নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগের স্বত্বাধিকারী সামিয়া

সামিয়া

Every breath is a blessing of Allah.

সামিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা পোষণ করে কিংবা সেরকম কিছু যদি কারো সম্পর্কে মনেহয় তাদের সাহায্য করুন

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৩



আমরা তো রক্ত মাংশের মানুষ। রক্ত মাংশের মানুষ বলেই বাইরে থেকে আঘাত পেলে, কোন রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে কষ্ট পাই, ব্যাথা অনুভব করি এটা হচ্ছে শারীরিক ব্যাথা।
জীবন, নানা রকম রোগ ব্যাধি ব্যাথা বেদনা জড়া ইত্যাদির সমন্বয়।
এই ব্যাপারটাও সত্যি যে শরীরের যেমন ব্যাথা বেদনা আছে রোগ আছে তেমনি মনের ও ব্যাথা বেদনা রোগ শোক আছে।
শারীরিক রোগ যদি শরীর অকেজো করে দিতে পারে মনের রোগ ও মন অকেজো করে দিতে পারে আর এই অতিরিক্ত মনের ব্যাধির পরিণাম হল আত্মহত্যা এটা আমার নিজস্ব থিওরি।

প্রতিদিন প্রতিনিয়ত এই আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে।
বিশ্বস্বাস্থ সংস্থার জরিপে বলা হয়েছে, বিশ্বে প্রতি ৩৩ সেকেন্ডে একজন এবং প্রতিদিন তিন হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। সেই হিসাবে বছরে আত্মহত্যা করে ১১ লাখ লোক। প্রতিদিন গড়ে ৬০ হাজার জন আত্মহত্যার চেষ্টা করে এবং প্রায় তিন হাজার মানুষ সফল হয়। এছাড়া প্রায় ৪০ লাখ টিনএজার প্রতিবছর আত্মহত্যার চেষ্টা করে এবং এক লাখ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। যুদ্ধ, টেরোরিস্ট বা সন্ত্রাসী আক্রমণ কিংবা খুনের শিকার হয়েও আত্মহত্যার সমপরিমাণ মানুষ মারা যায় না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ১৭০টি সদস্য রাষ্ট্রের উপর পরিচালিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে আত্মহত্যা প্রবণতার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। বাংলাদেশে গত সাত বছরে ৭৩ হাজার তিনশ’ ৮৯ জন মানুষ আত্মহত্যা করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৮ সালে ১০ হাজার ৫৯০ জন, ২০০৯ সালে ১০ হাজার ১০ জন, ২০১০ সালে ১০ হাজার ৭৮৮ জন, ২০১১ সালে ১০ হাজার ৩২৩ জন, ২০১২ সালে ১০ হাজার ১৬৭ জন, ২০১৩ সালে ১০ হাজার ১২৯ জন এবং ২০১৪ সালে ১১ হাজার ৯৪ জন নারী পুরুষ দেশে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে।
ডব্লিউএইচও পরিসংখ্যান মতে প্রতিদিন গড়ে আত্মহত্যা করেছে ২৮ জন। আর বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে ২৮ জন আত্মহত্যা করছে। এদের বড় একটা অংশের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। প্রতিবছর গড়ে আত্মহত্যা করছে ১০ হাজার ৪শ’ ৮৪ জন। এ ছাড়া মাসে গড়ে ৪৭৪ জন আত্মহত্যা করছে। তথ্য সূত্র ইন্টারনেট।

ছোট বেলায় আমি প্রথম যে লাশ দেখেছিলাম সেটি ছিল আত্মহত্যার।
ব্যাপারটা ছিল অনেক দুঃখের অনেক অন্যরকম তীব্র ভয়ের অনেকটা ভয়ঙ্কর বিষাদের, এই ঘটনা আমাকে অনেক ভীতু করে দিয়েছিল অনেক অনেক বছর।
আমার জীবনের প্রথম স্কুল ছিল একটি সরকারী স্কুল, আমরা এলাকার লোকাল বাচ্চাসহ অতি নিম্নবিত্ত বাচ্চারাও সেই স্কুলে পড়তে আসতো এবং তাদের প্রায় সবাই আমার ভালো বন্ধু হয়ে গিয়েছিলো।
তাদের মধ্যে একজন ছিল শিখা ওর গায়ের রঙ ছিল কালো, এত কালো মেয়ে সচরাচর দেখা যায় না কিন্তু আমি বলতে পারি ও আমার দেখা সব থেকে সুন্দরী মেয়েদের একজন, ও আসলে ছিল একটা সত্যিকারের নিস্পাপ পরী। সে শুকনা মতন ছোট একটা লক্ষ্মী মেয়ে, রোজ পলিথিনে বই পেঁচিয়ে খালি পায়ে একটা ছাই রঙের জামা পরে স্কুলে আসতো,
একদিন সেই পরী আমাকে জানায় স্কুলে আসার পথে সে গলায় ফাঁস দেয়া লাশ দেখে আসছে আমি দেখতে যেতে রাজি কিনা, স্কুলের কাছাকাছি টিফিনের সময় দৌড় দিয়া দেখে আসা যাবে।

তারপর টিফিনের সময় শিখা আমার হাত ধরে নিয়ে যেতে যেতে বলল বেডা গলায় দরি দিয়া মইরা গেছে সে একটা মাইয়ারে ভালবাসতো মাইয়াডার গতকাল রাইতে আরেকজনের সাথে বিয়া হইয়া গেছে তো তাই সে আত্মহত্যা করছে। আমি আত্মহত্যা জিনিশটা খুবই মজার কিছু ভাবতে ভাবতে শিখার হাত ধরে লাশ দেখতে গেলাম, লাশ মানে নিশ্চয়ই মজার কিছু!!
একটা সবুজ মাঠ পেরিয়ে খানিকটা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যখন লাশের কাছে পৌছালাম তখন রোদ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।
শিখা কাছাকাছি যেতে যেতে বলল ওই তো লাশ আসো আসো দেখি, মুখের উপর তার চাদর ছিলনা, যে দুজন লোক কবর খুঁড়ছিল তারা ক্লান্ত হাঁপাচ্ছে রোদের তাপে।

দেখলাম সবুজ ঘাসের উপর ফেলে রাখা এক যুবকের লাশ, আমার জীবনে দেখা প্রথম লাশ, আমি এখনো মনে করতে পারি তার ঠোট ছিল কালচে, মুখে বসন্তের দাগ, উঁচু কপালে মাথা ভর্তি ঘনকালো চুল, গলায় কালো আর গভীর কালচে দা্‌গ, জিভ বেরিয়ে আছে সেটা চাদর দিয়ে পেঁচিয়ে গলায় জড়িয়ে দিয়েছে কেউ একজন।
এরকম দৃশ্য বেশিক্ষন সহ্য করতে যে পারবোনা সেটাই স্বাভাবিক, চিৎকার করে কেঁদে দেয়ায় এক মহিলা কোত্থেকে এসে আমাকে কোলে নিয়ে অন্য হাত দিয়ে আমার চোখ চেপে ধরে লোকগুলোকে লাশ অমন করে রাখার জন্য ধমক দেয়ায় তারা অতিরিক্ত বিরক্তি নিয়ে জানিয়েছিলো যে আত্মহত্যা করা লাশ এইভাবেই ফেলে রাখতে হয়! কবর দিচ্ছে এইটাই তো বেশি।

যারা বেঁচে থাকতে চায়না অবহেলিত বঞ্চিত ঠকানো হয়েছে বলে যারা এভাবে মরে যায় অথচ মরেও কি ওসব থেকে রক্ষা পায়! অনেককে সহ আমার মা কে পর্যন্ত দেখেছি কেউ আত্মহত্যা করে মরে গিয়েছে শুনলে গালাগালি করতে। মৃত্যুর অপারে গিয়ে কি তারা সেসব জানতে পারে!! তার থেকে বেঁচে থেকে আরও কিছুটা দিন আলো বাতাস দেখা ভালোনা??

যতক্ষন মানুষ জীবিত থাকে ততক্ষন অনেক অপশন ও থাকে মরে গেলে তো সকল অপশন বন্ধ হয়ে যায়।
যে মৃত্যু ইচ্ছা অনিচ্ছায় মাথার উপর ঝুলে আছে সেটা নিয়ে টানা টানির কি প্রয়োজন!?


যদিও জীবনে এমন কিছু দিন আসে এমন কিছু একাকিত্তের রাত আসে এমন কিছু ভয়ানক বিপদ আসে যেগুলো থেকে ওই সময় একটাই সমাধান মৃত্যুই মনেহয়, কিন্তু মরে তো একদিন যেতেই হবে ওটা হাতে রেখেই কি অন্য চেষ্টা করা উচিৎ নয়! কিংবা ওই রকম মানসিক দুর্যোগের সময় কেউ যদি পাশে থাকে কেউ যদি সাহায্যের হাত বাড়ায় তবে কি এরকম অনেক অঘটন থেকে অনেককে সেফ করা যায় না?।
আত্মহত্যা মনোভাবের সময় প্রায় প্রত্যেকে ভাবে ‘আমি এরকম না আমি ওরকম না আমি পারবোনা প্রতিশোধ প্রতিরোধ এত অপমান কিচ্ছুতেই মেনে নেয়া যায় না, নেভার কোনোদিনও না কেউ বুঝবেনা আমার জীবনে কি যাচ্ছে! আমার এই সমস্যা এটা এরকম, জগতের কেউ নেই আমার মতন! কোন যুক্তি কোন তর্কই টিকছেনা শুধু একটাই সমাধান মৃত্যু!’

ঠিকাছে রাইট কিন্তু তারপরও কিন্তু তোমার মন তোমার মনের রোগ আমি বুঝবোনা আমি স্বার্থপর আমি শুধু নিজেরটাই বুঝবো তোমারটা বলতে এলে নির্লজ্জের মত তোমায় তিরস্কার করবো বিশ্বাস করো তোমার প্রতিটি বিষাক্ত বেদনার দীর্ঘ একাকী রাত্রিতে তুমি কাউকে পাশে পাবেনা কাউকে না তবু তুমি বেঁচে থাকো। কেউ তোমার দুঃখ বুঝবেনা তবু তুমি বেঁচে থাকো। তোমার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা অন্য কারো হয়ে গেছে তবু বেঁচে থাকো, তোমাকে কখনো কেউ বলেনি তোমার ভালো দিকগুলো সবাই তিরস্কার আর অপমানই করেছে তবু বেঁচে থাকো। তুমি পারছোনা শত চেষ্টায় ও পরাজিত তবু বেঁচে থাকো, বিশ্বাস করো ওই জিভ বের করা সবুজ ঘাসের উপর তরতাজা তরুন মৃত দেহের মত আরও শত শত আত্মহত্যায় মৃত মানুষদের মত তিরস্কৃত হওয়াটা আরও অপমানের, আরও বাজে।




বার বার চেষ্টা কর, হাল ছেড়োনা, বাঁচো, কতটুকু আর জীবন ঘুরে ঘুরে একসময় তো শেষ হবেই তাইনা। আফসোস করোনা হা হুতাশ ছাড়ো ওটাকেই সুন্দর জীবন বলে মেনে নাও ডিয়ার কেউ বুঝবেনা তোমার কষ্ট তোমার কান্না কার আছে এসব দেখার সময়! ছোট্ট এই জীবন নিয়ে সবার ছোটাছুটি, সামনে এগিয়ে যাওয়ার যুদ্ধ সবখানে, ওসবের ভেতর আমরা না ই যাই! আমরা প্রার্থনা না করি সুখি জীবনের! ওগুলো বিশাল ব্যাপার সেপার তুমি আমি তো বিশাল কেউ নই আমরা তো জানি জীবন মানে কি ভয়াবহ দুর্যোগ!! এসবের মাঝে কি আকাশ আমাদের একটু প্রশান্তি দেয়না? প্রশান্তি দেয় না মা এর মুখ? মাথায় অদৃশ্য অচেনা কারো সমব্যাধী পরশ বুলিয়ে যায় না বলো! আমরা কি মনের এই কঠিন রোগের সাথে চ্যালেঞ্জ করতে পারিনা তাড়িয়ে দেয়ার?
জীবন আনন্দ সুখ শান্তি, উন্নতি অর্থবিত্ত, যা চাই তাইই হাতের নাগালে পেয়ে যাব এসব নয় এরকম কখনো হয় না বুঝলে, যদি কারো বেলায় হতে দেখে ঈর্ষান্বিত হও বিশ্বাস কর ওর ভেতর মরিচীকা আছে যা আমাদের চোখে ধরা পড়ছে না জীবন মানেই ক্রমাগত লড়াই।
দুঃখের দিনে কেউ চোখের জল মুছে দিয়ে বলবেনা এত কেঁদোনাতো আমি আছি সাথে আছি সব ঠিক হয়ে যাবে।কার এত ঠ্যাকা!!



কিছু কিছু আত্মহত্যার ঘটনা শুনলে মনেহয় এটা বেশ শৌখিন কিছু। কেউ কেউ ফেইজবুকে সুইসাইড নোট লিখে স্ট্যাটাস দিয়ে মরে যাচ্ছে, কিছুদিন আগে তাস্মিয়া শান্তা নামের মেয়েটি মরে গেলো তার শেষ স্ট্যাটাস আপডেট করে, তার প্রোফাইল ঘেঁটে দেখলাম ছোট ছোট অভিমান প্রেমিকের সাথে টুকরো টুকরো কথা কাটাকাটি থেকে দীর্ঘ ডিপ্রেশনের কারনে সে এরকম করেছে। এক্ষেত্রে আমি মনে করি পরিবার দায়ী পরিবার পরিজনের মধ্যে থাকলে সে এত সহজে মরে যেতে পারতোনা, অন্তত পাশে যদি কেউ থাকতো।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আক্তার জাহান আত্মহত্যা করেছিলেন ওই একি কারনে স্বামীর অবহেলা, পরিবারের থেকে দূরে থাকা, তিনি তার সুইসাইড নোট লিখেছিলেন “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। শারীরিক মানসিক চাপের কারণে আত্মহত্যা করলাম। তবে আমাকে যেনো কোনোভাবেই আমার বাবার হেফাজতে দেয়া না হয়।” তার এক ছবিতে দেখলাম একজন কমেন্ট করেছে এরকম আর কতদিন, অর্থাৎ তার স্বামী অন্যত্র বিয়ে করেছে সেটা জানান দেয়া এবং তাকেও এই জাতীয় কিছু করা উচিৎ স্মরণ করিয়ে দেয়া জবাবে উনি বেশ আকুল রিপ্লে দিয়েছিলেন এভাবেই তোমাদের পাশে থাকতে দাও না। আহারে পরিবার পরিবেশ আশেপাশের মানুষ কি ভীষণ মানসিক চাপই না সৃষ্টি করেছিলো।


আত্মহত্যা কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় সেই বিষয়ে নেট ঘেঁটে একটি নিউজ পেলাম, খবরটি যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে অবশ্যই এই সংস্থাকে সাধুবাদ জানাই নিউজটি হুবুহু তুলে দিলাম।

আত্মহত্যা প্রতিরোধে ভারতে অভিনব কৌশল!

কৌতুহলবসত অথবা সত্যি সত্যিই কেউ যদি আত্মহত্যা করার উপায় খুঁজতে সার্চ ইঞ্জিন গুগল ব্যবহার করে, তাহলে নিশ্চিতভাবেই একটা উপায় পাওয়া যাবে। আর এ জন্য সার্চবারে লিখতে হবে, ‘কী ভাবে আত্মহত্যা করব’?
এই লেখাটি লিখে সার্চ করার সাথে সাথে স্ক্রিনে ভেসে উঠবে একটা টেলিফোন নাম্বার। আর তার নিচে লেখা আছে, সপ্তাহে সাতদিনই, ২৪ ঘন্টাই ফোন দিতে পারার ইঙ্গিত। কিন্তু নাম্বারটি কার, কেনই বা এভাবে পাওয়া যাচ্ছে, তার উত্তর খুঁজতে নিচে লেখা ওয়েসাইট ঠিকানায় গিয়ে জানা গেল, এটা আছরা নামের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের জরুরি হেল্পলাইন নাম্বার।
এই ফোন নাম্বারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি আত্মহত্যাপ্রবণ ব্যক্তি বা আত্মহত্যার পরিকল্পনা করছে এমন ব্যক্তির খোঁজ পেলে তাকে বাঁচাতে সার্বক্ষণিক জরুরি সহায়তা দিয়ে থাকে। তার আত্মহত্যা করতে চাওয়ার কারণ খুঁজে বের করে পারিবারিক সহায়তা, মানসিক রোগ বিষেষজ্ঞ ডাক্তার বা কাউন্সেলর দিয়ে তার মধ্যের হতাশা, কষ্ট, রাগ, দু:খ বের করে তাকে সুস্থ্য জীবনে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে এই সংস্থা।
আন্তর্জাতিক সংগঠন বিফ্রেন্ডারস ওয়াল্ডওয়াইড এর ভারত শাখার নাম আসরা। ১৯৯৮ সালে যাত্রা শুরু করা এই সংস্থা মূলত মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে। হিন্দি এবং ইংরেজি দুই ভাষা ব্যবহার করেই এখানে যোগাযোগ করা যাবে। তবে এই সুবিধা শুধুমাত্র ভারতেই মুম্বাইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে বর্তমানে।

যাই হোক আত্মহত্যা প্রতিরোধে প্রতিটি পরিবার, আত্মীয়স্বজন বন্ধু বান্ধব আশেপাশের মানুষ এবং সমাজ সবচাইতে প্রধান ভুমিকা রাখতে পারে। গতকাল নিউজে পড়েছি এক ছেলে তার প্রেমিকার সামনে গায়ে আগুন জ্বালিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছে তার শরীরের ৩০ ভাগ পুড়ে গেছে, ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং কমপ্লিট করেছে চাকরী খুঁজছে, বোঝাই যাচ্ছে এক্ষেত্রে তার আত্মহত্যার চেষ্টার জন্য তার প্রেমিকা দায়ী। দুদিন আগে নিউজে পড়লাম এক মেয়ে স্কুলের বেতন চেয়ে বাবার কাছে না পেয়ে ওড়না গলায় বেঁধে ঝুলে পড়েছে। সে কেবল অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে অর্থাৎ সে তার কিশোরী বয়স অতিক্রম করছে কেবল, এক্ষেত্রে মেয়েটির বাবা মেয়েটির পরিবার পুরোপুরি দায়ী। একটা কিশোরী বয়সের ছেলে মেয়ের জগত এমনিতেই জটিল এবং আবেগপূর্ণ থাকে, তারা কিছু বোঝে কিছু বোঝে না মান অভিমান ছোট বড় এর মাঝামাঝি বয়স অতিক্রম করে, সেক্ষেত্রে তাকে বোঝার মত পরিবারের কেউই যে ছিল না বলার অপেক্ষা রাখেনা।
অনেকে সুইসাইড নোটে কার কারনে আত্মহত্যা করছে উল্লেখ করে রেখে যায় সে রকম ক্ষেত্রে আমি মনে করি সুইসাইড নোটে উল্লেখিত ব্যক্তিকে মার্ডারের চার্জে এরেস্ট এবং বিচারের আওতায় এনে আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া উচিৎ।

অনেকে ক্ষেত্রে দেখি আত্মহত্যা ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা না করে আত্মহত্যার নিউজ না ছাপাতে এতে নাকি অনেকে অনুপ্রাণিত হয় আত্মহত্যা করতে। হতে পারে কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য অনুপ্রেরনার জন্য ও তো আমরা কিছু করতে পারি। আমরা কি দুটো ভালো কথা বলতে পারিনা? ভালো কাজ করতে পারিনা? ভালো ব্যাবহার করতে পারিনা? উপকার কিংবা সাহায্য না করতে পারি একটু হাসি কি উপহার দিতে পারিনা? একটু পাশে দাঁড়াতে পারিনা? পাশে দাঁড়াতে না পারি অন্তত এটুকু আশ্বাস দিতে পারিনা যে তাকে পৃথিবীর প্রয়োজন আছে??
সেদিন আরেকটি আত্মহত্যার বর্ণনা শুনে শিউরে উঠেছিলাম লোকটি নাকি রাত ভর বউয়ের গালি খেয়ে সকালে রেললাইনের পাশে এক টঙের দোকানে বসেছিল, হাতে ছিল চা এর কাপ। হঠাৎ ট্রেনের শব্দে সে খুব সুন্দর ভাবে চা এর কাপ টুলের উপর রেখে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক দৌড় দিয়ে ট্রেনের সামনে গিয়ে ঝাঁপ দিলো, পলকেই টুকরা টুকরা।

বাংলাদেশে বেড়ে যাওয়া আত্মহত্যার হার প্রতিটি পরিবারই পরিজন কাছের অথবা আশেপাশের মানুষই পারে কমাতে।

যারা আমার এত এত কথা শুনেও এই জাতীয় ডিপ্রেশনে আক্রান্ত তাদের উদ্দেশে--
প্রতিদিন কত মানুষ নানা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে পড়ে আছে জীবনের শেষ প্রহর গুনছে, অনেকেই আছে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ নষ্ট হয়ে গিয়েছে, কারো কিডনি কারো লাঞ্চ কারো চোখ, মরে যখন যাবেই এগুলো মরে যাওয়ার আগে দান খয়রাত করে যারা বাঁচতে চায় তাদের মরতে মরতে একটু সাহায্য সহযোগিতা করে গেলে ভালো হতোনা?

সবশেষে আত্মহত্যা করার আগে প্রিয়জনের কথা স্মরণ কর প্রত্যেকের জীবনেই কেউ তো আছে যে তোমার মৃত্যুর শোক সহ্য করতে পারবেনা কিংবা বাকী জীবন বেঁচে থাকবে পঙ্গুর মতন, কারো তো তোমাকে প্রয়োজন কেউ তো আছে যে তোমার উপর নির্ভর হয়ে বেঁচে আছে পরজীবীর মতন।
অথবা আমার মত অনেকেই যাদের প্রতিটি আত্মহত্যার সংবাদে অথৈ সাগর পরিমান দুঃখে ডুবিয়ে দেয়।

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কেনো মানুষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় বুঝি না :(

আল্লাহ এদের সৎবুদ্ধি দিন

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬

সামিয়া বলেছেন: ঠিক তাই , আল্লাহ এদের সৎবুদ্ধি দিন।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০২

রাতু০১ বলেছেন: You just get stronger.
Nice one.

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০৩

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

রিফাত হোসেন বলেছেন: যখন আয়নার দিকে তাকানো যায় না........ তখন হতে পারে.... এর থেকে উত্তরন এর পথ হল..... নতুন করে চিন্তা করা, পরকালের চিন্তা করা।

অবিশ্বাসী হলে পরকালের চিন্তাটা তেমন কাজ নাও করতে পারে। fresh start is the good point. চিন্তা করতে হবে যে কারণে বা যার জন্যই এই হনন তার থেকে আপন যারা আছে বাবা-মা,ভাই-বোন তাদের কষ্ট নিয়ে ভাবতে হবে। নিজের অনুপস্থিতি নিশ্চয়ই তাদের কষ্ট দিতে হবে। আর এইভাবে অকালে ঝড়ে পরা তো লজ্জার কারন হতে পারে তাদের জন্যও। সুতরাং ... ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবার সুযোগ নাই।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০৫

সামিয়া বলেছেন: ঠিক তাই। ভাললাগলো কথাগুলো, অনেক ধন্যবাদ।।

৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৮

নিভা ইয়ামা বলেছেন: আমার মনে হয় কি জানেন। আত্মহত্যা করতে ভীষণ সাহস লাগে। যে পর্যায়ে গিয়ে মানুষ এই সাহসটা পেয়ে যায় সে পর্যায়ে মাথায় পরিবার, পরিজন কাজ করে না। কাজ করে একরোখামি।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০৮

সামিয়া বলেছেন: হুম একরোখামী অথবা তীব্য যন্ত্রণা ।। ধন্যবাদ ডিয়ার।

৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২০

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।

তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে, তারা তাদের দোষ অস্বীকার করার জন্যও এটি করে থাকে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১২

সামিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।। হুম তা তো ঠিক ই, তবে তা কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাই না??

৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২৫

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: বাঁচবো আমি স্বপ্ন হতে নতুন শুরুর জন্য
ব্যর্থতা সব ঝেড়ে ফেলে করতে মোরে ধন্য।
বাঁচতে হবে সবার তরে রুখতে সকল জ্বরা
স্বপ্নের রংয়ে রাঙিয়ে দিয়ে গড়তে নতুন ধরা।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১০

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ কবি। সুন্দর কবিতা উপহার দেয়ার জন্য।।

৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১২

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আপি! :)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১৫

সামিয়া বলেছেন: হাহা সেইম হিয়ার।। আপনি এত ভালো কবিতা লিখেন বলেই তো আপনার কবিতা চুরি হয় =p~ =p~ =p~

৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১৮

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: কবিতা চুরির কথা বাদ!!!!!



চোর ধরার কাজ থেকে অবসর নিয়ে নিয়েছি!:)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১৯

সামিয়া বলেছেন: :)

৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:৪৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আমি আত্মহত্যা হত্য করতে গিয়েও ব্যর্থ । B-) এ কারণে আর চেষ্টা করি না । =p~

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪২

সামিয়া বলেছেন: আপনি ব্যর্থ হয়েছেন জেনে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, নাহলে শাহরিয়ার কবিরের এত সব চমৎকার কবিতা পেতাম কোথায়।
আপনার দীর্ঘজীবন কামনা করছি, ধন্যবাদ।

১০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:১৭

মানবী বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন আপু। দীর্ঘদিন ধরে ভাবছি এবিষয়ে পোস্ট দেবার, আপনি দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।

অনেকে নাটক সিনেমা দেখে আত্মহননকে রোমান্টিসিজমের সাথে গুলিয়ে ফেলে, ভাবে সে আত্মহত্যা করলে যে তাকে কষ্ট দিয়েছে সে বিবেক দংশনে ভুগবে- আসলে তেমনটা কখনও ঘটেনা। উল্টো অধিকাংশ ক্ষেত্রে "ঝামেলা বিদায় হয়েছে" টাইপ মনোভাব নিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে!

দুঃখজনক ভাবে আমাদের সমাজের মানুষ ভীষণ ইন্সেন্সিটিভ! কেউ আত্মহত্যা করতে চাইছে এমন বললে অনেকে কটাক্ষ, উপহাস করে- ভাবে এমন করলে তার সে ইচ্ছে চলে যাবে। বাস্তবতাটা এমন নয়। একবারের জন্যও যে মানুষ আত্মহননের ইচ্ছে প্রকাশ করে সে সব সময়ের জন্য আত্মহননের রিস্কে থাকে! আপনি আমি এমনি এমনি মজা করার জন্য কখনও এধরনের কথা উল্লেখ করবোনা, তীব্র কষ্ট আর হতাশার শেষ প্রান্তে পৌঁছেই মানুষের মনে এধরনের ভাবনার উদয় হয়, এই বাস্তবতাটা সকলের বোধগম্য হওয়া জরুরী।তাই এসময় জরুরী সহমর্মিতা, সহানুভূতি আর একজন ভালো বন্ধু হয়ে পাশে থাকা, এমনকি সে এড়িয়ে চলতে চাইলেও অন্য কোন ঘনিষ্ঠ জনকে এবিষয়ে অবহিত করা জরুরী।

" চাকরী খুঁজছে, বোঝাই যাচ্ছে এক্ষেত্রে তার আত্মহত্যার চেষ্টার জন্য তার প্রেমিকা দায়ী। দুদিন আগে নিউজে পড়লাম এক মেয়ে স্কুলের বেতন চেয়ে বাবার কাছে না পেয়ে ওড়না গলায় বেঁধে ঝুলে পড়েছে। "

- ছেলেটির আত্মহননের জন্য মেয়েটিকে দায়ী করা কি ঠিক? একটি মেয়েকে একটি ছেলে ভালোবাসলে সেটা কি সেই মেয়ের দায় হতে পারে? অথবা একটি ছেলেকে একটি মেয়ে যখন এক তরফা ভালোবাসে, তার দায়ও ছেলেটিকে দেয়া যায়না।
এসব প্রেম ভালোবাসাই যে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, সেই শিক্ষাও পরিবার থেকে আসা জরুরী।

মিডিয়াতে আত্মহননের সংবাদটা এভাবেই আসে, সিম্পল, সাদামাটা! পড়ে মনে হয় যেনো বাবার টাকা না দেয়াটাই আত্মহননের কারন। তাই কি কখনও হয়? কখনও না!
খোঁজ নিলে জানা যাবে, মেয়েটি হয়তো এই বেতন দিতে না পারা জন্য স্কুলে প্রচন্ড কটাক্ষের শিকার হয়েছে, হয়তো স্কুল কর্তৃপক্ষও তিরস্কার করেছে! সকলের মা বাবার স্বচ্ছলতা সমান নয়, হয়তো নিতান্ত নিরুপায় হয়ে তার বাবা বেতন দিতে অখ্ষম ছিলেন।
আত্মহনন বিশেষ করে টিনএজারদের আত্মহননের সবচেয়ে বড় কারন বুলিং বা কটাক্ষ। তাই যেখানে যখন কেউ যে কাউকে টিজ বা কটাক্ষ করতে দেখবে, সেখানেই তার প্রতিবাদ করা জরুরী। ছোট্ত শিশু, কিশোর, কিশোরী এমনকি তরুণ তরুনীদেরও এই বুলিংএ অনুৎসাহিত করা প্রতিটি শিক্ষিত সচেতন নাগরিকের গুরু দায়িত্ব। আ্র এই দায়িত্বের শুরু নিজের ঘর থেকে, নিজের সন্তান ছোটভাইবোনদের শিক্ষা দেয়া জরুরী, বুলিং একটি জঘণ্য অপরাধ!!



এমন পোস্ট আকারে মন্তব্যের জন্য দুঃখিত আপু!!

গুরুত্বপূর্ণ পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আমি ইহতিব!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪০

সামিয়া বলেছেন: চাকরী খুঁজছে, বোঝাই যাচ্ছে এক্ষেত্রে তার আত্মহত্যার চেষ্টার জন্য তার প্রেমিকা দায়ী।
আমি এই কথা বলেছি ছেলেটিকে মেয়েটির মানসিক চাপ প্রয়োগ অর্থে, পত্রিকায় এসেছিলো যে প্রেমিকার সাথে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
যাই হোক আমি তো আপু সামিয়া ইতি। আমি ইহতিব না।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য

১১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৬

মানবী বলেছেন: "যাই হোক আমি তো আপু সামিয়া ইতি। আমি ইহতিব না। "

- নামাজের সময় হয়ে গিয়েছিলো আর সেইসাথে মন্তব্যো দীর্ঘ, তাড়াহুড়ো করে শেষ করতে গিয়ে ইতি সামিয়া "আমি ইহতিব" হয়ে গিয়েছে!! যদিও তারপরও এমন ভুল গ্রহনযোগ্য নয়। :(

আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ইতি সামিয়া।



অনেক অনেক ভালো থাকুন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

সামিয়া বলেছেন: হাহা ঠিকাছে :D

১২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:৫৪

আকরাম বলেছেন: মানসিক স্বাস্থ্যে আমরা অনলাইনে কাজ করছি।
আত্মহত্যার উদ্দেশ্য কিন্তু মৃত্যু নয়!
অবহেলা, অপমানের বোধ আত্মহত্যার কারণ
ডিপ্রেশন থেকেই শিল্পীদের আত্মহত্যার তালিকাটা দীর্ঘ হচ্ছে............ ডিপ্রেশন থেকে বাঁচুন
প্যারাসুইসাইড, কৈশোরের আবেগ জনিত আত্মহত্যা
আত্মহত্যা এবং আমরা
কোন কারণে আপনি যদি আত্মহত্যা বা সুইসাইডের মতো কোন চিন্তা করে থাকেন, অতি সত্বর আমাদের হটলাইনে যোগাযোগ করুন। মনে রাখবেন, আত্মহত্যা কিন্তু কোন কিছুরই সমাধান নয়!
www.psychobd.com/
www.facebook.com/Psychobd/

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬

সামিয়া বলেছেন: নিঃসন্দেহে এটা আপনাদের একটি ভালো উদ্যোগ। এই সম্পর্কে ডিটেলস পোস্ট দিয়ে সবাইকে অবহিত করলে বেশি ভালো হবে।অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।।

১৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আমার ধারণা সব আত্মহত্যাকারী শেষ মুহূর্তে বোঝে কি ভুল তারা করছে, শেষ মুহূর্তে তারা বাঁচতে চায় , আর সময় থাকে না। আত্মহত্যার চেয়ে বড় কাপুরুষতা/কামেয়েলোকতা আর নাই।এইসব রোগীরে কাঁচা কঞ্চি দিয়া আচ্ছামতোন পিটাইলে ভাব ছুটিয়া যাইবে বলিয়া মনে হয় ! একারণে বিষ খাওয়া রোগীরে ডাক্তাররা ওয়াশ করার সময় খুব কষ্ট দেয় বলিয়া শুনিয়াছি , যেন মরণ কি তাহা যেন ভালো মতন বুঝিতে পারে !
তবে ডিপ্রেশন সাংঘাতিক কষ্টের। যার নাই সে বুঝিতেই পারিবেনা ইহা কি জিনিস। ইহাও একপ্রকার নরকযন্ত্রণা ! কাউকে বোঝানো যায়না , কেউ বোঝে না। সময়ই সবচেয়ে বড় চিকিৎসক। শুধু ধৈর্য ধরিয়া অপেক্ষা করা।ধর্মের সংস্পর্শ, জায়গা, পরিবেশ, বন্ধু পরিবর্তন বড় চিকিৎসা হইতে পারে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

সামিয়া বলেছেন: well said dear.... Thank you...

১৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আমার কারো সাহায্য দর্কার ???

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫

সামিয়া বলেছেন: সেটা আমি কি করে বলবো??

১৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: হতাশাগ্রস্থ মানুষেরা তাদের নিজ গন্ডি থেকে বের হতে চায়না । নিজেকে যদি সামাজিক ইনটেরাকশনের সাথে যুক্ত রাখতে পারে তবে নিজস্ব কষ্টটা অনেক কমে যায়।
গবেষনায় দেখা যায় যে, বৈরী আবহাওয়া, দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস, সামাজিক ব্যবস্থা, পারিবারিক অবহেলা ইত্যাদি আত্মহত্যা প্রবণতাকে ত্বরান্বিত করে ।
আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দান করুন ।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫

সামিয়া বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন। আন্তরিক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সবসময়।

১৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩১

ক্লে ডল বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট! তবে আমার মনে হয়, আত্মহত্যা র প্রতি আমাদের সমবেদনার চেয়ে বেশি বেশি ঘৃণা প্রদর্শন করা উচিৎ। যাতে কেউ এমন ভাবতে না পারে যে মরে গিয়ে সবাইকে বেদনায় ভাসাবো।

একটা প্রশ্ন মনে পড়ে গেল। বলুন ত? কোন অপরাধ করার চেষ্টা করলে দন্ডের ব্যবস্থা আছে অথচ সে অপরাধ করলে কোন সাজা নেই? :)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬

সামিয়া বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তর তো আমার টপিক। ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

১৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪১

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: পোস্ট টা কাজে লাগবে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

১৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫২

মেটাফেজ বলেছেন: আপনে এত জানলেন কেম্নে? চেষ্টা কর্সিলেন নাকি?

১৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

মেটাফেজ বলেছেন: ফানও বুঝেন না? আজিব।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২

সামিয়া বলেছেন: এটা তো serious & sad issues কেমন করে বুঝবো ফান। anyways tc gd care of urself.

২০| ০২ রা মে, ২০১৭ সকাল ১০:০২

মহিউদ্দিন হায়দার বলেছেন: আমরা কি পারবোনা সেটা ভালো করেই জানি, কি করতে পারবো সেটার ব্যাপারে একেবারেই অজ্ঞ । আত্ম অসচেতনতাই আত্মহত্যার সবচেয়ে বড় ইন্দন দাতা।

০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩

সামিয়া বলেছেন: ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.