার মুসলমান আত্মবিশ্বাসী হয়ে গ্রানাডার বিভিন্ন মসজিদে আশ্রয় নিলেও তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। মসজিদের দরজাগুলো বাহির থেকে বন্ধ করে দিয়ে মসজিদের মেঝেতে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে মুসলিমদের হত্যা করেছিল রাজা ফার্দিনান্ড। ঐতিহাসিক এক বর্ণনা মতে তিন দিন পর্যন্ত হত্যাকা-ের উৎসব চলেছিল। মসজিদের বাহিরেও অসংখ্য মুসলিমকে আগুনে পুড়িয়ে, পাহাড় থেকে ফেলে, সমুদ্রের মধ্যে জাহাজ ডুবিয়ে ও গণজবাই করে হত্যা করা হয়। অনেককে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়। অথচ মুসলমানরা এ রকম একটি অবস্থার জন্য প্রস্তুত না থাকায় তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেদিন খ্রিস্টানগুরুর আদেশে জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল সূত্র লক্ষ লক্ষ আরবি পুস্তক পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। শুধু মুসলিমগণ নয়, ইয়াহুদীদের উপরও খ্রিস্টানগণ একই রূপ অত্যাচার করে। এ সময়ে রাজা ফার্দিনান্ড উপহাস করে বলেছিল, হায় মুসলমান! তোমরা হলে এপ্রিলের বোকা। মুসলিমদের মিথ্যা আশ্বাসের মাধ্যমে বোকা বানানোর সময়কে স্মরণীয় করে রাখতে এপ্রিল ফুল পালন করা হয়। অবশেষে খ্রিস্টানরা কর্ডোভার সেই ঐতিহাসিক মসজিদটিকে গীর্জায় পরিণত করেছে। মসজিদের ভেতরে দরজা ও জানালার ফাঁকে ফাঁকে মূর্তি স্থাপন করেছে। এভাবেই মুসলিম ঐতিহ্যকে ধ্বংস করা হয়েছে।

মহানবীর ভাষ্য মতে, যারা মিথ্যা রটায় তারা সবচেয়ে নিকৃষ্ট মাখলুক। তাছাড়া কথা বলার সময় মিথ্যা বলা মুনাফেকের চিহ্ন। সব শোনা কথা বলাও হারাম।

মুসলিম শরীফে হাফস বিন আসেম থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন, ব্যক্তির মিথ্যুক হওয়ার জন্য এতটুকু যথেষ্ট যে, সে যা শোনবে তাই বলবে। কেহ কেহ হাসি-তামাশার ছলে মিথ্যা বলাকে বৈধ মনে করেন। যা আদৌ সঠিক নয়।

রানী ঈসাবেলার তখনকার মসকরা আজ ধোঁকা দিবসে পরিণত হয়েছে।
বর্তমান সময়েও যারা ইসলামের পক্ষে কাজ করছে তাদের উপর চলছে রিমান্ডের নামে স্টিমরোলার, সুস্থ অবস্থায় ধরে নিয়ে পায়ে গুলি চালানো, হ্যান্ডকাপ পরিয়ে বেধড়ক পিটুনি থেকে বাদ যাচ্ছে না সাধারণ নাগরিক থেকে সংবাদকর্মীরা। বুকে গুলি থাকলেও গণপিটুনির মতো মিথ্যা গল্প, আগুন দিয়ে মানুষ মারা, অস্ত্র উদ্ধার ও ক্রস ফায়ারের নামে হত্যাকান্ডের মতো সাজানো নাটক যেন ঈসাবেলার সেই জুলুমকে স্মরণ করিয়ে দেয়। কোন অবস্থায় আমরা বসবাস করছি বিবেকের কাছে সে প্রশ্নই বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে।


সর্বোপরি কথা হলো, স্পেন থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের কর্তব্য হচ্ছে এসব অনুষ্ঠান প্রত্যাখ্যান করা। ইসলামী জীবন বিধান ব্যক্তিজীবনে ধারণ করা। অমুসলিমদের রীতিনীতির অনুসরণ করার বিষয়ে সতর্ক থাকা।


তথ্য: Click This Link target='_blank' >১. এপ্রিল ফুল

২. ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া সম্পাদিত ‘পহেলা এপ্রিল’।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

নতুন বলেছেন: গল্পে একটা গলদ আছে..... :)

আপনাদের কাহিনির স্থান হইলো স্পেন....

তো স্পেনিসরা কোন ভাষায় কথা বলে????? >>> স্প‌্যানিস

April Fools' Day এইটা কোন ভাষার থেকে আইছে?? == ইংরেজী ভাষার শব্দ,,,


এখন কথা হইলো ১৪৯৩ খ্রি স্প‌্যানিসরা কেন Fools Fools বইলা চিক্কুর পারছিলো???

স্প‌্যানিস ভাষায় idiota / tonto, loco এই শব্দ Fool বা Fools বা বোকা বোঝাতে ব্যবহার করে থাকে...

এখন প্রশ্ন হইলো নিজেদের ভাষা বাদ দিয়া কেন স্প‌্যানিসরা ঐ দিনে ইংরেঝীতে April Fools কইয়া চিক্কুর পারছিলো... আর এতো দিন কেন তারা ঐ আংরেজীতেই ঐ দিন পালন করে আসছিতেছে...

এটা নিয়া ব্যপক গবেষনার দরকার আছে...

কারন স্প‌্যানিসরা এপ্রিলের ১ম দিনে কোন বোকা বানানো দিবস পালন করে না...

তারা ২৮শে ডিসেম্বরে el Día de los Santos Inocentes, বলে থাকে...

http://spanish.about.com/b/2014/04/01/spains-equivalent-of-april-fools-day-is-dec-28.htm

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

নতুন বলেছেন: http://en.wikipedia.org/wiki/April_Fools'_Day উইকি পিডিয়ায় দেখতে পারেন যে স্প‌্যানিসরা April Fools' Day ঐতিয্যগত ভাবে পালন করেনা.... এটা স্প‌্যানিস উতপত্তি না... তারা পালন করে ২৮শে ডিসেম্বর...

Comparable prank days[edit]
28 December, the equivalent day in Spain and the Hispanic America, is also the Christian day of celebration of the "Day of the Holy Innocents". The Christian celebration is a holiday in its own right, a religious one, but the tradition of pranks is not, though the latter is observed yearly. After somebody plays a joke or a prank on somebody else, the joker usually cries out, in some regions of Ibero-America: Inocente palomita que te dejaste engañar ("You innocent little dove that let yourself be fooled"). In Mexico, the phrase is ¡Inocente para siempre! which means "Innocent forever!". In Argentina, the prankster says ¡Que la inocencia te valga!, which roughly translates as a piece of advice on not to be as gullible as the victim of the prank. In Spain, it is common to say just ¡Inocente! (which in Spanish can mean "Innocent!", but also "Gullible!"). Nevertheless, on the Spanish island of Minorca, Dia d'enganyar ("Fooling day") is celebrated on 1 April because Menorca was a British possession during part of the 18th century. In Brazil, the "Dia da mentira" ("Day of the lie") is also celebrated on 1 April.[18]

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫৫

ইলুসন বলেছেন: ভাই, প্রতি বছর এমন কিছু পোস্ট আসে যেগুলোর কোন ভিত্তি নাই। আরেকটু পড়ালেখা করা দরকার এসব নিয়ে।

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৪৯

রামন বলেছেন:
১৪৯৩ সালে ইসাবেলা ও ফার্নান্দ কর্তৃক মুসলমানদের হতাকান্ডের ইতিহাস লিখতে গেলে স্পেন বিজয়ী তারেক বিন জায়েদের অপকর্মের ইতিহাস টেনে আনতে হবে কারণ ইতিহাসের এই দুটি অধ্যায় এক সুত্রে গাথা। ৭১১ সালে তারেক স্পেনের আরাগনের সারাগোসা শহর দখল করার প্রাক্কালে যে ন্যাক্কারজনক গণহত্যা চালিয়েছিলেন তা ছিল ইসলামের ইতিহাসে কলংকিত অধ্যায় । তারেক একের পর এক শহর টোলেডো, লেয়ন, অস্তর্গা ইত্যাদি দখল করার পর সারাগোসায় এসে বাধাপ্রাপ্ত হন ভিসিগথ রাজার্ দুর্বল সেনাবাহিনীর দ্বারা। জয়ের নেশায় উন্মাদ হয়ে শহরের এক অংশ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে তিনি। তার আদেশে শহরের বসবাসকারী অবুঝ শিশু ও মেয়েদেরকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়। পুরুষদের ধরে ক্রুশ বিদ্ধ করে হত্যা করা হয়। মেয়েদেরকে বানানো হয় সেবা দাসী। সেসময় যারা ইসলামের ছায়াতলে আসার অঙ্গীকার করেছিল কেবল তারাই প্রাণে রক্ষা পেয়েছিল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপট ও ধারাবাহিকতায় সৃষ্টি হয়েছিল হিটলারের তৃতীয় রাইখ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ- এই সত্যটি যেমন অস্বীকার করা যাবে না তেমনি স্পেনের ইতিহাসে ৭১১ সাল এবং ১৪৯৩ সালকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই।

৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:৫৬

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.