নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা সেই কৈশোর থেকেই । মাঝে মাঝে লিখতেও চেষ্টা করি । যেই সাহিত্য আমাকে ধরেছে, সেই সিলেবাস আমাকে দূরে সরিয়ে দিছে । সুতরাং একাডেমিক কন্ডিশন চরম বাজে । প্রচণ্ড অলস এবং অসামাজিক । নিজের কাজের প্রতি চরম বিশ্বাসহীনতা । মাঝে মাঝে সবকিছুকেই অনর্থক ফাও ফাও মনে হয় । এমনকি বেঁচে থাকাটাও । তবুও বেঁচে আছি । কেন ? জানি না । শুধু জানি, কিছু একটা করতে হবে । কী সেটা ? তাও জানি না । মানবজন্মটাকে এভাবে বৃথা চলতে দেয়া যায় না, এই ভেবেই বোধোহয় আরেকটু বাঁচবার লোভ হয় ।
শুধুই অবিশ্বাসের অন্ধকার : ১ম পর্ব
শুধুই অবিশ্বাসের অন্ধকার : ২য় পর্ব
‘ আজ তো বুধবার; আগামীকাল বৃহস্পতিবার আছে । ছুটি শেষে সোজা তিন তালার কমনরুমে ডেকে নিয়ে যাবি । আমরা দু’জন বাইরে থেকে তোকে সিকিউরিটি দিব; তুই কাজ সেরে ফেলবি । ’
‘উহ মাম্মা । গ্রেট আইডিয়া, গ্রেট আইডিয়া ।’ উত্তজিত হয়ে উঠে শুভ । কিন্তু অনিক নিঃশ্চুপ ।
‘কীরে, আইডিয়াটা তোর কেমন লাগল অনিক ?’ ইমরান জিজ্ঞেস করে ।
‘না আইডিয়া ভালোই । কিন্তু দোস্ত...’
‘কোন কিন্তু টিন্তু নেই । তাহলে কাল দেখা হচ্ছে কেমন । এটাই ফাইনাল । টেনশন ফিল করার কোন কারণ নেই । এ রকম কেইস আরো সলভ্ করছি । একেবারি সিম্পল হিসাবে নে । দেখবি যে সাকসেস্ ।’ অনিককে ভরসা দিয়ে উঠে পড়ে ইমরান ।
‘আচ্ছা আমরা যাই অনিক ।’ শুভও উঠে পড়ে ।
অনিক তখনো নিঃশ্চুপ । আর একা একা এখানে বসে থেকে কী করবে; অনিকও উঠে পড়ে । সকালের চকচকে রোদ তার দৃষ্টিকে একটুও আকৃষ্ট করে না । ভিতরে যে তার বিপুল আঁধার । সেই আঁধারে ‘মায়া’ নাম্নী প্রদীপের পূর্ণ স্পর্শ ছাড়া তার যে মুক্তি নেই ।
আধঘন্টা পার হয়ে গেলে ছুটি হয়ে গেছে । মায়া ক্লাসরুমের বারান্দায় অপেক্ষমান । কিন্তু অনিকের এখনো কোন খোঁজ নেই । তার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় যায় অবস্থা । আর পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করবে । তারপর গো ।
অবশেষে অনিকের ফোন পেয়ে তিনতালার কমনরুমের সামনে যায় মায়া । অনিক নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে আছে । ভীষণ ঘামাচ্ছে সে ।
‘অনিক, কী অবস্থা তোমার ? আজ ক্লাসে আস নি কেন ? তুমি আসলে ইদানিং কেমন কেমন হয়ে গেছ?’ মায়া কথাগুলো বলতে বলতে চোখ মুখ সব লাল হয়ে উঠে । অনিকের মুখে কোন শব্দ নেই । চোখ নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে ।
‘কী হল, কিছু বলছ না যে । আমাকে এতক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখলে, আর এখন বোবার মত দাঁড়িয়ে আছ । কিছু বলবে না ? তাহলে আমি চললাম ।’ এক কদম সামনে এগুতেই মায়াকে পিছন থেকে ঝাপটে ধরে অনিক । সমস্ত শরীর কেঁপে উঠে মায়ার । নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার কোন চেষ্টাই করে না মায়া । শুধু তার চোখ দুটি হতে ঝর্ণাজলের স্রোতের মত অশ্রু নামছে । চোখ বুজল মায়া, সে দেখতে পেল— একটা ভয়ানক বজ্রের আঘাতে তার ভালোবাসার ছোট্ট চারা গাছটা মূহুর্তেই ঝলসে গেল । ততক্ষণে নির্জন কমনরুমের ভিতরে অনিক তার বহুল প্রতীক্ষিত শিকারকে নিয়ে আসে । এবার মায়া অনিকের বাহুবন্ধন থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয় । মুখভর্তি থুতু অনিকের মুখে ছুঁড়ে মেরে দৌড়ে বাইরে চলে এসে টিস্যু পেপার দিয়ে চোখের জল মুছতে থাকে । এমন সময় মায়া আরো দুটি মাংসভোগী ক্ষুধার্ত কুকুরকে দেখতে পায় । তাদের মুখে বিভৎস হাসি । আরো জোরে দৌড়াতে থাকে মায়া । যে দিকে তাকায় সে— শুধুই অবিশ্বাসের অন্ধকার ।
দিনের আলো নিভু নিভু করছে । পশ্চিম আকাশে দৃষ্টি মেলে অনিক । লাল রঙ ছড়াতে ছড়াতে একটু একটু করে সূর্যটা ডুবে যাচ্ছে রহস্যময় আঁধারে । এমন সময় মায়ার কথা পড়ে অনিকের । মায়ার কাছে সে এখন একটা ঘৃণ্য প্রতারক ছাড়া কিছুই নয় । সত্যিই কি সে তাই ?
০৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১১
সালমান মাহফুজ বলেছেন: তার উত্তর তো জানা নেই ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৪৩
বাংলার জমিদার রিফাত বলেছেন: আসলে সে কি ভাই?