নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুধু দেশের জন্য

জীবন অতি সংক্ষিপ্ত

গ. ম. ছাকলাইন

আমি একজন সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ

গ. ম. ছাকলাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

'বিভিন্ন ধর্ম' নিয়ে একটি গবেষনার ফলাফল

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮

সম্প্রতি পিউ রিসার্চ সেন্টার বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধর্মের বিকাশের গতি, জনসংখ্যার জন্মহার, তরুণ জনগোষ্ঠির মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা এবং ধর্মান্তরকরণের হার নিয়ে গবেষনা করেছে। সারা বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ কোন না কোন ধর্ম পালন করে আবার কিছু মানুষ আছে যারা কোন ধর্মই পালন করে না আবার কিছু মানুষ আছে যার শুধু অন্যের ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করে । তবে যারা অন্যের ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করে তারা আসলে পথভ্রষ্ঠ মানুষ, তাদের উদ্দেশ্য হলো মানব জাতির মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা । যাইহোক এসব পথভ্রষ্ঠ ও সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী মানুষকে ঘৃনা জানা্ই।


সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, ২০৫০ সাল নাগাদ খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বী ও ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা প্রায় সমান হয়ে যাবে। আর ২০৭০ সালের পর সব ধর্মকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধর্মের জায়গাটি নেবে ইসলাম।

এখন দেখি গবেষনায় কি ছিল:

প্রভাবশালী মার্কিন পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমসের সহ-প্রকাশনা দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরে। পিউ রিসার্চ সেন্টার বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধর্মের বিকাশের গতি, জনসংখ্যার জন্মহার, তরুণ জনগোষ্ঠির মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা এবং ধর্মান্তরকরণের হার বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে যে, বর্তমানে ইসলামই সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম। আর এই হার অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালেই ইসলাম খ্রীষ্ট ধর্মের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে বলে গবেষণাটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। ২০১০ সালের হিসেব থেকে দেখা যায়, ২১৭ কোটি খ্রিষ্টানের বিপরীতে বিশ্বের ১৬০ কোটি মানুষ ইসলাম ধর্মানুসারী। আর গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য বলছে ২০৫০ নাগাদ এই সংখ্যা দাঁড়াবে, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী ২৯২ কোটি এবং ইসলাম ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠি ২৭৬ কোটি। যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার যথাক্রমে ৩১.৪ এবং ২৯.৭ শতাংশ। হিন্দু জনগোষ্ঠি হবে তৃতীয় বৃহত্তম, ১৪.৯ শতাংশ। মজার ব্যাপার হলো, এরপরেই সবচেয়ে বড় অংশটি কোনো ধর্মই অনুসরণ করেন না এমন মানুষদের। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার শতকরা ১৩.২ ভাগ নিয়ে চতুর্থ স্থানে থাকবেন এই জনগোষ্ঠি। বৌদ্ধ ধর্ম একমাত্র ধর্ম যার অনুসারীরা এই সময়ের মধ্যে সংখ্যায় বাড়বে না। এর কারণ হিসেবে দীর্ঘায়ু এবং কম জন্হারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইউরোপ এবং আমেরিকা উভয় অঞ্চলেই খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা হ্রাস পাবে। যুক্তরাষ্ট্রে এই হার তিন চতুর্থাংশ থেকে দুই তৃতীয়াংশে নামবে। ইউরোপের ১০ শতাংশ মানুষের ধর্ম হবে ইসলাম। অন্যদিকে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সে বাড়বে নাস্তিকদের সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রে অখ্রিষ্টীয় ধর্ম হিসেবে ২০৫০ নাগাদ ইহুদীবাদকে জনপ্রিয়তায় ইসলাম ছাড়িয়ে যাবে বলে বলছে গবেষণাটি। গবেষণাটি বলছে, ২০৫০ সালে ভারত ইন্দোনেশিয়াকে হটিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হবে, তবে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতা তখনও থাকবে দেশটিতে। মূলত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাবে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা। বিশ্বের ১৭৫টি দেশের ২ হজার ৫০০ জরিপ থেকে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে এই বিশ্লেষণ করেছে পিউ। তবে, তারা বলছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বড় ধরণের সামাজিক, অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক পরিবর্তন, সশস্ত্র যুদ্ধ, ইত্যাদি বিষয়গুলো এই স্বাভাবিক প্রবণতাকে ব্যাহতও করতে পারে। তা না হলে, ২০৫০ সাল নাগাদ এমনটাই হবে বিশ্বের ধর্মভিত্তিক ভূগোল।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯

আছিফুর রহমান বলেছেন: ভাল পোস্ট

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: ধন্যবাদ আছিফুর ভাই।

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

সরদার হারুন বলেছেন: হতে পারে আবার নাও হতে পারে । লেখাটায় উপাত্তের অভাব পরি লক্ষিত হয়

+++++++++++++

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: অবশ্যই হারুন ভাই, এটা হতে্ও পারে আবার নাও হতে পারে। এটা একটা পূর্বাভাষ মাত্র। তবে ইসলাম ধর্মের জন্য পজিটিভ। ধন্যবাদ আপনাকে ।

৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: হুম হইতেও পারে।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১২

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: হ্যাঁ ভাই কাউন্টার নিশাচর, পরিসংখ্যান তাই বলে । ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৫২

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: ভাল লাগল, এরকম একটি বিষয় তুলে ধরবার জন্য ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই প্লাবন২০০৩ ।

৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:৩৭

সরদার হারুন বলেছেন: ইদানিং দেখা যাচ্ছে যে অনেক ভাই ধর্মনিয়ে একটু বেশী লেখা দিচ্ছে। সে অনুপাতে সাহিত্য ও বিজ্ঞান লেখা নেই বললেও চলে । আবার অনেকেই ধর্মের
উপর অশালিন বিরুপ মন্তব্য করে খুনাখুনির মত ঝামেলার সৃষ্টি করে । অথচ লেখার মান ভাল হয়না ।

আমার মতে তার চেয়ে সাহিত্য এবং বিজ্ঞান নিয়ে লিখলে নতুন কিছু জানা যায় এবং ঝামেলা মুক্ত থাকা যায় ।

কোরআন শরিফে বিজ্ঞানের উপর অনেক আয়াত আছে
সে গুলির উপর যদি পারেন লিখেন ,আমরা শিখি ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন হারুন ভাই। আপনার সুন্দর পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.