নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুধু দেশের জন্য

জীবন অতি সংক্ষিপ্ত

গ. ম. ছাকলাইন

আমি একজন সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ

গ. ম. ছাকলাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সূরা কাহফের ৫০ নং আয়াত ও আমাদের বর্তমান অবস্থা

০২ রা মে, ২০১৫ রাত ১০:৩১

বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার প্র্রেক্ষিতে বলা যায় আমরা যে পথে চলছি তা হয়তোবা সঠিক নয়। কারন মিথ্যাকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত করার একটা প্রয়াস সবসময়ই চলছে। আমরা ভুলে যাচ্ছি আমাদের জন্মকে আমাদের সৃষ্টিকর্তাকে। যিনি আমাদেরকে নিয়মিত রিজিক দান করছেন। যিনি আমাদেরকে সার্বক্ষনিক বিপদ মুক্তরাখছেন।

গতকাল বিকেলে কোরআন শরীফের সূরা কাহফ পড়ার সময় সূরাটির ৫০ নং আয়াতের একটি ব্যাখ্যা পেলাম। যেটা পড়ে আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থর সাথে ব্যাপক মিল খুঁজে পেলাম। তাই বিষয়টি নিয়ে লেখার ইচ্ছা হলো।

পবিত্র কোরআন শরীফের সূরা কাহফের ৫০ নং আয়াতের বঙ্গানুবাদ এরকম-

এবং স্মরণ কর, আমি যখন ফিরিশতাগণকে বলিয়াছিলাম, ‘আদমের প্রতি সিজ্দা কর', তখন তাহারা সকলেই সিজ্দা করিল ইব্লীস ব্যতীত; সে জিনদের একজন, সে তাহার প্রতিপালকের আদেশ অমান্য করিল। তবে কি তোমরা আমার পরিবর্তে উহাকে এবং উহার বংশধরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করিতেছ ? উহারা তো তোমাদের শত্রু“। জালিমদের এই বিনিময় কত নিকৃষ্ট!


আয়াতটির ব্যাখ্যা (টীকা):

পার্থিব লাভ এবং আখিরাতের প্রতি অমনোযোগীতাই হেদায়েতের অন্তরায়। দুটি কারনে এ অন্তরায় সৃষ্টি হয়:

১. ধনৈশ্বর্য ও এর উপকরন এবং সন্তান-সন্ততি যার নেশায় সে এমন বিভোর হয় যে সে না আখিরাতের কোন চিন্তা করতে পারে আর না সেখানকার পাথেয় তৈরীর সময় পায়।

২. শয়তান এবং ততবংশধররা অথবা তদানুগত্যশীল মানুষ। তার কুমন্ত্রনা মানুষের মনে এমন কুধারনার সৃষ্টি করে, যা সারাক্ষনই মানুষকে অন্যায় ও পঙ্কিল বিষয় সমূহের দিকে তাড়াতে থাকে।

অত:পর শয়তানের এই কুমন্ত্রনা চালিত ধ্যান ধারনার উপর কিছু দিন অতিক্রান্ত হলে তা একটি রেওয়াজে পরিনত হয়ে যায় এবং তা বংশানুক্রমে কয়েক পুরুষপর ধর্ম হিসাবে সাব্যস্ত হয়ে যায়। যাকে তারা অত্যন্ত শুশোভিত দ্বীন দুনিয়ার কল্যান কর কাজ ভাবে, এমন কি তার পক্ষে আল্লাহর নবীর সাথে পর্যন্ত যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে যায়।

এরকমই ছিল ব্যাখ্যাটি।

বিশ্লেষন:

এখন আমরা যদি একটু গভীরভাবে চিন্তা করি তবে দেখতে পাব যে, ধনৈশ্বর্য ও এর উপকরন এবং সন্তান-সন্ততি যার নেশায় আমরা আসলেই গভীরভাবে মগ্ন। ধনৈশ্বর্য বাড়ানোর জন্য আমরা ভাল বা খারাপ পথ বিবেচনা করছিনা। যেভাবেই হোক ধনৈশ্বর্য বাড়ানোই আমাদের লক্ষ্য। আর এ অন্ধ লক্ষ বাস্তবায়ন করার ফলে সমাজে একটি শোষিত শ্রেনী তৈরী হয়েছে । যারা সবসমই গরীব। এর দায় সেইসব অন্ধরা কি কখনো এড়াতে পারে?


শয়তান কুমন্ত্রনা মানুষের মনে এমন কুধারনার সৃষ্টি করে, যা সারাক্ষনই মানুষকে অন্যায় ও পঙ্কিল বিষয় সমূহের দিকে তাড়াতে থাকে, যার ফলে সমাজে বিভিন্ন অনাচার, অযাচার নিয়মিত লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

যদি সত্য ও সুন্দর জীবন আমরা প্রত্যাশা করি তবে অবশ্যই এসব কিছু থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে আর সত্য ও সঠিক ইসলামের আলোকে আমাদের জীবন গড়তে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.