নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত মানুষ , মুক্ত সমাজ, মুক্ত পৃথিবী; মুক্তিই জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য ।

সালমান মাহফুজ

সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা সেই কৈশোর থেকেই । মাঝে মাঝে লিখতেও চেষ্টা করি । যেই সাহিত্য আমাকে ধরেছে, সেই সিলেবাস আমাকে দূরে সরিয়ে দিছে । সুতরাং একাডেমিক কন্ডিশন চরম বাজে । প্রচণ্ড অলস এবং অসামাজিক । নিজের কাজের প্রতি চরম বিশ্বাসহীনতা । মাঝে মাঝে সবকিছুকেই অনর্থক ফাও ফাও মনে হয় । এমনকি বেঁচে থাকাটাও । তবুও বেঁচে আছি । কেন ? জানি না । শুধু জানি, কিছু একটা করতে হবে । কী সেটা ? তাও জানি না । মানবজন্মটাকে এভাবে বৃথা চলতে দেয়া যায় না, এই ভেবেই বোধোহয় আরেকটু বাঁচবার লোভ হয় ।

সালমান মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাহিত্যপাঠঃ ফ্রাঞ্জ কাফকার \'মেটামরফোসিস\'

২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:২৭

গ্রেগর সামসার জীবনে আকস্মিক এমন কী ঘটে গেল- সবাই তাকে দেখে ভয়ে আঁতকে উঠছে, ধুর ধুর করে তাড়িয়ে দিচ্ছে, আঘাত করার জন্য তেড়ে আসছে !


ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ী গ্রেগর সামসা । দিনশেষে পকেটে যা জমা হয়, বাবা-মা আর ছোট এক বোনকে নিয়ে তার দিন নিশ্চিন্তে চলে যায় । সংসারে গ্রেগরের একার উপার্জন । তবুও পরিবারের সবার জীবন-যাপনে ছিল স্বচ্ছলতার ছাপ ! এমনকি তার বাবা গত পাঁচ বছর ধরে পায়ের উপর পা তুলে নিশ্চিন্তে আরামে পার করে দিচ্ছিল গ্রেগরের উপার্জনের উপর ভর করে । সঙ্গীতপ্রেমী ছোটবোন গ্রেটাকে নিয়ে গ্রেগরের ছিল অনেক বড় স্বপ্ন—

"তার একটা গভীর পরিকল্পনা ছিল যে তার বোন, সে সঙ্গীত ভালোবাসে, গ্রেগরের মত নয় ও, যে চমৎকার বেহালা বাজাতে পারে, তাকে সে সামনের বছর, প্রচুর খরচের ব্যাপার হলেও কনসার্ভেটেরিয়ামে পাঠাবে, অর্থের ব্যাপারটা সে অন্য কোনোভাবে সমাধা করে নেবে ।"

কিন্তু সেই ছোট বোন গ্রেটাই এখন গ্রেগরকে দেখলে নাক সিঁটকায়, তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়ার জন্য বাবা-মাকে পরামর্শ দেয় । বাবা তাকে দেখলে তেড়ে আসে মারবার জন্য । আর মা তো অজ্ঞান হয়ে গেল গ্রেগরের বীভৎস রূপ দেখে !
কিন্তু কী হল গ্রেগরের ?

১৮৮৩ সালে জন্ম নেওয়া বিখ্যাত চেক সাহিত্যিক ফ্রাঞ্জ কাফকা তাঁর 'মেটামরফোসিস' গল্পে পাঠককে এক অতিবাস্তবতার ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে এমন যুবককে হাজির করলেন, যে সকালে দুঃস্বপ্নের ভিতর থেকে জেগে উঠতেই টের পায় সে আর মানুষ নাই- পতঙ্গে রূপান্তরিত হয়ে গেছে ! হ্যাঁ, কাফকার সৃষ্ট সেই হতভাগা যুবকের নামই গ্রেগর, গ্রেগর সামসা । গল্পের প্রথম লাইনেই এক অদ্ভুত বিস্ময়ের সঙ্গে কাফকা আমাদের জানান দিয়ে দেন- গ্রেগর তেলাপোকায় পরিণত হয়েছে !
পরিবারের প্রতিটা সদস্য যার মুখের দিকে তাকিয়ে বেঁচে আছে, যার হাড়ভাঙা ক্লান্তিকর পরিশ্রমে উপার্জিত অর্থে চলে অসুস্থ মায়ের ঔষধের খরচ, বৃদ্ধ পিতার সকালের নাস্তার টেবিলে চায়ের কাপের সঙ্গে একটা খবরের কাগজ, সতের বছর বয়সী কিশোরী বোনের পড়াশোনা আর সঙ্গীতচর্চার ব্যয়, সেই গ্রেগর সামসার এরকম ভয়াবহ রূপান্তর আমাদের ভিতর শুধু বিস্ময়ই জাগায় না, মানব-অস্তিত্বের এক ভয়াবহ সংকটকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ।

পুঁজিবাদ তখন ইউরোপীয় সভ্যতার বুকে জগদ্দল পাথরের মত গেড়ে বসেছে । যান্ত্রিক শহরের রাস্তায় অলিতে গলিতে এক অদ্ভুত কঠোর প্রতিযোগিতায় দিশেহারার মত মানুষের ছুটাছুটি । জীবনের অর্থ, বেঁচে থাকার অর্থ ক্রমশ পাল্টে যাচ্ছে, তাসের ঘরের মত হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ছে সমস্ত মানবিক মূল্যবোধ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছে পৃথিবী- তখনই প্রাগ শহরের কোনো এক টেবিলের কোণায় বসে কাফকা লিখে ফেললেন 'মেটামরফোসিস', এক অদ্ভুত কাল্পনিক শক্তির মাধ্যমে এঁকে ফেললেন গ্রেগর সামসা নামক এক মেরুদণ্ডী মানুষের মেরুদণ্ডহীন তেলাপোকায় রূপান্তরিত হওয়ার অ্যাবসার্ড আখ্যান ।
কাফকার এই অনবদ্য রচনাটির আঙ্গিকগত মতপার্থক্য আছে । অনেকের মতে এটা ছোটগল্প, অনেকের মতে নভেলা বা উপন্যাসিকা । তা যাই হোক । এর আঙ্গিকগত মতপার্থক্যে না গিয়ে শুধু একজন পাঠক হিসাবে এই গল্পটি পাঠ করার মাধ্যমে আপনি যে এক অভিনব অদ্ভুত অথচ রোমাঞ্চকর চিন্তাজগতে প্রবেশ করবেন- এটা দ্বিধাহীন কণ্ঠে উচ্চারণ করতে পারি ।

গ্রেগর সামসার তেলাপোকায় রূপান্তর আপতদৃষ্টিতে অবাস্তবিক উদ্ভট মনে হয় ! কিন্তু শেষ পর্যন্ত 'মেটামরপোসিস' আমাদের সামনে এমন একটা বাস্তবতার প্রতিচ্ছবিই তুলে ধরে, যে বাস্তবতা আমাদেরকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে বেড়ায়, যে বাস্তবতা আমাদের বুঝিয়ে দেয় পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতার মানে কি, মায়ের ভালোবাসার নিগূঢ়ে আরো কিছু আছে কিনা , পরজীবী পিতা কীভাবে উপার্জনক্ষম ছেলের আকস্মিক বিপর্যয়ে পাল্টা আঘাত হানতে ঘুরে দাঁড়ায় , স্নেহের ছোটবোন কীভাবে উপেক্ষার দৃষ্টিতে তাকে সরিয়ে দেবার ফন্দি আঁটে ।
নিজের এই করুণ নির্মম বিপর্যয়ের পরও গ্রেগর সামসা মোটেই নিরাশ হয় না । সে আশাবাদী , সে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে । আবার সে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই ট্রেন ধরবে, পরিবারকে অনাটনের হাত থেকে রক্ষার জন্য নেমে পড়বে কর্মে, দু'হাতে রোজগার করবে, ছোটবোনের সঙ্গীতশিল্পী হওয়ার সেই বড় স্বপ্নটা পূরণ করবে ।

"গভীর প্রত্যাশা নিয়ে সে ভাবল যে আজকের সকালে এই দুঃস্বপ্ন-বিভ্রান্তিও আস্তে আস্তে কেটে যাবে । তাঁর কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন আর কিছু নয়, একটা কঠিন ঠাণ্ডার পূর্বাভাস মাত্র, তার মত ভ্রাম্যমাণ বাণিজ্যিক কর্মচারীদের নিত্যদিনের অসুখ ।
... সে আশা করছে, সবকিছু আবার বাস্তব ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে ।
"

কিন্তু একী হায় ! যে পরিবারকে ঘিরে গ্রেগরে এত দুঃশ্চিন্তা দুর্ভাবনা, সেই পরিবারের কেউ-ই চাচ্ছে না আর গ্রেগরকে । তারা সবাই গ্রেগরের ভরসা ছেড়ে দিয়ে কর্মে নেমে পড়েছে । অলস আরামপ্রিয় বাবা এখন কাজ শেষে আপেল কিনে সেই আপেল গ্রেগরের পিঠের দিকে ছুঁড়ে মারছে !

" নিজের নতুন জীবনের একেবারই শুরু থেকেই সে লক্ষ করছিল যে তার সঙ্গে ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাবা কঠোরতম প্রক্রিয়াকে সবচাইতে উপযোগী বলে বিশ্বাস করতে আরম্ভ করেছিলেন ।... একটা চাক্ষুষ স্বারকের মত আপেলটা তার পিঠে বিঁধে রয়েছে , কেউ সেটা সরাতে সাহস করল না…"


গ্রেগর ভালোমতই বুঝতে পারছে তার বর্তমান বীভৎস অস্তিত্ব সবার কাছেই বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক । বাবা-মা-ছোট বোন সবাই-ই এখন গ্রেগরের কাছ থেকে মুক্তি চাচ্ছে । তবুও গ্রেগর কীসের নেশায় কীসের আশায় একটা বীভৎস কুৎসিত ঘৃণ্য তেলাপোকা হয়ে বেঁচে আছে ?
এখানেই কাফকা হয়তো চিহ্নিত করতে চেয়েছিলেন পুঁজিবাদী সমাজের অভ্যন্তরে মানুষের মূল্যহীনতা ।

রূপান্তরের পর তেলাপোকার চোখ দিয়ে গ্রেগর সামসা মানুষের যে রূপ অবলোকন করেন, তার নিষ্ঠুরতা বুঝতে আমাদের বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয় না । এরই মধ্যে ঘটে গেছে দু' দুটি বিশ্বযুদ্ধ ! বিপন্ন হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন । মূল্যহীন হয়ে গেছে বেঁচে থাকার সমস্ত মানে ! ঘরে ঘরে জন্ম নিচ্ছে বহু গ্রেগর সামসা । যাদের অস্তিত্ব মানুষের মত অর্থময় দামী নয়, তেলাপোকার মত অর্থহীন সস্তা !

বইঃ Metamorphosis – রূপান্তর
মূলঃ ফ্রাঞ্জ কাফকা
অনুবাদঃ কবির চৌধুরী
প্রকাশনাঃ বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র

_____________________০_______________________০________________০____________________

ব্যাক্তিগত যোগাযোগ লিংকঃ সালমান মাহফুজ

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: বইটা পড়েছি। আপনার রিভিউ পড়ে আবার পড়ার ইচ্ছা জাগলো।

২৫ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:১১

সালমান মাহফুজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, কষ্ট করে পড়ার জন্য ।

২| ২৫ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:১০

ব্রতশুদ্ধ বলেছেন: গল্পজগতের মাস্টারপিস।। এই একটা গল্প কাফকা কে নিয়ে গেছে অন্যস্তরে।গার্সিয়া মার্কেজ এই গল্পের শুরুটা পড়েই বিমোহিত হয়েছিলেন।
অনেক ভালো লিখেছেন ভাই।। অভিনন্দন।

২৫ শে মে, ২০১৭ ভোর ৪:০৬

সালমান মাহফুজ বলেছেন: হুম । এই গল্প পাঠের মাধ্যমেই মার্কেস প্রচলিত ধারার বাইরে এসে লেখার অনুপ্রেরণা পায় । উন্মোচিত হয় জাদু-বাস্তববাদী উপন্যাসের দিগন্ত ।

মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।

৩| ২৫ শে মে, ২০১৭ রাত ৩:৪৯

উম্মে সায়মা বলেছেন: রিভিউটা খুব সুন্দর হয়েছে। ফ্রাঞ্জ কাফকার 'দ্যা ট্রায়াল' পড়েছি। 'মেটামরফোসিস' পড়ব পড়ব করে আর পড়া হয়নি। আপনার রিভিউ দেখে মনে হচ্ছে এবার পড়েই ফেলি।

২৫ শে মে, ২০১৭ রাত ৩:৫৯

সালমান মাহফুজ বলেছেন: আপনি দেখি আমার থেকেও অগ্রসর পাঠক । আমি কিন্তু 'দ্যা ট্রায়াল' ভয়ে ধরে নি এখনো ।

কাফকা মানেই এক বিস্ময়কর জগত । শুধু পাঠক নয়, পরবর্তী প্রজন্মের লেখকদের মাঝে যে প্রভাব তৈরী করেছেন তা অতুলনীয় । তা সাহিত্যের ৩৩ নোবল বিজয়ী সরাসরি কাফকা দ্বারা প্রভাবের কথা এই পর্যন্ত স্বীকার করেছেন । অথচ এই কাফকা নাকি নিজের সমস্ত লেখা পুড়িয়ে দিতে চাইছিলেন ।

মূল্যবান মতামতের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।

৪| ২৫ শে মে, ২০১৭ ভোর ৪:০৮

উম্মে সায়মা বলেছেন: না ভাই আপনার চেয়ে অগ্রসর পাঠক না। ভার্সিটি কোর্সে ছিল বলে পড়েছি। আপনি হচ্ছেন সত্যিকারের পাঠক। মনের খোরাক জোগাবার জন্য পড়েছেন।
কাফকা আসলেই শক্তিশালী একজন লেখক। প্রভাবিত না হয়ে উপায় নেই।
প্রতিমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সালমান ভাই। ভালো থাকুন।

২৫ শে মে, ২০১৭ ভোর ৪:১৩

সালমান মাহফুজ বলেছেন: আপনারো অশেষ মঙ্গল কামনা করি ।

৫| ২৫ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:১৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: বইটি পড়ার ইচ্ছে আছে।

২৫ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

সালমান মাহফুজ বলেছেন: পড়ে ফেলুন দ্রুত ।

মতামতের জন্য ধন্যবাদ ।

৬| ২৫ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯

নক্ষত্র নীড় বলেছেন: কাফকাকে আমি ভালবাসি।
ছবির নীচের কথাগুলোও তেমনি।

২৫ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫

সালমান মাহফুজ বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ ।

৭| ২৫ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: পুঁজিবাদী কি পুঁজিহীন, সমাজ তো সমাজই। সমাজকে এভাবে ট্যাগ করার ঘোর বিরোধী আমি। কারণ, সমাজ গঠনের মূল উপকরণ মানুষ। সে যতই মূল্যহীন হোক কি মূল্যবান, এই মানুষদের উপকার সাধনই আমাদের জীবনের লক্ষ্য। এ সমাজকে টিকিয়ে রাখার লক্ষ্য নিয়েই আমাদের বেঁচে থাকতে হবে।

বইয়ের সাবলীল বর্ণনা পড়ার ইচ্ছে জাগিয়েছে।

তবে, যে অংশগুলো কোট করেছেন, তা পড়ে অনুবাদটি কেমন হয়েছে, তা নিয়ে একটু সন্দিহান হলাম। বাক্যগুলো বেশ বড়।

আপনাকে শুভেচ্ছা।

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:০৬

সালমান মাহফুজ বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে অভিনন্দন । কারণ, আপনি লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এবং আপনার চিন্তার কথা অকপটভাবে প্রকাশ করেছেন ।


পুঁজিবাদী কি পুঁজিহীন, সমাজ তো সমাজই।--- এখানে আসলে 'পুঁজিবাদী' বলতে আসলে সেই সমাজের চরিত্রটার কথা ব্যক্ত করতে চেয়েছে । শুধু সমাজ বললে নিশ্চয়ই কী ধরণের সমাজ এই প্রশ্নটা থেকে যায় । আমাদের বাস্তবতাই যেহেতু সবকিছু ক্লাসিফাইড করে রেখেছে, সুতরাং আমরা স্বীকার করি আর না করি আমরা বিভক্ত ।

মানুষদের উপকার সাধনই আমাদের জীবনের লক্ষ্য।--

এটা যদি একান্তই আপনার জীবনের লক্ষ্য হয়ে থাকে । তাহলে এটা নিয়ে তর্ক চলে না । বরং সাধুবাদ দিতে হয় । কিন্তু আমরা দেখি অধিকাংশ মানুষ এই পৃথিবীতে মানুষ দ্বারাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে । একদল নীরবে সরবে আরেকদকে শোষণ করছে, পীড়ন দিচ্ছে । এতে একদলের মঙ্গল সাধিত হলে আরেক দলের ক্ষতিসাধন হচ্ছে ।

বইটা পড়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন বলে আমি খুশি হয়েছি । কারণ, বইটা পড়ে আমার নিজের ভালোলাগা মন্দলাগা মূল্যায়ন প্রভৃতি অন্যের কৌতূহল সৃষ্টি করেছে । সুতরাং এই সামান্য রিভিউ একেবারি অনর্থক কিংবা ব্যর্থ হয় নি ।

সবশেষে আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন । ভালো থাকুন ।

৮| ২৬ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:০৩

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: সুন্দর রিভিউ। সময় করে বইটি সংগ্রহ করে পড়ে নিবো। :)

২৬ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭

সালমান মাহফুজ বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.